![]() |
- মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার পাকবাহিনীর মনোরা সেতু অবস্থানের ওপর মর্টার ও মেশিনগানের সাহায্যে অতর্কিত আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের গোলাগুলিতে পাকসেনারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে এবং মনোরা সেতু অবস্থান ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। এ সংঘর্ষে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও অনেকে আহত হয়। ক্যাপ্টেন আইনউদ্দিনের নেতৃত্বে একটি এ্যামবুশ দল নওগাঁও এবং আকসিনার মাঝামাঝি রাস্তায় পাকসেনাদের একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এতে ৭ জন পাকসেনা নিহত ও ৪ জন আহত হয়। অপরদিকে একজন মুক্তিযোদ্ধা গুরুতরভাবে আহত হন। এ্যামবুশ দল নিজ ঘাঁটিতে ফেরার পথে সাইদাবাদ থেকে কসবাগামী পাকবাহিনীর এক কোম্পানী সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২১ জন পাকসেনা ও ১ জন দালাল নিহত এবং ৯ জন আহত হয়।
- মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার নরসিংহের কাছে ৭ জন পাকদালালকে এ্যামবুশ করে বন্দী করে। মুক্তিযোদ্ধারা দালালদের কাছ থেকে ২টি রাইফেল, ৪টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ১টি ওয়্যারলেস সেট এবং ১২০ রাউন্ড গুলি দখল করে।
- ভোর পাঁচটায় ঘাটাইল থানার কালিদাস পাড়ায় মুক্তিবাহিনী ও পাক দালালদের মধ্যে দু‘ঘন্টা ব্যাপী খন্ড যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে ১৯ জন রাজাকার নিহত ও ৭ জন আহত হয়।
- নোয়াখালীতে সুবেদার ওয়ালীউল্লা নরিমপুর রেকি করতে এলে পাকদালালরা তাঁকে কৌশলে ঘিরে ফেলে ও বন্দী করে। তৎক্ষণাৎ ওয়ালী উল্লা পিস্তল দিয়ে একজন দালালকে গুলি করে দৌড়াতে থাকেন এবং শেষপর্যন্ত দালালদের কাছ থেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন।
- জাতিসংঘ মহাসচিব উ‘থান্ট ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রদূতের সাথে দুই দেশের সীমান্তে অব্যাহত উত্তেজনা সম্পর্কে আলোচনার জন্য পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন।
- ন্যাপ প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক বিবৃতিতে বাম শক্তিসমূহকে মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমরা বাম, ডান কিংবা মধ্য-যে পন্থীই হই না কেন আমাদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত মাতৃভ’মির স্বাধীনতা।’ তিনি আরো বলেন, ‘কিছু লোক সম্পূর্ণ ব্যাক্তি স্বার্থে আমাদের মধ্যে বিভেদের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের সবাইকে এসব মীরজাফরদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.