image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ জুলাই, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
১১ জুলাই, ১৯৭১ কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের অফিস ভবনে মুক্তিবাহিনীর সেক্টর কমান্ডারদের প্রথম সম্মেলন (১১-১৭ জুলাই) শুরু হয়। সম্মেলনে...
১১ জুলাই, ১৯৭১
  • কলকাতার ৮ নম্বর থিয়েটার রোডের অফিস ভবনে মুক্তিবাহিনীর সেক্টর কমান্ডারদের প্রথম সম্মেলন (১১-১৭ জুলাই) শুরু হয়। সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। অধিবেশনে মুক্তিযোদ্ধাদের নানা ধরনের সমস্যা ও সমন্বিত ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
  • সকাল ১১ টায় মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল পাকবাহিনীর একটি কোম্পানীকে মিয়াবাজারের দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় এ্যামবুশ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। ৪ ঘন্টাব্যাপী যুদ্ধে পাকবাহিনীর ১০/১৫ জন হতাহত হয়। পরে পাক হানাদাররা যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করে পিছু হটে।
  • লেঃ শামসুল আরেফিনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাইকগাছা থানার কপিলমুনির রাজাকার ঘাঁটি আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। যুদ্ধ শেষে মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে বড়দল ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
  • সকাল ৮ টায় পাকবাহিনী ভারী কামান ও মর্টারের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর শালদা নদী অবস্থানের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। সমস্তদিন গোলাগুলির ফলে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়। গোলাগুলিতে ৪র্থ বেঙ্গলের হাবিলদার তাজুল মিয়া ও সিপাই আব্দুর রাজ্জাক মারাত্মকভাবে আহত হয়। এছাড়াও ২ জন বেসামরিক লোক নিহত ও ৮ জন বেসামরিক লোক আহত হয়।
  • বিকেল সাড়ে ৬ টায় মুক্তিবাহিনীর ২ জন গেরিলা চাঁদপুর পাওয়ার স্টেশনের সামনে পাহারারত ২ জন পাকসেনা ও ২ জন পাকপুলিশের ওপর গ্রেনেড ছোঁড়ে। এতে সবাই নিহত হয়।
  • পূর্ব-পাকিস্তান রেডক্রসের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ.কে.এম. নূরুল ইসলাম জেনেভা সফর শেষে ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করেন।
  • মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক সহকারী ডঃ হেনরি কিসিঞ্জার গোপনে চীন সফর শেষে পাকিস্তান প্রত্যাবর্তন করেন এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে একান্ত বৈঠকে মিলিত হন। পরে তিনি প্যারিসের পথে তেহরান রওনা হন।
  • পশ্চিম পাকিস্তান পি.ডি.পি'র সভাপতি নওয়াবজাদা নসরুল্লাহ খান লাহোরে এক বিবৃতিতে বলেন, একটি ইরানী দৈনিকের সাথে সাক্ষাৎকারে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো বে-আইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ ও তার নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বর্তমান সরকারের একটি মীমাংসাভিত্তিক ফর্মুলার ব্যাপারে আলাপ আলোচনা করা উচিত বলে যে পরামর্শ দিয়েছিল তা দুঃখজনক। জনাব খান বলেন, বে-আইনী আওয়ামী লীগের সাথে পাকিস্তানের যেই আলোচনা করতে যাবেন তিনিই জাতীয় স্বার্থ বিরোধী কাজ করবেন।

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top