১৪ জুলাই, ১৯৭১
- পাকবাহিনীর বেলাবো আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে সুবেদার বাশারের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল বেলাবোর নিকটবর্তী এলাকা টোকের কাছে এ্যামবুশ তৈরী করে। বিশ্বাসঘাতকদের সহযোগিতায় পাকহানাদার বাহিনী এ্যামবুশের কথা জানতে পারে। ফলে তারা লঞ্চে না এসে নৌকাযোগে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান অতিক্রম করে। পরে একটি খালি লঞ্চ এলে মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাবাহিনী মনে করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলি বর্ষণের সাথে সাথে পাকসেনারা পিছন দিক থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। এই যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার আবুল বাশার, সিপাহী আবদুল বারী, সিপাহী নূরুল ওহাব, সিপাহী সোহরাব হোসেন, সিপাহী মমতাজ উদ্দীন, সিপাহী আব্দুল হক ও সিপাহী আবদুস সালাম শহীদ হন। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধারা পশ্চাদপসরণ করে।
- কুড়িগ্রামে মুক্তিবাহিনীর একদল গেরিলা পাকবাহিনীর বড়খাতা অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকহানাদার বাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা সিপাহী মুহাম্মদ আলী বর্বরদের গুলিতে শহীদ হন।
- ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম লোক সভায় বলেন, একটি জিনিস আমাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে, আর তা হলো মুক্তিফৌজের সাহসিকতার ফলে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ একদিন স্বাধীন হবেই।
- ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং লোকসভায় বলেন, পশ্চিম পাকিস্থানের শাসকচক্র বাংলাদেশের জনগণের ভাবাবেগের ওপর জঘন্য সামরিক হস্তক্ষেপের ফলে তার ঔপনিবেশিক চক্রান্তের মুখোশ খুলে পড়েছে। তিনি আরো বলেন, ভারত সরকার মনে করেন বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে যারা পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করছেন তারা পক্ষান্তরে পাকিস্তানের সামরিক শাসকবর্গকে বাঙালী জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাবার উৎসাহ দিচ্ছেন। পাকিস্তানের সামরিক শাসকবর্গ বাংলাদেশের জনগণের ব্যাপারে অযথা হস্তক্ষেপ করছেন বলে সরকার মনে করছেন।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook