![]() |
- সকালে ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা হিয়াকু-রামগড় সড়কে রামগড়গামী পাকবাহিনীর একজন লে. কর্নেল ও দুজন মেজরসহ সৈন্য বোঝাই দুটি গাড়ির ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনারা গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা গুলি শুরু করে। ক্যাপ্টেন মাহফুজ কিছু সময় যুদ্ধ করার পর তাঁর বাহিনী নিয়ে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসেন। অপরদিকে, পাকবাহিনীর একজন লে. কর্নেল ও দুজন মেজরসহ ৫ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়। পাকসেনারা বেশ ক্ষতির শিকার হলে সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে হিয়াকু ফিরে যায়।
- বেলোনিয়ায় মুক্তিবাহিনীর মূল ঘাঁটিতে পাকবাহিনীর এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য দুদফা আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা পাক হানাদারদের আক্রমণ সাহসিকতার সাথে দুবারই প্রতিহত করে। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩০০-এর অধিক সৈন্য নিহত হয় ও ব্যাপক ক্ষতি হয়। বিপর্যস্ত ও পর্যুদস্ত অবশিষ্ট পাকসেনারা পিছু হঠে তাদের আনন্দপুর ঘাঁটিতে অবস্থান নেয়।
- ৪নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন রব-এর নেতৃত্বাধীন সাব-সেক্টরের প্রধান ঘাঁটি বড়পুঞ্জীতে স্থাপন করা হয়। এই সাব-সেক্টর লাতু, বিয়ানীবাজার, শারোপার, বড়গ্রাম, জকিগঞ্জ, আটগ্রাম, চিকনাগুল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
- মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদল সাতক্ষীরায় পাকবাহিনীর পেয়ারা বাগান ক্যাম্পের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনারা পর্যুদস্ত হয়।
- ক্যাপ্টেন হুদার নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরা এলাকাবর্তী সীমান্ত অঞ্চলের পাকবাহিনীর বসন্তপুর ঘাঁটির উপর পরিকল্পনা মোতাবেক আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনী সর্বশক্তি দিয়ে পাল্টা আক্রমণ চালালে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে।
- তালুয়াপাড়া ফেরীঘাটে পাকসেনারা একটি নৌকায় করে নদী পাড় হতে থাকলে মাঝপথে মুক্তিযোদ্ধারা অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এ অভিযানে ২০ জন পাকসেনা হতাহত হয় এবং একটি নৌকা ধ্বংস হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.