মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div> <b>৩১ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মির্জাপুর থানার পাথরঘাটায় মুক্তিবাািহনী পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলা বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন পাঞ্জাবী সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ২ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লায় পাকহানাদার বাহিনীর কটেশ্বর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে পাকসেনা আর্টিলারী ও র্২র্ মর্টারের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। প্রায় একঘন্টা ব্যাপী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৭ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা লক্ষ্মীপুরে অবস্থানরত রাজাকারদেও ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ৪ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>‘সানডে টাইমস পত্রিকায় বাংলাদেশস্থ প্রতিনিধি জানান, প্রায় ৮ শতাধিক গেরিলা সম্প্রতি ঢাকা শহরের কর্মব্যস্ত অঞ্চলে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে। গেরিলাদের আক্রমণের ফলে পাকবাহিনী বিমানঘাঁটি যাওয়ার পথে পিল বক্স তৈরী করেছে এবং পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ওয়েজের বিমানগুলি ওঠানামার পদ্ধতিও বদলে গেছে। এতদিন পর্যন্ত বোয়িং বিমানগুলি সব আলো জ্বেলে ঢাকা বিমানঘাঁটিতে বিতরণ করতো। কিন্তু এখন বিমানগুলি যথাসম্ভব বিনা আলোয় জলের উপর দিয়ে উড়ে গিয়ে বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করে। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথের মধ্যে পাক-ভারত সঙ্কট ও বাংলাদেশ বিষয়ের ওপর আনুষ্ঠানিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>নয়াদিল্লীতে ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা দফতরের একজন মুখপাত্র বলেন, সীমান্তে পাকিস্তান ও ভারতের সেনাবাহিনী মাত্র ১/২ মাইলের ব্যবধানে পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থান করছে। ইতিমধ্যে ভারতীয় সৈন্যরা পূর্ব সীমান্তে বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি হামলা প্রতিহত করেছে। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিক পাকিস্তানের উর্দু ডাইজেস্ট এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিকল্পনা বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে বেশ কয়েক বছর আগে থেকে পরিচালিত হিসেব করা আন্দোলনেরই ফল। বাঙালি জাতীয়তাবাদ যে পাকিস্তানের আদর্শের পরিপন্থী তা নিশ্চিতভাবে প্রমানিত হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়, পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের উপ-নির্বাচনে আরো ১১ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছে। এ নিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৬ জন। </li> </ul> <ul> <li>শিখ নেতা ডঃ জগজিৎ সিং চৌহান লন্ডন থেকে লাহোর আসেন। লাহোরে তিনি বলেন, ‘ইন্দিরা গান্ধী যদি প্রকৃতই ‘বাংলাদেশ’ প্রবক্তাদের সাহায্য করতে চান, তাহলে শেখ মুজিবুর রহমান ও তাজউদ্দিনকে তাদের সরকার গঠনের জন্যে তাঁর পশ্চিমবঙ্গও দিয়ে দেয়া উচিত।’</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ অক্টোবর, ১৯৭১

৩১ অক্টোবর, ১৯৭১ মির্জাপুর থানার পাথরঘাটায় মুক্তিবাািহনী পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলা ব...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ৩০ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>৫নং সেক্টরে তাহেরউদ্দিন আখঞ্জির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী গৌরীনগরের পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে মাহবুবের নেতৃত্বে তাঁর বাহিনী ও সেকাটর কমান্ডার মীর শওকত ১২০ মিলিটারী মর্টারের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করে। মুক্তিবাহিনীর প্রচন্ড আক্রমণের মুখে পাকসেনা ও রাজাকাররা অবস্থান পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। মুক্তিযোদ্ধারা গৌরীনগর পৌঁছালে সালুটিকর থেকে পাকিস্তানের একটি সাহায্যকারী শক্তিশালী দল মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর প্রচন্ডভাবে পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা গৌরীনগর ছেড়ে পিছু হটে। এই সংঘর্ষে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ১ জন আহত হন। অপরদিকে ১১ জন পাকসেনা হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দীন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা দল কুমারপুর সেতুতে পাকসেনাদের একটি কনভয়কে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকসেনাদের ২টি জীপ ধ্বংস হয় ও অনেক সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা আফসারের নেতৃত্বে কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়ীয়া এলাকায় পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ৭ জন পাকসেনা নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদের এক সভায় জুনিয়র কসিশন অফিসার ও অন্যান্য পদের যুদ্ধরত বাহিনীর সদস্যদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লন্ডন সফর উপলক্ষে বাংলাদেশের স্বীকৃতির দাবিতে ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ স্টিয়ারিং কমিটি কর্তৃক এক প্রচারপত্রে জনসভা এবং জনসভার পরে গণমিছিলের আহ্বান জানানো হয়। ঐ প্রচারপত্রে জনসভা স্থান ঘোষিত হয় হাউড পার্ক স্পীকার্স কর্নার। জনসভায় বক্তৃতা করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী, বৃটিশ পার্লামেন্টের কয়েকজন সদস্য এবং থেকে আগত আওয়ামী লীগের ৪ জন এম.এন.এ ও এম. পি.এ এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক কমিটির প্রতিনিধি-বৃন্দের নাম উল্লেখ করা হয়। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধি আবু সাইদ চৌধুরীকে নর্দাম্পটন এ্যাকশন কমিপির সম্পাদক এক চিঠিতে নর্দাম্পটন এলাকা সফর ও ঐ এলাকার একটি জনসভা করার জন্য আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত ও পিপিপি চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো প্যারিস সফর করেন। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্থানের অর্থমন্ত্রী আবুল কাশেম প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। পরে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট পূর্ব পাকিস্থানের অর্থনৈতিক অবস্থাসহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেবেন। কোন মতেই অবস্থার অবনতি হতে দেয়া হবে না ।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ অক্টোবর, ১৯৭১

৩০ অক্টোবর, ১৯৭১ ৫নং সেক্টরে তাহেরউদ্দিন আখঞ্জির নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী গৌরীনগরের পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে মাহবুবের নেতৃত্ব...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২৯ অক্টোবর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুমিল্লার পাকবাহিনী শালদার নয়াপুর ও ফুলগাজী থেকে কামানের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর নিলক্ষীঘাঁটির ওপর প্রচন্ড গোলা বর্ষণ করে। মুক্তিযোদ্ধারাও কামানের সাহায্যে পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর পাল্টা গোলাবর্ষণ করে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর পাকসেনাদের আক্রমণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৪০ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে পাকবাহিনীর বেলুচ রেজিমেন্ট লাকসাম থেকে কামান ও রকেটের সাহায্যে গুলি করতে করতে সোনাইমুড়ি হয়ে চাটখীল সড়কের দিকে অগ্রসর হয়। মুক্তিবাহিনীর একটি দল ছাত্রদের সহায়তায় পাকসেনাদের বাধা দিলে তুমুল সংর্ষ হয়। প্রায় ২/৩ ঘন্টা যুদ্ধে পাকবাহিনীর কয়েকজন সৈন্য হতাহত হয়। হানাদার বাহিনীর শেলিং-এ একই বাড়ির ৫ জন নিরীহ লোক নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>‘বাংলাদেশ’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়: মুক্তিবাহিনীর ৮ জন দুর্ধর্ষ গেরিলা নবাবগঞ্জ থানায় আক্রমণ চালিয়ে পাক হানাদার বাহিনীর ৫২ জনকে হত্যা কওে এবং ২৮ জন রাজাকারকে অস্ত্রসহ বন্দী করে। এই যুদ্ধে ১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ও এজন যোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাওয়ালপিন্ডিতে বলেন, খাঁটি পাকিস্তানিদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পরীক্ষা করে দেখার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে গ্রহণ করা হবে। তিনি দাবি করেন, গত মার্চের পর ২০ লাখের কিছু বেশি পূর্ব পাকিস্তানি ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বৃটিশ নেতৃবৃন্দের সাথে পাক-ভারত পরিস্থিতির গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়াদি নিয়ে আলোচনার জন্য লন্ডনে উপস্থিত হন। </li> </ul> <ul> <li>লেঃ জেনারেল নিয়াজী দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীকে সীমান্তের যে কোন ধরনের হামলা প্রতিহত করার নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামীর নেতা গোলাম আজম এক বিবৃতিতে সরকার এবং জনগণকে যথাযোগ্য মর্যদায় ‘বদর দিবস’ পালনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, দিনটি পালনের মাধ্যমে শত্রুদের বিরুদ্ধে জেহাদী মনোভাব জাগ্রত হবে। </li> </ul> <ul> <li>লন্ডনে পাকিস্তান সলিডারিটি নামক সংস্থার স্বাক্ষরকৃত একটি বিজ্ঞাপন‘গাডিয়ান’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞাপনে পূর্ব পাকিস্তানকে ধ্বংস করার জন্যে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ধ্বংস প্রক্রিয়ায় ভারত উদ্বাস্তুদের জিম্মি হিসাবে ব্যবহার করছে।’ </li> </ul> <ul> <li>রাজশাহী জেলা ইফতেহাদুল ওলামার সভাপতি এবং জেলা শান্তি কমিটির সেক্রেটারী আজিজুর রহমান আল আমীনের সভাপতিত্বে দুইশ’ রাজাকার আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করে। এই সভায় সভাপতি তার ভাষণে রাজাকারদের জেহাদী মনোভাব নিয়ে ইসলামের শত্রুদের নির্মূলের আহ্বান জানান। </li> </ul> </div> <div> তথ্য সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ অক্টোবর, ১৯৭১

২৯ অক্টোবর, ১৯৭১ কুমিল্লার পাকবাহিনী শালদার নয়াপুর ও ফুলগাজী থেকে কামানের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর নিলক্ষীঘাঁটির ওপর প্রচন্ড গোলা বর্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১০ম বেঙ্গলের তিনটি কোম্পানী গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় নিলক্ষী ঘাঁটিতে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। তিন ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড চাপে টিকতে না পেরে পাকসেনারা নিলক্ষী ঘাঁটি পরিত্যাগ কওে পিছু হটে। মুক্তিযোদ্ধা নিলক্ষী ঘাঁটি পুর্নদখলের পর প্রতিরক্ষাব্যূহ মালিবিল ও গাবতলী পর্যন্ত সম্পসারিত করে। </li> </ul> <ul> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল গুতুমার কাছে পাকসেনাদের একটি বাঙ্কারে এল.এম. জি-র সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এতে বাঙ্কার টহলরত ১ জন পাকসেনা নিহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর দুর্ভেদ্য ধলাই ঘাঁটির ওপর প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা পালাটা আক্রমণ চালালে উভয়পক্ষের মধ্যের তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিপাহি হামিদুর রহমান শহীদ হন। অপরদিকে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে ‘জেড’ ফোর্সের ‘বি’ কোম্পানী আর্টিলারীর সাহায্যে পাকবাহিনীর পাত্রখোলা চা ফ্যাক্টরী ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে পাকসেনা সম্পূর্ণরূপে পর্যুদস্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাত্রখোলা চা ফ্যাক্টরী পাকসেনা ঘাঁটি দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল পাকসেনাদের একটি দলকে গরিবপুর থেকে আসার পথে ফতেহপুরে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন প্রদেশের আসন্ন উপনির্বাচনে জাতীয় পরিষদে ৫০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত বলে ঘোষণা করে। নির্বাচিতদের মধ্যে প্রাদেশিক জামায়াতে ইসলামীর প্রধান গোলাম আজম, প্রাদেশিক কাউন্সিল মুসলীম লীগ প্রধান খাজা খয়রুদ্দিন, কাইয়ুম মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক খান এ.সবুর,জামায়াতের সহকারী আমীর আব্বাস আলী খান ও এ.কে.এম.ইউসুফ রয়েছেন। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকায় একজন সামরিক মুখপাত্র জানান, প্রদেশের সর্বত্র রাজাকাররা প্রায় প্রতিদিন ভারতীয় চরদের (মুক্তিযোদ্ধা) মোকাবেলা করছে। তারা দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) আক্রমণ নস্যাৎ করে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও রেলসেতু রক্ষা করছে। রাজাকারদের সাফল্যে দেশবাসী গর্বিত। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্য এ.টি. সাদী হাউস্টনে পাকিস্তানি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্যে উপনির্বাচনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু ভারত সীমান্ত এলাকায় গুলিবর্ষণ এবং চরদের লেলিয়ে দিয়ে উপনির্বাচন বাতিলের ষড়যন্ত্র করছে।’ </li> </ul> <ul> <li>সিলেটের ১নং সংক্ষিপ্ত সামরিক আইন প্রশাসক বারবখ থানার নাদুস গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম,কুলারুয়া থানার মহাতেবপুরের জিতেন্দ্র মালাকার, সুজাতপুরের এনায়েত উল্লা, জকিগঞ্জথানার কাছিরকে গ্রামের মাকুর আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তাদেরকে সামরিক আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। </li> </ul> </div> <div> তথ্য সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ অক্টোবর, ১৯৭১

২৮ অক্টোবর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১০ম বেঙ্গলের তিনটি কোম্পানী গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় নিলক্ষী ঘাঁটিতে অবস্থানরত পাকসেনাদে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৭ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>রাজশাহীতে মক্তিবাহিনী রাজাকার ও মিলিশিয়া বাহিনীর বাগদানি অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে রাজাকার ও মিলিশিয়াদের ঘাঁটি সম্পূর্ণ রূপে ধ্বংস হয় এবং ৫ জন রাজাকার ও মিলিশিয়া নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের রতনপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহতও ১জন রাজাকার বন্দি হয়। </li> </ul> <ul> <li>গেরিলারা সন্ধ্যায় ঢাকার গভর্নর ভবনের দক্ষিণ গেটের সামনে ও মধ্যরাতে মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রীর বাসভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। </li> </ul> <ul> <li>‘অগ্রদূত’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়: চিলমারী রণাঙ্গণে গত এক সপ্তাহের মধ্যে বর্বর পাকসেনারা মর্টারের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর অগ্রবর্তী ঘাঁটিগুলির ওপর গুলি বর্ষণ করে। কিন্তু মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা সাহসের সংঙ্গে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিরোধ করে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রংপুর ও যশোর সীমান্তে পাকিস্তানি বাহিনীর ঘাঁটিতে গোলাবর্ষণ করে। পাকিস্তান এই গোলাবর্ষণের বিরুদ্ধে ভারতের কাছে প্রতিবাদ জানায়। পাকিস্তান সরকার অভিযোগ করে, ভারতীয় সেনাবাহিনী সীমান্ত লংঘন করে পূর্বপাকিস্তানে ঢুকে মর্টার ও ফিল্ডগানের সাহায্যে গোলাবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। ভারত পাকিস্তানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। </li> </ul> <ul> <li>চট্টগ্রামের গেরিলা যোদ্ধারা উপনির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থী ও কনভেনশণ মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ বখতিয়ার-এর বাসায় আক্রমণ চালায়। এতে মোহাম্মদ বখতিয়ার নিহত হন। </li> </ul> <ul> <li>পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো কায়রোতে প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের সাথে বৈঠক শেষে জেনেভা যাত্রা করেন। তিনি পাকিস্তানি প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত হিসাবে বিদেশ সফরে যান। </li> </ul> <ul> <li>বেগম আখতার সোলায়মানের উদ্বৃতি দিয়ে লেবাননের একটি পত্রিকা জানায়, পূর্ব পাকিস্তানের সাড়ে সাত কোটি মানুষ বিচ্ছিন্নতা বিরোধী। তারা সবাই সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছে। শেখ মুজিব তার ওয়াদা ভঙ্গ করায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। </li> </ul> <ul> <li>মহীউদ্দিনকে সভাপতি ও অলিউল্লাকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করে মাহবুবুর রহমান, হারুন-অর- রশীদ প্রমুখকে নিয়ে কক্সবাজার শহর ইসলামী ছাত্রসংঘের শাখা গঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>রংপুর জেলার ইসলামী ছাত্রসংঘের কর্মী সম্মেলনে প্রধান অথিতির ভাষণে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ সবাইকে জেহাদী মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।</li> </ul> </div> <div> তথ্য সূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ অক্টোবর, ১৯৭১

২৭ অক্টোবর, ১৯৭১ রাজশাহীতে মক্তিবাহিনী রাজাকার ও মিলিশিয়া বাহিনীর বাগদানি অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে রাজাকার ও মিলিশিয়াদের ঘাঁট...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৬ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাহাদাতের কাছে ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বানী নিয়ে বিশেষ দূতের কায়রো উপস্থিতি। </li> </ul> <ul> <li>কসবার মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। কুমিল্লা সীমান্তে কসবা ছাড়াও কায়েমপুর, সালদানদী, নয়নপুর ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় উভয় দলের মুখোমুখি যুদ্ধ হয়। সিলেট, ময়মনসিংহ,রংপুর, বগুড়া ও যশোর সীমান্তেও সারাদিন যুদ্ধ চলে। </li> </ul> <ul> <li>মুজিবনগরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের অধিবেশনে সুস্পষ্টভাবে বাংলাদেশ প্রশ্নের সমাধানের লক্ষ ঘোষণা করা হয়। উক্ত ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ প্রশ্নের একমাত্র সমাধান হচ্ছে জনগণের ‘পূর্ণ স্বাধীনতা’। বিশ্বের স্বাধীনতাপ্রিয় ও গণতান্ত্রিক দেশগুলোর নিকট গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে অবিলম্বে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানানো হয়। কার্যনির্বাহী পরিষদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য বিশ্বের সকল দেশ ও জাতিসংঘকে সক্রিয়ভাবে চেষ্টা করার আহ্বান জানায়। বিশ্বের জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর জন্য ইয়াহিয়া খান বাংলাদেশে উপনির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে যে ধৃষ্টতার পরিচয় দিয়েছে তার সমুচিত জবাব দেওয়ার শপথ নিয়ে এই পরিষদ স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেয় যে, নির্বাচন তো দূরের কথা স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে তথাকথিত পাকিস্তানিদের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বাঙালি জাতি ও আওয়ামী লীগ কিছুতেই সহ্য করবে না। হানাদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যে গণহত্যা, পাশবিক অত্যাচার ও ধ্বংসযজ্ঞ ঘটিয়েছে পরিষদ বিশ্ব মানবতার কাছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আবেদন জানায়। কার্যবর্িাহী পরিষদ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেয় যে, তারা শরণার্থীদের নিজগৃহে ফিরিয়ে নিতে বদ্ধপরিকর। তারা আরো জানায় যে, ভারত-সোভিয়েত চুক্তিতে বাংলাদেশের সমস্যার প্রকৃত চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। যেসব দেশ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছে সেই দেশের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ অক্টোবর, ১৯৭১

২৬ অক্টোবর, ১৯৭১ মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাহাদাতের কাছে ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বানী নিয়ে বিশেষ দূতের কায়রো উপস্থিতি...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২৫ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <ul> <li>ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনীর এফ-৮৬ জঙ্গী বিমান মুক্তিবাহিনীর মন্দভাগ, মঙ্গলপুর ও শ্রীপুরস্থ অবস্থানগুলোর ওপর প্রবলভাবে হামলা চালায়। সেই সাথে গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় পাকসৈন্যরাও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। পাকসেনাদের এই সম্মিলিত আক্রমণকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করে। প্রায় তিনঘন্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫৮ জন সৈন্য হতাহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে পাকসেনাদের আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বাধ্য হয়ে পিছু হটে। এই যুদ্ধে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ৯ জন আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের শাহবাজপুর ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩ জন রাজাকার নিহত ও ৮ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>৫নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা সারিগোয়াইন রাস্তার ১নং সেতুতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ৫ জন রাজাকার নিহত হয় এবং অন্যান্যরা ১টি ৩০৩ রাইফেল ও গোলাবারুদ ফেলে পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul> <li>ফুলবাড়িয়া থানায় মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা কালীগঞ্জ বাজারে অবস্থানরত রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩০ জন রাজাকার নিহত ও ২৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>নেপালে পাকিস্তানি দূতাবাসের কুটনীতিক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। </li> </ul> <ul> <li>কুষ্টিয়া ও দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক যথাক্রমে মোঃ শামসুল হক ও ফারাশউদ্দিন আহম্মদ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করায় পাকিস্তানের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক কর্তৃক বরখাস্ত হন। </li> </ul> <ul> <li>‘টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়: সামনের দিনে যুদ্ধ আরো তীব্র হবে। ৮০,০০০পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় সীমান্তসহ অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপিাশি ৬০,০০০ মুক্তিবাহিনী ও গেরিলাদের দলটিও তা প্রতিরোধের অপেক্ষায় আছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ অক্টোবর, ১৯৭১

২৫ অক্টোবর, ১৯৭১ ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div> <b>২৪ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনীর এফ-৮৬ জঙ্গী বিমান মুক্তিবাহিনীর মন্দভাগ, মঙ্গলপুর ও শ্রীপুরস্থ অবস্থানগুলোর ওপর প্রবলভাবে হামলা চালায়। সেই সাথে গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় পাকসৈন্যরাও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। পাকসেনাদের এই সম্মিলিত আক্রমণকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করে। প্রায় তিনঘন্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫৮ জন সৈন্য হতাহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে পাকসেনাদের আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বাধ্য হয়ে পিছু হটে। এই যুদ্ধে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ৯ জন আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের শাহবাজপুর ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩ জন রাজাকার নিহত ও ৮ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>৫নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা সারিগোয়াইন রাস্তার ১নং সেতুতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ৫ জন রাজাকার নিহত হয় এবং অন্যান্যরা ১টি ৩০৩ রাইফেল ও গোলাবারুদ ফেলে পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul> <li>ফুলবাড়িয়া থানায় মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা কালীগঞ্জ বাজারে অবস্থানরত রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩০ জন রাজাকার নিহত ও ২৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>নেপালে পাকিস্তানি দূতাবাসের কুটনীতিক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। </li> </ul> <ul> <li>কুষ্টিয়া ও দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক যথাক্রমে মোঃ শামসুল হক ও ফারাশউদ্দিন আহম্মদ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করায় পাকিস্তানের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক কর্তৃক বরখাস্ত হন। </li> </ul> <ul> <li>‘টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়: সামনের দিনে যুদ্ধ আরো তীব্র হবে। ৮০,০০০ পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় সীমান্তসহ অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৬০,০০০ মুক্তিবাহিনী ও গেরিলাদের দলটিও তা প্রতিরোধের অপেক্ষায় আছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ অক্টোবর, ১৯৭১

২৪ অক্টোবর, ১৯৭১ ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৩ অক্টোবর, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>৮ নং সেক্টরের বেতাই সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা রামনগর নামক স্থানে এক প্লাটুন পাকসেনাকে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজেদের অবস্থানে নিরাপদে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের গোজাডাঙ্গা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের মুহাম্মদপুর অবস্থানের ওপর মর্টারের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>কালিহাতী থানার চারান নামক স্থানে মিলিশিয়া সমর্থিত রাজাকারদের সাথে মুক্তিবাহিনী সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অকস্মাৎ আক্রমণে ৩৯ জন রাজাকার এবং ৩ জন মিলিশিয়া নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা চৌদ্দগ্রামের একমাইল উত্তরে পাকসেনাদের কালিরবাজার ঘাঁটির ওপর মর্টার এবং আর.আর এর সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কয়েকটি রাষ্ট্র সফরে যাবার আগে জাতির উদ্দেশ্যে এক বেতার ভাষণে বর্তমান সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জনগণকে সংযত এবং ঐক্য ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবার আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>করাচীতে পিপলস্ পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত থাকলে পূর্ব পাকিস্তানের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাঁর দলের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এ.এস.এম. সোলায়মান পিটিআইকে জানান, শিল্প কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করে উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে। </li> </ul> <ul> <li>নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তথ্যমন্ত্রী মুজিবুর রহমানসহ আরও ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পরিষদে এ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৮ জনে দাড়িয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য শাহ আজিজ দেশে ফেরার আগে সাংবাদিকদের তার মিশনকে অত্যন্ত সাফল্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ’ ধাপ্পার স্বরূপ এখন অনেকটা উম্মোচিত হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সভায় ঢাকার আমীর এবং মজলিসে শুরার সদস্য নির্বাচিত হয়। আমীর হিসাবে অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার এবং শুরা সদস্য হিসাবে কে.জেড.মুরাদ, অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস, অধ্যাপক হেলালউদ্দিন, শেখ নূরউদ্দিন, এ. জব্বার চাখরী, তমিজউদ্দিন আহম্মদ, এম.এ. রশীদ, সৈয়দ রফী আহমদ, রিজভী, এস.এম. হুমায়ুন, আব্দুল মান্নান তালেব নির্বাচিত হন। </li> </ul> <ul> <li>সাপ্তাহিক বাংলার বাণী পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয় : খুলনা জেলার আশাশনি এলাকায় একটি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ৬৪টি জন রাজাকারকে হত্যা করে। এ সময় তাঁরা ৫টি রাইফেলও দখল করে। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল খুলনার পাটকলঘাটায় হানাদার বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ১৫ জন খানসেনাকে হত্যা করে। এছাড়া তাঁরা খুলনার শ্যামনগর এবং ভার্শোলা এলাকায় খানসেনার উপর পৃথক আক্রমণ চালিয়ে ১১ জন শত্রু সেনাকে হত্যা করে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ অক্টোবর, ১৯৭১

২৩ অক্টোবর, ১৯৭১ ৮ নং সেক্টরের বেতাই সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা রামনগর নামক স্থানে এক প্লাটুন পাকসেনাকে এ্যামবুশ করে। পাক...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২২ অক্টোবর, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর ৯ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের যোদ্ধারা কসবা পাকসেনা ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। প্রায় ১০ মিনিট তীব্র কামানের গোলা বর্ষণের পর উত্তর দিক থেকে দু’টি কোম্পানী লেঃ আজিজ এবং সুবেদার মেজর শামসুল হকের নেতৃত্বে পাকসেনাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এই অতর্কিত আক্রমণে পাকসেনারা দিশেহারা হয়ে পরে। তিন ঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে ২৬ জন পাকসেনা নিহত ও ১৮ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছে ১১টি এল.এম.জি, ১টি পিস্তল, ৪০টি এইচ-৩৬ গ্রেনেড, ৩টি ৯৪ এনার্গা, ৪৪টি প্লাস্টিক মাইন ও ১টি ম্যাপ দখল করেন। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের একটি নৌকা এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে নৌকাটি সম্পূর্ণ রূপে বিধ্বস্ত হয় এবং পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল হরিসরদার বাজারে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। প্রায় ১২ ঘন্টার এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী মর্টার, মেশিনগান এবং আর.আর-এর রকেট পাকসেনাদের প্রচুর ক্ষতি সাধন করে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩৫ জন সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে পাকসেনা ও রাজাকারদের সম্মিলিত একটি দল মুক্তিবাহিনীর নাইকালি অবস্থানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ৩ জন পাক সৈন্য নিহত এবং ১৫ জন রাজাকার আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, জনগণ চায় পিপলস পার্টির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বেআইনী ঘোষিত হবার পর তাঁর দল এখন কেবল পাকিস্তানের বৃহত্তম দল নয়, জাতীয় পরিষদেরও সংখ্যাগরিষ্ঠ দল। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এ.এস.এম. সোলায়মান নারায়ণগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে বলেন, পাকিস্তানের আদর্শ সম্পর্কে অজ্ঞতাই হচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতির জন্যে দায়ী। আজকের তরুণ সমাজের মধ্যে মুসলমানদের স্বতন্ত্র আবাস ভূমির দাবী কেন হয়েছিল সে ব্যাপারে প্রকৃত উপলব্ধি নেই। তরুণ সমাজের মধ্যে এ বোধ জাগ্রত করতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওবায়দুল্লা মজুমদার রাঙ্গুনিয়ায় এক সভায় বলেন, আওয়ামী লীগের এক শ্রেনীর নেতা পাকিস্তানের সহজ সরল জনগণের সঙ্গে বেইমানী করেছে। ‘বাংলাদেশ’ শ্লোগান তুলে তারা পাকিস্তানের আদর্শের মূলে আঘাত করেছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ অক্টোবর, ১৯৭১

২২ অক্টোবর, ১৯৭১ কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনীর ৯ম বেঙ্গল রেজিমেন্টের যোদ্ধারা কসবা পাকসেনা ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। প্রায় ১০ মিন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div> <b>২১ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজার পাকঘাঁটির কিছু দূরে রাস্তার উপর মাইনের সাহায্যে এফ-বুবীট্র্যাপ লাগিয়ে এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল এ্যামবুশের দিকে অগ্রসর হলে বুবী ট্র্যাপের ওপর পড়ে যায় এবং মাইন বিস্ফোরণের ফলে ১৬ জন পাকসেনা নিহত ও ৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৩নং সেক্টরে হাবিলদার আকমল আলীর নেতৃত্বে এক কোম্পানী গেরিলা যোদ্ধা পাকহানাদার বাহিনীর মনোহরদী ঘাঁটি অবরোধ করে। এই অবরোধের সময় ইপিআর-এর যেসব লোক পাকিস্তানিদের সাথে ছিল তারা মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে চলে আসে এবং যুদ্ধ শুরু করে। কয়েকঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে ২৫ জন পাকসৈন্য নিহত ও বাকী ১১জন বন্দী হয়। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও পিপিপি-র নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকায় পিপলস পার্টির সহ-সভাপতি মিয়া মাহমুদ আলী কাসুরী সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু ব্যক্তিদের জীবনের প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই হুমকি অব্যাহত থাকলে এবং পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে পিপিপি উপ-নির্বাচন বর্জন করবে। তিনি পার্থীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দাবি জানান। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘ মহাসচিব উ’থান্ট ভারত ও পাকিস্তানের কাছে দু’দেশের মধ্যকার উত্তেজনা হ্রাসের লক্ষ্যে জাতিসংঘকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগের জন্য নতুন প্রস্তাব করেন। </li> </ul> <ul> <li>জাতীয় পরিষদের উপনির্বাচনে ৭৮টি শূন্য আসনের মধ্যে ৭৫টি আসনে ১৯২ জন পার্থীর নাম প্রকাশ করা হয়। এদের মধ্যে ১১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানা যায়। </li> </ul> <ul> <li>‘মুক্তবাংলা’ পত্রিকার প্রতিবেদন </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> মনোহরদি ও কাপাসিয়া থানার মুক্তিবাহিনী চতুর্মুখী আক্রমণে মনোহরদিস্থ পাক ঘাঁটিটি সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেয়। ঘটনাস্থলে ২১ জন শত্রুসৈন্য নিহত হয়। ৫ জন শত্রুসৈন্যকে আটক করা হয়। মুক্তিবাহিনী এখান হতে প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।</blockquote> </div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> ৪০ জনের একটি গেরিলা দল স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র এবং গ্রেনেড নিয়ে জুরাইনে পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরীর মালিকানাধীন প্যাকেজিং কারখানা আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয়। এই আক্রমণে কারখানার আগুনে দগ্ধ হয়ে একজন মারা যায়। </div> </blockquote> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> আমজাদ নগরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এতে ১ জন পাকসৈন্য নিহত এবং তিনজন আহত হয়। এ যুদ্ধে একজন সাধারণ নাগরিক বুলেট বিদ্ধ হয়ে আহত হয়।</div> </blockquote> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ অক্টোবর, ১৯৭১

২১ অক্টোবর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজার পাকঘাঁটির কিছু দূরে রাস্তার উপর মাইনের সাহায্যে এফ-বুবীট্র্যাপ লাগিয়ে এ্যামবু...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> <b> ২০ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>নয়াদিল্লীতে যুগোস্লাভ প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে আলোচনা শেষে এক যুক্ত ইস্তেহার প্রকাশিত হয়। এই ইস্তেহারে পাকিস্তানের বর্তমান সঙ্কট অবসানের লক্ষ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে রাজনৈতিক মীমাংসার আহ্বান জানানো হয়। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল গোলন্দাজবাহিনীর সহায়তায় কামালপুরের কাছে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর তীব্র হামলা চালায়। এই হামলায় পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যুহ ভেদ করতে ব্যর্থ হয়। সংঘর্ষে পাকবাহিনীর একজন অফিসারসহ ৩০ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৬নং সেক্টরে হিলি সীমান্তে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ সারাদিন ব্যাপী চলে। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজার পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অকস্মাৎ আক্রমণে পাকসেনারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দুই ঘন্টাব্যাপী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ২১ জন সৈন্য নিহত এবং অনেক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>বগুড়া জেলার টিউরপাড়া গ্রামে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল ও পাকসেনাদের মধ্যে তীব্র গোলা বিনিময় হয়। এতে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ৯ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের মহাসচিব উ‘থান্ট তাঁর সদর সফতরে ভারতের রাষ্ট্রদূত সমর সেন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আগাশাহীর সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হয়। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৭৮টি শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে ১৯২ জন পার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করে। </li> </ul> <ul> <li>খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আহমদ কুষ্টিয়া সফরে যান। কুষ্টিয়ায় এক সভায় মন্ত্রী জনগণকে পাকিস্তানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শত্রু এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়। </li> </ul> <ul> <li>প্রাদেশিক আইন ও পার্লামেন্টারী বিষয়ক মন্ত্রী জসিমউদ্দিন সিলেটে এক সভায় বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সেবাদাসদের লেলিয়ে দিয়ে অসংখ্য নিরীহ পাকিস্তানিকে হত্যা করেছে। কিন্তু বর্তমানে দেশ এবং বিদেশে সবার কাছেই তাদের স্বরূপ নগ্ন হয়ে পড়েছে।’</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ অক্টোবর, ১৯৭১

 ২০ অক্টোবর, ১৯৭১ নয়াদিল্লীতে যুগোস্লাভ প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে আলোচনা শেষে এক যুক্ত ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৯ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল সুনামগঞ্জ মহকুমার নিকলি থানায় পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদেও তীব্র আক্রমণের মুখে পাকসেনারা নিকলি ছেড়ে সুনামগঞ্জ পালিয়ে যায় । এই যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে ২৫টি ৩০৩ রাইফেল ও প্রচুর গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কামালপুরে অবস্থানরত পাকসেনাদের বিরুদ্ধে দু:সাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে ‘জেড’ ফোর্সে ও ‘বি’ কোম্পানী পাকসেনাদের চম্পারান চা ফ্যাক্টরী ঘাঁটি আক্রমন করে। এই অভিযানে পাকসেনাদের চম্পারান চা ফ্যাক্টরী ঘাঁটি ধ্বংস হয়। </li> </ul> <ul> <li>সকাল ১১ টায় ঢাকার মতিঝিলস্থ ইপিআইডিসি ভবনের সামনে টাইম বোমা বিস্ফোরণে ৭ জন নিহত, ১২ জন আহত ও ৯টি গাড়ী বিধ্বস্ত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ভারত যুদ্ধ এড়িয়ে যাবার জন্য সম্ভাব্য সবকিছুই করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, মূল সমস্যা বিদ্যমান ইসলামাবাদের সামরিক শাসকবর্গ ও বাংলাদেশের জনগনের মধ্যে- যার পরিণতি ভোগ করছে ভারত। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বলেন, আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধ চাই না। তবে ভারত যদি বাঙালি গেরিলাদের পাকিস্তানের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ঘটানোর কাজ অব্যাহত রাখে এবং আক্রমন কওে তাহলে আমরা তার প্রতিশোধ নেব। আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপ আমরা আর সহ্য করতে রাজি নই। </li> </ul> <ul> <li>লে: জেনারেল নিয়াজী পাবনায় রাজাকার ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষণরত রাজাকারদের পরিদর্শন করেন। তিনি রাজাকারদের উদ্দেশে বলেন, ‘মানুষের মৃত্যু অনিবার্য। কিন্তু রাজাকাররা যদি শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করে, তবে তারা নি:সন্দেহে আল্লাহর রহমত পাবে।’ </li> </ul> <ul> <li>সরকারী ঘোষনায় জানা যায়, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল এ. রহিম ভারতীয় বিমান বাহিনী প্রধানের কাছে ভারতীয় বিমান হামলার অভিযোগ এনে প্রতিবাদ করেছেন, তিনি হুমকি দেন এরপর আমরাও পাল্টা আক্রমণ করবো। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামীর আমীর মওলানা মওদুদী এক বিবৃতিতে পূর্ব পাকিস্তানে দুস্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) হাতে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার জন্যে বিত্তশালীদের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ অক্টোবর, ১৯৭১

১৯ অক্টোবর, ১৯৭১ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল সুনামগঞ্জ মহকুমার নিকলি থানায় পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রম...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৮ অক্টোবর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একটি শক্তিশালীদল মর্টার ও আর-আর-এর সহায়তায় পাকসেনাদের বাডিসা ঘাট অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। প্রায় দেড়ঘন্টার এই যুদ্ধে ২০ জন পাকসেনা হতাহত হয়। বাডিসা ঘাট আক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে পাকসেনাদের রাজাসার দীঘির অবস্থানের ওপরও মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৬ জন পাকসেনা নিহত ও কয়েকটি বাঙ্কার ধ্বংস হয়। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় সুবেদার আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা মন্দভাগ বাজারের পশ্চিম দিকে দেউশ নামক স্থানে এক কোম্পানী পাকসৈন্যকে আক্রমণ করে। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন মেজর, একজন লেঃ সহ ১০০ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে ৬টি এম-জি-আই-এ-৩, ৭টি এল-এম-জি, ৭০টি জি-৩ রাইফেল, ৩টি ৮৩ এম-এম-বি-সি, ১টি অয়ারলেস সেট, ৩টি মর্টার ও কয়েকটি ট্রানজিস্টার দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী নয়াদিল্লীতে এক অনুষ্ঠানে সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র বাহিনীর হামলা সম্পর্কিত পাকিস্তানের অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী নয়, বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধারা সীমান্ত এলাকায় তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত রয়েছে। মুক্তিবাহিনীতে দেড় লক্ষ মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে এবং এঁদের প্রায় ৫০ হাজার পুলিশ, বিডিআর ও সেনাবাহিনী সদস্য। তারা সবাই বাঙালি এবং ২৫ মার্চ রাতে এদের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রথম আক্রমণ করার পর এরা প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেয়। তাঁরা মাতৃভ’মির স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। </li> </ul> <ul> <li>হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল রেডক্রসের হাতে হস্তান্তর করা হয়। হাসপাতাল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিক সেবার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পাকিস্তানের খেদমতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো ঘোষণা করেন, তার দল জোট গঠনের জন্য যে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>৫নং সেক্টরে লেঃ তাহেরউদ্দিন আখঞ্জির নেতৃত্বে দুই কোম্পানী মুক্তিযোদ্ধা ২৫টি নৌকায় করে ভোলাগঞ্জ সাব-সেক্টর থেকে গৌরীনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা গৌরীনগরের কাছাকাছি এলে পাকসেনারা গৌরীনগর থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর প্রচন্ড গুলি চালায়। পাকসেনাদের অকস্মাৎ আক্রমণে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ৬ জন গুরুতর রূপে আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের সাহায্য ও পুনর্বাসন মন্ত্রী অধ্যাপক শামসুল হক চট্টগ্রামের দালালদের এক সভায় বলেন, ‘বিদ্রোহ কোনোদিন সফল হয়নি। ভারতীয় প্রচারযন্ত্রের মিঠা বুলিতে আকৃষ্ট হয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ভারতে গিয়ে বিদ্রোহ ছড়াচ্ছে। তারপরও প্রেসিডেন্ট সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে সবাইকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।’ বিদ্রোহীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, 'কোনো মতেই কিছু সংখ্যক বিদ্রোহীর কারণে পাকিস্তানের ১৩ কোটি মানুষ দুর্ভোগ পোহাতে পারে না।' </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী আবুল কাসেম বেতার ভাষণে বলেন, ‘যখন দেশের স্বাধীনতা বিপন্ন জনজীবন বিপর্যস্ত প্রতিটি মানুষ যখন দিশেহারা, তখন নবগঠিত মন্ত্রীসভার একজন সদস্য হিসাবে যোগ দিয়ে জাতির প্রতি কর্তব্য পালনে এগিয়ে এসেছি। বিভ্রান্ত হয়ে যারা এদেশ ছেড়ে শত্রুদেশে আশ্রয় নিয়েছেন, নিজেদের হাতে গড়া পাক ভ’মিতে নির্ভয়ে ফিরে পুনগঠনের কাছে আত্মনিয়োগ করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানাই।’</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ অক্টোবর, ১৯৭১

১৮ অক্টোবর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একটি শক্তিশালীদল মর্টার ও আর-আর-এর সহায়তায় পাকসেনাদের বাডিসা ঘাট অবস্থানের ওপর আক্রমণ চা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> <b>১৭ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও যুগোশ্লাভ প্রেসিডেন্ট জোশেফ টিটো এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উভয় নেতা বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে মত বিনিময় করেন। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর একটি এ্যামবুশ দল কুমিল্লার রমজানপুরে পাকসেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে আধঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য ও ১৮ জন রাজাকার নিহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা সিলেট, কুমিল্লা, যশোর, ময়মনসিংহ ও রংপুর জেলার সীমান্ত অতিক্রম করে ২৩ টি গ্রামে রাজাকারদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে এবং কয়েকশ‘ রাজাকারকে বন্দি করে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল মুক্তিযোদ্ধা দশাতিনায় পাকসেনাদের এ্যামবুশের আওতায় পড়ে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩ জন নিহত ও ২ জন রাজাকার আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের পূর্বদেবপুরে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা গুলি চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা গুরুতরভাবে আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিক ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস ময়দানে দালালদের সভায় মুক্তিকামীদের নিধনে রাজাকারদের কার্যকরী ভুমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন। </li> </ul> <ul> <li>তিনি বলেন, ‘বিশ্বাসঘাতকরা পেছন থেকে ছুরি না মারা পর্যন্ত মুসলমানরা কখনো যুদ্ধে হারেনি, স্বাধীন বাংলার প্রবক্তাদের পরিনাম মীরজাফর, উর্মিচাঁদ, জগৎশেঠদের অবস্থা দাঁড়াবে।’ </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লার কথিত ভাষাবিদ এম. জামান তার পাকিস্তান প্রেমের নিদর্শন হিসেবে বাংলা ও উর্দু হরফের মিশ্র এক ফর্মূলা কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করেন। তিনি জানান, এতে করে দুই দেশের সমঝোতা বাড়বে। </li> </ul> <ul> <li>পুর্ব পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রঅ আবুল কাসেম চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে মুক্তিকামীদের নিধনে রাজাকারদের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, ‘ট্রেনিংপ্রাপ্ত ও প্রয়োজনীয় অস্ত্রে সজ্জিত রাজাকারদের সংখ্যা বর্তমানে ৫৫ হাজার। রাজাকারদের প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে শিগগিরই এ সংখ্যা ১ লাখে বাড়ানো হবে।’</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ অক্টোবর, ১৯৭১

১৭ অক্টোবর, ১৯৭১ নয়াদিল্লীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও যুগোশ্লাভ প্রেসিডেন্ট জোশেফ টিটো এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে উভয় নে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৬ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকালে তেহরানে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নির মধ্যে দু'ঘন্টা স্থায়ী আলোচনা হয়। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া নিকোলাই পদগর্নির কাছে পাকিস্তানের অখন্ডতা ও সংহতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবার দাবি জানায়। নির্বাচন কমিশন এক প্রেসনোটে উপ-নির্বাচনের প্রতীকের নাম ঘোষণা করে। ঘোষণায় আরো বলা হয়, গত নির্বাচনে যে দল যে প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলো, এবারেও সেই প্রতীকই বরাদ্দ থাকবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আলমের নেতৃত্বে নৌ-কামান্ডোরা চালনা বন্দরে দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে ফ্রগম্যানরা চারটি জাহাজ ধ্বংস করে। জাহাজ চারটির মধ্যে ‘লাইটনিং’ ও ‘আল-মুরতজা’-র নাম উল্লেখযোগ্য। এই অপারেশনে ফ্রগম্যান আনোয়ার অসীম সাহসিকতা প্রদর্শন করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুরে মুক্তিবাহিনী মর্টারের সাহায্যে বোয়ালগঞ্জে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১৭ জন সৈন্য নিহত হয়। রাতে আরেক সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর জঙ্গী দল লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁওয়ে পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর তীব্র গোলাবর্ষণ করে। সফল অভিযান শেষে মুক্তিযোদ্ধাদল নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির তস্কররা বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরীর ময়মনসিংহ রোডস্থ তালাবদ্ধ বাসভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম ঢাকায় এক জনসভায় বলেন, ভারত পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন করে দিয়ে যাবে এমন আত্মঘাতী ভাববিলাস আমাদের বর্জন করতে হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সন্ধ্যায় তেহরানে যুগোশ্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘের সহকারী জেনারেল সেক্রেটারী পলমার্ক হেনরী সংবাদ সম্মেলনে জানান, গেরিলারা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কিছু করতে না পারলেও ত্রাণ সামগ্রী বন্টনে বাধার সৃষ্টি করছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নূরুল আমিনের জরুরি তলবে ঢাকায় ফিরে আসা মাহমুদ আলী এপিপি-র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানান, ‘পাকিস্তান আন্তরিকভাবেই পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী এবং সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু ভারত বিভিন্ন অজুহাতে টালবাহানা করছে।’</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ অক্টোবর, ১৯৭১

১৬ অক্টোবর, ১৯৭১ সকালে তেহরানে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নির মধ্যে দু'ঘন্টা স্থায়ী আলোচন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৫ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>সকাল ৮ টায় মুক্তিবাহিনীর এক প্লাাটুন যোদ্ধা কমিল্লার দক্ষিণে পাকসেনাদের একটি অবস্থানের আধমাইল দূরে বারচর গ্রামে এ্যামবুশ পাতে। এক ঘন্টা অবস্থানের পর পাকসেনাদের একটি দল তাদের ঘাঁটিতে ফেরার পথে এ্যামবুশের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ক্যাপ্টেন মুস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে ধোপাখালীতে অবস্থানরত পাকসেনাদের আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৭ জন সৈন্য নিহত হয় ও অনেক আহত হয়। অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার আবদুল গফুর, নায়েক শহীদ আলী শহীদ ও ক্যাপ্টেন মুস্তাফিজুর রহমান আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>১১ নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন জিয়ার নেতৃত্বে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণে মোড়লগঞ্জ অভিমুখে যাত্রা করে। বিকেল তিনটায় মোড়লগঞ্জ পৌঁছালে মুক্তিযোদ্ধারা ৫টি ভাগে বিভক্ত হয়ে রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে রাজাকারদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। </li> </ul> <ul> <li>৯নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ক্যাপ্টেন হুদার নেতৃত্বে ঝিকরগাছার কাছে দোশাতিনাল নামকস্থানে পাকিস্তানি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর বিমান সেনারা সকালে দু’টি হালকা বিমান নিয়ে রংপুর সীমানা অতিক্রম করে মোগলহাটে পাকসেনাবাহিনীর অবস্থানের ওপর গোলাবর্ষণ করে। সফল আক্রমণ শেষে বিমান সেনারা নির্বিঘেœ নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>তেহরানে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও ইরানের শাহ রেজা পাহলভীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিক সিলেটে এক সমাবেশে বলেন, এক শ্রেণীর লোক ভারতীয় প্রচারণায় বিভ্রান্ত হয়ে পাকিস্তান ধ্বংসের কাজে লিপ্ত রয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এরা দেশের শত্রু। চরমপন্থী ছাত্ররা দুষ্কৃতকারীদের দলে ভিড়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বর্জন করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করেছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা, উৎপাদন ব্যবস্থাসহ অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। ধ্বংসকালীরা কখনো দলের মঙ্গল চাইতে পারে না। সেনাবাহিনীর সামনে দাঁড়াবার সাহস না থাকায় তারা গোপনে লুটপাট করছে। এসব তথাকথিত মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছে ভারতীয় সেবাদাস।’ </li> </ul> <ul> <li>লেঃ জেনারেল নিয়াজী দেশের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় সফরে গিয়ে সেনাবাহিনীকে সর্বাত্মক সহায়তা করার জন্যে রাজাকার ও দালালদের ভুয়সী প্রশংসা করেন। তিনি রাজাকারদেরকে সেনাবাহিনীর সাথে সম্মিলিতভাবে অথবা স্বাধীন সংস্থা হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দেন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ অক্টোবর, ১৯৭১

১৫ অক্টোবর, ১৯৭১ সকাল ৮ টায় মুক্তিবাহিনীর এক প্লাাটুন যোদ্ধা কমিল্লার দক্ষিণে পাকসেনাদের একটি অবস্থানের আধমাইল দূরে বারচর গ্রামে এ্য...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> <b> ১৪ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কমান্ডার নওয়াজেশ উদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল ভুরুঙ্গামারী ও জয়মনির হাটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে ব্যাপক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরিকল্পনা অনুসারে সুবেদার আবদুল ওয়াহাব তাঁর বাহিনী নিয়ে মিত্রবাহিনীর আটিলারি সমর্থনে পাকঘাঁটির সম্মুখভাগ এবং প্রায় ২০০ যোদ্ধা নিয়ে সুবেদার মাযহারুল হক জয়মনির হাট পাকঘাঁটি আক্রমণ করে। যুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তানিরা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। ভুরুঙ্গামারী ও জয়মনিরহাট মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি আর্টিলারির একজন ক্যাপ্টেন ও ২৫তম পাঞ্জাবের ৮ জন সৈন্য বন্দি করে এবং পাকসেনাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের বনগাঁও সাব-সেক্টর অন্তর্গত সাদিপুর নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্যের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ফেনী জেলায় মুক্তিবাহিনীর এক কোম্পানী যোদ্ধা মর্টারসহ পাকবাহিনীর পরশুরাম ঘাঁটি আক্রমণ করে। ফেনী থেকে পাকসেনারা কামানের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর প্রচন্ড আক্রমণ চালাতে থাকে। মুক্তিবাহিনীর গোলন্দাজ বাহিনীও পাকসেনাদের ফেনী অবস্থানের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। দু‘ঘন্টা স্থায়ী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত ও ১৬ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বেলগাঁও-এ এক জনসভায় বলেন, ভারত পাকিস্থানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবে না। তবে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ভারত প্রস্তুত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্বাস্তুরা অবশ্যই নিরাপদে ও মর্যাদার সাথে স্বদেশ ফিরে যাবেন। বাংলাদেশ সঙ্কট নিরসনকল্পে যে কোনো রাজনৈতিক সমাধান আওয়ামী লীগের কাছে অবশ্যই গ্রহণযোগ্য হতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টোর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রস্তাবিত শাসনতন্ত্রের অন্যতম প্রণেতা ও প্রেসিডেন্টের আইন বিষয়ক উপদেষ্টা বিচারপতি এ.আর. কর্নেলিয়াস পদত্যাগ পত্র পেশ করেন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর অস্থায়ী আমীর মিয়া তোফায়েল প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের দুর্যোগে এবং যে কোনো ধরনের হামলা মোকাবেলায় জামায়াত কর্মীরা সেনাবাহিনীর পাশে থেকে কাজ করবে। </li> </ul> <ul> <li>শান্তি কমিটির দালালদের সহায়তায় পাকহানাদাররা পাবনার নাজিরপুর গ্রাম আক্রমণ করে। ২০০/২৫০ জনের একটি হানাদার দল পুরো গ্রাম ঘেরাও করে গ্রামের সবাইকে একত্রিত করে যুবক ও মুক্তিযোদ্ধা হতে পারে এ রকমের সবাইকে একটি খালের পারে নিয়ে গিয়ে গলা কেটে ও বেয়নেট চার্জ করে খালের মধ্যে ফেলে দেয়। হানাদারদের এই নির্মম অত্যাচারের ৫৭ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন। হত্যাযজ্ঞের পর হানাদাররা নাজিরপুর গ্রামের প্রায় ৫শ’ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ অক্টোবর, ১৯৭১

 ১৪ অক্টোবর, ১৯৭১ কমান্ডার নওয়াজেশ উদ্দিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল ভুরুঙ্গামারী ও জয়মনির হাটে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে ব্যাপক স...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৩ অক্টোবর, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুনামগঞ্জের উত্তরে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দু’টি পৃথক সংঘর্ষ হয়। প্রায় এক হাজার মুক্তিযোদ্ধা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে সীমান্তের আধমাইল ভেতরে ঢুকে পাকসেনাদের ঘাঁটিতে আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্বাস শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর আব্দুল মোমেন খান সন্ধ্যায় বনানীস্থ নিজ বাসভবনে গুলিবিদ্ধ হন। দু’জন মুক্তিযোদ্ধা একটি প্রাইভেট কারে মোমেন খানের বাসভবনে আসেন এবং ড্রইংরুমে ঢুকে তাকে স্টেনগানের সাহায্যে ব্রাস ফায়ার করে গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। মোমেন খান শেষ রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে পাকবাহিনী ও রাজাকারের একটি দল মেদুয়ারী গ্রামের সরকার বাড়ীতে ক্যাম্প করে। একদল মুক্তিবাহিনী তাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। প্রায় আড়াই ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত হয় এবং বাকি সৈন্য পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী গৌড়িপুর থানায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রংপুর জেলায় মুক্তিবাহিনী ভ’রঙ্গমারী সড়কে পাকবাহিনীর একদল সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৩ জন পাকসৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লেঃ জেনারেল নিয়াজী কুমিল্লাসহ পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনী, রাজাকার ও দালালদের কর্মতৎপরতা সরেজমিনে তদারক করেন। কুমিল্লায় সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের সমাবেশে তিনি বলেন, আমরা আমাদের বংশধরদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হতে দিতে পারি না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খুলনায় রাজস্বমন্ত্রী মওলানা এ.কে.এম. ইউসুফ দালালদের আয়োজিত এক সভায় রাজাকার বাহিনীর কাজের প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন, দুষ্কৃতকারী ও ভারতীয় চরদের উৎখাতে রাজাকাররা যেভাবে কাজ করছে তাতে দেশে শান্তি ফিরে আসতে বাধ্য। জীবন বাজি রেখে তারা দুষ্কৃতকারদের হামলা প্রতিহত করছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগদানকারী পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের সদস্য মাহমুদ আলী করাচী ফিরে আসেন। করাচীতে সাংবাদিদের তিনি জানান, বিশ্ববাসীর কাছে ভারত ও দালালদের চক্রান্ত ফাঁস হয়ে গেছে।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ অক্টোবর, ১৯৭১

১৩ অক্টোবর, ১৯৭১ সুনামগঞ্জের উত্তরে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দু’টি পৃথক সংঘর্ষ হয়। প্রায় এক হাজার মুক্তিযোদ্ধা দু’ভাগ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ১২ অক্টোবর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রকেট লাঞ্চার ও মেশিনগানের সাহায্যে পাকবাহিনীর কালিরবাজার গ্রামস্থ হেডকোয়ার্টার আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয় এবং দু’টি বাঙ্কার সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়। মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ শেষে নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের গডাগড়ি ও সুলতানপুর অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৫০ জন সৈন্য নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর একদল সৈন্যকে কাগমারীতে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>শিমলায় এক জনসভায় বক্তৃতাকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যে শরণার্থী চলে আসছে তাতে এশিয়া মহাদেশে শান্তির ব্যাপারটি এক বিরাট ঝঁকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে পাকিস্তান এক মারাত্মক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারত প্রস্তুত। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান জনগণের উদ্দেশে বেতার ভাষণে বলেন, পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশের প্রতিরক্ষার জন্য পাহাড়ের মতো অটল রয়েছে। তিনি ২৭ ডিসেম্বর জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান ও শাসনতন্ত্র প্রকাশের কথা ঘোষণা করেন। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকা সফররত পিপলস পার্টির প্রতিনিধি দলের সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সাক্ষাৎ করে নিজেদের পিপলস পার্টিতে যোগদান ও পিপিপি-র টিকেটে উপ-নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। তারা হলেন, পিপিপি-র সাবেক প্রাদেশিক প্রধান আব্দুস সালাম খান, কাইয়ুম লীগের কাজী কাদের, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের প্রাদেশিক প্রধান পীর মোহসীন উদ্দিন দুদু মিয়া, কনভেনশন লীগের হাসিম উদ্দিন, মস্কোপন্থী ন্যাপের আহমেদুল কবীর ও মিয়া মনসুর আলী এবং ভাসানী ন্যাপের আনোয়ার জাহিদ। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি সাধারণ পরিষদে অভিযোগ করে বলেন, ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে এবং পূর্ব পাকিস্তানি উদ্বাস্তুদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক পশ্চিম পাকিস্তান সফর শেষে ঢাকা ফেরার আগে সাংবাদিকদের জানান, রাজাকার বাহিনী কোনো দলীয় বাহিনী নয়। রাজাকাররা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করছে। রাজাকাররা দেশের জন্য অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিচ্ছে। তিনি ভারতীয় প্রচারণার মোকাবেলার জন্যে বিদেশে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর সুপারিশ করেন।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ অক্টোবর, ১৯৭১

১২ অক্টোবর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রকেট লাঞ্চার ও মেশিনগানের সাহায্যে পাকবাহিনীর কালিরবাজার গ্রামস্থ হেডকোয়ার্টার আক্রমণ করে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;">১১ অক্টোবর, ১৯৭১</span></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার কান্দিরপাড় ও রাজগঞ্জে পাকিস্তানি সেনা অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনীর ১০ সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>নোয়াখালীর মজুমদারহাট, অনন্তপুরহাট ও পরশুরামে মুক্তিবাহিনী মর্টারের সাহায্যে পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তানি বাহিনীর ৪১ সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিবাহিনী গ্রেনেডের সাহায্যে গুতুমায় পাকিস্তানি সেনা অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনীর এক সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী যশোরের ফকিরহাট অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনাদের চুলকাঠি হাই স্কুল ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকিস্তানি বাহিনীর ১০ সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পিপলস পার্টির তথ্য সেক্রেটারি মওলানা কাওসার নিয়াজি ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি ফ্যাসিবাদী ধর্মীয় দলকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করা হচ্ছে। এই দলটি পাকিস্তানকে আরেক ইন্দোনেশিয়ায় পরিণত করতে চাচ্ছে। দলটি সম্পর্কে জনমনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।'</li> </ul> </div> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;">সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</span></div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ অক্টোবর, ১৯৭১

১১ অক্টোবর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার কান্দিরপাড় ও রাজগঞ্জে পাকিস্তানি সেনা অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকিস্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>১০ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং নয়াদিল্লিতে বলেন, বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের পক্ষে। শরণার্থীদের জন্য বিদেশী সাহায্য বাংলাদেশ সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধান দেবে না। বাংলাদেশ সরকারের রাজনৈতিক সমাধানের অর্থ হবে বাংলাদেশ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য একটি সমাধান। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটের কুলাউড়ায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত হয়। পরে দু‘জন রাজাকার অস্ত্রশস্ত্রসহ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের বায়রা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের এক প্লাটুন সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও ২ জন রাজাকার বন্দি হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের গোজাডাঙ্গা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর মাধবকাঠি ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য নিহত ও ২০ জন আহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>টাঙ্গাইলে কাদেরিয়া বাহিনী চারাবাড়ি ও পোড়াবাড়ি ঘাট নিরাপদ করার লক্ষ্যে পোড়াবাড়ির একমাত্র পাকা সড়কের বড় সেতু ও পাশের আর একটি সেতু ধ্বংস করে। সন্তোষে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর বাড়ি সংলগ্ন এই সেতুটি এবং কিছু দূরের বেলতা সেতু ধ্বংস করে দেয়ার পর উক্ত এলাকা পাকহানাদার মুক্ত হয়। </li> </ul> <ul> <li>যমুনা নদীতে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি গানবোটের ওপর দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকসেনাদের গানবোটটি বিধ্বস্ত হয়ে পানিতে ডুবে যায়। </li> </ul> <ul> <li>মিয়া মাহমুদ আলীর কাসুরীর নেতৃত্বে পিপলস পার্টির একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফরে আসেন। ঢাকায় এসে মিয়া মাহমুদ আলী কাসুরী সাংবাদিকদের জানান, পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্ব জোরদার করার জন্যই তিনি ঢাকা এসেছেন। এই প্রতিনিধি দলের মাধ্যমে ভুট্টো পূর্ব পাকিস্তানবাসীর উদ্দেশ্যে বাণী পাঠান। বাণীতে ভুট্টো বলেন, জাতির জীবনে এক নতুন অধ্যায় সূচনা করতে হবে। ভারত ষড়যন্ত্র করে পাকিস্তানিদের দিয়ে পাকিস্তানিদের হত্যা করছে। এজন্যে তারা এক শ্রেণীর সমাজবিরোধীদের কাজে লাগাচ্ছে। ঐক্যবদ্ধভাবে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটের ছাতক বাজারে স্বাধীনতা বিরোধীদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট জেলা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক ও মুসলিম লীগ নেতা শহীদ আলী বলেন, জাতি আজ এক মহা পরীক্ষার সম্মুখীন। দেশকে বাঁচাতে হলে প্রতিটি দেশ প্রেমিককে সংঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব সম্পূর্ণরূপে শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের নিতে হবে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ অক্টোবর, ১৯৭১

১০ অক্টোবর, ১৯৭১ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং নয়াদিল্লিতে বলেন, বিশ্ব জনমত বাংলাদেশের পক্ষে। শরণার্থীদের জন্য বিদেশী সাহ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৯ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন মূর্তি শিবিরে ১৪ সপ্তাহের বাংলাদেশ কোর্স সমাপণকারী প্রথম ব্যাচের সেনা অফিসারদের পাসিং-আউট অনুষ্ঠিত হয়। ৬১ জন তরুন যোদ্ধা এই প্রশিক্ষণ লাভ করেন এবং ক্যাডেট অফিসার সাঈদ আহমেদ প্রধান সেনাপতির ছড়ি লাভের সম্মান অর্জন করেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ও প্রধান সেনাপতি জেনারেল এম.এ.জি ওসমানীসহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের শিমলায় অল ইন্ডিয়া কংগ্রেসের সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন, ভারত সরকার বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রামের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। যে কোনো ধরণের পরিস্থিতিতে তাঁর সরকার বাংলাদেশ প্রশ্নে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ভারত বাংলাদেশের শরণার্থীদের স্বদেশে ফেরত পাঠাতে চায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খুলনা জেলায় মুক্তিবাহিনী বাগেরহাট পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর একজন অফিসারসহ ১০ জন সৈন্য নিহত ও অনেকে গুরুতর আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের এক প্লাটুন সৈন্যকে কুশডাঙ্গায় এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ১১ জন সৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রংপুর জেলার হলিদাবাড়ী অঞ্চলের রাজাকার কমান্ডার হাবিবুর রহমান বিপুল অস্ত্রশস্ত্রসহ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গাইবান্দা অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান এক ঘোষণায় ৭৬ নং সামরিক বিধি তুলে নিয়ে ৯৪ নং সামরিক বিধি জারি করে। এ আদেশে পাকিস্তানের সংহতি ও অখন্ডতা বা আদর্শের পক্ষে ক্ষতিকর প্রচার কার্যক্রমের ওপর বিধি নিষেধ আরোপ করে রাজনৈতিক তৎপরতা থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। গত ২০ মার্চ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সদস্য শাহ আজিজুর রহমান বলেন, ভারতে চলে যাওয়া শরণার্থীদের সংখ্যা ৯০ লাখ নয়, ২০ লাখের সামান্য কিছু বেশি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুসলিম লীগ(কাইয়ুম) প্রধান খান আবদুল আইয়ুম খান ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের আর্দশে অবিশ্বাসী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত, যুবকদের বাধ্যতামূলক রাজাকার বাহিনীতে যোগদানের ব্যবস্থা ও শ্রমিকদের পরিবর্তে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রাজাকারদের কল-কারখানায় নিয়োগের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নির্বাচন কমিশনের এক প্রেস নোটে জানানো হয়, পূর্বঘোষিত উপ-নির্বাচনের মনোয়নপত্র ২০ অক্টোবর এবং বাকিগুলোর মনোয়ন পত্র ১ নভেম্বর জমা দিতে হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘হিন্দুস্থান স্ট্যান্ডার্ড’ পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে বলা হয় : সারা সিলেট শহরে মুক্তিবাহিনী অপ্রতিরোধ্যভাবে পাকসৈন্যদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে। হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ মহকুমা এবং উত্তর সিলেটের পুরো অংশ মুক্তিফৌজ দখল করেছে। এছাড়া গোয়াইনঘাট, সারি, সালুটিকর, কানাইঘাট, শ্রীমঙ্গল, শমসেরনগর-এ মুক্তিবাহিনী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত মুক্তিফৌজের ১০,০০০ গেরিলা ঐ এলাকায় পাকসৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ অক্টোবর, ১৯৭১

০৯ অক্টোবর, ১৯৭১ ভুটান সীমান্ত সংলগ্ন মূর্তি শিবিরে ১৪ সপ্তাহের বাংলাদেশ কোর্স সমাপণকারী প্রথম ব্যাচের সেনা অফিসারদের পাসিং-আউট অনুষ্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৮ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>লন্ডনে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এক সমাবেশে বক্তৃতাকালে এক দল উর্দুভাষী তাঁর ওপর চড়াও হয় এবং সভা পন্ড করার চেষ্টা করে। এতে তিনি সামান্য আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদেও শালতা নদী মূল ঘাঁটির চারটি অবস্থানের ওপর তিন দিক থেকে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে পাকসেনারা তাদের দু’টি অবস্থান ত্যাগ করে অবশিষ্ট ঘাঁটি দু’টিতে আশ্রয় নেয়। সুবেদার বেলায়েত অতি দ্রুত তাঁর বাহিনী নিয়ে শালদা নদী অতিক্রম করে পাকসেনাদেও পরিত্যক্ত ব্যাংকারগুলোতে অবস্থান নেন। এতে পাকসৈন্যরা বাজার এলাকা থেকে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশনের অবস্থানের সঙ্গে সংযোগ হারিয়ে ফেলে। এই যুদ্ধে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশন হানাদার মুক্ত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোপালপুর থানা শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী দিনভর মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করেও থানার পতন ঘটাতে না পারলেও মেজর হাকিম পুরো থানা রেকি করেন। হানাদারদের অবস্থান রেকি করে ফেরার সময় মেজর হাকিমের কোম্পানীর ১২/১৩ বছরের এক ক্ষুদে মুক্তিযোদ্ধা ভুলু ছদ্মবেশে হানাদারদের ঘাঁটিতে গ্রেনেড আক্রমণ চালায় এতে আটজন হানাদার সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাজশাহীর উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত গ্রাম চাউকায় মুক্তিবাহিনী পাকহানাদারদের ওপর আক্রমণ চালায়।এতে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মথুরানগরে অবস্থানগত পাকবাহিনীর দুই প্লাটুন সৈন্যকে আক্রমন করে। এতে পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয়পক্ষের মধ্যে চার ঘন্টা গুলিবিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য নিহত ও ৪ জন আহত হয়। অপরদিকে৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের বেতাই সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কামদেবপুর অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩০ জন পাকসৈন্য ও রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তানে ব্যবহারের জন্য ৫ কোটি টাকা দেয়ার একটি চুক্তিপত্র পাকিস্তান সরকার এবং মার্কিন সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খান বগুড়ার আলতাফুন্নেছা ময়দান দালালদের উদ্দেশে বলেন, দেশে উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও ভারত উদ্বাস্তুদের ফিরেতে দিচ্ছে না। তিনি দ্বি-জাতিতত্ত্বের আর্দশে বিশ্বাসী করে তোলার জন্য শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাবার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নূরুল আমিন পিপিআই প্রতিনিধিকে জানান, তিনি জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্য মাহমুদ আলীকে ডেকে পাঠিয়েছেন। কারণ আসন্ন নির্বাচনে দলের কর্মসূচী নির্ধারণের জন্যে তার উপস্থিতি দরকার।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ অক্টোবর, ১৯৭১

০৮ অক্টোবর, ১৯৭১ লন্ডনে বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ প্রতিনিধি বিচারপতি আবু সাইদ চৌধুরী বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এক সমাবেশে ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;">  ০৭ অক্টোবর, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম নয়াদিল্লীতে বলেন, আমরা বাংলাদেশ প্রশ্নের একটি রাজনৈতিক সমাধান বলতে একমাত্র ‘স্বাধীনতা’ বুঝি। আমরা বিশ্বাস করি, বাঙালিরা একদিন স্বাধীনতা লাভ করবে এবং বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা ও স্বীকৃতি পাবে। কেননা, তারা ন্যায় ও সত্যের জন্য লড়াই করছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কাদেরিয়া বাহিনী ভুয়াপুর থানায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা ভুয়াপুর থানা পাকসেনা মুক্ত করে। এতে ৭০/৮০ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে। যুদ্ধে ২ জন বীর মুৃক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ক্যাপ্টেন গাফফারের নেতৃত্বে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশন দখলের পরিকল্পনা অনুযায়ী পাকসেনা ঘাঁটি বড়দাসুয়া, চাঁদলা, কায়েমপুর এবং গোবিন্দপুর আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর নায়েব সুবেদার সিরাজ, সুবেদার মঙ্গল মিয়া এবং সুবেদার বেলায়েত স্ব-স্ব প্লাটুন নিয়ে উত্তর-পশ্চিম দিক সামনে রেখে পূর্ব দিকে অবস্থান নেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাজশাহীর মাগুরাপাড়ায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক সফল অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৩ জন পাকসৈন্য ও ৪ জন পাকপুলিশ নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের মোগলহাটে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ডাঃ এ.এম. মালিক তার মন্ত্রী সভায় আরো তিনজন মন্ত্রী অন্তভর্’ক্ত করেন। নতুন মন্ত্রীরা হচ্ছেন ঃ পিডিপি-র এ.কে. মোশারফ হোসেন, জসিম উদ্দিন আহমদ ও কাইয়ুম মুসলিম লীগের মুজিবুর রহমান এ্যাডভোকেট। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিশ্ব ব্যাংকের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি শিগোমটস্থ কারিয়ামা খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লেঃ জেনারেল নিয়াজী সৈয়দপুরের নবনির্মিত বিমান ঘাঁটির উদ্বোধন করেন। দালাল ও সেনাবাহিনীর একতাবদ্ধতার নিদর্শন হিসেবে বিমান ঘাঁটিটি সম্মিলিতভাবে তৈরী করা হয়। বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে নিয়াজী বলেন, ‘যারা ভাষাভিত্তিক প্রশ্ন তুলে আমাদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করতে চায় তারা পাকিস্তানের শত্রু। আমরা ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জাতি হিসেবে টিকে থাকবো এবং শত্রুর দুরভিসন্ধি নস্যাৎ করে দেবো। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিরিয়ার প্রতিনিধি জাতিসংঘে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, ‘ সিরিয়া পাকিস্তানের ঐক্য রক্ষা এবং পূর্ব পাকিস্তানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দেখতে আগ্রহী।’</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ অক্টোবর, ১৯৭১

 ০৭ অক্টোবর, ১৯৭১ ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম নয়াদিল্লীতে বলেন, আমরা বাংলাদেশ প্রশ্নের একটি রাজনৈতিক সমাধান বলতে একমাত্র ‘স্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ০৬ অক্টোবর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী রাজশাহী জেলার সীমান্ত গ্রাম ঘোষপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাবিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিসেনারা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য হস্তগত করে। </li> </ul> <ul> <li>রাতে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে গেট প্রহরারত ৩ জন রাজাকার নিহত ও ২ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের বয়রা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পীরগাছায় পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২ জন পাকসৈন্য নিহত ও ২ জন রাজাকার আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল গাড়ীতে মাল বোঝাইরত পাকসেনাদের ওপর গ্রেনেডের সাহায্যে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লা রণাঙ্গনে মুক্তিযোদ্ধারা গোপীনাথপুর, চান্দিনা, শারদানদী ও নয়নপুরে পাকিস্তানি বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি পাকিস্তানকে সকল প্রকার সাহায্য দান সম্পর্কিত প্রস্তাব অনুমোদন করেন। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোজার্স পূর্ব পাকিস্তানের ঘটনাবলীকে সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি হানাদারদের হাত থেকে জীবন নিয়ে পালিয়ে গিয়ে ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারীদের আবারো হানাদারদের হাতে ছেড়ে দেবার সুপারিশ করেন। </li> </ul> <ul> <li>চীনা কনসাল জেনারেল সিয়াও চিউজই বলেন, চীনের সরকার এবং জনগণ বৈদেশিক হামলা এবং অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্য দেশের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সব সময়ই পাকিস্তানকে সমর্থন জানাবে। </li> </ul> <ul> <li>জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে দেখা করেন। মন্ত্রী জমিয়ত নেতাদেরকে নিজ নিজ এলাকায় দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার ও দেশ পুনর্গঠনের আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>খান আবদুস সবুর খানের বাসায় কাইয়ুম মুসলিম লীগের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে মুসলিম লীগ (কাইয়ুম) প্রধান কাইয়ুম খান বলেন, ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে ভারতীয় প্ররোচনায় ইসলামের বদলে ভাষাকেই রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি বলে প্রচার শুরু করা হয়। ভাষাভিত্তিক শ্লোগানের মূল উদ্দেশ্যই ছিলো পাকিস্তানের ধ্বংস করা।’ </li> </ul> <ul> <li>‘সংগ্রামী বাংলা’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয় : পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর ২২ জন অফিসার ও ৪০০০-এর বেশী সৈন্য, রাজাকার ও বদর বাহিনীর লোক নিহত হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন রণাঙ্গণে প্রায় আড়াই হাজার কমান্ডো আক্রমণে উক্ত শত্রুসেনাদের নিহত করেছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ অক্টোবর, ১৯৭১

০৬ অক্টোবর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী রাজশাহী জেলার সীমান্ত গ্রাম ঘোষপুরে অবস্থানরত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালালে উভয় পক...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৫ অক্টোবর, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুমিল্লার উত্তরে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা আজনাপুর ও জামবাড়ি এলাকায় পাকসেনাদের কয়েকটি টহলদার দলকে আক্রমণ করে। এতে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য নিহত ও ২০ জন আহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও একজন আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটি মুক্তিবাহিনীর ২০ সদস্যের একটি মুক্তিযোদ্ধাদল কুমারসাইল গ্রামে এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের একটি দল এ্যামবুশের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকা স্টেডিয়াম এলাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাকসেনাদের একটি জীপের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর দু‘জন অফিসার নিহত ও জীপটি বিধ্বস্ত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী খুলনার পীরগাছায় পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকবাহিনীর একজন জুনিয়র অফিসারসহ তিনজন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর বীর মুক্তিযোদ্ধারা নয়নপুরে পাকসেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে ৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয়।  </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী সিলেটের সুনামগঞ্জ এবং সাচনার মধ্যেকার টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে পাকসেনাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। </li> </ul> <ul> <li>গোলাম আজমের সভাপতিত্বে জামায়াতে ইসলামী মজলিসে সুরার তৃতীয় দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের উপ-নির্বাচন পরিচালনার জন্য গোলাম আজমের নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন : নুরুজ্জামান,আব্দুল খালেক, গোলাম সারোয়ার, শফিকুল্লাহ। </li> </ul> <ul> <li>কাউন্সিল মুসলিম লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট এ.কিউ.এম.শফিকুল ইসলামসহ কয়েকজন স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চিম পাকিস্তান যান। জানা যায়, তারা পাকিস্তানের পক্ষে বিশ্ব জনমত সৃষ্টি করার জন্য কানাডাসহ পাশ্চাত্যের বেশ কয়েটি দেশ সফর করবেন। </li> </ul> <ul> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত নিয়মিত বাংলা কথিকা ‘বিশ্ব জনমত’:</li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> বৃটিশ কমন্সসভার অত্যন্ত প্রভাবশালী সদস্য ফ্রেড ইভান্স বলেছেন : বাংলাদেশ আজ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের এই স্বতন্ত্র অস্তিত্ব ও বাঁচার অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্যেই বাঙালিরা আজ হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছে। তারা আজ যে লড়াই করছে তা হলো দেশকে মুক্ত করার লড়াই- শত্রুমুক্তির লড়াই। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সমস্যার সমাধানে বিশ্বের প্রত্যেকটি দেশেরই এগিয়ে আসা উচিত। অবিলম্বে বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান না হলে এশিয়ার এই অঞ্চলের শান্তি বিঘিœত হবে। অবিলম্বে এর সমাধান করতেই হবে।</blockquote> </div> <div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> তিনি বলেন, বাংলাদেশের মূল সমস্যা মানবিক চেতনা ও মানবাধিকারের সমস্যা। আমরা বৃটেনবাসী ১৯৩৯ সালে ফ্যাসিস্ট জার্মানীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নেমেছিলাম, প্রযোজন হলে নয়া ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে ও যুদ্ধ করতে আমরা প্রস্তুত।</div> </blockquote> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ অক্টোবর, ১৯৭১

০৫ অক্টোবর, ১৯৭১ কুমিল্লার উত্তরে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা আজনাপুর ও জামবাড়ি এলাকায় পাকসেনাদের কয়েকটি টহলদার দলকে আক্রমণ করে। এ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৪ অক্টোবর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম.এ.জি. ওসমানী মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। তাঁরা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক বেশ কিছু সফল অভিযানের জন্য মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের অভিনন্দন জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের হাকিমপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী এক প্লাটুন পাকসেনার একটি দলকে কাকডাঙ্গার কাছে এ্যামবুশ করে। উভয়পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাবিনিময়ে ৬ জন পাকসেনা নিহত ও ৫ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের হাকিমপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী একটি এ্যামবুশ দল পাকসেনাদের একটি দলকে সোনাবাড়িয়া-মান্দরা এলাকায় এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লা জেলার কসবার কাছে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল তৃতীয় পাঞ্জাব রেজিমেন্টের একটি লঞ্চের ওপর আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকসেনাদের লঞ্চটি পানিতে ডুবে যায় এবং অনেক পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় বনানীস্থ নৌ-বাহিনীর সদর দফতরের কাছে গলফ্ স্কোয়ারে মুক্তিবাহিনীর গেরিলাযোদ্ধারা পাকবাহিনীর সহযোগঅ রাজাকারদের একটি দলকে অতর্কিতে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৪ জন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোপালগঞ্জ মহকুমার কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় পাকিস্তানি সৈন্যদের অবস্থানের ওপর মুক্তিবাহিনী ত্রিমুখী আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য ও ২০ জন রাজাকার নিহত হয়। এই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে পাকিস্তানিরা হেলিক্পটারের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পুনরায় আক্রমণ চালায়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র প্রতিরোধের মুখে তারা ফিরে যেতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যশোরের বেনাপোলে পাকবাহিনীর সহযোগী ২ জন রাজাকার মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিকের সভাপতিত্বে তথাকথিত পুনর্বাসন বোর্ডের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পুনর্বাসন এবং অর্থনৈতিক পুনগঠনের জন্যে একটি বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিডিপি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আগামী উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক প্রার্থীদের কাছ থেকে আবেদনপত্র আহ্বান করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত নিয়মিত বাংলা কথিকা ‘রাজনৈতিক মঞ্চ’: </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> পূর্ব বাংলা-পূর্ব পাকিস্তান-বাংলাদেশ। এ রূপান্তর ২৫ মার্চের সেই কালো রাতে বাংলার নিরীহ নিরস্ত্র গণতন্ত্রকামী মানুষের উপর ইয়াহিয়ার ঘাতক দলের উন্মুক্ত আক্রমণের ফলে চুড়ান্ত রূপ নিলেও বিগত ২৫ বছরের অনেক বঞ্চনা আর রক্তঝরার ইতিহাস জমাট বেধে ছিল এর পিছনে। বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে ফল্লুধরার সেই বাঁধটি খুলে গেছে, যা প্রতিনিয়ত পিষে মারছিলো বাঙালির সঞ্জীবনী শক্তিকে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে বাংলাদেশকে পঙ্গু করে রাখার জন্য, সামাজিকভাবে কোণঠাসা করার জন্য একের পর এক চক্রান্তের জাল বুনেছে পশ্চিম পাকিস্তানের সামন্ত সামরিক চক্র। বাংলাভাষা, বাংলার সংষ্কৃতি ও ঐতিহ্যেকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য আঘাত এসেছে একের পর এক। এসবের প্রতিবিধান দাবি করে বাঙালি পেয়েছে শুধু বুলেট ।</div> </blockquote> </div> <div style="text-align: left;"> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> পাকিস্তানের বিগত ২৩ বছরের ইতিহাসে এইভাবে বার বার সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে বাঙালি জাতিসত্তার সামগ্রিক বিকাশের প্রচেষ্টাকে হিংস্র পন্থায় দমন করতে চাওয়া হয়েছে। ৪৮, ৫২, ৬২, ৬৬, ৬৯, ৭০ সালগুলো বাংলার মানুষের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের এক-একটি উজ্জ্বল স্বাক্ষর। কিন্তু প্রতিটি ক্ষেত্রেই পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী পাল্টা হামলা চালিয়েছে নব নব কৌশলে । তাই ’৭১ এর ২৫ মার্চের পর পাকিস্তানের কাঠামোর মধ্যে বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের পথ চিরতরে রুদ্ধ হয়ে গেছে। এবার শুরু হয়েছে স্বাধীন জাতি হিসেবে দুনিয়ার বুকে মাথা তুলে দাঁড়াবার পালা।</div> </blockquote> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ অক্টোবর, ১৯৭১

০৪ অক্টোবর, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধান সেনাপতি কর্নেল এম.এ.জি. ওসমানী মুক্তিবাহিনীর বিভিন্ন ক্যাম...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৩ অক্টোবর, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি এক অনির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সফরে নয়াদিল্লি আগমণ করেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি.ভি. গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে পৃথক আলোচনা বৈঠকে মিলিত হন। নয়াদিল্লি ত্যাগের আগে তিনি হ্যানয়ের উদ্দেশে বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বর্তমান রুশ-ভারত সম্পর্কের মনোভাবের ভিত্তিতে সম্ভাব্য সবরকম সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল মুক্তিযোদ্ধাদের অনন্তপুর ও ধানীকুন্ডা অগ্রবর্তী অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনারা ভারী কামান ও মর্টারের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর প্রচন্ড গোলাবর্ষণ করে এবং সেই সঙ্গে পাকপদাতিক বাহিনীও আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ৪০/৫০ গজের মধ্যে পৌঁছলে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে ২৫/৩০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন বীর যোদ্ধা শহীদ হন। এই সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের চাপের মুখে অগ্রবর্তী ঘাঁটি পরিত্যাগ করে মূখ্য ঘাঁটিতে পিছুৃ হটে। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের মূখ্য ঘাঁটির ওপরও আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা গোলন্দাজ ও মর্টারের গোলার সাহায্যে তাদের প্রতিহত করে। এই আক্রমণে পাকসেনা মুক্তিবাহিনীর চাপের মুখে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এতে ৪০/৫০ জন পাকসেনা হতাহত হয়। মুক্তিবাহিনীর একজন বীর যোদ্ধা শহীদ ও ৫ জন আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাঙ্গাইলে মুক্তিবাহিনী ধনবাড়ীতে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকসেনাদলের অধিকাংশ সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামালপুরে মুক্তিবাহিনী কমলাপুর-বকশিগঞ্জ রাস্তার ওপর মাইন পঁতে এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের একটি গাড়ি মাইনের উপর এলে মাইন বিস্ফোরণে গাড়ীটি ধ্বংস হয় এবং ৭ জন পাকসেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের একটি দলকে গয়েশপুরে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৪ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রায়পুর থানার টি.ভি.সেক্টরে অবস্থানরত পাকসেনারে ওপর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল অতর্কিত আক্রমণ চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে ৬ ঘন্টাব্যাপী তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ৫০ জন পাকসৈন্য ও ৬০/৭০ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ৩৪ জন অবাঙালি ইপিআর ও রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ৭ জন বীর যোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সরকার উপ-নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রেসনোট জারি করে। প্রেসনোটে প্রাদেশিক পরিষদের বাকি ৮৮টি শূন্য আসনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন সরকার উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের নামে পাকিস্তান সরকারকে ১৫ কোটি ডলার সাহায্য দেয়ার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ অক্টোবর, ১৯৭১

০৩ অক্টোবর, ১৯৭১ সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি এক অনির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সফরে নয়াদিল্লি আগমণ করেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি.ভি. ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ অক্টোবর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>০২ অক্টোবর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা, যশোর ও সিলেট সীমান্তে ১৭ টি এলাকায় পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের আচমকা মর্টার ও কামান হামলায় রণাঙ্গণগুলোতে কয়েক’শ পাকসৈন্য হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার কালিপুর, পরশুরাম, খাজুরিয়া, শাহপুর, কাউয়ামতলা, নয়নপুর, বজ্জলা, হরিমঙ্গল, ছাগলপুর, রাজপুর, শালদা নদী, মধুগ্রাম, সিলেটের রাধানগর, জয়ন্তিপুর, রাজঘাট ও যশোরের বেনাপোলের হিজলতলী গ্রামে শত্রুবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী ময়মনসিংহের ফুলপুর-হালুয়াঘাট রাস্তায় মাইন পুঁতে এ্যামবুশ পাতে। পাকবাহিনীর একটি ট্র্যাংক অগ্রসর হয়ে মাইনের উপর এলে মাইন বিস্ফোরণ হয় এবং ট্র্যাংকটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল দিনাজপুরের ঠাকুরগাঁও-এ পাকসেনাদের জন্য মাইন পঁতে ওৎ পাতে। পাকহানাদারদের একটি খাদ্যবাহী ট্রাক ঠাকুরগাঁও-এর দিকে অগ্রসর হয়ে মাইনের উপর এলে মাইন বিস্ফোরণ হয় এবং ট্রাকটি ধ্বংস হয়। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লার হোমনায় মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১১ জন পুলিশ ও ৫ জন রাজাকার নিহত হয়। পরে ১৫ জন রাজাকার তাদের অস্ত্রশস্ত্রসহ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। </li> </ul> <ul> <li>গভর্নও ডাঃ এ. এম. মালিক খুলনায় সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সহযোগী দালালদের সভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতকারীরা আমাদের আত্মীয়স্বজন হলেও তারা বর্তমানে আমাদের শত্রু। কাজেই তাদের ক্ষমা করা যাবে না।’ </li> </ul> <ul> <li>সফররত মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য পিটার ও ফ্রেলিং হুইসেনকে পাকহানাদাররা তথাকথিত কুমিল্লার অভ্যর্থনা কেন্দ্র দেখাতে নিয়ে যায়। হানাদাররা এলাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং গোলাচিহ্ন দেখিয়ে এগুলোকে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ বলে প্রতিনিধিদের কাছে উল্লেখ করে। </li> </ul> <ul> <li>খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আলী খান চুয়াডাঙ্গা সফর করেন। চুয়াডাঙ্গায় তিনি দালালদের দেশ সেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটের সাগরনালে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদারদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা চালালে রাজাকারদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই সংঘর্ষে ৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ অক্টোবর, ১৯৭১

০২ অক্টোবর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা, যশোর ও সিলেট সীমান্তে ১৭ টি এলাকায় পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্...

Read more »