- শালদা নদীর রেলওয়ে স্টেশনের এক হাজার দক্ষিণে মনোরা রেলওয়ে ব্রিজ পর্যন্ত পাকবাহিনীর সৈন্যরা অগ্রসর হয়ে ব্রিজের চতুর্দিকে বাঙ্কার তৈরীর প্রত্তুতি নেয়। এ সময় ৪র্থ বেঙ্গলের ‘এ’ কোম্পানীর একটি প্লাটুন মর্টারসহ পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাকসেনারা সম্পূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং অনেক পাকসৈন্য হতাহত হয়।
- মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির মুখে পাকসেনারা উপায়ান্তর না দেখে তাদের শালদা নদী ঘাঁটিতে ফিরে যায়।
- কুমিল্লা-চাঁদপুর রাস্তার আশীকাটি গ্রামের নিকট মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা পাকবাহিনীর একটি কনভয়ের ওপর গ্রেনেড আক্রমণ চালায়। এই আকমণে ৮ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয়।
- নিয়মিত ও গণবাহিনীর একটি সম্মিলিত কোম্পানী হাজীগঞ্জের কাছে পাকবাহিনীর নরসিংপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকহানাদার বাহিনীর ১৩ জন সৈন্য নিহত ও অনেক সৈন্য আহত হয়। আক্রমণ শেষে মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।
- লেঃ হুমায়ুন কবিরের এক প্লাটুন যোদ্ধা একদল পাকসেনাকে লাটুমুড়া থেকে চন্দ্রপুর যাওয়ার পথে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৪ জন নিহত ও একজন আহত হয় এবং বাকী সৈন্য প্রাণ বাঁচাতে লাটুমুড়ার দিকে পালিয়ে যায়।
- কুমিল্লা-দাউদকান্দি সড়কে পুটিয়া গ্রামের সামনে পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ওয়াপদা ট্রাক হাবিলদার গিয়াসের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের পুঁতে রাখা এন্টি-ট্যাংক মাইনের ওপর বিস্ফোরিত হয়। ফলে ট্রাকটি ধ্বংস হয় এবং ট্রাকে অবস্থানরত একজন পাকসৈন্য, দু‘জন রাজাকার ও ড্রাইভারসহ সবাই নিহত হয়। পরে পাকসেনাদের আর একটি জীপ ও ট্রাক এন্টি-ট্যাংক মাইনের বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়। এতে ৫ জন পাকসৈন্য, ১ জন পাক মেজর ও ৬ জন রাজাকার নিহত হয়। এই সংবাদ পেয়ে কুমিল্লা থেকে পাকসেনারা ৩০টি গাড়ীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। সামনের গাড়ী থেকে পাকসৈন্যরা নেমে আস্তে আস্তে ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হলে এন্টিপার্সোনাল মাইন বিস্ফোরণে ৬/৭ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়।
- রামগঞ্জের উত্তরে নরিমপুর হতে এক কোম্পানী পাক রেঞ্জার্স ও রাজাকার দল মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হলে হাবিলদার জাকির হোসেনের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। কিছুক্ষন যুদ্ধের পর পাকসেনারা দু‘জন রাজাকারের লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
- রাজশাহী জেলার শাহপাড়ে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলের ওপর আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে পাকবাহিনীর ২২ জন সৈন্য নিহত হয়।
- গফরগাঁও থানার দেইল পাড় গ্রামে মুক্তিবাহিনী ও পাকসেনাদের মধ্যে প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ১৭ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়।
- পাকিস্তানের ইস্টার্ন কমান্ডের প্রধান লেঃ জেনারেল এ.এম.কে. নিয়াজী টাঙ্গাইল শেরপুর ও হালুয়াঘাটের সেনাবাহিনীর ঘাঁটিসমূহ পরিদর্শন করে। শেরপুর ও হালুয়াঘাটে নিয়াজী রাজাকারের সশস্ত্র ট্রেনিং দেখেন এবং তাদেরকে সেনাবাহিনীর পাশে থেকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
- মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে পাকিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক ও সামরিক সাহায্য বন্ধের সুপারিশ গৃহীত হয়।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।
Post a Comment Blogger Facebook