মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৩০ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রদত্ত বিবৃতিতে বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ চলছে এবং প্রিয় মাতৃভূমি থেকে দখলদার বাহিনীর শেষ সৈনিকটিকে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত তা চলবে । তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এখন মাঝপথে রয়েছে । মুক্তিফৌজের বীর যোদ্ধারা রণাঙ্গনেই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার ঔদ্ধত্যপূর্ণ বেতার ভাষণের জবাব দেবে । বাংলাদেশের জনগণ ইয়াহিয়ার ভাষণকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে । ইয়াহিয়ার শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা সাড়ে সাত কোটি বাঙালির সাথে একটি নিষ্ঠুর রসিকতা ছাড়া কিছুই নয় । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>হাবিলদার মতিনের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা লক্ষ্মীপুর থেকে কালির বাজার গামী পাকবাহিনীর একটি দলকে আক্রমণ করে । এতে কয়েকজন পাকসেনা আহত হয় । পরে পাকসেনারা কালির বাজারে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায় । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ওয়াশিংটনে জনৈক সরকারি মুখপাত্র বলেন, ২৫ মার্চের পর মার্কিন সরকার পাকিস্তানকে সামরিক অস্ত্রের জন্য কোনো নতুন লাইসেন্স দেয়নি কিংবা মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো লাইসেন্স নবায়নও করেনি । তবে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ করার আগে পাকিস্তানকে যে লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল তার একটি চালান নিয়ে আগামী এক বা দু'মাসের মধ্যে অস্ত্র ও গোলাবারুদ বোঝাই পাঁচটি জাহাজ পাকিস্তানের পথে রওনা দেবে । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘের উদ্বাস্তু দফতরের হাইকমিশনার প্রিন্স সদরুদ্দিন লন্ডনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে বিশ্বের বিভিন্ন সরকার ও জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আবেদন জানান । তিনি বলেন, পাকিস্তান পূর্বাংশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্বাস ও সমঝোতার পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজন রয়েছে । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ দূত ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং বেলগ্রেডে প্রেসিডেন্ট টিটোর সাথে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুগোশ্লাভ প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের শরণার্থীদের দূরবস্থায় তাঁর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতা ও সমর্থন দানের জন্য নিশ্চয়তা দেন । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রাক্তন প্রাদেশিক মন্ত্রী হাশিমউদ্দিন আহমদ ময়মনসিংহে এক জনসভায় বলেন, সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা (মুক্তিযোদ্ধা) অশুভ কর্মতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের এই তৎপরতা গভীর উৎকন্ঠার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর । </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ জুন, ১৯৭১

৩০ জুন, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে প্রদত্ত বিবৃতিতে বলেন, আমাদের মুক্তিযু...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৯ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলীয় পরিষদ সদস্যদের আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, অখন্ড পাকিস্তান এখন মৃত এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাঁই নিয়েছে । বাংলাদেশে ইয়াহিয়া খান সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি । স্ব-আরোপিত এক নায়ক ইয়াহিয়ার বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকান নেই । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইয়াহিয়া নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারই বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি । আমরাই বৈধ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ছাড়া কোনো বিদেশী সরকারের চাপিয়ে দেয়া শাসনতন্ত্র মেনে নেবে না । আমরা দেশ শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিসংগ্রাম করেছি এবং আমাদের মুক্তিবাহিনী শত্রুকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছে । জনগণ আওয়ামী লীগের পেছনে রয়েছে । মুক্তাঞ্চল বাংলাদেশ সরকারের কেবল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেই নেই, সেখানে বেসামরিক প্রশাসন স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনা করছে । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপোষ হতে পারে না । বাংলাদেশের জনগণ রাজনৈতিক মিমাংসার নামে কোন আপোষ করবে না । আমরা মুক্তিযুদ্ধ করছি এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনবো । বিজয় আমাদের হবেই । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কালিয়াকৈর থানার সূত্রাপুর অবস্থানকারী পাকবাহিনীর ওপর মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার গফুর, ঘাটাইলের খোরশেদ আলম, মির্জাপুরের পুলক সরকার ও মনীন্দ্র ঘোষের দল দু’তিন ভাগ হয়ে ঝটিকা আক্রমণ চালায় । এতে মুক্তিযোদ্ধারা সূত্রাপুর এলাকা মুক্ত করে ।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর । </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ জুন, ১৯৭১

২৯ জুন, ১৯৭১ বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলীয়...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৮ জুন, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল রাজৌর থানার টাহেরহাটে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত হয় এবং পাকসেনারা টাকেরহাট অবস্থান ত্যাগ করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ময়মনসিংহে ভালুকার ভাওয়ালিযা বাজুরঘাটে পাকবাহিনীর ঘাঁটির ওপর কাদেরীয়া বাহিনীর ৬ নম্বর কোম্পানির তিনজন বীরযোদ্ধা গ্রেনেডের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এতে ৭ জন পাকহানাদার নিহত ও ১০/১২ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-নেতাদের মধ্যে আ.স.ম আব্দুর রব, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, নূরে আলম সিদ্দিকী, শাহজাহান সিরাজ, মোস্তফা মহসীন মিন্টু, খায়রুল ইনাম খসরুকে তাদের অনুপস্থিতিতে ১৪ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় জেনারেল হাসিদ বিমান বাহিনীর ঘাঁটি পরিদর্শন করে বিমান বাহিনীর সদস্যদের দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) সমস্ত ঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়ার নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কমান্ডার মাহবুবের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা পঞ্চগড়ের তালমা ব্রিজ রেকী করে পাকসেনাদের দালাল শামসু মেম্বারের বাড়িতে গ্রেনেড আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে তিনজন দালাল নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান রেডিও পাকিস্তান থেকে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য ইতিপুর্বে ঘোষিত জাতীয় পরিষদে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নতুন পদ্ধতিতে শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে শাসনতন্ত্রের চ’রান্ত রূপদান করার পর তা জাতীয় পরিষদে পেশ করা হবে। পরিষদে তা সংশোধন করা যাবে। যিনি ঘোষণা করেন, কেন্দ্র ও প্রদেশ জনগণের সরকার কায়েম হবার পর একটি নির্দিষ্ট পর্যন্ত দেশে সামরিক শাসন বলবৎ থাকবে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা হলেও নির্বচিত প্রতিনিধিরা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সদস্যপদে বহাল থাকবেন। নতুন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রশ্ন ওঠে না। তবে অযোগ্য বিবেচিত সদস্যদের আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যারা রাষ্ট্র বিরোধী কাজে অংশ নিয়েছেন তাদের পরিষদ সদস্যপদ থাকবে না। ইয়াহিয়া খান বলেন, দেশে পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তান সামরিক ছত্রচ্ছায়ায় থাকবে, তবে ৪ মাসের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে। আরো বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ দেশকে খন্ড-বিখন্ড করার জন্য ভোট দেয়নি, ভোট দিয়েছিল প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন লাভের জন্য। তিনি বলেন, সেনাবাহিনী অভিযানের সময় পূর্ব পাকিস্তানের রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য ও সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিস্থিতি বিরাজ করছিল। পাকিস্তানের আভ্যন্তরীন ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপ পূর্ব পরিকল্পিত। আওয়ামী লীগের চরমপন্থী, বিদ্রোহী ও ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে যোগসাজশ ছিল। সেনাবহিনী পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোলাম আজম এক বিবৃতিতে বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঘোষিত কর্মসূচিই জাতির জন্য একমাত্র পথ, যা অবশিষ্ট রয়েছে। </li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ জুন, ১৯৭১

২৮ জুন, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল রাজৌর থানার টাহেরহাটে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৭ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার খোলাপাড়ায় পাকসেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এতে ৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুবেদার আবদুল ওয়াহাব এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাকবাহিনীর ১৮ সদস্যের একটি দলকে কসবা থেকে ইমামবাড়ি যাওয়ার পথে কসবা রেল স্টেশনের কাছে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ১৭ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ১ জন পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বুড়িগঙ্গা নদীতে অবস্থানকারী একটি সাঁজোয়া জাহাজ থেকে হানাদারবাহিনী মেশিনগান দিয়ে রাজাপুর, গোপাল নগর ও মদ্য নগরে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়ে। বর্বরদের গুলিতে মধ্যনগরে আমান উল্লাহ ও রাজাপুরের অজ্ঞাত পরিচয় এক কৃষক নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং নয়াদিল্লীতে বলেন, ভারত সব সময়ই বাংলাদেশের সঙ্কটের একটি সন্তোষজনক রাজনৈতিক সমাধান আশা করে আসছে। শরণার্থী আগমনের ফলে ভারত যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তার জন্য শরণার্থীদের নির্বিঘ্নে স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য ভারতকে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করতে হতে পারে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ওয়াসিংটনে জনৈক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, প্রধান সাহায্যদাতা দেশগুলো পাকিস্তানে নতুন অর্থনৈতিক সাহায্যের বিবেচনা কয়েক মাসের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক কারণে পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়া বন্ধ রাখছে না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>এয়ার মার্শাল আসগর খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে করাচী থেকে ঢাকায় আসেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাবেক প্রাদেশিক মন্ত্রী ডি. এন. বাড়োড়ী এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের অখন্ডতার প্রতি তার আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করতে ভারতকে রাজী করানোর জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ জুন, ১৯৭১

২৭ জুন, ১৯৭১ ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার খোলাপাড়ায় পাকসেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এতে ৮ জন পা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৬ জুন, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ময়মনসিংহে হাবিলদার রেফাজউদ্দিন এক প্লাটুন যোদ্ধা নিয়ে মুক্তাগাছা থানা আক্রমণ করেন। থানায় প্রহরারত পুলিশের সাথে তুমুল সংঘর্ষের পর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তাগাছা থানা দখলে সমর্থ হয় এবং এতে অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। এ সংঘর্ষে ৪ জন পুলিশ নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার সুবেদার ওয়ালীউল্লা কাফলাতলী রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করেন। এতে কয়েকজন রাজাকার নিহত হয় ও ক্যাম্প মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেট-তামাবিল সড়কে শ্রীপুর নামক এলাকা শত্রুমুক্ত করার লক্ষ্যে সুবেদার বি.আর.চৌধূরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। আক্রমণের পরপরই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পিছু হটে। এতে জাফলং থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত এলাকা মুক্তিবাহিনীর দখলে এসে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চিলির প্রেসিডেন্ট ড. সালভেদর আলেন্দে জাতিসংঘের মহাসচিব উ'থান্টের কাছে প্রেরিত পত্রে ভারত আশ্রয়গ্রহণকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের দুঃখ-দুর্দশার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অবিলম্বে শরণার্থীদের সম্মানজনকভাবে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াত নেতা কুখ্যাত গোলাম আজম বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বলেন, "বিশ্বব্যাংক পাকিস্তানের মর্যাদার ওপর আঘাত হেনেছে।"</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল হামিদ নাটোর সফর করেন। নাটোরের স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতারা জেনারেল হামিদকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, "তারা বেঁচে থাকতে দুষ্কৃতকারীরা (মুক্তিযোদ্ধা) নাটোরে স্থান পাবে না।" </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতে আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশের শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৯শ'৯৮ জন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ জুন, ১৯৭১

২৬ জুন, ১৯৭১ ময়মনসিংহে হাবিলদার রেফাজউদ্দিন এক প্লাটুন যোদ্ধা নিয়ে মুক্তাগাছা থানা আক্রমণ করেন। থানায় প্রহরারত পুলিশের সাথে তুমুল সংঘ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৫ জুন, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা লাবিবুর রহমান ও সরোয়ার লালটুর নেতৃত্বে কাদের বাহিনীর পাঁচ ও এগার নম্বর কোম্পানি নাগরপুর থানার উপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ঝটিকা আক্রমণের মুখে পুলিশরা আত্মসমর্পণ করে। এতে থানার বেতার যন্ত্র, অস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধারা দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ময়মনসিংহে ভালুকার ভাওয়ালীরা বাজুরঘাটে আফসার উদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকবাহিনীর একটানা বিয়াল্লিশ ঘন্টা যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১২৫ জন সেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা আফসার উদ্দিনকে 'মেজর' উপাধি প্রদান করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার মতিন মর্টারের সাহায্যে পাকসেনাদের লক্ষীপুরের বাগবাড়ি ক্যাম্প আক্রমণ করে। এ আক্রমণে কয়েকজন পাকসেনা আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মৌলভীবাজারে মুক্তিযোদ্ধারা হ্যান্ড গ্রেনেডের সাহায্যে বিয়ানীবাজার থানা সার্কেল অফিস আক্রমণ করে। সফল আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মৌলভীবাজারে মুক্তিবাহিনী সমনবাগ চা বাগানের কারখানা আক্রমণ করে। এতে ১০ জন প্রহরী ও হানাদার বাহিনীর ৫ জন দালার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম জেদ্দায় ইসলামী সম্মেলন সংস্থার মহাসচিব টেংকু আবদুর রহমানের কাছে প্রেরিত তারবার্তায় বাংলাদেশে চলমান গণহত্যা বন্ধের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জেদ্দায় অনুষ্ঠিত ২২ জাতি ইসলামী সম্মেলনে পাকিস্তানের জাতীয় ঐক্য ও আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষার প্রচেষ্টার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জ্ঞাপন করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং লোকসভায় বক্তৃতাকালে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনী প্রেরণের আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুসলিম লীগ প্রধান আব্দুল কাইয়ুম খান দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতায় বলেন, "দেশ এক গভীর সংকটের মধ্যে দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। কাজেই দ্বিধাবিভক্ত মুসলিম লীগকে এক পতাকাতলে সমবেত হয়ে শত্রুর মোকাবেলা করতে হবে।" কাইয়ুম খান আরো বলেন, "বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা বিচ্ছিন্নতাবাদী মুজিবকে পাকিস্তানের সংহতি নষ্টকারী আন্দোলনে সহায়তা করছে।"</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ জুন, ১৯৭১

২৫ জুন, ১৯৭১ মুক্তিযোদ্ধারা লাবিবুর রহমান ও সরোয়ার লালটুর নেতৃত্বে কাদের বাহিনীর পাঁচ ও এগার নম্বর কোম্পানি নাগরপুর থানার উপর অতর্কিত...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৪ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের কাছে প্রেরিত এক তারবার্তায় পাকিস্তানে নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক অস্ত্র সরবরাহের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম তার বার্তায় বলেন, "বাংলাদেশে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের জনগণের ওপর অস্ত্র ব্যবহার করছে। সরবরাহকৃত অস্ত্র এখানে গণহত্যার কাজেই ব্যবহৃত হবে।" </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লে. মাহবুবের নেতৃত্ত্বাধীন দুই প্লাটুন যোদ্ধা কুমিল্লার পূর্বে পাকবাহিনীর বিবিবাজার অবস্থানের ভিতর অনুপ্রবেশ করে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাক সেনাদের ২১ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর তিন প্লাটুন যোদ্ধা কুয়াপাইনা ও খৈনল এলাকা থেকে কসবার উত্তরে পাকবাহিনীর লাটুমুড়া অবস্থানের বামে ও দক্ষিণে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এ অভিযানে পাকসেনাদের ৯ জন নিহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>শালদা নদী অবস্থান ও কসবার টি. আলীর বাড়ি এই দুদিক থেকে দুই কোম্পানির পাকসেনা এসে কায়েমপুরের নিকট মিলিত হয়। তারপর মর্টার, মেশিনগান ও কামানের সাহায্যে পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর মন্দভাগ অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। দু’ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা পিছু হটে এবং কায়েমপুর অবস্থান তলে নিয়ে শালদা নদীর মূল ঘাঁটিতে চলে যায়। এ যুদ্ধে পাকসেনাদের ২৪ জন হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জলপাইগুড়ির ‘মুরতি’ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ শেষে ৬নং সেক্টরে রংপুর দিনাজপুরের থুকরাবাড়ি চাউলহাটি, সোনারহাট ও হেমকুমারী ইউনিট বেসে ৪টি দল ক্যাম্প স্থাপন করে। প্রত্যেক দলের সদস্য সংখ্যা ৯০ জন। এখান থেকে শুরু করে তারা পরবর্তী গেরিলা যুদ্ধ যুদ্ধাভিযান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মেক্সিকোর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ফের্টি জিল, বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার পরিষদের মহাসচিব ড. রিচার্ডো মলিনা মার্টি পৃথক বিবৃতিতে বাংলাদেশে পাকবাহিনীর গণহত্যা বন্ধের উদ্দেশ্যে পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য বিশ্বশক্তির প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি কোসিগিন ও ইরানের শাহানশাহ রেজা শাহ পাহলভী বাংলাদেশ প্রসঙ্গে নিজ নিজ সরকারের অভিমত ব্যক্ত করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে বার্তা পাঠান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং ভারতীয় পার্লামেন্টে বলেন, "বাংলাদেশের নিরস্ত্র ও অসহায় জনগণের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিপীড়নের ফলে সেখানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে নতুন করে অস্ত্র সরবরাহ করলে কেবল বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি ঘটবে না, সেই সাথে গোটা উপমহাদেশের তথা এ অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তা হুমকির মুখোমুখি হবে।" </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দামেস্কে (সিরিয়া) অনুষ্ঠিত আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের দশম নির্বাহী কমিটির বৈঠকে বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ জুন, ১৯৭১

২৪ জুন, ১৯৭১ বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের কাছে প্রেরিত এক তারবার্তায় পা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৩ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রশ্নে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে সাহায্যদানকারী কনসোর্টিয়াম কর্তৃক পরবর্তী সাহায্য ও ঋণ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আশা করে দখলদার সেনাবাহিনীকে প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত কনসোর্টিয়াম পাকিস্তানকে সাহায্য প্রদান বন্ধ রাখবেন।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রামে হিয়াকুর কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি এ্যামবুশ দল পাকবাহিনীর খাদ্যবাহী একটি ছোট কনভয়কে এ্যামবুশ করে। এ আক্রমণে পাকবাহিনীর একজন সামরিক অফিসার ও তিনজন সৈন্য নিহত এবং দুইজন আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার পাকসেনাদের চতুর্দিক থেকে এ্যামবুশ করার জন্যে চতুর্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানির তিনটি প্লাটুন ইয়াকুবপুর, কুয়াপাইনা এবং খৈনলে অবস্থান নেয়। পাকবাহিনীর একটি টহলদার দল মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কাছাকাছি এলে মুক্তিযোদ্ধারা তুমুল আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় আপানিয়াপুল এলাকায় কয়েকজন দালালসহ দুজন পাকসেনার ওপর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক সুবেদার শামসুল হক ও হাবিলদার মন্তাজ আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনা দুজন নিহত হয় ও দালালরা পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ.আর.মল্লিক কলকাতায় স্থানীয় বুদ্ধিজীবীদের এক সমাবেশে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নৈতিক সমর্থন দানের জন্য ভারতীয় জনগণ ও বুদ্ধিজীবীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এই সাহায্য সহযোগিতা চির ভাস্বর হয়ে থাকবে।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী এক অনুষ্ঠানে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের নেতা। বাংলাদেশ প্রশ্নে রাজনৈতিক মিমাংসার জন্য অন্য কারো পক্ষের সাথে নয়, তাঁর সাথেই আলোচনা করা উচিত। শ্রীমতি গান্ধী এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনা করার জন্য পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী এ্যালেক ডগলাস হিউম কমন্স সভায় বলেন, পাকিস্তানে পুরো প্রকল্পগুলোর জন্য বৃটিশ অনুদান অব্যাহত থাকবে তবে সেখানে কোনো রাজনৈতিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে সাহায্য দান বন্ধ থাকবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো কোয়েটার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য পিপলস পার্টি, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছে কতিপয় সুপারিশ সম্বলিত একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সহ-সভাপতি মাহমুদ আলী পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার উদ্দেশ্যে মাসব্যাপী বিদেশ সফর শুরু করেন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর । </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ জুন, ১৯৭১

২৩ জুন, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ প্রশ্নে একটি রাজনৈতিক সমঝোতা না হওয়া পর্য...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২২ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দানকালে বলেন, আমাদের আজ বড় লক্ষ্য হবে মাতৃভূমিকে সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত করে আমাদের ৬০ লাখ মানুষকে স্বদেশে ফিরিয়ে আনা। দলমত নির্বিশেষে আজ বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের প্রতিটি মানুষ বাংলার স্বাধীনতাকামী মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। তারা বুকে তুলে নিয়েছেন ৬০ লাখ ছিন্নমূল মানুষকে। বাংলার সাড়ে সাত কোটি মানুষ এই বন্ধুত্বের কথা চিরদিন মনে রাখবেন। চিরকাল আমরা বন্ধুত্বের হস্ত প্রসারিত করে রাখবো। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর রাজাপুর ঘাঁটির ভিতর গোপন পথে প্রবেশ করে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। অপরদিকে ১৫ জন পাকসেনা হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খুলনার বৈকরি ও যশোরের বেনাপোলে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর সীমান্ত ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বগুড়ার মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর পাঁচবিবি ঘাঁটির ওপর তুমুল আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান মুসলিম লীগের সভাপতি খান আবদুল কাইয়ুম খান শক্তিশালী কেন্দ্রের গ্যারান্টি দিয়ে প্রেসিডেন্ট কর্তৃক একটি শাসন তন্ত্র প্রণয়ন ও শেখ মুজিবুর রহমানের ৬-দফা সমর্থনকারী অথবা বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাবাপন্ন সমস্ত দল বা গ্রুপের প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের নির্দলীয় সদস্য এস.বি জামান ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিদ্রোহ দমনে পাক সেনাবাহিনীর ভুয়সী প্রশংসা করে এ জন্য আরো শান্তি কমিটি ও ভিজিলেন্স কমিটি গঠন করার সুপারিশ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় পাকিস্তানি সামরিক প্রশাসক ৪৮ ঘন্টার মধ্যে স্লোগান, দেয়াল লিখন, নির্বাচনী প্রতীক মুছে ফেলার নির্দেশ দেয়। না হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নেজামে ইসলাম প্রধান মওলানা এ.কে. শামসুল হক সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা আরো দীর্ঘায়িত করার সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, "বর্তমানে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছে। ক্ষমতা হস্তান্তর হলে আবার বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হবে।"</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ জুন, ১৯৭১

২২ জুন, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ পরিষদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দানকালে বলেন, আমাদের আজ বড় লক্ষ্য হবে মাতৃভূ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২১ জুন, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এম. এনসুর আলী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, আমাদের এ সংগ্রাম সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রাম। বাঙালির এই অর্থনৈতিক মুক্তির দাবিতে প্রণীত হয়েছিল ৬-দফা কর্মসূচি। এই ৬-দফাই আমাদের মুক্তির একমাত্র সনদ। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার বিজয়পুর ব্রিজের উপর পাকসেনাদের দুটি গাড়িকে এ্যামবুশ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গুলি বিনিময় ঘটে। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর আটজন সৈন্য নিহত হয় ও গাড়ি দুটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফেনী-নোয়াখালী সড়কে বোগাদিয়া নামক স্থানে নোয়াখালী গেরিলা হেডকোয়ার্টার-এর একদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর দুটি ট্রাককে এ্যামবুশ করে। এ এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ট্রাক দুটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং ১২ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নোয়াখালী-ফেনী সড়কে মুক্তিযোদ্ধারা বজরা নামক স্থানে পাক সেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এতে দুইজন পাকসেনা নিহত ও দুইজন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আখাউড়া-সিলেট রেলপথে তেলিয়াপাড়ার কাছে মুক্তিবাহিনীর মনতলা অবস্থানে পাক হানাদার বাহিনী বেপরোয়া আক্রমণ চালায়। ক্যাপ্টেন নাসিমের অবস্থানের ওপর দুই ব্যাটালিয়ন, ক্যাপ্টেন সুবেদ আলী ভুঁইয়ার অবস্থানের ওপর পশ্চিম দিকে চান্দুরা থেকে এক ব্যাটালিয়ন ও লে. মোরশেদের অবস্থানের ওপর দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে মুকুন্দপুর থেকে এক ব্যাটালিয়ন পাকসেনা আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণের ফলে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান ত্যাগ করে পিছু হটে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>'সানডে টাইমস' পত্রিকার এক প্রতিবেদনে ঘাতকদের বর্বরতার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক ম্যাসকারেনহাস বলেন, "পাকিস্তানি সেনাবাহিনী গণহত্যার নীতি অনুসরণ করে চলছে।" </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানি সেনাবাহিনী চিপ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে ঢাকা আসেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম লাহোরে জামায়াত কর্মীদের এক সভায় বলেন, দেশকে খন্ড-বিখন্ডিত হবার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, বে-আইনী আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক গোলযোগ ১৮৫৭ সালে সঙ্ঘটিত বাংলার বিদ্রোহ-আন্দোলনের চেয়ে ১০ গুন শক্তিশালী ছিল। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশে সফররত চার সদস্য বৃটিশ প্রতিনিধি দলের সদস্য জিল নাইট বলেন, "বৃটিশ পত্র-পত্রিকায় প্রতিনিয়ত পাকিস্তানের অত্যাচারের খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে এ ধরণের কোনো ঘটনাই নেই।"</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর । </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ জুন, ১৯৭১

২১ জুন, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী এম. এনসুর আলী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, আমাদের এ সংগ্রাম সাংস্কৃ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২০ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>'সানডে টাইমস' পত্রিকার এক সংবাদে বলা হয়, 'পূর্ব পাকিস্তানে নতুন করে ত্রাসের ঝড় বয়ে চলেছে। স্থানীয় নাগরিকদের তিন শ্রেণীতে ভাগ করা হচ্ছে। সাদা অর্থাৎ নির্দোষ, ধূসর অর্থাৎ চাকরি যাবে এবং আটক করা হবে। আর কালো চিহ্ন যাদের ভাগ্যে জুটবে তাদের অবশ্যই হত্যা করা হবে। ৩৬ জন বাঙালি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বা মহকুমা ম্যাজিস্ট্রেটকে ইতোমধ্যেই হত্যা করা হয়েছে। কেউ কেউ পালিয়ে গেছেন। কুমিল্লা, রংপুর, কুষ্টিয়া, নোয়াখালী, ফরিদপুর ও সিরাজগঞ্জে পৌঁছেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী সেখানকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপারদের হত্যা করে।' </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী শ্রীনগরে এক জনসভায় বলেন, পূর্ববঙ্গ থেকে শরণার্থী আসার ফলে ভারত নতুন নতুন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে। তিনি বলেন, পূর্ববঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উদ্ভুত সমস্যা কেবল ভারত ও পাকিস্তানের সমস্যা নয়, এ সমস্যা বিশ্ববাসীরও। এ সমস্যা সমাধানে মানবিক কারণে বিশ্ববাসীর এগিয়ে আসা উচিত। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক গভর্নর টিক্কা খান ঘোষণা করেন, বিদেশীদের কাছে ভারতীয় প্রচারণার মুখোশ তুলে ধরার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধি দল বিদেশ সফর করবেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধূরীর নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি দলে থাকবেন পিডিপি’র মাহমুদ আলী, বিচারপতি নূরুল ইসলাম ও উপাচার্য ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো কোয়েটার সাংবাদিকদের বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাবলির জন্য তিনি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, "আমরা এখনো সঙ্কটের মধ্যে আছি। সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে প্রমাণিত হয়েছে, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা বানোয়াট ছিল না।" </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামের আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানিরা রাজনৈতিকভাবে অনুভব করেন, প্রশাসনে তাদের সমানাধিকারকে অস্বীকার করা হয়েছে এবং যারা পাকিস্তানের আদর্শে বিশ্বাসী নয় তারা এই মনোভাবকে কাজে লাগিয়েছে। এছাড়া যুক্ত নির্বাচন প্রবর্তনের ফলে পূর্ব পাকিস্তানে বহু অমুসলিম থাকার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো ধর্মনিরপেক্ষ দৃষ্টি ভঙ্গি গ্রহণের সুযোগ লাভ করে। বে-আইনী আওয়ামী লীগ তার অন্যতম । গোলাম আজম বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের বিচ্ছিন্ন হবার ইচ্ছা ছিল কিন্তু তিনি কখনো তা উত্থাপন করেননি। তবে ৬-দফা স্বাধীনতার পথ সুগম করে দিত।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> </ul> <ul style="text-align: justify;"> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ জুন, ১৯৭১

২০ জুন, ১৯৭১ 'সানডে টাইমস' পত্রিকার এক সংবাদে বলা হয়, 'পূর্ব পাকিস্তানে নতুন করে ত্রাসের ঝড় বয়ে চলেছে। স্থানীয় নাগরিকদের ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৯ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধারা মন্দভাগের কাছে পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এতে পাকবাহিনীর ৯ জন নিহত হয় এবং বাকী সেনারা মন্দভাগ গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী চৌদ্দগ্রাম ঘাঁটির ওপর পাকবাহিনীর দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্য লাকসাম ও ফেনীর দিক থেকে প্রবল আক্রমণ চালায়। সারাদিনব্যাপী যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা চৌদ্দগ্রাম ঘাঁটি পরিত্যাগ করে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ২০০ জন হতাহত হয়। অপরদিকে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও চারজন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রামে চাঁদগাজী মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটির ওপর পাকবাহিনী হামলা চালায়। দুটি পদাতিক বাহিনীর ব্যাটালিয়ন পিছন দিক থেকে মুহুরী নদী দিয়ে স্পীডবোটযোগে একটি কোম্পানি ও পাকিস্তানিদের রিয়ার হেড কোয়ার্টার থেকে আরেক দল আর্টিলারি, মর্টার ও অন্যান্য স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রেও সাহায্যে ত্রিমুখী আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনী ক্ষতি স্বীকার করলেও পাকসেনাদের ১৫০ জন নিহত ও অনেক আহত হয়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের চাঁদগাজী অবস্থান ত্যাগ করে পিছু হটে এবং পাকহানাদাররা চাঁদগাজী দখল করে নেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী বড়পুঞ্জি সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন রবের নেতৃত্বে এক কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানায় পাকবাহিনীর সীমান্ত ঘাঁটি লাঠিটিলা আক্রমণ করে। তুমুল যুদ্ধের পর লাঠিটিলা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এ যুদ্ধে চারজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। অপরদিকে পাকসেনাবাহিনীর ২২ বেলুচ রেজিমেন্টের একজন হাবিলদার ও একজন সেপাই মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে। এতে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখর করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার সামরিক গভর্নর লে. জেনারেল টিক্কা খান করাচীতে বলেন, পাকিস্তান জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল খাঁটি পাকিস্তানি উদ্বাস্তুকে গ্রহণ করতে প্রস্তুত। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তিনি বলেন, দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) ধ্বংসাত্মক কাজের ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল লাইনের চারটি প্রধান সেতুর ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সেতুগুলো মেরামত ও পুনঃনির্মাণের কাজ শেষ হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল যোগাযোগ আবার চালু হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করে ‘পূর্ব পাকিস্তান’ প্রসঙ্গে পরামর্শ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>অধ্যাপক গোলাম আজম রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তান শুধু টিকেই থাকবে না, শক্তিশালীও হবে। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া দেশকে বিচ্ছিন্নতার হাত থেকে রক্ষা করার বিকল্প কিছু ছিল না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন আসানসোলে এক জনসভায় বলেন, বাঙালি শরণার্থীরা অবরুদ্ধ পূর্ব পাকিস্তানের নয়, শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরতে আগ্রহী। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী বাংলাদেশের শরণার্থী সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ২৩ হাজার ৪ শ ৩৯ জন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ জুন, ১৯৭১

১৯ জুন, ১৯৭১ কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধারা মন্দভাগের কাছে পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এতে পাকবাহিনীর ৯ জন নিহত হয় এবং বাকী...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৮ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>লে. হুমায়ুনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল কুমিল্লা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে পাকসেনাদের সাইদাবাদ (কামান ঘাঁটি) অবস্থানের পিছনদিক থেকে অনুপ্রবেশ করে অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। কয়েক ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা তিনটি জঙ্গী বিমানের সহায়তায় পাল্টা আক্রমণ জোরদার করে। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধাদল গ্রামের গোপন পথে মেঘনার দিকে পশ্চাদপসরণ করে। এ যুদ্ধে ৫০/৬০ জন পাকসেনা হতাহত হয় ও তাদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার মুক্তিবাহিনীর কৈখোলা অবস্থানের ওপর পাকসেনারা গোলন্দাজ বাহিনীর সাহায্যে প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে কৈখোলা পাকসেনাদের দখলে চলে যায়। রাতে মেজর সালেক চৌধুরীর নেতৃত্বে চতুর্থ বেঙ্গলের 'এ' কোম্পানি কৈখোলায় অবস্থানরত পাকসেনাদের আক্রমণ করে। এছাড়া হাবিলদার সালামের প্লাটুন শিবপুরের দিক থেকে এবং সুবেদার আবদুল হক ভুঁইয়ার প্লাটুন দক্ষিণ দিক থেকে শত্রুসেনাদের অবস্থানের ভিতর অনুপ্রবেশ করে। দুঘন্টা ব্যাপী তীব্র যুদ্ধের পর পাকসেনারা কৈখোলা সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাগ করে এবং মুক্তিবাহিনী কৈখোলায় তাঁদের দখল পুনঃস্থাপন করে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন জেসিওসহ ৩১ জন সৈন্য হতাহত হয় । মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও যুদ্ধ সরঞ্জাম দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মিয়াবাজারের দক্ষিণে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকসেনাদের দুটি বাঙ্কারের ওপর আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় একদল মুক্তিযোদ্ধা খিলা রেলওয়ে স্টেশনের কাছে পাকসেনাদের একটি জিপকে এ্যামবুশ করে। এ অভিযানে ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুর জেলার ঠনঠনিয়াপাড়ায় পাক অবস্থানের ওপর মুক্তিবাহিনী বড় রকমের হামলা চালায়। আধঘন্টা ভয়াবহ সম্মুখ যুদ্ধের পর পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং ঠনঠনিয়া মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১৫ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ২ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর লে. ইমামুজ্জামানের কোম্পানি বেলোনিয়ার চিতলিয়া অবস্থানের ওপর পাকিস্থান বাহিনী হেলিকপ্টারযোগে ব্যাপক হামলা চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা অন্যত্র সরে পড়ে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাগেরহাট সদরের কান্দাপাড়া বাজারে পাকবাহিনীর নৃশংস গণহত্যার লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে। এখানে পাকবাহিনীর দোসর রাজাকাররা ১৮ জন যুবক, ৩ জন বৃদ্ধ ও ২ জন শিশুকে জবাই করে মাথাগুলো বিচ্ছিন্ন করে লাশের বুকের ওপর রেখে রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে সাজিয়ে রাখে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মৌলভীবাজারে পাকবাহিনীর জুড়ি অবসাথানের ওপর মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ২৫ জন সিপাই নিহত হয় এবং ৯ জন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল দেশত্যাগী পাকিস্তানির প্রতি স্বদেশ ফিরে আসার আবেদন জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী, বিচারপতি নূরুল ইসলাম, ডেমোক্রেটিক পার্টির সহ-সভাপতি মাহমুদ আলী, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৈয়দ সাজ্জাদ হোসাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. কাজী দীন মোহাম্মদ 'পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি' হিসেবে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে রাওয়ালপিন্ডিতে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম লাহোরে বলেন, "কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে? ক্ষমতা গ্রহণের জন্য দরকার একটি জাতীয় পরিষদ। আমাকে বলুনতো দেশে জাতীয় পরিষদ আছে কি? কোনোমতেই বেআইনী ঘোষিত ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাতে ক্ষমতা দেয়া যাবে না।" তিনি আরো বলেন, দুষ্কৃতকারীরা (মুক্তিযোদ্ধা) এখনো ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত রয়েছে। নকশালী ও কমিউনিস্টদের দ্বারা পরিচালিত এসব দুষ্কৃতকারীরা জনগণের মধ্যে ত্রাস সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খল অবস্থা দীর্ঘায়িত করতে চায়।"</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ জুন, ১৯৭১

১৮ জুন, ১৯৭১ লে. হুমায়ুনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল কুমিল্লা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে পাকসেনাদের সাইদাবাদ (কামান ঘাঁটি) অবস্থানের পিছনদিক ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৭ জুন, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাঙ্গাইলের বাশাইল থানার পশ্চিমে কামুটিয়া নর্থখোলা খেয়া পারে পাকবাহিনীর সাথে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন ট্যাঙ্ক, আর্টিলারি ও মর্টার সহযোগে চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর চাঁদগাজী ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। পাকিস্তানিদের এ ব্যাপক হামলা ক্যাপ্টেন অলি, ক্যাপ্টেন শামসুল হুদা, ক্যাপ্টেন মতিউর রহমান তাঁদের নিজ নিজ বাহিনী নিয়ে সার্থকতার সাথে মোকাবেলা করেন। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর কিছু ক্ষতি হলেও পাকবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং পাকবাহিনীর ৪৫ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বেলোনিয়ায় মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটির ওপর পাকবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালায়। প্রথম অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও পরবর্তীতে বিমান বাহিনীর সহায়তায় পাকসেনারা আক্রমণ অব্যাহত রাখলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে চিতলিয়ায় চলে আসে এবং সেখানে অবস্থান নেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুর জেলার ঠনঠনিয়াপাড়া নামক স্থানে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণের উদ্দেশ্যে মুক্তিবাহিনী অগ্রসর হয়। কোম্পানির দুটি কলামে বিভক্ত হয়ে একটি কলাম সন্মুখভাগ আক্রমণের জন্য মেজর নাজমুল হকের নেতৃত্বে এবং অপর কলাম সুবেদার মেজর এ. রবের নেতৃত্বে বিরল-ঠনঠনিয়া সড়কের ১৫০ গজ বামে ‘কাট অফ’ পার্টি হিসেবে ডিফেন্স নেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুগোশ্লাভ পররাষ্ট্র দফতরের এক মুখপাত্র বলেন, শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব আর কারো নয়, পাকিস্তান সরকারের। পাকিস্তান সরকারের কার্যকলাপের দরুন আজ প্রায় ৬০ লাখ বাঙালি ভারতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতরভাবে উদ্বাস্তু হিসেবে জীবনযাপন করছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তার সাথে বৈঠকে মিলিত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং ওয়াশিংটন প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তিদান ও বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি রাজনৈতিক সমাধানে উপনীত হবার লক্ষ্যে পাকিস্তান সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান সফররত ৩ সদস্যের বৃটিশ পার্লামেন্টারি দলের সদস্য মি. জেমস টিন বলেন, "বৃটিশ পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের সঙ্গে দেশের অবস্থা সঙ্গতিপূর্ণ নয়। ভারতের একতরফা প্রচারের কারণেই বিদেশী পত্রিকায় সঠিক খবর প্রকাশিত হচ্ছে না।" </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দলের আরেক সদস্য মিসেস নাইট বলেন, "পাকিস্তান সেনাবাহিনী দুষ্কৃতকারী দমনে অত্যন্ত দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে এই নির্মমতার দরকার ছিল।" </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সরকার ঘোষণা করেন, "ভারতীয় সেনাবাহিনীর আসাম ও পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তে বিনা উস্কানিতে মর্টার ও মেশিন গানের গোলাবর্ষণ করে অসংখ্য বেসামরিক লোককে হত্যা করেছে। কুমিল্লা, যশোর, রংপুর, রাজশাহীর সীমান্তবর্তী এলাকায় এসব ঘটনা নিয়মিত ঘটছে।"</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ জুন, ১৯৭১

১৭ জুন, ১৯৭১ টাঙ্গাইলের বাশাইল থানার পশ্চিমে কামুটিয়া নর্থখোলা খেয়া পারে পাকবাহিনীর সাথে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সংঘ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৬ জুন, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর চাঁদগাজী ঘাঁটির ওপর পাকসেনারা তীব্র আক্রমণ চালায়। ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে পাকসিনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সংঘর্ষে পাকিস্তানিদের ৫০ জন সৈন্য নিহত হয়। কুমিল্লার রাজাপুর রেলস্টেশন ঘাঁটি থেকে টহল দিতে আসা পাকসেনাদের ওপর মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা এ্যামবুশ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত ও একজন আহত হয়। সংঘর্ষ শেষে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, টেলিফোন সেট ও অন্যান্য জিনিস মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয় ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধাদের কসবা অবস্থান থেকে একটি দল বগাবাড়ি নামক স্থানে পাকবাহিনীর একটি টহল দলকে এ্যামবুশ করে। এ অভিযানে পাকবাহিনীর ১০ জন সেনা নিহত ও ৫ জন আহত হয় ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোপালগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের কোদালধোয়া ঘাঁটির ওপর পাকবাহিনী চারটি স্পিডবোটে করে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী তাদের প্রতিরোধ করলে দু’পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা পয়সারহাট থেকে আট মাইল দূরে পালায়। এ যুদ্ধে পাকসেনাদের ৯ জন সৈন্য নিহত হয় ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঝালকাঠির বৈশাইল থানা এলাকায় হানাদার পাকসেনারা স্থানীয় দারারদের সহায়তায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে শতাধিক মানুষ নিহত হয় ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যশোরের বেনাপোল পাকবাহিনীর ঘাঁটির ওপর মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনী প্রচুর ক্ষতির শিকার হয় ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী রাজ্য সভায় বলেন, আমরা অবশ্যই বাংলাদেশ প্রশ্নের রাজনৈতিক মীমাংসা চাই, তবে বাংলাদেশের কবর রচনা করার কিংবা গণতন্ত্র ও অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যারা লড়াই করছে তাদের থেকে নিষ্ক্রিয় করার অধিকার আমাদের নেই। ভারত সে ধরণের মীমাংসার আশাও করে না। আমরা শরণার্থীদের সীমান্তের ওপারে বর্বরতার মুখে ঠেলে দিতে পারি না, যেখান থেকে প্রাণভয়ে তাঁরা সীমান্ত অতিক্রম করে আমাদের দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছেন । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কানাডার অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী মিজেল শার্প তাঁর দেশের কমন্স সভায় বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের উদ্ভুত পরিস্থিতির রাজনৈতিক মীমাংসা ছাড়া শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টির সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ । আর এই রাজনৈতিক মীমাংসার একমাত্র উপায় হচ্ছে পাকিস্তান বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ জুন, ১৯৭১

১৬ জুন, ১৯৭১ চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর চাঁদগাজী ঘাঁটির ওপর পাকসেনারা তীব্র আক্রমণ চালায়। ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৫ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুনামগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর ধর্মপাশা ঘাঁটির ওপর দুহাজার পাক আর্মি ও মিলিশিয়ার একটি দল বারহাট্টা থানাধীন সিংধা- ধর্মপাশা রাস্তা ধরে, আরেক দল কংস নদীর পথে ও অন্য একদল মোহনগঞ্জ-ধর্মপাশা রাস্তা ধরে সম্মিলিতভাবে ত্রিধারায় আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন মেজরসহ ২০ জন সৈন্য নিহত হয়। অন্যদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই শহীদ হন। এ যুদ্ধের পর পাকবাহিনী ধর্মপাশা সদর দখল করে নেয় এবং নিরীহ মানুষদের ওপর নিপীড়ন, নৃশংস হত্যাকান্ড ও নারী নির্যাতন করে। পাক বর্বররা ধর্মপাশা বাজার পুড়িয়ে দেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেট শাহাজীবাজারের কাছে রেল সেতুতে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনা বোঝাই একটি ট্রেনকে এ্যামবুশ করে। এত ১৫০ জন পাকসেনা নিহত ও ট্রেনটি ধ্বংস হয়।  </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রংপুরের ভুরুঙ্গমারীতে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় । এতে পাকবাহিনী বিপুল ক্ষতি স্বীকার করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ এ. মার্কোস ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর এক পত্রের জবাবে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিবাদের ফলে সেখানকার বাঙালি জনগণের দুঃখ-দূর্দশায় ফিলিপাইন সরকার ও জনগণ গভীরভাবে মর্মাহত। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বৃটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল বাংরাদেশ সফরের উদ্দেশ্যে ঢাকা আসেন। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন মিসেস জিল নাইট, জেমস এ কিলফেডার ও জেমস টিন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পাকিস্তানের মনোভাব ব্যক্ত করতে বিদেশী রাষ্ট্র সফরের জন্য প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান তাকে অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান অবস্থায় তার দেশ ত্যাগ করা উচিত নয়, কিন্তু যেখানে প্রেসিডেন্ট অনুরোধ করেন তখন তা বিবেচনা করা তার কর্তব্য। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সামরিক কর্তৃপক্ষ নিষিদ্ধ পুস্তকের একটি তালিকা প্রকাশ করে। সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য বই হচ্ছে: আবদুল জলিলের যুগসঙ্গীত, শংকর প্রসাদ ঘোষ ও অরুণ দাশগুপ্তের অভিযাত্রী, পূর্ববঙ্গের লীগ সরকারের এক বছর, যাযাবরের ঝিলাম নদীর তীরে, প্রবোধ কুমার সান্যালের হাসুবানু, নূরে আলম সিদ্দিকীর রক্তাক্ত পোত, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উন্মেষ, মুজাহিদের আলাদা হাওয়াই মুক্তির পথ।  </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর টিক্কা খান গভর্নর সম্মেলনে নিজের সফলতা বর্ণনা করে বলেন, আমাকে পাঠানো হয়েছে সমাজবিরোধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের খতম করার জন্য। আমি তা করেছি। প্রেসিডেন্ট যেকোনো দিন ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারেন।</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘ </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ জুন, ১৯৭১

১৫ জুন, ১৯৭১ সুনামগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর ধর্মপাশা ঘাঁটির ওপর দুহাজার পাক আর্মি ও মিলিশিয়ার একটি দল বারহাট্টা থানাধীন সিংধা- ধর্মপাশা রাস...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৪ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাক সেনাদের একটি দল কুমিল্লা থেকে নয়াবাজার হয়ে চৌদ্দগ্রামের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিযোদ্ধারা নয়াবাজারের কাছে তাদের এ্যামবুশ করে। এ অভিযানে পাক সেনাদের ৩০ জন সৈন্য হতাহত হয় এবং তাদের অগ্রগতি ব্যাহত হয় ও তারা পিছু হটে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর ১৬ জন যোদ্ধার একটি দল কুমিল্লার বুড়িচং থানার ওপর আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকসেনাদের ৮ জন নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের একজন আহত ও একজন নিখোঁজ হয়। এতে বুড়িচং থানা শত্রুমুক্ত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ঢাকা, কুমিল্লা যাবার গোপন পথ নিরাপদ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোপালগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর চলবল ঘাঁটির ওপর পাক হানাদারবাহিনী মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ ও টেকেরহাট এই তিনদিক দিয়ে আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের নিকটবর্তী রামশীল গ্রামে ঢুকে পড়ে এবং এর ভিতর দিয়ে গৌরনদী থানার বাসাইল গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। পথে বান্দাবাড়ি খালের কাছে হেমায়েত বাহিনীর সাথে পাকসেনাদের তুমুল সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘ যুদ্ধের পর হানাদারবাহিনী পিছু হটে। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা মকবুল শহীদ হনএবং হেমায়েত আহত হন। অপরদিকে পাকবাহিনীর ৫০-এর অধিক সৈন্য নিহত হয় এবং ১৮ জনসৈন্য মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে। এ যুদ্ধের পর হেমায়েতবাহিনী কোদালধোয়া গ্রামে তাঁদের ঘাঁটি স্থানান্তর করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসক লে. জেনারেল টিক্কা খান করাচিতে বলেন, ‘বর্ষা মওসুমে সীমান্ত এলাকায় অনুপ্রবেশের ফলে উদ্ভুত যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার সম্পূর্ণ তৈরি।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা হস্তান্তর প্রশ্ন সমাধানের আগে পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি বিবেচনা করে দেখতে হবে। প্রদেশের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত এবং দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। অনুপ্রবেশকারীরা সীমান্তে কিছু পুল উড়িয়ে দিয়েছে এবং ধ্বংসাত্মক কাজ করছে।’ তিনি শান্তি কমিটির ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘এটা মোটেও রাজনৈতিক সংগঠন নয়। শন্তি কমিটির সাচ্চা পাকিস্তানিরা দুস্কৃতকারীদের হাত থেকে দেশ বাঁচানোর জন্যে আমাকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা পৌর কর্তৃপক্ষ শহরের ২১০ টি রাস্তার নাম পাল্টে দিয়ে ইসলামী নাম রাখে। লালমোহন পোদ্দার রোডের নাম হয় আবদুর করিম গজনবী রোড, হরিচরণ রোডের নাম হয় মোহাম্মদ বিন কাশেম রোড। এভাবে শাঁখারী বাজার হয়ে যায় গুলবদন, কিষাণ ব্যানার্জী হয় আলীবর্দী, নবীন চাঁদ হয় বখতিয়ার খিলজী আর কালীচরণ রোড হয় গাজী সালাউদ্দিন রোড। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতীয় পরিষদের সাবেক নেতা কান আবদুস সবুর ঢাকায় বলেন, বাংলাদেশ নামের প্রতিশ্রুত সশস্ত্র প্রলোভনে সীমান্ত পার হয়ে যাওয়া খাঁটি পাকিস্তানিরা এখন নরক যন্ত্রনা ভোগ করছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এস.বি জামান পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণকে সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ জুন, ১৯৭১

১৪ জুন, ১৯৭১ পাক সেনাদের একটি দল কুমিল্লা থেকে নয়াবাজার হয়ে চৌদ্দগ্রামের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিযোদ্ধারা নয়াবাজারের কাছে তাদের এ্যামবু...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-sfrwu299gbwjjG3d3dYouVnPOPEjjEs-PI129Ioi5ys5AzpIyiQ9aqkMYWMTb9z-DSmWdJ96deQ_tzGz1UWUKTN5lFJ3ujHGUFr_hMJpcEAm7JvvMMFPm7BlgOTl_0LeQIszbsmucsQ/s1600/mp.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEh-sfrwu299gbwjjG3d3dYouVnPOPEjjEs-PI129Ioi5ys5AzpIyiQ9aqkMYWMTb9z-DSmWdJ96deQ_tzGz1UWUKTN5lFJ3ujHGUFr_hMJpcEAm7JvvMMFPm7BlgOTl_0LeQIszbsmucsQ/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৩ জুন, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মৌলভীবাজারে মুক্তিবাহিনী শেরপুরের কাছে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এ অভিযানে ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল পরিমান সমরাস্ত্র দখল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাঙ্গাইলে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাসাইল থানা আক্রমণ করে। এ সংঘর্ষে একজন দালাল ও একজন দারোগা নিহত হয়। এতে প্রচুর গোলাবারুদ ও অস্ত্রশস্ত্রসহ বাসাইল থানা মুক্তিযোদ্ধারা দখল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার মুক্তিযোদ্ধারা রাজাপুর রেলস্টেশনের পাশে পাঁচড়া গ্রামে পাকসেনাবাহিনীর অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে পাকসেনাদের ১১ জন নিহত ও ১২ জন আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সৈয়দপুরে পাকহানাদাররা তাদের আশ্রয় শিবির থেকে মারওয়ারী ও হিন্দু পরিবারদের ভারতে পৌঁছে দেবার কথা বলে একটি ট্রেনে তোলে। ট্রেনটি সৈয়দপুর রেল কারখানার উত্তর পাশে ফাঁকা জায়গায় পৌঁছলে ট্রেন দাঁড় করিয়ে দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে ২/৩ জন করে নামিয়ে হানাদাররা গুলি চালায়। পাক বর্বরদের এ পৈশাচিকতায় ৩৩৮ জন নিহত হয়। আর মাত্র ৬৫ জন পালিয়ে বাঁচতে সক্ষম হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খুলনার সাদীপুর ও শাখরা নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাক সেনাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত এক ভাষণে বলেন, গণপ্রতিনিধিদের দ্বারা গঠিত সরকারের প্রশাসনিক কাজে সরাসরি অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে একটি আত্মমর্যাদাবান জাতি হিসেবে আমরা বাঁচতে চাই। এই উদ্দেশ্যে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমাদের মুক্তিবাহিনী মাতৃভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য জীবনপণ লড়াই করছে। প্রয়োজনীয় অস্ত্র পেলে ইনশাআল্লাহ আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা অচিরেই দেশ থেকে হানাদার বাহিনীকে নিশ্চিহ্ন করতে সক্ষম হবেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে জাতীয় স্বাধীনতা যুদ্ধকে অধিকতর সুসংগঠিত ও জোরদার করার জন্য বৃহৎ শক্তিবর্গের কাছে প্রয়োজনীয় অস্ত্র সাহায্যের আবেদন জানান। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির ব্যাপারে ইসলামাবাদের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্যও বৃহৎ শক্তিবর্গের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের জন্য পৃথিবীর সকল রাষ্ট্রের জনগণ ও সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিয়েছে এবং ইনশাআল্লাহ সাড়ে সাত কোটি মানুষের ইচ্ছা বাস্তবায়িত হবেই। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসাধারণের ইচ্ছার ভিত্তিতে গঠিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকারই দেশের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি। পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে আমাদের জনগণ স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করছে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এই সংগ্রাম রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্যের অবসান ঘটানোর জন্য জনসাধারণের ইচ্ছা থেকে উৎসারিত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দখলদার শত্রুরা এক নিদারুন অবস্থায় পড়েছে। আমাদের মুক্তিবাহিনী প্রতিদিন শত্রুর ওপর আক্রমণ চালিয়ে সরবরাহ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার গুরুতর বিপর্যয় ঘটাচ্ছে। পাকিস্তানি বাহিনী সুপরিকল্পিত হত্যা, লুন্ঠন ও ধর্ষণের নীতি গ্রহণ করে তারা নিজেদের মানুষ ও সভ্যতার শত্রু হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তিনি বাংলাদেশ থেকে দখলদার সামরিক বাহিনী তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ইসলামাবাদ সরকারকে কোনো সাহায্য না দেয়ার জন্য বৃহৎ শক্তিবর্গের কাছে আবেদন জানিয়ে বলেন, ইসলামাবাদকে সাহায্যদান মানেই পাকিস্তানের সামরিক শক্তি বৃদ্ধি এবং সে শক্তি কেবল বাংলাদেশের মানুষকে দমন করার কাজেই ব্যবহৃত হবে।  প্রধানমন্ত্রী গণতান্ত্রিক শক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধরত পাকিস্তান সরকারকে সাহায্য না করার জন্য মুসলিম বিশ্বের প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেন, জনসাধারণের ইচ্ছা ও মানবাধিকারকে বর্বরোচিতভাবে দমণ করে জেনারেল ইয়াহিয়া ইসলামের দোহাই পাড়ছেন। তিনি বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির স্বাধীনতা লাভের আকাঙ্ক্ষা থেকে উৎসারিত। এ যুদ্ধে জয় আমাদের হবেই তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ জুন, ১৯৭১

১৩ জুন, ১৯৭১ মৌলভীবাজারে মুক্তিবাহিনী শেরপুরের কাছে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এ অভিযানে ৫০ জন পাকসেনা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <br />  <b>১২ জুন, ১৯৭১</b><br /> <br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী লন্ডনে সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যারা আমাদের শিশু ও মহিলাদের খুন করছে তাদের আমরা কোনোদিন ক্ষমা করতে অথবা তাদের অপরাধ ভুলে যেতে পারবো বলে কি মনে করেন?  নিশ্চয় না। এই গণহত্যার পর দেশের দুই অংশের একসাথে থাকার আর কোনো প্রশ্নই উঠে না। তিনি বলেন, পূর্ব বাংলার জনগণ এখন একটি মাত্র সমাধান মেনে নিতে পারে, তা হলো, পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক শেখ মুজিবুর রহমান ও অন্যান্য নির্বাচিত প্রতিনিধিকে মুক্তি দান এবং স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ গঠনের জন্য তাঁদের একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করতে দেয়া। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন হিসেবে নিশ্চয়ই টিকবে এবং বাংলাদেশ হবে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র, পাকিস্তানের মতো এক ধর্মীয় রাষ্ট্র নয়। আমার বিশ্বাস, ধর্ম ব্যক্তিগত বিষয় হিসেবে গণ্য হবে এবং সরকার হবে ধর্ম নিরপেক্ষ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাঙ্গাইলে কালিহাতীর বল্লায় কাদেরিয়া বাহিনীর সাথে পাকহানাদার বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়। এতে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। পাকবাহিনী প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করে পিছু হটে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের এনায়েতপুর নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে পাক হানাদার বাহিনী প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নওগাঁয় পাকসেনাবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সফররত বৃটিশ পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দলের সদস্য জেম. কি. ইর্ডার বলেন, এটা পরিষ্কার, উদ্বাস্তুদের প্রত্যাবর্তন সুগম করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানে অবশ্যই স্বাভাবিক অবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা একান্ত আবশ্যক। বৃটিশ জনগণ ও সরকার পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতিতে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্যারিসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং ও ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুমা বাংলাদেশ ও উদ্বাস্তু পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশের সীমান্ত পার হয়ে ভারতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর কন্যা বেগম আখতার সোলায়মান গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার সুযোগ গ্রহণ করে নিজ নিজ এলাকায় প্রত্যাবর্তন করার জন্য সকল এমএনএ এবং এমপিএ-দের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ জুন, ১৯৭১

  ১২ জুন, ১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী লন্ডনে সাংবাদিকদের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, যারা আমাদের ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"> </td></tr> </tbody></table> ১১ জুন, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ বেঙ্গল ‘ডি’ কোম্পানির এক প্লাটুন যোদ্ধা কসবার উত্তরে চার্নল নামক যায়গায় পাকসেনাদের  এ্যামবুশ করে। এ অভিযানে ১২ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। পর্যুদস্ত পাকসেনারা ইয়াকুবপুরের দিকে পলায়ন করে। ইয়াকুবপুরের আরেক দল মুক্তিযোদ্ধা পলায়নরত পাকসৈন্যদের এ্যামবুশ করে। এতে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত ও ১৩ জন আহত হয়। এ দুটি এ্যামবুশের পর অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিবাহিনীর হস্তগত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল কুমিল্লার পাকবাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালায়। এতে পাকসেনাদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">লাকসামে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর একটি গাড়িতে এ্যামবুশ করে। এ অভিযানে ৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">মস্কো সফররত ভারতীয পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং ও সোভিয়েত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক শেষে এক যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়, অবিলম্বে পূর্ব বাংলায় এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে সেখান থেকে ভারতে উদ্বাস্তু যাওয়া নিশ্চিতরূপে বন্ধ হয়। উভয়পক্ষই এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন যে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং উদ্বাস্তুরা যাতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">পূর্ব পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি খাজা খায়রুদ্দিন ও পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান এবং আশ্বাস দেন, শান্তি কমিটি এক পাকিস্তানের আদর্শ রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">আইনজীবী জুলমত আলী বলেন, "আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কিছু সংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। এসব দুস্কৃতকারীদের অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।" তিনি আরো বলেন, "সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ হস্তক্ষেপ না করলে বিশ্বের মানচিত্র থেকে অখন্ড পাকিস্তানের নাম মুছে যেতো। সেনাবাহিনী হিন্দু ও আওয়ামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে।"</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির সহকারী সম্পাদক এম.এ.রব বলেন, "সেনাবাহিনী দেশদ্রোহীদের ধ্বংস করেছে। এখন সাংবাদিকদের উচিত ভারতীয় প্রচারণার বিরুদ্ধে কলম ধরে দেশের মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।"</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li style="text-align: justify;">স্বাধীনতা- বিরোধীদের মধ্যে পাকিস্তানবোধ জাগানোর জন্য পাকিস্তান কল্যাণ ও শান্তি পরিষদ ১৪ আগষ্ট থেকে জাতীয় সংহতি কল্যাণ ও ইসলামী ভ্রাতৃত্ব সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জুন, ১৯৭১

  ১১ জুন, ১৯৭১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ বেঙ্গল ‘ডি’ কোম্পানির এক প্লাটুন যোদ্ধা কসবার উত্তরে চার্নল নামক যায়গায় পাকসেনাদের  এ্যামবু...

Read more »

একাত্তরের দিনগুলি: ১১ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgRRnHuWO-5lJNU_SE0VQBcmvlLPp23RyTRE06j5WWKvzFRPrVH6dhnP9ir_dl4G5DWkVQZ5G7I9Lux92jybGwcdtMZJ-NPXYg25SeyhRfDF8Zw4KLMZbmllloYcWHmlGGVFViLfT2nRmE/s1600/ekd.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgRRnHuWO-5lJNU_SE0VQBcmvlLPp23RyTRE06j5WWKvzFRPrVH6dhnP9ir_dl4G5DWkVQZ5G7I9Lux92jybGwcdtMZJ-NPXYg25SeyhRfDF8Zw4KLMZbmllloYcWHmlGGVFViLfT2nRmE/s640/ekd.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"> </td></tr> </tbody></table> <b>১১ জুন, ১৯৭১, শুক্রবার</b><br /> <br /> ইয়াহিয়া সরকার বেশ ভালো ফ্যাসাদেই পড়ে গেছে মনে হচ্ছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ও জাতিসংঘকে ভালোমতো বুঝিয়ে উঠতে পারছে না যে, পূর্ব পাকিস্তানে যা চলছে, তা বিচ্ছিন্নতাবাদী কতিপয় দুষ্কৃতকারীর নাশকতামূলক কাজের বিরুদ্ধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণ মাত্র। এবং সে ব্যবস্থা গ্রহন শেষে আইন ও শৃঙ্খলা পূনঃপ্রতিষ্ঠা করার পর পাকিস্তানের সশস্ত্র সেনাবাহিনী এখন রিলিফ ও পুনর্বাসনের কাজে প্রাদেশিক সরকারকে সাহায্য করছে। প্রদেশের সর্বত্র এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে। অফিস, আদালত, স্কুল-কলেজ সব পুরোদমে চলছে। কল-কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন চলছে। বাস, কোচ, ট্রেন, স্টিমার সব পুরোদমে চলছে।জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয়টি ইয়াহিয়া মোটেও ভোলেন নি। পূর্ব পাকিস্তানের ঐ 'বিচ্ছিন্নতাবাদী দুস্কৃতকারীদের নাশকতামূলক' আন্দোলনের জন্যই তার ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনাটি একটুখানি পিছিয়ে গেছে মাত্র। কিন্তু তাঁর লক্ষ্য অভ্রান্ত রয়েছে: তিনি নির্বাচন বিফলে যেতে দেবেন না। জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরিকল্পনা তিনি অতিশীঘ্রই ঘোষণা করবেন। তবে হ্যাঁ, জনগণের প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে গিয়ে তিনি দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে দিতে পারেন না। সেই জন্যই একটুখানি দেরি হচ্ছে। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগের প্রাদেশিক ও জাতীয় পরিষদ সদস্যদের খুঁজে বের করার জন্য ইয়াহিয়া বেগম আখতার সোলায়মানকে ঢাকা পাঠিয়েছে তাঁর ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণার পর পরই। বেগম আখতার ঢাকায় এসে ইতোমধ্যেই অনেক আওয়ামী লীগ এম.এল.এ ও এম.পি.এ-র সঙ্গে যোগাযোগ করে ফেলেছে। খবরের কাগজে প্রকাশ: তিনি ১০৯ জনের স্বাক্ষর যোগাড় করে ফেলেছেন! (খুবই নিবেদিতপ্রাণ কবিতকর্মা মহিলা, বোঝা যাচ্ছে।) বার বার এসব কথা বলে, রেডিও-টিভি খবরের কাগজের প্রচার মাধ্যমে এত সব সাফাই গেয়েও পাকিস্তান সরকার বিশ্বব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে ভোলাতে পারছে না। চলতি বছরের বৈদেশিক ঋণের মে-জুন মাসের কিস্তি ৩ কোটি ডলার শোধ দেওয়া পাকিস্তানের পক্ষে এখনই সম্ভব নয় বলে এইড কনসর্টিয়ামের কাছে পাকিস্তান ছয় মাসের সময় চেয়েছিল গত মাসের পয়লা তারিখেই। সে সময় দেওয়া হবে কি না এখনো পর্যন্ত তার কোন সুরাহা হয় নি। গত মাসের শুরুতেই এসব বিষয়ে সরজমিনে তদন্ত (পাকিস্তানি প্রচার মাধ্যমের ভাষায় 'আলোচনা'!) করার জন্য ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের এইড-টু-পাকিস্তান কনসর্টিয়াম-এর চেয়ারম্যান মিঃ পিটার কারপিল একদল সহকর্মী নিয়ে ইসলামাবাদে হাজির।কয়েকদিন সেখানে খোদ প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে তাঁর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এমএম আহমদ পর্যন্ত অনেক বড় বড় কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে কি হলো, আল্লা জানে। কদিন পর এমএম আহমদ দৌড়ালেন ওয়াশিংটনে, ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ম্যাকনামারার কাছে দরবার করতে। তারপরও তো মাস কাবার হয়ে গেল। মরিয়া হয়ে ইয়াহিয়া ২৪ মে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথাও ঘোষণা করলেন। কিন্তু কোথায় কি? </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বিশ্বব্যাঙ্ক মিশন এখন দশদিন ধরে পূর্ব পাকিস্তান সফর করছে। ওদিকে উ থান্ট পূর্ব পাকিস্তানকে সাহায্য দিতে সম্মত হয়েছে, তবে সে সাহায্য জাতিসংঘের বিশেষ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে বিতরণ করতে হবে। পাকিস্তান তাতে রাজি নয়। পাকিস্তান সরকার জোর গলাতে মাথা নেড়ে বলছে- পাকিস্তানের নিজম্ব রিলিফ সংস্থা এসব সাহায্যসামগ্রী বিতরণের কাজে যথেষ্ট পটু। কিন্তু উ থান্ট -ভবী তাতে ভুলছে না! </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> জাতিসংঘের হাইকমিশনার ফর রিফিউজীজ প্রিন্স সদরুদ্দিন আগা খানও এখন ঢাকায়। তাকে বোধহয় 'মুশকিল আসান' হিসেবে ইয়াহিয়া জাতিসংঘ থেকে ডেকে এনেছেন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> 'পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক গোলযোগের সময় যেসব প্রকৃত পাকিস্তানি, বিদ্রোহী ও দুস্কৃতকারীদের ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের মুখে পাকিস্তান ত্যাগে বাধ্য হয়ে সীমান্তের অপর পারে গমন করেছেন' তাঁদের সকলকে সাদরে ফিরিয়ে নিয়ে পূনর্বাসিত করবেন- এই মর্মে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া এক বিবৃতিতে আশ্বাস প্রদান করেছেন। এবং এর প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহেই ভারত থেকে পূর্ব পাকিস্তানে প্রবেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পথের ওপর অভ্যর্থনা শিবির খোলা হয়েছে। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ঢাকায় আসার আগে প্রিন্স সদরুদ্দিন ইসলামাবাদে কয়েকদিন ছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে যথাযোগ্য ব্রিফিং নেবার জন্যই। গতকাল ঢাকায় পৌছেই প্রিন্স ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, 'খাঁটি পাকিস্তানিদের' পূর্ব পাকিস্তানে প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন সম্পর্কে গভর্নর থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে। তিনি আজই চুয়াডাঙ্গা আর বেনাপোলের কাছে দুটো অভ্যর্থনা কেন্দ্র পরিদর্শন করে এসেছেন। (কি নিষ্ঠা! কি উদয়ান্ত পরিশ্রম!) </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ওদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতিসংঘ রাষ্ট্রদূত তিনদিন আগেই উথান্টকে জানিয়েছেন যে, আমেরিকান সরকার আরো অতিরিক্ত পনের মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছেন ভারতে পূর্ব পাকিস্তানি উদ্বাস্তুদের সাহায্যের জন্য।আরো খবর-মিসর ভারতে পাঠাচ্ছে প্রচুর পরিমাণে কলেরা ভ্যাকসিন। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> কল্পনার চোখে দেখলাম ইয়াহিয়া এ খবর পেয়ে মাথার চুল ছিঁড়ছে। আর উদ্বাস্তু সংক্রান্ত হাইকমিশনার প্রিন্স সদরুদ্দিনকে 'কোন কম্মের নয়' বলে গাল দিচ্ছে! </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আজ থেকে ঢাকায় সান্ধ্য আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার।<br /> <br /> - শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই থেকে</div> </div>

একাত্তরের দিনগুলি: ১১ জুন, ১৯৭১

  ১১ জুন, ১৯৭১, শুক্রবার ইয়াহিয়া সরকার বেশ ভালো ফ্যাসাদেই পড়ে গেছে মনে হচ্ছে। বিশ্বব্যাঙ্ক ও জাতিসংঘকে ভালোমতো বুঝিয়ে উঠতে পারছে না...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table>  <b>১০ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকালে ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা হিয়াকু-রামগড় সড়কে রামগড়গামী পাকবাহিনীর একজন লে. কর্নেল ও দুজন মেজরসহ সৈন্য বোঝাই দুটি গাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনারা গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা গুলি শুরু করে। ক্যাপ্টেন মাহফুজ কিছু সময় যুদ্ধ করার পর তাঁর বাহিনী নিয়ে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসেন। অপরদিকে, পাকবাহিনীর একজন লে. কর্নেল ও দুজন মেজরসহ ৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। পাকসেনারা বেশ ক্ষতির শিকার হলে সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে হিয়াকু ফিরে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বেলোনিয়ায় মুক্তিবাহিনীর মূল ঘাঁটিতে পাকবাহিনীর এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য দুদফা আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা পাক হানাদারদের আক্রমণ সাহসিকতার সাথে দুবারই প্রতিহত করে। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩০০-এর অধিক সৈন্য নিহত হয় ও ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিপর্যস্ত ও পর্যুদস্ত অবশিষ্ট পাকসেনারা পিছু হঠে তাদের আনন্দপুর ঘাঁটিতে অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৪নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন রব-এর নেতৃত্বাধীন সাব-সেক্টরের প্রধান ঘাঁটি বড়পুঞ্জীতে স্থাপন করা হয়। এই সাব-সেক্টর লাতু, বিয়ানীবাজার, শারোপার, বড়গ্রাম, জকিগঞ্জ, আটগ্রাম, চিকনাগুল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদল সাতক্ষীরায় পাকবাহিনীর পেয়ারা বাগান ক্যাম্পের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনারা পর্যুদস্ত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন হুদার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরা এলাকাবর্তী সীমান্ত অঞ্চলের পাকবাহিনীর বসন্তপুর ঘাঁটির উপর পরিকল্পনা মোতাবেক আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তালুয়াপাড়া ফেরীঘাটে পাকসেনারা একটি নৌকায় করে নদী পাড় হতে থাকলে মাঝপথে মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে ২০ জন পাকসেনা হতাহত হয় এবং একটি নৌকা ধ্বংস হয়।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ জুন, ১৯৭১

  ১০ জুন, ১৯৭১ সকালে ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা হিয়াকু-রামগড় সড়কে রামগড়গামী পাকবাহিনীর একজন লে. কর্নেল ও দুজন মেজরসহ ...

Read more »

একাত্তরের দিনগুলি: ০৯ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s1600/ekd.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s640/ekd.jpg" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৯ জুন, ১৯৭১, বুধবার<br /> <div style="text-align: justify;"> <br /> আজ শরীর একদম ভালো। গোসল করে সাড়ে এগারোটাতে তৈরি হয়ে নিলাম। নজলু আসবে এখুনি। ওকে নিয়ে মা'র বাসায় যাব। গহনা রাখার বন্দোবস্ত অবশেষে হয়েছে। মা'র বাড়ির একতলায় সিড়িঘরে সিঁড়ির নিচে ছোট একটা বাথরুম আছে। কয়েকমাস আগেই বাথরুমটা করা হয়েছে- এখনো 'প্যান' বসানো হয় নি। এই প্যান বসানোর খালি জায়গটায় গহনার বাকস রেখে সিমেন্ট করে দেওয়া হবে। রাজমিস্ত্রির কাজটা আমরাই করব। বালি, সিমেন্ট মা'র বাড়িতেই রয়েছে। নজলুর বাড়িতে তার বউয়ের ছাড়াও কয়েকজন আত্মীয়ের গহনাও আছে। পরের আমানত নিয়ে তার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। নজলুও সেসব গহনা মা'র বাড়িতে পুতে রাখবে। নজলু এলে রিকশা করে মার বাড়ি গেলাম। আমার গহনা মা'র গহনা, নজলু এবং তার আত্মীয়ের গহনা- সবগুলো একটা বড় বিস্কুটের চ্যাপটা টিনে রাখা হলো। সব গহনার লিস্ট করে তার তিনটে কপি করা হলো। একটা লিস্ট গহনার বাকসে থাকবে- বাকি তিনটে তিনজনের কাছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যার কাজ তারে সাজে অন্য লোকে লাঠি বাজে। রাজমিস্ত্রির কাজ করতে গিয়ে তিনজনে মিলে একেবারে গলদঘর্ম হয়ে গেলাম। বিস্কুটের বাকস প্রথমে তিন-চার পরত প্লাস্টিক দিয়ে মুড়ে দড়ি বাঁধলাম। যাতে বাকসের ভেতর পানি না ঢোকে। বাকসটা গর্তে বসিয়ে তার চারপাশে ছোট ছোট ভাঙা ইটের টুকরো দিয়ে তারপর বালি বিছিয়ে ওপরটা সমান করলাম। তারপর সিমেণ্ট করতে গিয়ে একেবারে হয়রান। যাই হোক, কাজ শেষ করে তিনজন খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তারিফ করলাম। খুব খারাপ হয়নি। মাকে বললাম, "আপনি কাল থেকে রোজ দু-বেলা এটা পানি দিরে ভেজাবেন চার/পাঁচ দিন। তারপর আমরা আবার এসে বাড়ির যত ড্রাম, টিন, মটকা, কলসি হাবিজাবি জিনিস আছে- সব এখানটায় ঠেসে এটাকে স্টোররুম বানিয়ে ফেলবো।"</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> নজলু হেসে বলল, "আাশা করি তার আগেই খানসেনারা এসে হামলা করবে না।"</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> আমি ধমকে উঠলাম, "বালাই ষাট, অকথা কুকথা কেন বলছ?"</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> মা বললেন, "কোন ভয় কোরো না। রোজ আমি দোয়া-দরুদ পড়ে বাড়ি বন্ধ করি। আল্লার রহমতে কোন খানসেনা কি বিহারি এ বাড়িতে আসতে পারবে না।"</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> মা'র প্রত্যয়ে আমরাও অনেকখানি ভরসা পেলাম।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> - শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই থেকে</div> </div>

একাত্তরের দিনগুলি: ০৯ জুন, ১৯৭১

০৯ জুন, ১৯৭১, বুধবার আজ শরীর একদম ভালো। গোসল করে সাড়ে এগারোটাতে তৈরি হয়ে নিলাম। নজলু আসবে এখুনি। ওকে নিয়ে মা'র বাসায় যাব। গহনা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <br />  <b>০৯ জুন, ১৯৭১</b><br /> <br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন সিনেটে সিনেটর (ডেমোক্র্যাট) ফ্রাংক চার্চ ও সিনেটর (রিপাবলিকান) উইলিয়াম স্যাক্সবি পাকিস্তানে মার্কিন অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য বন্ধ রাখার জন্য একটি দ্বিপক্ষীয় সংশোধনী প্রস্তাব আনেন। প্রস্তাবে বলা হয় পূর্ব বাংলার শরণার্থীরা কেবল ভারতের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়নি, পাশাপাশি এ সমস্যার ফলে এ এলাকার শান্তিভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আমরা মনে করি, উদ্বাস্তুদের দুঃখ-দুর্দশা লাঘবের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের উচিত সেখানে আন্তর্জাতিক সাহায্য পাঠানো এবং উদ্বাস্তুদের স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করা।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক অর্গানাইজেশনের মহাসচিব এইচ.এইচ.মার্জুকি জাতিম জাকার্তায় এক বিবৃতিতে ভারতে অভস্থানকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের সাহায্য করার জন্য মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের সরকার প্রধানদের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুক্তরাষ্ট্র সরকার বাংরাদেশের শরণার্থীদের জন্য ভারতকে অতিরিক্ত দেড় কোটি ডলার সাহায্য মঞ্জুর করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘ উদ্বাস্তু সংক্রান্ত হাই কমিশনার প্রিন্স সদরুদ্দিন আগা খান পূর্ব পাকিস্তান সফরে ইসলামাবাদ থেকে ঢাকা আসেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীনতা বিরোধীদের একটি শ্রেণী মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে ‘আওয়ামী এ্যাকশান কমিটি’ গঠন করে। এ্যাকশান কমিটির সভাপতি মীর ওয়াইজ মোহাম্মদ ফারুক দেশের সার্বিক অবস্থার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের দায়ী করেন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ জুন, ১৯৭১

  ০৯ জুন, ১৯৭১ মার্কিন সিনেটে সিনেটর (ডেমোক্র্যাট) ফ্রাংক চার্চ ও সিনেটর (রিপাবলিকান) উইলিয়াম স্যাক্সবি পাকিস্তানে মার্কিন অর্থ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <b>০৮ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফেনীতে তান্দুরা রেল স্টেশন-বেলোনিয়া নদীর তীরে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে পাকসেনারা ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান ত্যাগ করে বেলোনিয়া মূল প্রতিরক্ষা ঘাঁটিতে চলে আসে। অপর দিকে পাকসেনারা আনন্দপুর পর্যন্ত এগিয়ে এসে সেখানেই দৃঢ় অবস্থান নেয়। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং-এর মস্কো সফরকালে ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রামে নৈতিক সমর্থন ও সহযোগিতার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় এক নম্বর বিশেষ সামরিক আদালত আওয়ামী লীগ নেতা তাজউদ্দিন আহমদ, তোফায়েল আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান ও পিপলস পত্রিকার সম্পাদক আবিদুর রহমানের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এনে তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচার করে। বিচারে ৫ জনের প্রত্যেককে ১৪ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান এবং তাদের সম্পত্তির শতকরা ৫০ ভাগ বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বগুড়ার জাতীয় পরিষদ সদস্য হাবিবুর রহমান এক বিবৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ঘটিয়ে বলেন, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (মুক্তিবাহিনী) সাথে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি একজন খাঁটি পাকিস্তানি হিসেবে দেশের সেবা করে যাবেন। সময়মতো পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করায় তিনি জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং পাকিস্তান সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার, আলোক ডগলাস হিউম লন্ডনে বলেন, নতুন অর্থনৈতিক সাহায্য প্রকল্পে সম্মত হবার আগে রাজনৈতিক সমাধানের জন্য বৃটেন পাকিস্তানের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারে। তবে আমরা একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের ওপর রাজনৈতিক সমাধান চাপিয়ে দিতে পারি না।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রয়েল কমওয়েলথ সোসাইটির লন্ডন হেড কোয়ার্টারে প্রদত্ত ভাষণে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, সংবাদপত্র খুললেই আপনারা দেখতে পাবেন পূর্ব বাংলার নাগরিকরা দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে। ভারতে গিয়ে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিচ্ছে কিন্তু এসবের কারণ কী? কোথায় এ হত্যাযজ্ঞের সূচনা? এই মানবিক লাঞ্ছনার জন্য দায়ী কে? তিনি বলেন, আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, পূর্ব বাংলার জনগণ তাদের প্রত্যাশা আর আকাঙ্ক্ষার অপূর্ণতা এবং রাজনৈতিক শাসন ও অর্থনেতিক শোষণে দীর্ঘদিন ধরে জর্জরিত ছিল। ১৯৭০-এর ডিসেম্বরে জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শোষণের কথা মনে রেখেই। তারা শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য ভোট দেয়। কারণ তারা বৈদেশিক বাণিজ্য ও অন্যান্য বিষয়ে ৬ দফার দাবিতে প্রদেশের হাতে ক্ষমতা দিয়েছিল, যাতে অভিন্ন পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতিকে স্বীকার করে দুটি অঞ্চলই হাতে হাত ধরে এক পাকিস্তানের শান্তি ও উন্নয়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশের প্রতিনিধি বলেন, ১৬৯টির মধ্যে ১৬৭টি আসনে আওয়ামী লগের জয়লাভ করার ব্যাপার টাকে ইয়াহিয়ার মন্ত্রণাদাতারা ভালো চোখে দেখেনি। সামরিক একনায়কেরা বুঝতে পেরেছিল জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করার সময় এসে গেছে। এই উপলব্ধিতেই তারা মাত্র ৩০টি আসন পাওয়া জুলফিকার আলী ভুট্টোকে নিজেদের দলে টেনে নিল। ভুট্টো ঘোষণা করলেন ৩ মার্চের জাতীয় পরিষদ অধিবেশন তিনি বয়কট করবেন। চাপের মুখে ইয়াহিয়া পরিষদ অধিবেশন বাতিল করলেন। শেখ মুজিবুর রহমান নিয়মতান্ত্রিকভাবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে হরতালের কর্মসূচি দিলেন। পূর্ব বাংলার সমগ্র জনগোষ্ঠী তাঁর আন্দোলনের সাথে যোগ দিল। কেননা, পূর্ব বাংলার জনগণ শেখ মুজিবুর রহমানকে তাদের আইনসম্মত শাসক হিসেবে গ্রহণ করেছিল। বিচারপতি চেীধুরী বলেন, এই পরিস্থিতিতে ইয়াহিয়া শেখ মুজিবুর রহমানকে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য আমন্ত্রণ জানান। শেখ মুজিব তা গ্রহণ করেন। আর শেখ সহেব যখন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছেন, তখন জাহাজ ভর্তি অস্ত্র ও পাকসেনা পাঠানো হচ্ছে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে। তারপর ঘটলো ইতিহাসের বর্বরতম ঘটনা। যার শুরু বৃহস্পতিবার ২৫ মার্চের রাতে। আমার ছাত্র ও অধ্যাপকরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও এ্যাপার্টমেন্টে ঘুমিয়ে আছে, পুরো ঢাকা শহর নিদ্রামগ্ন-সেনাবহিনী নেমে এল পথে, নির্বিচারে হত্যা করলো ছাত্র ও অধ্যাপকদের। তিনি বলেন, পূর্ব বাংলার জনগণ জেগে উঠেছে। আওয়াজ তুলেছে স্বাধীনতার। নতুন এক দেশের অভ্যুদয় হয়েছে-তা আজকের বাংলাদেশ। কোনো দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিক বা না কৌশলগত কারণে না দিক, বাস্তবতা হলো ইয়াহিয়ার বাহিনী ঢাকাকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে। এই বাহিনীকে প্রত্যাখ্যান করেছে সমগ্র জাতি। কারো পক্ষেই বাংলাদেশকে সেনাবাহিনীর কর্তৃত্বাধীন রাখা সম্ভব নয়। সাড়ে সাত কোটি মানুষকে এভাবে বন্দি রাখা যাবে না । আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, 'পশ্চিম পাকিস্তানের সরকার ও পাকসেনা পূর্ব বাংলা নিয়ন্ত্রণ করছে' তা মোটেই সত্যি নয়। সংখ্যালঘূর নিয়ন্ত্রণে জনগণকে আতঙ্কিত করে কখনো কোনো দেশ চালানো যায় না। পূর্ব বাংলার জনগণ জানে পাকিস্তানের এই শাসন, পাক সেনা এই আস্ফালন আর বেশি দিন টিকবে না। আমরা এখন ভালোভাবেই জানি, উপনিবেশ থেকে আমরা আমাদের স্বাধীনতার মর্যাদাকে আয়ত্ত করতে যাচ্ছি। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, জীবনযাপন,সংস্কৃতি ও ভাষায় আমরা স্বতন্ত্র। আমাদের জনগোষ্ঠী আলাদা। জাতিসংঘ সনদের ভিত্তিতে নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার আমাদের আছে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ জুন, ১৯৭১

০৮ জুন, ১৯৭১ ফেনীতে তান্দুরা রেল স্টেশন-বেলোনিয়া নদীর তীরে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে পাকসেনারা ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে মুক্তিযো...

Read more »

একাত্তরের দিনগুলি: ০৮ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s1600/ekd.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="331" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s640/ekd.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> <span data-reactid=".2.1:5.1:$replies911789275571096_912449695505054/=10.1:2:$comment911789275571096_913052718778085/=10.0.$right.0.$left.0.0.1"><span data-ft="{"tn":"K"}" data-reactid=".2.1:5.1:$replies911789275571096_912449695505054/=10.1:2:$comment911789275571096_913052718778085/=10.0.$right.0.$left.0.0.1.$comment-body"><span class="UFICommentBody _1n4g" data-reactid=".2.1:5.1:$replies911789275571096_912449695505054/=10.1:2:$comment911789275571096_913052718778085/=10.0.$right.0.$left.0.0.1.$comment-body.0"><span data-reactid=".2.1:5.1:$replies911789275571096_912449695505054/=10.1:2:$comment911789275571096_913052718778085/=10.0.$right.0.$left.0.0.1.$comment-body.0.3"><span data-reactid=".2.1:5.1:$replies911789275571096_912449695505054/=10.1:2:$comment911789275571096_913052718778085/=10.0.$right.0.$left.0.0.1.$comment-body.0.3.0"><span data-reactid=".2.1:5.1:$replies911789275571096_912449695505054/=10.1:2:$comment911789275571096_913052718778085/=10.0.$right.0.$left.0.0.1.$comment-body.0.3.0.$end/=1$text8/=010">০৮ জুন, ১৯৭১, মঙ্গলবার</span></span></span></span></span></span><br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আজকের কাগজে দু ইঞ্চি মেটা আট কলামজুড়ে হেডিং ছাপা হয়েছে :<br /> <br /> পাঁচশো ও একশো টাকার নোট অচল ঘোষণা।<br /> <br /> গত রাতেই টিভি'তে অবশ্য এই চাঞ্চল্যকর ঘোষণা দেওয়া হয়ে গেছে। স্তম্ভিত যা হবার, লোকে গতকাল রাতেই হয়েছে। সে সময়টা আমি খুব পরিতৃপ্ত মুখ নিয়ে চুপ করেছিলাম। শরীফও চুপ করে ছিল, তবে ভ্রু কুঁচকানো অবস্থায়। অবশ্য আমার এ পরিতৃপ্তি বেশিক্ষণ বজায় থাকে নি, রুমী একটা কথায় বেলুন ফুটো করে দিল, "আম্মা, আমার প্যান্টের মুড়িতে পাঁচটা একশো টাকার নোট সেলাই করা আছে!" <br /> <br /> বিকেলে নজলু আর কলিম এসেছে। নোট অচল ঘোষণা করার ফলে কি যে হৈচৈ পড়ে গেছে সারা শহরে। সেই সব কথাই শুনলাম ওদের মুখে। কতোজন যে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েছে, তার ইয়ত্তা নেই। বিশেষ করে ছোট ব্যবসায়ীরা- যারা কখনো ব্যাঙ্কের ধার ধারে না, নগদেই সব সময় কারবার করে, তাদের মাথায় বাড়ি। যে বুড়ো লোকটা আজ তার মেয়ের বিয়ের বাজার করার জন্য গতকাল ব্যাঙ্ক থেকে কয়েক হাজার টাকা তুলেছিলো তার কি উপায় হবে? কতোজনে কতো জরুরী পেমেন্ট আজ সকালেই করবার জন্য গতকাল টাকা তুলেছে, তাদের মহাসর্বনাশ। পাওনাদারের কাছে তাদের মুখ নষ্ট। কারো কারো বাড়িতে বাজার করার মতো টাকা পর্যন্ত নেই। এক কথায় নোট অচল করে সামরিক সরকার দেশের সমগ্র জনজীবন স্থাণু করে দিয়েছে।<br /> <br /> - শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই থেকে</div> </div>

একাত্তরের দিনগুলি: ০৮ জুন, ১৯৭১

০৮ জুন, ১৯৭১, মঙ্গলবার আজকের কাগজে দু ইঞ্চি মেটা আট কলামজুড়ে হেডিং ছাপা হয়েছে : পাঁচশো ও একশো টাকার নোট অচল ঘোষণা। গত রাতেই...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৭ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফেনীতে মুক্তিবাহিনীর ভান্দুরা রেল স্টেশন-সেলোনিয়া নদী তীরে অবস্থানের ওপর পাকসেনারা অতর্কিতে হামলা চালায়। সারাদিনভর এবং এমনকি রাতেও হানাদাররা মর্টার গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে। পাকসেনাদের এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থানে অটুট থাকে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাতক্ষীরার দেবহাটা থানা ক্যাম্প আক্রমণের উদ্দেশ্যে শ্রীপুরের খেলার মাঠের পার্শ্বে একটি বাড়িতে আশ্রয়রত ৪৫ জনের একদল মুক্তিযোদ্ধার ওপর ভোরে পাকবর্বররা অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দোহা কাজল, নাজমুল আবেদীন, নারায়ন চন্দ্র ধর ও আবুল কালাম শহীদ হন। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা আক্রমণের মুখে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ইয়াহিয়া খান অর্থ সংক্রান্ত সামরিক বিধি জারি করেন। তাতে বলা হয়, যেসব পাকিস্তানি নোটে ‘বাংলাদেশ’ অথবা ‘জয়বাংলা’ লেখা অথবা মুদ্রিত থাকবে সেসব নোট অচল বলে ধরা হবে। ৫০০ ও ১০০ টাকার পাকিস্তনি নোট ৭ জুন মধ্যরাত থেকে অচল বলে গণ্য হবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক বাহিনীকে আরো আক্রমণাত্মক করার জন্য ১৫০ নং সামরিক আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশ বলে সামরিক সেক্টরগুলোকে পুনর্গঠিত করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইসলামাবাদে জনৈক মুখপাত্র ঘোষণা করেন, পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় সংস্থাগুলোর জাতিসংঘের সাহায্য সামগ্রী বন্টন করার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পাকিস্তান পরিত্যাগ করেছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুসলিম লীগ নেতা খান এ. সবুর ঢাকায় এক বিবৃতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগে পাকিস্তানি পতাকা ও সঙ্গীত পরিবেশনের দাবি করেন এবং ইসলামী ও পাকিস্তানি আদর্শে মিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এক ব্যক্তির খামখেয়ালী ও ঔদ্ধত্যের ফলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছিল। পাকিস্তান একটি আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র এবং যে কোনো মূল্যে আমরা দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে একে রক্ষা করবো।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ডা. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বগুড়া সেন্টাল হাই স্কুল মাঠে শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল মওলানা নজিবুল্লা, বগুড়া জেলা জামায়াত নেতা মওলানা আবদুর রহমান। বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের দুষ্কৃতকারী হিসেবে চিহ্নিত করে এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খান ফজলে রব চৌধুরী, এম.এন.এ নূরুল ইসলাম সিকদার প্রমুখের নেতৃত্বে ঝালকাঠির স্বাধীনতা বিরোধীরা সংগঠিত হয়। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, "যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে তাদেরকেই ধরতে হবে।"</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ জুন, ১৯৭১

০৭ জুন, ১৯৭১ ফেনীতে মুক্তিবাহিনীর ভান্দুরা রেল স্টেশন-সেলোনিয়া নদী তীরে অবস্থানের ওপর পাকসেনারা অতর্কিতে হামলা চালায়। সারাদিনভর এব...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ জুন, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৬ জুন, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আটক সকল গণপ্রতিনিধির অবিলম্বে মুক্তিদান, বাংলাদেশের মাটি থেকে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাংলাদেশ থেকে অপহৃত ধনসম্পদ এবং বিগত আড়াই মাসে হানাদার বাহিনী বাংলাদেশের যে ক্ষতি করেছে, একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে তা নির্ণয় করে লুন্ঠিত সম্পদ ফেরত ও পূর্ণ ক্ষতিপূরণের মাধ্যমেই কেবল রাজনৈতিক সমাধান আসতে পারে। অন্যথায় রাজনৈতিক সমাধানের কোনো প্রশ্নই উঠতে পারে না। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ গোঁজামিলের সমাধান গ্রহণ করবে না। অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে সকল বাঙালি-হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান এক সাথে লড়েছেন, বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে বাংলার মাটি সিক্ত করে আমরা এটাই প্রমান করেছি, আমরা অসাম্প্রদায়িক, এদেশের প্রতিটি প্রাণ ঐক্যবদ্ধ, অভিন্ন। আমরা এক সাথে লড়েছি, জয়ী আমরা হবোই। সৈয়দ নজরুল ইসলাম তাঁর ভাষণে প্রতিবেশী ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী বাঙালিদের সাহায্য করায় ভারত সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইয়াহিয়ার হানাদার বর্বর সৈনিকদের নির্মম অত্যাচারে অসংখ্য মানুষ দেশত্যাগ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। শত্রুকে পরাজিত করার পর মুক্ত স্বদেশে আমরা আবার তাদের আপন ভিটামাটিতে প্রতিষ্ঠিত করবোই। মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের প্রশংসা করে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বলেন, বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনীর বীর সৈনিকরা যে অসীম অটল মনোবলের পরিচয় দিয়েছেন সেজন্য আজ বাঙালি জাতি গর্বিত। মুক্তিযোদ্ধারা দেশমাতৃকার বীর সন্তান। মুক্তিযুদ্ধে যে সব বীর যোদ্ধা শহীদ ও পঙ্গু হয়েছেন তাঁদের পরিবারবর্গের পুরো দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকার গ্রহণ করছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী লাকসাম-নোয়াখালী মহাসড়কের খিলাতে পাকবাহিনীর দুটি জিপ ও একটি ট্রাক এ্যামবুশ করে। এতে পাকবাহিনীর ৪ জন অফিসার ও ৭ জন সৈন্য নিহত এবং তিনটি গাড়ি ধ্বংস হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনীর চাঁদগাজী ঘাঁটির ওপর পাকবাহিনীর দুটি কোম্পানি আক্রমণ চালায়। দুঘন্টাব্যাপী ব্যাপক সংঘর্ষে ৭৫ জন পাকসেনা নিহত এবং অনেক আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা আক্রমণের মুখে পাকিস্তানিরা চরম ক্ষতি স্বীকার করে ছাগলনাইয়ার দিকে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য আন্তর্জাতিক সাহায্যর আবেদন জানাতে বিদেশ সফরের শুরুতে মস্কো গমন করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>হল্যান্ড বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ১৫ লাখ গিল্ডারের খাদ্য ও ঔষধ সাহায্য প্রেরণ করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতে ইসলামীর প্রধান মওলানা সৈয়দ আবুল আলা মওদুদী মুসলিম বিশ্বের নেতৃবৃন্দের কাছে পাঠানো স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, বাঙালি বিচ্ছিন্নতাবাদী (বাংলাদেশ সরকার) মুসলিম বিশ্বের পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করছেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নিরীহ বাঙালি মুসলমানদের হত্যা করছে বলে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এটা সম্পূর্ণ পরিস্কার হয়ে গেছে, পূর্ব পাকিস্তানের মুসলিম জনসাধারণ কখনো বিচ্ছিন্ন হতে চায়নি। এ অঞ্চলের মুসলমানরা ১৯৭১ সালের ১ মার্চ যে বিদ্রোহ শুরু হয় তাতে শরীক হয়নি। বাস্তব কথা হলো, বিচ্ছিন্নতাবাদীদের এই আন্দোলন চরমপন্থীদের একটি অংশবিশেষই আরম্ভ করে-যারা ইসলামী ভাবাদর্শ সম্পর্কে কোনো শিক্ষা পায়নি এবং নাস্তিক।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ জুন, ১৯৭১

০৬ জুন, ১৯৭১ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে প্...

Read more »