 |
|
২৫ অক্টোবর, ১৯৭১
- ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কমলপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে।
- ২নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনীর এফ-৮৬ জঙ্গী বিমান মুক্তিবাহিনীর মন্দভাগ, মঙ্গলপুর ও শ্রীপুরস্থ অবস্থানগুলোর ওপর প্রবলভাবে হামলা চালায়। সেই সাথে গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় পাকসৈন্যরাও মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। পাকসেনাদের এই সম্মিলিত আক্রমণকে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দৃঢ়তার সাথে প্রতিহত করে। প্রায় তিনঘন্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫৮ জন সৈন্য হতাহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে পাকসেনাদের আক্রমণ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং বাধ্য হয়ে পিছু হটে। এই যুদ্ধে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ৯ জন আহত হন।
- সিলেটে মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা পাকসেনাদের শাহবাজপুর ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩ জন রাজাকার নিহত ও ৮ জন আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অক্ষত অবস্থায় নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
- ৫নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা সারিগোয়াইন রাস্তার ১নং সেতুতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে ৫ জন রাজাকার নিহত হয় এবং অন্যান্যরা ১টি ৩০৩ রাইফেল ও গোলাবারুদ ফেলে পালিয়ে যায়।
- ফুলবাড়িয়া থানায় মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা কালীগঞ্জ বাজারে অবস্থানরত রাজাকারদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩০ জন রাজাকার নিহত ও ২৫ জন আহত হয়।
- নেপালে পাকিস্তানি দূতাবাসের কুটনীতিক মোস্তাফিজুর রহমান স্বপক্ষ ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন।
- কুষ্টিয়া ও দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক যথাক্রমে মোঃ শামসুল হক ও ফারাশউদ্দিন আহম্মদ বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করায় পাকিস্তানের প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক কর্তৃক বরখাস্ত হন।
- ‘টাইমস’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়: সামনের দিনে যুদ্ধ আরো তীব্র হবে। ৮০,০০০পাকিস্তানি সৈন্য ভারতীয় সীমান্তসহ অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়েছে। পাশাপিাশি ৬০,০০০ মুক্তিবাহিনী ও গেরিলাদের দলটিও তা প্রতিরোধের অপেক্ষায় আছে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.