২৯ জুন, ১৯৭১
- বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঘোষিত আওয়ামী লীগ দলীয় পরিষদ সদস্যদের আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, অখন্ড পাকিস্তান এখন মৃত এবং ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে ঠাঁই নিয়েছে । বাংলাদেশে ইয়াহিয়া খান সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি । স্ব-আরোপিত এক নায়ক ইয়াহিয়ার বাংলাদেশ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকান নেই ।
- ইয়াহিয়া নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারই বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি । আমরাই বৈধ রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষ। বাংলাদেশের জনগণ আমাদের ছাড়া কোনো বিদেশী সরকারের চাপিয়ে দেয়া শাসনতন্ত্র মেনে নেবে না । আমরা দেশ শত্রুমুক্ত করার জন্য মুক্তিসংগ্রাম করেছি এবং আমাদের মুক্তিবাহিনী শত্রুকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছে । জনগণ আওয়ামী লীগের পেছনে রয়েছে । মুক্তাঞ্চল বাংলাদেশ সরকারের কেবল পূর্ণ নিয়ন্ত্রণেই নেই, সেখানে বেসামরিক প্রশাসন স্বাভাবিক কাজকর্ম পরিচালনা করছে ।
- ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির প্রধান মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপোষ হতে পারে না । বাংলাদেশের জনগণ রাজনৈতিক মিমাংসার নামে কোন আপোষ করবে না । আমরা মুক্তিযুদ্ধ করছি এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমেই আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে আনবো । বিজয় আমাদের হবেই ।
- কালিয়াকৈর থানার সূত্রাপুর অবস্থানকারী পাকবাহিনীর ওপর মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার গফুর, ঘাটাইলের খোরশেদ আলম, মির্জাপুরের পুলক সরকার ও মনীন্দ্র ঘোষের দল দু’তিন ভাগ হয়ে ঝটিকা আক্রমণ চালায় । এতে মুক্তিযোদ্ধারা সূত্রাপুর এলাকা মুক্ত করে ।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ।
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.