০৭ নভেম্বর, ১৯৭১
- মুক্তিবাহিনী ঘাটাইল থানার ধরাপাড়া নামক স্থানে ভোর সারে চারটা থেকে প্রায় ৫০০ পাকসৈন্যের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ৬ ঘন্টাব্যাপী তীব্র সংঘর্ষ হয়। এই যুদ্ধে হানাদার বাহিনীর একজন মেজরসহ ৬ জন সৈন্য ও ৩ জন রাজাকার নিহত এবং অনেক আহত হয়।
- ৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধা দল পাকবাহিনীর শাহপুর বিওপি আক্রমণ করে। এতে ৩ জন রাজাকার নিহত ও অনেক আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
- কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী শালদা নদী পাকসেনা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের এই অভিযানে ২ জন পাকসৈন্য নিহতও ৪ জন আহত হয়।
- ২নং সেক্টরের কায়েমপুর এলাকায় মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
- মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার মন্দভাগ এলাকায় পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দলকে আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ৩ জন যোদ্ধা আহত হয়।
- রংপুর জেলায় মুক্তিবাহিনী কারানি এলাকায় অবস্থানরত রাজাকারদেও ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন রাজাকার ৫টি রাইফেলসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে বন্দি হয়। এছাড়া পাহারপুকুর এলাকায় মুক্তিবাহিনীর সফল অবিযানে ১০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়।
- মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা নারায়ণগঞ্জ শান্তি কমিটির নেতা আফি সরদারের বাড়ি আক্রমণ করে। এতে আফি সরদার ও তার পরিবারের ৮ জন সদস্য নিহত এবং ৩ জন আহত হয়।
- ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান নুরুল আমিন লাহোরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠক শেষে নুরুল আমিন সাংবাদিকদের বলেন, তিনি প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছেন উপ- নির্বাচনের কার্যক্রম শুরু হবার পর পূর্বপাকিস্থানে দুষ্কৃতকারীদের(মুক্তিবাহিনী) নাশকতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ জন্য তিনি পূর্বাঞ্চলে রাজাকারদের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করার জন্যে প্রেসিডেন্টের কাছে সুপারিশ করেছেন।
- জামায়াত নেতা আব্বাস আলী খান পশ্চিম পাকিস্থানে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পূর্ব পাকিস্তানের পুরো অবস্থা সেনাবাহিনী ও রাজাকারদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় বেসামাল হয়ে ভারতীয় চররা চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে শান্তি বিনষ্ট করছে।
Post a Comment Blogger Facebook