image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
০৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী সদর থানার বংশীতলা আখ ক্রয় কেন্দ্রের পাশে পাকসেনা বোঝাই ৬/৭টি ট্রাক-কে আক্রমণ করে। এতে ...
০৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
  • কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী সদর থানার বংশীতলা আখ ক্রয় কেন্দ্রের পাশে পাকসেনা বোঝাই ৬/৭টি ট্রাক-কে আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে ৬০ জন পাকসেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধ ‘বংশীতলা যুদ্ধ’ নামে খ্যাত।
  • মুক্তিবাহিনী চট্টগ্রামের কাছে রাজাকার ক্যাম্পের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৬ জন রাজাকার নিহত ও অনেকে গুরুতরভাবে আহত হয়।
  • সিলেটে তাজপুর মুক্তাঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর পাকসেনারা দুইবার আক্রমণ চালায়। দুইবারই পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষে একজন পাকহানাদার ও ৬ জন রাজাকার নিহত হয়।
  • এম.এ. জিন্নাহর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল চট্টগ্রাম মহানগরীর দিকে অগ্রসর হলে মীরশ্বরাই এলাকায় কয়েক দফায় রাজাকার বাহিনী ও পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে অনেক রাজাকার ও পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর এ দলের বিশেষত্ব হচ্ছে শুধু দলনেতা ছাড়া আর সবার বয়স দশ থেকে পনের বছরের মধ্যে।
  • বাকেরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গোপন আস্তানায় রাজাকার, আলবদর ও পাকিস্তানি হানাদারদের সম্মিলিত একটি দল অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন আস্তানার সন্ধান দেয় ঘাতকদের সহযোগী স্থানীয় দালাল জোনাব আলী।
  • দিনাজপুরের গোদামারি-বড়কথা এলাকায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে ৮ জন পাকহানাদার নিহত হয়।
  • ৬নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী দিমপাড়া এলাকায় পাকবর্বরদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৪ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
  • ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী গোয়ালহাটি এলাকায় পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে এক দঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে পাকহানাদার বাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়।
  • পাকিস্তানের সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়: যেসব এম.এন.এ; এম.পি.এ; সরকারী কর্মকর্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ ক্ষমা প্রযোজ্য হবে না।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top