![]() |
আজ শরীর একদম ভালো। গোসল করে সাড়ে এগারোটাতে তৈরি হয়ে নিলাম। নজলু আসবে এখুনি। ওকে নিয়ে মা'র বাসায় যাব। গহনা রাখার বন্দোবস্ত অবশেষে হয়েছে। মা'র বাড়ির একতলায় সিড়িঘরে সিঁড়ির নিচে ছোট একটা বাথরুম আছে। কয়েকমাস আগেই বাথরুমটা করা হয়েছে- এখনো 'প্যান' বসানো হয় নি। এই প্যান বসানোর খালি জায়গটায় গহনার বাকস রেখে সিমেন্ট করে দেওয়া হবে। রাজমিস্ত্রির কাজটা আমরাই করব। বালি, সিমেন্ট মা'র বাড়িতেই রয়েছে। নজলুর বাড়িতে তার বউয়ের ছাড়াও কয়েকজন আত্মীয়ের গহনাও আছে। পরের আমানত নিয়ে তার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। নজলুও সেসব গহনা মা'র বাড়িতে পুতে রাখবে। নজলু এলে রিকশা করে মার বাড়ি গেলাম। আমার গহনা মা'র গহনা, নজলু এবং তার আত্মীয়ের গহনা- সবগুলো একটা বড় বিস্কুটের চ্যাপটা টিনে রাখা হলো। সব গহনার লিস্ট করে তার তিনটে কপি করা হলো। একটা লিস্ট গহনার বাকসে থাকবে- বাকি তিনটে তিনজনের কাছে।
নজলু হেসে বলল, "আাশা করি তার আগেই খানসেনারা এসে হামলা করবে না।"
আমি ধমকে উঠলাম, "বালাই ষাট, অকথা কুকথা কেন বলছ?"
মা বললেন, "কোন ভয় কোরো না। রোজ আমি দোয়া-দরুদ পড়ে বাড়ি বন্ধ করি। আল্লার রহমতে কোন খানসেনা কি বিহারি এ বাড়িতে আসতে পারবে না।"
মা'র প্রত্যয়ে আমরাও অনেকখানি ভরসা পেলাম।
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.