১৯২৮ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে নজরুল মুসলিম সাহিত্য সমাজের ২য় বার্ষিক সম্মেলনের উদ্দেশ্যে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় সৈয়দ আবুল হোসেনের বাসভবনে অবস্থানকালে তিনি এই গানটি রচনা করেন। গানটি "নতুনের গান" শিরোনামে প্রথম প্রকাশিত হয় শিখা পত্রিকায়। পরে এটি সন্ধ্যা কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়।
পাকিস্তান আমলে (১৯৪৭-১৯৭১) এই কবিতাটি স্কুলে পড়ানো হতো, তথন স্কুলপাঠ্য সরকারী বইতে "মহাশ্মশান"-এর পরিবর্তে "গোরস্থান" শব্দটি প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ।
------------------------------------------------------------------------------------------
সুরকার: কাজী নজরুল ইসলাম
গীতিকার: কাজী নজরুল ইসলাম
ডাউনলোড করুন: এখান থেকে
------------------------------------------------------------------------------------------
চল চল চল!
ঊর্ধ্ব গগনে বাজে মাদল
নিম্নে উতলা ধরণি তল,
অরুণ প্রাতের তরুণ দল
চল রে চল রে চল
চল চল চল।।
ঊষার দুয়ারে হানি' আঘাত
আমরা আনিব রাঙা প্রভাত,
আমরা টুটাব তিমির রাত,
বাধার বিন্ধ্যাচল।
নব নবীনের গাহিয়া গান
সজীব করিব মহাশ্মশান,
আমরা দানিব নতুন প্রাণ
বাহুতে নবীন বল!
চল রে নও-জোয়ান,
শোন রে পাতিয়া কান
মৃত্যু-তরণ-দুয়ারে দুয়ারে
জীবনের আহবান।
ভাঙ রে ভাঙ আগল,
চল রে চল রে চল
চল চল চল।।
কোরাসঃ
ঊর্ধ্ব আদেশ হানিছে বাজ,
শহীদী-ঈদের সেনারা সাজ,
দিকে দিকে চলে কুচ-কাওয়াজ—
খোল রে নিদ-মহল!
কবে সে খেয়ালী বাদশাহী,
সেই সে অতীতে আজো চাহি'
যাস মুসাফির গান গাহি'
ফেলিস অশ্রুজল।
যাক রে তখত-তাউস
জাগ রে জাগ বেহুঁশ।
ডুবিল রে দেখ কত পারস্য
কত রোম গ্রীক রুশ,
জাগিল তা'রা সকল,
জেগে ওঠ হীনবল!
আমরা গড়িব নতুন করিয়া
ধুলায় তাজমহল!
চল্ চল্ চল্।।
Post a Comment Blogger Facebook