- ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি শক্তিশালী দল কায়েমপুর পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। চার ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে টিকতে না পেরে কায়েমপুর ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে ১৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পক্ষে কয়েকজন বীর যোদ্ধা শহীদ ও আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে মেশিনগান, মর্টার ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রচুর গোলাবারুদ দখল করে।
- রংপুরের ছাতনাই গ্রামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে পাক নরপিচাশরা নির্মমভাবে হত্যা করে। উক্ত বৃদ্ধার পুত্র মকবুল হোসেন মুক্তিবাহিনীর সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করছিলেন এই অভিযোগে তাঁকে হত্যা করে।
- কুমিল্লার কসবার কাছে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের কাইউমপুর ঘাঁটির ওপর মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩৫ জন সৈন্য নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর একজন বীর যোদ্ধা আহত হন।
- প্রধান সামরিক প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের ৮ জন অফিসারকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এঁরা হলেন, ইরাকস্থ রাষ্ট্রদূত এ.এফ.এম.আবুল ফাত্তাহ্, কলকাতাস্থ ডেপুটি হাইকমিশনার হোসেন আলী, জাতিসংঘস্থ সহকারী স্থায়ী প্রতিনিধি এস.এ.করিম, ওয়াশিংটনস্থ কাউন্সিলার এস.এ.এম.এস.কিবরিয়া, থার্ড সেক্রেটারি মহিউদ্দিন আহমদ ও আনোয়ারুল করিম।
- গভর্নর ডা: এ.এম.মালিক এক বক্তৃতায় ‘পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি ধ্বংসের প্রয়াসে লিপ্ত শত্রুদের তৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
- সামরিক প্রশাসকের দফতর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জনগণকে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, কোনক্রমেই শেখ মুজিবের বিচার সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা যাবে না।
- বগুড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মওলানা নজিব উল্লাহর নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মাদ্রাসা শিক্ষকরা মন্ত্রীকে জানান, এলাকায় তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.