image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ নভেম্বর, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
২৭ নভেম্বর, ১৯৭১ পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি হিলি শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে হিলির তিন দিক থেকে আ...


২৭ নভেম্বর, ১৯৭১

  • পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি হিলি শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিবাহিনী ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে হিলির তিন দিক থেকে আক্রমণ করা হয়। হিলির পতন হলে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে উত্তর বাংলা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে আশঙ্কায় পাকিস্তানি সেনারা মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তারা এখানে দূরপাল্লার ভারী কামান ও ট্যাংক ব্যবহার করে মুক্তিবাহিনীর অগ্রগতি ঠেকাতে পারেনি। হানাদাররা বেশ কয়েকটি ট্যাংক হারাতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে ৮০ জন পাকিস্তানি হানাদার খতম হয়।
  • রাজশাহীর নবাবগঞ্জ থেকে তিন মাইল দূরে ইসলামপুর ও চাটুইডুবিতে পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানের ওপর মুক্তিবাহিনী মর্টার ও মেশিনগান নিয়ে প্রবল আক্রমণ চালায়। হানাদার বাহিনী এই যুদ্ধে ভারী মেশিনগান, ৮১ এমএম মর্টারের গোলা এবং ২৫ পাউন্ড ওজনের কামানের গোলা ব্যবহার করে। এ যুদ্ধে ১২৫ জন পাকিস্তানি সেনা ও ২৫০ জন রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর ১৫টি বাংকার ধ্বংস করে দেয়। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর নায়েক কাসেম মোহর আলী প্রবল বিক্রমের পরিচয় দেন।
  • মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল রাজশাহীতে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ আক্রমণ করে রাজশাহীর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার শারদার টেলিযোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
  • যশোরের মুন্সীগঞ্জে মুক্তিবাহিনী রাজাকার ঘাঁটিতে আক্রমণ করে চার রাজাকারকে ধরতে সক্ষম হয়। এখানে রাজাকারদের কাছ থেকে চারটি রাইফেল উদ্ধার করা হয়।
  • জামায়াত নেতা গোলাম আযম রাওয়ালপিন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আক্রমণই হলো প্রতিরক্ষার বড় অস্ত্র। যুদ্ধের সময় প্রত্যাঘাত না করে কোনো জাতি টিকে আছে এমন নজির ইতিহাসে নেই।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top