- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চতুর্থ বেঙ্গল ‘ডি’ কোম্পানির এক প্লাটুন যোদ্ধা কসবার উত্তরে চার্নল নামক যায়গায় পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এ অভিযানে ১২ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। পর্যুদস্ত পাকসেনারা ইয়াকুবপুরের দিকে পলায়ন করে। ইয়াকুবপুরের আরেক দল মুক্তিযোদ্ধা পলায়নরত পাকসৈন্যদের এ্যামবুশ করে। এতে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত ও ১৩ জন আহত হয়। এ দুটি এ্যামবুশের পর অনেক অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ মুক্তিবাহিনীর হস্তগত হয়।
- মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল কুমিল্লার পাকবাহিনীর বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালায়। এতে পাকসেনাদের যথেষ্ট ক্ষতি হয়।
- লাকসামে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর একটি গাড়িতে এ্যামবুশ করে। এ অভিযানে ৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয়।
- মস্কো সফররত ভারতীয পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং ও সোভিয়েত নেতৃবৃন্দের মধ্যে বৈঠক শেষে এক যুক্ত ইশতেহারে বলা হয়, অবিলম্বে পূর্ব বাংলায় এমন একটি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যাতে সেখান থেকে ভারতে উদ্বাস্তু যাওয়া নিশ্চিতরূপে বন্ধ হয়। উভয়পক্ষই এ ব্যাপারে একমত পোষণ করেন যে, শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা এবং উদ্বাস্তুরা যাতে নিরাপদে তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করতে পারে তার সমস্ত ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
- পূর্ব পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সভাপতি খাজা খায়রুদ্দিন ও পাকিস্তান কাউন্সিল মুসলিম লীগের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খানের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির ব্যাপারে প্রেসিডেন্টের হস্তক্ষেপের জন্য তাকে অভিনন্দন জানান এবং আশ্বাস দেন, শান্তি কমিটি এক পাকিস্তানের আদর্শ রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
- আইনজীবী জুলমত আলী বলেন, "আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছে। তারা উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে কিছু সংখ্যক বিচ্ছিন্নতাবাদীকে ক্ষেপিয়ে তুলছে। এসব দুস্কৃতকারীদের অত্যাচারে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।" তিনি আরো বলেন, "সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ হস্তক্ষেপ না করলে বিশ্বের মানচিত্র থেকে অখন্ড পাকিস্তানের নাম মুছে যেতো। সেনাবাহিনী হিন্দু ও আওয়ামী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করেছে।"
- পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সমিতির সহকারী সম্পাদক এম.এ.রব বলেন, "সেনাবাহিনী দেশদ্রোহীদের ধ্বংস করেছে। এখন সাংবাদিকদের উচিত ভারতীয় প্রচারণার বিরুদ্ধে কলম ধরে দেশের মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।"
- স্বাধীনতা- বিরোধীদের মধ্যে পাকিস্তানবোধ জাগানোর জন্য পাকিস্তান কল্যাণ ও শান্তি পরিষদ ১৪ আগষ্ট থেকে জাতীয় সংহতি কল্যাণ ও ইসলামী ভ্রাতৃত্ব সপ্তাহ পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook