মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> জানুয়ারি ৩১, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাঞ্জাব কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি সর্দার শওকত হায়াৎ খান ঢাকায় বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার বদৌলতে আওয়ামী লীগ দেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের যথেষ্ট ক্ষমতা রাখে। সবার মতৈক্য হওয়া অবশ্যই ভালো কিন্তু তা বাধ্যতামূলক নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। সর্দার শওকত হায়াৎ খান সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সফরে লাহোর থেকে ঢাকা আগমন করেন। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি জানান, জাতীয় এবং প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বিরাট সাফল্য অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অভিন্দন জানাতে তিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে সাক্ষাৎ করবেন এবং বঙ্গবন্ধু যদি তাঁর সাথে রাজনীতি আলোচনা করতে চান তবে বঙ্গবন্ধুর পছন্দমতো বিষয়গুলি নিয়েই তিনি আলোচনা করবেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের ৬ দফাকে অতীতে যদিও “দেশকে খন্ড-বিখন্ড করার ফাঁদ” বলে মনে করা হতো এখন তা সম্পূণরূপে বিবেচনা করার দরকার, কারণ পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ একে সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, ৬-দফা বাংলাসহ পাকিস্তানের যে কোন প্রদেশের চেয়ে পাঞ্জাবের বেশী অনুকূলে যাবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সেনাবাহিনীতে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব জনসংখ্যার ভিত্তিতেই হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয পরিষদ অধিবেশন আহ্বানের পক্ষে সুবিধাজনক হবে না। তবে শাসনতন্ত্র গৃহীত হবে বলেই দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করেন। ২৩ মার্চের আগেই যদি এটা গৃহীত হয় আমিই সবচাইতে খুশী হবো বলে তিনি মন্তব্য করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার উন্মেষ সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ কর্তৃক পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত এক সভায় গৃহীত প্রস্তাবে কাগজের মুল্য বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ ও কাগজের উপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার এবং হ্যালিং এজেন্ট বাতিলের জোর দাবী জানানো হয় । অপর প্রস্তাবে ঘূর্ণি বিধ্বস্ত চরাঞ্চলে পর্যাপ্ত রিলিফ প্রদান এবং প্রেস এন্ড পাবলিকেশন অর্ডিনেন্স ও জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থার (বি এন আর) বিলোপ দাবী করা হয়। উন্মেষের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বক্তৃতা করেন পল্লী কবি জসীম উদ্দিন, প্রখ্যাত সাহিত্যিক- সাংবাদিক রণেশ দাশগুপ্ত, সন্তোষ গুপ্ত, আজিজ মিসির প্রমূখ কবি সাহিত্যিক শিল্পী ও চিন্তাবিদগণ। রণেশ দাশ গুপ্ত বলেন, কাগজের মুল্য দরুণ একদিকে শিক্ষাক্ষেত্রে দেখা দিয়েছে চরম সঙ্কট, অপরদিকে কবি সাহিত্যিক শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীদের ফেলেছে উৎকন্ঠার মধ্যে। তিনি বি এন আর- এর বিলোপ দাবী করে এর ভূমিকা প্রসঙ্গে বলেন বি এন আর কে রাখার অর্থই হচ্ছে আইয়ুব মোনায়েমী আমলের অভিশাপ ও স্মৃতি চিহ্নকে আকড়িয়ে রাখা। তিনি একই সঙ্গে প্রেস ট্রাস্টেরও বিলোপ দাবী করেন। উক্ত সভায় সন্তোষ গুপ্ত বক্তৃতাকালে প্রেস এন্ড পাবলিকেশন অর্ডিন্যান্স অবিলম্বে বাতিলের দাবী জানান। পল্লী কবি জসীম উদ্দিন সভায় বক্তৃতাকালে ঘূর্ণি উপদ্রুত এলাকাসমূহে রিলিফ তৎপরতা বৃদ্ধি ও পর্যাতপ্ত রিলিপ পেরণের দাবী জানান। তিনি অভিযোগ করেন, পূর্ব বাংলার উপর দিয়ে এত কিছু ঘটে গেল, সকল বিদেশী রাষ্ট্র আমাদের দুঃখে পাশে এসে দাঁড়ালো, অথচ আমাদের দুর্গত মানুষের ‘আর্ত আহাজারী’ পশ্চিম পাকিস্তানে পৌঁছলো না। সভাশেষে গণসাহিত্য সঙ্গীতের আসর ও জলোচ্ছাসের জারির আসর এবং সবশেষে ১২ নভেম্বর মহাপ্রলয়ের উপর মহসীন শস্ত্রপাণী রচিত ‘শবের মিছিলে জীবনের জয়গান’ শীর্ষক একটি একাঙ্কিকা মঞ্চস্থ করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এক সংক্ষিপ্ত সফরে মুলতান থেকে করাচী পৌঁছেছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক আবুল মনসুর আহমদ এক বিবৃতিতে বলেন, আমাদের জাতীয় জীবনের সব ক্ষেত্রে সমতার ভিত্তিতে ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে নয়া রাজনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হলেই কেবলমাত্র পাকিস্তান একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক কাঠামো হিসেবে টিকে থাকতে পারে। একে মূলভিত্তি করে শেখ মুজিবুর রহমান ও ভূট্টোর শাসনতান্ত্রিক কাঠামো রচনা করা উচিত। সরকারের সদর দফতরের বেলাও এর ব্যাতিক্রম করা চলবে না । তিনি বলেন, রাষ্ট্রকাটামোই যেহেতু সনাতনী নয় সেহেতু সরকার সনাতনী হওয়ার কোন অবকাশ নেই। দ্বৈত কেন্দ্রই কেবলমাত্র একটি ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্র কাঠামোর সুনিশ্চয়তা বিধান করতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এর ফলে দুই অংশের জনগণ তাদের নিজ ভূমিতে বসে সমভাবে তাদের সার্বভৌমত্ব প্রয়োগ করতে পারে। তিনি বলেন, “বিশেষ করে ভুট্টোর প্রতি আমার আবেদন, দেশের শোষণকারী অংশের প্রতিনিধিত্ব তাঁকে করতে হচ্ছে। সেই অংশের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যা এ যাবৎ উপলদ্ধি করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাঁকে তা অবশ্যই উপলদ্ধি করতে হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চারদিনব্যাপী সফর শেষে ভুট্টো লাহোরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকা ত্যাগের প্রাক্কালে তেজগাঁও বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি বলেন. জাতীয রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে একটি স্থায়ী শাসনকার্যে প্রদ্ধতি প্রণয়ণের সাধারণ লক্ষ্য অর্জনে শাসনতান্ত্রিক প্রশ্নে সমঝোতা ও মতৈক্য খুঁজে বের করতে আমরা চেষ্টা চালাবো। আমরা যদি সহযোগিতা ও সমঝোতার দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখি, তাহলে আমাদের জাতীয় রাষ্ট্র কাটামোর মধ্যে একটি স্থায়ী শাসনকার্যয পদ্ধতি বের করার ব্যাপারে নিরাশ হওয়া উচিত নয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও দুই নেতার মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না প্রশ্ন করা হলে ভুট্টো বলেন, “প্রকৃতপক্ষে আমি কখনই কোন ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের প্রস্তাব করিনি। আমি শুধু বলেছি যদি আমাদের তিনজনের মতৈক্য হয় তাহলে শাসনতন্ত্র প্রণয়ণের জন্য ১২০ দিনও লাগবে বলে আমি মনে করি না ।” </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিমানবন্দরে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এ এইচ এম কামরুজ্জামান এবং তাজউদ্দিন আহমদসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ভুট্টোকে বিদায় অভিনন্দন জানান। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭১

জানুয়ারি ৩১, ১৯৭১ পাঞ্জাব কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি সর্দার শওকত হায়াৎ খান ঢাকায় বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হওয়ার বদৌলতে আওয়ামী লীগ দেশ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> জানুয়ারি ৩০, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান পিপলস পাটির্র চেয়ারম্যান জেড. এ. ভুট্টো সন্ধ্যা ছয়টায় হোাটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন, তিনি এবং তাঁর পার্টি জাতীয় ঐক্যের আওতার মধ্যে একটি কার্যক্রম ও গ্রহণযোগ্য শাসনতন্ত্র প্রণয়নের জন্য একটি স্থায়ী ফর্মূলা বের করতে যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাবেন। তিনি বলেন, তাঁদের এখানে আসার উদ্দেশ্য হচ্ছে মতৈক্যের ক্ষেত্রসমূহ খুঁজে বের করা এবং সাধারণ বিষয়গুলির অনুসন্ধান করা এবং ভ্রাতৃত্ব, সমঝোতা ও সহযোগিতার মনোভাব পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করা। বঙ্গবন্ধু সাথে অনুষ্ঠিত তাঁর বৈঠকের কথা উল্লেখ করে বলেন: বর্তমান পরিস্থিতিতে আলোচনার ক্ষেত্রে আমরা এমন এক জায়গায় এসে ঠেকেছি যা অত্যন্ত কঠিন। আলাপ-আলোচনা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভুট্টো সংবাদপত্রসমূহকে নিরপেক্ষতা অবলম্বনের অনুরোধ জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভুট্টো এম. এল নাবিক লঞ্চে চড়ে পাঁচ ঘন্টা নৌ-ভ্রমণ করেন। দুই নেতার উক্ত নৌ-বিহারে শরীক ছিলেন এমন একটি নিভর্র যোগ্য সূত্র থেকে জানা যায় যে, বঙ্গবন্ধু ও ভুট্টোর ৭০ জনের বিরাট দলসহ নৌযানটি কিছুদূর যাওয়ার পর দুই নেতা একটি আলাদা ছোট্ট লঞ্চে আরোহণ করেন। তাঁরা সেখানে দুইঘন্টাকাল আলোচনা করেন। তাঁদের মধ্যে এই দীর্ঘ আলোচনা সম্পর্কে দলের অন্যরা যদিও অজ্ঞ তথাপি তাঁদের মতে উভয় নেতা গত তিনদিনের বৈঠকের জের টেনে আলোচনা করেন। নৌ-বিহারে আওয়ামী লীগ দলের সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খন্দকার মোস্তাক,এ এইচ এম কামরুজ্জামান, মিজানুর রহমান, আবদুল মোমিন, নূরজাহান মোর্শেদ, বদরুন্নেসা আহমদ, সাজেদা চৌধুরী, গাজী গোলাম মোস্তফা, মোস্তফা সারওয়ার ও আওয়ামী লীগ দলীয় এম. এন. এ এবং এমপিএ-গণ ছিলেন বলে এপিপিপি’র খবরে প্রকাশ। পিপলস পার্টির মধ্যে ছিলেন জে, এ,রহিম, পীরজাদা আবদুল হাফিজ, হানিফ রামে, শেখ রশিদ, রফিক রাজা এবং মেজর জেনারেল থ্যাকার ও অন্যান্য নেতা। পিপলস পার্টি সূত্রে প্রকাশ ড. মোবাশ্বের হাসান এই দলে ছিলেন না, কারণ তিনি গতকাল লাহোরের পথে ঢাকা ত্যাগ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জননেতা মণি সিং রাজশাহী জেল থেকে এক তারবার্তায় হাবিবুর রহমানের মুক্তিতে সন্তোস প্রকাশ করে তাঁকে অভিন্দন জানান। এখানে উল্লেখ্য যে, দেশে দ্বিতীয় দফা সামরিক আইর জারীর পর জননেতা মণি সিং ও হাবিবুর রহমানকে নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দুইজন তরুণ কাশ্মীর ভারতীয় এয়ার লাইন্সের একটি ফকার ফ্রেন্ডশীপ বিমান অপহরণ করে জোরপূর্বক পাইলটকে বিমানটি লাহোরে অবতরণ করতে বাধ্য করে। অপহরণকারীরা নিজেদের অধিকৃত কাশ্মীরের মুক্তিযোদ্ধাদের সংস্থা জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট- এর সদস্য বলে দাবী করে। বিমানে ২৮ জন যাত্রী এবং ৪ জন বৈমানিক ছিলেন। বিমানটি শ্রীনগর থেকে জম্মু যাচ্ছিলো। অপহরণকারীদ্বয় যাত্রীদের মধ্যে ছিলো। অপহৃত বিমানের বৈমানিকগণ হলেন, ক্যাপ্টেন জি. এস. ওবেরিও, ক্যাপ্টেন এম. কে. কাচরু, ফ্লাইটটি পারসার এস. ডি. কৌশিক এবং বিমানবালা কিরণ কোহলী। ট্রানজিট ক্যাম্পে সহকারী পাইলট সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে বলেন, জম্মু থেকে মাইল দশেক দূরে যাওয়ার পর অপহরণকারীদের একজন পিস্তল ও হাতবোমা নিয়ে পাইলটকে বিমানটি পাকিস্তানের দিকে ঘুরানোর নির্দেশ দেয়। যাত্রী ও বিমানের নিরাপত্তার খাতিরে পাইলট অপহরণকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ জানুয়ারি, ১৯৭১

জানুয়ারি ৩০, ১৯৭১ পাকিস্তান পিপলস পাটির্র চেয়ারম্যান জেড. এ. ভুট্টো সন্ধ্যা ছয়টায় হোাটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ আহুত এক সাংবাদিক সম্মে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২৯ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভুট্টোর প্রাথমিক আলোচনা ঢাকায় শেষ হয়েছে। তাঁরা শাসনতন্ত্র প্রণয়নসহ বিভিন্ন জাতীয় সমস্যা সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় কেউ মতৈক্যে পৌঁছতে পারেন নি। উভয়েই আরও আলোচনার পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। ভুট্টো আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করবেন। তিনি ঢাকা ত্যাগের আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতা করবেন এবং সেখানে ব্ঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর আলোচনার ধরন সম্পর্কে আভাস দিবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বানের পরামর্শ দিয়েছেন বলে এ পি পি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ। বঙ্গবন্ধু ভুট্টোর সাথে আজ তৃতীয় ও শেষ দফা বৈঠকের পর সাংবাদিকদের জানান, তিনি ভু্ট্টোকেও একথা বলেছেন যে,শাসনতন্ত্র প্রণয়ণের জন্য এবং একটি বেসামরিক সরকার গঠন তরান্বিত করার জন্য অবিলম্বে জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহূত হওয়া দরকার। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঘূর্ণি উপদ্রুত এলাকা সফরকালে ভুট্টো সমবেত জনতার উদ্দেশে ভাষণদানকালে বলেন, কিছু সংখ্যক লোক শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। পিপলস পার্টির নেতা ডা. মোবাশির আলী ভুট্টোর সাথে উপদ্রুত এলাকা সফর শেষে ঢাকায় প্রত্যাবর্তনের পর সাংবাদিকদের কাছে এই তথ্য প্রকাশ করেন। ভুট্টো তাঁর দলের সাতজন সদস্য প্রাদেশিক রিলিফ কমিশনার আসাদুজ্জামান ও জনৈক সামরিক অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে একটি সামরিক বিমানে করে ঘূর্ণি উপদ্রুত এলাকা সফর করেন। পটুয়াখালীতে একটি আইনজীবী প্রতিনিধিদল ভুট্টোর সাথে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিন্ধু জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন ও বেলুচ জাতীয় ছাত্র ফেডারেশন যৌথভাবে আইনগত কাটামো আদেশ(এল এফ ও) বাতিল এবং পাকিস্তানের সকল ফেডারেটিং ইউনিটের পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্বশাসনের দাবী জানান। সিন্ধু জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মেহের হোসেন শাহ এবং বেলুচিস্তান জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি নাসির বালুচ করাচীতে ডাউ মেডিক্যাল কলেজ ক্যান্টিনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই মর্মে যৌথভাবে অভিমত প্রকাশ করেন যে, পাকিস্তান একটি বহু ভাষাভাষী দেশ। তারা সিন্ধী, পাঞ্জাবী, পাখতুন ও বেলুচী ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর‌্যাদা দানের দাবী জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রামে লালদীঘি ময়দানে বজলুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিরাট জনসভায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বক্তৃতাদানকালে বলেন, “বাংলার জনগণ অবশ্যই স্বাধীন ও সার্বভৌম পূর্ব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করবে। এ জন্য বাঙালিরা যে কোন মূল্যদান এমনকি চরম ত্যাগ করতে হলেও পশ্চাদপদ হবে না।” তিনি বলেন, একমাত্র সমাজতন্ত্রই বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন করতে পারে। সমাজতন্ত্র অনুসরণ ছাড়া ফেরেস্তাও যদি ক্ষমতা গ্রহণ করেন তথাপি বাংলার কৃষক ও শ্রমিকের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব হবে না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কৃষক শ্রমিক রাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বিপ্লব অপরিহার‌্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, এছাড়া সাধারণ মানুষের সর্ববিধ মঙ্গল সাধিত হতে পারে না । এই পর‌্যায়ে জনসভায় দলীয় কর্মীগণ শ্লোগান দেন—‘মুক্তির একই পথ বিপ্লব বিপ্লব’। তিনি জয়বাংলা শ্লোগানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা না করার জন্য নব-নির্বাচিত আইন পরিষদ সদস্যদের হুঁশিয়ার করে দেন। জনসভায় তিনি লাহোর প্রস্তাব ব্যাখ্যা করেন এবং গত ২৩ বছর যাবৎ পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি অবিচারের কাহিনীও বর্ণনা করেন। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ জানুয়ারি, ১৯৭১

২৯ জানুয়ারি, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভুট্টোর প্রাথমিক আলোচনা ঢাকায় শেষ হয়েছে। তাঁরা শাসনতন্ত্র প্রণয়নসহ বিভিন্ন জাতীয় স...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৮ জানুয়ারি ১৯৭১ <br /> <ul> <li>বঙ্গবন্ধু ও ভুট্টোর মধ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ ভুট্টোর কক্ষে দ্বিতীয় দফা রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শুরু হয় বিকাল পৌঁনে পাঁচটায় এবং শেষ হয় ৫টা ৫৫মিনিটে। দীর্ঘ ৭০ মিনিটকাল আলোচনার পর তা আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবী রাখা হয়। জাতীয় পরিষদ অধিবেশনের তারিখ নির্ধারণ সম্পর্কে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে ভুট্টো বলেন, “আমাদের আলোচনার ক্ষেত্র বিশাল--তার কিছু আমরা আলোচনা করেছি আর বহু বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো।” </li> </ul> <ul> <li>অপর এক প্রশ্নের উত্তরে বঙ্গবন্ধু বলেন, “জাতীয় সকল সমস্যা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।” তাঁদের আলোচনা সন্তোষজনক বলে জানা গেছে। তবে তাঁরা কি আলোচনা করেছেন তা প্রকাশ পায়নি। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তান জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম(হাজারভী)-এর সভাপতি পীর মোহসেন উদ্দিন আহমদ (দুদুমিয়া) এক বিবৃতিতে মুজিব-ভুট্টো বৈঠকের সাফল্য কামনা করেছেন বলে এ পি পি’র খবরে প্রকাশ। </li> </ul> <ul> <li>তুরস্কের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এহসান সাবরী কাগলায়াঙ্গীল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul> <li>মওলানা ভাসানী ফেনীতে এক জনসভায় বক্তৃতাকালে বলেন, কেবলমাত্র লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমেই পশ্চিমাঞ্চলীয়দের সকল প্রকার শোষণ বন্ধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, পাক-ভারত উপমহাদেশের ১০ কোটি মুসলমানের প্রতিনিধি উক্ত প্রস্তাবে সম্মতি দান করেন। তিনি লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে পাকিস্তান গঠনের দাবী জানান এবং বাঙালীরা যাতে সব রকমের শোষন থেকে মুক্তি পেতে পারে তার জন্য তিনি লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছেন। ৭ কোটি বাঙালির আশা আকাঙ্খা পূরণ করার জন্য তিনি নবনির্বাচিত এম এন এ’দের প্রতি আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি আশীর্বাদ জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, খোদা যেন শেখ মুজিবুর রহমানকে দেশের অশুভ শক্তির মোকাবেলা করার মতো শক্তি দান করেন। আওয়ামী লীগের সাথে সংঘর্ষে না আসার জন্য তিনি দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দেন। নব-নির্বাচিত এম এন এ’দের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মওলানা ভাসানী বলেন, তাঁরা বাংলার জনগণের দাবী পূরণ না করলে বাঙালিরা তাঁদের ক্ষমা প্রদর্শন করবে না। </li> </ul> <ul> <li>ইরানের সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরদেশীর জাহেদী সকালে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ভুট্টোর সাথে এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে তাঁর ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে সাক্ষাৎ করেন। জাহেদী ভুট্টোর সাথে ৭০ মিনিট এবং বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রায় আধা-ঘন্টা অতিবাহিত করেন বলে এ পি পি, ও এনা পরিবেশিত খবরে প্রকাশ। </li> </ul> <ul> <li>সিন্ধুর গভর্নর লে. জেনারেল রাখমান গুল একদিনের সফরে এসে শুক্কুর রেল স্টেশনে সাংবাদিকদের কাছে মন্তব্য করে বলেন, ভাষা এমন একটি সমস্যা নয়, যা নিয়ে এস্তরে একটি আন্দোলন যুক্তিযুক্ত হতে পারে।এ ধরনের আন্দোলনের কোন কারণ আমি খুঁজে পাই না, যদি না এর পিছনে কোন মতলব থাকে। গভর্নর বলেন, ভাষা সমস্যাটি গণতান্ত্রিকভাবে নিষ্পতি করা যেতে পারে। আমরা জনপ্রতিনিধি নির্বাচন করেছি, এই প্রতিনিধিরা আইন পরিষদে বসে গণতান্ত্রিকভাবে এই সমস্যাটির নিষ্পতি করতে পারেন বলে তিনি মন্তব্য করেন। ভাষা সমস্যার মতো সমস্যাগুলো সাধারণত পরিষদেই নিষ্পতি হয়ে থাকে বলে তিনি জানান। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকার হাইকোর্টের ৩২ জন আইনজীবী এক যুক্ত বিবৃতিতে ঘূর্ণিদুর্গদের সাহায্যে এ যাবৎ প্রাপ্ত অর্থ ও সাহায্য দ্রবাদি যেখানে যা ব্যয় করা হয়েছে তা-সহ সমুদয় প্রাপ্ত রিলিফের পূর্ণ হিসাব প্রকাশের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবী জানান। তাঁরা একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত প্রদত্ত বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণ যেসব এলাকায় যে যে শর্তে ব্যয় করা হয়েছে তা-সহ প্রাপ্ত সকল বৈদেশিক সাহায্য ও ঋণের পূর্ণ হিসাব প্রকাশের জন্যও পাকিস্তান সরকারের কাছে দাবী জানান। </li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ জানুয়ারি, ১৯৭১

২৮ জানুয়ারি ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু ও ভুট্টোর মধ্যে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল-এ ভুট্টোর কক্ষে দ্বিতীয় দফা রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শু...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৭ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে পিপলস পার্টি প্রধান ভুট্টো করাচী থেকে ঢাকা আগমন করেন। ঢাকা বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা কামরুজ্জামান, তাজউদ্দিন আহমদ ও জহীরুদ্দিন। পিপলস পার্টির কর্মী, সমর্থকগণ বিভিন্ন শ্লোগান সহকারে বিমানবন্দরে ভুট্টোকে অভ্যর্থনা জানায়। ঢাকা পৌঁছার পর ভুট্টো বাংলা ভাষা আন্দোলনের স্মরণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পরিদর্শন করেন। </li> </ul> <ul> <li>ভুট্টো তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছার পর ভি আই পি লাউঞ্জে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় মিলিত হন। আলোচনাকালে আওয়ামী লীগ যদি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করে তাহলে তাঁর মনোভাব কি হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে আমি শ্রদ্ধা করি।” তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রে সংখ্যাগরিষ্ঠের পক্ষে সরকার গঠন এবং পরিচালনা করা সম্ভব, কিন্তু একটি ফেডারেল রাষ্ট্র কাঠামোর শাসনতন্ত্র প্রণয়নের ব্যাপারে “ঐকমত্যই হচ্ছে গণতন্ত্রের সারবস্তু।” ভুট্টো আওয়ামী লীগের ৬-দফা পড়ে দেখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আপনি কি মনে করেন আমি আমার ঘরের পড়াশুনা করি না।” </li> </ul> <ul> <li>৬-দফার প্রথম দফাটি তিনি যেখানে মেনে নিয়েছেন, সেখানে বাকি ৫টি দফা সম্পর্কে তাঁর মনোভাব কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পাঁচটি দফা আলোচনা করা হবে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আর কিছু বলবেন না। কারণ এতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হতে পারে এবং আওয়ামী লীগের সাথে তাঁর আলোচনা বিঘ্নিত হতে পারে। </li> </ul> <ul> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভুট্টো শাসনতন্ত্র বিষয়ে আলোচনার জন্য বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শুরু হয় পূর্ব পাকিস্তান সময় সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে এবং শেষ হয় ৮টা ২৫ মিনিটে। ৭৫ মিনিট স্থায়ী এই বৈঠকে তাঁদের সাথে কোন সহযোগী ছিলেন না। বৈঠক শেষে ভুট্টো প্রথমেই অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের বলেন, “শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আমরা বহু বিষয়ে আলোচনা করেছি।” বঙ্গবন্ধু বলেন, “আমরা সবেমাত্র আলোচনা শুরু করেছি এবং তা অব্যাহত রাখবো।” বঙ্গবন্ধু এবং ভুট্টো যখন বৈঠক চালাচ্ছিলেন তখন সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, কামরুজ্জামান প্রমুখ আওয়ামী লীগ নেতা এবং পিপলস পার্টির অন্যান্য নেতা অপর একটি কক্ষে অপেক্ষা করছিলেন। আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম একবার বৈঠক কক্ষে কয়েক মিনিটের জন্য ঢুকে বের হয়ে আসেন। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস এডমিরাল এস.এম. আহসান ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইনে পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ বাহিনীর বার্ষিক কুচকাওয়াজে বক্তৃতাকালে পুলিশ বাহিনীকে জনসাধারণের জন্য ন্যায়বিচার ও নিরপেক্ষতার সাথে কর্তব্য পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। গভর্নর পুলিশ বাহিনীর কুচকাওয়াজ পরিদর্শন এবং সাহসিকতার জন্য কায়েদে আজমপুলিশ পদক ও প্রেসিডেন্টের পুলিম পদক বিতরণ করেন। গভর্নর বিগত নির্বাচনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, স্থিতিশীল সমাজব্যবস্থা ছাড়া দেশের অগ্রগতি হতে পারে না। কাজেই পুলিশ বাহিনীকে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য গুরুত্ব পূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে।</li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ জানুয়ারি, ১৯৭১

২৭ জানুয়ারি, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে আলোচনার উদ্দেশ্যে পিপলস পার্টি প্রধান ভুট্টো করাচী থেকে ঢাকা আগ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকনাথ ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিরাট জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন,একমাত্র লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সার্বভৌম পূর্ব পাকিস্তান গঠনের মাধ্যমেই বাঙালিদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সকল প্রকার শোষণের অবসান হতে পারে। এর জন্য অবিলম্বে ৭ কোটি পূর্ব পাকিস্তানির আন্দোলন শুরু করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সাল থেকে তিনি লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়নের দাবী জানিয়ে আসছেন। এতে পূর্ব বাংলা স্বাধীন রাজ্য গঠনের প্রস্তাব ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। নিজেদের মুক্তিলাভের জন্য তিনি পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে সর্বস্ব ত্যাগের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। শাসক শ্রেণীকে জনগণের মনোভাব উপলব্ধি এবং জনগণের ইচ্ছার প্রতি নতি স্বীকার করার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, বৃটিশ সরকার এদেশ থেকে হাত গুটিয়ে নিলেও এখনও এদেশে শোষণের অবসান হয়নি, বরং জনগণ এখন অন্য ধরনের সাম্রাজ্যবাদ দ্বারা শোষিত হচ্ছে। শোষণের ধারা ও তার পরিণতি সম্পর্কে জনগণের পরিস্কার ধারণা সৃষ্টি হয়েছে এবং জনগণের মুক্তি আন্দোলন ঠেকাতে পারে এমন কোন শক্তি পৃথিবীতে নেই। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে নিখিল পাকিস্তান স্বর্ণকার ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির এক প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধিদল স্বর্ণকার ও স্বর্ণব্যবসায়ীদের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া সম্পর্ক একটি স্মারকলিপি বঙ্গবন্ধুর কাছে পেশ করেন। তার স্বর্ণের ওপর ধাযকৃত ১০ ভাগ বিক্রয় করের দরুণ উদ্ভুত পরিস্থিতি ব্যাখ্যাকালে জানান, এর ফলে ইতিমধ্যে বহু স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে ৫০লক্ষ লোক বেকার হবে বলে আশংকা প্রকাশ করেন। এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব করেন সমিতির আহবায়ক চৌধুরী খুরশীদ আহমেদ নাসের, সাধারণ সম্পাদক নাসের আহমেদ নাসের। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>করাচীতে প্রেসিডেন্টের অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এম.এম. আহম্মদ করাচীস্থ শিল্প ও বণিক সমিতির সভায় বলেন, দেশের রপ্তাতানী বাণিজ্যে সহায়তা করার জন্য শীঘ্রই আমদানী রফতানী ব্যাংক ধরনের একটি অত্যন্ত বিশেষজ্ঞব্যাংক প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে। সভায় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারী খাতে হবে কি না তা এ মুহূর্তে তার পক্ষে বলা সম্ভব নয়। অপর এক প্রশ্নকর্তাকে তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্তটি একটি স্বতন্ত্র সিধান্ত এবং সম্প্রতি ঋণের ব্যাপারে যে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তার সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই। অপর এক খবরে প্রকাশ, এম.এম. আহম্মদকে উক্ত সভায় জনৈক সদস্য মুদ্রামান হ্রাস করার সম্ভবনা আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি এ সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ জানুয়ারি, ১৯৭১

২৬ জানুয়ারি, ১৯৭১ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকনাথ ময়দানে অনুষ্ঠিত এক বিরাট জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে বলেন,একমাত্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <a class="P66RVY-F-i" href="https://www.blogger.com/blogger.g?blogID=7927371738348582085#editor/target=post;postID=8225107755003301586;onPublishedMenu=allposts;onClosedMenu=allposts;postNum=0;src=postname"></a></div> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <ul> <li>শোষণমুক্তির সংগ্রামের নবতর বলিষ্ঠ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রদেশের সর্বত্র ১১-দফার মহান ‘গণ-অভ্যুথ্থান দিবস’ পালিত হয়। এই দিবসে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন,বাংলা ছাত্রলীগ, নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা গঠিত মতিউর স্মৃতি কমিটি-প্রভাতফেরী, মিছিল, পথসভা ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে। বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক ও অন্যান্য সংগঠনও এই দিবস পালন করে। ঢাকা শহর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করে। সব অনুষ্ঠানেই ১১-দফার বাস্তবায়ন, ১১-দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন, রাজবন্দীদের মুক্তি, দ্রব্যমুল্য হ্রাস, বকেয়া খাজনা মওকুফ ও সর্বোপরি জাতীয় পরিষদের সার্বভৌমত্বের দাবী সোচ্চার হয়ে ওঠে। </li> </ul> <ul> <li>গণ-অভ্যুথ্থান দিবস উপলক্ষে পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগ আহূত জনসভায় সভাপতির ভাষণে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন যে, দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রে যদি ৬-দফা ও ১১-দফার একটি দাড়ি-কমাও বাদ দেওয়া হয় তাহলে তুমুল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যাতে খাজনা-ট্যাক্স প্রদান বন্ধ হবে, অফিস আদালত,কল-কারখানায় তালা ঝুলানো হবে। জনসভায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আ.স.ম.আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন, ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও নব-নির্বাচিত জাতীয় সদস্য খালেদ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সভাশেষে একটি গণসঙ্গীতের আসর অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঙ্গীত শিল্পীসমাজ কর্তৃক তাঁর সম্মানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। ভাষণদানকালে তিনি বলেন যে, বাংলার মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও অন্যান্যদের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা হয় নি। তিনি শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবীদের আশ্বাস প্রদান করেন যে, দেশের এই অংশে পৃথক ও সাধারণ একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হবে। বঙ্গবন্ধু অভিযোগ করে বলেন, বিগত বছরগুলিতে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করেছে। রেডিও পাকিস্তান নজরুল সংগীতের শব্দ পরিবর্তন করে প্রচার করেছে। আমাদের মেয়েরা কপালে টিপ পরলে তাদের হিন্দু আখ্যায়িত করারজন্য তথাকথিতপূজারীরা উঠে পড়ে লাগতো। তিনি বলেন, অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুধু জনগণ এবং রাজনীতিকদের একার দায়িত্ব নয়। জাতীর কল্যাণে শিল্পীরাও বিরাট দায়িত্ব পালন করতে পারে। বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, দেশত্বিবোধক সঙ্গীত রচনা করার জন্যই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কারাগারে যেতে হয়েছিলো। অনুষ্ঠানে সভানেত্রীত্ব করেন প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী লায়লা আর্জুমান্দ বানু। বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা করেন আবদুল হাদী, আঞ্জুমান আরা বেগম, মুস্তাফা জামান আব্বাসী প্রমুখ। </li> </ul> <ul> <li>১১-দফা গণ-অভ্যুথ্থানের অন্যতম বীর শহীদ কিশোর মতিউর রহমানের আজ দ্বিতীয় স্মৃতিবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঢাকায় নবকুমার ইনস্টিটিউটে এক ছাত্র জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই ছাত্র জনসভায় শহীদ মতিউর রহমানের পিতা আজহারুল হক মল্লিক, ছাত্রলীগ সভাপতি নূর-এ আলম সিদ্দিকী, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আ.স.ম.আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়া শহীদ মতিউর স্মৃতি স্মরণে নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরী, কোরানখানি প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করে। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কে.জি. মোস্তফা পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিন ইউনিয়নের তিনদিন ব্যাপী বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী ভাষণে সাংবাদিকদের দ্বিতীয় বেতন বোর্ড অবিলম্বে সক্রিয় করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স অর্ডিন্যান্স বাতিল, জাতীয পুনর্গঠন ব্যুরো ও পাকিস্তান কাউন্সিল বিলুপ্তির দাবী করেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ কায়সার। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানান এবং অবিলম্বে সৈয়দ নজিউল্লাহ ও শাসসুদ্দোহাসহ দেশের সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবী করেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে কূটনৈতিক মিশনের সদস্য ছাড়াও বেশকিছু গণ্যমান্য অতিথি যোগদান করেন। </li> </ul> </div> <br /> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭১

২৫ জানুয়ারি, ১৯৭১ শোষণমুক্তির সংগ্রামের নবতর বলিষ্ঠ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রদেশের সর্বত্র ১১-দফার মহান ‘গণ-অভ্যুথ্থান দিবস’ পালি...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>শোষণমুক্তির সংগ্রামের নবতর বলিষ্ঠ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রদেশের সর্বত্র ১১-দফার মহান ‘গণ-অভ্যুথ্থান দিবস’ পালিত হয়। এই দিবসে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ, পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়ন, পূর্ব বাংলা ছাত্র ইউনিয়ন,বাংলা ছাত্রলীগ, নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্রছাত্রীদের দ্বারা গঠিত মতিউর স্মৃতি কমিটি-প্রভাতফেরী, মিছিল, পথসভা ইত্যাদি কর্মসূচি পালন করে। বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিক ও অন্যান্য সংগঠনও এই দিবস পালন করে। ঢাকা শহর আওয়ামী লীগ ও জাতীয় শ্রমিক লীগ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কর্মসূচি বাস্তবায়নে অংশগ্রহণ করে। সব অনুষ্ঠানেই ১১-দফার বাস্তবায়ন, ১১-দফা ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসন, রাজবন্দীদের মুক্তি, দ্রব্যমুল্য হ্রাস, বকেয়া খাজনা মওকুফ ও সর্বোপরি জাতীয় পরিষদের সার্বভৌমত্বের দাবী সোচ্চার হয়ে ওঠে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গণ-অভ্যুথ্থান দিবস উপলক্ষে পল্টন ময়দানে ছাত্রলীগ আহূত জনসভায় সভাপতির ভাষণে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সভাপতি নূর-এ আলম সিদ্দিকী বলেন যে, দেশের ভবিষ্যৎ শাসনতন্ত্রে যদি ৬-দফা ও ১১-দফার একটি দাড়ি-কমাও বাদ দেওয়া হয় তাহলে তুমুল প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যাতে খাজনা-ট্যাক্স প্রদান বন্ধ হবে, অফিস আদালত,কল-কারখানায় তালা ঝুলানো হবে। জনসভায় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আ.স.ম.আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন, ছাত্রলীগের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও নব-নির্বাচিত জাতীয় সদস্য খালেদ মোহাম্মদ আলী প্রমুখ বক্তৃতা করেন। সভাশেষে একটি গণসঙ্গীতের আসর অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সঙ্গীত শিল্পীসমাজ কর্তৃক তাঁর সম্মানে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন। ভাষণদানকালে তিনি বলেন যে, বাংলার মহান কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম ও অন্যান্যদের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শন করা হয় নি। তিনি শিল্পী ও সংস্কৃতিসেবীদের আশ্বাস প্রদান করেন যে, দেশের এই অংশে পৃথক ও সাধারণ একাডেমী প্রতিষ্ঠা করা হবে। বঙ্গবন্ধু অভিযোগ করে বলেন, বিগত বছরগুলিতে আমাদের জাতীয় সংস্কৃতিকে শাসকগোষ্ঠী ও প্রতিক্রিয়াশীল চক্র নিজেদের স্বার্থে বিকৃত করেছে। রেডিও পাকিস্তান নজরুল সংগীতের শব্দ পরিবর্তন করে প্রচার করেছে। আমাদের মেয়েরা কপালে টিপ পরলে তাদের হিন্দু আখ্যায়িত করারজন্য তথাকথিত পূজারীরা উঠে পড়ে লাগতো। তিনি বলেন, অধিকার আদায়ের সংগ্রাম শুধু জনগণ এবং রাজনীতিকদের একার দায়িত্ব নয়। জাতীর কল্যাণে শিল্পীরাও বিরাট দায়িত্ব পালন করতে পারে। বঙ্গবন্ধু আরও বলেন, দেশত্বিবোধক সঙ্গীত রচনা করার জন্যই বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কারাগারে যেতে হয়েছিলো। অনুষ্ঠানে সভানেত্রীত্ব করেন প্রখ্যাত কন্ঠশিল্পী লায়লা আর্জুমান্দ বানু। বঙ্গবন্ধুকে অভিনন্দন জানিয়ে বক্তৃতা করেন আবদুল হাদী, আঞ্জুমান আরা বেগম, মুস্তাফা জামান আব্বাসী প্রমুখ। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>১১-দফা গণ-অভ্যুথ্থানের অন্যতম বীর শহীদ কিশোর মতিউর রহমানের আজ দ্বিতীয় স্মৃতিবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ঢাকায় নবকুমার ইনস্টিটিউটে এক ছাত্র জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই ছাত্র জনসভায় শহীদ মতিউর রহমানের পিতা আজহারুল হক মল্লিক, ছাত্রলীগ সভাপতি নূর-এ আলম সিদ্দিকী, পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আ.স.ম.আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাখন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। এছাড়া শহীদ মতিউর স্মৃতি স্মরণে নবকুমার ইনস্টিটিউটের ছাত্ররা কালো পতাকা উত্তোলন, কালোব্যাজ ধারণ, প্রভাতফেরী, কোরানখানি প্রভৃতি কর্মসূচি পালন করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কে.জি. মোস্তফা পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিন ইউনিয়নের তিনদিন ব্যাপী বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী ভাষণে সাংবাদিকদের দ্বিতীয় বেতন বোর্ড অবিলম্বে সক্রিয় করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি প্রেস এন্ড পাবলিকেশন্স অর্ডিন্যান্স বাতিল, জাতীয পুনর্গঠন ব্যুরো ও পাকিস্তান কাউন্সিল বিলুপ্তির দাবী করেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল্লাহ কায়সার। তিনি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা অব্যাহত রাখার জন্য আহ্বান জানান এবং অবিলম্বে সৈয়দ নজিউল্লাহ ও শাসসুদ্দোহাসহ দেশের সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবী করেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে কূটনৈতিক মিশনের সদস্য ছাড়াও বেশকিছু গণ্যমান্য অতিথি যোগদান করেন। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭১

২৪ জানুয়ারি, ১৯৭১ শোষণমুক্তির সংগ্রামের নবতর বলিষ্ঠ শপথ গ্রহণের মাধ্যমে প্রদেশের সর্বত্র ১১-দফার মহান ‘গণ-অভ্যুথ্থান দিবস’ পালিত হয়।...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="331" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৩ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পিপলস পার্টির হাই কমান্ড ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি আজ সকালে জেড. এ. ভুট্টোর ক্লিফটনের বাসভবনে তাঁর সভাপতিত্বে বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, জনাব ভুট্টো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাতের জন্য ২৭ জানুয়ারি ঢাকায় ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করবেন। বৈঠকে প্রথম অধিবেশনের পর পিপলস পার্টির করাচী অঞ্চলের চেয়ারম্যান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুল হাফিজ পীরজাদা সাংবাদিকদের উক্ত তথ্য প্রদান করে বলেন, তাদের দলীয় প্রতিনিধি দল পাঁচদিন ঢাকায় অবস্থান করবে।  </li> </ul> <ul> <li>টঙ্গী ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির উদ্যোগে টঙ্গী বোর্ড বাজারে অনুষ্ঠিত এক বিরাট জনসভায় ১১-দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র রচনা, বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের জাতিগত সমস্যা সমাধানের নিশ্চয়তা বিধানের জন্য বিচ্ছিন্ন হওয়ার অধিকারসহ পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদানের দাবি জানানো হয়। জনসভায় ন্যাপ নেতা শ্রী মণীন্দ্র গোস্বামী সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া প্রাদেশিক ন্যাপ সম্পাদক সৈয়দ আলতাব হোসেন ১১-দফা আন্দোলনে শহীদদের প্রতি গভীর শদ্ধা নিবেদন করে বলেন যে, ন্যাপ এর লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য বিরামহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। সভায় গৃহীত প্রস্তাবে মণি সিংসহ সকল রাজবন্দীর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করা হয়। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন আহূত ১১-দফা সপ্তাহের আজ শেষ দিন। এ উপলক্ষে ঢাকায় ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে ‘মশাল মিছিল’ বের করা হয়। ‘মশাল মিছিল’ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে বিভিন্ন রাজপথ প্রদক্ষিণ করে। মিছিল ‘১১-দফার সংগ্রাম চলবেই’ ‘শোষক গোষ্ঠীকে খতম কর’, ‘বিপ্লবী সংগ্রাম গড়ে তোলো’, ‘জেলের তালা ভাঙবো রাজবন্দীদের আনবো’, ‘জননেতা মণি সিং-এর মুক্তি চাই’, কমুনিস্ট পার্টিকে বেআইনী রাখা চলবে না’,‘চাল ডাল তেলের দাম কমাতে হবে’, ‘অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা চাই নইলে এবার রক্ষা নাই’ ইত্যাদি শ্লোগান প্রদান করে। সবশেষে মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্কে এসে সংক্ষিপ্ত সভায় মিলিত হয়। সেখানে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলামের ভাষণের মধ্য দিয়ে ১১-দফা সপ্তাহের কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। </li> </ul> <ul> <li>১১-দফা সপ্তাহের শেষ দিনে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের উদ্যোগেও ঢাকার বায়তুল মোকাররম থেকে ‘মশাল মিছিল’ বের করা হয়। মিছিল শহরের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিণ করে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ জানুয়ারি, ১৯৭১

২৩ জানুয়ারি, ১৯৭১ পিপলস পার্টির হাই কমান্ড ১৮ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি আজ সকালে জেড. এ. ভুট্টোর ক্লিফটনের বাসভবনে তাঁর সভাপতিত্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২২ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে ‘ইন্টার উইং’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধের জন্য ‘পাকিস্তান অবজারভার’ এর প্রতিনিধি সৈয়দ নজিউল্লাহ ও ‘ইন্টার উইং’ পত্রিকার সম্পাদক এ আর দোহার বিরুদ্ধে আনীত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। তাঁরা তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খন্ডন করে আজ জবাব দান করেন। তাঁরা যুক্তি দাখিল করে বলেন যে,তাঁরা দোষী নন। উক্ত সাপ্তাহিকীর মুদ্রাকরকে প্রেস এন্ড পাবলিকেশন অর্ডিন্যান্সের আলোকে জেরা করা হয়। এর আগেও তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছিলো। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে জেলে প্রথম শ্রেণীর ব্যবস্থা করা ও রাওয়ালপিন্ডিতে রাখার জন্য আবেদন করা হয়েছে। </li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ঢাকায় নিযুক্ত যুগোস্লাভিয়ার কন্সাল মি. মিরকোই পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতিখন্দকার মোস্তাক আহমেদের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান গার্ল গাইড সমিতির কমিশনার বেগম জি. এ. খান প্রেসিডেন্টের পূর্ব পাকিস্তান সাহায্য তহবিলে সমিতির পক্ষ থেকে দশ হাজার টাকা সাহায্য প্রদান করেন। এ নিয়ে সমিতির পক্ষ থেকে সর্বমোট পঁচিশ হাজার টাকা সাহায্য দেওয়া হয়। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ জানুয়ারি, ১৯৭১

২২ জানুয়ারি, ১৯৭১ রাওয়ালপিন্ডিতে ‘ইন্টার উইং’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধের জন্য ‘পাকিস্তান অবজারভার’ এর প্রতিনিধি সৈয়দ নজিউল্লাহ ও...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২১ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>১১-দফা পালনের আজ পঞ্চম দিন। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নুরুল ইসলাম এবং বক্তৃতা করেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা শহর সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক নিজামউদ্দিন আজাদ, কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সম্পাদক আবুল কাশেম, কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভানেত্রী আয়শা খানম বক্তৃতা করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সভায় অবিলম্বে নিরাপত্তা আইনে আটক জননেতা মণি সিংসহ সকল ছাত্র, শ্রমিক ও রাজবন্দীর মুক্তি, আইনগত কাঠামো বাতিল, গণতান্ত্রিক শাসনতন্ত্র রচনার দাবী, কমিউনিস্ট পার্টির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রভৃতি দাবী সম্বলিত প্রস্তাব গৃহীত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আজ ‘শহীদ আনোয়ারা দিবস’। এ উপলক্ষে নাখালপাড়া আওয়ামী লীগ মহিলা শাখার উদ্যোগে ৫০৭নং নাখালপাড়ায় এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভানেত্রীত্ব করেন বেগম জেবুন্নেছা এবং প্রধান অতিথির আসন গ্রহণ করেন নগর আওয়ামী লীগ মহিলা সম্পাদিকা বেগম সাজেদা চৌধুরী। এছাড়া ‘শহীদ আনোয়ারা দিবস’ উপলক্ষে সকাল সাতটায় শহীদ আনোয়ারার বাসভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারণপূর্বক খালি পায়ে মিছিল করে শহীদ আনোয়ারার মাজারে গমন এবং সেখানে ফুল দেওয়ার পর মোনাজাত করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কো-অর্ডিন্যান্স কাউন্সিল অব এসোসিয়েশন অব দি পাবলিক এমপ্লয়িজ অব পাকিস্তান (কোকাপেপ) কর্তৃক এ.জি. ই. পি. প্রাঙ্গণে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কর্মচারীদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় জীবনধারণের ব্যায়বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্য রেখে অনতিবিলম্বে অন্তরবর্তীকালীন বেতন মঞ্জুর করার দাবী জানানো হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এম এ রশীদ। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ জানুয়ারি, ১৯৭১

২১ জানুয়ারি, ১৯৭১ ১১-দফা পালনের আজ পঞ্চম দিন। এ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্রদের এক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২০ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>১১-দফা সপ্তাহের আজ চতুর্থ দিন। এ উপলক্ষে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের পৃথক আহ্বানে শহরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পূর্ণ ধর্মঘট পালিত হয়। ১১-দফা সপ্তাহের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের আহ্বানে বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ছাত্র জমায়েত, সকালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে যথাক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় বটতলা ও মধুর কেন্টিনে ছাত্র সভা। বিকালে পূর্ব বাংলা বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে পল্টন ময়দানে এক জনসভা ও ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠীর উদ্যোগে গণ-সঙ্গীতের আসর অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ৫দিন করাচীতে অবস্থানের পর আজ সকালে রাওয়ালপিন্ডি এসে পৌঁছেন। </li> </ul> <ul> <li>পাঞ্জাব কাউন্সিল মুসলীম লীগের সভাপতি সরদার শওকত হায়াত খাঁ প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং কিছু সময় তাঁর সাথে অবস্থান করেন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ জানুয়ারি, ১৯৭১

২০ জানুয়ারি, ১৯৭১ ১১-দফা সপ্তাহের আজ চতুর্থ দিন। এ উপলক্ষে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ও পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের পৃথক আহ্বানে শ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ১৯ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <ul> <li>ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন বিশিষ্ট শিক্ষক এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থাকে (বিএনআর) জাতীয় একাডেমীতে রূপান্তরিত করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা করে অবিলম্বে পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিক স্বার্থবিরোধী এই সংস্থা বিলোপের দাবি জানান। উল্লেখ্য, ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান এই সংস্থা (বিএনআর) প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এর কার্যকলাপ গণমনে সন্দেহের সৃষ্টি করে। এই সংস্থা আজও পূর্ববাংলার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে ধ্বংস করার প্রয়াসে নিযুক্ত প্রতিক্রিয়ার ঘাঁটি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। এই সংস্থা বিলোপের বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন - </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> <ol> <li>ড. মুহম্মদ এনামুল হক (বাংলা)</li> <li>ড. মোফাজ্জল আহমদ চৌধুরী (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)</li> <li>ড. ওয়াহিদুল হক (অর্থনীতি)</li> <li>ড. আহমদ শরীফ (বাংলা)</li> <li>অধ্যাপক রেহমান সোবহান (অর্থনীতি)</li> <li>ড. রমজান আলী সরদার (গণিত)</li> <li>অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী (বাংলা)</li> <li>অধ্যাপক নূর মোহাম্মদ মিয়া (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)</li> <li>ড. হানিফ ফউক (উর্দু)</li> <li>ড. আবুল খায়ের (ইতিহাস)</li> <li>ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (ইংরেজি)</li> <li>ড. বিলায়েত হোসেন (পদার্থবিদ্যা)</li> <li>ড. জিল্লুর রহমান খান (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)</li> <li>ড. অজয় রায় (পদার্থবিদ্যা)</li> <li>অধ্যাপক জয়নুল আবেদীন (রাষ্ট্রবিজ্ঞান)</li> <li>অধ্যাপক সাদ উদ্দিন (সমাজবিজ্ঞান)</li> <li>অধ্যাপক গিয়াসউদ্দিন (ইতিহাস)</li> <li>অধ্যাপক আহসানুল হক (ইংরেজি) ও</li> <li>অধ্যাপক লুৎফুল হক (ভূগোল)। </li> </ol> </blockquote> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদের আহ্বানে দ্রব্যমূল্য হ্রাস ও মহিলাদের চলাফেরার নিশ্চয়তা বিধানের দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ, মিছিল এবং বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারী মহিলারা মিছিল করে প্রাদেশিক গভর্নর ভবনের সামনে যান এবং বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল গভর্নরের সঙ্গে দেখা করে স্মারকলিপি পেশের চেষ্টা করে। </li> </ul> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ জানুয়ারি, ১৯৭১

১৯ জানুয়ারি, ১৯৭১ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ জন বিশিষ্ট শিক্ষক এক যুক্ত বিবৃতিতে জাতীয় পুনর্গঠন সংস্থাকে (বিএনআর) জাতীয় একাডেমীতে রূপান...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৮ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন আহুত ১১-দফা সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। এ উপলক্ষে ঢাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ছাত্র হলগুলোতে কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র ইউনিয়ন কর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, ইডেন গার্লস কলেজ ও টি এন্ড টি কলেজসহ ঢাকা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মী সভায় মিলিত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সকালে লারকানা থেকে ২১ মাইল দূরে ড্রিগ হ্রদে পাখি শিকারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে ভুট্টোর বাসভবনে সম,বেত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং লারকানার বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতি বলেন, দেশে জনগণের সরকার ক্ষমতাসীন হলে বর্তমান অনিশ্চিত অবস্থার শীঘ্রই অবসান ঘটবে। প্রেসিডেন্ট আজ করাচীর উদ্দেশ্যে লারকানা ত্যাগের পূর্বে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা কালে বলেন, ভুট্টোর সাথে তার আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা খোলামনে মতবিনিময় করেছি। ভুট্টো ও আমার মত অনেক ব্যাপারেই মিলে গেছে। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি কোনো কিছু বলা যাবে না। তিনি বলেন যে,ভুট্টো ও শেখ মুজিবুর রহমান পরস্পরের সাথে আলোচনা করভেন। প্রেসিডেন্ট এই সফরকে তাঁর অবকাশ সফর বলে জানান। </li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ জানুয়ারি, ১৯৭১

১৮ জানুয়ারি, ১৯৭১ পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন আহুত ১১-দফা সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন। এ উপলক্ষে ঢাকায় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ছ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জেড এ ভুট্টো এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর দল জনগণের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পরিবর্তন সাধন এবং দৃঢ়ভাবে স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি অবলম্বন ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার পক্ষে ম্যান্ডেট লাভ করেছে। তিনি তাঁর সাক্ষাৎকারে বলেন, নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে উল্লেখযোগ্য সমঝোতায় আসতে তাঁর দল চেষ্টার কসূর করবে না। টেলিভিশনে ন্যাশনাল আওয়অমী পার্টির খান আবদুল ওয়ালী খান, কাইয়ুম মুসলিম লীগের সভাপতি মিয়া মমতাজ মোহাম্মদ খান দৌলতানাসহ অন্যান্য দলীয় নেতারও নির্বাচনোত্তর সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান দুই দিনব্যাপী লারকানা সফরের উদ্দেশ্যে করাচী থেকে মহেঞ্জোদারো বিমানবন্দরে পৌঁছার পর সাংবাদিকদের সাথে আলোচনায় মিলিত হন। তিনি তাঁর দৃঢ় অবস্থার পুনরুল্লেখ করে বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শসিনতন্ত্র প্রণয়ন সমাপ্ত হবে। আলোচনাকালে প্রেসিডেন্ট বরেণ, তিনি ইচ্ছা করে শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানের ভাবি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নামকরণ করেননি। কিন্তু তিনি তাই পর্যবেক্ষণ করছেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিব সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা এবং পার্লামেন্টারী পদ্ধতিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাই প্রধানমন্ত্রী হয়ে থাকেন। যাই হোক , শেখ মুজিব প্রধানমন্ত্রী নাও হতে পারেন। আমি তাঁকে জোর করতে পারি না বলে তিনি উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য প্রেসিডেন্ট লারকানা সফরকালে ভুট্টো সাথে বৈঠক করবেন। ভুট্টোর পর আর কোনো নেতার সাথে বৈঠকে বসবেন কিনা এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সব গোপন কথা বলে দেব না, এ ব্যাপারে কিছু করার সময় হয় নি। প্রেসিডেন্টকে ভুট্টোর সাথে বৈঠক সম্পর্কে বলতে অনুরোধ করলে তিনি বলেন, আমি জনাব ভুট্টোর অতিথি। তিনিই আগে কিছু বলবেন, আমি পরে কিছু বলতে পারি। এসময় ভু্ট্টো যোগ দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রপ্রধানই বলার বিষয় ঠিক করবেন। </li> </ul> <ul> <li>ভুট্টোর লারকানাস্থ বাসভবনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টো এক দীর্ঘ বৈঠকে মিলিত হন। তাদের দু’জনের মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনার বিষয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। তবে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে ভুট্টো সন্ধ্যার দিকে প্রেরিত এক বাণীতে বলেন, আজ সংবাদপত্রের জন্য বলার কিছু নেই। আগামীকাল কিছু বলা যাবে। অবগত মহলের মতে বৈঠক ভুট্টো ও প্রেসিডেন্টের মধ্যে বেশীরভাগ সময় সীমাবদ্ধ থাকে। তবে কিছুক্ষণের জন্য সেনাবাহিনীর চীফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গী লে. জে. পীরজাদা বৈঠকে যোগ দেন। </li> </ul> <ul> <li>আজ থেকে প্রদেশব্যাপী ‘১১দফা সপ্তা’ শুরু। পূর্বপাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন ১১-দফার শহীদদের মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণের মাধ্যমে প্রথম দিনের অনুষ্ঠানের সূচনা করবে। ১১-দফা সপ্তাহের প্রতিটি কর্মসূচিকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য ছাত্র ইউনিয়ন সকল ছাত্র-ছাত্রী ও জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগও ১১-দফা সপ্তাহ পালনে সকাল সাতটায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণের মাধ্যমে প্রথম দিনের কর্মসূচি পালন করবে। </li> </ul> <ul> <li>মওলানা ভাসানী পাঁচবিবিতে তাঁর নিজ বাসভবনে এক সাক্ষাৎকারে লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার জন্য দৃঢ়তা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তান সব সময় শোষিত হয়েছে এবং পশ্চিম পাকিস্তানের কায়েমী স্বার্থবাদী মহল ও শাসক শ্রেণী দ্বারা নিপীড়িত হয়েছে। এই শোষণ নিপীড়ন লাহোর প্রস্তাব বাস্তবায়নের মাধ্যমেই বন্ধ হতে পারে বলে তিনি দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেন। ভাসানী অধিকৃত- কাশ্মীরে শেখ আবদুল্লাহ ও তাঁর সহযোগীদের উপর কাশ্মীরে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপের নিন্দা করেন। তিনি এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবী জানান। দ্রব্যমুল্র বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ব্যাপারে দোষীদের গ্রেফতার করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান। তিনি উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে অনিয়মিত ট্রেন চলাচলের সমালোচনা করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত দাবি করেন।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ জানুয়ারি, ১৯৭১

১৭ জানুয়ারি, ১৯৭১ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জেড এ ভুট্টো এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁর দল জনগণের কাছ থেকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৬ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <ul> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল সমিতির এক প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাৎ দান করেন এবং ধৈর্যের সঙ্গে তাদের বক্তব্য শোনেন। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন সমিতির সভাপতি ডা. মোহাম্মদ সালেহ চৌধুরী। </li> </ul> <ul> <li> মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নওয়াব স্যার সলিমুল্লাহর ৫৫তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ঢাকা শহর কাউন্সিল মুসলিম লীগ এক সভার আয়োজন করে। সভায় মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং তাঁর ঐতিহাসিক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। </li> </ul> <ul> <li> আজ সরকারি মহল সূত্রে ঘোষণা করা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান আগামীকাল দুই দিনের সফরে করাচি থেকে লারকানায় পৌঁছাবেন। ওই সূত্রে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট সকাল ১১টায় বিমানযোগে মহেঞ্জোদারো পৌঁছাবেন এবং সেখান থেকে ভুট্টোর লারকানার বাসভবন আল মুর্তজায় যাবেন। সেখানে তিনি ভুট্টোর সঙ্গে আলোচনায় মিলিত হবেন। পরদিন সকালে প্রেসিডেন্ট হাঁস শিকারের জন্য ব্রিজ লেক যাত্রা করবেন। সেখান থেকে প্রেসিডেন্ট করাচি প্রত্যাবর্তন করবেন। সকালে প্রেসিডেন্ট কয়েকজন এমএনএ এবং কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে আলোচনা করবেন। এ বিষয়ে ভুট্টোর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তিনি জরুরি কাজে ব্যস্ত আছেন বলে পিপলস পার্টি সূত্রে জানা যায়। পরে ভুট্টো সাংবাদিকদের জানান, আগামীকাল সম্পর্কে তাঁর কিছু বলার নেই।</li> </ul> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ জানুয়ারি, ১৯৭১

১৬ জানুয়ারি, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল সমিতির এক প্রতিনিধি দলকে সাক্ষাৎ দান করেন এবং ধ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৫ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী রাজশাহীতে স্থানীয় ময়দানে এক জনসভায় ভাষণদানকালে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শোসণের অবসান ঘটানোর জন্য জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম শুরু করার আহ্বান জানান। তিনি লাহোর প্রস্তাবের আশু বাস্তবায়নের দাবি জানান। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ এ দাবি সমর্থন করে কিনা তা নির্ণয়ের উদ্দেশ্রে গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। ভাসানী বলেন, তিনি জনগণের অন্তরের কথাই ধ্বনিত করছেন। তথাকথিত সংহতির সস্তা শ্লোগান ও ‘ইসলাম বিপন্ন’ এ ধুয়ায় জনগণকে আর বিভ্রান্ত করা যাবে না । তিনি বলেন, বিগত ২৩ বছর জনগণ পশ্চিম পাকিস্তানের শিল্পপতিদের হাতে শোষিত হয়েছে। মওলানা ভাসানী অভিযোগ করে বলেন, শোষকের গুলিতে প্রাণ বিসর্জন দিতে তিনি প্রস্ত্তত, কিন্তু জনগণের অধিকারের প্রশ্নে আপোষ করবেন না । এই সভায় জনাব মশিউর রহমানও বক্তৃতা করেন। </li> </ul> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান আজ করাচিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর স্মৃতিসৌধ নির্মাণ সমাপ্তি উপলক্ষে তা পরিদর্শনকালে বলেন, যে মহান ব্যাক্তির বিচক্ষণতা, আন্তরিক ও নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগে পাকিস্তান অর্জিত হয়েছে কায়েদে আজমের স্মৃতি সৌধ তার স্মৃতিচিহ্ন হয়ে থাকবে। প্রেসিডেন্ট মাজারে ফাতেহা পাঠ করেন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জেড. এ. ভুট্টো বলেন, জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন এবং পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতির গ্যারান্টি সম্বলিত শাসনতন্ত্র প্রণয়নে তার দল সব রকম সহযোগিতা প্রদান করবে। ভুট্টো সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করেন, প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী বা এরূপ কোনো পদ লাভের অভিলাষ তাঁর নেই। তিনি বলেন, তাঁর দল জনগণের কাছে একটি কর্মসূচি ও ঘোষণাপত্র প্রদান করেছে। সব রকমের শোষণের অবসান ঘটানোর জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এই কর্মসূচি রদবদল বা তা হতে সরে যাওয়া যায় না। </li> </ul> <ul> <li>‘দৈনিক পাকিস্তান অবজারভার’-এর সংবাদদাতা বিচারাধীন আসামী সৈয়দ নজিউল্লাহকে চিকিৎসার জন্য বিশেষ সামরিক আদালতের নির্দেশে আজ সকালে সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ তাঁকে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে। পরে সন্ধ্রায় তাঁকে স্থানীয় কম্বাইড মিলিটারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ জানুয়ারি, ১৯৭১

১৫ জানুয়ারি, ১৯৭১ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী রাজশাহীতে স্থানীয় ময়দানে এক জনসভায় ভাষণদানকালে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শোসণের অবসান ঘটা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৪ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর সাথে দুই দিনের বৈঠক শেষে করাচির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকা ত্যাগের পূর্বে বঙ্গবন্ধুর সাথে তিনি কি আলোচনা করেছেন তা জানতে চাইলে প্রেসিডেন্ট বলেন, আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান দেশের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। শেখ সাহেব ভার নিলে আমি থাকব না। তিনি আরো বলেন, শীঘ্রই শেখ মুজিবের সরকার হতে যাচ্ছে। </li> </ul> <ul> <li>এনা পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান করাচীর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগের পূর্বে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “উত্তরাধিকার সূত্রে আমি খারাপ অর্থনৈতিক অবস্থা পেয়েছি এবং আমি তা শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে দিতে যাচ্ছি।” তিনি বলেন, “১৯৬৮ সাল থেকে দেশে ব্যাপক হারে ‘ঘেরাও ও জ্বালাও’ চলে এবং তার পর আসে প্রাকৃতিক বিপর্যয় যা অর্থনৈতিক অবস্থাকে পর্যুদস্ত করার পক্ষে যথেষ্ট।” প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, আমার কাছে কোনো যাদুদন্ড নেই এবং অগ্রগতি সাধনের কোনো সংক্ষিপ্ত পন্থা নেই। </li> </ul> <ul> <li>রোকেয়া হল ছাত্রী সংসদের উদ্যোগে রোকেয়া হলের নির্মায়মাণ শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যত বিচার পতি আবু সাইদ চৌধুরী।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ জানুয়ারি, ১৯৭১

১৪ জানুয়ারি, ১৯৭১ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর সাথে দুই দিনের বৈঠক শেষে করাচির উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকা ত্যাগের পূর্বে ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <ul> <li>ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ৩ ঘন্টাব্যাপী এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু ধানমন্ডিস্থ স্বীয় বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সাথে তার আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনায় আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি।” প্রেসিডেন্টের সাথে আলোচনার সময় বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিলেন- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, খোন্দকার মোস্তাক আহমদ, তাজউদ্দিন আহমদ, মনসুর আলী ও কামরুজ্জামান। আলোচনায় প্রেসিডেন্টের সাথে কারা উপস্থিত ছিলেন তা জানা যায়নি। বঙ্গবন্ধু বলেন জাতীয় পরিষদের অধিবেশনঢাকাতেই অনুষ্ঠিত হবে। তবে অধিবেশনের তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। অধিবেশনের বিভিন্নসম্ভাব্য তারিখ সর্ম্পকে আলোচনা হয়েছে।নিকটবর্তী যে কোনো সুবিধামত তারিখে অধিবেশন শুরু হবে। বৈঠকে প্রেসিডেন্টের সাথে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সর্ম্পকে আলোচনায় দ্রব্যমূল্যের বর্তমান উর্ধ্ধগতি সর্ম্পকেই আলোচনা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের সাথে বঙ্গবন্ধুর আর বৈঠক হবে না বিধায় তিনি সাংবাদিকদের আর কোনো প্রশ্ন না করার অনুরোধ জানান। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান পিপল্স পার্টির চেয়ারম্যান জেড. এ. আলী ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডিতে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশের জন্য তিনি একটি গ্রহণযোগ্য ও স্থায়ী শাসনতন্ত্র চান।দেশ হবে একটি খাঁটি ফেডারেশন এবং এভাবে তিনি আওয়ামী লীগের ৬-দফার প্রথম দফাটি সোজাসুজি স্বীকার করে নেন। ভুট্টো বলেন, চলতি মাসের শেষ দিকে তিনি বঙ্গবন্ধু সাথে সাক্ষাৎ করার পরিকল্পনা করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, একটি ফেডারেশনের জন্য শাষনতন্ত্র প্রণয়নের ব্যাপারে মতৈক্য হওয়া উচিত। </li> </ul> <ul> <li>ইডেন গার্লস কলেজের ছাত্র ইউনিয়ন শাখার নবীন বরণ ও বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মে,লনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সহ-সভানেত্রী এবং পূর্ব পাকিস্তান মহিলা পরিষদের আহবায়িকা মালেকা বেগম। বিশেষ আমন্ত্রণক্রমে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি নূরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। সবশেষে নবাগতদের এক বিচিত্রানুষ্ঠান হয়। বিচিত্ররি সঙ্গীতে অংশগ্রহন করেন: তাজিম সুলতানা, হেলেন আরজু, মেরী, খুকুমনি, পারভীন, লুৎফা, রাণী, রোজী, আজমেরী ও লুলু। কবিতা পাঠ করেন লুলু ফায়েজী, ইফফতা মীর্জা । নৃত্য পরিবেশন করেন পলি। অনুষ্ঠানে পুরনোদের পক্ষ থেকে বক্তৃতা করেন দীপা দেব। নতুনদের পক্ষ থেকে আয়েশা সিদ্দিকি শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। </li> </ul> <ul> <li>জে এম সেন হলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী স্বাধানতা সংগ্রামের বীর বিপ্লবী নেতা সূর্য সেনের স্মৃতি দিবস উদযাপন করা হয়। প্রখ্যাত কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক আবুল ফজলের সভাপতিত্বে মাস্টার দা সূর্য সেনের বিপ্লবী জীবনের বিভিন্ন দিক আলোকপাত করে বক্তৃতা করেন সূর্য সেনের অন্যতম সহযোগী পূর্ণেন্দু দস্তিদার, কালিপদ চক্রবর্তী, আবদুস সাত্তার, বিনোদবিহারী চৌধুরী, মওলানা আহমেদুর রহমান আজমী ও অনিল গুহ। মাস্টারদার স্মরণে কবিতা পাঠ করেন দীপক জ্যোতি আইচ। সভায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়:-</li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> <ul> <li>মাস্টার দা সূর্য সেনের স্মৃতি রক্ষায় রাউজান থানার নয়াপাড়া গ্রামে তাঁর ভিটিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ। </li> </ul> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <ul> <li>১৯৬৫ সালে জালালাবাদ স্মৃতিসৌধ প্রতিষ্টার জন্য পূর্ব পাকিস্তান পরিষদে যে সর্বসম্মতি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিলো আইয়ুবের স্বৈরাচারী শাসনের জন্য তা প্রতিষ্টিত করা হয়নি—এখন ঐ প্রস্তাবকে অবিলম্বে কার্যকর করা হোক। </li> </ul> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <ul> <li>এই সভা চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক ও নব নির্বাচিত এম.এন.এ. এম এ আজিজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর মৃত্যুতে পূর্ণ আঞ্চলিক স্বায়ত্বশাসনের দাবী প্রতিষ্টার জন্য তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার শপথ গ্রহণ করছে এবং তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছে। </li> </ul> </blockquote> </div> <div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ জানুয়ারি, ১৯৭১

১৩ জানুয়ারি, ১৯৭১ ঢাকায় প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ৩ ঘন্টাব্যাপী এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বঙ্গবন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১২ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্যা আলোচনা করেন। </li> </ul> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রায় দু’ঘন্টা ধরে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকের পর বঙ্গবন্ধু অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে। তিনি আগামীকাল তাঁর দলের কয়েকজন নেতাসহ আবার প্রেসিডেন্টের সাথে মিলিত হবেন বলে জানান। প্রেসিডেন্টের সাথে তিনি কি কি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তা সুনির্দিষ্টভাবে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু বলেন, তিনি এখন কোন কিছু বলবেন না। </li> </ul> <ul> <li>আগামীকাল প্রেসিডেন্টের সাথে দ্বিতীয় দফা বৈঠকে তাজউদ্দিন আহমদ, ডক্টর কামাল হোসেন এবং খন্দকার মুশতাক আহমদসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর সাথে থাকবেন। </li> </ul> <ul> <li>পি আই এ কর্মচারীরা আজ রাওয়ালপিন্ডিতে ধর্মঘট শুরু করেন। কর্মচারীরা বেলা নয়টার পর কাজ বন্ধ করে দেয় বলে পি আই এর জনৈক কর্মকর্তা জানান। এদিকে করাচী থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, পি আই এ কর্পোরেশন এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি এস এম ইকবাল বলেন, পি আই এ কর্মকর্তারা আমাদের দাবী দাওয়া মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। জনাব ইকবাল সংগ্রাম পরিষদেরও সভাপতি। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ভাইস এডমিরাল এস. এম. আহসান সাভারে জাহাঙ্গীরনগর মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় উদ্বোধন করেন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ জানুয়ারি, ১৯৭১

১২ জানুয়ারি, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সকালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সমস্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে পেঁৗছেন। দীর্ঘ সফরে ক্লান্ত বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে বলেন, চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এম এ আজিজের মৃত্যুর জন্য তাঁকে অবিলম্বে চট্টগ্রামে যেতে হয়েছিল। এ সময় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমেদ, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও ড. কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আগামীকাল কোনো একসময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তাঁর সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও ভুট্টোর ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। তেজগাঁও বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, 'তাঁদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে দিন। আমি কেউ না। আমি কোনো আলাদা শক্তিও না। আমি রাষ্ট্রের প্রধান এবং আমার স্বার্থ হলো, তাঁদের সঙ্গে মিলিত হওয়া এবং আলোচনা করা।' এক প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি এখনো জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনুষ্ঠানের তারিখ সম্পর্কে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। তিনি বলেন, 'যখন আমি তারিখ ঠিক করে ফেলব, তখন আপনাদের জানাব।' </li> </ul> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জানুয়ারি, ১৯৭১

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জানুয়ারি, ১৯৭১ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় এসে পেঁৗছেন। দীর্ঘ সফরে ক্লান্ত বঙ্গবন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১০ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মিসরীয় জাতীয় পরিষদের স্পিকার ড. লাবিব শুকায়ের ঢাকায় বলেন, ইসরায়েলের অবৈধ অধিকার থেকে কুক্ষিগত আরব এলাকা মুক্ত না করা পর্যন্ত আরব দেশগুলো তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে। পিপিআইয়ের খবরে প্রকাশ আফ্রো-এশীয় গণসংহতি সংস্থার পূর্ব পাকিস্তান কমিটির উদ্যোগে হোটেল পূর্বাণীতে এক সংবর্ধনা সভায় তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন। ছয় সদস্যবিশিষ্ট এক মিসরীয় পার্লামেন্টারি প্রতিনিধিদল নিয়ে তিনি দুই দিনের সফরে এখানে আসেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু আজ পটুয়াখালীতে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের ন্যায়সংগত দাবি পূরণ ও তাদের নিজেদের ভাগ্য ও সম্পদ নিয়ন্ত্রণের অধিকার আর ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব না। কারণ জনগণ নির্বাচনের মাধ্যমেই এ ব্যাপারে তাদের রায় দিয়েছে। গণবিরোধী শক্তি নির্বাচনের ফলাফলে বিভ্রান্ত হয়ে পড়লেও তাদের ঐতিহ্য অনুযায়ী আবার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া তাঁর জীবনের ওপর সাম্প্রতিক হামলার উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণশত্রুরা পরাজিত হয়ে বাংলার মানুষের কণ্ঠ রোধের জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করেছে। বঙ্গবন্ধু নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিরাট সাফল্যের সঙ্গেই পাবনার দলীয় নবনির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য, খুলনায় একজন আওয়ামী লীগকর্মী হত্যারও উল্লেখ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতীয় পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আজিজ শেষ রাতে করোনারি থ্রমবোসিস রোগে মাত্র ৫০ বছর বয়সে প্রাণত্যাগ করেন। এদিন তিনি অত্যন্ত কর্মব্যস্ত ছিলেন। তিনি দুটি জনসভা ও তাঁর সম্মানার্থে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। বিকেল ৫টায় বাউড্যাবহাটের জনসভায় বক্তৃতার পর নানুপুরের জনসভায় বক্তৃতা দিতে যান এবং সেখানে রাত ১১টা পর্যন্ত অবস্থান করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মওদুদী দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, দলের সদস্যপদ বা আমিরের পদ থেকে পদত্যাগের কোনো ইচ্ছা তাঁর নেই।</li> </ul> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ জানুয়ারি, ১৯৭১

১০ জানুয়ারি, ১৯৭১ মিসরীয় জাতীয় পরিষদের স্পিকার ড. লাবিব শুকায়ের ঢাকায় বলেন, ইসরায়েলের অবৈধ অধিকার থেকে কুক্ষিগত আরব এলাকা মুক্ত না কর...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৯ জানুয়ারি, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: left;"> <li style="text-align: justify;">পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি খান আবদুল ওয়ালী খান পেশোয়ারে এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের পরিকল্পনার নিন্দা করেন এবং চক্রান্তকারীদের উদ্ঘাটন করার জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li style="text-align: justify;">বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানও স্বস্তি প্রকাশ করেন। বঙ্গবন্ধুর কাছে প্রেরিত এক বাণীতে তিনি বলেন, আপনার জীবননাশের চেষ্টার সংবাদ পেয়ে আমি ব্যথিত হয়েছি, তবে সর্বশক্তিমান আল্লাহকে ধন্যবাদ যে এই চক্রান্ত ব্যর্থ হয়েছে এবং আপনি রক্ষা পেয়েছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li style="text-align: justify;">পিডিপি প্রধান নুরুল আমিন বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের চেষ্টার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, দেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত শাসনতন্ত্র প্রণয়নের শুরুতে নানা স্থানে নেতৃবৃন্দ ও ছাত্রদের ওপর হামলা খুব ভালো লক্ষণ নয়। তিনি একজন সাবেক হাইকোর্ট বিচারপতির নেতৃত্বে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li style="text-align: justify;">কুমিল্লার বাঞ্ছারামপুর থেকে প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য গোলাম মহিউদ্দিন (আফতাব) এক বিবৃতিতে সাত কোটি বাঙালির কণ্ঠস্বর বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের চেষ্টার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপনপূর্বক এ ব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেন। </li> </ul> </div> <div> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর<span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"><span id="clear" style="display: block;"></span></span></div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ জানুয়ারি, ১৯৭১

০৯ জানুয়ারি, ১৯৭১ পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি খান আবদুল ওয়ালী খান পেশোয়ারে এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের পরিকল্পনার...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: left;"> ০৮ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> </div> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ পাকিস্তানে দুই দিনব্যাপী সরকারি সফর উপলক্ষে বিমানযোগে রাজধানী নগরী ইসলামাবাদে পৌঁছালে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন সকালে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। পরে তিনি পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান এবং সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিদের হিথের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এই সফরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আগতদের মধ্যে রয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রিসভার সচিব স্যার বার্কট্রেন্ড, পার্লামেন্টারি প্রাইভেট সেক্রেটারি টিপিজে কিটসন এবং বৈদেশিক ও কমনওয়েলথ দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান আইজেএম সুদারল্যান্ড। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li> খুলনা নিউজপ্রিন্টের মূল্যবৃদ্ধির একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর সংবাদপত্র শিল্পে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুকে অবহিত করানোর জন্য পূর্ব পাকিস্তানের দৈনিক সংবাদপত্রগুলোর একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সঙ্গে দেখা করে। বঙ্গবন্ধু ধৈর্যের সঙ্গে প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শোনেন এবং তাদের আশ্বাস দেন যে জাতীয় সংবাদপত্রকে এ সমস্যা থেকে রক্ষার চেষ্টা করবেন। আরো জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও গভর্নর ভাইস অ্যাডমিরাল এস এম আহসানের কাছে বার্তা প্রেরণ করেছেন।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"></span><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</span></div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ জানুয়ারি, ১৯৭১

০৮ জানুয়ারি, ১৯৭১ ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ পাকিস্তানে দুই দিনব্যাপী সরকারি সফর উপলক্ষে বিমানযোগে রাজধানী নগরী ইসলামাব...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৭ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এবং সফররত কানাডার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুড রাওয়ালপিন্ডিতে বিশ্ব শান্তির প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন এবং উভয় দেশের সাধারণ স্বার্থ ও নীতিসমূহের সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন। ইয়াহিয়া খান কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে ভোজসভার আয়োজন করেন। ওই ভোজসভায় নেতৃদ্বয় পাকিস্তান ও কানাডার মধ্যে বর্তমান বন্ধুসুলভ সম্পর্ক, সহযোগিতা ও সমঝোতার কথাও উল্লেখ করেন। ভোজসভায় মন্ত্রিসভার সদস্যরা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা যোগ দেন। </li> </ul> <ul> <li> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতি গঠন করা হয়। ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইকবাল ও চিন্ময় মুৎসুদ্দিকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে সমিতির ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত করা হয়। উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কার্যরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই প্রথম এ জাতীয় একটি সমিতি গঠন করলেন। </li> </ul> <ul> <li> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে রাতে জনৈক যুবককে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুবকটি স্বীকার করেছে যে সে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্যই গিয়েছিল। সে আরো স্বীকার করে, সংগঠিত দলের (গ্যাং) পক্ষ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের জন্য ট্রেনিং ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্য একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠিত চক্র বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে। </li> </ul> <ul> <li> পাকিস্তানের হাঙ্গেরীয় দূতাবাসের বাণিজ্যিক উপদেষ্টা পি. ইগারভেরি বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন। রাতে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বেগম ও জনাব এ. সালাম আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী, কূটনৈতিক মিশনসমূহের সদস্যবর্গ, শিল্পপতি এবং শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা যোগদান করেন। </li> </ul> <ul> <li> পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী তাদের ১৯ দফা দাবি আদায়ের জন্য 'ইপরেল' পাহাড়তলি শাখা ও ওপেন লাইন শাখার উদ্যোগে ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে। উল্লেখ্য, তাদের ১৯ দফার মধ্যে বন্যাবাবদ দুই মাসের অগ্রিম বেতনের দাবিও রয়েছে।</li> </ul> </div> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ জানুয়ারি, ১৯৭১

০৭ জানুয়ারি, ১৯৭১ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এবং সফররত কানাডার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুড রাওয়ালপিন্ডিতে বিশ্ব শান্তির প্রয়োজনীয়তা ব্য...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></div> <div> <br /></div> <div> ০৬ জানুয়ারি, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>শেখ মুজিবুর রহমান দলীয় অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় গণবিরোধী চক্রান্তকারীদের যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবকদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। যেকোনো উসকানির মুখে সুশৃঙ্খল থেকে বিগত নির্বাচনের সময়ের মতো ঐতিহ্য বজায় রাখতে বলেন। তিনি জনগণ বিরক্ত হয় এমন কাজ না করতে তাদের উপদেশ দেন। তিনি আরো বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগের কর্মসূচির প্রতি যে রায় দিয়েছে বিশ্ব ইতিহাসে তা বিরল। অতএব, দলীয় কর্মীদের সদা সতর্ক থাকতে হবে। আত্মরক্ষার্থে আপনারা লাঠি তৈরি রাখুন, তবে হাই কমান্ডের অনুমতি ছাড়া আপনারা লাঠির ব্যবহার করতে পারবেন না। সহ্যের সব সীমা অতিক্রম হলে সঠিক নির্দেশ দেওয়া হবে। সভায় দলের সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদও বক্তব্য দেন। </li> </ul> <ul> <li> প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, শিগগির তিনি আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হবেন। ইসলামাবাদ বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অ্যাডওয়ার্ড হিথের পাকিস্তান সফরের পরেই শেখ মুজিবের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ভুট্টোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন। </li> </ul> <ul> <li> কানাডার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডো চার দিনব্যাপী পাকিস্তান সফরের উদ্দেশে অপরাহ্নে রাওয়ালপিন্ডি এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান তাঁকে সংবর্ধনা জানান। এরপর প্রেসিডেন্ট পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ আবদুল হামিদ খান, পাকিস্তান বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁকে পরিচয় করিয়ে দেন। বিমানবন্দরে এক বিবৃতিতে কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও পাকিস্তানি অফিসারদের সঙ্গে দ্বিস্বার্থসংশ্লিষ্ট বহু বিষয়ে মতামত বিনিময়ের তিনি আশা রাখেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও কানাডার মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশই কলম্বো পরিকল্পনা ও কমনওয়েলথভুক্ত রয়েছে। আগামীকাল তিনি ইয়াহিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বৈঠকে মিলিত হবেন।</li> </ul> </div> <div> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ জানুয়ারি, ১৯৭১

০৬ জানুয়ারি, ১৯৭১ শেখ মুজিবুর রহমান দলীয় অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় গণবিরোধী চক্রান্তকারীদের যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাসেবকদের সজা...

Read more »

আমার সোনার বাংলা

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg7hrQigxWyvALbLq8vKBgYwK8V0gkwML19fMqEI5XS0nPfq9mt0CQKe7TUX41gw59O2-B_Z4YDFQjlrTaqcFJH3OkhSlo8OKf8lxBD8B7GOcWvci55pMVxvKum4PGonnVDa96p78JGWqo/s1600/jg.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg7hrQigxWyvALbLq8vKBgYwK8V0gkwML19fMqEI5XS0nPfq9mt0CQKe7TUX41gw59O2-B_Z4YDFQjlrTaqcFJH3OkhSlo8OKf8lxBD8B7GOcWvci55pMVxvKum4PGonnVDa96p78JGWqo/s1600/jg.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খৃস্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এই গানটি রচিত হয়েছিল। ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে এ গানটির প্রথম দশ লাইন সদ্যগঠিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয়সঙ্গীত হিসেবে নির্বাচিত হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে কেবল প্রথম চার লাইন বাদন করা হয়।</div> <div style="text-align: left;"> <div style="text-align: justify;"> <br /> <b>রচনা ও সুরারোপ</b></div> <div style="text-align: justify;"> <b><br /></b> আমার সোনার বাংলা গানটি রচিত হয়েছিল ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে। গানটির পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি, তাই এর সঠিক রচনাকাল জানা যায় না। সত্যেন রায়ের রচনা থেকে জানা যায়, ১৯০৫ সালের ৭ অগস্ট কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সভায় এই গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই বছরই ৭ সেপ্টেম্বর (১৩১২ বঙ্গাব্দের ২২ ভাদ্র) সঞ্জীবনী পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের সাক্ষরে গানটি মুদ্রিত হয়। এই বছর বঙ্গদর্শন পত্রিকার আশ্বিন সংখ্যাতেও গানটি মুদ্রিত হয়েছিল। তবে ৭ অগস্ট উক্ত সভায় এই গানটি গীত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। বিশিষ্ট রবীন্দ্রজীবনীকার প্রশান্তকুমার পালের মতে, আমার সোনার বাংলা ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২৫ আগস্ট কলকাতার টাউন হলে অবস্থা ও ব্যবস্থা প্রবন্ধ পাঠের আসরে প্রথম গীত হয়েছিল।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আমার সোনার বাংলা গানটি রচিত হয়েছিল শিলাইদহের ডাক-পিয়ন গগন হরকরা রচিত "আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে" গানটির সুরের অনুষঙ্গে। সরলা দেবী চৌধুরানী ইতিপূর্বে ১৩০৭ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে তাঁর শতগান সংকলনে গগন হরকরা রচিত গানটির স্বরলিপি প্রকাশ করেছিলেন। উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথের বঙ্গভঙ্গ-সমসাময়িক অনেক স্বদেশী গানের সুরই এই স্বরলিপি গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছিল। যদিও পূর্ববঙ্গের বাউল ও ভাটিয়ালি সুরের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের পরিচিতি ইতিপূর্বেই হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৮৮৯-১৯০১ সময়কালে পূর্ববঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে জমিদারির কাজে ভ্রমণ ও বসবাসের সময় বাংলার লোকজ সুরের সঙ্গে তাঁর আত্মীয়তা ঘটে। তারই অভিপ্রকাশ রবীন্দ্রনাথের স্বদেশী আন্দোলনের সমসাময়িক গানগুলি, বিশেষত আমার সোনার বাংলা।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> <b>যেভাবে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত</b></div> <div style="text-align: justify;"> <b><br /></b> ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ গঠিত হয় স্বাধীন বাংলার কেন্দ্রীয় সংগ্রাম পরিষদ। পরে ৩ মার্চ তারিখে ঢাকা শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত পল্টন ময়দানে অনুষ্ঠিত জনসভা শেষে ঘোষিত ইশতেহারে এই গানের ১ম ১০ লাইন জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গান প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হয়।</div> <br /> <b>সম্পুর্ণ গানের কথা</b><br /> <br /> আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি।<br /> চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি<br /> <br /> ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,<br /> মরি হায়, হায় রে --<br /> ও মা, অঘ্রাণে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি<br /> <br /> কী শোভা, কী ছায়া গো, কী স্নেহ, কী মায়া গো--<br /> কী আঁচল বিছায়েছ বটের মূলে, নদীর কূলে কূলে।<br /> মা, তোর মুখের বাণী আমার কানে লাগে সুধার মতো,<br /> মরি হায়, হায় রে--<br /> মা, তোর বদনখানি মলিন হলে, ও মা, আমি নয়নজলে ভাসি<br /> <br /> তোমার এই খেলাঘরে শিশুকাল কাটিল রে,<br /> তোমারি ধুলামাটি অঙ্গে মাখি ধন্য জীবন মানি।<br /> তুই দিন ফুরালে সন্ধ্যাকালে কী দীপ জ্বালিস ঘরে,<br /> মরি হায়, হায় রে--<br /> তখন খেলাধুলা সকল ফেলে, ও মা, তোমার কোলে ছুটে আসি<br /> <br /> ধেনু-চরা তোমার মাঠে, পারে যাবার খেয়াঘাটে,<br /> সারাদিন পাখি-ডাকা ছায়ায়-ঢাকা তোমার পল্লীবাটে,<br /> তোমার ধানে-ভরা আঙিনাতে জীবনের দিন কাটে,<br /> মরি হায়, হায় রে--<br /> ও মা, আমার যে ভাই তারা সবাই, তোমার রাখাল তোমার চাষি<br /> <br /> ও মা, তোর চরণেতে দিলেম এই মাথা পেতে--<br /> দে গো তোর পায়ের ধূলা, সে যে আমার মাথার মানিক হবে।<br /> ও মা, গরিবের ধন যা আছে তাই দিব চরণতলে,<br /> মরি হায়, হায় রে--<br /> আমি পরের ঘরে কিনব না আর, মা, তোর ভূষণ বলে গলার ফাঁসি<br /> <br /> জাতীয় সঙ্গীতের অংশ ডাউনলোড করুনঃ <a href="http://doridro.net/download/Deshattobodhok/Amar%20Shonar%20Bangla%20%5BDoridro.Com%5D.mp3.html" target="_blank">এখানে</a><br /> <br /></div> </div>

আমার সোনার বাংলা

আমার সোনার বাংলা গানটি ১৯৭১ খৃস্টাব্দে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত। এ গানের রচয়িতা ও সুরকার রবীন্দ্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ জানুয়ারি, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"><b>০৫ জানুয়ারি, ১৯৭১</b></span><br /> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;">ঢাকায় সংবাদপত্র সূত্রে প্রকাশ, পূর্ব পাকিস্তান এবং ত্রিপুরার (ভারত) ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ডিরেক্টররা গত শনিবার এখানে সমাপ্ত চার দিনের সম্মেলনে প্রদেশের চারটি জেলার সঙ্গে ত্রিপুরার সীমান্ত চিহ্নিতকরণ ও অন্যান্য প্রশ্ন আলোচনা করেন। ত্রিপুরার ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ডিরেক্টর এস এ চান্দা ভারতীয় প্রতিনিধিদলের এবং পূর্ব পাকিস্তানের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ডিরেক্টর টি হোসেন পাকিস্তানি দলের নেতৃত্ব দেন। সরকারি সূত্রে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানের ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ডিরেক্টর সম্মেলনে ফেনী নদী বরাবর চট্টগ্রাম/পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং মাতামুহুরী নদী এলাকার নোয়াখালী/কুমিল্লার সঙ্গে ত্রিপুরার সীমানা চিহ্নিতকরণ প্রশ্ন উত্থাপন করেন। ভারতীয় পক্ষ সংশ্লিষ্ট মানচিত্রগুলো পরীক্ষা করে এবং পরীক্ষাকাজ শেষ করার জন্য আরো সময় চায়। আগের বছর সম্পাদিত খণ্ড জরিপসংক্রান্ত ১২টি সিটের প্রাথমিক প্রমাণ সমীক্ষাও বিনিময় করা হয়।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;">রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে ১৯৭০-৭১ সালের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি পর্যালোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান। এনইসির এ বৈঠকে যোগদান করেন পিন্ডিতে উপস্থিত কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা, প্রাদেশিক গভর্নররা, প্রেসিডেন্টের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল এস জি এম এম পীরজাদা, অর্থনৈতিক উপদেষ্টা এম এম আহমদ ও পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান এম এইচ সুফি। আলোচনা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে। </span></li> </ul> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;">সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর<br /> </span></div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ জানুয়ারি, ১৯৭১

০৫ জানুয়ারি, ১৯৭১ ঢাকায় সংবাদপত্র সূত্রে প্রকাশ, পূর্ব পাকিস্তান এবং ত্রিপুরার (ভারত) ভূমি রেকর্ড ও জরিপ ডিরেক্টররা গত শনিবার এখানে...

Read more »

রামপাল প্রকল্প নিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি ও তার জবাব

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> </div> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj71oCBSxx-cOLB_6HKqzZN8xwVSG5TrLIqL9RrObHcgRqy9RiOwupAA-64DTESR-GuHfCcKCGbAEQGURVBiiyxi1IgT1qHG-nWs4Sk50Bym8pqPvy7i-6CF7TQ7mElAyHv1zBzR28bfKk/s1600/bs.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEj71oCBSxx-cOLB_6HKqzZN8xwVSG5TrLIqL9RrObHcgRqy9RiOwupAA-64DTESR-GuHfCcKCGbAEQGURVBiiyxi1IgT1qHG-nWs4Sk50Bym8pqPvy7i-6CF7TQ7mElAyHv1zBzR28bfKk/s1600/bs.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের পক্ষে নানা ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে কিন্তু বেশ কিছু শুভঙ্করের ফাঁকি লুকিয়ে আছে। সেগুলোর এক এক করে জবাব দেয়া হবে এই পোস্টে। এখানে প্রমানসহ বিভিন্ন লিঙ্ক দেয়া হবে যাতে কেউ অন্তত এইটা বলতে না পারে যে এইটা চিঙ্কুদের মিথ্যাচার।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> প্রথমত, যখন আমরা দাবী করলাম যে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর, তখন বলা হলো বিশ্বের ২৬% বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। এবার দেখে নেয়া যাক শুভঙ্করের ফাঁকিটা আসলে কোথায়।<br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="640" src="http://s21.postimg.org/dyn4164nr/untitled.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="568" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">IEA/OECD এর পরিসংখ্যান</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> IEA/OECD অনুসারে দেখা যাচ্ছে ২০০৮ সালেও সারা বিশ্বের বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার হার ছিলো ৪১% <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_generation" target="_blank">[1]</a>। প্রশ্ন হলো, এই ৫ বছরে সেটা এত কমে যাবার কারণ কী? এর ব্যাখ্যা কি তারা দিতে পারবেন?</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> বিশ্বব্যাংকের গবেষণা থেকে জানা যাচ্ছে বিশ্বের বেশীরভাগ দেশেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার শতকরা হার দিন দিন কমছে <a href="http://data.worldbank.org/indicator/EG.ELC.COAL.ZS" target="_blank">[2]</a>।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এবার দেখি গ্রীনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের তুলনামূলক চিত্রঃ <br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s24.postimg.org/6eqwil5cl/untitled3.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><span class="mw-headline" id="2011_IPCC_aggregated_results_of_the_available_literature">2011 IPCC aggregated results</span></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> <span class="mw-headline" id="2011_IPCC_aggregated_results_of_the_available_literature">2011 IPCC aggregated results</span> থেকে দেখা যাচ্ছে কয়লাতে এত বেশি গ্রীণহাউজ গ্যাস নিঃসরণ হয় যে সেটা তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ন্যাচারাল গ্যাস থেকে দ্বিগুণেরও বেশি। যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমানও তৃতীয় স্থানে থাকা সৌরশক্তি থেকে ১০ গুণেরও বেশি <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_generation" target="_blank">[3]</a>।<br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s24.postimg.org/5k9tpeddh/untitled1.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">২০০৮ সালের Benjamin K. Sovacool এর গবেষণা</td></tr> </tbody></table> ২০০৮ সালের Benjamin K. Sovacool এর গবেষণা অনুযায়ীও কয়লার গ্রীণহাউজ গ্যাস নির্গমনের পরিমান অন্যান্য উৎসের তুলনায় বেশি <a href="http://www.nirs.org/climate/background/sovacool_nuclear_ghg.pdf" target="_blank">[4]</a>।<br /> <br /> কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে এসিড বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। US Geologic <span class="n5mu1" id="n5mu1_3">Survey Analysis</span> অনুযায়ী গাড়ির ধোয়া নয়, বরং কয়লাভিত্তিক শিল্পই এসিড বৃষ্টির জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী <a href="http://www.thedailygreen.com/environmental-news/latest/Acid-Rain-Vehicles-Coal-47102213" target="_blank">[5]</a>। Union of Concerned Scientists এর গবেষণা অনুসারে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সালফার ডাইওক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও মার্কারীর মতো ক্ষতিকর পদার্থ নিঃসরণ করে <a href="http://www.ucsusa.org/clean_energy/coalvswind/c02c.html" target="_blank">[6]</a>। Greenpeace International এর গবেষণা অনুসারে, ৫০০ মেগাওয়াটের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতি বছর ৩ মিলিয়ন টন কার্বন ডাইঅক্সাইড নিঃসরণ করে <a href="http://www.greenpeace.org/international/en/campaigns/climate-change/coal/Coal-Power-Plants/" target="_blank">[7]</a>।</div> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s22.postimg.org/c7o3gt0gx/untitled1.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ১০০ টা দেশ</td></tr> </tbody></table> </div> <div style="text-align: justify;"> এবার দেখা যাক বিশ্বের সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ কোনগুলো। উপরের চিত্রে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ১০০ টা দেশের নাম দেয়া আছে <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_electricity_production" target="_blank">[8]</a>। দেখে নেয়া যাক এই দেশগুলোর বিদ্যুৎ উৎপাদনের অবস্থা।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> প্রথমে আসি চায়নার কথায়। চায়না পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ। <span class="reference-text">IEA Key World Energy Statistics </span>অনুসারে চায়নাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার শতকরা হার নিম্নরূপ <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_sector_in_China" target="_blank">[9]</a> -</div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s14.postimg.org/afdmo3d8h/untitled.png" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">চীনে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার হার</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> বারবারই এমন প্রচার চালানো হচ্ছে যে সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ চায়নাতে মোট বিদ্যুতের ৭০% হচ্ছে কয়লাভিত্তিক। এখানেও রয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। উপরের ছকে দেখা যাচ্ছে এই হার ২০১০ সালেও ৭৮% ছিলো এবং ২০০৭ সালে ছিলো ৮১%। ৬ বছরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের শতকরা হার ১১% কমে গেল কেন তারা কি এর ব্যাখ্যা দিতে পারবেন?<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> চায়নাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনমত বাড়ছে। WRI insights এর মতে, চায়নাতে নতুন যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে তার বেশিরভাগই সংশ্লিষ্ট এলাকায় পানির সংকট তৈরি করবে <a href="http://insights.wri.org/news/2013/08/majority-china%E2%80%99s-proposed-coal-fired-power-plants-located-water-stressed-regions" target="_blank">[10]</a>। তাহলে চিন্তা করুন সুন্দরবনের মতো ম্যানগ্রোভ বন, যেটা পুরোটাই পানির উপর নির্ভরশীল সেখানে এধরণের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প কি ধরণের বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> আমরা দাবী করছি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিবেশের দুষণ ঘটায়। এখানেও তারা সেই ২৬% এর কথাই টেনে নিয়ে আসছেন। চীনের বিষয় নিয়ে আসছেন। তাহলে দেখে নেয়া যাক পৃথিবীর সবচেয়ে দুষিত শহর কোথায়।<br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s12.postimg.org/wph1jx8el/untitled2.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">Curiosity Aroused এর গবেষণা অনুসারে পৃথিবীর সবথেকে দুষিত শহর</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> Curiosity Aroused এর গবেষণা অনুসারে দেখা যাচ্ছে পৃথিবীর সবথেকে দুষিত শহর গুলোর মধ্যে প্রথম দুইটিই চায়নার। এবং যে শহরটি সবথেকে দুষিত সেটার কারণও কয়লা <a href="http://www.curiosityaroused.com/world/10-most-polluted-cities-in-the-world/" target="_blank">[11]</a>। তাহলে কিভাবে সুন্দরবনের মত জায়গায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনও ক্ষতির কারণ হবে না?<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> চায়নার পরিবেশ দুষণ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানুন উইকিপিডিয়া থেকে <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Pollution_in_China" target="_blank">[12]</a>। এখানে বলা হচ্ছে, ২০০৭ সালে বিশ্বব্যাংকের জরীপ অনুযায়ী বিশ্বের সবথেকে দুষিত ২০ টা শহরের মধ্যে ১৬ টিই চায়নার <a href="http://www.npr.org/templates/story/story.php?storyId=10221268" target="_blank">[13]</a>।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <span class="n5mu1" id="n5mu1_1">New York Times</span> এর সাংবাদিক Joseph Kahn এবং Jim Yardley এর প্রতিবেদনে দেখা যায় -<br /> <ul> <li>চায়নার স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় এর মতে শিল্পকারখানার দুষণের কারণে চায়নায় ক্যান্সার হচ্ছে মানুষের মৃত্যুর প্রধান কারণ। </li> <li>শুধুমাত্র বায়ু দুষণের কারণেই সেখানে প্রতি বছর হাজার হাজার লোক মারা যায়।</li> <li>চায়নার ৫০০ মিলিয়ন মানুষ নিরাপদ ও সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত।</li> <li>চায়নার ৫৬০ মিলিয়ন শহরবাসীদের মধ্যে মাত্র ১% মানুষ এমন বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়, যা ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিরাপদ বলে অনুমোদন দেয়।</li> <li>চায়নার সালফার ডাইঅক্সাইড ও নাইট্রোজেন অক্সাইডের ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল ও জাপানের টোকিওতেও এসিড বৃষ্টির ঘটনা ঘটেছে।</li> <li>২০০৩ সালে Chinese Academy of Environmental Planning এর অপ্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে প্রতি বছর ৩,০০,০০০ লোক বায়ু দুষণ জনিত কারণে মারা যায় যার মধ্যে অধিকাংশই হার্টের সমস্যা ও ফুসফুসের ক্যান্সারে।</li> <li>২০০৫ সালে চীনা পরিবেশবিজ্ঞানীদের আরেকটি রিপোর্টে তারা এই মৃতের সংখ্যা ২০১০ নাগাদ ৩,৮০,০০০ ও ২০২০ নাগাদ ৫,৫০,০০০ এ পৌছানোর আশঙ্কা করছেন।</li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> সেখানে আরও বলা হচ্ছে, যে এ দুষণ সেখানকার জনগণের উপর একটা বিরাট বোঝা হতে চলেছে <a href="http://www.nytimes.com/2007/08/26/world/asia/26china.html?pagewanted=all&_r=0" target="_blank">[14]</a>।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> 24/7 Wall St. এর গবেষণা অনুসারে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবথেকে দুষিত বাতাসের ১০ টি শহরের মধ্যে চায়নার শহর ৩ টা যার মধ্যে ১ নম্বরে আছে বেইজিং। এ ছাড়াও এখানে আছে মঙ্গোলিয়ার একটি শহর ও হংকং <a href="http://urbanpeek.com/2013/04/13/top-10-cities-with-the-worlds-worst-air/" target="_blank">[15]</a>।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> উল্লেখ্য, বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ঢাকার নাম থাকলেও দুষিত শহর কিংবা দুষিত বায়ুর শহরের তালিকায় প্রথম ১০টা শহরের মধ্যে ঢাকা নেই। যারা ঢাকায় থাকেন তারা নিশ্চয়ই জানেন বুড়িগঙ্গার দুষণ এবং গাড়ি ও কলকারখানার ধোয়ার কারণে সেখানে কি নারকীয় পরিবেশ বিরাজ করে। চিন্তা করুন তাহলে তালিকায় যেসব শহর আছে সেখানে কি পরিবেশ বিরাজ করছে। এরপরেও কি বলা হবে যে এই প্রকল্প পরিবেশের কোনও ক্ষতি করবে না?<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এবার আসি তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা আমেরিকার কথায়। চলুন আগে দেখে নিই সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন উৎসের শতকরা হার কেমন - <br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://center.sustainability.duke.edu/sites/default/files/images/most_use.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">২০০৯ সালে আমেরিকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভিন্ন উৎসের শতকরা হার</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> Duke University এর গবেষণা অনুসারে দেখা যাচ্ছে ২০০৯ সালে কয়লা থেকে ৪৪% বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে। আরও বলা হয়েছে যে এটা ১৯৯০ সালের তুলনায় ৮% কম। কারণ পরিবেশগত কারণে তারা ধীরে ধীরে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কমিয়ে দিচ্ছে <a href="http://center.sustainability.duke.edu/resources/green-facts-consumers/what-largest-fuel-source-electricity-united-states" target="_blank">[16]</a>।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এটা হল ২০০৯ সালের কথা। Greentech Media অনুসারে দেখা যাচ্ছে যে ২০১১ সালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম হয়েছে <a href="http://www.greentechmedia.com/articles/read/coal-generation-drops-to-30-year-low" target="_blank">[17]</a>। এছাড়াও U.S. Energy Information Administran reports অনুসারে, বলা হচ্ছে, ২০১১ সালে গত ৩০ বছরের মধ্যে প্রথম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের শতকরা হার ৪০% এর নিচে নেমে এসেছে <a href="http://www.eia.gov/todayinenergy/detail.cfm?id=5331&src=email" target="_blank">[18]</a>। ২০১২ সালে U.S. Energy Information Administration এর রিপোর্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে যে, কয়লার উৎপাদন ১ বছরে ১৯% কমে গেছে যাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনও ৩৬% এ নেমে এসেছে <a href="http://thinkprogress.org/climate/2012/05/14/483432/us-coal-generation-drops-19-percent-in-one-year-leaving-coal-with-36-percent-share-of-electricity/" target="_blank">[19]</a>।</div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="289" src="http://dqbasmyouzti2.cloudfront.net/assets/content/cache/made/content/images/articles/coal-low-generation_310_224.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="400" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">আমেরিকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের শতকরা হার দিন দিন কমছে</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> এই চিত্রে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের শতকরা হার দিন দিন কমছে।<br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://media.treehugger.com/assets/images/2012/03/coal_electricity_2009-2011.png.492x0_q85_crop-smart.png" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">আমেরিকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> চিত্রে দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।<br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="278" src="http://media.treehugger.com/assets/images/2012/03/energy_breakdown_eia.png" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="400" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">আমেরিকায় ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে শুধুমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎই কমে গেছে</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> চিত্রে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় ২০১০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে শুধুমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎই কমে গেছে।<br /> <br /> Environmental and <span class="n5mu1" id="n5mu1_6">clean water</span> groups এর একটি কোয়ালিশনের গবেষণা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলো আমেরিকার পানি দুষণের সবচেয়ে বড় কারণ <a href="http://ens-newswire.com/2013/07/24/white-house-undercuts-coal-power-plant-water-pollution-rule/" target="_blank">[20]</a>।<br /> <br /> American Lung Association এর গবেষণা অনুসারে দেখা যাচ্ছে, আমেরিকায় প্রতিবছর ২৪০০০ মানুষ মারা যায় শুধুমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুষণের কারণেই <a href="http://www.lung.org/press-room/press-releases/statement-of-charles-d.html" target="_blank">[21]</a>।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এমনকি আমেরিকাতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনও হচ্ছে <a href="http://www.stopthecoalplant.org/" target="_blank">[22]</a>। আমেরিকার টেক্সাসে প্রস্তাবিত ৮ টি কোল প্ল্যান্ট বাতিল হয়ে গেছে <a href="http://www.edf.org/energy/edf-helps-prevent-eight-coal-plants-texas" target="_blank">[23]</a>।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এবার আসি তৃতীয় বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ জাপানের দিকে। চলুন দেখে নিই তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা হার <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_sector_in_Japan" target="_blank">[24]</a>।<br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s2.postimg.org/4xc7bagjd/untitled4.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">জাপানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভিন্ন উৎসের শতকরা হার</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> কয়লা যে ধীরে ধীরে কমছে তা স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এবার আসি রাশিয়ার দিকে । এটি চতুর্থ বৃহত্তম বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী দেশ। এবার দেখে নেয়া যাক তাদের বিদ্যুতের উৎস -<br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s15.postimg.org/eoyqyyior/untitled5.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">রাশিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> IEA এর পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে রাশিয়ায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ ১৯% <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_sector_in_Russia" target="_blank">[25]</a>। অথচ দাবী করা হচ্ছে ৬৮%। এখানে দেখা যাচ্ছে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতের পরিমান বাড়ছে। তাহলে দেখে নেয়া যাক তাদের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেমন -<br /> <br /></div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="306" src="http://s17.postimg.org/5k20q4ulr/untitled6.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="400" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">রাশিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা হার</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> চিত্রে দেখা যাচ্ছে, মোট শতকরা উৎপাদন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।<br /> <br /> এবার দেখি জার্মানির অবস্থা।<br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://s10.postimg.org/99fsh5gix/untitled8.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">২০০৫ সালে জার্মানির বিদ্যুৎ উৎপাদন</td></tr> </tbody></table> </div> <div style="text-align: justify;"> European Nuclear Society এর গবেষণা অনুসারে ২০০৫ সালে লিগনাইট ও হার্ড কোল মিলিয়ে জার্মানিতে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুতের শতকরা হার ৪৬.৭% <a href="http://www.euronuclear.org/info/encyclopedia/p/pow-plant-out-ger.htm" target="_blank">[26]</a>। এবার দেখি ২০১১ সালের চিত্র -<br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://www.euronuclear.org/info/encyclopedia/images/pow-gen-ger0113.gif" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">২০১১ সালে জার্মানীর বিদ্যুৎ উৎপাদন</td></tr> </tbody></table> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> একই প্রতিষ্ঠানের গবেষণায় ২০১১ সালে লিগনাইট ও হার্ড কোল মিলিয়ে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ এর শতকরা হার হয় ৪৩%, যা ২০০৫ থেকে ৩.৭% কম <a href="http://www.euronuclear.org/info/encyclopedia/p/pow-gen-ger.htm" target="_blank">[27]</a>। </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;"> <br /></div> এমনকি যে ভারতের কোম্পানি এই কাজ করছে সেখানেও কিন্তু কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠছে <a href="http://www.sourcewatch.org/index.php?title=Opposition_to_coal_in_India" target="_blank">[28]</a>। সেখানে মধ্যপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে পরিবেশগত কারণেই <a href="http://www.thehindu.com/news/national/article819873.ece" target="_blank">[29]</a> <a href="http://www.thehindu.com/news/national/tamil-nadu/green-tribunal-suspends-environmental-clearance-for-cuddalore-power-project/article3453104.ece" target="_blank">[30]</a>। ভারতের একটা গ্রামের গ্রামবাসী বাঘ বাঁচানোর জন্য নিজেদের গ্রাম পর্যন্ত অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছেন <a href="http://www.telegraph.co.uk/earth/earthnews/3307953/Indian-villages-relocate-to-save-Bengal-Tiger.html" target="_blank">[31]</a>।<br /> <br /> বলা হচ্ছে, কয়লা থেকেই নাকি সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আসলে কি তাই? চলুন দেখে আসি।<br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="212" src="http://s22.postimg.org/60gqzz66p/untitled9.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="640" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি বিদ্যুতকেন্দ্র</td></tr> </tbody></table> সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী ১০ টি প্ল্যান্টের নাম দেখে নিন <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_largest_power_stations_in_the_world" target="_blank">[32]</a>। এর একটিও কিন্তু কয়লাভিত্তিক নয়। এবার দেখি কয়লাভিত্তিক সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো।<br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="249" src="http://s11.postimg.org/8ki2wzptv/untitled10.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="640" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">কয়লাভিত্তিক সবচেয়ে বড় ৬ টি বিদ্যুতকেন্দ্র</td></tr> </tbody></table> দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বড় কয়লাভিত্তিক প্ল্যান্টের ক্যাপাসিটি ৫.৭৮০ মেগাওয়াট, যেখানে দশম বৃহত্তম বিদ্যুৎকেন্দ্রের ক্যাপাসিটি ৬.১৩৯ মেগাওয়াট।<br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="400" src="http://s24.postimg.org/69q9pf1lx/untitled11.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="640" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">পৃথিবীর বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান সব উৎস মিলিয়ে ১৫ নম্বরে</td></tr> </tbody></table> পৃথিবীর বৃহত্তম কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের স্থান সব উৎস মিলিয়ে ১৫ নম্বরে <a href="http://www.rediff.com/business/slide-show/slide-show-1-the-worlds-25-biggest-power-plants/20110511.htm#14" target="_blank">[33]</a>।<br /> <br /> বলা হচ্ছে, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের খরচ নাকি তুলনামুলক কম। আসলে কি তাই? চলুন দেখে নিই বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের তুলনামুলক খরচ।<br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="465" src="http://s14.postimg.org/h5i5xwult/untitled12.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="640" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভিন্ন উৎসের তুলনামূলক খরচ</td></tr> </tbody></table> US Energy Information Administration এর রিপোর্ট অনুসারে গ্যাস, বায়ু ও পানি ভিত্তিক বিদ্যুতের খরচ কয়লার তুলনায় তুলনামুলক কম <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Cost_of_electricity_by_source" target="_blank">[34]</a>।<br /> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> এবার চলুন দেখে নিই এসব দেশের বনভূমি কত ভাগ -<br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="494" src="http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/3/3a/Global_Forest_Area.svg/500px-Global_Forest_Area.svg.png" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="640" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বনভূমীর পরিমান</td></tr> </tbody></table> </div> <div style="text-align: justify;"> দেখা যাচ্ছে, চায়নাতে বনভূমি ১৮.২১%, আমেরিকায় ৩০.৮৪%, জাপানে ৬৭%, রাশিয়ায় ৪৫.৪০%, জার্মানিতে ৩১.৭০% ও ভারতে ২৩.৬৮% ; কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে বনভূমি মাত্র ৬.০৫% <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_forest_area" target="_blank">[35]</a>। এই সামান্য পরিমান বনও কি আমরা ধ্বংস করে দেব?</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> বলা হচ্ছে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের দুরত্ব নাকি ১৮ থেকে ২২ কিলোমিটার। কেউ কেউ আবার বলছে ৭০ কিলোমিটার। ম্যাপ দেখার আগে চলুন Environment Impact Assessment (EIA) report দেখে আসি <a href="http://www.indiaenvironmentportal.org.in/reports-documents/final-report-environmental-impact-assessment-2x-500-660-mw-coal-based-thermal" target="_blank">[36]</a>।<br /> <br /> তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে যে সকল ধাপ অনুসরণ করতে হয়, তা খোদ সরকারি ইআইএ রিপোর্টে কীভাবে আছে দেখে নিই। ইআইএ রিপোর্টের ৯৭ পৃষ্ঠায় ধাপগুলো লেখা হয়েছে এভাবে –<br /> <br /> 5.8 <span class="n5mu1" id="n5mu1_8">Project activities</span><br /> <span class="n5mu1" id="n5mu1_5">Pre construction</span> phase<br /> a) Selection of candidate sites<br /> b) Environmental and feasibility study<br /> c) Selection of site<br /> d) Land acquisition & site establishment<br /> <br /> অর্থাৎ সিকোয়েন্সটি হওয়া উচিত এ রকম: সম্ভাব্য একাধিক স্থান শনাক্তকরণ-> পরিবেশগত সমীক্ষা-> কোনো একটি স্থান চূড়ান্তকরণ-> জমি অধিগ্রহণ।<br /> <br /> বাস্তবে এই প্রক্রিয়া মেনে চলা হয়নি। আগে জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তারপর পরিবেশ সমীক্ষা করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ শুরু করা হয়েছে ২০১০ সালে। আর মতামতের জন্য ইআইএ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে। <br /> <br /> ১) এই রিপোর্ট অনুযায়ী, রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ১৮৩৪ একর কৃষি, মৎস চাষ ও আবাসিক এলাকার জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে যদিও ভারতে একই আকারের একটি প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ৭৯২ একর যার বেশির ভাগটাই এক ফসলি কিংবা অনুর্বর পতিত জমি <a href="http://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=2&cad=rja&ved=0CDEQFjAB&url=http%3A%2F%2Fwww.indiaenvironmentportal.org.in%2Ffiles%2FJSW%2520-Executive%2520Summary.pdf&ei=qVpMUoroHqWT0AWW5oCIBw&usg=AFQjCNG7aL_gWBeoJ09Tibjb4dO7wpXFlQ&bvm=bv.53371865,d.Yms" target="_blank">[37]</a> । রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্ট অনুসারে প্রস্তাবিত প্রকল্প এলাকার (১৮৩৪ একর) ৯৫ শতাংশই কৃষি জমি ও চারপাশের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের এলাকার (স্টাডি এলাকা) ৭৫ শতাংশ কৃষি জমি যেখানে নিম্নোক্ত হারে চিংড়ি অথবা ধান সহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন করা হয় (পৃষ্ঠা ১৩৫, ১৯৪, ১৯৭, ১৯৮, ২০৪) :<br /> <ul> <li>বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৬২,৩৫৩ টন এবং প্রকল্প এলাকায় ১২৮৫ টন ধান উৎপাদিত হয়;</li> </ul> <ul> <li>ধান ছাড়াও বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ১,৪০,৪৬১ টন অন্যান্য শস্য উৎপাদিত হয়;</li> </ul> <ul> <li>প্রতি বাড়িতে গড়ে ৩/৪টি গরু, ২/৩টি মহিষ, ৪টি ছাগল, ১টি ভেড়া, ৫টি হাস, ৬/৭টি করে মুরগী পালন করা হয়;</li> </ul> <ul> <li>ম্যানগ্রোভ বনের সাথে এলাকার নদী ও খালের সংযোগ থাকায় এলাকাটি স্বাদু ও লোনা পানির মাছের সমৃদ্ধ ভান্ডার। জালের মতো ছড়িয়ে থাকা খাল ও নদীর নেটওয়ার্ক জৈব বৈচিত্র ও ভারসাম্য রক্ষা করে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে বছরে ৫২১৮.৬৬ মেট্রিক টন এবং প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ৫৬৯.৪১ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়।</li> </ul> EIA রিপোর্টে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রকল্প এলাকায় (১৮৩৪ একর) ধান, মাছ, গৃহপালিত পশুপাখি ইত্যাদির উৎপাদন ধ্বংস হবে স্বীকার করে আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, সঠিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করা হলে এর বাইরের ১০ কিমি এলাকার মধ্যে কোন ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না (!)। যদিও বিভিন্ন ধরণের নির্মাণ কাজ, ড্রেজিং, বিভিন্ন ধরণের রাসায়নিক ও তৈল নি:সরণ ইত্যাদির ফলে পশুর ও মাইদারা নদী, সংযোগ খাল, জোয়ার-ভাটার প্লাবণ ভূমি ইত্যাদি এলাকার মৎস আবাস, মৎস চলাচল ও বৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে আশংকাও প্রকাশ করা হয়েছে। (পৃষ্ঠা ২৬৬, ২৬৭)<br /> <br /> ২) বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মালামাল ও যন্ত্রপাতি সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে নদী পথে পরিবহন করা হবে। এর ফলে বাড়তি নৌযান চলাচল, তেল নি:সরণ, শব্দদূষণ, আলো, বর্জ্য নি:সরণ ইত্যাদি পরিবেশ আইন অনুসারে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে সুন্দরবনের ইকোসিস্টেম বিশেষ করে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, ডলফিন, ম্যানগ্রোভ বন ইত্যাদির উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে ইআইএ রিপোর্টে আশংকা করা হয়েছে। (পৃষ্ঠা ২৬৮)<br /> <br /> ৩) প্রকল্পের জন্য ব্যবহ্রত যন্ত্রপাতি, যানবাহন, জেনারেটর, বার্জ ইত্যাদি থেকে তেল পুড়িয়ে ক্ষতিকর কার্বন ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। এই কার্বন ও নাইট্রোজের পরিমাণ কি হবে ও ক্ষীতকর প্রভাবই বা ৪/৫ বছরের নির্মাণ পর্যায়ে কিরুপ হবে তার কোন পর্যালোচনা ইআইএ রিপোর্টে করা হয় নি।<br /> <br /> ৪) নির্মাণ কাজের যন্ত্রপাতি ও যানবাহন ব্যাবহারের ফলে শব্দ দূষণ হবে। এক্ষেত্রেও নির্মাণ পর্যায়ে শব্দ দূষণের মাত্রা এবং সুন্দরবন ও প্রকল্পের চারপাশের পরিবেশের উপর কি প্রভাব পড়বে তা যাচাই করা হয় নি ইআইএ রিপোর্টে।<br /> <br /> ৫) নির্মাণ পর্যায়ে বিভিন্ন ধরণের কঠিন বর্জ্য তৈরী হবে যা সঠিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে পরিবেশ এর উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে বলে আশংকা করা হয়েছে;<br /> <br /> ৬) নির্মাণস্থলের নিকটবর্তি নদী-খালের পানিতে নির্মাণ যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের তেল নি:সরিত হয়ে পানি দূষণ ঘটাতে পারে।<br /> <br /> ৭) ড্রেজিং এর ফলে নদীর পানি ঘোলা হবে। ড্রেজিং সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না হলে তেল গ্রীজ ইত্যাদি নি:সৃত হয়ে নদীর পানির দূষিত হবে।<br /> <br /> ৮) পশুর নদীর তীরে যে ম্যানগ্রোভ বনের সারি আছে তা নির্মাণ পর্যায়ে জেটি নির্মান সহ বিভিন্ন কারণে কাটা পড়তে পরবে। নদী তীরের ঝোপঝাড় কেটে ফেলার কারণে ঝোপ ঝাড়ের বিভিন্ন পাখি বিশেষ করে সারস ও বক জাতীয় পাখির বসতি নষ্ট হবে। (সূত্র: রামপাল ইআইএ, Impacts: pre-construction and construction stages , পৃষ্ঠা ২৬৩-২৬৮)<br /> <br /> এই রিপোর্টের ২৭৮ পৃষ্ঠায় চোখ রাখলেই দেখা যাবে :<br /> <br /> “The concentration of SO2 in the ambient air near Sundarbans region is found 8 to 10 μg/m3 (field monitoring data, see Table 6.5). Hence, it is found that the resultant concentration (24 hr average after emission contribution and only during November to February) from the power plant) of SO2 in the ambient air may be maximum 53.4 μg/m3 (see Table 8.3c) which is much below the MOEF’s standard (ECR 1997), 80 μg/m3 for residential and rural area.<br /> <br /> Therefore, the concentration of emitted SO2 is very insignificant to have any impact on <span class="n5mu1" id="n5mu1_7">Air quality</span> of Sundarbans.”<br /> <br /> অর্থাৎ কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত SO2 এর কারণে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত সময়ে সুন্দরবনের বাতাসে SO2 এর ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৮ মাইক্রোগ্রাম থেকে বেড়ে ৫৩.৪ মাইক্রোগ্রাম হবে যা পরিবেশ আইন ১৯৯৭ (ECR 1997) অনুযায়ী আবাসিক ও গ্রাম্য (residential and rural) এলাকার জন্য নির্ধারিত মাত্রা প্রতি ঘনমিটারে ৮০ মাইক্রোগ্রাম এর থেকে অনেক কম।<br /> <br /> দেখা যাচ্ছে এখানে পরিবেশ আইন ১৯৯৭ এর কথা বলা হয়েছে এবং সুন্দরবন এলাকার জন্য আবাসিক ও গ্রাম্য এলাকার মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে!<br /> <br /> কিন্তু প্রশ্ন হল, সুন্দরবন কি আবাসিক বা গ্রাম এলাকা, নাকি পরিবেশগতভাবে স্পর্শকাতর একটি এলাকা? তাহলে সুন্দরবনের মতো পরিবেশগত স্পর্শকাতর একটি এলাকার মানদণ্ড হিসেবে আবাসিক ও গ্রাম এলাকার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড বেছে নেওয়া হল কেন?<br /> <br /> পরিবেশ সংরক্ষণ আইন- ১৯৯৭ ঘাঁটলে যে কেউই কারণটা বুঝতে পারবেন। এই আইন অনুসারে পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার বাতাসে ‍SO2 ও NO2 এর ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রাম (30 μg/m3) এর চেয়ে বেশি থাকা যাবে না। <a href="http://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=3&cad=rja&ved=0CE0QFjAC&url=http%3A%2F%2Fwww.moef.gov.bd%2Fhtml%2Flaws%2Fenv_law%2F178-189.pdf&ei=oP5SUryOAcSfiQf2-oHQDA&usg=AFQjCNGCW4BKo5oAln9DGDTcKwxUHpYLZg&sig2=axrGSYBECJPTQRSm69Fejg&bvm=bv.53537100,d.aGc" target="_blank">[38]</a><br /> <br /> যেহেতু পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ডের (30 μg/m3) সঙ্গে তুলনা করলে রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প কোনোভাবেই জায়েজ করা যাবে না, সেজন্য পরিকল্পিতভাবেই রিপোর্টজুড়ে সুন্দরবনের বাতাসে বিষাক্ত গ্যাসের ঘনত্বের মানদণ্ড হিসেবে আবাসিক ও গ্রাম এলাকার জন্য নির্ধারিত মানদণ্ড ব্যবহার করা হয়েছে!<br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="http://www.downtoearth.org.in/dte/userfiles/images/plant%281%29.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">রামপাল প্রকল্পের অবস্থান</td></tr> </tbody></table> <br /> এই রিপোর্ট অনুসারে বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সুন্দরবনের দুরত্ব ১৪ কিলোমিটার। আরও ডিটেইলস ম্যাপ দেখুন।<br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="640" src="https://fbcdn-sphotos-b-a.akamaihd.net/hphotos-ak-frc3/1378580_454739877973274_1420343602_n.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="452" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">রামপাল প্রকল্প থেকে সুন্দরবনের দূরত্ব</td></tr> </tbody></table> দেখা যাচ্ছে যে, এই বিদ্যুৎকেন্দ্র <span class="n5mu1" id="n5mu1_2">Environmental impact assessment</span> guidelines অমান্য করছে সেখানে বলা আছে যে, বনভূমির ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কোন বড় শিল্প স্থাপন করা যাবে না <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Rampal_Power_Station" target="_blank">[39]</a>।<br /> <br /> <span class="userContent" data-ft="{"tn":"K"}"><span class="text_exposed_show">বলা হচ্ছে, ভারতেও নাকি আইন আছে যে সেখানেও বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের ভিতরে কোন শিল্পকারখানা বা বনের জন্য ক্ষতিকর কিছু স্থাপন করা যাবে না। ১০ কিমি দূরত্বের কথা বলে প্রমাণ হিসেবে যে লিংকটি দেয়া হয়েছে, সেখানে ঢুকলে যে কেউই দেখতে পারবেন, এই গাইড লাইনটি তাপবিদ্যুৎ স্থাপন সংক্রান্ত নয়, এটি হলো: Guidelines for diversion of forest land for non-forest purpose অর্থাৎ বনভূমির কত দুরের ভূমি বনায়ন ব্যাতিত অন্যান্য কাজে ব্যাবহার করা যাবে সে সম্পর্কিত গাইড লাইন। <a href="http://envfor.nic.in/assets/fc-guidlines-1.pdf" target="_blank">[40]</a><br /> <br /> প্রকৃতপক্ষে, ভারতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংরক্ষিত বনাঞ্চল, শহর-বন্দর থেকে কত দূরত্বে স্থাপন করতে হবে সে বিষয়ে আলাদা করে একটি ইআইএ গাইড লাইন আছে যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে:</span></span><br /> <br /> <span class="userContent" data-ft="{"tn":"K"}"><span class="text_exposed_show">“Locations of thermal power stations are avoided within 25 km of the outer periphery of the following:<br /> <br /> – metropolitan cities;<br /> – National park and wildlife sanctuaries;<br /> – Ecologically sensitive areas like tropical forest, <span class="n5mu1" id="n5mu1_4">biosphere reserve</span>, important lake and coastal areas rich in coral formation;” <a href="http://www.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fenvfor.nic.in%2Fsites%2Fdefault%2Ffiles%2FTGM_Thermal%2520Power%2520Plants_010910_NK.pdf&h=NAQHsXpNe&enc=AZOe4MueevIQcgjeh09KWLnJg-11T_5uQWg0CEL_V7FnK_Nn4PA17UvTSXcQOvyct25XKHAeRGN8F-JsIby_kTyuJow1aLhN4vi_P_EFsslwU9UTF7ln8b2lY7W8Hxc6py3q01hR7feS3h3RC89BxYmU&s=1" rel=" nofollow" target="_blank">[41]</a><br /> <br /> তাহলে, ভারতের পরিবেশ ও বনমন্ত্রণালয়ের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ সংক্রান্ত গাইড লাইনে যখন স্পষ্ট করে নগর, জাতীয় উদ্যান, বণ্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকা ইত্যাদির ২৫ কিমি সীমার মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে, সেখানে কি কারণে বনভূমির অবনজ ব্যাবহারের গাইড লাইনটি বেছে নেয়া? জেনে বুঝেই পাঠককে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যেই কি এই কৌশল?<br /> <br /> সীসা, পারদ, আর্সেনিক ইত্যাদি বিষাক্ত ভারি ধাতুসম্পন্ন ছাই দিয়ে ১৪১৪ একর জমি ভরাট করার তথ্যটিকে সোজা অসত্য বলা হয়েছে! আচ্ছা, তারা কি এই ইআইএটি আসলেই পড়েছেন নাকি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ইআইএ’র অস্তিত্ব আছে? ইআইএর ১০৬ পৃষ্ঠায় তো দেখছি স্পষ্ট লেখা আছে:</span></span></div> <div style="text-align: justify;"> <br /> <span class="userContent" data-ft="{"tn":"K"}"><span class="text_exposed_show">“At first phase, only 420 acres of land will be developed for the main plant and township by dredged material and the rest area (1,414 acres) will be developed gradually with generated ash.”</span></span><br /> <br /> <span class="userContent" data-ft="{"tn":"K"}"><span class="text_exposed_show"> </span></span><span class="userContent" data-ft="{"tn":"K"}"><span class="text_exposed_show">অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে কেবল ৪২০ একর জমি মূল প্ল্যান্ট এবং টাউনশিপ এর জন্য ড্রেজিং করা মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে আর বাকি এলাকা (১৪১৪ একর) উৎপাদিত ছাই দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভরাট করা হবে।</span></span><br /> <span class="userContent" data-ft="{"tn":"K"}"><span class="text_exposed_show"><br /> </span></span><br /> <span class="userContent" data-ft="{"tn":"K"}"><span class="text_exposed_show">চলুন এবার দেখি এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা পরিবহণের রুট:</span></span><br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" height="640" src="http://opinion.bdnews24.com/bangla/wp-content/uploads/map-ed.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" width="512" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কয়লা পরিবহনের রুট</td></tr> </tbody></table> সুন্দরবনে শব্দদুষণের অভিযোগ তুললে বলা হচ্ছে, "সদরঘাটে নির্মাণকাজ চললে সেই শব্দ ১৪ কিলোমিটার দূরে মিরপুরে পৌঁছানোর ব্যাপারটি কি যৌক্তিক? সেখানে সুন্দরবনের স্পর্শকাতর জায়গাগুলো ৭২ কিলোমিটার দূরে।" </div> <div style="text-align: justify;"> <br /> মুশকিল হল, গোটা সুন্দরবনটাই যেখানে পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকা এবং কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সুন্দরবন থেকে ১৪ কিমি দূরে অবস্থিত– সেখানে আলাদা করে ‘সুন্দরবনের স্পর্শকাতর জায়গাগুলো ৭২ কিলোমিটার দূরে’ বলতে কি বোঝানো হচ্ছে তা বোধগম্য নয়। <br /> <br /> যদি সুন্দরবনের স্পর্শকাতর জায়গা বলে ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বোঝানো হয়, তাহলেও বিপদ কমে না। কারণ কয়লাভর্তি বড় বড় জাহাজ চলাচল এবং কয়লা উঠানো-নামানোর কোল টার্মিনালটি একেবারে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের পাশেই পড়েছে। ফলে সরাসরি শব্দদূষণসহ অন্যান্য দূষণের শিকার হবে।<br /> <br /> কাজেই সদরঘাটের নির্মাণকাজের শব্দ ১৪ কিমি দূরের মিরপুরে না পৌঁছালেও সেই নির্মাণকাজের মালামাল যদি মিরপুরের মধ্যে দিয়ে পরিবহণ ও লোড-আনলোড করা হয় তাহলে মিরপর শব্দদূষণের শিকার হবে বৈকি!<br /> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে কয়লা পরিবহণের বিপদ সম্পর্কে প্রশ্ন তোলায় বর্তমানে শত শত জাহাজ পশুর নদীর মধ্যে দিয়ে চলাচলের কথা উল্লেখ করে বলা হচ্ছে, "বাড়তি দুটি জাহাজ চলাচলে কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা নেই।" আরও বলা হচ্ছে, "কয়লাবাহী জাহাজে উত্তাল সমুদ্রের মধ্য দিয়ে খোলা কনটেইনারে করে কয়লা আনা হবে যা থেকে ঝপাৎ ঝপাৎ করে কয়লা পানিতে পড়ে যাবে – এটি শুধু অমূলক দুশ্চিন্তাই নয়, কল্পনাপ্রসূতও বটে।" </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মুশকিল হল, ঝপাৎ ঝপাৎ করে কয়লা পানিতে পড়ে দূষণ হওয়া কিংবা কয়লা খোলা অবস্থায় পরিবহণ করার অভিযোগ কারা করেছে আমাদের জানা নেই, যেমন জানা নেই বর্তমানে যে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে জাহাজ চলাচল করছে তাতে কোনো ক্ষতি হচ্ছে না এ রকম কথা কারা বলছে! </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আমাদের বক্তব্য হল, কয়লা যতই ঢেকে পরিবহণ করা হোক কিংবা জাহাজের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হোক, তাতে জাহাজের কয়লাস্তূপ থেকে চুইয়ে পড়া কয়লা-ধোয়া বিষাক্ত পানি (বিলজ ওয়াটার), অ্যাংকরেজ পয়েন্টে কয়লা লোড-আনলোড করার সময় সৃষ্ট দূষণ, কয়লার গুড়া, জাহাজ-নিঃসৃত তেল-আবর্জনা, জাহাজ চলাচলের শব্দ, ঢেউ, বনের ভেতরে জাহাজের সার্চলাইটের তীব্র আলো, জাহাজের ইঞ্জিন থেকে নির্গত বিষাক্ত সালফার ও নাইট্রোজেন গ্যাস ইত্যাদির ক্ষতিকর প্রভাব দূর হয়ে যায় না।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আর বর্তমানে যে জাহাজ চলাচল করছে সেগুলো অপেক্ষাকৃত ছোট জাহাজ, কয়েকশো টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। সেগুলোর প্রভাবে ইতোমধ্যেই সুন্দরবনের ক্ষতি হতে শুরু করেছে, সে বিষয়ে পত্রপত্রিকায় রিপোর্টও বেরিয়েছে । </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যেমন ১৫ মার্চ, ২০১৩ প্রথম আলো "সংকটে সুন্দরবন, সেই নৌপথ বন্ধ হয়নি" শীর্ষক রিপোর্টে লিখেছে: "সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চালু হওয়া নৌপথের কারণে পূর্ব সুন্দরবন প্রাণিশূন্য হতে শুরু করেছে। প্রতিদিন প্রায় ১৫০টি বিশাল আকৃতির নৌযান বনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এসব নৌযানের ঢেউ, ফেলে যাওয়া বর্জ্য তেল ও শব্দদূষণের কারণে বনের দুই পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বৃক্ষ, লতা, গুল্ম মরতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে বনের জীববৈচিত্র্য বিপন্ন হয়ে পড়েছে।" <a href="http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-15/news/336696">[42]</a> </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সাধারণ নৌযান চলাচলের ফলেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে দুষণকারী কয়লাভর্তি বড় বড় জাহাজ চলাচল করলে কিংবা সেই কয়লাভর্তি জাহাজডুবি হলে সুন্দরবনের কী অবস্থা হবে সেটা কিন্তু আসলেই চিন্তার বিষয়। যেমন অস্ট্রেলিয়াতে ২০১০ সালে গ্রেট ব্যারিয়ার রিফের কাছে কয়লাভর্তি জাহাজডুবিতে এমন ক্ষতি হয়েছে যা পূরণ করতে ২০ বছর লেগে যাবে <a href="http://www.treehugger.com/corporate-responsibility/updated-coal-carrying-ship-wrecked-on-barrier-reef-leaves-2-mile-scar-20-year-damage.html">[43]</a>।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অস্ট্রেলিয়ার মত উন্নত দেশে যদি এমন অবস্থা হয় তাহলে আমাদের সুন্দরবনে এমন কোন ক্ষতি হলে আমরা কিভাবে পূরণ করবো?</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> পানি উত্তোলন ও নদীদূষণ সম্পর্কে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে উত্তোলিত পানির পরিমাণ পশুর নদীর মোট পানিপ্রবাহের তুলনায় এতই কম যে, কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই। পশুর নদী থেকে ঘণ্টায় ৯১৫০ ঘন মিটার হারে পানি প্রত্যাহারের ফলে পানির লবণাক্ততা, নদীর পলিপ্রবাহ, প্লাবন, জোয়ার-ভাটা, মাছসহ নদীর উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎ ইত্যাদির উপর কেমন প্রভাব পড়বে তার কোনো বিশ্লেষণ করা হয়নি এই যুক্তিতে যে, এই পানি পশুর নদীর শুকনো মৌসুমের মোট পানিপ্রবাহের ১ শতাংশেরও কম।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> দুর্ভাবনার বিষয় হল, প্রত্যাহার করা পানির পরিমাণ ১ শতাংশেরও কম দেখানোর জন্য পানিপ্রবাহের যে তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে তা সাম্প্রতিক সময়ের নয়, ৮ বছর আগে, ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সংগৃহীত। (রামপাল ইআইএ পৃষ্ঠা ২৮৫)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অথচ এই ইআইএ রিপোর্টেই স্বীকার করা হয়েছে, নদীর উজানে শিল্প, কৃষি, গৃহস্থালিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে নদী থেকে দিনে দিনে পানি প্রত্যাহারের পরিমাণ বাড়ছে যার ফলে শুকনো মৌসুমে দিন দিন পানির প্রবাহ কমে যাচ্ছে যা পশুর নদীর জন্যও একটি চিন্তার বিষয় (রামপাল ইআইএ পৃষ্ঠা ২৫০)।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণের সময় লাগবে সাড়ে ৪ বছর এবং অপারেশনে থাকবে অন্তত ২৫ বছর। তাহলে এই দীর্ঘ সময় জুড়ে পশুর নদীর পানিপ্রবাহ ইআইএ রিপোর্ট অনুসারেই ২০০৫ সালের অনুরূপ থাকার কথা নয়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ফলে ওই সময়ে পশুর নদী থেকে ঘণ্টায় ৪ হাজার মিটার পানি প্রত্যাহার করলে তা পশুর নদীর পানিপ্রবাহের উপর কী কী প্রভাব ফেলবে তার গভীর পর্যালোচনা ছাড়া স্রেফ নদীর হাইড্রোলজিক্যাল বৈশিষ্টের কোনো পরিবর্তন নাও হতে পারে (may not be changed) জাতীয় কথাবার্তা বলে পার পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আর যতই পানি পরিশোধনের কথা বলা হোক, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি নির্গমন হলে তাতে বিভিন্ন মাত্রায় দূষণকারী উপাদান থাকবেই। যে কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বেলায় ‘শূণ্য নির্গমণ’ বা ‘জিরো ডিসচার্জ’ নীতি অবলম্বন করা হয়। যে এনটিপিসি রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, সেই এনটিপিসি যখন ভারতে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করে তখন ‘জিরো ডিসচার্জ’ নীতি অনুসরণ করে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যেমন: ভারতের ছত্তিশগড়ের রায়গড়ের কাছে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে: Zero Discharge concepts will be followed <a href="http://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=2&cad=rja&ved=0CDEQFjAB&url=http%3A%2F%2Fwww.indiaenvironmentportal.org.in%2Ffiles%2FJSW%2520-Executive%2520Summary.pdf&ei=qVpMUoroHqWT0AWW5oCIBw&usg=AFQjCNG7aL_gWBeoJ09Tibjb4dO7wpXFlQ&bvm=bv.53371865,d.Yms">[44]</a></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অথচ রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ই্আইএ রিপোর্টে বলা হয়েছে:</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> To meet the water demand for plant operation, domestic water, environmental management 9,150 m3/hr (equivalent to 2.54 m3/s) surface water will be withdrawn from the Passur river and after treatment water shall be discharged back to the Passur river at the rate of 5,150 m3/hr</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ "প্ল্যান্ট পরিচালনা, ঘরোয়া ব্যবহার, পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কাজে পশুর নদী থেকে ঘণ্টায় ৯১৫০ ঘনমিটার পানি সংগ্রহ করা হবে এবং পরিশোধন করার পর পানি পশুর নদীতে ঘন্টায় ৫১৫০ ঘনমিটার হারে নির্গমন করা হবে।" </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি নির্গমন করা হলে নির্গত পানির তাপমাত্রা, পানি নির্গমণের গতি, পানিতে দ্রবীভূত নানান উপাদান বিভিন্ন মাত্রায় পানি দূষণ ঘটাবে যা গোটা সুন্দরবন এলাকার পরিবেশের জন্য বিপদজনক হয়ে উঠবে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> আপনারা কি রামসার কনভেনশনের কথা জানেন? এই কনভেনশন ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইরানের রামসারে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই কনভেনশনে জলাভূমি ও বনাঞ্চল রক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যা ২১ ডিসেম্বর ১৯৭৫ সাল থেকে কার্যকর হয় <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Ramsar_Convention">[45]</a>।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশ এতে সই করে ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৯২ সালে <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Ramsar_Convention_contracting_parties">[46]</a>। বাংলাদেশের দুটি স্থান রামসার ওয়েটল্যান্ড এর আওতাভুক্ত হয়। যার একটি হলো সুন্দরবন ও অপর স্থানটি হলো টাঙ্গুয়ার হাওড় <a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Ramsar_wetlands_of_international_importance#Bangladesh">[47]</a>।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> জলাভূমি সংরক্ষণ বিষয়ক রামসার কনভেনশনের সচিবালয় থেকে গত ২২ জুন ২০১১ তারিখে বাংলাদেশের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। চিঠিতে রামসার সচিবালয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে নিম্নোক্ত তিনটি বিষয়ে জানতে চায়:</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১) রামসার সাইট সুন্দরবনের পাশে পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়াই কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ব্যাপারে। এ বিষয়ে রামসার সচিবালয় সংবাত পত্রে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করে যে, সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ১-২ কিমি দূরে প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হলে প্রচুর কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন সহ অত্যাধিক ধূলা নির্গত হবে। ফলে ক্রমান্বয়ে ঐ এলাকার উদ্ভিদ ও প্রাণী তথা জীব-বৈচিত্রের উপর বিরুপ প্রভাবের আশংকা রয়েছে। তাই রামসার সচিবালয় সুন্দরবনের উপর সম্ভাব্য প্রভাবের জন্য ইআইএ সম্পর্কে জানতে চায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ২) সুন্দরবনের আক্রাম পয়েন্টে কয়লা লোড আনলোডের পরিকল্পনা সম্পর্কে। রামসার কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে ফুলবাড়ী প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে কয়লা রপ্তানির জন্য আক্রাম পয়েন্টে কয়লা উঠা নামা করা এবং জাহাজ চলাচলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া ও ভৌত অবকাঠামা নির্মাণের ফলে সুন্দরবনের উপর সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে জানতে চায়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ৩) সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সীমার মধ্যে একটি শীপ ইয়ার্ড ও সাইলো নির্মাণের সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> চিঠিটির অনুলিপিঃ</div> <table cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="https://fbcdn-sphotos-c-a.akamaihd.net/hphotos-ak-prn1/s720x720/943215_10151685415192668_1712242308_n.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">রামসারের চিঠি</td></tr> </tbody></table> <br /> <div style="text-align: justify;"> অর্থাৎ, রামপালের এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রামসার কনভেনশনেরও সুস্পষ্ট লংঘন।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> প্রধান সংরক্ষক ইশতিয়াক উদ্দীন আহমদ গত ২৯ সেপ্টম্বর ২০১১ তারিখে পরিবেশ ও বন মন্ত্রনালয় বরাবর চিঠি দিয়ে জানান:</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> Sundarbans Ramsar Site সুন্দরবনের অংশ যার Legal Custodian বন অধিদপ্তর। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে এবং Landscape Zone এ এমন কোন শিল্প কারখানা স্থাপনা করা যুক্তিযুক্ত হবে না যা সুন্দরবন তথা Sundarbans Ramsar Site এর জীববৈচিত্রের উপর ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে। কয়লা ভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের Royal Bengal Tiger তথা সমগ্র সুন্দরবনের জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন হবে। বাংলাদেশ Ramsar Conservation এর Signatory থাকায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র রক্ষার বাধ্যবাধকতা আন্তর্জাতিক ভাবেও আরও বেশি দ্বায়িত্বশীল করে। বন সংরক্ষক, খুলন অঞ্চল সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় কয়লা ভত্তিক Power Plant স্থাপন করা হলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। Sundarbans Ramsar Site (World Heritage Site) বিধায় কয়লা ভিত্তিক Power Plant প্রকল্প গ্রহণের বিষয়টি জীববৈচিত্র সংরক্ষণকে গুরুত্ব দিয়ে পুন:বিবেচনা করার জন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হলো।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> চিঠিটি নিম্নরূপঃ</div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><img border="0" src="https://fbcdn-sphotos-e-a.akamaihd.net/hphotos-ak-ash3/s720x720/1010280_10151685451957668_824808833_n.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;" /></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">প্রধান বন সংরক্ষক এর চিঠি</td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> এমনকি ভারতের সাথে চুক্তি নিয়েও মিথ্যাচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে ভারত ৫০:৫০ অনুপাতে টাকা দেবে এবং ৫০:৫০ অনুপাতে বিদ্যুৎ নেবে। আসলে কি তাই? চলুন দেখি এর খুটিনাটি।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের EIA রিপোর্টে বলা হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশের বিদ্যুৎ এর শেয়ার হবে ৫০:৫০। যেটা দেখিয়েই মুলত বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কিন্তু কাহিনী কিন্তু এখানেই শেষ নয়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> একই রিপোর্টে এটাও লেখা হয়েছে যে, মোট অর্থায়নের ৭০ শতাংশ আসবে বিদেশী লোন থেকে, যেটা নেবে বাংলাদেশ এবং যেটার পুরোটা শোধ করতে হবে বাংলাদেশকেই। বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ বাংলাদেশের পিডিবি ও ১৫ শতাংশ দেবে ভারতের NTPC (Executive Summary, পৃষ্ঠা xxxii)। অর্থাৎ বাংলাদেশকে দিতে হবে ৭০+১৫ = ৮৫ শতাংশ। আর ভারতকে দিতে হবে মাত্র ১৫ শতাংশ। এর মানে দাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ৮৫ শতাংশ টাকা দিয়েও বিদ্যুৎ পাবে ৫০ শতাংশ। আর ভারত ১৫ শতাংশ টাকা দিয়েও সেই ৫০ শতাংশই পাবে। সাথে যোগ করুন পরিবেশজনিত ক্ষতি যার পুরোটা বহন করতে হবে বাংলাদেশকেই। </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> শুধু বাংলাদেশ নয়, একই কথা লেখা হয়েছে খোদ ভারতের সংবাদমাধ্যমেও।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> সুন্দরবন মায়ের মতন। একে আমরা ধ্বংস হতে দিতে পারি না। সকল মিথ্যা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। সুন্দরবন রক্ষায় এগিয়ে আসুন। সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎকেন্দ্র চাই না।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> (বেশ কিছু তথ্যের সন্ধান পাওয়া গেছে Kallol Mustafa এর বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও নোট থেকে)</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div> <div style="text-align: justify;"> রেফারেন্সঃ<br /> <ol> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_generation" target="_blank">Electricity generation - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://data.worldbank.org/indicator/EG.ELC.COAL.ZS" target="_blank">Electricity production from coal sources - The World Bank</a></li> <li><a href="http://srren.ipcc-wg3.de/report/IPCC_SRREN_Annex_II.pdf" target="_blank">2011 IPCC aggregated results - Page 10</a></li> <li><a href="http://www.nirs.org/climate/background/sovacool_nuclear_ghg.pdf" target="_blank">Benjamin K. Sovacool, Valuing the greenhouse gas emissions from nuclear power: A critical survey - page 2950.</a></li> <li><a href="http://www.thedailygreen.com/environmental-news/latest/Acid-Rain-Vehicles-Coal-47102213" target="_blank">Vehicles Are Not the Cause of Most Acid Rain : New USGS Study Links Ongoing Nitrate Pollution to Distant Coal-Fired Industry - The Daily Green</a></li> <li><a href="http://www.ucsusa.org/clean_energy/coalvswind/c02c.html" target="_blank">Environmental impacts of coal power: air pollution - Union of Concerned Scientists</a></li> <li><a href="http://www.greenpeace.org/international/en/campaigns/climate-change/coal/Coal-Power-Plants/" target="_blank">Coal Power Plants - Greenpeace International</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_electricity_production" target="_blank">List of countries by electricity production - Wikipedia, the free encyclopedia</a> </li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_sector_in_China" target="_blank">Electricity sector in China - Wikipedia, the free encyclopedia</a> </li> <li><a href="http://insights.wri.org/news/2013/08/majority-china%E2%80%99s-proposed-coal-fired-power-plants-located-water-stressed-regions" target="_blank">Majority of China’s Proposed Coal-Fired Power Plants Located in Water-Stressed Regions - Tianyi Luo, Betsy Otto and Andrew Maddocks - WRI Insights</a> </li> <li><a href="http://www.curiosityaroused.com/world/10-most-polluted-cities-in-the-world/" target="_blank">10 Most Polluted Cities In The World - Curiosity Aroused</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Pollution_in_China" target="_blank">Pollution in China - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://www.npr.org/templates/story/story.php?storyId=10221268" target="_blank"> Air Pollution Grows in Tandem with China's Economy - Louisa Lim - NPR</a></li> <li><a href="http://www.nytimes.com/2007/08/26/world/asia/26china.html?pagewanted=all&_r=0" target="_blank">As China Roars, Pollution Reaches Deadly Extremes - JOSEPH KAHN and JIM YARDLEY - The New York Times</a></li> <li><a href="http://urbanpeek.com/2013/04/13/top-10-cities-with-the-worlds-worst-air/" target="_blank">Top 10 Cities With the World’s Worst Air - Urbanpeek</a></li> <li><a href="http://center.sustainability.duke.edu/resources/green-facts-consumers/what-largest-fuel-source-electricity-united-states" target="_blank">What is the largest fuel source for electricity in the United States ? - Duke University Center for Sustainability and Commerce</a></li> <li><a href="http://www.greentechmedia.com/articles/read/coal-generation-drops-to-30-year-low" target="_blank">Coal Generation Drops to 30-Year Low - Katherine Tweed - Greentechmedia</a></li> <li><a href="http://www.eia.gov/todayinenergy/detail.cfm?id=5331&src=email" target="_blank">Coal's share of total U.S. electricity generation falls below 40% in November and December - U.S. Energy Information Administration</a></li> <li><a href="http://thinkprogress.org/climate/2012/05/14/483432/us-coal-generation-drops-19-percent-in-one-year-leaving-coal-with-36-percent-share-of-electricity/" target="_blank">U.S. Coal Generation Drops 19 Percent In One Year, Leaving Coal With 36 Percent Share Of Electricity - Stephen Lacey - Climate Progress</a></li> <li><a href="http://ens-newswire.com/2013/07/24/white-house-undercuts-coal-power-plant-water-pollution-rule/" target="_blank">White House Undercuts Coal Power Plant Water Pollution Rule - Environmental News Service</a></li> <li><a href="http://www.lung.org/press-room/press-releases/statement-of-charles-d.html" target="_blank">Statement of Charles D. Connor, President and Chief Executive Officer, American Lung Association</a> </li> <li><a href="http://www.stopthecoalplant.org/" target="_blank">Stop the Coal Plant</a></li> <li><a href="http://www.edf.org/energy/edf-helps-prevent-eight-coal-plants-texas" target="_blank">EDF helps prevent eight coal plants in Texas - Environmental Defense Fund</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_sector_in_Japan" target="_blank">Electricity sector in Japan - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Electricity_sector_in_Russia" target="_blank">Electricity sector in Russia - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://www.euronuclear.org/info/encyclopedia/p/pow-plant-out-ger.htm" target="_blank">Power plant output in the Federal Republic of Germany - European Nuclear Society</a></li> <li><a href="http://www.euronuclear.org/info/encyclopedia/p/pow-gen-ger.htm" target="_blank">Power generation, Germany - European Nuclear Society</a></li> <li><a href="http://www.sourcewatch.org/index.php?title=Opposition_to_coal_in_India" target="_blank">Opposition to coal in India - Sourcewatch</a></li> <li><a href="http://www.thehindu.com/news/national/article819873.ece" target="_blank">NTPC’s coal-based project in MP turned down - The Hindu</a></li> <li><a href="http://www.thehindu.com/news/national/tamil-nadu/green-tribunal-suspends-environmental-clearance-for-cuddalore-power-project/article3453104.ece" target="_blank">Green tribunal suspends environmental clearance for Cuddalore power project</a></li> <li><a href="http://www.telegraph.co.uk/earth/earthnews/3307953/Indian-villages-relocate-to-save-Bengal-Tiger.html" target="_blank">Indian villages relocate to save Bengal Tiger - The Telegraph</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_largest_power_stations_in_the_world" target="_blank">List of largest power stations in the world - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://www.rediff.com/business/slide-show/slide-show-1-the-worlds-25-biggest-power-plants/20110511.htm#14" target="_blank">The world's 25 biggest power plants - Rediff Business</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Cost_of_electricity_by_source" target="_blank">Cost of electricity by source - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_countries_by_forest_area" target="_blank">List of countries by forest area - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://www.indiaenvironmentportal.org.in/content/381730/final-report-on-environmental-impact-assessment-of-2x-500-660-mw-coal-based-thermal-power-plant-to-be-constructed-at-the-location-of-khulna/" target="_blank">Final report on environmental impact assessment of 2x (500-660) MW coal based thermal power plant to be constructed at the location of Khulna</a></li> <li><a href="http://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=2&cad=rja&ved=0CDEQFjAB&url=http%3A%2F%2Fwww.indiaenvironmentportal.org.in%2Ffiles%2FJSW%2520-Executive%2520Summary.pdf&ei=qVpMUoroHqWT0AWW5oCIBw&usg=AFQjCNG7aL_gWBeoJ09Tibjb4dO7wpXFlQ&bvm=bv.53371865,d.Yms" target="_blank">Raigarh Coal Fired Thermal Power Plant EIA report, Page E - 1</a></li> <li><a href="http://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=3&cad=rja&ved=0CE0QFjAC&url=http%3A%2F%2Fwww.moef.gov.bd%2Fhtml%2Flaws%2Fenv_law%2F178-189.pdf&ei=oP5SUryOAcSfiQf2-oHQDA&usg=AFQjCNGCW4BKo5oAln9DGDTcKwxUHpYLZg&sig2=axrGSYBECJPTQRSm69Fejg&bvm=bv.53537100,d.aGc" target="_blank">The Environment Conservation Rules, 1997 (Page 204)</a> </li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Rampal_Power_Station" target="_blank">Rampal Power Station (Proposed) - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://envfor.nic.in/assets/fc-guidlines-1.pdf" target="_blank">Guidelines for diversion of forest land for non-forest purpose</a></li> <li><a href="http://envfor.nic.in/sites/default/files/TGM_Thermal%20Power%20Plants_010910_NK.pdf" target="_blank">Technical EIA Guidance Manual For Thermal Power Plants - Ministry of Environment and Forest, Government of India (Page 4-9)</a></li> <li><a href="http://archive.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-15/news/336696" target="_blank">সংকটে সুন্দরবন, সেই নৌপথ বন্ধ হয়নি - প্রথম আলো</a> </li> <li><a href="http://www.google.com.bd/url?sa=t&rct=j&q=&esrc=s&source=web&cd=2&cad=rja&ved=0CDEQFjAB&url=http%3A%2F%2Fwww.indiaenvironmentportal.org.in%2Ffiles%2FJSW%2520-Executive%2520Summary.pdf&ei=qVpMUoroHqWT0AWW5oCIBw&usg=AFQjCNG7aL_gWBeoJ09Tibjb4dO7wpXFlQ&bvm=bv.53371865,d.Yms" target="_blank">Raigarh Coal Fired Thermal Power Plant EIA report, Page E - 12</a> </li> <li><a href="http://www.treehugger.com/corporate-responsibility/updated-coal-carrying-ship-wrecked-on-barrier-reef-leaves-2-mile-scar-20-year-damage.html" target="_blank">UPDATED: Coal-Carrying Ship Wrecked on Barrier Reef Leaves 2-Mile Scar, 20-Year Damage - Treehugger</a> </li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/Ramsar_Convention" target="_blank">Ramsar Convention - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Ramsar_Convention_contracting_parties" target="_blank">List of parties to the Ramsar Convention - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> <li><a href="http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Ramsar_wetlands_of_international_importance#Bangladesh" target="_blank">List of Ramsar wetlands of international importance - Wikipedia, the free encyclopedia</a></li> </ol> </div> </div>

রামপাল প্রকল্প নিয়ে শুভঙ্করের ফাঁকি ও তার জবাব

রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের পক্ষে নানা ধরণের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। এর মধ্যে কিন্তু বেশ কিছু শুভঙ্করের ফাঁকি লুকিয়ে আছে। সেগুলোর ...

Read more »