৩০ মে, ১৯৭১
- মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল ইকবালের(বাচ্চু) নেতৃত্বে গোমতী বাঁধের ওপর
থেকে পাক বাহিনীর বিবিবাজারস্থ অবস্থানে আঘাত হানে। এতে পাকবাহিনীর ১০ জন
সৈন্য হতাহত হয়।
- কুমিল্লার সিঙ্গারবিলে
পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর মুক্তিবাহিনী মর্টার প্লাটুন অতর্কিত আক্রমণ
চালায়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৬ জন সৈন্য নিহত ও ৭ জন আহত হয়।
- চৌদ্দগ্রামের আধ মাইল উত্তরে চৌদ্দগ্রাম-মিয়ারবাজার সড়কের ওপর ৪র্থ
বেঙ্গল-এর ‘বি’ কোম্পানির এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকবাহিনীর ২৭ জনের একটি দলকে
এ্যামবুশ করে। মুক্তিবাহিনী এ তৎপরতায় ৩ জন পাকসেনা নিহত হয়।
- বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান পাকিস্তানের
প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাম্প্রতিক বিবৃতি প্রসঙ্গে বলেন,
ইয়াহিয়া মিথ্যাবাদী ও প্রতারক। তার কোনো কথাই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তিনি ঘোষণা
করেও শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেননি। উল্টো বাঙালি নিধন
ও নিপীড়নের জন্য তার সেনাবাহিনীকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইয়াহিয়া আবারও অসামরিক সরকারের হাতে ক্ষমতা
হস্তান্তরের কথা বলেছেন কিন্তু তিনি কার কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন?
সংখ্যাগরিষ্ঠ দল আওয়ামী লীগকে বেআইনী ঘোষণা করেছেন, হাজার হাজার নিরাপরাধ
লোককে হত্যা করা হয়েছে, অসংখ্য মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে-চ্যালেঞ্জ করা
হয়েছে আমাদের জাতীয়তাকে। বাংলাদেশের জনগণ আর পাকিস্তানের জনগণের সাথে একই
ছাদের নিচে বসবাস করতে পারে না । আমরা বাঙালি, ইয়াহিয়া ও তার দোসররা আমাদের
জাতিসত্তার পরিচয়কে কখনই মুছে ফেলতে পারবে না। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী
লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কোনো অধিকার
পাকিস্তানি শাসকদের নেই। কেননা আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের নিরঙ্কুশ সমর্থন
পেয়েছি।
- পাকিস্তানি সরকার ভারত থেকে প্রত্যাবর্তনকারী পাকিস্তানি উদ্বাস্তুদের জন্য ‘অভ্যর্থনা শিবির’ খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
- ঢাকায় সামরিক শাসন কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেন, জাতীয় পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ
নুরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পাকিস্তানের অখন্ডতার
প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook