- ৮ নং সেক্টরের বেতাই সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা রামনগর নামক স্থানে এক প্লাটুন পাকসেনাকে এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজেদের অবস্থানে নিরাপদে ফিরে আসে।
- ৮নং সেক্টরের গোজাডাঙ্গা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের মুহাম্মদপুর অবস্থানের ওপর মর্টারের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য হতাহত হয়।
- কালিহাতী থানার চারান নামক স্থানে মিলিশিয়া সমর্থিত রাজাকারদের সাথে মুক্তিবাহিনী সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের অকস্মাৎ আক্রমণে ৩৯ জন রাজাকার এবং ৩ জন মিলিশিয়া নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর কেউ হতাহত হয়নি।
- ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা চৌদ্দগ্রামের একমাইল উত্তরে পাকসেনাদের কালিরবাজার ঘাঁটির ওপর মর্টার এবং আর.আর এর সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য হতাহত হয়।
- ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কয়েকটি রাষ্ট্র সফরে যাবার আগে জাতির উদ্দেশ্যে এক বেতার ভাষণে বর্তমান সঙ্কটপূর্ণ পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য জনগণকে সংযত এবং ঐক্য ও শৃঙ্খলাবদ্ধ হবার আহ্বান জানান।
- করাচীতে পিপলস্ পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত থাকলে পূর্ব পাকিস্তানের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে তাঁর দলের প্রার্থীদের প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
- পূর্ব পাকিস্তানের শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এ.এস.এম. সোলায়মান পিটিআইকে জানান, শিল্প কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদান করে উৎপাদন বৃদ্ধি করে চলেছে।
- নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে তথ্যমন্ত্রী মুজিবুর রহমানসহ আরও ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পরিষদে এ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রতিনিধির সংখ্যা ১৮ জনে দাড়িয়েছে।
- জাতিসংঘে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য শাহ আজিজ দেশে ফেরার আগে সাংবাদিকদের তার মিশনকে অত্যন্ত সাফল্যজনক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশ’ ধাপ্পার স্বরূপ এখন অনেকটা উম্মোচিত হয়েছে।
- জামায়াতে ইসলামির সাধারণ সভায় ঢাকার আমীর এবং মজলিসে শুরার সদস্য নির্বাচিত হয়। আমীর হিসাবে অধ্যাপক গোলাম সরওয়ার এবং শুরা সদস্য হিসাবে কে.জেড.মুরাদ, অধ্যক্ষ রুহুল কুদ্দুস, অধ্যাপক হেলালউদ্দিন, শেখ নূরউদ্দিন, এ. জব্বার চাখরী, তমিজউদ্দিন আহম্মদ, এম.এ. রশীদ, সৈয়দ রফী আহমদ, রিজভী, এস.এম. হুমায়ুন, আব্দুল মান্নান তালেব নির্বাচিত হন।
- সাপ্তাহিক বাংলার বাণী পত্রিকার এক রিপোর্টে বলা হয় : খুলনা জেলার আশাশনি এলাকায় একটি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ৬৪টি জন রাজাকারকে হত্যা করে। এ সময় তাঁরা ৫টি রাইফেলও দখল করে। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল খুলনার পাটকলঘাটায় হানাদার বাহিনীর উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে ১৫ জন খানসেনাকে হত্যা করে। এছাড়া তাঁরা খুলনার শ্যামনগর এবং ভার্শোলা এলাকায় খানসেনার উপর পৃথক আক্রমণ চালিয়ে ১১ জন শত্রু সেনাকে হত্যা করে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook