![]() |
Add caption |
১৮ মার্চ, ১৯৭১, বৃহষ্পতিবার
মাসুমাকে জিগ্যেস করি, “কি করে এমন অবাক কান্ড সম্ভব হল? কে করেছে?”
মাসুমা বলে, “এসব মন্টু মামার কীর্তি।”
মন্টু অর্থাৎ মোস্তফা মনোয়ারকে ধরলাম একদিন, “মন্টু বল না, কি কায়দায় শিল্পীদের একটা মাথা হাজার মাথা হয়ে যায়? দু’তিন সার দাঁড়ানো মানুষ হাজার মানুষ হয়ে যায়?”
মোস্তফা মনোয়ার তার স্বভাবসিদ্ধ বিনীত লাজুক হাসি হেসে মাথা চুলকে বলল, “এই আর কি। যন্ত্রপাতি বিশেষ নেই তো আমাদের। এই আয়না-টায়না দিয়ে অনেক কসরত করে-এই আর কি।”
মন্টুটা এই রকমই। নিজের কোন কৃতিত্বের কথা নিজের মুখে বলতে হলে এই রকমই তো তো করে!
মন্টুর কীর্তি এরকম অভিনব পদ্ধতিতে আরো কয়েকটা গানের টিভি চিত্রায়ন -"আমার ঘরে আগুন জ্ঝেলেছে, শান্তি নিয়েছে কেড়ে", "জন্ম আমার ধন্য হল মাগো", "একতারা তুই দেশের কথা বলরে আমায় বল।" এইসব গান টিভিতে যতো দেখানো হয়, ঢাকার ঘরের ভেতরে সোফায় বসে থাকা শান্ত, নিরীহ মানুষের বুকেও ততো ঝড়ের দোলা লাগে, বাইরে পথে-প্রান্তরে-বন্দরে-জংশনে যারা রক্তাক্ত সংঘর্ষে নেমেছে, তাদের মাঝে ছুটে চলে যেতে ইচ্ছে করে।
- শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই থেকে
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.