মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৩১ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল শিবপুর থানা আক্রমণ করে থানা ও রাজস্ব অফিস জ্বালিয়ে দেয়। গেরিলারা থানা থেকে ৮টি রাইফেল, ৫টি শর্টগান ও ৪০ রাউন্ড গুলি দখল করে। এ খবর পেয়ে নরসিংদী থেকে পাকসেনাদের একটি কোম্পানী ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হলে আরেকটি গেরিলা দল পুটিয়রের কাছে তাদের এ্যামবুশ করে। চারঘন্টা সংঘর্ষের পর গেরিলাদের চাপের মুখে টিকতে না পেরে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে নরসিংদীর দিকে পালিয়ে যায়। এক সংঘর্ষে পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ক্যাপ্টেন সেলিমসহ ৩৩ জন পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকাল ৯/১০ টায় পাকহানাদার বাহিনী সুনামগঞ্জে কিছু রাজাকার, আলবদর নিয়ে জগন্নাথপুর হতে ৮/৯টি নৌকায় ছিরামিসি বাজারে আসে। রাজাকার, আলবদররা গ্রামের সকল মানুষকে শান্তি কমিটির মিটিংয়ে উপস্থিত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়। শান্তি প্রিয় গ্রামের মানুষ শান্তির আকাঙ্খায় ছিরামিসি উচ্চ বিদ্যালয়ে জমায়েত হয়। যারা আসতে দেরী করে তাদের ডেকে আনা হয়। আগত সবাই স্কুলে হল রুমে আলোচনা আরম্ভ করার অপেক্ষা করছিলেন, এমন সময় বর্বররা শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী ও যুবকদের আলাদা রুমে ডেকে নিয়ে পিছন দিক দিয়ে হাতগুলো বেঁধে দেয়। পরে ১৫/১৬ জনের এক একটি দল করে এক সাথে বেঁধে নৌকায় নিয়ে নির্বিবাদে গুলি চালায়। কোন কোন দলকে নিকটবর্তী পুকুর পাড়ে সাড়ি বেঁধে দাঁড় করিয়ে ব্রাস ফায়ার করে। এদের মধ্যে কেউ কেউ পানিতে পড়ে বাঁচার চেষ্টা চালালে পুকুর পাড় থেকে পাক বর্বররা এলোপাথারি গুলি করে। এভাবে পাক জল্লাদরা ছিরামিসি গ্রামের ১২৬ জন নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করে। এই নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডে নরপশুরা মাত্র কয়েকজন বৃদ্ধকে অকেজো ভেবে ছেড়ে দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>হত্যাযজ্ঞের পর আরম্ভ হয় ধ্বংসযজ্ঞ। ছিরামিসি বাজারের ২৫০টি দোকান কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে ধ্বংস করে পাক হানাদাররা। সেখান থেকে হানাদাররা জনশূন্য গ্রামে গিয়ে লুটতরাজ চালায় ও ঘরবাড়ি সব আগুনে পুড়িয়ে দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ওয়াশিংটনে এক বিবৃতিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক নির্যাতনের বদলে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতার ব্যবস্থা না করা হলে পাকিস্তানের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ডা: এ.এম. মালিক ও লেঃ জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ নিয়াজীকে যথাক্রমে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেন। তবে, সরকারীভাবে বলা হয়: বেসামরিক গভর্নর নিয়োগ করা হলেও সেনাবাহিনী আগের মতোই কাজ করবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোলাম আজম করাচীতে সংবাদ সম্মেলনে ন্যাপ (ভাসানী), আতাউর রহমান খানের ন্যাশনাল লীগ, ন্যাপ (ওয়ালী) সহ অন্যান্য ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা ও জাতীয় পরিষদ বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবী জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল ঢাকা-কুমিল্লা সড়কে বাতেরচরের নিকটস্থ সড়কে সেতুতে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে কয়েকজন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত হয়। পরে গেরিলারা সেতুটির ৬০ ফুট লম্বা স্প্যান উড়িয়ে দেয়। এতে পাকসেনাদের ঢাকা-কুমিল্লা সড়ক যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মেজর আবদুল হালিমের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল ধোপাখালী বি-ও-পি থেকে কয়েক মাইল ভিতরে বাঘছড়া থানা হেড কোয়ার্টার আক্রমণ করে। কিন্তু রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের আগমন সংবাদ পূর্বেই পেয়ে পালিয়ে যায়। ফেরার পথে মুক্তিযোদ্ধারা শান্তি কমিটির একজন সদস্যের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪টি বন্দুকসহ চারজন রাজাকারকে বন্দী করে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩১ আগস্ট, ১৯৭১

৩১ আগস্ট, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল শিবপুর থানা আক্রমণ করে থানা ও রাজস্ব অফিস জ্বালিয়ে দেয়। গেরিলারা থানা থেকে ৮টি রাইফেল, ৫টি শ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৩০ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল সুবেদার আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে এবং সুবেদার শামসুল হকের নেতৃত্বে এক সেকশন যোদ্ধা চালনা গ্রামে পাকবাহিনীর ডিফেন্সের ওপর চারদিক থেকে আক্রমণ চালায়। সারাদিনব্যাপী এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন, ১৫ জন সিপাই, ২৯ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ১৩ জন রাজাকার ও কয়েকজন পাকসেনা পালিয়ে যায়। মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ৭টি বড় নৌকা মালামালসহ দখল করে এবং ৬টি এল-এম-জি, ম্যাগাজিন বাক্স ৬টি, এল-এম-জি ম্যাগাজিন ৭২টি, রাইফেল ১২টি ও ৮১০ টি বুলেট উদ্ধার করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী বেগমগঞ্জ থানার সোনাপুর ও গোপালপুরের কাছে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর হামলা চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে ৩/৪ ঘন্টা প্রচন্ড গুলিবিনিময় হয় এবং পরে পাকসেনারা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে ৪০ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা ২০টি অস্ত্র দখল করে। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লাকসাম থেকে পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল চৌদ্দ গ্রামের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনাদের এই দলটি মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দলের ২০০ গজের মধ্যে পৌঁছালে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। সমস্তদিন গুলিবিনিময়ের পর পাকসেনারা সম্মুখদিকে অগ্রসর হতে না পেরে পিছু হটে এবং আক্রোশে রাস্তার চারদিকের সমস্তগ্রাম জ্বালিয়ে দেয়। এই যুদ্ধে ২০ জন পাকসৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল আড়াই হাজার থানা আক্রমণ করে। এই আক্রমণে থানার দারোগা নিহত হয়। গেরিলা যোদ্ধারা থানার সমস্ত অস্ত্রশস্ত্র দখল করে এবং নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খুলনায় পাকবাহিনীর ৪০০ জন সৈন্য উকসা-গোবিন্দপুর মুক্তিবাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটির ওপর হামলা চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় নয় ঘন্টা গোলাবিনিময় হয়। পরে পাকবাহিনীর একজন মেজর গুরুতর আহত হলে পাকসেনারা পালিয়ে যায়। এ যুদ্ধে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক সৈন্য আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সরকার বৃটেন ও বৃটিশ উপনিবেশগুলোর বিরুদ্ধে বৃটিশ সরকারের কাছে এক প্রতিবাদ লিপি পেশ করে। প্রতিবাদ লিপিতে বলা হয় : বৃটিশ সরকার ও হংকং প্রশাসন সেখানে আশ্রয় প্রার্থী বাঙালী বিদ্রোহীদের প্রতি নমনীয় মনোভাব প্রদর্শন করছেন এবং বিদ্রোহীদের বৃটেনে থাকার অনুমতি দিয়েছেন। বিদ্রোহীদের বি.বি.সি বেতার ও টেলিভিশন ব্যবহার করতে দেয়া হয়েছে। বহু বৃটিশ নাগরিক পাকিস্তান ধ্বংসাত্মক কাজ চালানোর জন্য তহবিল সংগ্রহ ও অস্ত্র ক্রয় করতে বিদ্রোহীদের সাথে হাত মিলিয়েছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে কাউন্সিল মুসলীম লীগের খাজা খয়রুদ্দিন ও মওলানা শফিকুল ইসলাম প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে দেখা করেন।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ আগস্ট, ১৯৭১

৩০ আগস্ট, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল সুবেদার আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে এবং সুবেদার শামসুল হকের নেতৃত্বে এক ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৯ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন আইনুদ্দিনের নেতৃত্বে ৪র্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানীর এক প্লাটুন যোদ্ধা কসবার পশ্চিমে পাকবাহিনীর টি. আলীর বাড়ীর নিকট পাকসেনাদের অবস্থানের পেছনে জলপথের ওপর এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের দু‘টি নৌকা তাদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হলে এ্যামবুশের আওতায় আসার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। প্রচন্ড গোলাগুলির পর পাকসেনাদের নৌকা দু’টি পানিতে ডুবে যায় এবং সেই সঙ্গে ৩০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। এই যুদ্ধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর এক কোম্পানী যোদ্ধা ১নং সেক্টরে আমলিকাতে উপেন্দ্র লাল চাকমা বিওপির বিপরীতে পাকসেনাদের শক্ত অবস্থানের ওপর আক্রমণ রচনা করে। ভারতীয় বাহিনীর ৪নং গার্ডস-এর একটি কোম্পানী লেঃ কর্নেল হিম্মত সিংহের কমান্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্টার ও এমজি সাপোর্ট দেয়। আধঘন্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর তিনটি কলাম তিন দিক থেকে পাকসেনাদের বাঙ্কার গুলোর উপর গ্রেনেড চার্জ করে। পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের মুখে চরম মার খেয়ে শোতাপুরের দিকে পালিয়ে যায়। আমলিকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এ সংঘর্ষে ২৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও দুইজন গুরুতররূপে আহত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর ৬ জনের একটি গেরিলা দল ঢাকার সায়দাবাদ সেতুটি বিষ্ফোরক লাগিয়ে বিধ্বস্ত করে। এতে এই পথ দিয়ে পাকসেনাদের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মল্লিকবাড়ি পাক ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদের ৪ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন সৈন্য আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী লাকসাম থানার বুটচি গ্রামে সন্ধ্যা সাতটায় শান্তি কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়। পাকসেনা ও রাজাকাররা সভা শুরু করলে ২নং সেক্টরের মিয়ারবাজার সাব-সেক্টরের এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন পাকসেনা, ৯ জন পশ্চিম পাকিস্তানি পুলিশ, ও ২০ জন রাজাকার হতাহত হয় এবং শান্তি কমিটির সভা ভেঙ্গে যায়। মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাতে পাকবাহিনী আকস্মিভাবে এলিফ্যান্ট রোডের ৩৫৫ নম্বর কনিকা বাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে পাকসেনারা শরীফ, জামিল ও গেরিলা যোদ্ধা রুমীকে বন্দী করে নিয়ে যায়। রুমী ভারতের ‘মেলাঘর’ থেকে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে জুন মাসে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>করাচীতে গোলাম আজম এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলাদা নির্বাচন পদ্ধতিতে পুনরায় পূর্ব পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। তিনি বলেন, আলাদা নির্বাচন না হওয়াতে গত নির্বাচনে হিন্দুদের সমর্থন পেয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। তিনি আরো বলেন, এ মুহুর্তে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে চরম বোকামী।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর । </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ আগস্ট, ১৯৭১

২৯ আগস্ট, ১৯৭১ ক্যাপ্টেন আইনুদ্দিনের নেতৃত্বে ৪র্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানীর এক প্লাটুন যোদ্ধা কসবার পশ্চিমে পাকবাহিনীর টি. আলীর বাড়ীর ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৮ আগস্ট, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীকে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে পাঁচটি নৌকায় শালদা নদী দিয়ে অগ্রসর হওয়ার পথে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকসেনাদের পাঁচটি নৌকা বিধ্বস্ত হয়ে পানিতে ডুবে যায় এবং একজন ক্যাপ্টেনসহ ৩০ জন পাকসেনা হতাহত হয়। এ আক্রমণের ফলে পাকসেনাদের নদী পথে অগ্রবর্তী ঘাঁটিগুলোতে সরবরাহ পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের ‘এ’ কোম্পানির একটি টহলদার দল মাধবপুর গ্রামের বাইরে কাঁচা রাস্তায় পাকবাহিনীর একটি জীপ ও একটি ট্রাক এ্যামবুশ করে। এ্যামবুশ দলের তীব্র আক্রমণে পাকসেনাদের গাড়ী দু‘টির মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং ৯ জন পাকসেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়। অল্পসংখ্যক পাকসেনা পালিয়ে যেতে সমর্থ হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের তাজপুরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধা দল পাকসেনাদের একটি দল শাহবাজপুর রেলস্টেশন ঘাঁটি থেকে তাজপুরের দিকে অগ্রসর হলে তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে ৪ জন রাজাকার ও একজন পাকসৈন্য নিহত হয় এবং কয়েকজন আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লা জেলায় মুক্তিবাহিনী মাইজবার গ্রামে পাকসেনা তল্লাসী অভিযান চালায়। এই অভিযানে ৩৬ জন পাকসেনা খতম হয়। অভিযান শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে রাজাকার ও পাকসৈন্য মিলে ১৫০ জনের একটি দল মহেশপুর লুটপাট করতে আসে। খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনী পুরো গ্রামের চারদিকে এ্যামবুশ করে পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং বাকী সৈন্যরা পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী সিলেটের জগন্নাথপুর থানার দিরাই ও শাল্লা এলাকা শত্রুমুক্ত করে সেখানে বেসামরিক প্রশাসন চালু করে। সালেহ চৌধুরী ঐ এলাকার আঞ্চলিক অধিনায়ক নিযুক্ত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মনোনীত হন। এর আগে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশের ফলে পাকিস্তান সরকারের অনুরোধে এই কামশনের সদস্যপদ থেকে তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ বুশ মহাসচিব উ’ থান্টের সাথে সাক্ষাৎ করে জানান, পূর্ব পাকিস্তানের মার্কিন সাহায্য সমন্বয়ের জন্য ‘মার্কিন টাস্ক ফোর্স’ গঠন করা হয়েছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ও ভারতে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত চেস্টার বোন্স বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানকে শাস্তি দেয়া হলে পাকিস্তানের সব ধরনের মার্কিন সাহায্য বন্ধ করে দেয়ার জন্য দাবি জানিয়ে প্রচার অভিযান শুরু করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম বলেন, শ্লোগান আওড়িয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মোকাবেলা করা যাবে না। সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করুন। রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের পিপিপি নেতা মাহমুদ আলী লন্ডনে বলেন: ‘ইউরোপ ও আমেরিকার সংবাদসমূহ এখানে বসবাসকারী পাকিস্তানিদের বিভ্রান্ত করছে। আমি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলছি পত্র পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে পরিস্থিতি ঠিক তার বিপরীতে। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যেসব প্রশ্ন তুলেছেন তা ঠিক নয়। ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। মিল, কলকারখানা, ডকইয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান বাঙালি অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হয়। কেন্দ্রেও বাঙালিরা উচ্চপদে রয়েছে।’</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ আগস্ট, ১৯৭১

২৮ আগস্ট, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীকে ব্রাহ্মণপাড়া থেকে পাঁচটি নৌকায় শালদা নদী দিয়ে অগ্রসর হওয়ার পথে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাক...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>২৭ আগস্ট, ১৯৭১</b></div> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকালে ২নং সেক্টরে পাকবাহিনী নায়নপুরের পশ্চিম পাশে শশীদল গ্রামের নিকট সেনা সমাবেশ করে সেনেরবাজার মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। সমস্ত দিন যুদ্ধের পর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের আক্রমণকে প্রতিহত করে। এই সংঘর্ষে ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী পরশুরাম থানার কাছে পাকসেনাদের একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। দুই ঘন্টা সংঘর্ষে পর পাকসেনারা মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এই সংঘর্ষে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাকসেনাদের ৪/৫টি বেডফোর্ড গাড়ী ও জীপকে গ্রীণ রোডে এ্যামবুশ করে। মাইনের আঘাতে পাকবাহিনীর একটি গাড়ী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়। কয়েক ঘন্টা সংঘর্ষের পর মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকলে পাকসেনারা ক্যান্টনমেন্টের দিকে পালিয়ে যায়। এ সংঘর্ষে ২৪ জন পাকসেনা নিহত ও ৪১ জন আহত হয় এবং তিনটি গাড়ী বিধ্বস্ত হয়। মুক্তিবাহিনীর দু'জন বীরযোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের মুখপাত্র মিজানুর রহমান চৌধুরী মুজিবনগরে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক মোতায়েন না করার জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব উ’ থান্টের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার বিশেষ সহকারী ডাঃ এ.এম. মালিক ইসলামাবাদে বলেন, ইয়াহিয়া খান দেশে একটি বেসামরিক সরকার গঠনে আগ্রহী। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত নিয়মিত বাংলা কথিকা ‘বিশ্বজনমত’ : </li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> সম্প্রতি বৃটেন, কানাডা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতবর্ষের পনেরজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণরক্ষার জন্য অবিলম্বে সক্রিয় ও কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশ্বের সকল সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> ‘হংকং স্ট্যান্ডার্ড’ পত্রিকার এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়: সামরিক আদালতে শেখ মুজিবুর রহমানের বিচারের নামে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা যা করতে যাচ্ছে তা একটা প্রহসন ছাড়া আর কিছুই নয়। এই বিচার প্রহসনের পেছনে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার যে গোপণ দুরভিসন্ধি রয়েছে তা বীভৎস।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> আইরিশ আইনজীবী সমিতির অত্যন্ত প্রভাবশালী সদস্য ও রাজনৈতিক বন্দী মার্জনা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থার চেয়ারম্যান সিয়ান ম্যাকব্রাইড এক চিঠিতে জেনারেল ইয়াহিয়াকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার অসামরিক আদালতে করার জন্যে আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কোন বিদেশী আইনজীবীকে পাকিস্তানের আদালতে শেখ মুজিবের পক্ষ সমর্থনের অনুমতি যদি না দেয়া হয় তাহলে শেখ মুজিবুর রহমান যাতে তাঁর ইচ্ছে মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন আইনজীবীদের সাথে পরামর্শ করতে পারেন তার ব্যবস্থা যেন করা হয়। তিনি বলেন, বিচারে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যদি তার ইচ্ছে মতো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেয়া তাহলে সে বিচার বলে গণ্য হতে পারে না।</blockquote> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ আগস্ট, ১৯৭১

২৭ আগস্ট, ১৯৭১ সকালে ২নং সেক্টরে পাকবাহিনী নায়নপুরের পশ্চিম পাশে শশীদল গ্রামের নিকট সেনা সমাবেশ করে সেনেরবাজার মুক্তিবাহিনীর অবস্থ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৬ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন ইদ্রিস ও সুবেদার মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর দু‘টি দল পাকবাহিনীর কানসাট অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড চাপে পাকসেনারা কানসাট ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। অল্প সময় পরে পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাল্টা আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী এই আক্রমণের মুখে পিছনে সরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাজশাহী জেলার দুর্গাপুরে হাবিলদার শফিকের দল অতর্কিতভাবে পাকসেনা কর্তৃক আক্রান্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা মর্টার ও হালকা মেশিনগানের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল ভালুকা থানায় পাকসেনাদের মল্লিকবাড়ি ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক সৈন্য আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ছাগলনাইয়া থানায় পাকবাহিনীর আমজাদহাট প্রতিরক্ষাব্যূহের ওপর মর্টার আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকসেনারা মুহুরী নদী পার হয়ে খাদ্যদ্রব্য ও অস্ত্রশস্ত্র ফেলে পিছু হটতে বাধ্য হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফেনীতে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ৬টি নৌকাকে ব্রাহ্মণপাড়ার কাছে তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে কয়েকজন পাকসেনা নিহত হয়। বাকী সৈন্যরা কয়েকটি নৌকায় পালাতে গেলে নাগাইশে সুবেদার নজরুলের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী তাদের ওপর আক্রমণ রচনা করে। এতে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধে গেরিলাযোদ্ধা আবদুল মতিন শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাঙ্গাইল শহরের তিনমাইল দূরে জলপাই গ্রামে কাদেরিয়া বাহিনীর সাথে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং একজনকে পাকহানাদাররা ধরে নিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার রাওয়ালপিন্ডিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকহানাদাররা ‘শিল্পরক্ষী বাহিনী’ নামে একটি বাহিনী গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। এ বাহিনী গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে-পূর্ববাংলায় ক্ষীণ হলেও যেটুকু শিল্প বিকশিত হয়েছে তা ধ্বংস করা।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান কনভেনশন মুসলিম লীগের সভাপতি শামসুল হুদা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার উদ্দেশ্যে আহবান জানান, সরেজমিনে পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা দেখে ‘দুষ্কৃতকারী’ দমনে আরও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নেয়ার।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ আগস্ট, ১৯৭১

২৬ আগস্ট, ১৯৭১ ৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন ইদ্রিস ও সুবেদার মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর দু‘টি দল পাকবাহিনীর কানসাট অবস্থানের ওপর আক্রমণ চ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৫ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন দিদারুল আলমের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার উত্তরে জামবাড়িতে পাকসেনাদের একটি কোম্পানীকে মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ করে। এই আকস্মিক আক্রমণে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাবার চেষ্টা করে। এ্যামবুশ দল পলায়নপর পাকসেনাদের ওপর মর্টারগুলি বর্ষণ করলে ৩০ জন নিহত ও ১০ জন আহত হয়। অবশিষ্ট পাকসেনারা পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল কুমিল্লার সি এন্ড বি সড়কে পাকবাহিনীর একটি ডজ গাড়ী এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ডজ গাড়ীটি ধ্বংস হয় এবং ডজের আরোহী একজন হাবিলদারসহ ৪ জন পাকসেনা বন্দী হয়। মুক্তিযোদ্ধারা এ অভিযান থেকে ৬টি রাইফেল, ২২৫রাউন্ড গুলি, ২টি পিস্তল ও ৩টি গ্রেনেড হস্তগত করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে কুকিতল সাব-সেক্টরের অসমসাহসী আতিকুল হক পনীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাকবাহিনীর দিলখুশার অগ্রবর্তী ক্যাম্পের ২শ’ গজ এলাকা জুড়ে এ্যামবুশ পাতে। ভোরে আজানের বেশ পরে পাকসেনারা একজন একজন করে বাঙ্কার থেকে বের হতে থাকে। এভাবে পাকসেনাদের কমান্ডার বের হওয়ায় সাথে সাথেই মুক্তিযোদ্ধা পনীরের গুলিতে তার বুক বিদীর্ণ হয়। মুহুর্তে গর্জে ওঠে মুক্তিযোদ্ধাদের আগ্নেয়াস্ত্র। আধ মিনিট পর আবার সবকিছু স্তব্ধ। এই স্তব্ধতার সুযোগে আর একজন সৈন্য বাঙ্কার থেকে বের হলে সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর একঝাঁক গুলি নিক্ষিপ্ত হয়েই মুহুর্তে বিরতি। এভাবে মুক্তিবাহিনী থেকে থেকে আক্রমণ চালালে ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্য ব্রাহ্মণপাড়া থেকে ধানদইল গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর একটি পেট্রোল পার্টি ধানদইল গ্রামে এ্যামবুশ পাতে। পাকসেনারা এ্যামবুশের মধ্যে এসে পড়লে মুক্তিযোদ্ধারা তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে একজন ক্যাপ্টেনসহ ১০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপর পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতের প্রাদেশিক আমীর গোলাম আজম পেশোয়ারে বলেন, সেনাবাহিনী বিদ্রোহীদের বিশ্বাসঘাতকতা থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে রক্ষা করেছে। দুষ্কৃতকারী ও অনুপ্রবেশকারদের খতম করার জন্য পূর্ব পাকিস্তানের জনসাধারণ সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ওয়াশিংটন পোস্টের স্টিফেন ক্লাইভম্যান পরিবেশিত এক বিশেষ বিবরণে নিক্সন সরকারের অফিসিয়ালদের বরাত দিয়ে বলা হয়, ‘ঐক্যবদ্ধ পাকিস্তান রক্ষা করাই মার্কিন সরকারের নীতি।’</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ আগস্ট, ১৯৭১

২৫ আগস্ট, ১৯৭১ ক্যাপ্টেন দিদারুল আলমের নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা কুমিল্লার উত্তরে জামবাড়িতে পাকসেনাদের একটি কোম্পানীকে মর্টারে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৪ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরে পাকবাহিনীর একটি কোম্পানী নাটোদা থেকে মুজিবনগরের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর একটি দল নায়েব সুবেদার আবদুল মতিন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে বাগুয়ানে এবং আর একটি দল মানিক নগরে শত্রুসেনাদের এ্যামবুশ করে। প্রায় আড়াইঘন্টা ব্যাপী এই যুদ্ধে ৯ জন পাকসেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর একজন যোদ্ধা আহত হয়। মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার সি এন্ড বি রোডের কালামুড়া ব্রিজে অবস্থাররত রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৭ জন রাজাকারের সবাই আত্মসমর্পন করে এবং মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। পরে মুক্তিযোদ্ধারা কালামুড়া ব্রিজটি ধ্বংস করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুবেদার আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কালামুড়া ব্রিজের ২ মাইল দক্ষিণে মাধবপুর ও মীরপুরের মাঝখানে পাকসৈন্য ভর্তি ২টি স্টেট বাস, ৩টি জীপ ও ২টি ডজ এ্যামবুশ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের তীব্র আক্রমণে পাকবাহিনীর সবকটি গাড়ী ধ্বংস হয় এবং বহু পাকসৈন্য নিহত হয়। একজন রাজাকার ও তিনজন পাকসৈন্য অস্ত্রশস্ত্রসহ ধরা পড়ে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরায় রাজাকারদের আশাশুনি ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে রাজাকারদের ক্যাম্পটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং অনেক রাজাকার নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতে ইসলামীর মহাসচিব চৌধুরী রহমত লাহোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশ থেকে শাসন তুলে কোনো বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার সময় এখনো আসেনি।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান নেজামে ইসলাম দলের জেনারেল সেক্রেটারী মওলানা আশরাফ আলী ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন, সীমান্ত এলাকায় নিরীহ জনগণের ওপর ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীরা অত্যাচার করছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাক সরকার জানায়, পচাগড়া, সাতক্ষীরা, ঝিকরগাছা, ঠাকুরগাঁও, সিলেট ও কুমিল্লায় ৫শ’ অমুসলিমসহ ৫ হাজার ৪শ’ উদ্বাস্তু ফিরে এসেছে ভারতীয় অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ আগস্ট, ১৯৭১

২৪ আগস্ট, ১৯৭১ ৮নং সেক্টরে পাকবাহিনীর একটি কোম্পানী নাটোদা থেকে মুজিবনগরের দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিবাহিনীর একটি দল নায়েব সুবেদার আবদু...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৩ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় মেজর জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল চিয়ারা গ্রামে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং ২৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। কিছু পাকসেনা আহত অবস্থায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লায় পাকসেনাদের জগন্নাথ দিঘী ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর চারটি বাঙ্কার ধ্বংস হয় ও অনেক পাকসেনা হতাহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ ও ‘সি’ কোম্পানী পাকসেনাদের নয়ানপুর রেলস্টেশন অবস্থানের ওপর উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে মর্টার ও ১০৬-রিকয়েললেস রাইফেলের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর কয়েকটি শক্ত বাঙ্কার বিধ্বস্ত হয়এবং অনেক পাকবর্বর হতাহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় পাকসেনাদের একটি নৌকা সেনেরবাজার ঘেঁষে আসতে থাকলে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল শত্রু নৌকাটির ওপর গুলিবর্ষণ করে। এতে ৭ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। অবশিষ্ট সেনারা নৌকাটিকে তাড়াতাড়ি পশ্চিম তীরে ভিড়িয়ে নৌকা থেকে নেমে গ্রামের দিকে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন ইদ্রিস ও সুবেদার মেজর মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর কানসাট অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। প্রায় চারঘন্টা স্থায়ী এই ভয়াবহ যুদ্ধে পাকবাহিনীর প্রচুর সৈন্য হতাহত হয় ও ব্যাপক ক্ষতি হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় প্রাদেশিক সরকারের জনৈক মুখপাত্র বলেন, বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের টিকিটে নির্বাচিত সব সদস্যকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ৮৮ জন এম.এন.এ. ও ৯৪ জন এম.পি.এ.-র বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ফলে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এই সঙ্কট মুহুর্তে অর্পিত দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে তাদের দ্বিধাবোধ করা উচিত নয়। সরকার তাদের পূর্ণ নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লাহোরে পূর্ব পাকিস্থান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম বলেন, পূর্ব পাকিস্তানে ভারতীয় চরদের (মুক্তিযোদ্ধা) প্রধান শিকার জামায়াতে ইসলামীর কর্মীরা। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের (আওয়ামী লীগ) বিরোধীতা করার জন্য সেখানে বহু জামায়াত কর্মী দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) হাতে প্রাণ হারিয়েছে। একমাত্র জামায়াত ইসলামী প্রদেশের প্রতিটি অংশে দুষ্কৃতকারীদের মোকাবেলা করছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লন্ডনে পিডিপি নেতা মাহমুদ আলী বলেন, 'আমি প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে বলছি, পত্র-পত্রিকায় যা প্রকাশিত হয়েছে পরিস্থিতি ঠিক তার বিপরীত। বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যে সব প্রশ্ন তুলেছেন তা ঠিক নয়। ২৪ বছরের পাকিস্তানি শাসনে দেশের অনেক উন্নতি হয়েছে। মিল, কলকারখানা, ডকইয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তান বাঙালী অফিসারদের দ্বারা পরিচালিত হয়। কেন্দ্রেও বাঙালীরা উচ্চ পদে রয়েছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>হাতিয়ার নলচিরা বাজার জামে মসজিদে এলাকার দালালরা একত্র হয়। এতে মাহমুদুর রহমানকে সভাপতি, সৈয়দ আহমদ খানকে সম্পাদক এবং মৌলভী ছালেহ উদ্দিনকে যুগ্ম সম্পাদক করে নলচিরা ইউনিয়ন শান্তি কমিটির কার্য নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>'বাংলাদেশ' সংবাদপত্রের সম্পাদকীয় :</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> বাংলাদেশের বহু বিচিত্র দেওয়ালের লিখন দেখেছি। কোথাও দেখেছি "পাঞ্জাবী কুকুর বাংলা ছাড়", আবার কোথাও দেখেছি "পশ্চিম পাকিস্তানি পশুরা মানুষ হত্যা করছে, আসুন আমরা পশু হত্যা করি।" স্থানে স্থানে প্রত্যক্ষ করছি, বঙ্গবন্ধু দীর্ঘজীবী হউক। এক জায়গায় দেখেছি লেখা রয়েছে "মুজিববাদ দীর্ঘজীবী হউক"।</blockquote> </div> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> আজকে শেখ মুজিব কোন ব্যক্তির নাম বা কোন দলীয় প্রধান নয়। শেখ মুজিব এক কালজয়ী আদর্শ, এক জ্বলন্ত শিখা। এই অগ্নি-শিখার আলোকে অনাগত ভবিষ্যতের অগনিত নিপীড়িত জনতা পথ দেখে নেবে। বিশ্বের যেখানে অত্যাচার, অনাচার,সাম্রাজ্যবাদী শোষণ-শাসন, ফ্যাসিবাদী নির্যাতন, নির্মম আঞ্চলিক বৈষম্য বিরাজমান, সে সব এলাকার মানুষের জন্য মুজিব এক বলিষ্ঠ সোচ্চার প্রতিবাদ, স্বৈরতন্ত্র ও সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অনড় চ্যালেঞ্জ; বাস্তব, প্রাণবন্ত ও নির্ভেজাল গণতন্ত্রের প্রতীক এবং শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার বিমূর্ত প্রকাশ। </div> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> বিশ্বের দেশে দেশে আঞ্চলিক বৈষম্য রয়েছে, রয়েছে সাম্রাজ্যবাদী শাসন-শোষণ; অত্যাচার, অনাচার, নিপীড়নের অবসান আজ ও ঘটেনি। আজও স্বৈরাচারী সামরিক জান্তা গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরছে। অনাগত বিশ্বে এই জাতীয় বৈষম্য, শোষণ-শাসন বা নিপীড়নের রূপান্তর ঘটবে বটে, তবে একেবারে তিরোহিত হবে না। এই জাতীয় রাজনৈতিক অর্থনৈতিক ব্যাধি নিরসনের জন্য সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা প্রয়োজন। এর নাম ৬ দফা না হলেও কিছু একটা হবে। কিন্তু এর প্রতিষ্ঠাতার আবেদন চির ভাস্কর। মুজিববাদ তাই স্থান-কাল-জয়ী।</div> </blockquote> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ আগস্ট, ১৯৭১

২৩ আগস্ট, ১৯৭১ কুমিল্লায় মেজর জাফর ইমামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল চিয়ারা গ্রামে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="331" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২২ আগস্ট, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকসেনাদের একটি দলকে সোনাগাজীর রাস্তায় এন্টি-ট্যাঙ্ক মাইন পেতে এ্যামবুশ করে। মাইনের আঘাতে পাকসেনাদের তিনটি ট্রাক ধ্বংস হয় এবং সেই সঙ্গে ২০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। এ ছাড়াও এ্যামবুশ দলের গুলিতে প্রায় ৪০ জন পাকসেনা ও রাজাকার হতাহত হয়। একঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ অবস্থান পরিত্যাগ করে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সুবেদার মেবোসসারুল ইসলামের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল চারঘাট থানার মীরগঞ্জ বি-ও-পি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত আক্রমণে বি-ও-পি তে অবস্থানরত সকল পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, জনগণ চায় পিপলস পার্টির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হোক। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বেআইনী ঘোষিত হবার পর তাঁর দলই এখন কেবল পাকিস্তানের বৃহত্তম দল নয়, জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গফরগাঁও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজাকার বাহিনীতে দশ দিনের সশস্ত্র প্রশিক্ষণ শেষ করে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাবেক মন্ত্রী আজমল আলী চৌধুরী সিলেটে বলেন, সিলেট রেফারেন্ডামের মাধ্যমে পাকিস্তানে যোগদান করেছে। কাজেই পাকিস্তানবিরোধী হিন্দুস্তানী চক্রান্ত নস্যাৎ করে পাকিস্তানের অখন্ডতা বজায় রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার প্রতিবেদন :</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> সাতক্ষীরায় মুক্তিবাহিনী সীমান্ত এলাকার দুইটি পাকঘাঁটি দখল করিয়া বাংলাদেশের পতাকা উড়াইয়া দিয়াছে। ঘাঁটি দুটি হইল-কাকডাঙ্গা ও বৈকারী। এখান হইতে মুক্তিবাহিনী প্রচুর পরিমাণে অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করিতে সক্ষম হয়।</blockquote> </div> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রচারিত নিয়মিত কথিকা ‘সংবাদ পর্যালোচনা’ :</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> লন্ডনের ‘ডেইলী টেলিগ্রাফ’ পত্রিকার এক খবরে বলা হয়েছে যে, পশ্চিম পাকিস্তানি জঙ্গীশাহীর সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা পন্থা স্থির করার উদ্দেশ্যে ইসলামাবাদ ও তেহরানে গোপনে গোপনে জোর কুটনৈতিক তৎপরতা চলছে। এই তৎপরতার নায়ক ইরান। আর এর পেছনে সমর্থন রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার। খবরে আরো বলা হয়েছে যে, পশ্চিম পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের সেক্রেটারী ইতিমধ্যেই তেহরান গিয়ে পৌঁছেছেন। সেখানে ইরানের উদ্যোগে তার সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের গোপন সাক্ষাৎকারের আয়োজন হবে।</blockquote> </div> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমণের মুখে জল্লাদ ইয়াহিয়ার ভারাটিয়া বাহিনী আজ দিশাহারা। প্রতিদিন ওরা মরছে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে।আর সেই শুন্য স্থান পূর্ণ করতে মাত্র কয়দিন আগে নতুন করে এক ডিভিশন সৈন্য আমদানী করা হয়েছে বাংলাদেশে। আমেরিকা থেকে প্রচুর অস্ত্র আসছে, চীন থেকে সামরিক সরঞ্জাম আসছে, মার্কিন বিশেষজ্ঞ এসেছে। এমন কি জর্দান থেকে ও লোক ভাড়া করে আনা হয়েছে বাংলাদেশের বীর যোদ্ধাদের মোকাবেলা করার জন্য। কিন্তু তবু অবস্থার উন্নতি হয়নি-পায়ের তলা থেকে দ্রুত মাটি সরে যাচ্ছে ইয়াহিয়ার। তবু শেষ চেষ্টা করছে সে। শেখ মুজিবকে ফিরিয়ে দিয়ে হলেও যদি বাংলাদেশকে পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে রাখা যায়, সেটাই তার শেষ চেষ্টা। হতে পারে, এই উদ্দেশ্যেই চলেছে তেহরানে গোপন কুটনৈতিক তৎপরতা। আবার এমনও হতে পারে যে, এই তৎপরতা নতুন কোন জালিয়াতি, কোন দুরভিসন্ধি হাসিলের জঘন্য ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।</div> </blockquote> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ আগস্ট, ১৯৭১

২২ আগস্ট, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকসেনাদের একটি দলকে সোনাগাজীর রাস্তায় এন্টি-ট্যাঙ্ক মাইন পেতে এ্যামবুশ করে। মাই...

Read more »

যদি রাত পোহালে শোনা যেত

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJYDPVmJc84ytOnx1o0DF2Ck2v78tFUKzo6zV3x7HwC3alSat2tHw78LXvOAjJAVT9VMH2L-c5DPAjzJkGydV9BByfBnXHQHlWmH9OJI4drs4qrII42fZv0cKHD7KsiFkE2uyWZxoyq6w/s1600/jg.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhJYDPVmJc84ytOnx1o0DF2Ck2v78tFUKzo6zV3x7HwC3alSat2tHw78LXvOAjJAVT9VMH2L-c5DPAjzJkGydV9BByfBnXHQHlWmH9OJI4drs4qrII42fZv0cKHD7KsiFkE2uyWZxoyq6w/s640/jg.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"> </td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা জনপ্রিয় একটি গান 'যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই'। চলুন জেনে নিই গানটি নিয়ে এর গীতিকার হাসান মতিউর রহমান এবং সুরকার ও প্রথম কন্ঠশিল্পী মলয় কুমার গাঙ্গুলির কথা।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> হাসান মতিউর রহমান </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৯৯০ সালের কথা। আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। সম্মেলনে পরিবেশনের জন্য বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে দুটি গানের পরিকল্পনা করা হয়। আমার করা ‘আমি বন্দি কারাগারে’সহ কয়েকটি গান তখন বেশ জনপ্রিয়। আওয়ামী লীগের এক নেতা আমাকে বলেন, আমি যেন মলয় কুমার গাঙ্গুলীর সঙ্গে যোগাযোগ করি। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের পর রাতে গানটি লিখতে বসি। অনেক ভেবেও কোনো লাইন পাচ্ছিলাম না। ঠিক আজানের আগে একটা প্লট পেলাম। মনে হলো রাত তো শেষ হয়ে যাচ্ছে। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই!’ সঙ্গে যোগ করলাম, ‘যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো বন্ধবন্ধুর মুক্তি চাই!’ এতে কল্পনায় বঙ্গবন্ধুকে যেমন বাঁচিয়ে রাখা হচ্ছে, তেমনি জেল থেকে তাঁকে মুক্ত করার কথা বলা হচ্ছে। এরপর পুরো গানটা শেষ করি। সকাল ১০টায় মলয় কুমার গাঙ্গুলীর কাছে নিয়ে যাই। লেখাটা পড়ে তিনি বলেন, ‘অসাধারণ হয়েছে। চলেন দুজন মিলে সুর নিয়ে বসে যাই।’ লেখার সময় সুরের একটা আইডিয়াও মাথায় ছিল। সেটা শেয়ার করার পর তাঁর জন্য কাজটা আরো সহজ হয়ে যায়। সম্মেলনে গানটি তিনি লাইভ পরিবেশন করেন। শেখ হাসিনাসহ উপস্থিত সবার বেশ প্রশংসাও কুড়ান। তবে গানটি আলোচনায় আসে ১৯৯১ সালে। নির্বাচনের সময় এই গানের সঙ্গে আরো কিছু গান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ ‘জনতার নৌকা’ নামে একটি অ্যালবাম বের করি আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চেনাসুর থেকে। এক দিনেই সারা দেশে ছড়িয়ে যায় গানটি। ক্যাসেটটি কেনার জন্য মানুষ মারামারি পর্যন্ত করেছে। ভেরিয়েশনের জন্য ১৯৯৭ সালে গানটি সাবিনা ইয়াসমীনকে দিয়ে আবার গাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন নেত্রী। তাঁর সঙ্গে জীবনে যতবার দেখা হয়েছে ততবারই গানটির প্রশংসা করেছেন। বঙ্গবন্ধুভক্ত অসংখ্য মানুষের ভালোবাসাও পেয়েছি।</div> <div style="text-align: justify;"> [অনুলিখন: রবিউল ইসলাম জীবন, কালের কন্ঠ] </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> মলয় কুমার গাঙ্গুলী: </div> <div style="text-align: justify;"> বাঙালি সত্তার অধিকারের জন্য, একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠার জন্য, একটি দেশের জন্মের জন্য আমরা সৈনিক হয়েছিলাম, আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। এই যুদ্ধ একদিনে হয়নি। অনেক ত্যাগ, আন্দোলন, সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম, পূর্ণাঙ্গ একটি যুদ্ধে রূপলাভ করে। সেই যুদ্ধকালীন সময়ে আমি একজন শব্দসৈনিক হিসেবে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কাজ করেছি। অর্থাৎ যুদ্ধে অবধারিত মৃত্যু জেনেও আমি যুদ্ধে গিয়েছিলাম। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে আমরা যারা কাজ করেছি তাদের মধ্যে কোন ভয়-ভীতি কাজ করেনি। শুধু একটি লক্ষ্য ছিলো, এ যুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে এবং স্বাধীনতা অজির্ত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে। স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে, বাংলাদেশ নামে একটি দেশের জন্ম হয়েছে, আমি সেই দেশের প্রতিষ্ঠায় নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি -এটাই আমার অনুভূতি। এই সম্পৃক্ততার মধ্যে যে ভালো লাগা সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না এবং এটাই আমার সবচেয়ে বড় পাওয়া।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর আমার ভেতর প্রচন্ড জ্বালা-যন্ত্রণা হচ্ছিল। এ কথা সত্য যে, বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কোন ধরনের প্রতিবাদ চোখে পড়েনি। কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি, প্রতিবাদ করতে দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর আমার ভেতর এক ধরনের তীব্র যন্ত্রণা কাজ করতো, সেই যন্ত্রণারই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে- ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেত বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ এই সঙ্গীত। কারণ সে দিনের ঘটনায় বঙ্গবন্ধু যদি বেঁচে যেতেন তাহলে তিনি বিশ্ব নেতা হতেন - এটা আমার কল্পনায় এসেছে। আর আমরা আমাদের জাতির পিতাকে ফিরে পেতাম এবং আমাদের জাতির ভাগ্য অনেক রকম অপূর্ণতায় না থেকে পূর্ণতা লাভ করতো।এই গানটি আমি সুর করেছি এবং আমি নিজে গেয়েছি। লিখেছেন হাসান মতিউর রহমান। গানটি লেখার জন্য আমি তাকে অনুপাণিত করেছি এবং বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাকে ধারণা দিয়েছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে জাতির পিতার নির্মম হত্যাকা-ের বিরুদ্ধে আমার এ গান প্রতিবাদের ভাষাস্বরূপ প্রতিধ্বনিত হবে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার যতদিন পর্যন্ত সুসম্পন্ন না হবে ততদিন পর্যন্ত আমি এ গান গেয়ে যাব।</div> <div style="text-align: justify;"> সুত্রঃ সময়ের বিবর্তন </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যদি রাত পোহালে শোনা যেত </div> <div style="text-align: justify;"> কথা : হাসান মতিউর রহমান </div> <div style="text-align: justify;"> সুর ও কণ্ঠ : মলয় কুমার গাঙ্গুলী </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যদি রাত পোহালে শোনা যেত </div> <div style="text-align: justify;"> বঙ্গবন্ধু মরে নাই </div> <div style="text-align: justify;"> যদি রাজপথে আবার মিছিল হতো </div> <div style="text-align: justify;"> বঙ্গবন্ধুর মুক্তি চাই, মুক্তি চাই, মুক্তি চাই </div> <div style="text-align: justify;"> তবে বিশ্ব পেত এক মহান নেতা </div> <div style="text-align: justify;"> আমরা পেতাম ফিরে জাতির পিতা </div> <div style="text-align: justify;"> যদি রাত পোহালে শোনা যেত </div> <div style="text-align: justify;"> বঙ্গবন্ধু মরে নাই </div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> যে মানুষ ভীরু কাপুরুষের মতো </div> <div style="text-align: justify;"> করেনি তো কখনো মাথা নত </div> <div style="text-align: justify;"> এনে দিলে হায়েনার ছোবল থেকে </div> <div style="text-align: justify;"> আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা -</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> কে আছে বাঙালি তাঁর সমতুল্য </div> <div style="text-align: justify;"> ইতিহাস একদিন দেবে তাঁর মূল্য </div> <div style="text-align: justify;"> সত্যকে মিথ্যার আড়াল করে </div> <div style="text-align: justify;"> যায় কি রাখা কখনো তা -</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> দেখুনঃ</div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> <iframe width="320" height="266" class="YOUTUBE-iframe-video" data-thumbnail-src="https://i.ytimg.com/vi/_QzmTvettoA/0.jpg" src="https://www.youtube.com/embed/_QzmTvettoA?feature=player_embedded" frameborder="0" allowfullscreen></iframe></div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> </div>

যদি রাত পোহালে শোনা যেত

  বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা জনপ্রিয় একটি গান 'যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই'। চলুন জেনে নিই গানটি নিয়ে এর গীতিকার হাস...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৪ আগস্ট, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকহানাদারদের একটি দল ঘোড়াশালের কাছে ঝিনারদি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি গ্রামে লুটতরাজ করতে এলে মুক্তিবাহিনীর একদল গেরিলা যোদ্ধা তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা প্রায় তিনঘন্টা যুদ্ধের পর দুটি মৃতদেহ ও কয়েকটি আহত সৈন্যকে ফেলে নরসিংদির দিকে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কোম্পানীগঞ্জ থানার বসুরহাটের কাছে পাকমিলিশিয়াদের ওপর এ্যামবুশ করে। এতে একটি টয়োটা জীপ সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়এবং ৩০ জন মিলিশিয়া হতাহত হয়। এই সংঘর্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা সিপাই নুরুন্নবী মারাত্মকভাবে আহত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মহাদেবপুর থানার হাপুনিয়া মহাসড়কে মুক্তিবাহিনীর পুঁতে রাখা একটি শক্তিশালী ডিনামাইটের বিস্ফোরণে হানাদার বাহিনীর একটি জীপ ধ্বংস হয়। এতে পাকহানাদারদের ৫ জন সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরের মেহেদিপুর সাব-সেক্টরে সুবেদার মেজর মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকহানাদারদের কানসাট অবস্থানের ওপর মর্টার আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে কয়েকজন পাকসেনা হতাহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইলিয়াসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল মীরেরশ্বরাই হয়ে চট্টগ্রাম শহরে আসার পথে মিয়াজান ঘাটে পাকসেনাদের সাথে সরাসরি যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে ৫ জন পাকসেনা নিহত হয় ও অনেক আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজ অবস্থানে চলে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর মাঝিগাছা অবস্থানের ওপর আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনীর এই সফল আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত হয় ও অনেক আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে এম ভি হরমুজ ৯,৯১০ মেট্রিক টন সমর-সম্ভার, এম বি আল আব্বাস ১০,৪১০ টন সামরিক সরঞ্জাম ও ওরিয়েন্ট বার্জ ২৭৬ টন অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদসহ যথাক্রমে ১৩,১২ ও মংলা বন্দরের জেটিতে অবস্থান করে। বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাহাজ তিনটিতে লিমপেট মাইন লাগিয়ে নিঃশব্দে নদীর ভাটিতে ভেসে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। পরে একের পর এক মাইন বিস্ফোরণে জাহাজ তিনটিসহ পার্শ্ববর্তী অনেক জাহাজ বিধ্বস্ত হয় এবং পানিতে ডুবে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির উদ্যোগে ঢাকায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রাদেশিক জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম বলেন, এবার শুধু তারাই স্বাধীনতা দিবস পালন করছে যারা পাকিস্তানকে প্রাণের চেয়েও বেশী ভালবাসে। তিনি বলেন, পাকিস্তানের ঘরে-বাইরে শত্রুর অভাব নেই। তবু একথা একশ ভাগ সত্য, পাকিস্তান টিকে থাকার জন্যই প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা পাকিস্তানকে অখন্ড রাখার জন্য সংগ্রাম করছি। এদেশ টিকে না থাকলে আমাদের মুসলমান হিসেবে টিকে থাকা মুশকিল হবে।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ আগস্ট, ১৯৭১

১৪ আগস্ট, ১৯৭১ পাকহানাদারদের একটি দল ঘোড়াশালের কাছে ঝিনারদি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে একটি গ্রামে লুটতরাজ করতে এলে মুক্তিবাহিনীর একদল গেরি...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৩ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাক বিমানবাহিনীর একটি জীপকে ডেমরার কাছে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে জীপটি ধ্বংস হয় এবং ৪ জন পাক বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সৈনিক নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের কাছ থেকে অনেক মূল্যবান কাগজপত্র, পরিচয়পত্র ও কয়েকটি রিভলবার দখল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর একটি গেরিলাদল ঘোড়াশালের কাছে পাকবাহিনীর ঝিনারদি অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। আড়াই ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধে একজন পাকসেনা নিহত হয় ও ১৫ জন গেরিলাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এ অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের ক্যাম্প থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র,রসদ ও অন্যান্য জিনিসপত্র দখল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ভুরঙ্গামারী বাজার ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণ অল্পক্ষণের মধ্যেই প্রচন্ড সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে পাকবাহিনী ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ইপিআর সিপাহী কবির আহমদ শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের কিছু হলে সারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভংঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। পাকিস্তান সরকারের কোন অধিকার নেই বঙ্গবন্ধুর বিচার অনুষ্ঠানের। তিনি এ ব্যাপারে বিশ্বশক্তিবর্গের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘ মহাসচিব উ’ থান্ট বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার প্রসঙ্গে জাতিসংঘ সনদে উল্লিখিত মানবিক বিষয়ের পরিপন্থী মন্তব্য করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানের মামলা সম্পর্কে কোনো আইনগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ পাকিস্তান সীমান্তের বাইরে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করবে। কেননা, তাঁর বিচার প্রসঙ্গটি মানবিক উদ্বেগের সীমা ছাড়িয়ে গেছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি পশ্চিমবঙ্গে শরণার্থী শিবিরসমূহ পরিদর্শন শেষে নয়াদিল্লী পৌঁছান এবং ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি.ভি গিরির সাথে বৈঠকে মিলিত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা শহর শান্তি কমিটির আহ্বায়ক সিরাজউদ্দিন বলেন, "দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দলে দলে মানুষ রাজাকারে যোগ দিচ্ছে। রাজাকাররা দেশ থেকে দুষ্কৃতকারীদের উৎখাত করবেই।"</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুরের সামরিক কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে শান্তি কমিটি ও রাজাকারদের সমম্বয়ে একটি মিছিল শহর প্রদক্ষিণ করে। সামরিক কর্তৃপক্ষ আগামীকাল রাজাকার ও পুলিশের র‌্যালী এবং প্যারেড অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সকল সরকারী কর্মচারীদের নির্দেশ দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত জেবুন্নাহার আইভি রচিত ‘কথিকা’ :</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <blockquote class="tr_bq"> ২৪ বছর আগেকার দিনটির কথা। সেদিন কী উজ্জ্বল ছিল বাংলাদেশ, আর প্রাণদৃপ্ত ছিল বাংলার মানুষ।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> আমরা স্বাধীন হয়েছি, এবার আমাদের দুঃখ ঘুচবে। বিদেশী শাসন, জমিদারের অত্যাচার, মহাজনের শোষন আর সামাজিক অসাম্যের হাত থেকে রেহাই পাবে বাংলার মানুষ। সারাদেশের মানুষ অন্তরের সবটুকু ভালবাসা দিয়ে বরণ করে নিল ১৪ আগস্টের ভোরের লগ্নটি।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> বাংলার মানুষ তাদের ন্যায় সঙ্গত প্রত্যাশা নিয়ে প্রতিবছর ১৪ আগস্টের ভোরে ঘুম থেকে জেগে উঠেছে। কিন্তু প্রতিবারই ভুল ভেঙ্গে গেছে বাংলার মানুষের। বিদেশী শাসনের পরিবর্তে তার ঘাড়ে চেপে বসলো পশ্চিম পাকিস্তানি শাসন। তীব্রতর হলো শোষণ।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> বাংলার বীর সন্তানেরা ১৯৫০ সালে রাজশাহী জেলে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়, ১৯৫২ সালে ভাষার দাবীতে, ১৯৬৬ সালে ছয়দফা প্রতিষ্ঠায় এবং ১৯৬৯ সালে বাংলার স্বাধীকারের দাবীতে, গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার দাবীতে, প্রাণাপেক্ষা প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির দাবীতে বুকের তাজা রক্তে বাংলার শ্যামল মাটি লালে লাল করে দিয়েছে।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> প্রতিবারই বর্বররা বাংলার সংগ্রামী জনতার প্রতিরোধের সম্মুখে পিছু হটে চুড়ান্ত আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছে। তারপর তারা চুড়ান্ত আক্রমণ পরিচালনা করলো ২৫ মার্চের গভীর রাতে।</blockquote> <blockquote class="tr_bq"> বাংলায় আজ রক্তের স্রোত বইছে। ঘরে-ঘরে মাঠে-মাঠে রাজপথে জমাট বাঁধা রক্ত। তাই আজ স্বাধীন বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে শেকল ছেঁড়া বাংলার মানুষ অতীতের অপমান আর গ্লানি ভরা দিনগুলোকে স্মরণ করছে প্রচন্ড ঘৃণার সাথে।</blockquote> </div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ আগস্ট, ১৯৭১

১৩ আগস্ট, ১৯৭১ ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাক বিমানবাহিনীর একটি জীপকে ডেমরার কাছে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে জীপটি ধ্বংস হয় এবং ৪...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১২ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান মুজিবনগরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এখন কেবল মুক্তিফৌজ ও দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই লড়াই এখন জনযুদ্ধে পরিণত হয়েছে। দেশবাসী হানাদারদের বিতাড়িত করে স্বদেশ ভূমিকে মুক্ত করতে বদ্ধপরিকর।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর পোটখালী বি ও পি ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকহানাদার সৈন্যরা পোটখালী বি ও পি অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা পোটখালী বি ও পি দখল করে সেখানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ স্থাপন করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকনেভী সুন্দরবনের ভিতরে মুক্তিবাহিনী লাওতাড়া ঘাঁটির ওপর দু'দিক থেকে আক্রমণ চালায়। পাকহানাদারদের এ আক্রমণে মুক্তিবাহিনী পিছু হটে খুলনা জেলার আশাসুনি থানার বড়দল ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কাদের সিদ্দিকীর নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা হাবিবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল যমুনা নদীতে হানাদারদেও অস্ত্র বোঝাই ৭টি জাহাজের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে জাহাজগুলো বালুচরে আটকে যায় এবং ১৪/১৫ জন খানসেনা নিহত হয় ও অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। জাহাজের লগবুগ ও মুভমেন্ট অর্ডারের হিসাব অনুসারে জাহাজগুলোতে এক লাখ কুড়ি হাজার বক্সে একুশ কোটি টাকার নানা ধরনের চাইনিজ, বৃটিশ ও মার্কিন অস্ত্রশস্ত্রের হিসেব পাওয়া যায়। মুক্তিযোদ্ধারা এ থেকে প্রচুর পরিমান অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করে এবং নেয়া সম্ভব নয় এরূপ প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ জ্বালিয়ে দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার সম্পর্কে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের ওপর প্রভাব বিস্তারের জন্য জাতিসংঘ মহাসচিব ও ২৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতি আবেদন জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লন্ডনে পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী বৃটিশ মন্ত্রীদের সাথে সাক্ষাৎকালে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ বর্তমানে যেসব অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে, তা সেনাবাহিনীর সৃষ্ট নয়। এর জন্য দায়ী সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী (মুক্তিযোদ্ধা)।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা শহর শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ সিরাজউদ্দিন ও সেক্রেটারী মোহাম্মদ মনসুর আলী প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথাযথভাবে আজাদী দিবস পালনের আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অবশ্যই আমাদেরকে দুষ্কৃতকারী ও বিছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে দেশের আদর্শ ও অখন্ডতা রক্ষার জন্যে নতুন করে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুগান্তর পত্রিকার প্রতিবেদন: মুক্তিবাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে জঙ্গীশাহী ও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত বরাবর সেনাসজ্জা তৎপরতা বাড়িয়ে তুলেছে। পাক জঙ্গীবাহিনী সীমান্তের ষাটটি চৌকিতে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করেছে। কিন্তু সেনাকমান্ডের নির্দেশ সত্ত্বেও ভারত নদী, জলপথ, পাহাড় দিয়ে বিস্তৃত ২৭০টি সীমান্ত ফাঁড়ির ওপর সফল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে এখনো সফল হয়নি। মুক্তিবাহিনী সমগ্র সীমান্ত বরাবর বাংলাদেশের পঞ্চাশ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত নিজ নিয়ন্ত্রণে এনেছে এবং নানা অঞ্চলে অনেকখানি অভ্যন্তরে ও ঢুকে পড়েছে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ আগস্ট, ১৯৭১

১২ আগস্ট, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান মুজিবনগরে বলেন, মুক্তিযুদ্ধ এখন কেবল মুক্তিফৌজ ও দখলদার পাকি...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১১ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা সড়কে রসুল গ্রামের কাছে একটি রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ২০ জন রাজাকার নিহত হয় ও ৩০ জন বন্দী হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজের অবস্থানে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরের মেহেদিপুর সাব-সেক্টরে সুবেদার মেজর মজিদের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কলাবাড়ি অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে দেড় ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। অবশেষে পাকসেনারা কলাবাড়ি অবস্থান ত্যাগ করে নদী পেড়িয়ে কনসাটে চলে যেতে বাধ্য হয়। কলাবাড়ি মুক্তিবাহিনীর পূর্ণদখলে চলে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মেজর এম.এ. মঞ্জুর ৮নং সেক্টরের কমান্ডার পদে মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর স্থলাভিষিক্ত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর দুঃসাহসী গেরিলা যোদ্ধারা ঢাকার বিলাসবহুল হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে টাইম বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে আমেরিকার টাইমস্ পত্রিকার সংবাদদাতাসহ ২০ জন খানসেনা গুরুতররূপে আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়াতে ইসলামীর প্রাদেশিক আমীর গোলাম আজম এক বিবৃতিতে বলেন, "তথাকথিত বাংলাদেশ আন্দোলনের সমর্থকরা ইসলামের দুশমন। তারা ইতিমধ্যে বহু ঈমানদার ও দেশপ্রেমিককে হত্যা করেছে।" তিনি আরো বলেন, "দু'একজন নেতাকে হত্যা করে পূর্ব পাকিস্তানে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।"</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর টিক্কা খান ডা.এ.এম. মালিক ও জাতিসংঘের উদ্বাস্তু কমিশনের প্রতিনিধি জন কেলীসহ রংপুর-দিনাজপুর এলাকা সফর করেন। রংপুর শান্তি কমিটির বৈঠকে টিক্কা খান রাজাকারদের কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, "রাজাকাররা না থাকলে দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হতো না।"</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার ২৫ মাইল দূরে আড়াই খোলার কাছে পাকবাহিনীর সহযোগী রাজাকাররা এক নৌকা অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদসহ একজন মুক্তিযোদ্ধাকে গ্রেফতার করে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ আগস্ট, ১৯৭১

১১ আগস্ট, ১৯৭১ মেজর সালেকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা সড়কে রসুল গ্রামের কাছে একটি রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ১০ আগস্ট, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে ক্যাপ্টেন রবের নেতৃত্বে পাঁচ কোম্পানী যোদ্ধা পাকবাহিনীর শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। প্রায় দু‘ঘন্টা যুদ্ধ শেষে মুক্তিবাহিনী শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশনের একটি বড় অংশ নিয়ন্ত্রন করে এবং দখলকৃত এলাকায় পাকিস্তানি পতাকা ধবংস করে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। এ পর্যায়ে হঠাৎ পাকসেনারা আর্টিলারি আক্রমণ চালায়। পাকবাহিনীর এ পাল্টা আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে এবং পিছু হটে। এই যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করলেও ইপিআর হাবিলদার কুতুব, নায়েক মান্নান ও মুজাহিদ হাবিলদার মোহাম্মদ ফয়েজসহ ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ৫ জন আহত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৪নং সেক্টরের ডাউকি সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদার বাহিনীর সহযোগী রাজাকারদের চতুলবাজার ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে ৩ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয় ও ২ জন নিহত হয়। অভিযান শেষে মুক্তিযোদ্ধা দল কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন সালেক এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে শালদা নদীর পশ্চিমে কমিল্লা সি এন্ড বি রোডের কাছে শিদলাই নামক গ্রামে ঘাঁটি স্থাপন করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়ম রজার্স বাংলাদেশ প্রশ্নে পাকিস্তান-ভারত পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ সদর দফতরে মহাসচিব উ'থান্টের সাথে আলোচনা করেন। চার ঘন্টা ব্যাপী এ বৈঠকে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জর্জ বুশও উপস্থিত ছিলেন।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ আগস্ট, ১৯৭১

১০ আগস্ট, ১৯৭১ সিলেটে ক্যাপ্টেন রবের নেতৃত্বে পাঁচ কোম্পানী যোদ্ধা পাকবাহিনীর শাহবাজপুর রেলওয়ে স্টেশন অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। প্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৯ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরের পানিয়ারুপ নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী হানাদার সেনাদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ১৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। এ্যামবুশ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বগুড়া জেলার সাবগ্রামে গেরিলা বাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাক হানাদার বাহিনী চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমার শিবগঞ্জ থানায় মুক্তিবাহিনীর কালিবাড়ী অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীকে প্রচুর ক্ষতি স্বীকার করে কালিবাড়ী অবস্থান ত্যাগ করতে হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিরোজপুরে মুক্তিবাহিনী কাউখালি থানা আক্রমণ করে। এই অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা কাউখালি থানা ও প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে প্রদান সামরিক আইন প্রশাসকের সদও দফতর থেকে ঘোষণা করা হয়: পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ও অন্যান্য অভিযোগে বিশেষ সামরিক আদালতে বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার করা হবে। আগামী ১১ আগস্ট বিচার শুরু হবে। বিচারের বিবরণ গোপন রাখা হবে। অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থন ও আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেয়া হবে। তবে আইনজীবীকে পাকিস্তানি নাগরিক হতে হবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কনভেনশন মুসলিম লীগ সেক্রেটারী জেনারেল মালিক মোহাম্মদ কাসেম তিন মুসলিম লীগকে একত্রীভূত করার লক্ষ্যে আলোচনার জন্য ঢাকা আসেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জন কিং বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার করা হবে বলে প্রথম যে খবর বের হয় সে সময় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মতামত পাকিস্তান সরকারকে জানিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, মানবিক কারণে আমাদের উদ্বেগ পাকিস্তান সরকারের কাছে প্রকাশ করেছি। শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ মুহুর্তে ব্যবস্থা গ্রহণ পূর্ব পাকিস্তানে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনার ওপর প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে বলে আমরা উল্লেখ করেছি।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাঙ্গাইল জেলা শান্তি কমিটির চেযারম্যান হাকিম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি বিন্দুবাসিনী স্কুল মাঠে একত্র হয়। সভায় জেলা শান্তি কমিটির সেক্রেটারী আবদুল খালেক সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে শত্রুর মোকাবেলা করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ভারতীয় ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়েই পাকিস্তানবিরোধী ধ্বনির উৎপত্তি হয়েছিলো। এই ধ্বনির মাধ্যমেই ভারত এদেশের সরলপ্রাণ জনসাধারণের মধ্যে বিদ্বেষের বীজ বপন করতে চেষ্টা করে। বর্তমানে তারা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য প্রচারণায় মেতে উঠেছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সাপ্তাহিক জয়বাংলা পত্রিকার প্রতিবেদন: সিলেট জেলার উত্তরপূর্ব এলাকায় শাহবাজপুরে মুক্তিবাহিনীর সাফল্যজনক আক্রমণে ৫০ জন পাকসৈন্য খতম হয়েছে। গেরিলা যোদ্ধারা ৪ জন পাকিস্তানি সৈন্যকে জীবন্ত অবস্থায় আটক করতে সক্ষম হয়েছে। যশোরের নাভারন এলাকায় গেরিলা যোদ্ধারা রাজাকারদের ওপর এক অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৯৩ জন শত্রু নিহত ও বহু আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের খবর: সিলেটের লাতু অঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধাদের সাথে হানাদার পাকিস্তানি সৈন্যদের আট ঘন্টাব্যাপী প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধারা জীবনপণ করে হানাদার শত্রুদের ওপর প্রবল আক্রমণ চালায় এবং ৫৫ জন হানাদারকে খতম করে ও ৬৫ জনকে গুরুতর আহত করে। সংঘর্ষে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। রংপুরের চিলমারি থানার ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে গেরিলারা একজন অফিসারসহ ৫ জন পশ্চিম পাকিস্তানি পুলিশকে গুলি করে হত্যা করে। ঝিকরগাছার পুলিয়ানি গ্রামে হানাদার সৈন্যরা লুটপাট করতে গেলে একজন মুক্তিযোদ্ধা একটি বাগান থেকে গ্রেনেড দিয়ে আক্রমণ চালিয়ে একজন হানাদারকে খতম করে। স্বাধীনতাকামী যোদ্ধারা হালকা মেশিনগান ও রাইফেল দিয়ে অন্য একটি আক্রমণে ৩ জন শত্রু সৈন্যকে হতাহত করে। হানাদার সৈন্যরা এর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য উক্ত গ্রামে লুটপাট ও নির্যাতন চালাতে থাকে। গেরিলা যোদ্ধারা পুনরায় আক্রমণ চালিয়ে ২ জনকে খতম ও ২ জনকে আহত করে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ আগস্ট, ১৯৭১

০৯ আগস্ট, ১৯৭১ ২নং সেক্টরের পানিয়ারুপ নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী হানাদার সেনাদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ১৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। এ্যা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৮ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর জীবন নাশের প্রহসনমূলক বিচার অনুষ্ঠান থেকে বিরত না হলে এর দায়ভাগ ইয়াহিয়াকে বহন করতে হবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সৈয়দ নজরুল ইসলাম অবিলম্বে বাংলাদেশের নেতার প্রহসনমূলক বিচার বন্ধের উদ্দেশ্যে ইয়াহিয়া খানের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতীয় লোকসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক সামরিক আদালতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির বিচার অনুষ্ঠানের ঘোষণায় ভারত সরকারের উদ্বেগ ও ক্ষোভের কথা জানান। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বনেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঁদ্রে গ্রোমিকো বাংলাদেশ প্রশ্ন আলোচনার জন্য বিশেষ সফরে নয়াদিল্লীতে আসেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হামিদুল হক চৌধুরী ও পিডিপি নেতা মাহমুদ আলী লন্ডনে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারকে স্বীকৃতি দানের ব্যাপারে ভারতকে নিবৃত্ত করার জন্য সোভিয়েত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঁদ্রে গ্রোমিকোর প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা শহর শান্তি কমিটির সভায় ঢাকা শহর জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার বলেন, "পাকিস্তান টিকে থাকার জন্যে জন্ম লাভ করেছে এবং চিরদিন টিকে থাকবে। আমরা বর্তমান দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সময়োচিত হস্তক্ষেপে সমস্যা কাটিয়ে উঠেছি।"</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খুলনার রাজাকার বাহিনীর ব্যাপক হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। তেরখাদা থানার রাজাকাররা ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে ও অনেককে আহত করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের গোপালগঞ্জ থানার রাজাকার ও শান্তি কমিটির সদস্যদের অমানুষিক অত্যাচারে একজন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদৎ বরণ করেন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ আগস্ট, ১৯৭১

০৮ আগস্ট, ১৯৭১ বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </div> <b>০৭ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরের গেরিলা প্রধান আহসান হাবিব এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল বগুড়া জেলার সাবগ্রামে হানাদারদের একটি মিলিটারী লরী এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে লরীটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং ৩ জন পাকসেনা নিহত ও একজন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা জুয়েল, বদিউজ্জামান, আলম, পুলু, স্বপন ও সামাদ ফার্মগেটের মিলিটারী চেকপোস্টের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর এ অভিযানে পাঁচজন মিলিটারী পুলিশ ও তাদের সহযোগী ছয়জন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে পাকিস্তান কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ সংক্রান্ত শ্বেতপত্রের বিবরণ মিথ্যার বেসাতি বলে মন্তব্য করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দলত্যাগী সৈনিক ও বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহীরা ভারতের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় প্রকাশ্য আক্রমণ শুরু করেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম কুষ্টিয়ায় শান্তি কমিটির এক সভায় বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান ভারতের সাথে মৈত্রী স্থাপন করে জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিব ও তার ভারতপন্থী আওয়ামী লীগ সদস্যদের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বীর জওয়ানরা যথা সময়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে জনগণের দুর্ভোগের সীমা থাকতো না। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার এবং রাষ্ট্রবিরোধীদের দমনে শান্তি কমিটি, রাজাকার মুজাহিদ বাহিনী ও সেনাবাহিনীর সাথে সহযোগীতা করার জন্য জামায়াত কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নেত্রকোনায় বাংলা প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গণে শান্তি কমিটির নেতা ফারুক আহমদ এক সভায় বলেন, 'পাকিস্তান টিকে না থাকলে মুসলমানদের ধর্ম, কৃষ্টি, তাহজীব-তমদ্দুন, ইজ্জত কিছুই রক্ষা হবে না। ২৪ বছর পূর্বে এ দেশের মুসলমানরা যেমন অধিকার বঞ্চিত ও অবহেলিত ছিলো, ঠিক তেমনি অধিকারহীন হয়ে হিন্দুদের গোলামে পরিণত হবে। আর এ জন্যেই শেখ মুজিব ও তার বাহিনী চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।'</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ আগস্ট, ১৯৭১

০৭ আগস্ট, ১৯৭১ ৭নং সেক্টরের গেরিলা প্রধান আহসান হাবিব এর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল বগুড়া জেলার সাবগ্রামে হানাদারদের একটি মিলিটারী...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"> </td></tr> </tbody></table> <b>০৬ আগস্ট, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রায়পুরের কাছে পাকিস্তানি রেঞ্জার ও রাজাকারদের এল.এম. হাইস্কুল শিবির আক্রমণ করে। এ অভিযানে ৯ জন পাকিস্তানি রেঞ্জার হতাহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।</li> </ul> <ul> <li>ময়মনসিংহে ছাত্রনেতা হাশেম মামুদ ও সুবেদার মেজর জিয়াউল হকের নেতৃত্বে দুই কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর বান্দরকাটা বি ও পি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে ৩০ জন পাকসেনা নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়। মুক্তিবাহিনীর ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করেন এবং ৯ জন আহত হন।</li> </ul> <ul> <li>মার্কিন সিনেটের উদ্বাস্তু বিষয়ক বিচার বিভাগীয় উপ-পরিষদের চেয়ারম্যান সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি বলেন, পাকিস্তানকে সামরিক সাহায্য দেয়ার ফলে উদ্বাস্তু সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের শরণার্থীদের সমস্যার প্রতি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বাস্তববর্জিত নীতি গ্রহণের জন্য তিনি নিক্সন প্রশাসনকে অভিযুক্ত করেন।</li> </ul> <ul> <li>বৃটিশ পার্লামেন্টে সাবেক মন্ত্রী জন স্টোনহাউস আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির জন্য চাপ দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হীথকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে আলোচনা করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, শেখ মুজিবকে মুক্তি দিলে পূর্ব পাকিস্তানের একটি রাজনৈতিক মীমাংসায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।</li> </ul> <ul> <li>ইসলামাবাদে জনৈক সরকারী মুখপাত্র বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে চীনা প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই এক পত্রে আশ্বাস দিয়েছেন, ভারত যদি পাকিস্তান আক্রমণ করে তা হলে চীন পাকিস্তানকে পূর্ণ সমর্থন দান করবে।</li> </ul> <ul> <li>ভারতের লোকসভার সাড়ে চার শ‘য়েরও বেশী সদস্য জাতিসংঘের মহাসচিব উ‘থান্টের কাছে লিখিত এক স্মারকলিপিতে পাকিস্তানের কারাগারে আটক বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের আসন্ন বিচার বন্ধ করার ব্যাপারে সাহায্যের আবেদন জানান। তাঁরা বাংলাদেশের নেতার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।</li> </ul> <ul> <li>সিলেটের শান্তি কমিটির নেতা মকবুর আলী চৌধুরী, শাহাবুদ্দিনসহ ৫ সদস্যের একটি দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান নূরুল আমিনের সঙ্গে দেখা করে কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করেন।</li> </ul> <ul> <li>শায়খে জামিয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জ শাখার প্রাক্তন সদস্য সচিব মওলানা আতাহার আলী পাকিস্তানের অখন্ডতা রক্ষায় ‘মুজাহিদ বাহিনী’তে সকল মাদ্রাসার ছাত্র, শিক্ষক ও পাকিস্তানের আর্দশে বিশ্বাসী ইসলাম প্রিয় যুবকদের যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ আগস্ট, ১৯৭১

  ০৬ আগস্ট, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রায়পুরের কাছে পাকিস্তানি রেঞ্জার ও রাজাকারদের এল.এম. হাইস্কুল শিবির আক্রমণ করে। এ অভি...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ০৫ আগস্ট, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ফুলবাড়ীয়া থানার রাঙ্গামাটি নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকহানাদারদের একটি গাড়ী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং ৩৫ জন পাকসেনা নিহত ও ১৭ জন গুরুতর আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী পাকহানাদারদের নয়নপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ অভিযানে বহু খানসেনা হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অভিযান শেষে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul> <li>কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর নাটুদহ কোম্পানী সদর দপ্তর আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাসান, আলাউল, ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রওশন আলম, তারিক, রবিউল, আফাজ উদ্দিন ও কেয়ামুদ্দিন শহীদ হন।</li> </ul> <ul> <li>মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ কর্তৃক পাকিস্তানে সামরিক সাহায্য প্রদান বন্ধ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ করায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।</li> </ul> <ul> <li>মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টুঙ্কু আব্দুর রহমান বাংলাদেশ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং-এর সাথে বৈঠকে মিলিত হন।</li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশ সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। শ্বেতপত্রে বলা হয়: পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের ২৫ দিনের অসহযোগ আন্দোলনের ফলে গুরুতরভাবে বিনষ্ট সরকারী কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারে সামরিক বাহিনীকে আদেশ দেয়া হয়েছিল। আরো বলা হয়, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্টপাকিস্তান রাইফেলস এবং আওয়ামী লীগের কর্মী বাহিনীর বিদ্রোহীরা সংগঠিত হয়ে সন্ত্রাসবাদী কায়দায় পাকিস্তানীদের নিধন করে। সশস্ত্র ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের সক্রিয় সাহায্যে আওয়ামী লীগ ২৬ মার্চ ভোরে সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যে তারা প্রদেশের প্রতিটি শহরে আক্রমণাত্মক তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু ২৫-২৬ মার্চ আঘাত হানার নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা আগেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী উদ্যোগ ব্যর্থ করে দেয়।</li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলা সেক্রেটারী মওলানা কাজী নজমুল হুদা সৈয়দপুর, নীলফামারী, ডোমরা, জলঢাকা, পীরগাছা ও গান্ধা এলাকা সফর করেন। সেখানকার রাজাকারদের কর্মতৎপরতা পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, জেলায় ৬ হাজারেরও বেশী রাজাকার সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।</li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর স্যার ফ্রেডারিক বোর্ন জানান, পাকিস্তানের সংহতির জন্যে প্রয়োজন ছিলো সামরিক হস্তক্ষেপের। তিনি আরো বলেন, "আমি আরও বিশ্বাস করি যে, পাকিস্তানের শত্রুরা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে সরল প্রাণ লোকদের বিপথে পরিচালিত করে এবং বিদেশী শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হয়।"</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ আগস্ট, ১৯৭১

০৫ আগস্ট, ১৯৭১ ফুলবাড়ীয়া থানার রাঙ্গামাটি নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকহানাদারদের এক...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৪ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনী নদীপথে তাহেরপুরের দিকে অগ্রসর হলে হাবিলদার শফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এ্যামবুশ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ১৮ জন পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনী বড়লেখা-বিয়ানীবাজার সড়কপথে চানগ্রাম বাজারের কাছে পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। প্রায় এক ঘন্টা যুদ্ধের পর ৭ জন পাকসেনা পালিয়ে যায় এবং পাকসেনা ল্যান্সনায়েক মামুন আনসারী মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে ধরা পড়ে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামালপুরে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদার বাহিনীর শক্ত ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর বিপুল অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ ও জানমালের ক্ষতি হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক শাসক ১৬২ নং সামরিক আদেশ জারি করে। এই আদেশ বলে নতুন করে ৬নং সামরিক সেক্টর গঠন করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গাইবান্ধায় খন্দকার আজিজুর রহমান ও রইসউদ্দীনকে যথাক্রমে আহ্বায়ক ও সম্পাদক করে ১৩ সদস্যবিশিষ্ট শান্তিকমিটি পুনর্গঠিত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুষ্টিয়া সদর মহকুমার কুমারখালী থানার পাল্টি গ্রামে রাজাকারদের গুলিতে দুইজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, বেআইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগের প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিচার করা হবে। তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদে যেসব পূর্ব পাকিস্তানি সদস্যের আসন বহাল থাকবে এবং অপরাধ অথবা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপের জন্য যারা আসন হারিয়েছেন, খুব শিঘ্রই তাদের নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, একমাত্র সীমান্ত এলাকা ছাড়া পূর্ব পাকিস্তানের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের ফলে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও উত্তেজনার সমাপ্তি ঘটেছে। জেনারেল ইয়াহিয়া বলেন, পূর্ব-পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। তিনি বলেন সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালাচ্ছে বলে যে প্রচারণা চলছে তা জঘন্য মিথ্যা। সেখানে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ক্ষুদ্র সংখ্যক সশস্ত্র বিদ্রোহী সরকারের সাথে যুদ্ধ করে। তাদের উৎখাত করার জন্য সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব পালন করতে হয়। বিদ্রোহীদের দমন করতে অনেক সময় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হয়। পৃথিবীতে এ রকম অনেক নজির আছে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ আগস্ট, ১৯৭১

০৪ আগস্ট, ১৯৭১ ৭নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনী নদীপথে তাহেরপুরের দিকে অগ্রসর হলে হাবিলদার শফিকের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এ্যামবুশ কর...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৩ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন রশিদের নেতৃতে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর তাহেরপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে পাকবাহিনীর প্রচুর ক্ষতি হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর মানিকগঞ্জ ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গোলাবিনিময় হয়। কয়েক ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা মানিকগঞ্জ ঘাঁটি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। এ অভিযানে মুক্তিযোদ্ধারা মানিকগঞ্জ ঘাঁটি দখল করে এবং বহু মাইন ও গোলাবারুদ তাদের হস্তগত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ক্যাপ্টেন আমিন আহমদ চৌধুরীর নেতৃত্বে ৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ব্রেভো ও ডেল্টা কোম্পানীর যোদ্ধারা পাকবাহিনীর নকশী বিওপি আক্রমণ করে। এ যুদ্ধে পাকবাহিনী ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয় এবং অনেক সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ও ক্যাপ্টেন আমিন আহমদ চৌধুরীসহ কিছু যোদ্ধা আহত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘের উদ্যোগে ঢাকায় ১৫৬ জনের একটি আন্তর্জাতিক বেসামরিক প্রতিনিধি দল মোতায়েনের বিষয়ে পাকিস্তান ও জাতিসংঘের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারত পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় জাতিসংঘ পর্যবেক্ষক দল মোতায়েন সংক্রান্ত জাতিসংঘের মহাসচিব উ'থান্টের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক এ.এন.এম ইউসুফ ঢাকায় এক দলীয় কর্মী সমাবেশে দলের সদস্যদের প্রতি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনসাধারণ বুঝতে পেরেছে, দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) ফ্যাসিস্ট তৎপরতাই আমাদের বিপর্যয়ের জন্য দায়ী।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ আগস্ট, ১৯৭১

০৩ আগস্ট, ১৯৭১ ৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন রশিদের নেতৃতে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর তাহেরপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে পাকবাহিনীর প্রচুর ক্ষত...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: justify;">  <b>০২ আগস্ট, ১৯৭১</b></div> <br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>লেঃ হারুনের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল কুমিল্লার উত্তরে পাকবাহিনীর কালামছড়ি চা বাগান ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনীর গ্রেনেড বিস্ফোরণে পাকবাহিনীর ১০টি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং ৫০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। দুইজন পাকসৈন্য মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে বন্দী হয় এবং মেশিনগানসহ অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও ২০/২৫ হাজার গুলি মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর দুইজন বীর যোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পাকবাহিনীর ভুরুঙ্গামারী কলেজ অবস্থানের ওপর প্রচন্ড আঘাত হানে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। হানাদার সৈন্যরা তাদের অবস্থান ত্যাগ না করলেও বহু হতাহত হয়। এই প্রচন্ড যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধা আনসার আলী শহীদ হন এবং কয়েকজন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লা জেলার হরিশ্বরদার হাটির কাছে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা মর্টার ও কামানের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। সমস্ত দিনের যুদ্ধে ২৫ জন পাকসেনা হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার এ্যালেক ডগলাস হিউম বলেন, পূর্ব পাকিস্তান সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের প্রচেষ্টা পাকিস্তান সরকারকেই নিতে হবে। আমরা যতো শিগ্গির সম্ভব একটি সমাধান দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। কেননা, সেখানকার জনগণের অনবরত দেশত্যাগ আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তেহরানে দৈনিক কায়হান ইন্টারন্যাশনালের সাথে এক সাক্ষাৎকারে জানান, সমগ্র দেশের প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় পরিষদ কর্তৃক গঠিত বেসামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার আগে কোন ব্যক্তি বা দল বিশেষের কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>টনি ক্লিফটন ‘উিজ ইউক’ পত্রিকায় লেখেন, ‘একজন মাত্র লোকই আছেন পৃথিবীতে যিনি পাকিস্তানকে এখনও রক্ষা করতে পারেন। তিনি হচ্ছেন মুজিব। ইয়াহিয়া বলছেন মুজিবকে মরতেই হবে। কিন্তু যেদিন তার ফাঁসি হবে, সেই একই ফাঁসির দঁড়িতে ঝুলবে পাকিস্তান।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘টাইম’ ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়: ‘নদী পেরিয়ে, মহাসড়ক ধরে, অসংখ্য বনবাদাড় মাড়িয়ে পূর্ব পাকিস্তানে অসংখ্য লোক ভারতে এসে ঢুকেছে। সে এক বিপুল জনস্রোত। কার্ডবোর্ডেও বাক্স, টিনের কেটলি হাতে, ছেড়া কাপড়ে, মাথায় ঘোমটা দিয়ে এসেছে ঝাঁকে ঝাঁকে বাঙালী উদ্বাস্তু। কেউ বইছে রোগা শিশুদের, কেউ বা দুর্বল বৃদ্ধদের। নগ্ন পা তাদের ক্ষয়ে গেছে কাদায়। বাচ্চাদের বিচ্ছিন্ন কান্না ছাড়া তারা নিস্তব্ধ। কিন্তু তাদের চেহারাই বর্ণনা করছে ঘটনা। বেশীর ভাগই তারা অসুস্থ। কাঁথায় ঢাকা। অনেকে কলেরায় আক্রান্ত। পথে মারা গেলে বইবার কেউ নেই। হিন্দুরা, যখন পারছে, মরার মুখে গুজে দিচ্ছে জ্বলন্ত কয়লা, নয় দাহ করিয়ে দিচ্ছে কোন মতে। বাকি টুকু সারছে শেয়াল,কুকুর আর কাক। মৃতদেহগুলো টপকে আসার সময় শরণার্থীরা নাকে কাপড় গুজে দিচ্ছে।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘টাইম’-এর আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়: ‘মুক্তিবাহিনীর অর্ধেক, প্রায় ৫০,০০০সৈনিক, এসেছে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও বাঙালী পুলিশদের ভেতর থেকে। এছাড়া রয়েছে যুবক গেরিলা যোদ্ধারা যাদের অধিকাংশই ছাত্র। গেরিলারা ঢাকায় দু‘বার আক্রমণ পরিচালনা করেছে। কয়েক সপ্তাহ তারা অচল করে রেখেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম যোগাযোগ ব্যবস্থা। যেখানেই পারে তারা তুলে দেয় লাল, সবুজ আর হলুদে রঞ্জিত বাংলাদেশের পতাকা। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাজশাহীতে রাজাকার বাহিনীর প্রথম ব্যাচের সশস্ত্র ট্রেনিং সমাপ্তি উপলক্ষে স্থানীয় জিন্নাত ইসলামিক ইনস্টিটিউট হলে মিয়া মোহাম্মদ কাসেমীর পরিচালনায় সমাপনী উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে রাজাকারদের পবিত্র কোরআন স্পর্শ করিয়ে শপথ করানো হয়। </li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ আগস্ট, ১৯৭১

  ০২ আগস্ট, ১৯৭১ লেঃ হারুনের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর একটি দল কুমিল্লার উত্তরে পাকবাহিনীর কালামছড়ি চা বাগান ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০১ আগস্ট, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০১ আগস্ট, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী শালদা নদীতে পাকসেনা বোঝাই ৭/৮টি নৌকা এ্যামবুশ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ৪/৫টি নৌকা পানিতে ডুবে গেলে পাকসেনারা পিছু হটে পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে আধ-ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৬০/৭০জন সৈন্য হতাহত এবং অনেক রসদ নষ্ট হয়। অপরদিকে হানাদারদের গুলিতে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন ও একজন আহত হয় ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>১১নং সেক্টরে ‘জেড ফোর্স’ পাকবাহিনীর বাহাদুরবাদ ঘাট অবস্থানের ওপর রকেট লাঞ্চার ও গ্রেনেডের সাহায্যে আক্রমণ চালায় । কিছুক্ষণের মধ্যে পাকবাহিনীর দখলকৃত রেলস্টেশন, রেল বগী, রেল স্টীমার ও জেটির ছাদ এবং পাকসেনাদের অস্ত্ররক্ষিত সকল এলাকা ধ্বংস হয় । পাকসেনারা সম্পূর্ণ পর্যুদস্তু হলে মুক্তিবাহিনীর বাহাদুরবাদ ঘাট দখল করে ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার সামরিক আইন আদালত আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেস সেক্রেটারী আমিনুল হক বাদশাকে ৬ আগষ্ট বেলা ১০ টার মধ্যে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়। অন্যথায় তার অনুপস্থিতিতে বিচার করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়।  </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান করাচীতে এক টিভি সাক্ষাৎকারে বলেন, পাকিস্তান ও ভারত সীমান্তে সংঘর্ষ চলতে থাকলে পরিণতিতে যুদ্ধ বাঁধতে পারে। তিনি বলেন, আমি আমার সৈন্যকে বলতে পারি না গোলাগুলি বন্ধ কর এবং নীরবে সবকিছু সহ্য করো। দেশরক্ষার জন্য আমি আরেক গাল পেতে দিতে পারি না। আমরা ইতিমধ্যেই পূর্ব পাকিস্তানে আভ্যন্তরীণ ও বিদেশী ধ্বংসাত্মক শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের আদর্শগত এবং আঞ্চলিক সীমারেখা রক্ষার জন্য সংকল্প ও শক্তি প্রয়োগ করেছি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>শান্তি কমিটির অন্যতম নেতা এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি এ.কিউ.এম,শফিকুল ইসলাম পাকিস্তানের আদর্শ ও অখন্ডতা রক্ষার জন্যে দৃঢ় প্রত্যয় ও সাহসিকতার সঙ্গে সকল প্রকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার আহ্বান জানান। তিনি মুসলিম লীগের সকল গ্রুপকে একত্র করে একটি প্রকৃত জাতীয় সংস্থা রূপে গড়ে তোলার দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকা শহর মুসলিম লীগের এক সভায় মুসলিম লীগ সেক্রেটারী এ.এন.এম.ইউসুফ মুসলিম লীগের প্রতিটি কর্মী ও সদস্যকে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়ে দুষ্কৃতকারী (মুক্তিযোদ্ধা) দের দমন করার নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়ঃ দস্যু সর্দার ইয়াহিয়া খানের জল্লাদ বাহিনী গত চার মাস ধরিয়া বাংলাদেশে যে নৃশংস গণহত্যা ও পৈশাচিক বর্বরতা চালাইয়া আসিতেছে ইতিহাসে উহার নজির সত্যই বিরল। ইয়াহিয়া বাহিনীর অত্যাচারের যেমন তুলনা নাই, তেমনি বাংলাদেশের গণ-জাগরণ ও অতুলনীয়। স্বাধীনতার দাবিতে এরূপ একতার দৃষ্টান্ত ইতিহাসে বিরল। ১৯৪৭ সালে বৃটিশ সরকার এদেশের জনগণের মধ্য হইতে যতটা বিচ্ছিন্ন ছিল, ইয়াহিয়া শাহী আজ বাংলাদেশের জনগণের সকল শ্রেনী, সকল স্তর হইতে ততোধিক বিচ্ছিন্ন। বিজয় আমাদের অবশ্যম্ভাবী। স্বাধীনতার অগ্নিমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ বাংলাদেশের বীর জনগণের সংগ্রামকে চূর্ণ করিয়া দিতে পারে পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নাই। স্বাধীন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ জিন্দাবাদ। </li> </ul> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নিয়মিত কথিকামালা বিশ্বজনমত: আন্তর্জাতিক রেডক্রস সোসাইটির প্রতিনিধি কর্নেল অ্যার্লা সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর শেষে তার সফর অভিজ্ঞতা বর্ণনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশে দখলদার পাকিস্তানি সৈন্যদের নির্যাতন বায়াফ্রার মর্মান্তিক ঘটনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। দখলকৃত এলাকায় হানাদার সৈন্যরা যে বীভৎস হত্যাকান্ড ও পাশবিক অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে তার কোনো নজির নেই। নরওয়ে রেডক্রসের একজন প্রতিনিধি ভারতের শরনার্থী শিবিরগুলো পরিদর্শন করে বলেছেন, বর্তমান শরনার্থী সমস্যার সাথে বিশ্ব ইতিহাসের কোনো ঘটনার তুলনা করা যায় না। মার্কিন জনগণ ও সেখানকার পত্র-পত্রিকা বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি তাঁদের অকুন্ঠ সমর্থন জানালেও প্রেসিডেন্ট নিক্সন জঙ্গীশাহীকে অস্ত্র সাহায্যের নীতিতে অবিচল রয়েছেন। মার্কিন সিনেটের বহু প্রভাবশালী সদস্য এ বিষয়ে একমত যে, বাংলাদেশ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত জঙ্গী সরকারকে সাহায্য দেয়ার মানেই গণহত্যায় অংশ গ্রহণ করা। ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আন্ডার সেক্রেটারী জন আরউইন সিনেটের এক সাব-কমিটির বৈঠকে বলেছেন যে, বাংলাদেশে দারুন দুর্ভিক্ষের খবর তাঁরা পেয়েছেন। অথচ পাকিস্তানের দখলদার সমর্থকরা দুর্ভিক্ষ রোধের কোনো চেষ্টা চালাচ্ছে না। এতে এ কথা পরিষ্কার বোঝা যায় যে, দেশ থেকে ৮০ লাখ মানুষ তাড়িয়ে এবং ১০-১২ লাখ মানুষকে হত্যা করেও এদের কসাই মনোবৃত্তির এখনো খায়েশ মেটেনি।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০১ আগস্ট, ১৯৭১

০১ আগস্ট, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী শালদা নদীতে পাকসেনা বোঝাই ৭/৮টি নৌকা এ্যামবুশ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ৪/৫টি নৌকা পানিতে ডুবে গেলে পাক...

Read more »