- ৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কাটাখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়।
- ২নং সেক্টরে সুবেদার গোলাম আম্বিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল শ্রীপুর এলাকায় পাক হানাদারদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাক হানাদারবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
- পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য কুষ্টিয়ার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিলে মুক্তিবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। মুখোমুখি সংঘর্ষে পাকহানাদার বাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও ৫ জন গুরুতরভাবে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে।
- মুক্তিবাহিনীর ৬০ জন গেরিলার একটি দল ভারতের মেলাঘর ক্যাম্প থেকে গেরিলা ট্রেনিং শেষে চারটি নৌকায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পথে শালদা নদীতে পাকসেনাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর দু’টি নৌকা পানিতে ডুবে যায়। এতে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন।
- ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কোটা নামক এলাকায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে।
- পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে ঘোষণা করেন, তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানের উপনির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি জানুয়ারির আগেই দেশে পূর্ণ সংসদীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করে একই সাথে কেন্দ্র ও প্রদেশসমূহের ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
- গভর্নর ডা: এ.এম. মালিকের সভাপতিত্বে সেক্রেটারিয়েটের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রীপরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নবনিযুক্ত মন্ত্রীরা তাদের পাকিস্তান প্রীতির নিদর্শন হিসেবে নিজেদের বেতন ভাতা কমিয়ে নেয়।
- গভর্নর ডা: এ.এম. মালিক সংবাদপত্র ও বার্তা প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ করে দেয়া হয়।
- শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে এম.আর.এ. রেজভীর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও পুরনো ঢাকার বিহারী নেতারা সাক্ষাৎ করেন।
- মতিউর রহমান নিজামী ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, মাদ্রাসা ছাত্ররা দেশ রক্ষায় একযোগে এগিয়ে এসেছে। কারণ তারা ইসলামকে ভালবাসে। পাকিস্তানকে ভালবাসে। অথচ এই মাদ্রাসা ছাত্ররাই সবচাইতে অবহেলিত। পক্ষান্তরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা সত্বেও পাকিস্তানকে ধ্বংস করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
তথ্যসূত্র : মুক্তযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook