২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
- ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী কোম্পানী কমান্ডার আবুল কাশেম ও প্লাটুন কমান্ডার মনিরুদ্দিনের নেতৃত্বে পাকবাহিনীর ভালুকা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৪ জন পাকসেনা ও ৩ জন রাজাকার নিহত হয়।
- ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গলের ‘বি’ কোম্পানী পাকসেনাদের নয়ানপুর অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে গোলান্দাজ বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করে।
- পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি এম. আর. সিদ্দিকীর জাতিসংঘের অঙ্গনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্যে মহাসচিব উ‘থান্টের কাছে আবেদন জানায়।
- বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে বৃটিশ লেবার পার্টির সচিব টিম রিডআউট এক চিঠিতে অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় দলের সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাঁকে অনুরোধ জানান।
- রাওয়ালপিন্ডিতে সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক আদালতে দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
- উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে কেএসসি-র ওয়াকিং কমিটি এক জরুরি বৈঠকে জয়নুল আবেদীন, এম.এ.হাই, এম.এ.রব, নিজামুদ্দিন মোল্লা ও শাহমহিউদ্দিনকে নিয়ে একটি সাব-কমিটি গঠন করে।
- সেক্রেটারিয়েটের কেবিনেট কক্ষে ডা: মালিকের সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রীরা যুদ্ধকালীন কৃচ্ছতা ও দেশপ্রেম দেখাতে তাদের বেতন ৫ থেকে ১০ ভাগ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন।
- শান্তি কমিটি দিলকুশা ইউনিয়ন শাখা কার্জন হলে মন্ত্রীদের সম্বর্ধনা দেয়। গোলাম আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় শামসুল হক বলেন, ভারতের দুরভিসন্ধি ফাঁস হয়ে যাবে ভেবেই তারা জাতিসংঘ, রেডক্রস, সাংবাদিক এবং মানবতাবাদীদের দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook