১৭ ডিসেম্বর, ১৯৭১
- অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেছেন যে, এখন সময় এসেছে যুদ্ধোত্তর পুনর্গঠন সরকার হিসেবে কাজ করার। তিনি জানান, বাংলাদেশ সরকার নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে এবং আগামী বছরের মাঝামাঝি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
- প্রায় এক ডজন অভিজ্ঞ প্রশাসক নিয়ে ঢাকায় একটি ছোটখাট বেসরকারি প্রশাসন দাঁড় করানো হয়। এর নেতৃত্ব দেন ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার’ অন্যতম অভিযুক্ত রুহুল কুদ্দুস।
- দুপুর ২-৩০ মিনিটে পশ্চিম রণাঙ্গণেও যুদ্ধ-বিরতি ঘটে। যুদ্ধবিরতির জন্য ভারতের এক তরফা প্রস্তাব গ্রহণ করার ঘোষণা করেন পাকিস্তানী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিযা খান। দুই সপ্তাহ দুই ঘন্টা স্থায়ী যুদ্ধে ভারত ধ্বংস করেছে পাকিস্তানের ৯৪টি যুদ্ধবিমান, ২১৪ টি ট্যাংক এবং ২২টি নৌযান।
- ‘নিরপেক্ষ এলাকা’ হিসেবে ঘোষিত হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আশ্রয় গ্রহণকারী প্রাক্তন গভর্ণর ডা. এ. এম. মালিককে তাঁদের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানায় গেরিলারা। ভারতীয় বাহিনী গেরিলাদের বিরত করেছে, তবে পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে রয়েছে।
- রাতে পিকিং এর ভোজসভায় চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই ভারতীয় ‘আগ্রাসন’ সমর্থন করার জন্য রাশিয়াকে অভিযুক্ত করেন। প্রতিবাদে রুশ রাষ্ট্রদূত ভোজসভা ত্যাগ করেন।
- মীরপুরের বধ্যভূমিতে খুঁজে পাওয়া নিহত স্বজনের শতাধিক লাশ বিজয় আনন্দে উদ্বেল দেশবাসীর মনে বিষাদের ছায়া ফেলে। এই সব শহীদের কাতারে রয়েছে বাংলার শ্রেষ্ঠ মনীষীরা।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook