- কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী সেনেরহাট অবস্থানের ওপর পাকহানাদার বাহিনী কামান, মর্টার ও রকেট লাঞারের সাহায্যে প্রবল হামলা চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। সমস্ত দিন যুদ্ধের পর সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে টিকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে অনেক পাকসৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন বীরযোদ্ধা শহীদ ও আহত হয়।
- যশোর সদর থানায় মুক্তিবাহিনীর তিনদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর বারিনগর ঘাঁটি আক্রমণ করে।এই আক্রমণে ৩১ জন রাজাকার নিহত ও ৩৫ জন রাজাকার আহত হয়। কোন ক্ষতি ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
- সিলেটে পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর বগাগ্রাম অবস্থানের ওপর মর্টারের সাহায্যে অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে মুক্তিবাহিনীর ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়।
- সুনামগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকার বাহিনীসহ রাণীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রবেশ করে এবং রাণীগঞ্জে শ্রীরামসির মতো পাইকারি হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে ৩০ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন। শুধু তাই নয় পাক বর্বররা রাণীগঞ্জ বাজারের প্রায় দেড়শ‘ দোকান আগুন জ্বালিয়ে ভস্মীভ’ত করে।
- বাংলাদেশ ফোর্স হেডকোয়ার্টার-এর গণসংযোগ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘যুদ্ধ বিষয়ক বুলেটিন’-এ বলা হয়: বিভিন্ন সেক্টরের যুদ্ধসমূহে মুক্তিবাহিনী আজ ১১৯ জন শত্রুসৈন্যকে নিহত করেছে।
- জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাক প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের সদস্যরা হচ্ছেন : পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আলী (দলনেতা), শাহ আজিজুর রহমান, জুলমত আলী খান, বিচারপতি জাকির উদ্দিন, ব্যারিস্টার কামাল ফারুকী, ড: বেগম এনায়েতউল্লাহ, মিসেস রাজিয়া ফয়েজ, ড: ফাতেমা সাদিক, এড: এ.টি. সাদী, এড: কে.বাবর প্রমুখ।
- মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত ইংরেজী সাপ্তাহিক ‘বাংলাদেশ’-এর ‘পাগলা কুকুর হইতে সাবধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়: জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করলে ও তারা তাদের পরিকল্পনামত এগুতে পারেনি।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook