- শালদা নদী এলাকায় মঈনপুর নামক স্থানে সুবেদার আব্দুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনীর সৈন্য বোঝাই একটি স্পীডবোটকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকিস্থানি সেনাবাহিনীর ২ জন লেঃ কর্নেল, ২ জন মেজর ৩ জন ক্যাপ্টেন, ১ জন নায়েব সুবেদার, ৩ জন সিপাই ও ১ জন অবাঙ্গালী ব্যবসায়ী নিহত হয়। ‘কুমিল্লার জল্লাদ’ হিসেবে পরিচিত ক্যাপ্টেন বোখারীও এই আক্রমণে নিহত হয়। এ্যামবুশ দল একটি ম্যাপ (শত্রুর অবস্থান চিহ্নিত), একটি ওয়ারলেস সেট ও কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। পরে পাকবাহিনী এলাকায় ঘোষণা করে: যে লোক সুবেদার ওয়াহাবের মৃত লাশ নিয়ে আসবে তাকে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কৃত করা হবে।
- শালদা নদীর কাছে মুক্তিবাহিনীর সাগরতলা অবস্থানের ওপর পাকহানাদার বাহিনী আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা মর্টার ও মেশিনগানের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে হানাদার বাহিনীর ৩০/৪০ জন সৈন্য হতাহত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে শালদা নদী অবস্থানে ফিরে যায়।
- ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর একদল গেরিলা ধানমন্ডির ২ নং সড়কের মোড়ে পাকবাহিনীর একটি টহলদার পুলিশের গাড়ীর ওপর গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এত একজন অফিসারসহ ৫ জন পাকিস্তানি পুলিশ নিহত হয়।
- নওগাঁয় মকাই চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল মধইল নামক স্থানে পাকবহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এতে ৬ জন পাকসৈন্য নিহত হয় ও মুক্তিযোদ্ধারা কিছু হালকা অস্ত্র দখল করে।
- নয়াদিল্লীতে কানাডার পার্লামেন্টারি প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে বাংলাদেশ ও শরণার্থী প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করেন।
- পূর্বাঞ্চলের পাকিস্তানি কমান্ডার লেঃ জেনারেল এ.এম.কে. নিয়াজী চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামের পাক সেনাবাহিনীর অবস্থানসমূহ পরিদর্শন করেন। সেখানকার সামরিক কর্মকর্তা ও স্থানীয় শান্তি কমিটির দালালরা নিয়াজীকে আশ্বস্ত করে যে, চট্টগ্রামে দুস্কৃতকারীদের আক্রমণের সকল স্থল ও নৌপথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে দুস্কৃতকারীদের সম্পূর্ণরূপে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook