![]() |
'জানি, তুমি আমাকে যেতে দিবে না।' তাই মাকে না বলেই যুদ্ধে চলে
গিয়েছিলেন ফরিদপুরের চাঁদ বোয়ালমারীর এ বি এম মাহবুবুর রহমান। তারপর ৫
এপ্রিল ভারতের ২৪ পরগনার ৮ নম্বর সেক্টর হেড কোয়ার্টারের বসিরহাট সাব
ডিভিশনে বসে মাকে চিঠিটি লিখেছিলেন মাহবুব। আনন্দের কথা 'মাতৃভূমি সোনার
বাংলাকে শত্রুমুক্ত' করে একদিন ঠিকই দেশে ফিরেছিলেন তিনি।
চিঠি লেখকঃ মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মাহবুবুর রহমান। তিনি চিঠিটি
লিখেছিলেন ৮ নম্বর সেক্টর হেডকোয়ার্টার, ট্রেনিং সেশন, বসিরহাট সাব ডিভিশন,
২৪ পরগনা, ভারত থেকে।
তাঁর বর্তমান ঠিকানাঃ বাড়ি ৭ (দোতলা), সড়ক ১৮, ব্লক জি/১, সেকশন ২, মীরপুর, ঢাকা।
চিঠি প্রাপকঃ মা রাহেলা বেগম রাঙ্গা, আখালিপাড়া, নদীয়ার চাঁদঘাট, বোয়ালমারী, ফরিদপুর।
চিঠিটি পাঠিয়েছেনঃ লেখক নিজেই।
৫ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল
৫ এপ্রিল, ১৯৭১ সাল
মাগো,
তুমি যখন এ পত্র পাবে, আমি তখন তোমার থেকে অনেক দুরে থাকব। মা, জানি, তুমি আমাকে যেতে দিবে না, তাই তোমাকে না বলে চলে যাচ্ছি। তবে যেদিন মা-বোনের ইজ্জতের প্রতিশোধ এবং এই সোনার বাংলাকে শত্রুমুক্ত করতে পারব, সেদিন তোমার ছেলে তোমার কোলে ফিরে আসবে।
দোয়া করবে, মা, তোমার আশা যেন পূর্ণ হয়।
ইতি
তোমারই হতভাগা ছেলে
পুনশ্চ: সেই গাঢ় অন্ধকারে একাকী পথ চলেছি। শরীরের রক্ত মাঝে মাঝে টগবগিয়ে উঠছে, আবার মনে ভয় জেগে উঠছে, যদি পাকসেনাদের হাতে ধরা পড়ি, তবে সব আশাই শেষ(..) যশোর হয়ে নাগদা বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করি। পথে একবার রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ি। তারা শুধু টাকা-পয়সা ও চার-পাচটা হিন্দু যুবতী মেয়েকে নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়। তখন একবার মনে হয়েছিল, নিজের জীবন দিয়ে মেয়েদের ওদের হাত থেকে রক্ষা করি। কিন্তু পরমূহূর্তে মনে হয়, না, এদের উদ্ধার করতে গেলে প্রাণটাই যাবে, তাহলে হাজার মা বোনের কী হবে?
রাত চারটার দিকে বর্ডার পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করি। বাল্যবন্ধু শ্রী মদনকুমার ব্যানার্জি ইতনা কলোনি, শিবমন্দির, বারাসাত, ২৪ পরগনা- এই ঠিকানায় উঠলাম। এখানে এক সপ্তাহ থেকে ওই বন্ধুর বড় ভাই শরত্ চন্দ্র ব্যানার্জি আমাকে বসিরহাট মহকুমা ৮ নম্বর সেক্টর মেজর ডালিমের তত্ত্বাবধানে আমাকে মুক্তিযুদ্ধে ট্রেনিংয়ে ভর্তি করে দেন। সেখানে পরিচয় হয় ব.রেজিমেন্টের আবুল ভাইয়ের সঙ্গে। ট্রেনিং ক্যাম্পে এক সপ্তাহ থাকার পর কর্ণেল ওসমান গণির নির্দেশে আমাদের উচ্চ ট্রেনিং (... অসম্পুর্ণ ...)
তুমি যখন এ পত্র পাবে, আমি তখন তোমার থেকে অনেক দুরে থাকব। মা, জানি, তুমি আমাকে যেতে দিবে না, তাই তোমাকে না বলে চলে যাচ্ছি। তবে যেদিন মা-বোনের ইজ্জতের প্রতিশোধ এবং এই সোনার বাংলাকে শত্রুমুক্ত করতে পারব, সেদিন তোমার ছেলে তোমার কোলে ফিরে আসবে।
দোয়া করবে, মা, তোমার আশা যেন পূর্ণ হয়।
ইতি
তোমারই হতভাগা ছেলে
পুনশ্চ: সেই গাঢ় অন্ধকারে একাকী পথ চলেছি। শরীরের রক্ত মাঝে মাঝে টগবগিয়ে উঠছে, আবার মনে ভয় জেগে উঠছে, যদি পাকসেনাদের হাতে ধরা পড়ি, তবে সব আশাই শেষ(..) যশোর হয়ে নাগদা বর্ডার দিয়ে ভারতে প্রবেশ করি। পথে একবার রাজাকারদের হাতে ধরা পড়ি। তারা শুধু টাকা-পয়সা ও চার-পাচটা হিন্দু যুবতী মেয়েকে নিয়ে আমাদের ছেড়ে দেয়। তখন একবার মনে হয়েছিল, নিজের জীবন দিয়ে মেয়েদের ওদের হাত থেকে রক্ষা করি। কিন্তু পরমূহূর্তে মনে হয়, না, এদের উদ্ধার করতে গেলে প্রাণটাই যাবে, তাহলে হাজার মা বোনের কী হবে?
রাত চারটার দিকে বর্ডার পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করি। বাল্যবন্ধু শ্রী মদনকুমার ব্যানার্জি ইতনা কলোনি, শিবমন্দির, বারাসাত, ২৪ পরগনা- এই ঠিকানায় উঠলাম। এখানে এক সপ্তাহ থেকে ওই বন্ধুর বড় ভাই শরত্ চন্দ্র ব্যানার্জি আমাকে বসিরহাট মহকুমা ৮ নম্বর সেক্টর মেজর ডালিমের তত্ত্বাবধানে আমাকে মুক্তিযুদ্ধে ট্রেনিংয়ে ভর্তি করে দেন। সেখানে পরিচয় হয় ব.রেজিমেন্টের আবুল ভাইয়ের সঙ্গে। ট্রেনিং ক্যাম্পে এক সপ্তাহ থাকার পর কর্ণেল ওসমান গণির নির্দেশে আমাদের উচ্চ ট্রেনিং (... অসম্পুর্ণ ...)
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.