২০ অক্টোবর, ১৯৭১
- নয়াদিল্লীতে যুগোস্লাভ প্রেসিডেন্ট মার্শাল টিটো ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মধ্যে আলোচনা শেষে এক যুক্ত ইস্তেহার প্রকাশিত হয়। এই ইস্তেহারে পাকিস্তানের বর্তমান সঙ্কট অবসানের লক্ষ্যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সাথে রাজনৈতিক মীমাংসার আহ্বান জানানো হয়।
- কুমিল্লায় পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল গোলন্দাজবাহিনীর সহায়তায় কামালপুরের কাছে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর তীব্র হামলা চালায়। এই হামলায় পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর শক্তিশালী প্রতিরক্ষাব্যুহ ভেদ করতে ব্যর্থ হয়। সংঘর্ষে পাকবাহিনীর একজন অফিসারসহ ৩০ জন সৈন্য নিহত হয়।
- ৬নং সেক্টরে হিলি সীমান্তে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ সারাদিন ব্যাপী চলে।
- ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মিয়াবাজার পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের অকস্মাৎ আক্রমণে পাকসেনারা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। দুই ঘন্টাব্যাপী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ২১ জন সৈন্য নিহত এবং অনেক আহত হয়।
- বগুড়া জেলার টিউরপাড়া গ্রামে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল ও পাকসেনাদের মধ্যে তীব্র গোলা বিনিময় হয়। এতে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ৯ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়।
- জাতিসংঘের মহাসচিব উ‘থান্ট তাঁর সদর সফতরে ভারতের রাষ্ট্রদূত সমর সেন ও পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত আগাশাহীর সাথে পৃথক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে বাংলাদেশ প্রশ্ন নিয়ে আলোচনা হয়।
- পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের ৭৮টি শূন্য আসনের উপ-নির্বাচনে ১৯২ জন পার্থী মনোনয়ন পত্র দাখিল করে।
- খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী নওয়াজেশ আহমদ কুষ্টিয়া সফরে যান। কুষ্টিয়ায় এক সভায় মন্ত্রী জনগণকে পাকিস্তানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে শত্রু এবং বিজাতীয় সংস্কৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানায়।
- প্রাদেশিক আইন ও পার্লামেন্টারী বিষয়ক মন্ত্রী জসিমউদ্দিন সিলেটে এক সভায় বলেন, ‘ভারত আওয়ামী সেবাদাসদের লেলিয়ে দিয়ে অসংখ্য নিরীহ পাকিস্তানিকে হত্যা করেছে। কিন্তু বর্তমানে দেশ এবং বিদেশে সবার কাছেই তাদের স্বরূপ নগ্ন হয়ে পড়েছে।’
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.