১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
- ৮নং সেক্টরের ভোমরা নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়।
- মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার গুথুমা নদীতে টহলরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য হতাহত হয়।
- ২নং সেক্টরে মুিক্তবাহিনী মান্দাবাগ এলাকায় পাকহানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয়।
- ১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী সমরকান্দ এলাকায় পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৫ জন পাকসৈন্য হতাহত হয় এবং বাকী সৈন্য যুদ্ধ না করেই পিছু হটে।
- ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মুক্তিবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ২ জন পাকসেনা নিহত ও অপর ২ জন আহত হয়।
- মুক্তিযোদ্ধারা সাটানি, নারায়ণঘাট, আবাদের হাট ও কাকভাঙ্গায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। দীর্ঘ গোলাবিনিময়ের পর ১০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
- পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সহ-সভাপতি মাহমুদ আলী পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকা সফর শেষে ঢাকা আসেন। তিনি বলেন, ইউরোপের বেতার, টিভি, সংবাদপত্রগুলো একই সুরে প্রচার করে চলেছে পূর্ব পাকিস্তানে একটা অঘটন ঘটে গেছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক নির্বাচনে যে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে তাদের ক্ষমতা না দিয়ে সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের জনগণের দাবি নস্যাৎ করতে চায়। কারণ নির্বাচনের ফলাফল পশ্চিম পাকিস্তানিদের মন:পুত হয়নি। তিনি বলেন, ইউরোপের বুদ্ধিজীবীরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, যা ঘটবার ঘটেছে। এখন যারা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাদের নেতার সাথে আপোস করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা দেশসমূহে এই ধারণা জন্মেছে যে, পাকিস্তানের নির্বাচনে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাদের সাথে আপোস না করলে বর্তমানে সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা তাদের বলেছি নীতিগতভাবে আমরা এর বিরোধী নই। তবে নির্বাচনে যে দল জয়ী হয়েছে সেই দলের নেতা পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছেন। এমন নেতৃত্বের সাথে আপোস হতে পারে না। আজ তাঁর সঙ্গে যদি কোনো মীমাংসায় আসতে হয় তবে তা অখন্ড পাকিস্তানের ভিত্তিতে হতে হবে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook