image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ জুন, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
০৭ জুন, ১৯৭১ ফেনীতে মুক্তিবাহিনীর ভান্দুরা রেল স্টেশন-সেলোনিয়া নদী তীরে অবস্থানের ওপর পাকসেনারা অতর্কিতে হামলা চালায়। সারাদিনভর এব...

০৭ জুন, ১৯৭১
  • ফেনীতে মুক্তিবাহিনীর ভান্দুরা রেল স্টেশন-সেলোনিয়া নদী তীরে অবস্থানের ওপর পাকসেনারা অতর্কিতে হামলা চালায়। সারাদিনভর এবং এমনকি রাতেও হানাদাররা মর্টার গোলাবর্ষণ অব্যাহত রাখে। পাকসেনাদের এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থানে অটুট থাকে।
  • সাতক্ষীরার দেবহাটা থানা ক্যাম্প আক্রমণের উদ্দেশ্যে শ্রীপুরের খেলার মাঠের পার্শ্বে একটি বাড়িতে আশ্রয়রত ৪৫ জনের একদল মুক্তিযোদ্ধার ওপর ভোরে পাকবর্বররা অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দোহা কাজল, নাজমুল আবেদীন, নারায়ন চন্দ্র ধর ও আবুল কালাম শহীদ হন। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের পাল্টা আক্রমণের মুখে পালিয়ে যায়।
  • প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ইয়াহিয়া খান অর্থ সংক্রান্ত সামরিক বিধি জারি করেন। তাতে বলা হয়, যেসব পাকিস্তানি নোটে ‘বাংলাদেশ’ অথবা ‘জয়বাংলা’ লেখা অথবা মুদ্রিত থাকবে সেসব নোট অচল বলে ধরা হবে। ৫০০ ও ১০০ টাকার পাকিস্তনি নোট ৭ জুন মধ্যরাত থেকে অচল বলে গণ্য হবে।
  • ঢাকায় সামরিক বাহিনীকে আরো আক্রমণাত্মক করার জন্য ১৫০ নং সামরিক আদেশ জারি করা হয়। এই আদেশ বলে সামরিক সেক্টরগুলোকে পুনর্গঠিত করা হয়।
  • ইসলামাবাদে জনৈক মুখপাত্র ঘোষণা করেন, পূর্ব পাকিস্তানের জাতীয় সংস্থাগুলোর জাতিসংঘের সাহায্য সামগ্রী বন্টন করার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত পাকিস্তান পরিত্যাগ করেছে।
  • মুসলিম লীগ নেতা খান এ. সবুর ঢাকায় এক বিবৃতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগে পাকিস্তানি পতাকা ও সঙ্গীত পরিবেশনের দাবি করেন এবং ইসলামী ও পাকিস্তানি আদর্শে মিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এক ব্যক্তির খামখেয়ালী ও ঔদ্ধত্যের ফলে আমাদের অস্তিত্ব বিলীন হতে চলেছিল। পাকিস্তান একটি আদর্শভিত্তিক রাষ্ট্র এবং যে কোনো মূল্যে আমরা দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে একে রক্ষা করবো।
  • ডা. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বগুড়া সেন্টাল হাই স্কুল মাঠে শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রিন্সিপাল মওলানা নজিবুল্লা, বগুড়া জেলা জামায়াত নেতা মওলানা আবদুর রহমান। বক্তারা মুক্তিযোদ্ধাদের দুষ্কৃতকারী হিসেবে চিহ্নিত করে এদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার আহ্বান জানান।
  • খান ফজলে রব চৌধুরী, এম.এন.এ নূরুল ইসলাম সিকদার প্রমুখের নেতৃত্বে ঝালকাঠির স্বাধীনতা বিরোধীরা সংগঠিত হয়। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, "যারা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে তাদেরকেই ধরতে হবে।"

তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top