- ২নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর চালনা ও শীতলা অবস্থানের ওপর দু‘দিক থেকে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। সমস্তদিন যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকসেনা ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হয় এবং পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরাজয়ের গ্লানিতে পশ্চাদপসরণকারী পাকসেনারা তীব্র আক্রোশে ব্রাহ্মণপাড়া, ছোট চাঁদলা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয় এবং নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা করে।
- সিলেটে আমলসিদ মুক্তাঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর দুই প্লাটুন যোদ্ধার ওপর পাকহানাদাররা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে পাকবর্বরদের শেলিংয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক ও আকমল আলী শহীদ হন এবং একজন বীর যোদ্ধা আহত হন।
- মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল সৈয়দ আহসান হাবিব দিপুর নেতৃত্বে ৬ জন পাকপুলিশকে নদী পথে বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি খাদ্য নিয়ে যাওয়ার পথে ফুলবাড়ি ঘাটে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে দুইজন পুলিশ নিহত হয়। বাকী চারজন পুলিশ পালাতে গিয়ে জনসাধারণের হাতে ধরা পড়ে ও নিহত হয়। গেরিলারা কিছু অস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী দখল করে।
- ৬নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী সুবেদার মেজর আরব আলীর নেতৃত্বে পাকসেনাদের নাগেশ্বরী অবস্থানের ওপর ঝাটিকা আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
- ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ইছাখালী বি-ও-পি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়।
- পাকিস্তান সরকার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পেনশন বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ সরকার আবার তা চালু করেন। কবির কলকাতার বাসভবনে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাদেশের হাই কমিশনার এম. হোসেন আলী কবিকে ২১০০ রূপির একটি চেক প্রদান করেন।
- রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়: প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান সকলের প্রতি সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন। পূর্ব পাকিস্তানে সাম্প্রতিক গোলযোগের সময় গত ১ মার্চ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারা অপরাধ করেছেন অথবা যাদের প্রতি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের সবাইকে ক্ষমা করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে কার্যকর এই সাধারণ ক্ষমা সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, মুজাহিদ ও আনসারসহ সকলের প্রতি প্রযোজ্য হবে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook