১৯ মার্চ, ১৯৭১, শুক্রবার
আজ
রুমী অভিনব স্টিকার নিয়ে এসেছে- “একেকটি বাংলা অক্ষর একেকটি বাঙালির জীবন।” বাংলায় লেখা স্টিকার জীবনে এই প্রথম দেখলাম। রুমী খুব যত্ন করে
স্টিকারটা গাড়ির পেছনের কাচে লাগাল। স্টিকারের পরিকল্পনা ও ডিজাইন করেছেন
শিল্পী কামরুল হাসান। উনি অবশ্য নিজেকে শিল্পী না বলে ‘পটুয়া’ বলেন।
কয়েকদিন আগে ‘বাংলার পটুয়া সমাজ’ বলে একটা সমিতি গঠন করেছেন। উনিই তার
আহ্বায়ক। গত শুক্রবারে এই সমিতির একটা সভাও হয়ে গেল। শিল্পী সৈয়দ শফিকুল
হোসেন এই সভায় সভাপতিত্ব করেছিলেন। উনি শরীফের বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার
এস.আর.হোসেনের ছোট ভাই।
‘বাংলার পটুয়া সমাজ’-এর এই সভাতে শাপলা ফুলকে সংগ্রামী বাংলার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করার এক প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনকে বৃহত্তর জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার লক্ষে শিল্পীরা ঠিক করেছেন, কার্টুন, ফেস্টুন, পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করে সর্বত্র বিতরণের ব্যবস্হা নেবেন।
এই স্টিকার বোধহয় ঐ কর্মপন্থারই প্রথম পদক্ষেপ।
- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই থেকে
‘বাংলার পটুয়া সমাজ’-এর এই সভাতে শাপলা ফুলকে সংগ্রামী বাংলার প্রতীক হিসেবে গ্রহণ করার এক প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। বাংলার স্বাধিকার আন্দোলনকে বৃহত্তর জনগণের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার লক্ষে শিল্পীরা ঠিক করেছেন, কার্টুন, ফেস্টুন, পোস্টার ইত্যাদি তৈরি করে সর্বত্র বিতরণের ব্যবস্হা নেবেন।
এই স্টিকার বোধহয় ঐ কর্মপন্থারই প্রথম পদক্ষেপ।
- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই থেকে
Post a Comment Blogger Facebook