![]() |
- চট্টগ্রামে ক্যাপ্টেন শামসুল হুদার নেতৃত্বে এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা পাকবাহিনীর দেবীপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। উভয়পক্ষের সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১২ জন সৈন্য নিহত হয় ও ৫ জন আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান শহীদ হন।
- হাবিলদার গিয়াসের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা মিয়া বাজার থেকে ফুলতলীতে টহলরত অবস্থায় কুমিল্লার দক্ষিণে পাকবাহিনীর ১টি জিপ ও দু’টি ট্রাক বোঝাই সৈন্যদের এ্যামবুশ করে খুব কাছ থেকে আক্রমণ চালায়। এতে ৩ জন পাক অফিসারসহ ২১ জন সৈন্য নিহত হয়।
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পাকিস্তানে অস্ত্র বিক্রির প্রতিবাদে বাংলাদেশের কয়েক হাজার শরণার্থী কলকাতাস্থ মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
- জেনেভায় জাতিসংঘের উদ্বাস্তু কমিশনার অফিস থেকে ঘোষণা করা হয়ঃ বাংলাদেশের উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘ, বিভিন্ন সরকার ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ পর্যন্ত ভারতে নগদ অর্থ ও সামগ্রী বাবদ ১৬ কোটি ডলার সাহায্য দিয়েছে।
- কংগ্রেস সদস্য কর্নেলিয়াস গ্যালাঘার মার্কিন প্রতিনিধি সভায় পাকিস্তানে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ রাখার উদ্দেশ্যে বিধিনিষেধ জারির জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান।
- ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লন্ডনে টাইমস পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের নয়া পরিকল্পনা পূর্ববঙ্গের পরিস্থিতিকে ভয়াবহ করে তুলবে।
- ঢাকায় সামরিক সরকার ঘোষণা করে, চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত এম.পি.এ.সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে শক্তিশালী পাকিস্তানের জন্য কাজ করার অঙ্গীকার ঘোষণা করেছেন।
- পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য না করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব উ’থান্ট, উদ্বাস্তু কমিশনার প্রিন্স সদরুদ্দিন আগা খান ও অন্যান্য বন্ধু সরকারের প্রতি ভারতের ওপর তাদের প্রভাব বিস্তার করার আহ্বান জানান।
- জাতিসংঘের উদ্বাস্তু সংক্রান্ত হাই কমিশনার প্রিন্স সদরুদ্দিন আগা খান শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ভারতের বাধা প্রদান সংক্রান্ত পাকিস্তানের অভিযোগ খন্ডন করে বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনেচ্ছু শরণার্থীদের বাধাদানের পেছনে ভারতের কোন স্বার্থ রয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
- পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক এ.খালেক এক বিবৃতিতে পাকিস্তান-বিরোধী দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) দুষ্কর্ম প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার জন্য দেশের নাগরিকদের আহ্বান জানান। তিনি প্রত্যেক গ্রামে ডিফেন্স পার্টি গঠনেরও আহ্বান জানান।
- খুলনা জেলা শান্তি কমিটির আহ্বায়ক মওলানা এ.কে.এম. ইউসুফ এক বিবৃতিতে পাকিস্তান রক্ষার জন্য প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেয়ায় প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও গভর্নর টিক্কা খানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
- আফ্রো-এশীয় সংস্থার বৈঠকে ভারত ‘বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দান’ ও ‘পাকিস্তান বাহিনীর বর্বরতার নিন্দা করার জন্যে ’ প্রস্তাব তুলে।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.