মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কলিকাতায় এক সরকারি মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশে মোতায়েনকৃত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমস্ত ব্যাটেলিয়নকে আগামী দু-একদিনের মধ্যে ভারতে ফিরিয়ে নেয়া হবে। তিনি বলেন, ১৪ দিনব্যাপী পাক-ভারত যুদ্ধে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর প্রায় একশত সদস্য নিহত এবং ৫শত আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>এদিকে নয়াদিল্লীর এক খবরে বলা হয়, ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শ্যাম মানেকশ বলেন, ভারতীয় বাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব ৯৩ হাজার পাক নিয়মিত ও অনিয়মিত সৈন্য ও বেসামরিক লোককে বাংলাদেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া। এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, বর্তমানে পাকবাহিনী গত যুদ্ধের বিপর্যয় সামলিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি যুদ্ধবিরতি সীমারেখা বরাবর সদা সতর্ক নজর রাখার জন্য সৈন্যদের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>এপিবি পরিবেশিত খবরে বলা হয়, বাংলাদেশ মন্ত্রীসভার বৈঠকে বাংলাদেশ সরকার পাকিস্তানি সেনাবিাহিনী ও তাদের দোসদেরও কৃত গণহত্যার পরিমাণ ও ব্যাপকতা সম্পর্কে তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। </li> </ul> <ul> <li>কমিশন পাকিস্তানি সেনাবাহিনী এবং তাদের দোসরগণ যে ক্ষয়ক্ষতি সাধন করেছে সে সম্পর্কে তদন্ত এবং বিশেষভাবে বুদ্ধিজীবী হত্যার ব্যাপারে সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহ ও একটি সামগ্রিক রিপোর্ট দাখিল করবেন। </li> </ul> <ul> <li>কমিশনের নেতৃত্ব করবেন হাইকোর্টের একজন জজ্ কিংবা অবসরপ্রাপ্ত জজ্ অথবা জজ্ হওয়ার যোগ্য কোন গণ্য মান্য ব্যাক্তি। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তৃতাকালে বলেন, ভারত পাকিস্তানের সাথে যুদ্ধ চায় না, চায় শান্তিতে বসবাস করতে। তিনি ভারতের প্রতি বন্ধুত্বের হাত প্রসারিত করতে পাকিস্তান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>ভারত-মার্কিন সম্পর্কের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে শ্রীমতি গান্ধী বলেন, পাক-ভারত সংঘর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষপাতমূলক দৃষ্টিভঙ্গির জন্যই সাম্প্রতিককালে ভারতের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, দু’দেশের মধ্যে পুনরায় বন্ধুত্বমূলক সম্পর্ক হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে বর্তমানে বাংলাদেশ একটি বাস্তব সত্য। আর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, ভারত চীনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। </li> </ul> <ul> <li>তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণহত্যার জন্য দায়ী পাকিস্তানী সৈন্যদের বিচারের উদ্দেশ্যে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে কি-না, সে ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারই স্থির করবেন।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ কলিকাতায় এক সরকারি মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশে মোতায়েনকৃত ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমস্ত ব্যাটেলিয়নকে আগামী দু-...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>এ পি বি’র খবরে বলা হয় : সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবী নিধন তথ্যানুসন্ধান কমিটির এক প্রতিনিধিদল অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul> <li>প্রতিনিধিদল পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ও তাদের দোসরদের পরিচালিত গণহত্যা সম্পর্কে তদন্ত অনুষ্ঠানের জন্য মুক্তিবাহিনী, মিত্রবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি ব্যাক্তিদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠনের দাবী জানান। এই সংস্থা ধর্মান্ধ ফ্যাসিস্ট আল-বদর বাহিনী কর্র্তৃক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বুদ্ধিজীবী নিধন এবং পাকবাহিনী ও কিছু বিদেশী এজেন্সিতে তাদের (আল-বদর) উপদেষ্টাদের সম্পর্কেও তদন্ত চালাবেন। তাঁরা বিশেষভাবে জোর দিয়ে বলেন, সন্দেহজনক ফ্যাসিস্ট নরঘাতক ও তাদের দোসরদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করার উদ্দেশ্যে এই কমিটিকে দ্রুত অভিযান শুরু করতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>প্রতিনিধিদল রায়েরবাজার এবং অন্যান্য স্থানে যেসব মৃতদেহ এখনও পড়ে আছে সেগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে সমাদিস্থ করার জন্য রাষ্ট্রপ্রধানের নিকট আবেদন জানান। কমিটির এক প্রেস রিলিজে বলা হয় যে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান প্রতিনিধিদলকে আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি তাঁদের দাবী সম্পর্কে ‘বাস্তব ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবেন। </li> </ul> <ul> <li>নরঘাতকদের অনেকেই এখন পর্যন্ত লোকচক্ষুর আড়ালে থাকাতে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ঐ সব রাষ্ট্রবিরোধী লোকদের নিমূল করার ব্যাপারে কমিটির প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানান। ঘাতকদের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত ব্যক্তিদের জন্যও তিনি সমবেদনা ও সহানুভ’তি জ্ঞাপন করেন। </li> </ul> <ul> <li>কলিকাতার মাদার টেরেসা এক সাক্ষাৎকারে গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম এর সাথে বাংলাদেশের বীরাঙ্গণা খেতাবে ভূষিতা কুমারী মাতাদের জন্য একটি সদন স্থাপনের পরিকল্পনা সম্পর্কে আলোচনা করেন। মাদার টেরেসার এই পরিকল্পনা অস্থায়ী প্রেসিডেন্টের অকুন্ঠ প্রশংসা লাভ করেন। অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট ভারতস্থ শরণার্থী শিবিরে মাদার টেরেসার কার্যক্রম লক্ষ্য করেছেন। মাদার টেরেসা ভারতে নিঃস্ব লোকদের পরিচর্যার জন্য বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন এবং উল্লেখযোগ্য সমাজসেবা কার্যের জন্য ম্যাগসেসাই পুরস্কার লাভ করেন। গরীব ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের পরিচর্যার জন্য তিনি ভারতে একটি ধর্মীয় ‘সেবিকা সম্প্রদায়’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং বর্তমানে সমগ্র ভারতে তার সম্প্রসারণ ঘটেছে। </li> </ul> <ul> <li>লাঞ্ছিতা মহিলা ও অপুষ্ট শিশুদের পরিচর্যার জন্য খুব দ্রুত মাদার টেরেসা কলিকাতা হতে ছয়জন সেবিকা পাঠাবেন। তাঁর এই কাজে সাহায্যের জন্য তিনি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার জন্য এবং তাঁর পরিকল্পনা সাময়িকভাবে বড় আকারের ভবন ব্যবহারে সহায়তাদানের জন্য সম্পত্তি মালিকদের প্রতি আবেদন জানান। ৬৭/২ কাকরাইল রোড, পোঃ-বক্স ৯৯৪, রমনা, ঢাকা-২ ফোন ২৫৯৬৭৯ এই ঠিকানস্থ খ্রীস্টান ত্রান ও পুনর্বাসন সংস্থার সহযোগিতায় এই পরিকল্পনার কাজ সম্পাদিত হবে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭১

৩০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এ পি বি’র খবরে বলা হয় : সন্ধ্যায় বুদ্ধিজীবী নিধন তথ্যানুসন্ধান কমিটির এক প্রতিনিধিদল অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ ন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>এ পি বি’র খবরে বলা হয়: ঢাকা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীদের এক সভায় ফ্যাসিস্ট আল-বদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী নিধনযঙ্গের রহস্য উদ্ঘাটনের উদ্দেশ্যে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি “বুদ্ধিজীবী হত্যা তদন্থ কমিটি” নামে অভিহিত হবে। কমিটির নেতৃত্ব করবেন প্রখ্যাত লেখক ও চিত্র পরিচালক জহির রায়হান। এক সরকারী হ্যান্ডআউটে বলা হয়, দখলদার বাহিনীর সহযোগিতাকারী আরও ১৮ জন চাঁইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হল:</li> </ul> <ol> <li>ঢাকা বেতার কেন্দ্রের সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক সৈয়দ জিল্লুর রহমান</li> <li>পুলিশের সাবেক ডি আই জি মঈনুদ্দিন খান,তথাকথিত উপনির্বাচনের এম পি এ</li> <li>তেজগাঁও ঢাকার মোঃ জি এ খান</li> <li>তথাকথিত উপনির্বাচনের এম এন এ জামাতে ইসলামের অধ্যপক এস এম ইউসুফ </li> <li>গোপালগঞ্জের মুসলিম লীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামানের ভ্রাতাফায়েকুজ্জামান </li> <li>জামালপুর মহকুমা কনভেনশন মুসলিম লীগের সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম রব্বানী</li> <li>ঢাকার শান্তিনগরের নুরুজ্জামান খান</li> <li>ঢাকার মিরপুরের শাকিল আহমদ</li> <li>সভিল আর্মড ফোর্সের সদস্য আনিস খান </li> <li>ঢাকার মিরপুরের আনোয়ারুল হক</li> <li>কুমিল্লার মতলবের মওলানা সফিউল্লাহ</li> <li>কুমিল্লার ফারদগঞ্জের শহিদুল্লাহ </li> <li>ঢাকার মিরপুরের আব্দুল কাইয়ুম</li> <li>অলাম্পিয়া টেক্সটাইল মিলস্থ শরীফ খান</li> <li>ঢাকার মিরপুরের মো: ইউসুফ</li> <li>ঢাকার মিরপুরের রাজাকার মো: সিদ্দিক</li> <li>ঢাকার মানিকগঞ্জের শান্তি কমিটির সদস্য এ কে এম সিরাজুল ইসলাম এবং </li> <li>ঢাকার খোদাদাদ । </li> </ol> <ul> <li>এ পি বি’র খবরে প্রকাশ, খিলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয় পুনরায় চালু উপলেক্ষ আয়োজিত বিরাট কর্মীসভায় বক্তৃতা প্রসঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, সর্বপ্রকার শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে সমাজতন্ত্রী অর্থনীতি চালু করাই আওয়ামী সরকারের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রী দেশ হিসেবে পুনর্গঠনের জন্য সর্বশক্তি ও উদ্যম নিয়োজিত করার জন্য তিনি জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ সাড়ে ৭ কোটি মানুষের মুক্তি সংগ্রামে যাঁরা শহীদ হয়েছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেণ, আওয়অমী লীগ সরকার শহীদদের রক্ত বৃথা যেতে দেবে না। </li> </ul> <ul> <li>তিনি আও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে বাংলাদেশের মানুষ সত্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে মাত্র নয় মাসের মধ্যে জয়ী হয়েছে। কোন জাতি এত কম সময়ের মধ্যে স্বাধীনতা অর্জন করতে পারেনি এবং স্বাধীনতার জন্য এত রক্তের ঋণও পরিশোধ করতে হয়নি। </li> </ul> <ul> <li>বাঙালিদের মুক্তি সংগ্রামে অকুন্ঠ সমর্থদানের জন্য তিনি ভারতের ৫৫ কোটি অধিবাসী, ভারত সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান জনগণ ও সরকারের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি বলেন, আমাদের মুক্তি সংগ্রামের প্রতি রাশিয়ার দৃঢ় সমর্থনদানের ফলেই বাংলাদেশে বিশ্বযুদ্ধে শিকার হতে বেঁচে গেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রাসমর ফলে চিরকালের জন্য পঙ্গু ও বেসামরিক লোকদের পুনর্বাসনের জন্য সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি বাংলাদেশ সরকারের শান্তিপুর্ণ সহ-অবস্থান ও জোঠ নিরপেক্ষ নীতির পুনরুক্তি করেন। </li> </ul> <ul> <li>তিনি বলেন, বাংলাদেশের যুব সমাজ স্বাধীনতার পুরোধা ছিল বলে তাঁদের নিরস্ত্র করা হবে না। তাঁরা নিজেদের পেশায় ফিরে যেতে না চাইলে তাঁদের জাতীয় মিলিশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ভোরে ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাজী গোলম মোস্তফা এম.পি. এ এবং কুস্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম এ.এন.এ বক্তৃতা করেন। </li> </ul> <ul> <li>পি.টি.আই পরিবেশিত খবরে বলা হয়, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পর্যায়ক্রমে প্রায় ৪৫ হাজার যুদ্ধবন্দীকে জাহাজযোগে ঢাকা থেকে ভারতে নেওয়া হবে। এই যুদ্ধবন্দীদের মধ্যে নিয়মিত ও অনিয়মিত সৈন্য রয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিসয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক এম. ইউসুফ আলী বেগম শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তিনি আওয়অমী লীগ অফিসে গিয়ে নেতা ও কর্মীদের সাথে আলোচনা করেন। সন্ধ্যায় তিনি দৈনিক ইত্তেফাক অফিসে গিয়ে দখলদার বাহিনী দ্বারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মেশিনপত্রের ধ্বংসাবশেষ দেখেন।</li> </ul> </div> <div> <div> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এ পি বি’র খবরে বলা হয়: ঢাকা প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত বুদ্ধিজীবীদের এক সভায় ফ্যাসিস্ট আল-বদর বাহিনী বুদ্ধিজীবী নিধনযঙ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা শহরে 'শেখ মুজিব দিবস'-এর অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে_সকালে মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রার্থনা, শোভাযাত্রা ও বিকেলে পল্টন ময়দানে জনসভা। সভায় বক্তৃতা করবেন অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং অন্য আওয়ামী লীগ নেতারা। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রখ্যাত লেখক ও চলচ্চিত্র প্রযোজক জহির রায়হান অভিযোগ করেছেন যে বদর বাহিনী কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে বাঙালি বুদ্ধিজীবী হত্যার পেছনে একটি বৃহৎ শক্তি জড়িত আছে। তিনি স্থানীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, এই হত্যাকাণ্ড শুধু বদর কূপমণ্ডূকদের দ্বারা সম্ভব হয়নি, মার্কিন গোয়েন্দা সার্ভিস কর্তৃক ইন্দোনেশিয়া, জর্ডান এবং কঙ্গোতে পরিচালিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর প্রায় মিল রয়েছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জহির রায়হান তথ্য প্রকাশ করে বলেন, লে. নিয়াজিসহ কিছু পাকিস্তানি জেনারেল এ ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল। কিছু উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীও এ ষড়যন্ত্রের দোসরের কাজ করে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এখনো এ ব্যাপারে কোনো কার্যকরী সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। খুনি ও অপরাধী ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে জনগণের বিভিন্ন অংশে অনুপ্রবেশ করেছে এবং তাঁর কাছে অপরাধীদের পূর্ণাঙ্গ একটি তালিকা রয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র ও হত্যারহস্য সারা বিশ্বের কাছে উদ্ঘাটন করতে সরকারের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, বদর দস্যুদের মুখোশ উন্মোচন না করলে জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি তা হুমকি হয়ে থাকবে। এদের কঠোর হাতেই দমন করতে হবে। বদর পশুদের জঘন্য হত্যাকাণ্ডে দেশ তার সেরা সন্তান-সন্ততিদের হারিয়েছে।</li> </ul> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ ঢাকা শহরে 'শেখ মুজিব দিবস'-এর অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে রয়েছে_সকালে মসজিদ, মন্দির, চার্চ ও প্যাগোডায় বিশেষ প্রা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>বোম্বাই-এর সাপ্তাহিক ‘ব্লিৎস’ পত্রিকার সম্পাদক আর কে কারানজিয়া পাকিস্তানি ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে বাংলাদেশে নরহত্যা ও ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করে বিচারের জন্য একটি যুদ্ধ অপরাধ কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। ঢাকার বার্তা প্রতিষ্ঠান বি.পি.আই পরিবেশিত খবরে বলা হয়, ‘ব্লিৎস’ পত্রিকার সাম্প্রতিক সংখ্যায় ‘শয়তানের বীভৎস মুখ দর্শনে’ নামে লিখিত একটি নিবন্ধে কারানজিয়া বলেন, এ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে পাকিস্তানি বাহিনী সম্পর্কে যে তথ্য লাভ করেছেন তাতে এটাই প্রমাণিত হয়, পাকিস্তানি সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধী, যুদ্ধবন্দী নয়। নিয়াজী, ফরমান আলী গং জেনেভা কনভেনশন অনুসারে যুদ্ধবন্দীর মর্যাদা পেতে পারে না। তারা খুনী, তারা নারীর মর্যাদা-হরণকারী, তারা সৈনিকের মর্যাদাকে ভুলুন্ঠিত করেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কারানজিয়া অভিমত প্রকাশ করেন যে, ইয়াহিয়া চক্র অতিরঞ্জিত ও ভাবাবেগ সৃষ্টি করে বাংলাদেশে জাতিসংঘ কিংবা চীন ও মার্কিন হস্তক্ষেপের পথ প্রশস্ত করার ব্যর্থ প্রচেষ্টায় নিজেদের একটি পিস্টন ইঞ্জিন বিশিষ্ট বিমান ও দুটি হেলিকপ্টারের সাহায্যে এতিমখানা ও কতিপয় এলাকায় বোমা বর্ষণ করে। তিনি তাঁর নিবন্ধে উল্লেখ করেন, তিনি এমন কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে আলাপের সুযোগ লাভ করেছেন, যাঁরা ঢাকায় বিমান ও হেলিকপ্টারকে এতিমখানার ওপর দিয়ে উড়ে যেতে এবং সেখানে বোমা নিক্ষেপ করতে দেখেছেন। এই হামলায় বহু শিশু প্রাণ হারায়। বিদেশী সাংবাদিকরা এই ঘটনাকে দৃষ্টান্তহীন বলে অভিহিত করেছেন। এরাই যুদ্ধবন্দীর মর্যাদার জন্য দাবী করে আর তাদের অপকীর্তিকে ভারতীয় বাহিনীর ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তিনি আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করে বলেন, কমলাপুরে আহত ৩৬ জন ভারতীয় সৈন্যকে পাকিস্তানি কমান্ডিং অফিসারের নির্দেশে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়। ভারতীয় বাহিনীর নিকট এই ঘটনার তথ্য প্রমাণ রয়েছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কারানজিয়া বলেন, জেনারেল নিয়াজী এবং তার সহযোগীরা পূর্ব ও পশ্চিম রণাঙ্গনে ভণিতার আশ্রয় গ্রহণ করে। তারা ভারতীয় সৈন্যদের গুপ্তস্থান থেকে বের করার জন্য শ্বেত পতাকা উড়িয়েছে। তিনি প্রশ্ন করেন, সুতরাং পাকিস্তানি সৈন্যরা কিভাবে যুদ্ধবন্দীর সম্মান লাভ করতে পারে ? </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল শ্যাম মানেকশ’ সকালে আলাদাভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদ এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বাংলাদেশ বাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্ণেল এম.এ.জি ওসমানীও সে সময় উপস্থিত ছিলেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভুট্টো পিন্ডিতে অন্তরীণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করেন, তবে তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু জানা যায়নি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পুরানা পল্টনস্থ আওয়ামী লীগ অফিসে স্বাধীনতাউত্তর প্রথম কর্মীসভায় ভাষণদানকালে অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের জনগণের সাথে এই সরকারের ঘনিষ্ঠ ও নিবিড় সম্পর্ক বজায় থাকবে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জনগণেরই সরকার। বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণই এই সরকারের কাম্য। তিনি তাঁর মন্ত্রীপরিষদ সদস্য ও নিজকে জনগণের সেবক বলে অভিহিত করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিকালে বঙ্গভবনে চার জন নতুন মন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠান শেষে সৈয়দ নজরুল ইসলাম মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদেরসহ পুরানা পল্টনস্থ আওয়ামী লীগ অফিসে যান। আওয়ামী লীগ কর্মী ও নেতৃবৃন্দ অস্থায়ী রাষ্ট্রপ্রধান ও তাঁর মন্ত্রীপরিষদ সদস্যদের বিপুল সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ ও ঢাকা শহর আওয়ামী লীগ সম্পাদক গাজী গোলাম মোস্তফা কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সৈয়দ নজরুল ইসলাম ঘোষণা করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সুখী, সুন্দর ও শোষণহীন সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে মানুষে মানুষে ভেদাভেদ থাকবো না, মানুষ সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে থাকবে এবং সাধারণ মানুষই হবে রাষ্ট্রের ভাগ্য নিয়ন্তা। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানই এই সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশে কোন প্রকার স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কুটনৈতিক পর্যায়ে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। পাকিস্তান জঙ্গীশাহীর পক্ষে একটি স্বাধীন দেশের রাষ্ট্রপতিকে বেশিদিন আটকে রাখা সম্ভব হবে না এবং অচিরেই তাঁকে মুক্ত করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশে দখলদার বর্বর পাকবাহিনীর সাথে সহায়তা করার অভিযোগে আরো কয়েকজন দালালকে গ্রেফতার করা হয়। তারা হচ্ছে :</li> </ul> <ol style="text-align: left;"> <li>ড.হাসান জামান, প্রাক্তন পরিচালক, পাকিস্তান বিষয়ক একাডেমী।</li> <li>নাসিরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী,সিলেট, সদস্য নেজামে ইসলামী, প্রাক্তন প্রাদেশিক মন্ত্রী, সম্প্রতি তথাকথিত উপনির্বাচনে নির্বাচিত জাতীয় পরিষদ সদস্য।</li> <li>মওলানা আতাহার আলী, কিশোরগঞ্জ শহর।</li> <li>মওলানা সাঈয়েদুর রহমান , ময়মনসিংহ শহর।</li> <li>বাহাউদ্দিন আহমদ, প্রাক্তন এডিশনাল এস পি, সিলেট।</li> <li>মো: এস বি দোজা, সিও (রেভ) কতোয়ালী, ঢাকা।</li> <li>নূরুল আমীন, সুপারিন্টেনডেন্ট, তেজগাঁও টেলিফোন ওয়ার্কশপ।</li> <li>শাহাবুদ্দিন, ফোরম্যান, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই।</li> <li>মওলানা বজলুর রহমান, দয়াপুর, কুমিল্লা।</li> <li>এস এম মুজতবা খুরশিদ, প্রাক্তন ওসি,লালবাগ থানা, ঢাকা।</li> <li>এস আই ইউসুফ আলী চৌধুরী, প্রাক্তন ওসি,কালিগঞ্জ থানা, ঢাকা।</li> <li>এস আই মো: ইসহাক, প্রাক্তন ওসি,মোহাম্মদপুর থানা, ঢাকা।</li> <li>হাবিলদার নওয়াব খান,ই পি সি এ এফ।</li> <li>শামী, মুজাহিদ কমান্ডার, মিরপুর।</li> <li>মো: আকিল (মুজাহিদ), মিরপুর।</li> <li>মো: আলী ওরফে মো: আখতার আলী (মুজাহিদ), মিরপুর।</li> <li>মান্না ওরফে আবদুল আজিজ (মুজাহিদ), মিরপুর।</li> <li>শুর মোহাম্মদ (মুজাহিদ), মিরপুর।</li> <li>শাহাবুদ্দীন, শত্রুবাহিনীর এজেন্ট।</li> <li>আবদুল জহীর (রাজাকার), নোয়াখালী।</li> <li>আনকা ওহী (রাজাকার), পার্বত্য চট্টগ্রাম।</li> <li>আবুল বাশার মো: শাহজাহান (আলÑবদর), ফেনী, নোয়াখালী।</li> <li>সৈয়দ মো: মোহেন কাদের, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।</li> <li>আনিসুর রহমান,কমান্ডার (আল-বদর)।</li> <li>বিলাল হোসেন, কমান্ডার (আল-বদর)।</li> <li>এস. এ. সিদ্দিকী, মিরপুর, কমান্ডার (আল-বদর)।</li> <li>এ বি এম খালেক মজুমদার (আল-বদর)।</li> <li>ওমর হায়াত, মিরপুর।</li> <li>সিরাজদ্দীন, সদস্য, শান্তি কমিটি।</li> <li>আশরাফ আলী, ‘আল-বদর’ সদস্য,ফরিদাবাদ।</li> <li>এস.এম.মুনিবুল হক, আহ্বায়ক, শান্তি কমিটি।</li> <li>সৈয়দ এরশাদ হোসেন, তেজগাঁও, ঢাকা।</li> <li>সৈয়দ মো: মহসিন, মোহাম্মদপুর, ‘আল-বদর’ সদস্য।</li> <li>মো: হানিফ, মিরপুর। </li> </ol> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বোম্বাই-এর সাপ্তাহিক ‘ব্লিৎস’ পত্রিকার সম্পাদক আর কে কারানজিয়া পাকিস্তানি ফ্যাসিস্ট বাহিনীকে বাংলাদেশে নরহত্যা ও...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s1600/ekd.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s1600/ekd.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul> <li>হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার লন্ডন অফিসের সংবাদে প্রকাশ করা হয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি কনফেডারেশন গঠনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ভুট্টোর সাথে আলোচনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে রাওয়ালপিন্ডি নেওয়া হয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য ভুট্টো চীনা ও মার্কিন প্রতিনিধিকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। </li> </ul> <ul> <li>আরো বলা হয়, ২২টি দেশ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। </li> </ul> <ul> <li>জাতীয় পরিষদ সদস্য এবং ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী সামসুদ্দিন মোল্লা এক বিবৃতিতে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর জামাতে ইসলামীর কুখ্যাত আল বদর, আল-শাম্স ও রাজাকার কর্তৃক পরিচালিত ব্যাপক গণহত্যার বিচার অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবী জানান। তিনি বলেন, দখলদার পাকবাহিনীর দোসররা ঢাকার সাহিত্যিক, সাংবাদিক, অধ্যাপক ও বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাঁদের প্রায় সকলেই খুণীদের হাতে প্রাণ হারান। </li> </ul> <ul> <li>জনাব শামসুদ্দিন আরও বলেন, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবীদের এই অমানুষিক ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ড ফেরাউন, নমরুদ ও হিটলারের বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। সারা বিশ্ব এসব প্রতিভার হত্যাকান্ডে বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে পড়েছে। সোনার বাংলার বুদ্ধিজীবী সমাজকে নিমূল করাই ছিল দখলদার বাহিনীর সর্বশেষ নৃশংস হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য। তাদের পৈশাচিক অভিযানের শিকারে পরিণত হয়েছে ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহক সম্পাদক প্রখ্রাত সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন হোসেন, দৈনিক সংবাদের শহীদুল্লাহ কায়সার, পি.পি.আই’র নিজামুদ্দিন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মুনীর চৌধুরী, অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী এবং আরও অনেকে। </li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ হিন্দুস্তান স্ট্যান্ডার্ড পত্রিকার লন্ডন অফিসের সংবাদে প্রকাশ করা হয়, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে একটি কনফেডারে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>এপিবি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বলেন, বাংলাদেশ সবার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ অবস্থান চায়। তিনি নতুন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দানের জন্য সব দেশের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে কী সম্পর্ক হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোন দেশের সঙ্গে শত্রুতার কোন কারণ নেই। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করেছে, এই বাস্তব সত্যটিকে মেনে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সকল রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, চীন এক মহান জাতি এবং সবসময় সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছে। তিনি বাংলাদেশের প্রশ্নে দৃর্ষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করার ব্যাপারে নেতৃবৃন্দের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চীনের জনগণের প্রতি আবেদন জানান। </li> </ul> <ul> <li>এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, শীঘ্রই দেশকে শাসনতন্ত্র দেওয়া হবে এবং ভবিষ্যতে শাসনতন্ত্রে অবশ্যই জনগনের আকাক্ষার প্রতিফলন ঘটতে হবে। তিনি বলেন,ভবিষ্যতে শাসনতন্ত্র প্রনীত না হওয়া পর্যন্ত যেসব পুরাতন আইন দেশের স্বার্থবিরোধী নায় তা বলবত থাকবে। </li> </ul> <ul> <li>তিনি বলেন, জাতির সামনে প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, দেশের বিপর্যস্ত অর্থনীতির পুনর্গঠন এবং ভারতে আশ্রয় নেয়া বাংলাদেশের শরণার্থীদের পূনর্বাসন। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশে অন্তর্বতীকালীন জাতীয় সরকার গঠনের জন্য ন্যাপ প্রধান যে প্রস্তাব দিয়েছেন সে সম্পর্কে তিনি বলেন, জাতীয় সরকার সব সময় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরের নির্বাচন বিশ্বের কাছে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং সরকার গঠনের জন্য আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে। তিনি বলেন, জাতি-ধর্ম- নির্বিশেষে জনসাধারণ শুধু আওয়ামী লীগের ৬-দফা কর্মসূচির প্রতিই ভোট দেয়নি এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের প্রতিও ভোট দিয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীকে নিরস্তকরণ সম্পর্কে তাজউদ্দিন আহমদ বলেন, যাঁরা দখলদার বাহিনঅর হাত হতে দেশের মুক্তির জন্য অস্ত্র ধারণ করেছে তাঁরা সাধারণ লোক না বরং তাঁরা অসাধারণ লোক। তাঁরা জানে কখন অস্ত্রধারণ করতে হয় এবং কখন গঠনমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করতে হয়। তিনি বলেন যে, তাঁদেরকে জাতীয় মিলিশিয়া এবং অন্যাণ্য জাতিগঠনমূলক কাজে নিয়োগ করা হবে। </li> </ul> <ul> <li>স্বাধীনতার পূর্বে বিভিন্ন দলের সমবায়ে গঠিত পরামর্শ কমিটির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই কমিটি বহাল থাকবে। বাংলাদেশ মন্ত্রীসভা ও কমিটির সাধারণ মতের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির কোন কারণ থাকতে পারে না। </li> </ul> <ul> <li>এপিবি পরিবেশিত এক সংবাদে বলা হয় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ডি.পি.ধর বঙ্গভবনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul> <li>আন্তর্জাতিক রেডক্রস সমিতির একটি বিমান ঔষধপত্র, বিভিন্ন সাহায্যদ্রব্য ও রেডক্রস কর্মীদের ঢাকা পৌঁছেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সাহায্য-বাহী এটাই প্রথম বিমান। </li> </ul> <ul> <li>পুলিশ ডিরেক্টরেটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় দখলদার পাকিস্তান বাহিনীর আরও বহু দোসর গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ব্যাক্তিদের উল্লেখযোগ্য কয়েকজন হলঃ </li> </ul> <blockquote> পিডিবি’র সহ-সভাপতি ও উপনির্বাচনের এম.এন.এ. মওলানা মোসলেহ উদ্দিন <br /> ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মুস্তাফিজুর রহমান <br /> সাবেক মন্ত্রী ও ময়মনসিংহ জেলা মুসলিমলিগের সভাপতি ফখরুদ্দিন <br /> ময়মনসিংহ জেলা মুসলিম লীগের সম্পাদক খোরশেদ আহমদ খান <br /> ময়মনসিংহ জেলা মুসলিম লীগের কোষাধ্যক্ষ ডাঃ এ.হামিদ <br /> ময়মনসিংহ জেলা পিডিপি’র সভাপতি মওলানা আলতাফ হোসেন <br /> ময়মনসিংহ জেলার নেজামে ইসলামের সভাপতি মওলানা ফয়জুর রহমান এবং ডিএসপি ইসরাইল। </blockquote> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১ এপিবি পরিবেশিত খবরে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে বলেন, বাংলাদেশ সবা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সংকল্প প্রকাশ করে যে, স্বাধীন বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাত হতে মুক্ত না করা পযন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ জানান তা শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে এদেশের তরুণ সমাজ অস্ত্রধারণ করেছিল। যে নেতার আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা অস্ত্র হাতে নিয়েছিলেন সেই নেতার কাছেই অস্ত্র জমা দেবেন। </li> </ul> <ul> <li>ছাত্র নেতৃবৃন্দ বলেন আইন শৃংখলা রক্ষা ও জনসাধারণের নিরাপত্তা বিধানের ব্যাপারে মুজিব বাহিনী সরকারের সাথে সহযোগিতা করবে। </li> </ul> <ul> <li>সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা বাংরাদেশ ছাত্র লীগের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সিরাজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আ.স.ম. আব্দুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস মাখন। তাঁরা দেশী-বিদেশী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। </li> </ul> <ul> <li>৫৪ জন বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী এক যুক্ত বিবৃতিতে ঢাকা নগরীসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পাকবাহিনী এবং তাদের সহযোগীরা যে নৃশংস হত্যাকান্ড চালিয়েছে তার পূর্ণ তথ্য উদঘাটনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি দাবী জানান। তাঁরা বলেন, যারা প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে এই ব্যাপক হত্যাকান্ড এবং নৃশংস বর্বরতার সাথে জরিত ছিল তাদেরকে কোনমতেই জেনেভা কনভেনশনের ছত্রছায়ায় থাকতে দেয়া যেতে পারে না। যুক্ত বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন: কবি সুফিয়া কামাল, সৈয়দ আলী আহসান, জয়নুল আবেদীন, কামরুল হাসান, সমর দাস, এ.বি.এম. মুসা, কামাল লোহানী, ফয়েজ আহমদ প্রমুখ। </li> </ul> <ul> <li>বুদ্ধিজীবীরা এসব নর পিশাচদের বিচার করার জন্য বিশ্বের প্রখ্যাত আইনবীদ ও মনীষীদের নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক কমিশন গঠনের আবেদন জানান। তাঁরা বলেন, ইয়াহিয়া খানের বর্বর সামরিক জান্তা এবং জেড.এ. ভুট্টো ২৫ মার্চের কালরাতে বাংলাদেশে সন্ত্রাস ও নৃশংস হত্যাযজ্ঞ শুরু করে। সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার জন্য তারা এক জঘন্য পরিকল্পনার কাজে হাত দেয় যা ছিল সুপরিকল্পিত গণহত্যার ষড়যন্ত্র এবং তা নৃশংসতার সাথে কাযকরী হচ্ছিল। ইসলামের নামে এবং আল-বদর, আল-শামস, রাজাকার, মুজাহিদ, জামাতে ইসলামী, মুসলিম লীগ, পি.ডি.পি ও অন্যান্য গুন্ডাপান্ডাদের সহযোগিতায় চালানো হয় সভ্যতার ইতিহাসের সবচাইতে জঘন্য ও লোমহর্ষক গণহত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ। এদের কুকীর্তির বিস্তারিত বিবরণ বিশ্ববাসী এখনও সর্ম্পূণভাবে অবহিত হতে পারেনি এবং এ বিষয়ে সমস্ত তথ্য এখনও সংগৃহীতও হয়নি। </li> </ul> <ul> <li>বিবিসি’র এক খবরে বলা হয়, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ভুট্টো বাংলাদেশে সামরিক বিপযয় এবং পশ্চিম পাকিস্তান-ভারত সীমান্ত বরাবর যুদ্ধবিরতি সম্পর্কে তদন্তের জন্য বিচারপতি হামুদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন। </li> </ul> <ul> <li>বিগত ২৫ মার্চ পরবর্তী সময়কার দখলদার পাক বাহিনীর বর্বরতার দোসর শতাধিক চাঁইকে ধরা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ ডিরেক্টরেটের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির বরাতে এপিবি ও বিপিআই আজ গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নিন্মোক্তদের নাম ঘোষণা করেছেনঃ </li> </ul> <ol> <li>ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, ভি,সি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় </li> <li>এস এম নওয়াব, পুলিশের ডিআইজি </li> <li>ফজলুল হক, এম.এন.এ</li> <li>লে: কর্ণেল গোলাম আহমদ চৌধুরী, ডেপুটি চীফ ইঞ্জিনিয়ার</li> <li>মেজর আফসার উদ্দিন, সাবেক পার্লামেন্টারী সেক্রেটারী</li> <li>জহুরুল হক, ডেপুটি ডিরেক্টর, রাজাকার</li> <li>ডক্টর এ.এ.বাসেত, ঢাকা মেডিকেল কলেজ</li> <li>এ. বি. এম. নূরুল ইসলাম, এম.এন.এ </li> <li>এস. বি. জামান, এম.পি.এ</li> <li>এ. বি. এম. আব্দুল খালেক মজুমদার, বদর নেতা </li> <li>মোক্তার গুন্ডা, মিরপুর মুজাহিদ পার্টির কমান্ডার </li> <li>আশরাফ আলী, বদর সদস্য </li> <li>চট্টগ্রামের ফজলুল কাদের চৌধুরী </li> <li>হাকিম ইনতাজুর রহমান আখুনজাদা, কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির সদস্য </li> <li>ইন্সপেক্টর আব্দুল হালিম সিকদার, সি.আই.এ. কোতোয়ালী </li> <li>এস. আই. কায়কোবাদ, প্রাক্তন ওসি, লালবাগ থানা </li> <li>এস. আই. খোরশেদ খাঁ, প্রাক্তন ওসি, লালবাগ থানা এবং</li> <li>মাওলানা বজলুর রহমান, ফরিদাবাদ মাদ্রাসা, ঢাকা। </li> </ol> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে আহুত এক সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ সংকল্প প্রকাশ করে যে, স্বাধীন ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন যে, যারা স্বেচ্ছায় প্রত্যক্ষভাবে দখলদার বাহিনীকে গণহত্যা পরিচালনায় সহায়তা করেছে তাদের কখনো ক্ষমা করা হবে না। তিনি আরো বলেন, যারা বিশেষ পরিস্থিতিতে চাপে পড়ে কাজ করতে বাধ্য হয়েছে তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের পুনর্বাসন সচিব সি. এস. কাহলোন জানিয়েছেন, কয়েকদিনের মধ্যেই বাংলাদেশে শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন শুরু হবে এবং বিদায়কালে প্রত্যেক শরণার্থীকে দুই সপ্তাহের রেশন দেয়া হবে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে ১,৩০,০০০ শরণার্থী দেশে ফিরে গেছেন এবং এদের প্রায় সবাই পায়ে হেঁটে ফিরেছেন। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানি কর্মকর্তরা জানিয়েছেন যে, আলোচনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানকে রাওয়ালপিন্ডিতে নিয়ে আসা হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>লন্ডনে বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার অ্যালেক ডগলাস হিউমের সঙ্গে আলোচনাকালে ভারতের বিদেশমন্ত্রী সরদার শরণ সিং জানান যে, বাংলাদেশে প্রয়োজনের চেয়ে একদিনও বেশি সৈন্যদের রাখার কোনো ইচ্ছা ভারতের নেই। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলি ভুট্টো নৌবাহিনীর ছয় জন শীর্ষ অফিসারকে বরখাস্ত করেছেন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন যে, যারা স্বেচ্ছায় প্রত্যক্ষভাবে দখলদার বাহিনীকে গণহত্যা পরিচালনায় সহায়তা করেছ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২২ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যারিবু পরিবহন বিমানে করে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ বাংলাদেশ সরকারের সাতজন সদস্য ঢাকা এসে পৌঁছান। বিমানবন্দরে তাঁদের বিপুলভাবে সংবর্ধিত করা হয়। বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশে পাকবাহিনী পরিচালিত গণহত্যার জন্য যুদ্ধাপরাধের তদন্ত শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বুদ্ধিজীবী হত্যা ও অন্যান্য অভিযোগে যারা অভিযুক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে একজন জেনারেল,একজন ব্রিগেডিয়ার, তিনজন কর্নেল, দুইজন মেজর ও একজন ক্যাপ্টেন। এ ছাড়া দ্বিতীয় আরেকটি তালিকায় ১২ জন অভিযুক্তের নাম রয়েছে। এই তালিকা প্রণয়ন এখনও সম্পন্ন হয় নি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয় যে, শেখ মুজিবকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জুলফিকার আলি ভুট্টো জানান, তিনি শীঘ্র চীন সফরে যাবেন। </li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ ভারতীয় বিমানবাহিনীর ক্যারিবু পরিবহন বিমানে করে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ বাংলাদেশ সরকারের সাতজন সদস্য ঢ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li> রাওয়ালপিন্ডিতে বিদেশি সংবাদদাতাদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজে পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভূট্টো বলেন, শেখ মুজিব এখনো কারাগারে রয়েছেন। তবে শীঘ্র তাঁকে মুক্তি দিয়ে গৃহবন্দি করে রাখা হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পোল্যান্ডে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আবুল বশিরুল আলম বাংলাদেশের পক্ষে আনুগত্য ঘোষনা করেন। কয়েক ডজন পোলিশ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে তিনি তাঁর বাসভবনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যুদ্ধের কারণে দেড় থেকে দুই কোটি উদ্বাস্তু দেখা দিয়েছে বলে এতদ্বিষয়ক কর্মরত বৃটিশ সংস্থাগুলো জানায়। ভারতে আশ্রয় গ্রহণকারী উদ্বাস্তুর সংখ্যা মিলে সর্বমোট উদ্বাস্তু হয়েছে তিন কোটি মানুষ। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্ণেল এম. এ. জি. ওসমানি ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কলকাতাস্থ বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারের প্রতিনিধি ডি. পি. ধরের সঙ্গে উদ্বাস্তু প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুমান করা হয় এ-বাবদ ব্যয় হবে ১০ কোটি পাউন্ড।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ রাওয়ালপিন্ডিতে বিদেশি সংবাদদাতাদের জন্য আয়োজিত নৈশভোজে পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জুলফিকার আলী ভূট্টো বলেন, শেখ ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২০ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজিকে আজ বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়। তার সঙ্গে রয়েছে আরেক বন্দি, প্রাক্তন গভর্নরের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলি। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের ইস্টার্ন কম্যান্ডের মুখপাত্র জানান, গতরাত পর্যন্ত আটক পাকিস্তানি সৈন্য সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৫,৬৭০। এর সঙ্গে যোগ করতে হবে চট্টগ্রাম গ্যারিসনে আটক ৮০০০সৈনিক। তাছাড়া পশ্চিম পাকিস্তানি আমলা-কর্মচারি, পুলিশ ইত্যাদির সংখ্যা হয়েছে ২০,০০০। এদের এক মাসের মধ্যে ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশের পক্ষে আজ যেসব কূটনীতিক আনুগত্য স্বীকার করেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লন্ডনস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের ইকনোমিক মিনিস্টার এহসানুল কবির, প্যারিসস্থ কমার্শিয়াল কাউন্সিলার মুসলেহউদ্দিন আহমদ এবং ব্রাসেলস্স্থ দ্বিতীয় সচিব খায়রুল আনাম। </li> </ul> <ul> <li>জুলফিকার আলি ভুট্টো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। রাতে এক বেতার ভাষণে তিনি দম্ভ সহকারে বলেন, আমরা পূর্ব পাকিস্তান ফিরে পেতে লড়াই করবো। </li> </ul> <ul> <li>প্রাক্তন প্রেসিডন্ট ইয়াহিয়া খান, তার চিফ অব স্টাফ জেনারেল আবদুল হামিদ খান এবং নিরাপত্তা সচিব মেজর জেনারেল গোলাম উমর খানসহ কয়েকজন পদস্থ পাকিস্তানি কর্মকর্তাকে সেনাবাহিনী থেকে অবসর দেয়া হয়। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ ডিসেম্বর, ১৯৭১

২০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ আত্মসমর্পণকারী পাকিস্তানি জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজিকে আজ বিশেষ বিমানযোগে ঢাকা থেকে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হয়। তার সঙ্গে র...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li> রাতে পাকিস্তান বেতারে প্রেসিডেন্ট পদে ইয়াহিয়া খানের ইস্তাফাদানের বার্তা ঘোষিত হয়। বার্তায় বলা হয়, আগামীকাল প্রতিনিধিত্বমূলক সরকার গঠনের সাথে সাথে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। পাকিস্তান পিপলস্ পার্টির প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো নিউইয়র্ক থেকে এখন দেশের পথে রয়েছেন এবং তিনি নতুন সরকার গঠন করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান বিমান বাহিনির প্রাক্তন প্রধান এয়ার মার্শাল আসগর খান রাওয়ালপিন্ডিতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়াকে আহাম্মক হিসেবে অভিযুক্ত করেন। তিনি ইয়াহিয়া ও তাঁর দোসর জেনারেলদের প্রকাশ্য বিচার দাবি করেন। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকা থেকে ফিরে বৃটিশ এম.পি জন স্টোনহাউস বলেন যে, তিনি পাকবাহিনীর নৃশংসতার ঘৃণ্য দৃশ্য দেখতে পেয়েছেন। এখনো রাজপথে শবদেহ পড়ে আছে। তিনি আরো জানান, একজন মেজর জেনারেলসহ ছয়জন পাকিস্তানি অফিসার হত্যার জন্য ২০০০ বাঙালি বুদ্ধিজীবীর তালিকা তৈরি করেছিল। </li> </ul> <ul> <li>ডেইলি টেলিগ্রাফ সংবাদদাতা ক্লেয়ার হলিংওয়ার্থ ঢাকা থেকে পুনরায় চালু হওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক টেলিফোন যোগাযোগের মাধ্যমে পত্রিকাকে জনান যে, বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধী হিসেবে প্রাক্তন গভর্নর ডাক্তার আবদুল মালিকের বিচার করতে পারে। রাতে কড়া প্রহরায় তাঁকে ক্যান্টনমেন্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ রাতে পাকিস্তান বেতারে প্রেসিডেন্ট পদে ইয়াহিয়া খানের ইস্তাফাদানের বার্তা ঘোষিত হয়। বার্তায় বলা হয়, আগামীকাল প্রতিন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>বাংলাদেশ সরকারের দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। এরা হলেন নব-নিযুক্ত মহাসচিব রুহুল কুদ্দুস এবং পুলিশের আই. জি আবদুল খালেক। সারা ঢাকা শহরে কিছুক্ষণ পরপরই গুলির শব্দ শোনা অব্যাহত রয়েছে। বিজয়-আনন্দে মুক্তিযোদ্ধারা আকাশে গুলি ছুঁড়ছে। </li> </ul> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট নিক্সনের কাছে প্রেরিত এক খোলা চিঠিতে প্রখ্যাত ফরাসি লেখক ও বুদ্ধিজীবী আন্দ্রে ম্যালর ভারতের প্রতি মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গীর তীব্র সমালোচনা করেন এবং বাংলাদেশের যৌক্তিকতা সমর্থন করেন। উল্লেখ্য, তিন মাস আগে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে সরব হয়েছিলেন। বাংলাদেশের পক্ষে তাঁর লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি কোনো ফাঁকা বুলি ছিল না, একথা জাণিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অভিজ্ঞতায় পোড় খাওয়া দেড়শ অফিসার তাঁর সঙ্গে লড়তে প্রস্তুত ছিল। </li> </ul> <ul> <li>ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে চারটি রুশ নির্মিত ট্যাংক মোতায়েন করা হয়েছে। এই হোটেলে আশ্রয় নেয়া প্রাক্তন গর্ভনর ডা. এ. এম. মালিককে মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে নিতে পারে মনে করে এই প্রহরা বসানো হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>সানডে টাইমসের সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বলেন, পাকিস্তানকে অবশ্যই মুজিবকে মুক্তি দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা বদ্ধ-দুয়ার খুলে দেয়। কিন্তু মূল কাজ শুরু হয় এর পরে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের দুইজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আজ ঢাকা এসে পৌঁছেছেন। এরা হলেন নব-নিযুক্ত মহাসচিব রুহুল কুদ্দুস এবং পুল...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন যে, এখন সময় এসেছে যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন সরকার হিসেবে কাজ করার। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে এবং আগামী বছরের মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। </li> </ul> <ul> <li>প্রায় এক ডজন অভিজ্ঞ প্রশাসক নিয়ে ঢাকায় একটি ছোটখাট বেসরকারি প্রশাসন দাঁড় করানো হয়। এর নেতৃত্ব দেন ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার’ অন্যতম অভিযুক্ত রুহুল কুদ্দুস। </li> </ul> <ul> <li>দুপুর ২-৩০ মিনিটে পশ্চিম রণাঙ্গণেও যুদ্ধ-বিরতি ঘটে। যুদ্ধবিরতির জন্য ভারতের এক তরফা প্রস্তাব গ্রহণ করার ঘোষণা করেন পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিযা খান। দুই সপ্তাহ দুই ঘন্টা স্থায়ী যুদ্ধে ভারত ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের ৯৪টি যুদ্ধবিমান, ২১৪ টি ট্যাংক এবং ২২টি নৌযান। </li> </ul> <ul> <li>‘নিরপেক্ষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রাক্তন গভর্ণর ডা. এ. এম. মালিককে তাঁদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায় গেরিলারা। ভারতীয় বাহিনী গেরিলাদের বিরত করেছে, তবে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে রয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>রাতে পিকিং এর ভোজসভায় চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ভারতীয় ‘আগ্রাসন’ সমর্থন করার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন। প্রতিবাদে রুশ রাষ্ট্রদূত ভোজসভা ত্যাগ করেন।</li> </ul> <ul> <li>মীরপুরের বধ্যভূমিতে খুঁজে পাওয়া নিহত স্বজনের শতাধিক লাশ বিজয় আনন্দে উদ্বেল দেশবাসীর মনে বিষাদের ছায়া ফেলে। এই সব শহীদের কাতারে রয়েছে বাংলার শ্রেষ্ঠ মনীষীরা। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন যে, এখন সময় এসেছে যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন সরকার হিসেবে কাজ করার। তিনি জানা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার লে. জেনারেল নিয়াজির নির্দেশে পাকবাহিনী ভোর পাঁচটা থেকে যুদ্ধ-বিরতি শুরু করে। বেলা ন’টায় যৌথ বাহিনীর ডিভিশনাল কমান্ডার জেনারেল নাগরার বার্তা নিয়ে মিরপুর ব্রিজের এপার থেকে ওপারে নিয়াজির হেড কোয়ার্টার অভিমুখে শাদা পতাকা উড়িয়ে জিপে করে রওনা হন ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর দু’জন অফিসার। বার্তায় লেখা ছিল – প্রিয় আবদুল্লাহ, আমি এসে পড়েছি। এখন আমার কাছে আত্মসমর্পণ করবে। এ আমার উপদেশ। </li> </ul> <ul> <li>সকাল আটটায় নিয়াজি ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধানের কাছে আত্মসমর্পণের সর্বশেষ মেয়াদ আরো ছয় ঘন্টা বাড়ানোর অনুরোধ করেন। </li> </ul> <ul> <li>বেলা একটা নাগাদ কলকাতা থেকে ঢাকা এসে পৌঁছান যৌথ বাহিনীর কমান্ডার জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল জ্যাকব। </li> </ul> <ul> <li>দুপুর একটার পর জেনারেল হেড কোয়ার্টারে বসে আত্মসমর্পণের দলিল তৈরির বৈঠক। এক পক্ষে নিয়াজি, ফরমান আলী ও জামশেদ। অপর পক্ষে জ্যাকব, নাগরা ও কাদের সিদ্দিকি। সিদ্ধান্ত হয় দলিলে স্বাক্ষর করবেন বিজয়ী বাহিনীর পক্ষে পূর্বাঞ্চলীয় ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর জয়েন্ট কমাডিং ইন চিফ লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এবং বিজিত বাহিনীর পক্ষে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজি। </li> </ul> <ul> <li>ঘন্টাখানেকের মধ্যেই জেনারেল অরোরা আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিমান ও নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফসহ কলকাতা থেকে ঢাকায় পৌঁছান। নিয়াজি অভিবাদনসহ অভ্যর্থনা জানান যৌথ বাহিনীর কমান্ডারকে। </li> </ul> <ul> <li>বিকেলে পরাজিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লে. জেনারেল এ.এ.কে. নিয়াজি রেসকোর্স ময়দানে এলেন। সামরিক বিধি অনুসারে বিজয়ী ও বিজিত সৈনিকরা শেষবারের মতো জেনারেল নিয়াজিকে গার্ড অব অনার জানালো। </li> </ul> <ul> <li>বিকেল ৫টায় জেনারেল নিয়াজি ও যৌথ বাহিনীর অধিনায়ক লে. জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এগিয়ে গেলেন ময়দানে রাখা একটি টেবিলের দিকে। জেনারেল অরোরা বসলেন টেবিলের ডান দিকের চেয়ারে। বাম পাশে বসলেন জেনারেল নিয়াজি। দলিল আগে থেকেই তৈরী করা ছিল। জেনারেল অরোরা স্বাক্ষর জন্য দলিল এগিয়ে দেন নিয়াজির দিকে। নিয়াজি দলিলে স্বাক্ষর করে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নিলেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে। </li> </ul> <ul> <li>ন’মাসের দুঃস্বপ্নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতির জীবনে এলো নতুন প্রভাত। এলো হাজার বছরের কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। বাঙালি জাতি আজ অর্জন করলো তার ভাগ্য নিয়ন্ত্রনের অধিকার।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পূর্বাঞ্চলের কমান্ডার লে. জেনারেল নিয়াজির নির্দেশে পাকবাহিনী ভোর পাঁচটা থেকে যুদ্ধ-বিরতি শুরু করে। বেলা ন’টায় যৌথ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>জেনারেল নিয়াজির যুদ্ধ-বিরতির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভোর পাঁচটা থেকে ঢাকার ওপর বিমান হামলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। পাশাপাশি ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর তরফ থেকে জেনারেল নিয়াজিকে জানিয়ে দেয়া হয়, পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ না করা পর্যন্ত কোনো যুদ্ধ-বিরতি হতে পারে না। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ন’টার মধ্যে শর্তহীন আত্মসমর্পণ না করা হলে আবার বিমান হামলা শুরু করা হবে। </li> </ul> <ul> <li>বিকেলে যৌথবাহিনী বিনা প্রতিরোধে সাভার প্রবেশ করে। সাভারের পাকিস্তানী বাহিনী পিছু হটে এসে রাজধানীর প্রবেশ-পথ মীরপুর ব্রীজের ওপর প্রতিবন্ধক গড়ে তোলে। </li> </ul> <ul> <li>রাতে যৌথ বাহিনী সাভার থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। পথে কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে কাদেরীয়া বাহিনী ভারতীয় ও বাংলাদেশ বাহিনীর সাথে যোগ দেয়। রাত দু’টায় মীরপুর ব্রিজের কাছে যৌথবাহিনী পাক সৈন্যের মুখোমুখি হয়। যৌথবাহিনী ব্রিজ দখলের জন্য প্রথমে কমান্ডো পদ্ধতিতে আক্রমণ শুরু করে। ব্রিজের ওপাশ থেকে পাকবাহিনী মুহুর্মূহু গোলাবর্ষণ করতে থাকে। এ সময় যৌথবাহিনীর আরেকটি দল এসে পশ্চিম পাড় দিয়ে আক্রমণ চালায়। সারারাত তুমুল যুদ্ধ চলে। </li> </ul> <ul> <li>চট্টগ্রাম রণাঙ্গনে মুক্তিবাহিনী কুমিরার দক্ষিণে আরো কয়েকটি স্থান হানাদার মুক্ত করে। সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধারা চট্টগ্রাম শহরের প্রথম রক্ষাব্যুহ ভাটিয়ারীতে আক্রমণ চালায়। সারারাত মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলে। ভাটিয়ারি থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত রাস্তার রাস্তার যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। </li> </ul> <ul> <li>যৌথবাহিনী বিভিন্ন দিক থেকে রংপুরের দিকে অগ্রসর হয়। রাতে তাঁরা চারদিক থেকে রংপুর শহর ঘিরে ফেলে। যৌথবাহিনীর পরের দিন রংপুর সেনানিবাসে আক্রমণ করার কথা ছিল। কিন্তু যুদ্ধ-বিরতির ঘোষনা হওয়ায় তার আর প্রয়োজন হয়নি। </li> </ul> <ul> <li>ফরিদপুর অঞ্চলে যৌথবাহিনী কামারখালীর পাকঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। পাকবাহিনীর সাঁড়াশী আক্রমণের মুখে অবস্থান ছেড়ে ফরিদপুরের দিকে পালাতে থাকে। যৌথবাহিনী তাদের পিছু ধাওয়া করে। পথে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়ে স্বেচ্ছায় শত্রুসৈন্য যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। আত্মসমর্পণকারী অফিসারদের মধ্যে একজন মেজর জেনারেল ছিলেন। </li> </ul> <ul> <li>১৯৩৫ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার খয়েরপুর গ্রামে ডা. আলীম চৌধুরীর জন্ম। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে ডা. আলীম ছিলেন দ্বিতীয়। নিজের জীবন তুচ্ছ করে তিনি মুক্তিযেদ্ধাদের সাহায্য করেছিলেন। ১৫ ডিসেম্বর হানাদারদের সহযোগী সংগঠন আলবদররা তাঁকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। চক্ষু চিকিৎসক আলীম চৌধুরীর দুই চোখ তারা উপরে ফেলে। তাঁর বাড়িতে আশ্রিত মাওলানা মান্নান তাঁকে ধরিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছিল। </li> </ul> <ul> <li>ক’দিন বিরতির পর সকালে ঢাকার আকাশে আবার দেখাদেয় ভারতীয় বিমান বাহিনীর বোমারু বিমানগুলো। বেলা ১১ টায় গভর্নর ডা. মালিক তাঁর মন্ত্রিপরিষদ ও সামরিক বেসামরিক উপদেষ্টাদের নিয়ে বৈঠক করার মুহূর্তে ভারতীয় বোমারু বিমানগুলো উড়ে এসে গভর্নর হাউজের ওপর রকেট হামলা করে। ডা. মালিক প্রাণ বাঁচাবার জন্য ট্রেঞ্চে গিয়ে আশ্রয় নেন। </li> </ul> <ul> <li>ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল মানেকশ পাকিস্তানী কমান্ডারদের আত্মসমর্পণের জন্য শেষবারের মত নির্দেশ দেন। জেনারেল মানেকশ তাঁর নির্দেশে বলেন, ‘আমি আবার বলছি, আর প্রতিরোধ করা নিরর্থক। ঢাকা গ্যারিসন এখন সম্পূর্ণভাবে আমাদের কামানের আওতায়।” </li> </ul> <ul> <li>রণাঙ্গনে পাকিস্তানী সৈন্যরা দলে দলে অস্ত্রসম্বরণ করতে থাকে। দুপুরের দিকে বগুড়ার পাকিস্তানী ডিভিশন হেড-কোয়ার্টার ও ব্রিগেড হেড কোয়ার্টারের পতন হয়। আত্মসমর্পণ করে পরাজিত বাহিনীর ১৭০০ সৈন্য ও অফিসার। এখানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলা-বারুদ যৌথবাহিনীর হস্তগত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিবাহিনীর ৭নং সেক্টরে যোগ দেন। শৃঙ্খলা, কর্তব্যনিষ্ঠা এবং সংগঠন- ক্ষমতার কারণে মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর অচিরেই সকলের শ্রদ্ধা ও বিস্ময় জাগিয়ে তোলেন। তিনি কোন বিরাম না নিয়ে দিনের বেলা অপারেশনের পরিকল্পনা করতেন এবং প্রতি রাতেই গেরিলাদের সঙ্গে অপারেশনে যেতেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ দখলের যুদ্ধে তিনি সরাসরি নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। মহানন্দা নদী পেরিয়ে তিনি একের পর এক শত্রু বাংকার দখল করে যখন প্রবল বিপদ উপেক্ষা করে এগুচ্ছিলেন তখন হঠাৎ মাথায় গুলি লাগে তাঁর। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধীতে ভূষিত করেন। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১ জেনারেল নিয়াজির যুদ্ধ-বিরতির প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ভোর পাঁচটা থেকে ঢাকার ওপর বিমান হামলা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>বিগত কয়েকদিন যাবৎ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অপহৃত বুদ্ধিজীবীদের আজ রাতের অন্ধকারে মীরপুর ও মোহাম্মদপুরের বধ্যভুমিতে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে আলবদরবাহিনী। পাকিস্তানী জেনারেল রাও ফরমান আলীর পরিচালনায় গভীর রাতে লোকচক্ষুর অন্তরালে এই বর্বর পাপাচার অনুষ্ঠিত হয়। </li> </ul> <ul> <li>যৌথবাহিনী ফরিদপুর থেকে ঢাকার পথে মধুমতি নদী অতিক্রম করে। অতি দ্রুত ঢাকা পৌঁছানোর জন্য মিত্রবাহিনী দুটি ব্রিগেড শত্রুর অবস্থান এড়িয়ে দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে নদী পার হয়। এ কাজে স্থানীয় জনগণ যৌথবাহিনীকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করে। মিত্রবাহিনী পারাপারের জন্য শত শত নৌকার বন্দোবস্ত করে সারা রাত ধরে তাঁদের নদী পার করে। </li> </ul> <ul> <li>এদিকে যৌথবাহিনীর একটি ব্রিগেড মানিকগঞ্জে পাক অবস্থানের ওপর আক্রমণ করে এবং মানিকগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে সাভারের দিকে এগিয়ে আসে। </li> </ul> <ul> <li>যৌথবাহিনী ঢাকার অদূরে টঙ্গীর ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তুরাগের পাড়ে পাকবাহিনীর মুখোমুখি হয়। শত্রুসৈন্যরা এখানে শক্তিশালী প্রতিবন্ধকতা গড়ে তুলেছিল। কেননা টঙ্গী হচ্ছে উত্তর দিক থেকে ঢাকায় প্রবেশের পথ। </li> </ul> <ul> <li>অপরদিকে ঢাকার পশ্চিম-উত্তর সীমানা বরাবর চন্দ্রা-সাভার-মীরপুর অঞ্চল ধরে রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসতে থাকে যৌথবাহিনীর আর একটি ব্রিগেড। ঢাকার দক্ষিণ-পূর্ব দিকে শীতলক্ষ্যার পাড়ে ডেমরায় যৌথবাহিনী পাক প্রতিরোধ ব্যুহের ওপর আঘাত হানে। আর একটি দল শীতলক্ষ্যা পারহয়ে রূপগঞ্জ মুক্ত করে। </li> </ul> <ul> <li>হেলিকপ্টারে করে যৌথবাহিনী গোমতী পার হয়ে মেঘনা তীরবর্তী বৈদ্যেরবাজারে অবস্থান নেয়। </li> </ul> <ul> <li>চট্টগ্রাম সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কুমিরা ঘাঁটির পতন ঘটিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে যাত্রা শুরু করে। </li> </ul> <ul> <li>হানাদার বাহিনীর একটি ব্রিগেড কক্সবাজার হয়ে স্থলপথে বার্মায় পালাবার পথে মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। </li> </ul> <ul> <li>জেনারেল মানেকশ’র বানী প্রচারিত হয় রাও ফরমান আলির উদ্দেশে। জেনারেল মানেকশ বলেন, আমার সৈন্যরা এখন ঢাকাকে ঘিরে ধরেছে এবং ঢাকার সেনানিবাস কামানের গোলার আওতায়। সুতরাং আপনারা আত্মসমর্পণ করুন। আত্মসমর্পণ না করলে নিশ্চিত মৃত্যু। যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার করা হবে। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই দিন শত শত পাকসেনা আত্ম-সমর্পণ করে। এক ময়নামতিতেই আত্মসমর্পণ করে ১১৩৪ পাকসৈন্য। </li> </ul> <ul> <li>রাতে তাঁবেদার গভর্নর ডা.মালিক আত্মসমপর্ণের অনুমতি চেয়ে ইসলামাবাদে জেনারেল ইয়াহিয়ার কাছে জরুরি তারবার্তা পাঠান। একই সময় তিনি ও পাকবাহিনীর পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক জেনারেল নিয়াজি ইয়াহিয়াকে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব মেনে নেয়ার জন্য অনুরোধ জানান। কিন্তু ইয়াহিয়া উভয়ের অনুরোধ নাকচ করে দিয়ে জানান, নিশ্চয়ই চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে রক্ষার জন্য হস্তক্ষেপ করবে। “অপেক্ষা করো এবং যুদ্ধ চালিয়ে যাও।” </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লার মন্দভাগ এলাকায় যুদ্ধরত ছিলেন তিন ভাই-বদিউজ্জামান,করিমুজ্জামান ও শাহজাহান। মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বড় ভাই বদিউজ্জামান তাঁদের ৯৮ রামকৃষ্ণ মিশন রোডের বাড়িটি পরিণত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটিতে। ১০ ডিসেম্বর ছোট দুই ভাই ঢাকায় এসে ভোর রাতে বাড়িতে দেখা করতে আসেন। ১৩ ডিসেম্বর আলবদর বাহিনী তাঁদের ধরে নিয়ে যায় এবং পরে রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে পাওয়া যায় তিন ভাই-এর লাশ। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বিগত কয়েকদিন যাবৎ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে অপহৃত বুদ্ধিজীবীদের আজ রাতের অন্ধকারে মীরপুর ও মোহাম্মদপুরের বধ্যভুমিত...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div>  ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>যৌথ বাহিনীর অগ্রবর্তী সেনাদল শীতলক্ষা ও বালু নদী অতিক্রম করে ঢাকার ৫-৬ মাইলের মধ্যে পৌঁছে যায়। বালু নদীর পূর্বদিকে পাকবাহিনী স্বীয় পরিসীমায় এক শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে। বাসাবো ও খিলগাঁও এলাকার চারিদিকে আগে থেকেই পাকিস্তান বাহিনী ফিল্ড ডিফেন্স বা আক্রমণ প্রতিহত করার জন্যে সর্বাত্মক ব্যবস্থাসহ অবস্থান নিয়েছিল। </li> </ul> <ul> <li>ভারতীয় বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথবাহিনী ঢাকার পতন দ্রুততর করার প্রয়োজনে যুদ্ধের কৌশল পরিবর্তন করে। কেননা ঢাকার পতন হলে আনুষ্ঠানিকভাবে পাকিস্তনের পরাজয় চূড়ান্ত হবে। </li> </ul> <ul> <li>ওদিকে পূর্ব ও উত্তর দিক থেকে মিত্রবাহিনী ঢাকার প্রায় ১৫ মাইলের মধ্যে পৌঁছে যায়। ৫৭নং ডিভিশনের দুটো বিগ্রেড এগিয়ে আসে পূর্ব দিক থেকে। উত্তর দিক থেকে আসে জেনারেল গন্ধর্ব নাগরার বিগ্রেড এবং টাঙ্গাইলে নামা ছত্রিসেনারা। পশ্চিমে ৪নং ডিভিশনও মধুমতি পার হয়ে পৌঁছে যায় পদ্মার তীরে। </li> </ul> <ul> <li>রাত ন’টায় মেজর জেনারেল নাগরা টাঙ্গাইলে আসেন। ব্রিগেডিয়ার ক্লের ও ব্রিগেডিয়ার সান সিং সন্ধ্যা থেকে টাঙ্গাইলে অবস্থান করছিলেন। রাত সাড়ে ন’টায় টাঙ্গাইল ওয়াপদা রেস্ট হাউসে তাঁরা পরবর্তী যুদ্ধ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনায় বসেন। আলোচনার শুরুতে মেজর জেনারেল নাগরা মুক্তিবাহিনীর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে বলেন, “মুক্তিযোদ্ধারা যদি আমাদের বিনা বাধায় এতটা পথ পাড়ি দিতে সাহায্য না করতেন, তাহলে আমাদের বাহিনী দীর্ঘ রাস্তায় যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়তো। রাস্তাতেই আমাদের অনেক শক্তি ক্ষয় হয়ে যেতো।” </li> </ul> <ul> <li>উত্তরাঞ্চলে যৌথবাহিনী দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থেকে ঢাকা মহাসড়ক ধরে বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। বগুড়ায় তখন শত্রুবাহিনীর একটি রেজিমেন্ট কামান ও ট্যাংকসহ অবস্থান করছিল। হিলি রক্ষাব্যুহ ছেড়ে আগেই পাকসৈন্যরা বগুগায় চলে এসে গড়ে তুলেছিল শক্তিশালী প্রতিরোধ। </li> </ul> <ul> <li>রাতে যৌথ বাহিনী চারদিক থেকে বগুড়া শহর ঘিরে ফেলে। মধ্যরাতে যৌথ বাহিনীর তিনটি ব্যাটেলিয়ান উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব-উত্তর দিক থেকে শত্রুর ওপর আঘাত হানে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

 ১৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ যৌথ বাহিনীর অগ্রবর্তী সেনাদল শীতলক্ষা ও বালু নদী অতিক্রম করে ঢাকার ৫-৬ মাইলের মধ্যে পৌঁছে যায়। বালু নদীর পূর্বদ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ঢাকা সেনানিবাসে নিরাপদ আশ্রয়ে বসে জেনারেল নিয়াজী বলেন, একটি প্রাণ জীবিত থাকা পর্যন্ত প্রতি ইঞ্চি জায়গার জন্য আমরা যুদ্ধ চালিয়ে যাবো। </li> </ul> <ul> <li>রাতে প্রাদেশিক সরকারের বেসামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী আলবদর ও আলশামসের কেন্দ্রীয় অধিনায়কদের ডেকে পাঠান সদর দফতরে। তাঁর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় গোপন শলা-পরামর্শ। এই বৈঠকে বুদ্ধিজীবী হত্যার নীলনকশা প্রণয়ন করা হয়। ফারমান আলী তাদের হাতে তুলে দেন বুদ্ধিজীবীসহ বিশেষ বিশেষ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের নামের তালিকা। </li> </ul> <ul> <li>জামালপুর থেকে পালিয়ে আসা কিছু শত্রুসৈন্য ও ময়মনসিংহ থেকে বিতারিত শত্রুরা টাঙ্গাইলে সহযোদ্ধাদের সাথে যোগ দিয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মিত্রবাহিনী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর, কালিয়াকৈর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ছত্রীসেনা নামিয়ে দেয়। রাতে টাঙ্গাইলের উপর আক্রমণ চালায় মিত্রবাহিনী। তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে আসে কাদেরিয়া বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। </li> </ul> <ul> <li>নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমিন অত্যন্ত কঠোর ভাষায় ভারতকে পাকিস্তান ছেড়ে যেতে বলেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ মাতৃভূমি রক্ষায় শেষ পর্যন্ত লড়ে যেতে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তিনি ঘোষণা করেন, কোনো শক্তি নেই পাকিস্তানকে ধ্বংস করতে পারে। </li> </ul> <ul> <li>রেডিও পিকিং ঘোষণা করে, সোভিয়েত ইউনিয়ন ভারতের মাধ্যমে পাকিস্তান আক্রমণ করে মূলত চীনকেই দমন করতে চায়। বিশ্বে আধিপত্য বিস্তার ভারতের মাধ্যমে তথাকথিত ‘বাংলাদেশ’ সমর্থনের অন্যতম কারণ। </li> </ul> <ul> <li>এপিআই-এর জেনারেল ম্যানেজার সাংবাদিক নিজামউদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। ওরা যখন বাসায় হানা দেয় তখন তিনি বিবিসির জন্য সংবাদ লিখে খেতে বসেছিলেন। ঐ অবস্থায় ধরে নিয়ে আলবদররা তাঁকে হত্যা করে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১২ ডিসেম্বর, ১৯৭১ ঢাকা সেনানিবাসে নিরাপদ আশ্রয়ে বসে জেনারেল নিয়াজী বলেন, একটি প্রাণ জীবিত থাকা পর্যন্ত প্রতি ইঞ্চি জায়গার জন্য আমরা ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>লে. জেনারেল নিয়াজী ঢাকা বিমান বন্দর পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিমান বিধ্বংসী কামানের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। নিয়াজী বলেন, কোনক্রমেই শত্রুকে কাছে ঘেঁষতে দেয়া চলবে না। তিনি আশা প্রকাশ করেন, পাকবাহিনী তাদের ঐতিহ্যকে আরো উজ্জ্বল করবে। পরে বিমানবন্দরে তিনি বিদেশী সাংবাদিকদের সঙ্গে সর্বশেষ যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে উত্থাপিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মেনে নেবার জন্য জোর দাবি জানায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র রোনাল্ড জিগলার বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব মেনে নেয়া ভারত-পাকিস্তান উভয়ের জন্যই অত্যাবশ্যক। তিনি জানান, প্রেসিডেন্ট নিক্সন এ-ব্যাপারে নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা কিসিঞ্জারের সাথে পরামর্শ করেছেন। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী দেশের বিস্তীর্ণ এলাকা মুক্ত করে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা অব্যাহত রাখে। হিলি সীমান্তে মিত্রবাহিনী প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখোমুখি হয়। পাকবাহিনীর সাথে তুমুল লড়াই অব্যাহত থাকে। সন্ধ্যায় সম্মিলিত বাহিনী বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মধ্যবর্তী গোবিন্দগঞ্জে শক্তিশালী পাকঘাঁটির ওপর সাঁড়াশি আক্রমণ চালায়। সারারাত যুদ্ধের পর পাকবাহিনী ভোরের দিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>জামালপুর গ্যারিসন সম্মিলিত বাহিনীর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে। জামালপুরের পূর্বে হালুয়াঘাট এলাকায় প্রচন্ড সংঘর্ষের পর পাকবাহিনীর আর একটি বিগ্রেড প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে অস্ত্র গোলাবারুদ ফেলে টাঙ্গাইলের দিকে পালিয়ে যেতে শুরু করে। পলায়নের সময় শত্রুবাহিনী রাস্তার সমস্ত বড় বড় সেতু ধ্বংস করে দিয়ে যায়। অপরদিকে ময়মনসিংহে অবস্থানরত শত্রুবাহিনীর আর একটি বিগ্রেড শহর ত্যাগ করে টাঙ্গাইলে তাদের প্রতিরক্ষামূলক ঘাঁটিতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। সম্মিলিত বাহিণী রাতে বিনা প্রতিরোধে জামালপুর দখলে নেয়। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের অনুরোধে মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা সকালে সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। উদ্দেশ্য বিদেশী নাগরিকদের ঢাকা ত্যাগের ব্যবস্থা করার জন্য বিমানবন্দর মেরামতের সুযোগ করে দেয়া। সন্ধ্যায় মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী যুদ্ধ বিরতি ও পাকিস্তানীদের ঢাকা থেকে অপসারণের ব্যবস্থা করার জরুরি আবেদন জানান। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানান, যদিও পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধাবস্থা খুব ভালো নয় তারপরও আমাদের আত্মসমর্পণের প্রশ্নই ওঠে না। </li> </ul> <ul> <li>এদিকে ঢাকায় বিকাল তিনটা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সান্ধ্য আইন জারী করা হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১১ ডিসেম্বর, ১৯৭১ লে. জেনারেল নিয়াজী ঢাকা বিমান বন্দর পরিদর্শন করেন। সেখানে তিনি বিমান বিধ্বংসী কামানের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। ন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুদ্ধে পরাজয়ের আশংকায় লে. জেনারেল নিয়াজী পালাবার পায়তারা করে। তার এই গোপন অভিসন্ধি বিবিসি ফাঁস করে দেয়। নিয়াজী স্বীয় দুর্বলতা ঢাকার জন্য আজ ইন্টার-কন্টিনেন্টাল হোটেলে দম্ভভরে বলেন, কোথায় বিদেশী সাংবাদিকরা, আমি তাদের জানাতে চাই, আমি কখনো আমার সেনাবাহিনীকে ছেড়ে যাব না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মিত্রবাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো ঢাকা বেতার কেন্দ্রের উপর আক্রমণ করে এবং কুর্মিটোলার উপর বার বার রকেট হামলা অব্যাহত রেখে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মিত্রবাহিনীর বিমান আক্রমণে চট্টগ্রাম ও চালনা বন্দর অচল হয়ে পড়ে। কয়েকটা জাহাজ ভর্তি পাকবাহিনী বঙ্গোপসাগর দিয়ে পালাবার সময় ধরা পড়ে। একটি জাহাজে নিরপেক্ষ দেশের পতাকা উড়িয়ে পাকবাহিনী সিঙ্গাপুর পালাবার পথে মিত্র নৌবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী উ থান্টের সঙ্গে সাক্ষাত করে ভারতীয় সৈন্য প্রত্যাহারের দাবি ব্যক্ত করেন। চীনের অস্থায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রী চিপো ফেই বলেন, ভারতের কার্যকলাপে তার সম্প্রসারণবাদী নগ্নরূপ প্রকাশ হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, সমাজতন্ত্রী সাম্রাজ্যবাদীরা নির্লজ্জের মতো ভারতীয় সম্প্রসারণবাদের ত্রাণকর্তার ভূমিকা গ্রহণ করে বর্বরোচিত কাজ করেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সম্মিলিত বাহিনী উত্তরাঞ্চলের যুদ্ধে সর্বাত্মক সাফল্য অর্জন করেছে। মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে দিনাজপুর, রংপুর ও সৈয়দপুরের শত্রুবাহিনীকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। যৌথবাহিনী এই তিন শহর ছাড়া রংপুর ও দিনাজপুর জেলা সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত করে। রাতে পাকবাহিনী জামালপুর গ্যারিসন ছেড়ে ঢাকার দিকে পালাবার সময় শহরের অদূরে যৌথবাহিনীর মুখোমুখি হয়। এ-যুদ্ধে প্রায় ১৫০০ পাকসেনা হতাহত হয়। বাকিরা আত্মসমর্পণ করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিবাগত রাতে আল-বদরবাহিনী গুপ্তঘাতকদল দৈনিক ইত্তেফাকের কার্যনির্বাহী সম্পাদক সিরাজুদ্দিন হোসেন ও পিপিআই-ও চিপ রিপোর্টার সৈয়দ নাজমুল হককে তাঁদের বাসভবন থেকে অপহরণ করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী নয়াদিল্লীতে বলেন, যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত জাতিসংঘের আহবান ভারত প্রত্যাখ্যান করেনি বা গ্রহণও করেনি। প্রস্তাবটি সরকারের বিবেচনাধীন রয়েছে। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজয় শুধু তখনই সম্ভব হবে যখন বাংলাদেশ সরকার কায়েম হবে এবং বর্তমানে ভারতে অবস্থানরত এক কোটি শরণার্থী তাদের বাস্তুভিটায় ফিরে যেতে পারবে।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১

১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ যুদ্ধে পরাজয়ের আশংকায় লে. জেনারেল নিয়াজী পালাবার পায়তারা করে। তার এই গোপন অভিসন্ধি বিবিসি ফাঁস করে দেয়। নিয়াজী স্ব...

Read more »

৭ জন বীরশ্রেষ্ঠঃ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgkOk1PpiSS0IzFiupYTAEHSKOUc3Z-00I8RtisouBydtptCYUX4irk3PEx5MDEVpLW2aiMmEK61rr-3ArmOjb9aqU6FINSL2ixJEI7g2CqxMC-LxPsI6g3undeZ7c9GfJZRn4ieKLiAuk/s1600/7bs.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgkOk1PpiSS0IzFiupYTAEHSKOUc3Z-00I8RtisouBydtptCYUX4irk3PEx5MDEVpLW2aiMmEK61rr-3ArmOjb9aqU6FINSL2ixJEI7g2CqxMC-LxPsI6g3undeZ7c9GfJZRn4ieKLiAuk/s1600/7bs.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন (জুন, ১৯৩৫ - ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১)<br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।<br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="http://s26.postimg.org/5qmo1jg1l/72b.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="640" src="http://s26.postimg.org/5qmo1jg1l/72b.jpg" width="446" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন</td></tr> </tbody></table> </div> <div style="text-align: justify;"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> জন্ম ও শিক্ষাজীবন:<br /> <br /> বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ১৯৩৪ সালের জুন মাসে নোয়াখালী জেলার সাবেক বেগমগঞ্জ থানার (বর্তমানে সোনাইমুড়ী উপজেলা) বাগপাদুরা (বর্তমান নাম আমিননগর) গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন৷ তাঁর পিতা আজহার পাটোয়ারী এবং মায়ের নাম জোলেখা খাতুন। তিনি ছিলেন বাবা মায়ের প্রথম সন্তান। তাঁরা ছিলেন ছয় ভাইবোন। খুব অমায়িক ও সুঠাম দেহের অধিকারী ছিলেন এই বীরশ্রেষ্ঠ৷ ভালোবাসতেন দেশ, দেশের মাটি আর দিগন্তবিস্তারী সমুদ্র৷ তাই পরবর্তীতে বেছে নিয়েছিলেন নৌবাহিনীর চাকুরী। তিনি পড়ালেখার শুরু করেন নিজ গ্রামের বাঘচাপড়া প্রাইমারী স্কুলে। সেখানে পড়াশোনা শেষ করে পার্শবর্তী থানার আমিষাপাড়া হাই স্কুলে ভর্তি হন। প্রথম দিকে তাঁদের সংসারে অভাব-অনটনের ছোঁয়া না লাগলেও ছেলেমেয়ে বড় হতে হতে পরিবারে দেখা দেয় অসচ্ছলতা৷ তাই হাইস্কুল পাস করার পরই রুহুল আমিনকে জীবিকার সন্ধানে বের হতে হয়৷ এসএসসি পাশ করে ১৯৫৩ সালে জুনিয়র মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে পাকিস্তান নৌ-বাহিনীতে যোগদান করেন।<br /> <br /> কর্মজীবন:<br /> <br /> মোহাম্মদ রুহুল আমিন পাকিস্তান নৌ-বাহিনীতে যোগ দেয়ার পর প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য তিনি যান করাচির নিকটবর্তী আরব সাগরে মধ্যে অবস্থিত মানোরা দ্বীপে পাকিস্তান নেভাল জাহাজ (পি.এন.এস) বাহাদুরে। প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর সেখান থেকে পি.এন.এস. কারসাজ অর্থাৎ নৌবাহিনীর কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন। পরবর্তীতে পি.এন.এস বাবর, পি.এন.এস খাইবার, পি.এন.এস তুঘরিলে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৮ সালে পেশাগত প্রশিক্ষণ শেষ করেন। ১৯৬৫ -তে মেকানিসিয়ান কোর্সের জন্য নির্বাচিত হন। পি.এন.এস. কারসাজে কোর্স সমাপ্ত করার পর আর্টিফিসার পদে নিযুক্ত হন। ১৯৬৮ সালে চট্টগ্রাম পি.এন.এস. বখতিয়ার নৌ-ঘাটিঁতে বদলি হয়ে যান। <br /> <br /> মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা:<br /> <br /> ১৯৭১ সালের মার্চে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক সংঘটিত বর্বরতম ঘটনার সময় রুহুল আমিন চট্টগ্রামে কর্মরত ছিলেন৷ নৌঘাঁটিতে বসে বসে শুনেছেন নির্দয়ভাবে তাঁর স্বজন, পাড়া প্রতিবেশীদের হত্যার খবর৷ শুনেছেন আর ফুঁসে ওঠেছেন ৷ মনে মনে নিজেকে তৈরি করেছেন প্রতিশোধ নেয়ার জন্য৷ দেশকে মুক্ত করার সংগ্রামে কিভাবে নিজেকে যুক্ত করা যায় সে পথ খুঁজছেন৷ কিন্তু নৌঘাঁটিতে বসে তা সম্ভব নয়৷ সুতরাং সবার আগে এখান থেকে বের হতে হবে৷ বাঙালি সৈনিকরা তখন পাকিস্তানি সেনাদের ২৪ ঘন্টা নজরদারীর মধ্যে৷ এখান থেকে বের হওয়াও তো চাট্টিখানি কথা নয়৷ তিনি মনে মনে পালানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন এবং একদিন সবার অলক্ষ্যে সকলের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বের হয়ে পড়েন নৌঘাঁটি থেকে৷ বাড়িতে গিয়ে ছাত্র, যুবক ও সামরিক আধাসামরিক বাহিনীর লোকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ দেন। এর কিছুদিন পর ভারতের ত্রিপুরা সীমান্ত অতিক্রম করে আগরতলা সেক্টর প্রধান কোয়ার্টারে যান এবং সেখানে শফিউল্লাহর অধীনে ২ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২ নম্বর সেক্টরের অধীনে থেকে বিভিন্ন স্থলযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। <br /> <br /> ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ নৌবাহিনী গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর সদস্যদের যাঁরা বিভিন্ন সেক্টর ও সাব-সেক্টরে থেকে মুক্তিযুদ্ধ করছিলেন তাঁদেরকে সেপ্টেম্বর মাসে একত্রিত করা হয় আগরতলায় এবং গঠন করা হয় ১০ নং সেক্টর৷ ইঞ্জিনরুম আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিন নৌবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে আগরতলায় একত্রিত হয়ে কলকাতায় আসেন এবং যোগ দেন ১০ নং নৌ সেক্টরে৷ পরবর্তীতে অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের নিজস্ব একটা নৌবাহিনী তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। ভারতীয় নৌবাহিনীর ক্যাপ্টেন মণীন্দ্রনাথ সামন্তের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সেক্টর ও সাবসেক্টর থেকে নৌবাহিনীর সদস্যদের একত্রিত করার ব্যবস্থা করা হয়। আর এ উদ্যোগের ফলে বাংলাদেশ নৌ বাহিনী গঠিত হলে কলকাতায় চলে আসেন। ভারত সরকার বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী কে কলকাতা বন্দরে গার্ডেনরীচ ডক ইয়ার্ডে দুটি গানবোট উপহার দেয়। সেখানে প্রতিটি বোটে কানাডীয় ধরনের ২টি বাফার গান লাগিয়ে এবং ব্রিটিশ ধরনের ৫০০ পাউন্ড ওজনের ৪টি মার্কমাইন বহনের উপযোগী করে গানবোটে রূপান্তর করা হয়। গানবোটের নামকরণ করা হয় 'পদ্মা' ও 'পলাশ'। রুহুল আমিন পলাশের প্রধান ইঞ্জিনরুমে আর্টিফিসার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৬ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে যশোর সেনানিবাসের পতন ঘটে। পাকিস্তানি বাহিনী পিছু হটতে থাকে। সে সময় পাকিস্তানি বাহিনীর নিয়ন্ত্রিত খুলনাস্থ নৌঘাট দখল করার পরিকল্পনা নিয়ে ভারতীয় গানবোট পাভেল-এর সাথে যুক্ত হয়ে ১০ ডিসেম্বর মংলা বন্দরে পৌঁছায়। সেখানে পাকিস্তানি সেনা ও নৌবাহিনী আত্মসমর্পণ করে। 'পলাশ' ও 'পদ্মা' মংলা বন্দর হয়ে খুলনার দিকে রওয়ানা দেয়। গানবোট 'পাভেল' সামনে আর পেছনে 'পলাশ' ও 'পদ্মা'।<br /> <br /> যেভাবে শহীদ হলেন:<br /> <br /> ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর। মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা অসম বিক্রমে দখল করে নেন যশোর সেনানিবাস। এর পরবর্তী লক্ষ্য হিসেবে ধরা হলো মংলা বন্দরকে হানাদার বাহিনীর কাছ থেকে মুক্ত করা। মংলা বন্দরে পাকিস্তান বাহিনীর দখলকৃত নৌঘাঁটি পিএনএস তিতুমীর দখল তাঁদের পরবর্তী উদ্দেশ্য। 'পদ্মা', 'পলাশ' এবং ভারতীয় মিত্রবাহিনীর একটি গানবোট 'পানভেল' খুলনার মংলা বন্দরে পাকিস্তানি নৌ-ঘাটিঁ পি.এন.এস. তিতুমীর দখলের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ-এ প্রবেশ করে। <br /> <br /> ৯ ডিসেম্বর, রাত। বাধাহীনভাবেই গানবোটগুলো সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্টে অবস্থান করে। সেখানে রাতযাপনের পর ১০ ডিসেম্বর ভোর ৪টার দিকে যাত্রা করে মংলা বন্দরের দিকে। কোনোরকম প্রতিরোধ ব্যতীতই তিনটি রণতরী পৌঁছে গেল মংলা বন্দরে। সকাল তখন সাড়ে সাতটা। মংলা বন্দরেই থেকে গেল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী পেট্রলক্রাস্ট 'চিত্রাঙ্গদা'। <br /> <br /> শুরু হলো মূল অভিযান। মংলা বন্দর পার হয়ে গানবোটগুলো আরও ভেতরে খুলনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একসময় গানবোটগুলো খুলনা শিপইয়ার্ড ছেড়ে পৌঁছায় রূপসা ফেরিঘাটের কাছে। তখন দুপুর ১২টার কাছাকাছি। ঠিক এমনি সময় আকাশের অনেক উঁচুতে দেখা গেল তিনটি জঙ্গি বিমান। পাকিস্তানিদের বিমান অনুমান করে 'পদ্মা' ও 'পলাশ' থেকে চাওয়া হলো বিমানগুলোকে চ্যালেঞ্জ করে গুলি ছোড়ার অনুমতি। কিন্তু মিত্রবাহিনীর ক্যাপ্টের মনেন্দ্রনাথ সামন্ত জানালেন, বিমানগুলো ভারতীয়। ভারতের পশ্চিম দিনাজপুরের এয়ারফিল্ড থেকে এসেছে এগুলো। সুতরাং উদ্বিগ্ন হবার মতো কোনো কারণ নেই। শুনে সবাই আক্রমণের প্রস্তুতি থেকে বিরত থাকল। কারণ ভারতীয় বিমান বাহিনীকে জানানো হয়েছিল এই এলাকায় যাতে কোনো ভাবেই বোম্বিং না করা হয়। আর তাছাড়া গানবোটগুলোর উপরিভাগ হলুদ রঙেও রাঙানো হয়েছিল। এবং মিত্রবাহিনীকে জানানো হয়েছিল হলুদ রং করা গানবোটগুলো আমাদের, অর্থাৎ এই গানবোটগুলোতে আক্রমণ করা যাবে না।<br /> <br /> কিন্তু হঠাৎ শুরু হলো পটপরিবর্তন। ভারতীয় বিমানবাহিনীর অতি উৎসাহী কয়েকজন বিমান সেনার খামখেয়ালির কারণে সদ্য গঠিত বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে দিতে হয়েছিল বিপুল খেসারত। এক প্রকার অবাক করে দিয়ে বিমানগুলো নিচে নেমে এল। দক্ষিণ-পশ্চিমে উড়ে গেল খুব নিচু দিয়ে। তারপর পাক দিয়ে এসেই হঠাৎ বোমা ফেলল। একটা বোমা গিয়ে পড়ল পদ্মার ইঞ্জিনরুমে। ইঞ্জিনরুম হলো একেবারে বিধ্বস্ত। স্প্লিন্টারের আঘাতে হতাহত হলো বহু নাবিক। পুরোপুরি অচল হয়ে গেল পদ্মা।<br /> <br /> আবারও ফিরে এল বিমানগুলো। এবারের বোমাগুলো থেকে কোনোরকমে রক্ষা পেল 'পলাশ' ও 'পানভেল'। কিন্তু সকলে ভয় পেয়ে গেল। কে কী করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। ঠিক তখন পলাশের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রায় চৌধুরী সকলকে জাহাজ ত্যাগ করার জন্য আদেশ দেন। এমন আদেশ শুনে বেশ ক্ষুব্ধ হলেন রুহুল আমিন। যুদ্ধ না করে তিনি ভীরুর মতো জাহাজ ছেড়ে যাবেন না। তিনি সকলকে আহবান করলেন জাহাজ ত্যাগ না করার জন্য। নিজে চলে গেলেন ইঞ্জিনরুমে দায়িত্ব পালন করার জন্য। যে করেই হোক বিমান হামলা থেকে গানবোটকে বাঁচাতে হবে। কিন্তু কেউই অধিনায়কের আদেশ অমান্য করে ঝুঁকি নিতে রাজি হলো না। আর তাই বিমানগুলোকেও আর চ্যালেঞ্জ করে আক্রমণ করা হলো না।<br /> <br /> এবার বিমানগুলো পেছন দিক থেকে উড়ে এল। কোনোরকম বাধা ছাড়াই চালাল বোমাবর্ষণ। একটা বোমা এসে পড়ল পলাশের ওপর। ধ্বংস হলো পলাশের ইঞ্জিনরুম। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হলো না। বরং জাহাজে রাখা গোলাবারুদ ফুটতে শুরু করল। কিন্তু অসীম সাহসী রুহুল আমিন তারপরও চেষ্টা চালিয়ে যান পলাশকে বাঁচানোর। তবে ইঞ্জিন বিকল হয়ে আগুণ ধরে যায় এবং গোলার আঘাতে রুহুল আমিনের ডান হাতটি সম্পূর্ণ উড়ে যায়। অবশেষে পলাশের ধ্বংশাবশেষ পিছে ফেলেই আহত রুহুল আমিন ঝাঁপিয়ে পড়েন রূপসায়। প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ যোদ্ধা একসময় পাড়েও এসে পৌছান। কিন্তু ততক্ষণে সেখানে পাকিস্তানী সৈন্য ও ঘৃণ্য রাজাকারের দল অপেক্ষা করছিল তার জন্য। আহত এই বীর সন্তান কে তারা বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে রূপসার পাড়েই। তাঁর বিকৃত মৃতদেহ বেশকিছুদিন সেখানে পড়ে ছিলো অযত্নে, অবহেলায়। তিনি শহীদ হলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় জনসাধারণ বাগমারা গ্রামে রূপসা নদীর পাড়ে তাঁকে দাফন করে এবং সেখান একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়। তাঁর কবরটি আজও তাঁর বীরত্বের শক্তি ও শোককে বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রূপসা ফেরিঘাটের লুকপুরে।<br /> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/7/7c/BirSresthoRuhulAminCemeteryComplex03.JPG" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="480" src="https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/7/7c/BirSresthoRuhulAminCemeteryComplex03.JPG" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;">খুলনার রূপসা ফেরিঘাটের লুকপুরের এ কবরে মহান এই বীর চিরশায়িত আছেন </td></tr> </tbody></table> </div> <div style="text-align: justify;"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> বীরশ্রেষ্ট সম্মান:<br /> <br /> ১৯৭৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সরকারি গেজেট নোটিফিকেশন অনুযায়ী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাতজন বীর সন্তানকে মরণোত্তর বীরশ্রেষ্ঠ উপাধীতে ভূষিত করা হয়। সেই তালিকাতে নাম যুক্ত করা হয় মোহাম্মদ রুহুল আমিনের।<br /> <br /> পুরস্কার ও সম্মাননা:<br /> <br /> বীরশ্রেষ্ঠ আর্টিফিসার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের জন্মস্থান নোয়াখালীর বাগপাদুরা গ্রামের নাম পরিবর্তন করে এখন রাখা হয়েছে তাঁর নামে আমিননগর। বাড়ির সম্মুখে বীরশ্রেষ্ঠর পরিবারের দেয়া ২০ শতাংশ জমিতেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে নোয়াখালী জেলা পরিষদ ৬২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছে রুহুল আমিন স্মৃতি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার।<br /> <br /> সংক্ষিপ্ত জীবনী:<br /> <br /> নাম: রুহুল আমিন<br /> জন্ম : জুন, ১৯৩৪ সাল।<br /> জন্মস্থান : নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানার বর্তমানে সোনাইমুড়ী উপজেলার বাগপাদুরা গ্রামে।<br /> পিতা : মোঃ আজহার পাটোয়ারী।</div> <div style="text-align: justify;"> মা : মোছাঃ জুলেখা খাতুন।<br /> কর্মস্থল : নৌবাহিনী।<br /> পদবী : স্কোয়াড্রন ইঞ্জিনিয়ার।<br /> মুক্তিযুদ্ধে অংশরত সেক্টর : ১০নং সেক্টর।<br /> মৃত্যু : ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১ সাল।<br /> সমাধিস্থল : রূপসা ফেরিঘাটের লুকপুরে।<br /> <br /> তথ্যসুত্র:</div> <div style="text-align: justify;"> ১. <a href="http://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A6%A6_%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF%E0%A6%A8" target="_blank">মোহাম্মদ রুহুল আমিন - উইকিপিডিয়া</a><br /> ২. <a href="http://www.prothom-aloblog.com/posts/76/146946" target="_blank">বীরশ্রেষ্ঠ: রুহুল আমিন - মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধূরী</a> </div> </div>

৭ জন বীরশ্রেষ্ঠঃ বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন (জুন, ১৯৩৫ - ১০ ডিসেম্বর, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মিত্রবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জেনারেল আরোরা কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমরা এখন বড় ধরনের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আমাদের পদাতিক সৈন্য ও রসদ পারাপারের ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। আর আমাাদের পিটি-৬৭ জলচর ট্যাঙ্কগুলি নদী পেরিয়ে যেতে পারবে। </li> </ul> <ul> <li>মিত্রবাহিনী দ্রুত ঢাকা পৌঁচাবার লক্ষ্য নিয়ে চারদিক থেকে অগ্রসর হচ্ছে। পূর্বে একটি বাহিনী যাচ্ছে আশুগঞ্জ, দাউদকান্দি এবং চাঁদপুর। পশ্চিমে আর একটি বাহিনী পৌঁছেছে মধুমতী নদীর তীরে। আর একটি বাহিনী কুষ্টিয়া মুক্ত করে চলছে গোয়ালন্দ ঘাটের দিকে। হালুয়াঘাট থেকে এগিয়ে আসা বাহিনীও পৌঁছে গেছে ময়মনসিংহের কাছাকাছি। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রতিনিধিত্বকারী পাকিস্তানী দলের নেতা মাহমুদ আলী দেশে ফিরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সঙ্গে দেখা করেন। সাংবাদিকদের কাছে মাহমুদ আলী সোভিয়েত ভূমিকার সমালোচনা করে বলেন, সোভিয়েতের উচিৎ বিশ্ব শান্তির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে ভারতের পাশ থেকে সরে দাঁড়ানো। চীন ও আমেরিকার সমর্থনের প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, পাকিস্তান তাদের নির্ভীক ও ঐতিহাসিক সমর্থনের জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। </li> </ul> <ul> <li>দুপুরের পর ভারতীয় ব্রিগেট জামালপুরের উপর আক্রমণ চালায়। এসময় মুক্তিবাহিনীর কয়েকটি কোম্পানী ও ভারতীয় বাহিনীর একটা অংশ জামালপুর থেকে ডান ও বামে অনেক দূর এসে ব্রহ্মপুত্র অতিক্রম করে দক্ষিণ পাওে আসতে সক্ষম হয়। বিকালে ভারতীয় বিমান বাহিনী জামালপুরে হানাদার ঘাঁটির উপর একঘন্টা ধরে কয়েক হাজার পাউন্ডের বোমা নিক্ষেপ করে। এর ফলে পাকসেনারা পালাতে আরম্ভ করে। জামালপুর থেকে পালিয়ে যাবার সময় ভারত-বাংলা যৌথ বাহিনীর কাছে ৬শ হানাদার সেনা ধরা পড়ে। </li> </ul> <ul> <li>ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ম্যানকশ বাংলাদেশে পাকিস্তানি সৈন্যদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তোমরা যদি বাঁচতে চাও ভারতীয় বাহিনীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমার্পন করো। নতুবা তোমাদেরকে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে। </li> </ul> <ul> <li>নবনিযুক্ত প্রধানমন্ত্রী নূরুল আমিন রেডিও পাকিস্তান থেকে ভাষণ দেন। জাতির উদ্দেশ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে ‘ভারতীয় হামলা’ মোকাবেলা ও ‘দুরভিসন্ধি’ নস্যাৎ করার আহ্বান জানান তিনি। মিত্রবাহিনীর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের নগ্ন হামলায় অসংখ্য বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১

০৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১ মিত্রবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জেনারেল আরোরা কলকাতায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, আমরা এখন বড় ধরনের লড়াইয়ের জন্য ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li> পাকবাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণ ভাবে বিছিন্ন ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ঢাকার দিকে পালাবার কোনো পথ তাদের আর নেই। একের সঙ্গে অন্যের যোগ দেওয়ারও কোনো উপায় নেই। এই সুযোগে মিত্র বাহিনীর কর্মকর্তারা তিনটি ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুরো পাকবাহিনীকে আত্মসমার্পনের নির্দেশ দেন। জেনারেল জগজিৎ সিংকে অন্তত তিনটি কলাম নিয়ে ঢাকার দিকে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার জন্য বলা হয় এবং একটি ব্রিগেডকে হালুয়াঘাটের দিক থেকে ময়মনসিংহের দিকে অগ্রসর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভরতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান বাংলাদেশের দখলদার পাকবাহিনীকে আত্মসমার্পন করতে বলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে এই আশ্বাস দেন যে, আত্মসমার্পন করলে পাকবাহিনীর প্রতি জেনেভা কনভেনশনের রীতি অনুযায়ী সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে। জেনারেল মানেকশ- এর এই আহ্বান আকাশবানী থেকে নানা ভাষায় বারবার প্রচার করা হয়। </li> </ul> <ul> <li>পূর্বসীমান্ত থেকে জেনারেল সগৎ সিং- এর প্রায় সবকটা বাহিনীই এখন দ্রুত গতিতে পশ্চিমের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। একটা দল এগুচ্ছিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত করে আশুগঞ্জের দিকে। অপর একটি বাহিনী আশুগঞ্জের সেতুর দিকে এগুচ্ছিল। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি পালন এবং সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য ভারত ও পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে। </li> </ul> <ul> <li>সাধারণ পরিষদে ভারতীয় প্রতিনিধি শ্রী সমর সেন বলেন, পাকিস্তানের অবশ্যই বাংলাদেশকে স্বীকার করে নিতে হবে। উপমহাদেশে শান্তি পুনঃস্থাপনের জন্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দিতে হবে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে গ্রহণযোগ্য না হলে জাতিসংঘের কোন প্রস্তাবই বাস্তবায়ন করা যাবে না। </li> </ul> <ul> <li>৫৭তম ভারতীয় মাউন্টেন ডিভিশন ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় পৌঁছয়। পাকবাহিনী এর আগেই ব্রাহ্মণবাড়ীয়া ছেড়ে চলে যায়। যুগপৎভাবে ‘এস’ ফোর্সও বিনা বাধায় সরাইলে পৌঁছয়। </li> </ul> <ul> <li>সন্ধ্যার মধ্যে ১১শ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট আশুগঞ্জের পূর্ব পাশে আজম পুর এবং দুর্গাপুরে সমাবেস করে। সরাইল এবং শাহবাজপুরের মধ্যে ২য় ইস্টবেঙ্গল এবং সেক্টর ভুক্ত এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য পেছন দিক থেকে অগ্রসর হতে থাকে। ভারতীয় ৩১১তম মাউন্টেন ব্রিগেডের দশম বিহার রেজিমেন্ট দুর্গাপুরের দক্ষিণে সমবেত হয়। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১

০৮ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পাকবাহিনী বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সম্পূর্ণ ভাবে বিছিন্ন ও অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ঢাকার দিকে পালাবার কোনো পথ তাদের আ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ভুটান স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। </li> </ul> <ul> <li>ভোরে ভারতীয় ছত্রীসেনা সিলেটের নিকটবর্তী বিমানবন্দর শালুটিকরে নামে। তারপর চতুর্দিক থেকে পাক ঘাঁটিগুলির উপর আক্রমণ চালায়। দুপুর বেলাই এখানকার পাকসেনানায়ক আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ভারতীয় নবম ডিভিশনের প্রথম কলামটি উত্তর দিক দিয়ে যশোর ক্যান্টনমেন্টের কাছে এসে পৌঁছায়। তারা তখনো জানে না যশোর ক্যান্টনমেন্ট শূন্য। মিত্রবাহিনীর কলাম যতই এগিয়ে এলো ততই তারা আশ্চর্য হয়ে গেলো। কেননা কোনো প্রতিরোধ নেই। এর পরপরই তারা বুঝতে পারে যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে সব পাকসৈন্যরা পালিয়ে গেছে। পলায়নের সময় পাকবাহিনী বিপুল অস্ত্রশস্ত্র, রেশন এবং কন্ট্রোল রুমের সামরিক মানচিত্রও ফেলে রেখে যায়। </li> </ul> <ul> <li>সোভিয়েত নেতা লিওনিদ ব্রেজনেভ কোনো প্রকার বহিঃশক্তির হস্তক্ষেপ ছাড়া পাক-ভারত সংঘর্ষের একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহবান জানান। </li> </ul> <ul> <li>মেজর আফসারের বাহিনী ভালুকা থানা তিন দিক থেকে ঘেরাও করে শত্রুসেনাদের উপর প্রচন্ড আক্রমণ চালাতে থাকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখানে তুমুল লড়াই চলছে। </li> </ul> <ul> <li>যৌথবাহিনী চাদিনা ও জাফরগঞ্জ অধিকার করে। অবশ্য কুমিল্লা ও লাকসামে এখনো তুমুল যুদ্ধ চলছে। </li> </ul> <ul> <li>বিকেলে বগুড়া-রংপুর সড়কের করতোয়া সেতু দখল নিয়ে পাকিস্তান ও যৌথ বাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। </li> </ul> <ul> <li>যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে অর্থনৈতিক সাহায্যদান বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১

০৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১ ভুটান স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ভোরে ভারতীয় ছত্রীসেনা সিলেটের নিকটবর্তী বিমানবন্দ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ভারত স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টে এই ঘোষণা দেন। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ায় পাকিস্তান ভারতের সাথে কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। পাক- ভারত যুদ্ধের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পূর্ব পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় উপ-নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। এ নির্বাচন ৭ ডিসেম্বর থেকে অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিলো। </li> </ul> <ul> <li>লাকসাম, আখাউরা, চৌদ্দগ্রাম,হিলিতে মুক্তিবাহিনী দৃঢ় অবস্থান নেয়। পাকিস্তানী বাহিনী যুদ্ধে কুলিয়ে উঠতে না পেরে পিছু হটে বিকল্প অবস্থান নেয়। রাতে আখাউরা ও সিলেটের শমসেরনগর যৌথ বাহিনীর অধিকারে আসে। </li> </ul> <ul> <li>মিত্রবাহিনীর বিমানের বোমাবর্ষণে ঢাকা বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভোর থেকেই পাক নবম ডিভিশনের পলায়ন পর্ব শুরু হয়। যশোর-ঢাকা সড়কে ভারতীয় বাহিনী ঘাঁটি করায় বাধ্য হয়ে পাক নবম ডিভিশনের একটি অংশ পালায় মাগুরা হয়ে মধুমতি নদী ডিঙ্গিয়ে ঢাকার পথে। কুষ্টিয়ার দিক দিয়েও পালালো ছোট্ট একটা অংশ। পালাবার পথে সবক’টা বাহিনীই রাস্তার ওপরের ব্রীজগুলি ভেঙ্গে দেওয়ার চেষ্টা করে। </li> </ul> <ul> <li>নিরাপত্তা পরিষদে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতি সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাবের ওপর সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় দফা ভেটো দেয়। সোভিয়েত সরকারের একজন মুখপাত্র মস্কোতে বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সোভিয়েত ইউনিয়ন উদাসীন থাকতে পারে না। কারণ, এখানে সোভিয়েত ইউনিয়নে নিরাপত্তার স্বার্থ জড়িত রয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নরের সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী ঢাকায় বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু সময় প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, আমাদের বাহিনী বর্তমান পরিস্থিতিতে পূর্ব পাকিস্তান ধরে রাখতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। </li> </ul> <ul> <li>লেঃ নিয়াজি রাতে ঝিনাইদহ অবস্থান থেকে সরে এসে তাঁর বাহিনীকে ঢাকা রক্ষার নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী ঢাকার পথে পেছনে এসে মেঘনার তীরে সৈন্য সমাবেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু তা আর তাদের পক্ষে করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। কারণ ততক্ষণে ঢাকা-যশোর সড়ক মিত্রবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে চলে গেছে। মধুমতি অতিক্রম করে মিত্রবাহিনীর একটি দল খুলনার দিকে এবং অপর একটি দল কুষ্টিয়ার দিকে অভিযান অব্যাহত রাখে। </li> </ul> <ul> <li>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবিলম্বে পাক-ভারত যুদ্ধ বিরতির প্রচেষ্টা চালানোর জন্য নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব উপস্থাপন করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন ঐ প্রস্তাবে ভেটো দেয়। নিরাপত্তা পরিষদের ১১ জন সদস্য মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। পোল্যান্ড সোভিয়েত ইউনিয়নের পক্ষে ভোট দেয়। বৃটেন ও ফ্রান্স ভোট দানে বিরত থাকে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

০৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ ভারত স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী পার্লামেন্টে এই ঘ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>লড়াইয়ের তৃতীয় দিনেই স্বাধীন বাংলার আকাশ শত্রুমুক্ত হয়। বাংলাদেশে পাকবাহিনীর প্রায় সব বিমান এখন বিধ্বস্ত। সারাদিন ধরে ভারতীয় জঙ্গীবিমানগুলো অবাধে আকাশে উড়ে পাক সামরিক ঘাঁটিগুলোতে প্রচন্ড আক্রমণ চালায়, অকেজো করে দেয় বিমান বন্দরগুলো। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের বিমানবাহিনীর হিসাব মতে বারো ঘন্টায় দু’শ বত্রিশবারে তেজগাঁও এবং কুরমিটোলা বিমানঘাঁটিতে পঞ্চাশ টনের মত ফেলা হয়েছে। পাকবাহিনীর কনভয়ের ওপর ভারতীয় জঙ্গী বিমানগুলি আক্রমণ চালায়।এতে পাকবাহিনীর নব্বইটা গাড়ি ধ্বংস হয়। এছাড়াও পাকবাহিনীর সৈন্য বোঝাই কয়েকটা লঞ্চ এবং স্টীমারও ধ্বংস হয়। </li> </ul> <ul> <li>সাবমেরিন গাজী পাক নৌবহরের গর্বের বস্তু। বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর যৌথকমান্ডের সফল আক্রমণে তা ধ্বংস হয়। সাবমেরিনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হতে পাকিস্তান ধার হিসেবে পেয়েছিল। </li> </ul> <ul> <li>নৌবাহিনীর যৌথ কমান্ড চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের সকল নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের জাহাজগুলোকে বন্দর ত্যাগের পরামর্শ দেয়। তারা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতেও তাদের অপারগতা প্রকাশ করে। বিশ্বের সব দেশ বুঝতে পারে বাংলাদেশের বন্দরগুলো রক্ষা করার ক্ষমতা আর পাক বাহিনীর নেই। </li> </ul> <ul> <li>মিত্রবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট স্থলপথে এগিয়ে আসতে থাকে। প্রধান সড়ক দিয়ে না এগিয়েও মিত্রবাহিনী বিভিন্ন সেক্টরের প্রধান প্রধান সড়কের কতগুলি এলাকায় অবরোধ সৃষ্টি করে। ফলে ঢাকার সঙ্গে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের, নাটোরের সঙ্গে ঢাকা ও রংপুরের এবং যশোরের সঙ্গে নাটোর ও রাজশাহীর যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের ৫৭ মাউন্টেন ডিভিশন আখাউড়ার যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সাথে মিলিত হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনী আখাউড়ার দক্ষিণ এবং পশ্চিমাংশ দিয়ে অবরোধ করে। এখানে পাকবাহিনী মিত্র বাহিনীর সাথে যুদ্ধে টিকতে না পেরে অবশেষে আত্মসমার্পন করে। ফলে আখাউড়া সম্পূর্ণরূপে শত্রু মুক্ত হয়। এই যুদ্ধে সুবেদার আশরাফ আলী খান, সিপাহী আমির হোসেন, লেফট্যানেন্ট বদিউজ্জামান, সিপাহী রুহুল আমীন, সিপাহী সাহাব উদ্দীন, সিপাহী মুস্তাফিজুর রহমান শহীদ হন। আখাউড়া মুক্ত হওয়ার পর কিছু পাকসৈন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় এবং ১৬০ জন মিত্রবাহিনীর হাতে নিহত হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১

০৫ ডিসেম্বর, ১৯৭১ লড়াইয়ের তৃতীয় দিনেই স্বাধীন বাংলার আকাশ শত্রুমুক্ত হয়। বাংলাদেশে পাকবাহিনীর প্রায় সব বিমান এখন বিধ্বস্ত। সারাদিন ধ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে পশ্চিম সেক্টর থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর সবকটি কলাম পূর্বে এগিয়ে যায়। কোথাও তারা সোজাসুজি পাকঘাঁটিগুলোর দিকে এগোয় না। মূল বাহিনী সর্বদাই ঘাঁটিগুলোকে পাশ কাটিয়ে এগিয়ে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে পাকবাহিনীকে বিভ্রান্ত করার জন্য প্রত্যেক ঘাঁটিতে অবিরাম গোলাবর্ষণ চালাতে থাকে । </li> </ul> <ul> <li>ভারতীয় বিমান এবং নৌবাহিনীর জঙ্গী বিমানগুলো বারবার ঢাকা, চট্টগ্রাম চালনা প্রভৃতি এলাকায় সামরিক ঘাঁটিগুলোর ওপর আক্রমণ চালায়। ঢাকায় জোর বিমান যুদ্ধ চলে। ঢাকা ছিল পাক বিমানবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি। এই ঘাঁটিতেই ছিল তাদের জঙ্গী বিমানগুলো। পাকবিমানবাহিনীতে ছিল দুই স্কোয়াড্রন (২৮টি) জঙ্গীবিমান। এক স্কোয়াড্রন চীনা মিগ-১৯, আর এক স্কোয়াড্রন মারকিনী স্যাবার জেট। পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছু দিন আগে ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে মিগ-১৯ বিমানগুলো পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশে থাকে শুধু স্যাবারগুলো। প্রথম রাতের আক্রমণেই পাকিস্তানের বিমান- বহরের প্রায় অর্ধেক বিমান ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। </li> </ul> <ul> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান দুপুরে জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণে ভারতের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক যুদ্ধ ঘোষণা করে বলেন, আমরা অনেক সহ্য করেছি। এখন শত্রুর প্রতি চরম ধ্বংসাত্মক প্রত্যাঘাত হানার সময় এসেছে। আমাদের সেনাবাহিনী শত্রুকে কেবল আমাদের ভূখন্ড থেকেই বিতাড়িত করবে না, শত্রুর ভূখন্ডে গিয়ে তাদের নির্মূল করবে। তিনি সেনাবাহিনীর প্রতি প্রতিপক্ষকে চরম আঘাত হানা এবং সীমান্ত অতিক্রম করার নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের উভয় অংশে যুদ্ধ চলছে। পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় চাপ মোকাবেলা করা হচ্ছে। মুখপাত্র বলেন, পাকিস্তানের প্রতি দৃঢ় সমর্থন দেবে বলে চীন ওয়াদা করেছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১

০৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১ যুদ্ধের দ্বিতীয় দিনে পশ্চিম সেক্টর থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তিবাহিনীর সবকটি কলাম পূর্বে এগিয়ে যায়। কোথাও তা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ০৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পাকিস্তানী বাহিনী আকস্মিকভাবে স্থল ও আকাশ-পথে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল আক্রমন করার ফলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। </li> </ul> <ul> <li>ভারত ও বাংলাদেশ বাহিনী সম্মিলিভাবে পূর্ব সীমান্তে অভিযান শুরু করে। ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশের পাক অবস্থান গুলোকে ঘিরে ফেলার প্রচেষ্টায় সীমান্তের ৭টি এলাকা দিয়ে প্রচন্ড আক্রমণ পরিচালনা করে। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধী কলকাতা সফরকালে ব্রিগেড প্যারেড ময়দানের সভা সংক্ষেপ করে সন্ধ্যায় হঠাৎ দিল্লী রওয়ানা হন। রাতে জাতির উদ্দেশে এক বেতার ভাষণে তিনি বলেন, পাকিস্তান আজ ভারতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক হামলা চালিয়েছে। পাকিস্তানের আক্রমণ ঐক্যবদ্ধভাবেই প্রতিহত করতে হবে। তিনি দেশবাসীকে চরম ত্যাগ স্বীকারের জন্য তৈরি হবার আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব ও পশ্চিম অংশের মধ্যে পিআইএর সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়। সামরিক কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত ঢাকায় সান্ধ্য আইন জারী ও নিষ্প্রদীপ ব্যবস্থা পালনের নির্দেশ দেয়। </li> </ul> <ul> <li>মার্কিন সিনেটর উইলিয়াম স্যাক্সবি রাওয়ালপিন্ডিতে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে বলেন, তিনি বেআইনী ঘোষিত আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি। </li> </ul> <ul> <li>ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে তাঁর আলোচনাকালে শেখ মুজিবুর রহমান প্রসঙ্গ নিয়ে কথাবার্তা হয়। তিনি শেখ মুৃজিবের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য পুনরায় পাকিস্তান আসতে রাজী হয়েছেন। </li> </ul> <ul> <li>ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শরণ সিং নয়াদিল্লীতে পার্লামেন্টে বলেন, বাংলদেশে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নির্যাতন বন্ধ করার ব্যাপারে প্রচেষ্টা চালানোর জন্য ভারত কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সরকারকে পরামর্শ দিয়ে আসছে। কিন্তু সে প্রচেষ্টা কোনো সুফল বয়ে আনেনি। বাংলাদেশ থেকে শরণার্থী আগমনে ও ভারত সীমান্তে পাকিস্তানী গোলাবর্ষণে ভারতের নিরাপত্তা বিপদসঙ্কুল হয়ে পড়েছে। </li> </ul> <ul> <li>৪র্থ ও দশম বেঙ্গল ফেনী থেকে অগ্রসর হয়ে রেজুমিয়া সেতুতে উপস্থিত হয়। ১নং সেক্টরের ক্যাপ্টেন মাহফুজ তাঁর বাহিনী নিয়ে অপর বাহিনীর সাথে একত্র হয়। ফেনী-চট্টগ্রাম সড়ক দিয়ে এই যৌথবাহিনীর একটি কলাম ডান দিকে মুহুরি নদী ধরে এবং অপর কলাম বাঁ দিকে সড়ক ধরে চট্টগ্রামের দিকে এগুতে থাকে। </li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১

০৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ পাকিস্তানী বাহিনী আকস্মিকভাবে স্থল ও আকাশ-পথে ভারতের পশ্চিমাঞ্চল আক্রমন করার ফলে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। ভারত...

Read more »