১৭ নভেম্বর, ১৯৭১
- ঢাকায় রাত সাড়ে আটটা থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়। কারফিউর সময় পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ঢাকানগরীর বিভিন্ন স্থানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেনাবাহিনী এসময় গোটা নগরী তল্লাশী করে কয়েক’শ তরুনকে মুক্তিযোদ্ধা সন্দেহে আটক করে।
- কুমিল্লা, খলনা ও বরিশাল জেলার বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
- করাচিতে পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ভুট্টো বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠদের মতামত উপেক্ষা করে যদি পুতুল সরকার গঠন করা হয় তবে বিপ্লব অনিবার্য। পাকিস্তানের জনগণ কোন অবস্থায় পুতুল সরকার গ্রহণ করবে না।
- মিয়া মমতাজ দৌলতানা জাতীয় ঐক্য বিনষ্টকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পাকিস্তান অর্জনের লক্ষ্যে মুসলমানরা যে চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করছে, সেই চেতনাতেই পাকিস্তানবাদী ৭টি দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তারা পাকিস্তান টিকিয়ে রাখতে জীবন দিয়ে কাজ করে যাবে। পাকিস্তানের দেশপ্রেমিক জনগণও তাদের সঙ্গে রয়েছে।
- জেনারেল নিয়াজি আজ লালমনিরহাট সফর করেন। তিনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ঘরোয়াভাবে আলোচনা করে শত্রু নিধনের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন। সফরকালে তিনি স্থানীয় রাজাকার, মুজাহিদ ও পূর্ব পাকিস্তান বেসামরিক বাহিনীর সঙ্গেও আলোচনা করেন। নিয়াজির সঙ্গে আলোচনার সময় রাজাকার ও মুজাহিদরা পাকিস্তানের শত্রুরা সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন না হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার মত প্রকাশ করে।
- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানি দলের নেতা মাহমুদ আলী জাতিসংঘে চীনের অন্তর্ভুক্তিতে চীনা প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘের যেসব লক্ষ্য এখনও অর্জিত হয়নি, চীনের অন্তর্ভুক্তির ফলে সেসব লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা জোরদার হবে।
তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.