image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ অক্টোবর, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
০৩ অক্টোবর, ১৯৭১ সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি এক অনির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সফরে নয়াদিল্লি আগমণ করেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি.ভি. ...
০৩ অক্টোবর, ১৯৭১
  • সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি এক অনির্ধারিত সংক্ষিপ্ত সফরে নয়াদিল্লি আগমণ করেন। তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি.ভি. গিরি ও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে পৃথক আলোচনা বৈঠকে মিলিত হন। নয়াদিল্লি ত্যাগের আগে তিনি হ্যানয়ের উদ্দেশে বলেন, সোভিয়েত ইউনিয়ন বাংলাদেশে একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর জন্য বর্তমান রুশ-ভারত সম্পর্কের মনোভাবের ভিত্তিতে সম্ভাব্য সবরকম সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছেন।
  • ২নং সেক্টরে পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল মুক্তিযোদ্ধাদের অনন্তপুর ও ধানীকুন্ডা অগ্রবর্তী অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনারা ভারী কামান ও মর্টারের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর প্রচন্ড গোলাবর্ষণ করে এবং সেই সঙ্গে পাকপদাতিক বাহিনীও আক্রমণ চালায়। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ৪০/৫০ গজের মধ্যে পৌঁছলে মুক্তিযোদ্ধারা হানাদারদের ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। এতে ২৫/৩০ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন বীর যোদ্ধা শহীদ হন। এই সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের চাপের মুখে অগ্রবর্তী ঘাঁটি পরিত্যাগ করে মূখ্য ঘাঁটিতে পিছুৃ হটে। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের মূখ্য ঘাঁটির ওপরও আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা গোলন্দাজ ও মর্টারের গোলার সাহায্যে তাদের প্রতিহত করে। এই আক্রমণে পাকসেনা মুক্তিবাহিনীর চাপের মুখে টিকতে না পেরে ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এতে ৪০/৫০ জন পাকসেনা হতাহত হয়। মুক্তিবাহিনীর একজন বীর যোদ্ধা শহীদ ও ৫ জন আহত হন।
  • টাঙ্গাইলে মুক্তিবাহিনী ধনবাড়ীতে অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকসেনাদলের অধিকাংশ সৈন্য হতাহত হয়।
  • জামালপুরে মুক্তিবাহিনী কমলাপুর-বকশিগঞ্জ রাস্তার ওপর মাইন পঁতে এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের একটি গাড়ি মাইনের উপর এলে মাইন বিস্ফোরণে গাড়ীটি ধ্বংস হয় এবং ৭ জন পাকসেনা নিহত ও ৬ জন আহত হয়।
  • ৮নং সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের একটি দলকে গয়েশপুরে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৪ জন আহত হয়।
  • রায়পুর থানার টি.ভি.সেক্টরে অবস্থানরত পাকসেনারে ওপর মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল অতর্কিত আক্রমণ চালায়। উভয়পক্ষের মধ্যে ৬ ঘন্টাব্যাপী তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ৫০ জন পাকসৈন্য ও ৬০/৭০ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ৩৪ জন অবাঙালি ইপিআর ও রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ৭ জন বীর যোদ্ধা শহীদ হন।
  • পাকিস্তান সরকার উপ-নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রেসনোট জারি করে। প্রেসনোটে প্রাদেশিক পরিষদের বাকি ৮৮টি শূন্য আসনের তফসিল ঘোষণা করা হয়। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
  • মার্কিন সরকার উদ্বাস্তু পুনর্বাসনের নামে পাকিস্তান সরকারকে ১৫ কোটি ডলার সাহায্য দেয়ার জন্য কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top