- মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল চৌদ্দগ্রামে পাকহানাদার বাহিনীর হেডকোয়ার্টারের ওপর মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩০/৪০ জন পাকসৈন্য হতাহত হয়। পাকসেনারা কামানের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের দিকে গুলি চালালে কিছু বেসামরিক লোক নিহত হয় ।
- ২নং সেক্টরের বেলুনিয়ায় পাকহানাদার বাহিনী মহুরী নদী পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর প্রচন্ড কামান আক্রমণ চালায় । মুক্তিযোদ্ধারা সমস্ত দিন যুদ্ধের পর পাকসেনাদের এই আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয় ।
- ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী নয়াপাড়ার পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে । এতে পাকসেনারা পর্যুদস্ত হয়ে অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায় । মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র দখল করে।
- ময়মনসিংহে পাকহানাদার বাহিনী খাদ্য সম্ভার বোঝাই করে পাঁচটি বড় বড় নৌকায় ভালুকার দিকে অগ্রসর হলে কোম্পানীর কমান্ডার চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল ঝালপাজা গ্রামে তাদের ওপর আক্রমণ চালায় । এতে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয় । মুক্তিযোদ্ধারা নৌকাসহ ৫৭০ মন আটা ও ২০ মন চিনি হস্তগত করে । এই আটা ও চিনি পরে রাজৈর ইউনিয়নের গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় ।
- চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । গেরিলা যোদ্ধারা পাকসেনাদের দু‘দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে পর্যুদস্ত করে । এতে ৩০ জন পাকসৈন্য নিহত হয় এবং বাকী সৈন্য অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায় । গেরিলা যোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে ।
- ঢাকার সামরিক আদালত রাষ্ট্রদ্রোহীতা, অস্ত্রাগার লুন্ঠন, অননুমোদিত অস্ত্র বিতরণ, রাষ্ট্রবিরোধীদের ট্রেনিং প্রদান প্রভৃতি অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৪৫ জন এম.পি. এ-কে সামরিক আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয় ।
- লেঃ জেনারেল নিয়াজী গাজীপুর অস্ত্র তৈরীর কারখানা পরিদর্শন করে অস্ত্রের প্রথম চালান তৈরী করার জন্য কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান । তিনি বলেন, এতো শ্রমের তৈরী অস্ত্র দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার হবে ।
- প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ২১ নং সামরিক আদেশকে পুনর্গঠন করে ২৪ নং সামরিক আদেশ জারি করেন ।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ।
Post a Comment Blogger Facebook