২৫ নভেম্বর, ১৯৭১
- মরণপণ লড়াই করে মুক্তিবাহিনী ফুলগাজি, আনন্দপুর আর চাঁদগাছি বাজার থেকে পাকিস্তানিদের হটিয়ে দিয়েছে। শুধু তিনমাইল দূরের পথ ‘ফেনী’ এলাকার দখল নেওয়া বাকি। এছাড়া পরশুরাম থানা এলাকায় মুক্তিবাহিনীর পূর্ণ কতৃত্ব রয়েছে।
- আনন্দবাজার পত্রিকার রিপোর্ট :
মুক্তিবাহিনীর সূত্রে ঘোষণা করা হয় যে সাতক্ষীরা মহকুমার প্রতিটি থানা মুক্ত হয়েছে। মুক্তিবাহিনী এখন খুলনার দিকে অগ্রসর হচ্ছে।
এদিকে পাকসেনা ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে মেহেরপুর শহর দখল নিয়ে জোড় লড়াই চলছে। দিনাজপুর শহরের আমবাগান ছেড়ে পাবাহিনী সৈয়দপুরের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে।
সন্ধ্যায় মুক্তিবাহিনী যশোরের ঝিকরগাছা থেকে পশ্চিম পাকিস্তানি সৈন্যদের তাড়িয়ে দিয়ে তাদের ঘাঁটিগুলি দখল করেছে। এখন ঝিকরগাছার সব জায়গায় বাংরাদেশের পতাকা উড়ছে। শত্রু পালিয়ে যাবার সময় বহু অস্ত্রশস্ত্র ফেলে গিয়েছে। উল্লেখ্য, ঝিকরগাছা গত ৮ এপ্রিল মুক্তিবাহিনীর হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিলো।
প্রচন্ড যুদ্ধ চলার পর রংপুর এবং দিনাজপুর জেলার প্রায় ৪৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা মুক্তিবাহিনী দখল করে য়েছে। এদিকে রাঙ্গামাটিতে লড়াই চলছে। পাকসেনা-মুক্তিযোদ্ধা মুখোমুখি। সেখানে ১৩ জন রাজাকার রাইফেল ও গোলাবারুদসহ আত্মসমর্পণ করেছে।
লাহোরে পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম আজম এক বক্তৃতায় ভারতের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করার আহবান জানিয়ে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি পূর্ব পাকিস্তানের অস্তিত্বের প্রতি একটি ভয়ানক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তথ্যসূত্রঃ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook