মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার দক্ষিণে পাকসেনাদের ঘাঁটির কংসতলা ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। তিন ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা এতই বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে যে, কংসতলা অবস্থান পরিত্যাগ করে তারা কুমিল্লায় চলে যেতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর সুবেদার শাহজামানসহ ১৬ জন সৈন্য নিহত ও ৮ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ফেনীতে মুক্তিবাহিনী ক্যাপ্টেন পাশার নেতৃত্বে পাকসেনাদের নয়নপুর ঘাঁটির ওপর প্রথম আর্টিলারির গোলা নিক্ষেপ করে। ক্যাপ্টেন আশরাফের নেতৃত্বেও আরেক দল মুক্তিযোদ্ধা নয়নপুরে পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর এই আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী নয়নপুর ছেড়ে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশনের মূল ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়। </li> </ul> <ul> <li>নওগাঁয় মুক্তিবাহিনী মকলেসুর রহমান রাজার নেতৃত্বে বাগমারা থানার নিকরা ও বাইগাছায় রাজাকারদের ২টি শক্তিশালী ক্যাম্প আক্রমণ করে। এতে রাজাকারদের ক্যাম্প দু’টি ধ্বংস হয় এবং অনেক রাজাকার নিহত ও আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর একদল যোদ্ধা সিলেটের জাফলং-এ পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান পররাষ্ট্র দফতর ভারতের অস্থায়ী হাইকমিশনারকে ডেকে সরকারিভাবে পাকিস্তান দূতাবাসের ৪ জন কর্মচারীকে ফেরত দেয়ার দাবি জানায়। মূলত এসব কর্মচারী মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পাকিস্তান দূতাবাস ত্যাগ করে বাংলাদেশ সরকারে যোগ দিয়েছিলো। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে তাহরিকে ইশতেকলাল প্রধান এয়ার মার্শাল (অব:) আজগর খান বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচিত এম.এন.এ ও এম.পি.এ-দের অবস্থা যাই হোক আর যেখানেই তারা থাকুন সাধারণ ক্ষমাকে সম্প্রসারিত করে তাদের সবাইকে ক্ষমা এবং স্বপদে পুনর্বহাল করা উচিত। তিনি বলেন, যারা নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন, তাদের ক্ষমতায় আসা উচিত। </li> </ul> <ul> <li>নেদারল্যান্ডের দৈনিক “De Tud” পত্রিকায় প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিস্থিতির উপর এক নিবন্ধে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। এ পর্যন্ত ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী শরণার্থীদের সংখ্যা ৮০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তারা পৃথিবীকে বলছে পাক প্রেসিডেন্ট পূর্ব পাকিস্তানকে কি অমানবিক অবস্থার সৃষ্টি করেছে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

৩০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার দক্ষিণে পাকসেনাদের ঘাঁটির কংসতলা ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী কোম্পানী কমান্ডার আবুল কাশেম ও প্লাটুন কমান্ডার মনিরুদ্দিনের নেতৃত্বে পাকবাহিনীর ভালুকা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৪ জন পাকসেনা ও ৩ জন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গলের ‘বি’ কোম্পানী পাকসেনাদের নয়ানপুর অবস্থানের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে গোলান্দাজ বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করে। </li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান সরকার জাতিসংঘে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি এম. আর. সিদ্দিকীর জাতিসংঘের অঙ্গনে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্যে মহাসচিব উ‘থান্টের কাছে আবেদন জানায়। </li> </ul> <ul> <li>বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর কাছে বৃটিশ লেবার পার্টির সচিব টিম রিডআউট এক চিঠিতে অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় দলের সম্মেলনে যোগদানের জন্য তাঁকে অনুরোধ জানান। </li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে সরকারীভাবে ঘোষণা করা হয়, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অভিযোগে অভিযুক্ত অধুনালুপ্ত আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিশেষ সামরিক আদালতে দায়েরকৃত মামলায় এ পর্যন্ত ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। </li> </ul> <ul> <li>উপ-নির্বাচনকে সামনে রেখে কেএসসি-র ওয়াকিং কমিটি এক জরুরি বৈঠকে জয়নুল আবেদীন, এম.এ.হাই, এম.এ.রব, নিজামুদ্দিন মোল্লা ও শাহমহিউদ্দিনকে নিয়ে একটি সাব-কমিটি গঠন করে। </li> </ul> <ul> <li>সেক্রেটারিয়েটের কেবিনেট কক্ষে ডা: মালিকের সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে মন্ত্রীরা যুদ্ধকালীন কৃচ্ছতা ও দেশপ্রেম দেখাতে তাদের বেতন ৫ থেকে ১০ ভাগ কমানোর সিদ্ধান্ত নেন। </li> </ul> <ul> <li>শান্তি কমিটি দিলকুশা ইউনিয়ন শাখা কার্জন হলে মন্ত্রীদের সম্বর্ধনা দেয়। গোলাম আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় শামসুল হক বলেন, ভারতের দুরভিসন্ধি ফাঁস হয়ে যাবে ভেবেই তারা জাতিসংঘ, রেডক্রস, সাংবাদিক এবং মানবতাবাদীদের দেশে ঢুকতে দিচ্ছে না।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ময়মনসিংহে মুক্তিবাহিনী কোম্পানী কমান্ডার আবুল কাশেম ও প্লাটুন কমান্ডার মনিরুদ্দিনের নেতৃত্বে পাকবাহিনীর ভালুকা ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div> <b>২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি শক্তিশালী দল কায়েমপুর পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। চার ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে টিকতে না পেরে কায়েমপুর ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। এই যুদ্ধে ১৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পক্ষে কয়েকজন বীর যোদ্ধা শহীদ ও আহত হন। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে মেশিনগান, মর্টার ও অন্যান্য অস্ত্রশস্ত্র এবং প্রচুর গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>রংপুরের ছাতনাই গ্রামে ৭০ বছরের এক বৃদ্ধাকে পাক নরপিচাশরা নির্মমভাবে হত্যা করে। উক্ত বৃদ্ধার পুত্র মকবুল হোসেন মুক্তিবাহিনীর সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করছিলেন এই অভিযোগে তাঁকে হত্যা করে। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লার কসবার কাছে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের কাইউমপুর ঘাঁটির ওপর মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩৫ জন সৈন্য নিহত ও ১৫ জন আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর একজন বীর যোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>প্রধান সামরিক প্রশাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসের ৮ জন অফিসারকে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন। এঁরা হলেন, ইরাকস্থ রাষ্ট্রদূত এ.এফ.এম.আবুল ফাত্তাহ্, কলকাতাস্থ ডেপুটি হাইকমিশনার হোসেন আলী, জাতিসংঘস্থ সহকারী স্থায়ী প্রতিনিধি এস.এ.করিম, ওয়াশিংটনস্থ কাউন্সিলার এস.এ.এম.এস.কিবরিয়া, থার্ড সেক্রেটারি মহিউদ্দিন আহমদ ও আনোয়ারুল করিম। </li> </ul> <ul> <li>গভর্নর ডা: এ.এম.মালিক এক বক্তৃতায় ‘পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি ধ্বংসের প্রয়াসে লিপ্ত শত্রুদের তৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>সামরিক প্রশাসকের দফতর থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জনগণকে সতর্ক করে দেয়া হয় যে, কোনক্রমেই শেখ মুজিবের বিচার সম্পর্কে কোন মন্তব্য করা যাবে না। </li> </ul> <ul> <li>বগুড়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মওলানা নজিব উল্লাহর নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মাদ্রাসা শিক্ষকরা মন্ত্রীকে জানান, এলাকায় তারা প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি শক্তিশালী দল কায়েমপুর পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। চার ঘন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li> মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাকসেনাদের একটি দলকে মাগুলা বাজার থেকে রসদ নিয়ে দোহার থানার ক্যাম্পে যাবার পথে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ১৪ জন পাকসেনা নিহত ও ৮ জন আহত হয়। গেরিলা যোদ্ধারা পাকসেনাদের সমস্ত রসদ দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৪নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের একটি দলকে রসদ নিয়ে বড়াইল ক্যাম্পের দিকে যাবার পথে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী মর্টারের সাহায্যে নওয়াবগঞ্জ থানার পাকসেনাদের রামচন্দ্রপুর ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ৭ জন সেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৬নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কমান্ডার মোত্তালিব ও কমান্ডার এস.এম. ফারুকের নেতৃত্বে হিলিতে পাকসেনাদের সাথে প্রচন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়। আড়াই ঘন্টা ব্যাপী এই যুদ্ধে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধা কমান্ডার মোত্তালিব মর্টারের গুলিতে আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় পাকসেনাদের ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাংলাদেশ সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য তিনদিনের সরকারী সফরে মস্কো রওয়ানা হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী ৪টি লঞ্চে করে নবাবগঞ্জের দিকে অগ্রসর হলে ৫০ জন গেরিলার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী মুক্তিযোদ্ধা দল গালিমপুরের কাছে লঞ্চগুলোকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ৩৫ জন সৈন্য নিহত এবং অনেক আহত হয়। বাকী পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বক্তৃতাকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং বাংলাদেশের পরিস্থিতি উল্লেখ করে ভারতে অবস্থানকারী শরণার্থীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তি ও আওয়ামী লীগের সাথে একটি মীমাংসায় আসার জন্য পাকিস্তানিদের প্রাত আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মওলানা এম.এম.মান্নানের নেতৃত্বে মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির একটিপ্রতিনিধিদল ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লে: জেনারেল নিয়াজীর সাথে দেখা করেন। সাক্ষাতে মওলানা মান্নান বলেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তার জন্য মাদ্রাসার শিক্ষকরা লে: জেনারেল নিয়াজীকে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন। তিনি লে: জেনারেল নিয়াজীকে একখানা কোরাআন শরিফ উপহার দিয়ে তাঁকে আশ্বাস দেন ওলেমা ও মাদ্রাসার শিক্ষকরা রাষ্ট্রবিরোধীদের উৎখাতের ব্যাপারে সেনাবাহিনী সাহায্য করতে প্রস্তুত। </li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাকসেনাদের একটি দলকে মাগুলা বাজার থেকে রসদ নিয়ে দোহার থানার ক্যাম্পে যাবার পথে আক্রমণ কর...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে ২৫০ সদস্যবিশিষ্ট পাকসেনা ও রাজাকারদের একটি দল রামগঞ্জ বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। এই খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনীর ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল রামগঞ্জ বাজারের পূর্ব দিকে পাকসেনাদের জন্য এ্যামবুশ পাতে। পাকসেনা ও রাজাকারের দল অগ্রসর হবার পথে এ্যামবুশের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ২০ জন পাকসেনা ও রাজাকার নিহত এবং ২৭ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৪নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৬০ জন যোদ্ধার একটি দল কুমারসাইলে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক অভিযান চালায়। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে আড়াই ঘন্টা গোলা বিনিময় হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৯ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৫নং সেক্টরের তামাবিল সাব-সেক্টর ব্রেভো কোম্পানী কমান্ডার হিসেবে মোঃ রফিকুল আলম কোম্পানীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা পাকবাহিনীর দত্তনগর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ২ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ঢাকার গোপীবাগে শহর মুসলিম লীগ সভাপতি মোহাম্মদ হোসেনের বাসভবনে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধারা আক্রমণ চালায়। এতে পাহাড়াদারদের সাথে গেরিলাদের প্রচন্ড গুলি বিনিময় হয়। তবে কোন হতাহত হয়নি। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী গোপালগঞ্জ মহকুমার রায়চন্দ্রপুরে মধুমতি নদীতে পাকিস্তানিদের খাদ্য ও অস্ত্র বোঝাই ৪ টি নৌকার ওপর দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকবাহিনীর দু’টি নৌকা ডুবে যায় এবং ১৫ জন রাজাকার ও ২ জন পাঞ্জাবী পুলিশ নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>রাজশাহী সীমান্তে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি দলকে অতর্কিতে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকসেনা দলের সকল সদস্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>গভর্নর ডাঃ এ.এম.মালিক মুক্তিযুদ্ধবিরোধী প্রচারণা চালানোর উদ্দেশ্যে রেডিও পাকিস্তানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গভর্নর ছাত্রদেরকে কোন ধরনের বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপে অংশ না নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান। </li> </ul> <ul> <li>জামায়াতে ইসলামীর একটি দল লন্ডন সফর করে। লন্ডনে এক সভায় সফরকারী জামায়াতে নেতা মওলানা খলিল বলেন, পৃথিবীর কোন শক্তি নেই পাকিস্তানকে বিভক্ত করে। </li> </ul> <ul> <li>অপর নেতা মওলানা হামিদী স্বাধীনতা সংগ্রামকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বলেন, তথাকথিত বাংলাদেশের কোন অস্তিত্ব নেই।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে ২৫০ সদস্যবিশিষ্ট পাকসেনা ও রাজাকারদের একটি দল রামগঞ্জ বাজারের দিকে অগ্রসর হয়। এই খবর পেয়ে মুক্তিবাহি...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১৫ সদস্যের একটি গেরিলা দল গুতুমা নামক স্থানে পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৩ জন পাকসেনা হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে পাকসেনাদের চম্পকনগর বিত্তপি অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর বহু বাঙ্কার বিধ্বস্ত হয় এবং ৫ জন সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে পাকবাহিনী একটি লঞ্চে নওয়াবগঞ্জের দিকে অগ্রসর হলে গালিমপুরের কাছে একদল গেরিলা লঞ্চটির ওপর অতর্কিতে আক্রমণ করে। এই যুদ্ধ ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত চলে। শেষ পর্যন্ত পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদের যোদ্ধাদের কাছে পর্যুদস্ত হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ক্যাপ্টেন জাফর আলী খান, সুবেদার আবদুল্লাসহ ৪৬ জন সৈন্য নিহত হয় এবং লঞ্চটি ডুবে যায়। অপরপক্ষে মুক্তিবাহিনীর বীর গেরিলা যোদ্ধা আবদুর রহিম এবং মুহম্মদ আলী শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ছাতকের টেবলাই নামক গ্রামে অবস্থানরত এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধার ওপর পাকসেনাদের তিনটি দল মিলিতভাবে আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্রের সাহায্যে একযোগে আক্রমণ চালায়। কিছুক্ষণ যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা কৌশল পরিবর্তন করে মেলা সাব-সেক্টরের সদর দপ্তর বাঁশতলা পর্যন্ত পিছিয়ে যায়। বাঁশতলা থেকে শক্তি সঞ্চয় করে মুক্তিযোদ্ধারা আবার পাল্টা আক্রমণ চালালে পাকসেনারা রণে ভঙ্গ দিয়ে পালিয়ে য়ায়। ৪ ঘন্টা ব্যাপী এ যুদ্ধে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফরিদপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার নূর মোহাম্মদের যুদ্ধ রিপোর্ট : ফরিদপুরের ভাটিয়া পাড়ায় মুক্তিবাহিনী দঃসাহসিক অভিযান চালিয়ে ১৭ জন পাকসৈন্যকে হত্যা করে এবং ৯ জনকে আহত করে। মুক্তিবাহিনী ভাটিয়াপাড়া ওয়ার্লেস স্টেশন ধ্বংস করে দেয়। অপরদিকে ভেদরগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর আর একটি আক্রমণে ৮৫ জন পাকপুলিশ ও রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা এনায়েত ও আবুল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল-এর সামনের রাস্তায় প্রাদেশিক সরকারের মৌলিক গণতন্ত্র ও স্থানীয় স্বায়ত্বশাসন মন্ত্রী মওলানা মোহাম্মদ ইসহাকের গাড়ীতে গ্রেনেড আক্রমণ চালায়। এতে মওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও গাড়ীর ড্রাইভার গুরুতর আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>করাচীতে একজন সরকারী মুখপাত্র ঘোষণা করেন : পূর্ব পাকিস্তানের অবস্থা সম্পর্কে ভারতীয় অপপ্রচারের বিরুদ্ধে বিশ্ব বাসীর সামনে প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরার জন্য পাকিস্তানের যেসব প্রতিনিধি বিদেশ সফর করছেন তাদের মধ্যে দৈনিক ‘ইত্তেফাক’-এর সাংবাদিক খন্দাকার আবদুল হামিদ রয়েছেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল হারবার্ট ড্যানিয়েল স্পিভাক জামায়াত নেতা আব্বাস আলী খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব সুলতান মোহাম্মদ খান জাতিসংঘ মহাসচিব উ'থান্টের কাছে এক পত্রে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ করেন। পত্রে আরো উল্লেখ করা হয়, "দুঃখের সঙ্গে স্বীকার করতে হয় যে, জাতিসংঘের কতিপয় সদস্য রাষ্ট্র জাতিসংঘ বিধির প্রতি সমর্থনের বুলি আওড়িয়ে প্রকৃতপক্ষে জাতিসংঘের মূলনীতিকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত থেকে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিপন্ন করে তুলেছে।"</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১৫ সদস্যের একটি গেরিলা দল গুতুমা নামক স্থানে পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৩ জন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল ১৭টি নৌকায় মুক্তিবাহিনীর রেইডিং দলকে আক্রমণ করার জন্য নবীনগরের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনাদের নৌকাগুলো বিদ্যাকোর্ট গ্রামের নিকট পৌঁছালে মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে অতকির্তে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৫ টি নৌকা ডুবে যায় এবং ২৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে মুক্তিযোদ্ধারা সিন্দুরখান-কালেঙ্গা রাস্তার উপর ছোট ছোট পাহাড়ের উপর এ্যামবুশ লাগিয়ে পাকসেনাদের অপেক্ষায় ওঁৎ পাতে। পাকবাহিনীর একটি বড় দল ২০/২৫ জন রাজাকারকে সামনে দিয়ে কালেঙ্গার দিকে অগ্রসর হয়। রাজাকার দল এ্যামবুশের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা নিরব থাকে। কিছুক্ষণ পর পাকসেনারা এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধে পাকসেনাদের একজন অফিসারসহ ৬১ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। অপরদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নায়েক আবদুল মান্নান শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৩নং সেক্টরে মুক্তিযোদ্ধারা ক্যাপ্টেন ভুঁইয়ার নেতৃত্বে ধর্মঘর নামক স্থানে পাকিস্তানি সেনাদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই যুদ্ধে লেঃ হেলাল মুর্শেদের কোম্পানী বামদিকের ফ্ল্যাঙ্ক প্রোটেকশনে এবং ক্যাপটেন নাসিমের কোম্পানী ডানদিকে ফ্ল্যাঙ্ক প্রোটেকশনে অবস্থান নিয়ে ক্যাপ্টেন ভুঁইয়ার মুক্তিযোদ্ধা দলকে সাহায্য করেন। এতে পাকবাহিনীর একজন জুনিয়র কমিশন্ড অফিসারসহ ১০ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর পক্ষে কোন হতাহত হয়নি। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৪নং সেক্টরে ৬০ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল খড়মপুরে পাকবাহিনীর ৪০ জনের একটি দলকে আক্রমণ করে। পাকসেনারা মর্টার, এমজি ও এলএমজি-র সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরে মক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর এক প্লাটুন সৈন্যকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও ২ জন আহত হয়। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা একই স্থানে এক প্লাটুন পাকসৈন্যকে আবার এ্যামবুশ করে। এতে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিডিপি-র সভাপতি নূরুল আমিন ঢাকায় বলেন, বে-আইনী আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমানকে মুক্তি দেয়া হলে পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের যৌক্তিকতাকেই নস্যাৎ করা হবে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিবিসি প্রচারিত সংবাদ : পূর্ব পাকিস্তানের একজন সরকারী মুখপাত্র বলেন, গঙ্গা ব-দ্বীপের চালনায় একটি মার্কিন জাহাজ মাইন বিষ্ফোরণে ধ্বংস হয়। জাহাজটি পূর্ব পাকিস্তানে খাদ্য সামগ্রী নিয়ে এসেছিল। সম্প্রতি একটি বৃটিশ জাহাজও চালনা বন্দরে বোমা বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়-এই প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অবস্থা যথেষ্ট গুরুত্বের দাবীদার। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তেজগাঁও শান্তি কমিটি নবনিযুক্ত মন্ত্রীদেরকে সম্বর্ধনা দেয়। জামায়াতে ইসলামীর ডেপুটি আমীর মাওলানা আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় আব্বাস আলী খান, মওলানা এ.কে.এম. ইউসুফ, আখতার উদ্দিন আহমদ, মওলানা ইসহাক, আউং শু প্রু চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত হন। সভায় সন্ত্রীদের উদ্দেশে মানপত্র পাঠ করেন তেজগাঁও শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহামান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোলাম আজম পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর বৈঠক আহ্বান করেন। এই বৈঠকে ২ অক্টোবর জামায়াতের নাখালপাড়ার প্রাদেশিক কার্যালয়ে হবে এবং বৈঠকে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, উপনির্বাচন এবং পার্টি-কর্মীদের করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকারী সদস্য এ.টি. সাদী বলেন, ‘বিচ্ছিন্নতার কারণে সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ ছিলো অনিবার্য। দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যে টুকু না করলে নয়, সেনাবাহিনী তাই করেছে। বাংলাদেশ আন্দোলন হচ্ছে ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’</li> </ul> তথ্যসূত্র ; মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল ১৭টি নৌকায় মুক্তিবাহিনীর রেইডিং দলকে আক্রমণ করার জন্য নবীনগরের দিকে অগ্রসর হয়। পা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা ও ১৬ জন গেরিলা লেঃ ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মর্টাও ও রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে পাকহানাদার বাহিনীর গোবিন্দমানিক্য দিঘী ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনা ঘাঁটির কয়েকটি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং ১৫ জন পাকসেনা নিহত ও ১০ জন আহত হয়। একঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের অবস্থানে নিরাপদে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা দেওতলীতে এ্যামবুশ পাতে। পাকবাহিনীর একটি দল কুমারসাইল মসজিদের কাছে এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানায় পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধারা ৭৫ জন পুলিশ ও রাজাকারকে বন্দী করে এবং বিপুল পরিমান অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৬নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পঞ্চবিবির কাছে পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে ৬ জন পাকসৈন্য ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ‘বাংলাদেশ প্রশ্ন’ উত্থাপনের জন্য ভারত সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সপ্তাহব্যাপী পশ্চিম পাকিস্তান সফরশেষে ফিরে আসার আগে নূরুল আমিন সাংবাদিকদের জানান, ‘পাকিস্তানের সংহতি ও অখন্ডতা সম্পর্কে নতুন আস্থা নিয়ে দেশে ফিরে যাচ্ছি।’ </li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এক প্লাটুন যোদ্ধা ও ১৬ জন গেরিলা লেঃ ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মর্টাও ও রকেট লাঞ্চারের সা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কাটাখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও ১০ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে সুবেদার গোলাম আম্বিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল শ্রীপুর এলাকায় পাক হানাদারদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাক হানাদারবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য কুষ্টিয়ার তেতুলবাড়িয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানের বাড়ীতে আগুন ধরিয়ে দিলে মুক্তিবাহিনী তাদের ঘিরে ফেলে। মুখোমুখি সংঘর্ষে পাকহানাদার বাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত ও ৫ জন গুরুতরভাবে আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর ৬০ জন গেরিলার একটি দল ভারতের মেলাঘর ক্যাম্প থেকে গেরিলা ট্রেনিং শেষে চারটি নৌকায় বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পথে শালদা নদীতে পাকসেনাদের দ্বারা আক্রান্ত হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর দু’টি নৌকা পানিতে ডুবে যায়। এতে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও একজন মুক্তিযোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কোটা নামক এলাকায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে ঘোষণা করেন, তাঁর দল পূর্ব পাকিস্তানের উপনির্বাচনে অংশ নেবে। তিনি জানুয়ারির আগেই দেশে পূর্ণ সংসদীয় গণতন্ত্র পুন:প্রতিষ্ঠার দাবি জানান। তিনি বলেন, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করে একই সাথে কেন্দ্র ও প্রদেশসমূহের ক্ষমতা জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। </li> </ul> <ul> <li>গভর্নর ডা: এ.এম. মালিকের সভাপতিত্বে সেক্রেটারিয়েটের কেবিনেট কক্ষে মন্ত্রীপরিষদের প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নবনিযুক্ত মন্ত্রীরা তাদের পাকিস্তান প্রীতির নিদর্শন হিসেবে নিজেদের বেতন ভাতা কমিয়ে নেয়। </li> </ul> <ul> <li>গভর্নর ডা: এ.এম. মালিক সংবাদপত্র ও বার্তা প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে প্রচারণার কৌশল নির্ধারণ করে দেয়া হয়। </li> </ul> <ul> <li>শিক্ষামন্ত্রী আব্বাস আলী খানের সঙ্গে এম.আর.এ. রেজভীর নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও পুরনো ঢাকার বিহারী নেতারা সাক্ষাৎ করেন। </li> </ul> <ul> <li>মতিউর রহমান নিজামী ইসলামী ছাত্রসংঘ আয়োজিত অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন, মাদ্রাসা ছাত্ররা দেশ রক্ষায় একযোগে এগিয়ে এসেছে। কারণ তারা ইসলামকে ভালবাসে। পাকিস্তানকে ভালবাসে। অথচ এই মাদ্রাসা ছাত্ররাই সবচাইতে অবহেলিত। পক্ষান্তরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা সত্বেও পাকিস্তানকে ধ্বংস করার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। </li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কাটাখালী বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর মর্টারের সাহায্যে ব্যাপক আক্রমণ চালা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div> <b>২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ২/৩ শ‘ গেরিলার একটি দল পালং থানায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। চার ঘন্টা সম্মুখযুদ্ধের পর পাকবাহিনীর সদস্যরা ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে ৫০ জন পাকসেনা, রাজাকার ও পাকপুলিশ নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর গেরিলাদল সম্পূর্ণ এলাকা দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় পাকবাহিনীর ৩৩-বেলুচের ‘বি’ এবং ‘ডি’ কোম্পানী মেজর দূররানির নেতৃত্বে চাঁদলা থেকে নৌকায় করে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান আক্রমণের উদ্দেশে মন্দভাগের দিকে অগ্রসর হয়। এ খবর পেয়ে ক্যাপ্টেন গাফফারের দল ও সুবেদার ওহাবের নেতৃত্বে এক প্লাটুন যোদ্ধা শালদা নদীর ওপর অবস্থান নেয়। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কাছাকাছি এলে তাদের ওপর মুক্তিযোদ্ধরা প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। প্রায় ছয় ঘন্টা ব্যাপী এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ২৬ জন পাকসৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>পাকহানাদার বাহিনী হরিরামপুর থানার বল্লা গ্রামে লুটপাট করতে এলে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা তাদের প্রতিহত করে। এতে দুইজন পাকসেনা নিহত হয়। হানাদার বর্বররা কাপুরুষেরমত নিরস্ত্র গ্রামবাসীর ওপর এর প্রতিশোধ নেয়। পাকহানাদারদের পৈশাচিক নির্যাতনে ১৬ জন নিরীহ গ্রামবাসী নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী বরগুনা জেলার পাথরঘাটা অঞ্চলে পাকহানাদারদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৫ জন পাকসেনা নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>নির্বাচন কমিশন ইতিপূর্বের ঘোষিত সময়সূচি বাতিল করে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণা করেন। পুনর্বিন্যাস্ত সময়সূচি অনুসারে ভোট গ্রহণ ১২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বর শেষ হবে। </li> </ul> <ul> <li>‘বাংলার বানী’ পত্রিকায় ‘বাংলাদেশের অধিকৃত এলাকায় কি দেখিলাম-’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় : </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> অতি সম্প্রতি ‘বাংলার বানী’-র একজন প্রতিনিধি বাংলাদেশের অধিকৃত অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা সফর করিয়া ফিরিয়া আসিয়াছেন। সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমাদের প্রতিনিধি যে বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন তাহারই শেষ অংশ এখানে ছাপা হইল। </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> অধিকৃত এলাকায় পাকসেনারা যথেচ্ছাভাবে স্থানীয় অবাঙ্গালী কুলি-কামিন এবং চোর-ডাকাত, গুন্ডা-বদমায়েশদের লইয়া বদর, রাজাকার ও মুজাহিদ বাহিনী গঠন করিয়া চালয়াছে। তাহাদের সহিত কিছু মুসলিম লীগ ও জামায়াতের গুন্ডা-পান্ডাও জুটিয়াছে। তাহারা পাকবাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় থাকিয়া যে ঘৃন্য কেলেঙ্কারীর ইতিহাস সৃষ্টি করিয়া চলিয়াছে তাহা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না। পাকবাহিনী নিজেরা যে কোন সম্মুখ সমরে গাঁ বাঁচাইয়া চলিয়া প্রায়শঃহ ইহাদিগকে মুক্তিযোদ্ধাদের সামনে নিশ্চিত মৃত্যুর মুখে ঠেলিয়া দেয়। </blockquote> </div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> হাট বাজারঃ অধিকৃত এলাকায় হাট-বাজার প্রায় সবই কোনমতে চলিতেছে। এবং জিনিসপত্রের দাম আগুন হইয়া উঠিয়াছে। অতি সম্প্রতি সেখানে লবণ প্রতিসের দুইটাকা হিসাবে এবং কিছুদিন আগে কেরোসিন তেল প্রতি টিন ৪৫ ঠাকা হইতে ৫২ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হইয়াছে ।</div> </blockquote> <div style="text-align: justify;"> <blockquote> শহরের পথ-ঘাটঃ শহরের পথচারী প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে আতঙ্কের ভাব পরিস্পূট। শহরের প্রায় বড় বড় দোকানগুলি তালাবদ্ধ হইয়াছে। রাতারাতি শহরের সকল সাইনবোর্ড ও মোটরগাড়ী, রিকশার নম্বর প্লেট বাংলা হইতে উর্দুতে লিখিতে নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে। আওয়ামী লীগ ও জামায়াত মুসলিম সমর্থকদের মধ্যে নামমাত্র মূল্যে বিক্রী করা হইয়াছে। </blockquote> <ul> <li>‘বাংলার বানী’ পত্রিকায় ‘আজ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠক/মাতৃভূমির বক্তব্য পেশের বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নিউইয়র্ক যাত্রা’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় : </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে জাতীয় মুক্তিযুদ্ধে লিপ্ত বাংলাদেশের দশ দিগন্তে হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাদস্যুদের হিংস্র বর্বর গণহত্যাযজ্ঞের কালিমালিপ্ত পটভূমিতে আজ নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শুরু হইতেছে। এই অধিবেশনকালে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ হইতে, স্বাধীন বাংলার পক্ষ হইতে, ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল বিশ্বের দরবারে জননী বাংলার দুঃখ ও বেদনার কাহিনী,সংগ্রাম ও বিক্রমের কাহিনী পেশ করিবেন।</blockquote> </div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব করিবেন লন্ডনস্থ বাংলাদেশ মিশনের প্রধান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বিচারপতি জনাব আবু সাইদ চৌধুরী। </div> </blockquote> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> প্রতিনিধিদলের ১১ জন সদস্য আজ মুজিবনগর হইতে নিউইয়র্কের পথে নয়াদিল্লী রওয়ানা হইয়া গিয়াছেন। প্রতিনিধিদলের বাকী ৫ জন সদস্যের সবাই বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন। </div> </blockquote> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> এই প্রতিনিধিদল জাতিসংঘকে সুস্পষ্টভাবে জানাইয়া দিবেন যে, একমাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বিনাশর্তে মুক্তিদান, বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দান, হানাদার পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রত্যাহার এবং জঙ্গী বর্বরতায় ক্ষতিগ্রস্তদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দানের পরই বিবেচনা হইতে পারে জঙ্গীশাহীর সঙ্গে কোন আপোষ মীমাংসার প্রশ্ন আলোচনা করা যায় কি না।</div> </blockquote> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ২/৩ শ‘ গেরিলার একটি দল পালং থানায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। চা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লুধিয়ানায় এক সমাবেশে বলেন, যেসব বিদেশী সরকার বাংলাদেশ সমস্যাকে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয় বলে অভিহিত করেছেন, তারা পক্ষান্তরে পাকিস্তান সরকারের অগণতান্ত্রিক কার্যক্রম ও গণহত্যার নীতিকে সমর্থন করছেন। তিনি বলেন, ভারত সরকার চান তার দেশে অবস্থানকারী বাংলাদেশের শরণার্থীরা মুক্ত স্বদেশে ফিরতে আগ্রহী।  </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী সুবেদার রহমান আলীর নেতৃত্বে পাকবাহিনীর চম্পকনগর বিত্তপি আক্রমণ করে। কিছুক্ষণের এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোনোরূপ ক্ষতি ছাড়াই নিজেদের অবস্থানে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল চট্টগ্রাম-কুমিল্লা সড়কে জগন্নাথদীঘির কাছে বাজানকারা সেতুটি উড়িয়ে দিয়ে সেতুর উত্তরে ১০ জন গেরিলা ও একটি নিয়মিত বাহিনী পাকসেনাদের অপেক্ষায় এ্যামবুশ পাতে। বাজানকারা সেতু ধ্বংসের সংবাদ পেয়ে ফেনী থেকে পাকবাহিনীর একটি শক্তিশালী দল সেতুর দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনারা এ্যামবুশের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর প্রচন্ড আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর একজন অফিসারসহ ২৫ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকসেনারা ছত্রভঙ্গ হয়ে ফেনীর দিকে পালিয়ে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী সুবেদার আলী আকবর পাটোয়ারীর নেতৃত্বে পাকসেনা ও রাজাকারদের রামগঞ্জ অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ১৪ জন পাকসেনা নিহত ও ১৭ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘দাবানল’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়: মালিকনগর এলাকায় প্রায় দুই কোম্পানী পাকসৈন্যের সাথে মুক্তিবাহিনীর গোলাবিনিময়ে ২ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়: রংপুর জেলার ডিমলা থানার অন্তর্গত সুটিবাড়ি হাটের পশ্চিমে জোড়জিগা গ্রামে মুক্তিবাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে ৯ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং কয়েকজন কোন প্রকারে অস্ত্রশস্ত্র ফেলে প্রাণ বাঁচায়। ঐ থানার বালাপাড়া গ্রামে মুক্তিবাহিনীর পেতে রাখা মাইনে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। পরে বর্বর পাকসৈন্যরা বালাপাড়া গ্রাম সম্পূর্ণভাবে জ্বালিয়ে দেয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তানের শ্রম, সমাজকল্যাণ ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী এ.এস.এম সোলায়মান ঢাকায় বলেন, পাকিস্তানের বীর সেনাবাহিনী শত্রুকে (মুক্তিযোদ্ধা) নির্মূল করে দিয়েছে। শত্রুরা প্রিয় মাতৃভূমি পাকিস্তান ভাঙ্গতে চেয়েছিল। কোন শক্তিই পাকিস্তান ভাঙ্গতে পারবে না। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সৈয়দ আজিজুল হকের বাসায় পিডিপি-র বিশিষ্ট নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপনির্বাচন পিছিয়ে দেবার ব্যাপারে নূরুল আমিনের দেয়া বিবৃতিকে অনুমোদন করা হয়। একই দাবী জানান কাইয়ুম মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক খান এ. সবুর। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘মুক্ত বাংলা’ পত্রিকায় প্রকাশিত সম্পাদকীয় নিবন্ধ ‘অভ্যুদয়’: </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> মুক্তবাংলার প্রথম সম্পাদকীয় নিবন্ধটা লিখতে বসে সহসাই মনে পড়ে গেল একদা একটি কিশোর বালকের জিজ্ঞাসা: বাঙ্গালী জাতির কি কোন ইতিহাস নেই? এই যেমন গ্রীকদের রয়েছে, মিশরীয়দের রয়েছে, ফরাসীদের, এমন কি ইংরেজদেরও।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> সময়টা ছিল নির্বাচন প্রস্তুতি কাল। জনৈক রাজনৈতিক বন্ধুর বৈঠকখানায় বসেছিলাম। আমাদের আলোচ্য বিষয়ের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো-বাঙ্গালী জাতি। কিন্তু তবুও কিশোরটির জিজ্ঞাসকে সঠিক মীমাংসায় নিষ্পত্তি করতে পারিনি কেউ। কারণ বাংলার ইতিহাস ও বাঙ্গালী জাতি খুব স্পষ্ট ছিলো না তখনো।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> অথচ ভাবতেও পারিনি বাঙ্গালী জাতির সত্যিকার ইতিহাস রচনার মালমসলা তৈরী হতে যাচ্ছে-শীঘ্রই তার সূচনা হবে। ইয়াহিয়া খান তার পাঞ্জাবী দস্যু বাহিনীর দ্বারা বাংলার বুকে নজিরবিহীন গণহত্যা ও পৈশাচিক বর্বরতা চালিয়ে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চাইবে বাংলাদেশের সত্তাকে। কিন্তু রক্তস্নাত হয়ে জেগে উঠবে বাংলাদেশের জনগণ। দেশপ্রেমের অগ্নিপরীক্ষায় সগৌরবে হবে উত্তীর্ণ। অভ্যুদয় ঘটবে এক নতুন জাতির-যার একমাত্র পরিচয়: বাঙ্গালী।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> আজ সেই বাঙ্গালী জাতির জন্ম হয়েছে। ঐক্য, সাহস ও সংগ্রামী মনেবলে তাঁরা অপরাজেয়। তাঁরা রচনা করে চলেছেন নিজেদের সত্যিকারের ইতিহাস।</div> </blockquote> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।<br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী লুধিয়ানায় এক সমাবেশে বলেন, যেসব বিদেশী সরকার বাংলাদেশ সমস্যাকে পাকিস্তানের আ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল মালোচিন বাজারে অবস্থানরত পাকপুলিশের একটি দলকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ১৯ জন পাকপুলিশ নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লক্ষ্মীপুরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনা অবস্থানের ওপর রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনাদের দু’টি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং দু’জন পাকসেনা নিহত ও একজন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লায় লেঃ ইমামুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল পাকবাহিনী বাডিসা ও গোবিন্দমানিক্যর দীঘি অবস্থানের ওপর একযোগে আক্রমণ চালায়। গোবিন্দমানিক্যর দীঘি অবস্থানে দু’টি বাঙ্কার ধ্বংস ও ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী বাডিসাঘাঁটি আক্রমণ সম্পূর্ণ সফল হয়। বাডিসায় ২০ জন পাকসৈন্য নিহত ও ১২ জন আহত হয়। দু’ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিবাহিনী নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের গোজাডাঙ্গা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের মোহাম্মদপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর একজন মেজরসহ ৬ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজেদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী দিনাজপুরের অমরখানা এলাকায় অবস্থানরত পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন পাকসৈন্য নিহত হয় ও কয়েকজন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিবিসি প্রচারিত সংবাদ : </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> জাতিসংঘ মহাসচিব উ’থান্ট ভারত উপমহাদেশের অবস্থা নিয়ে সতর্ক বাণী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক মীমাংসা ব্যতিত পূর্ব পাকিস্তানের মৌলিক সমস্যা সমাধান হবে না। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে সাহায্য প্রদানের আহ্বান জানান।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাকিস্তানি প্রতিনিধিদলের নিউইয়র্ক যাত্রার প্রাক্কালে দলনেতা পিডিপি-র মাহমুদ আলী করাচীতে বলেন, সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানের গণহত্যা চালিয়েছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেননা প্রদেশের সেনাবাহিনীর তৎপরতা এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করেনি, যার জন্য ‘গণহত্যা’ শব্দটি ব্যবহৃত হতে পারে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /> পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেন: ১৯৭১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ৭৮ টি শূন্য আসনে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ১০৫ টি শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।</div> </blockquote> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল মালোচিন বাজারে অবস্থানরত পাকপুলিশের একটি দলকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ১৯ জন পা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> <div> </div> <div> <b>১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>বাংলাদেশ প্রশ্নে আলোচনার জন্য বিশ্বের ২৪টি দেশ থেকে ১৫০ জন প্রতিনিধি দিল্লী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে বাংলাদেশ সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সকল দেশ বাংলাদেশের জনগণের মুক্তিসংগ্রাম সমর্থন করেন। বাংলাদেশ সরকারের কর্মকান্ড ও ভারতে শরণার্থীদের আশ্রয়দানকে তারা অভিনন্দন জানান। সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে সহযোগিতা প্রদানেরও আশ্বাস দেয়া হয়। </li> </ul> <ul> <li>রাতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ঘোষণা করেন, ভবিষৎ শাসনতন্ত্র জাতীয় পরিষদে পেশ করা হবে এবং জাতীয় পরিষদ তা সংশোধন করতে পারবে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনী সুতারকান্দি পাকঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা গুলি শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী যশোরের টুঙ্গী এলাকায় পাকবাহিনীর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদের একটি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং ২ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটের জৈন্তাপুরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালালে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতের আমীর গোলাম আযম নতুন প্রাদেশিক মন্ত্রীসভাকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এই সংকটকালে মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে মন্ত্রীসভার সদস্যরা শুধু যে বিপদের ঝুঁকি নিয়েছেন তাই নয়, তারা পাকিস্তানের শত্রুদের (মুক্তিবাহিনী) নির্মুল করার কাজে নিয়োজিত পাকিস্তানের বীর সেনাবাহিনীর প্রতি হতাশ ও আকাঙ্খিত মানুষের মধ্যে আস্থার ভাব ফিরিয়ে আনারও গুরু দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। </li> </ul> <ul> <li>পিডিপি প্রধান নুরুল আমিন ও পিপিপি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের সাথে পৃথক পৃথক আলোচনা বৈঠকে মিলিত হন। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর টহলদার দল চারগাছা বাজারের কাছে পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২০ জন পাকসেনা হতাহত হয়। এ সংবাদ পেয়ে পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল তিন নৌকা বোঝাই করে টহলদার দলের সাহায্যার্থে অগ্রসর হয়। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পৌঁছার আগেই শিমরাইলের কাছে এ্যামবুশ করে দু‘টি নৌকা ডুবিয়ে দেয়। এতে নৌকা দু‘টির সকল পাকসেনা নিহত হয়। এই সংঘর্ষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ইপিআর কমান্ডার সালেক, বেঙ্গল রেজিমেন্টের মান্নান, ঢাকা পুলিশের হাবিলদার রজব আলী এবং ছাত্র রঞ্জিত কুমার মহন্ত, প্রদীপ কুমার কর প্রমুখের নেতৃত্বে হিলির কাছে পাকসেনাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে বহু পাকসৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>রাজশাহীর ফারসিপাড়ায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের সাথে সম্মুখযুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। এই যুদ্ধে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশ প্রশ্নে আলোচনার জন্য বিশ্বের ২৪টি দেশ থেকে ১৫০ জন প্রতিনিধি দিল্লী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিক ১০ সদস্যের প্রাদেশিক মন্ত্রীসভার নাম ঘোষণা করেন। মন্ত্রীরা হলেনঃ রংপুরের আবুল কাশেম, বগুড়ার আব্বাস আলী খান, বরিশালের আখতার উদ্দিন খান, ঢাকার এ.এস.এম. সোলায়মান, খুলনার মওলানা এ.কে.এম.ইউসুফ, পাবনার মওলানা মোহাম্মদ ইসহাক, কুষ্টিয়ার নওয়াজেশ আহমদ, নোয়াখালীর ওবায়েদুল্লাহ মজুমদার, চট্টগ্রামের অধ্যাপক শামসুল হক ও পার্বত্য চট্টগ্রামের আউংশু প্রু চৌধুরী। আউংশু প্রু চৌধুরী ব্যাতিত বাকী ৯ জন মন্ত্রী শপথ গ্রহণ করেন। </li> </ul> <ul> <li>শিবালয় থানায় পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর গেরিলা ঘাঁটিতে ব্যাপক হামলা চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘন্টা যুদ্ধ হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষে ১০ জন পাকসেনা ও ১১ জন রাজাকার নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দলকে মেহারী গ্রামে এ্যামবুশ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের আকস্মিক আক্রমণে পাকসেনারা দিকবিদিক হারিয়ে ফেলে এবং ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। এই এ্যামবুশে ২১ জন পাকসেনা নিহত ও ৪৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে একদল মুক্তিযোদ্ধা সায়েদাবাদের কাছে পাকসেনাদের একটি ঘাঁটিতে অতর্কিতে আক্রমণ চালিয়ে ২টি জীপ ও ১টি ৩টন গাড়ী ধ্বংস করে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদারদের মসলিয়া ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের পরাগপুর অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৬ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী মৌলভীবাজারের লুবাচরা এলাকায় পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে ২০ জন পাকসেনা নিহত ও ৩০ জন আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ৩ জন বীর যোদ্ধা আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরের গোজাডাঙ্গা সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর রাজাপুর বিওপি-র একদল সেনাকে গঙ্গাদেশ পুর এলাকায় এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ২ জন পাকসেনা নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>জয়বাংলা পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়: </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> মুক্তিযুদ্ধকে সফল সমাপ্তির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারকে উপদেশ দানের জন্য বাংলাদেশের চারটি প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সর্বদলীয় উপদেষ্টা কমিটিতে যারা রয়েছেন, তাদের রাজনৈতিক মত ও পথে পার্থক্য থাকলেও সকলেই পরীক্ষিত দেশপ্রেমিক। কমিটিতে ভাসানী ন্যাপের প্রতিনিধিত্ব করছেন মওলানা ভাসানী, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন শ্রী মণি সিং, বাংলাদেশ জাতীয় কংগ্রেসের শ্রী মনোরঞ্জন ধর এবং মোজাফফর ন্যাপের অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ। এছাড়া এই কমিটিতে আওয়ামী লীগের দু’জন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই কমিটিতে রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কমিটির বৈঠক আহ্বান ও পরিচালনা করবেন। </blockquote> <ul> <li>জয়বাংলা পত্রিকায় ‘জল্লাদরা ত্রাণ সামগ্রী যুদ্ধের কাজে লাগাচ্ছে’-শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় : </li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> পশ্চিম পাকিস্তানি সামরিক শাসক গোষ্ঠী ইউনিসেফ এবং জাতিসংঘের অপরাপর ত্রাণ-প্রতিষ্ঠান সমূহের যাবতীয় গাড়ী ও যানবাহন যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার লন্ডনস্থ মিশনের মাধ্যমে জাতিসংঘকে একথা জানিয়ে দিয়েছ।</blockquote> </div> <blockquote> <div style="text-align: justify;"> জাতিসংঘের সাহায্য সংস্থার ইউনিসেফ-এর একটি জীপে টিক্কা খানকে দেখা গেছে।</div> </blockquote> <div style="text-align: justify;"> <blockquote> ১৯৭০ সালের ভয়াবহ বন্যা ও ঘুর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের সাহায্যের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র বিপন্ন মানবতার সেবায় যেসব ত্রান-সামগ্রী পাঠিয়েছিল, সেগুলোও সামরিক শাসকেরা যুদ্ধের কাজে ব্যবহার করছে। দ্রুত রিলিফ প্রেরণের জন্য যাতায়াতের সুবিধার্থে নরওয়ে এবং স্কান্ডিনেভিয়ার অন্যান্য রাষ্ট্র যে সব রবারের নৌকা, দ্রুতগামী লঞ্চ পাঠিয়েছিল, সেগুলোও ঐ একই কার্যে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। </blockquote> <ul> <li>‘খ’ অঞ্চলের সামরিক আইন প্রশাসক লেঃ জেনারেল নিয়াজী ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা সফর করেন। পরে তিনি কিশোরগঞ্জে তারাইলের রাজাকার আলবদদের সঙ্গে মিলিত হন। </li> </ul> <ul> <li>পিডিপি প্রধান নূরুল আমিন ঢাকায় বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের অসামরিক সরকার গঠন করা হলেও আমরা এখনো বিপদমুক্ত হইনি। দুশমনের দল এখনো আমাদের চারপাশে চলাফেরা করছে। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশ ফের্স হেডকোয়ার্টার মুজিবনগর গণসংযোগ বিভাগের ‘যুদ্ধ বিষয়ক বুলেটিন’-এ বলা হয়:  </li> </ul> <blockquote> মহেন্দ্রনগরে মুক্তিবাহিনী ও পাকসৈন্যদের মধ্যে যুদ্ধে ১ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </blockquote> <blockquote> রংপুরের বনতারা এলাকায় মুক্তিবাহিনী পাকসৈন্যদের ওপর গুলি চালায়। এতে ৫ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। এর অব্যবহিত পরই পাকসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে এক তীব্র যুদ্ধে ৮ জন পাকসেনা নিহত হয়।  </blockquote> </div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>গোলাম আজম মোহাম্মদপুর ফিজিক্যাল এডুকেশন সেন্টারে ট্রেনিংরত রাজাকারদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘একমাত্র মুসলিম জাতীয়তায় পূর্ণবিশ্বাসী ব্যাক্তিরাই পাকিস্তানের হেফাজতের জন্যে জীবন দান করতে পারে এবং সত্যিকার মুসলমানরাই যে পাকিস্তানের প্রকৃত সম্পদ, এই সার্টিফিকেট পাকিস্তানের দুশমনরাই তাদের কার্যকলাপের দ্বারা এবার প্রদান করেছে।</li> </ul> </div> <div> <div> <div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div> </div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডাঃ এ.এম. মালিক ১০ সদস্যের প্রাদেশিক মন্ত্রীসভার নাম ঘোষণা করেন। মন্ত্রীরা হলেনঃ রংপ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> <b>১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কায়েমপুর পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২০১ জন সৈন্য নিহত ও ৮৩ জন আহত হয় এবং ৭০টি পাকসেনা বাঙ্কার ধ্বংস হয়। অপরপক্ষে ১০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও ৬ জন যোদ্ধা আহত হয়। মুক্তিবাহিনী কায়েমপুর ঘাঁটি ও পাকসেনাদের প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মর্টারের সাহায্যে শারদায় পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩০ জন সৈন্য ও রাজাকার নিহত এবং ৫০ জন আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>রাজশাহীতে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর কানপুর অবস্থানের ওপর এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে ২ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং পাকসেনা স্থাপিত ক্যাম্প ও ৭টি বাঙ্কার ধ্বংস হয়।</li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লার চামুবসতি-তে পাকবাহিনী আক্রমণ চালালে মুক্তিবাহিনীর বীর যোদ্ধারা তা প্রতিহত করে। এতে ৩ জন পাকসৈন্য নিহত ও ৫ জন আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>খুলনার ভোমরায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনা অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান সরকারের একজন মুখপাত্র বলেন, বিলুপ্ত আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সামরিক ট্রাইব্যুনালে গোপন বিচারের কাজ শেষ হয়েছে।</li> </ul> <ul> <li>পিডিপি প্রধান নূরুল আমিন পিটিআই প্রতিনিধিকে জানান, তিনি প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে পশ্চিম পাকিস্তান যাচ্ছেন। তিনি এ আলোচনায় দুষ্কৃতকারীদের অত্যাচারে এবং বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্যে আরও অর্থ বরাদ্দের দাবি করবেন বলে জানান।</li> </ul> <ul> <li>লেঃ জেনারেল নিয়াজী চট্টগ্রাম এলাকা সফর করেন। পরে তিনি রাঙ্গামাটি যান। সেখানে তাকে চাকমা প্রধান ও নির্বাচিত এম.এন.এ রাজা ত্রিদিব রায় অভ্যর্থনা জানান।</li> </ul> <ul> <li>জামালপুর জেলায় ইসলামপুর থানা আলবদর ইনর্চাজ এবং জেলা শান্তি কমিটির প্রচার সম্পাদক মুহম্মদ আব্দুল বারী দৈনিক সংগ্রামে এক চিঠিতে লেখেন, জামালপুরে পাকিস্তানপন্থী ও ইসলামপন্থী ছাত্ররা আলবদর বাহিনী গঠন করে দুষ্কৃতকারীদের জামালপুর, শেরপুর, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও নালিতাবাড়ি এলাকা থেকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে।</li> </ul> <ul> <li>‘জয়বাংলা’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়: কুষ্টিয়ার বাবলা চড়া ইউনিয়ন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান তার অধীনস্থ ২২ জন রাজাকারকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কাছে রক্ষিত বিপুল পরিমাণ রাইফেল, মেশিনগান, শটগান, স্টেনগানসহ মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।</li> </ul> <ul> <li>‘কালান্তর’ পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়: গত ১৫ দিনে খুলনা জেলার সাতক্ষীরা মহকুমার সাড়ে ৬৩ বর্গমাইল অঞ্চল থেকে মুক্তিবাহিনী খান সেনাদের হটিয়ে দিয়ে মুক্ত এলাকা স্থাপন করেছে।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কায়েমপুর পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২০১ জন সৈন্য নিহত ও ৮৩ জন আহত...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১০ জন যোদ্ধার একটি দল পরশুরামের আমজাদহাট এলাকায় পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে দু‘ঘন্টার ও বেশী সময় যুদ্ধ হয়। মুক্তিযোদ্ধা নায়েক নাদিরুজ্জামান দুঃসাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে তাঁর সতীর্থদের এ্যামবুশ অবস্থান ত্যাগ করতে সাহায্য করেন। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য হতাহত হয়। অপরপক্ষের মুক্তিবাহিনীর একজন বীর যোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর লক্ষ্মীপুরের কাছে পাকসেনাদের দু‘টি বাঙ্কার অতর্কিত আক্রমণ করে ধ্বংস করে দেয়। মুক্তিবাহিনীর এই অভিযানে ৩ জন পাকসেনা নিহত ও ৮ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী লক্ষ্মীপুর থানায় পাক পুলিশ ও রাজাকারদের চন্দ্রগঞ্জ প্রতাপ হাই স্কুল ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৪০ জন পাকসেনা হতাহত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধদের চাপের মুখে পাকবাহিনী তাদের অবস্থান পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরের সাতানি, নারায়ণহাট, আবেদারহাট ও কাকডাঙ্গায় মুক্তিবাহিনীর তিন কোম্পানী যোদ্ধা পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ১০ জন পাকসৈন্য নিহত ও কয়েক জন আহত হয়। অপরদিকে পাকসেনাদের শেলের আঘাতে দুইজন বেসামরিক লোক আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কুরালগাছি ইউনিয়ন কাউন্সিল অফিসে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ৬ জন রাজাকার নিহত ও ২ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী শালদা নদীর পাকসেনা ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ২০/২৫ জন পাকসেনা হতাহত হয় এবং পাকঘাঁটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। </li> </ul> <ul> <li>তেহরানে পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও ইরানের শাহ রেজা পাহলভির মধ্যে পাক-ভারত পরিস্থিতি নিয়ে দু’দিনব্যাপী আলোচনা শেষে যুক্ত ইস্তেহার প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ইরানের শাহ পাকিস্তানের সঙ্গে তার একাত্মতা প্রকাশ করছে। </li> </ul> <ul> <li>রয়টার পরিবেশিত খবরে বলা হয়: জাতিসংঘের পাকিস্তানের দূত আগাশাহী জাতিসংঘের বিশেষ কমিটির বৈঠকে বিশ্বশান্তি পরিষদের ভারতীয় প্রতিনিধি কৃষ্ণ মেননের দাবিকে ধৃষ্টতা হিসেবে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ‘মেনন শুধুমাত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনকে মুক্তি সংগ্রাম বলে চালানোর অপচেষ্টাই করছে না, জাতিসংঘের সনদের মূলনীতির বিরোধী কাজ করছে।’</li> </ul> <ul> <li>নূরুল আমীনের বাসায় পিডিপি-র কার্যকরী কমিটির ১৮ জন সদস্যের উপস্থিতিতে নূরুল আমীনের সভাপতিত্বে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় মাহমুদ আলীকে পিডিপি পূর্ব পাকিস্তান শাখার সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ১০ জন যোদ্ধার একটি দল পরশুরামের আমজাদহাট এলাকায় পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। পাকসেনারা ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কায়েসপুরের পাকসেনা অবস্থানের ওপর রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনাদের দু‘টি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং ৮ জন পাকসৈন্য নিহত ও ৩ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কোম্পানীগঞ্জ থানার বসুরহাটের কাছে পাক মিলিশিয়াদের এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাক মিলিশিয়াদের একটি টয়োটা জীপ ধ্বংস হয় এবং ৩০ জন পাকসৈন্য হতাহত হয়। সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা নুরুন্নবী আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ফেনী অবস্থানের ওপর মর্টার আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনাদের কামানের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের দিকে পাল্টা আক্রমণ করে। দু'ঘন্টা স্থায়ী এই যুৃদ্ধে পাকবাহিনীর ১০ জন সৈন্য নিহত এবং ১৬ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাক বাহিনীর প্রায় দুই ব্যাটালিয়ন সৈন্য একই সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর বিয়ানীবাজার, বড়লেখা, জকীগঞ্জ থানা অবস্থানে ব্যাপকভাবে আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানিদের সম্ভাব্য আক্রমণের জন্য প্রস্তুত না থাকায় তাঁরা বেশ কিছু ক্ষতির সম্মুখীন হয় এবং পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর ৭ জন বীর যোদ্ধা শহীদ ও কয়েকজন আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>খুলনার আলফাপুর এলাকায় মুক্তিবাহিনী এক দু:সাহসিক অভিযানে পাকসেনাদের ২৭ জন সৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে ১৬ টি রাইফেল ও ৭টি চাইনিজ গোলার বাক্স উদ্ধার করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লার কসবা এলাকায় পাকসেনাদেরকে অতর্কিতে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ২ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী রাজশাহীর পাগলাদিয়ানাহাটে পাকসেনা অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৮ জন সৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর ৩০০ সদস্যের একটি দল রাজশাহীর খানজানপুরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে শত্রুবাহিনীকে পর্যুদস্ত করে। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>১নং সেক্টরের মুক্তিবাহিনীর সেনা অফিসারদের সাথে ভারতীয় সেনা কমান্ডার লেঃ জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় মুক্তিবাহিনীর গেরিলা যোদ্ধাদের কর্মতৎপরতার বিষয়টি সবিস্তারে আলোচিত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ডাঃ আবদুল মোতালেব মালিক বেতার ভাষণে বলেন : ‘জনগণ কর্তৃক নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদ্যোগ শুরু করার উদ্দেশে প্রেসিডেন্ট আমাকে এই প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান নিযুক্ত করেছেন। আমি আপনাদের সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি এই জন্য যাতে প্রদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়। আজকের যুবক শ্রেণী তো জানে না যে, নতুন এক জাতির বাসভূমি আমাদের এই পাকিস্তানকে বাস্তবে রূপায়িত করার জন্য আমাদের কত পরিশ্রম করতে হয়েছে। পরিশেষে আমি আরো বলতে চাই যে, আমার সরকার একটি অন্তবর্তীকালীন সরকার। যে মুহুর্তে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে এবং নির্ধারিত কার্যক্রম অনুসারে উপনির্বাচন সমাপ্ত করা হবে, সেই মুহুর্তে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে জনগণের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হবে।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া পাক-ভারত বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্যে তেহরানের উদ্দেশে যাত্রা করেন। বিমানবন্দরে তাকে অভিনন্দন জানান ইরানের শাহ রেজা পাহ্লভি।</li> </ul> <br />তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী কায়েসপুরের পাকসেনা অবস্থানের ওপর রকেট লাঞ্চারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনাদের দু...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী লেঃ মোরশেদের নেতৃত্বে আখাউড়া-হরশপুর রেলওয়ে লাইনে মুকুন্দপুরের কাছে ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন পুঁতে তার সাথে বৈদ্যুতিক তার যোগ করে ৩০০ গজ দূরে রিমোট কন্ট্রোল স্থাপন করে অবস্থান নেয়। পাকবাহিনীর এক কোম্পানী সৈন্য বোঝাই একটি ট্রেন এ্যামবুশ অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়ে মাইনের উপরে এলে মুক্তিযোদ্ধারা সুইচ টিপে মাইন বিস্ফোরণ করে। এতে ইঞ্জিনসহ ট্রেনটি বিধ্বস্ত হয় এবং দুইজন অফিসারসহ ২৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযুদ্ধে বৈদ্যুতিক প্রক্রিয়ায় ট্রেন ধ্বংস এটাই প্রথম। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনীর ৫০ জন যোদ্ধার একটি দল পাকসেনাদের শাহবাজপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। ১০ মিনিট পর পাকসেনারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে ১৫ জন পাকসৈন্য ও রাজাকার নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী অক্ষত অবস্থায় নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী রামচন্দ্রপুর পাকবাহিনীর প্রধান ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২০ জন সৈন্য ও ১২ জন রাজাকার নিহত এবং ১৩ জন সৈন্য আহত হয়। অপরপক্ষে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও দুইজন যোদ্ধা আহত হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী খুলনার হরিনগরে পাকবাহিনীর একটি গানবোট ও সৈন্য বোঝাই কিছু লঞ্চকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর গানবোট আরোহী নিহত এবং রাডার এন্টিনা ধ্বংস হয়। পরে প্রচন্ড গোলাবিনিময়ে পাকসেনাদের ৪টি লঞ্চ পানিতে ডুবে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী বানারীপাড়ায় পাকবাহিনীর কয়েকটি লঞ্চকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩টি লঞ্চ পানিতে ডুবে যায় এবং ৪০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুয়ালালামপুর অনুষ্ঠিত কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী সম্মেলনে নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধি এইচ.সি. টেম্পেল্টন বলেন : ‘আমাদের দেশের পক্ষ থেকে কমনওয়েলথ এবং যুক্তরাজ্যকে পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য অনুরোধ করছি। আমরা বিশ্বাস করি তাদের সরকার স্বীয় জনগণের অধিকার সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সঠিক নীতি অবলম্বন করবে।’ </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>করাচীতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টোর মধ্যে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঘটনাবলী নিয়ে তিন ঘন্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনী লেঃ মোরশেদের নেতৃত্বে আখাউড়া-হরশপুর রেলওয়ে লাইনে মুকুন্দপুরের কাছে ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন পুঁতে তার সা...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের ভোমরা নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কুমিল্লা জেলার গুথুমা নদীতে টহলরত পাকসেনাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৪ জন সৈন্য হতাহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুিক্তবাহিনী মান্দাবাগ এলাকায় পাকহানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ১৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>১নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী সমরকান্দ এলাকায় পাকবাহিনীর একটি টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে ৫ জন পাকসৈন্য হতাহত হয় এবং বাকী সৈন্য যুদ্ধ না করেই পিছু হটে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফেনীর ছাগলনাইয়ায় মুক্তিবাহিনীর পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে ২ জন পাকসেনা নিহত ও অপর ২ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা সাটানি, নারায়ণঘাট, আবাদের হাট ও কাকভাঙ্গায় পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। দীর্ঘ গোলাবিনিময়ের পর ১০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। অপরদিকে ২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির সহ-সভাপতি মাহমুদ আলী পাকিস্তান সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকা সফর শেষে ঢাকা আসেন। তিনি বলেন, ইউরোপের বেতার, টিভি, সংবাদপত্রগুলো একই সুরে প্রচার করে চলেছে পূর্ব পাকিস্তানে একটা অঘটন ঘটে গেছে। পাকিস্তানের সাম্প্রতিক নির্বাচনে যে দলটি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে তাদের ক্ষমতা না দিয়ে সেনাবাহিনীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলের জনগণের দাবি নস্যাৎ করতে চায়। কারণ নির্বাচনের ফলাফল পশ্চিম পাকিস্তানিদের মন:পুত হয়নি। তিনি বলেন, ইউরোপের বুদ্ধিজীবীরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, যা ঘটবার ঘটেছে। এখন যারা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাদের নেতার সাথে আপোস করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা দেশসমূহে এই ধারণা জন্মেছে যে, পাকিস্তানের নির্বাচনে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে তাদের সাথে আপোস না করলে বর্তমানে সমস্যার সমাধান হবে না। আমরা তাদের বলেছি নীতিগতভাবে আমরা এর বিরোধী নই। তবে নির্বাচনে যে দল জয়ী হয়েছে সেই দলের নেতা পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছেন। এমন নেতৃত্বের সাথে আপোস হতে পারে না। আজ তাঁর সঙ্গে যদি কোনো মীমাংসায় আসতে হয় তবে তা অখন্ড পাকিস্তানের ভিত্তিতে হতে হবে।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ৮নং সেক্টরের ভোমরা নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ২ জন পাকসেনা নিহত হয়।...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>আড়াইহাজার থানার কামানদি চরে পাকসেনারা ঘাঁটি স্থাপন করে এবং নিকটস্থ গ্রাম থেকে মেয়েদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে অত্যাচার চালায় । এই সংবাদ পেয়ে মুক্তিবাহিনীর ২৯ জনের একটি গেরিলা দল পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে । ৩/৪ ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা ঘাঁটি ছেড়ে পালিয়ে যায় । এই আক্রমণে ৫ জন পাকসেনা ও ৬ জন রাজাকার নিহত হয় । গেরিলারা ক্যাম্প থেকে মেয়েদের উদ্ধার করে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয় । </li> </ul> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী লক্ষ্মীপুরস্থ পাকসেনা ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায় । এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ২টি বাঙ্কার ধ্বংস হয় এবং ১১ জন পাকসৈন্য নিহত ও ৭ জন আহত হয় । </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে চতুর্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানীর দুই প্লাটুন যোদ্ধা বগাবাড়ির কাছে পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে । এই সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল আক্রমণের মুখে পাকসেনারা টিকতে না পেরে পশ্চাদপসরণ করতে বাধ্য হয় । এতে ১৫ জন পাকসেনা নিহত ও ২ জন আহত হয় । </li> </ul> <ul> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পরশুরামের কাছে পাকবাহিনীর ঘাঁটির ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায় । এই আক্রমণে ৭ জন পাকসেনা নিহত ও ১৫ জন আহত হয় । মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে । </li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী আখাউড়ার কাছে পাকসেনা বোঝাই একটি ট্রেনকে এ্যামবুশ করে । এই এ্যামবুশে ট্রেনের আরোহী পাক সামরিক অফিসার, ইঞ্জিন ড্রাইভার ও বহু সংখ্যক রাজাকার নিহত হয় । </li> </ul> <ul> <li>ঢাকার একজন সামরিক মুখপাত্র স্বীকার করেন মুক্তিবাহিনীর গেরিলারা এখন পথে পথে মাইন পুঁতে রাখছে । রাজাকার ও অন্যান্য আধা-সামরিক বাহিনীর ওপর চোরাগোপ্তা আক্রমণ চালাচ্ছে । </li> </ul> <ul> <li>যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম রজার্স পাকিস্তানে উন্নয়ন সাহায্য অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা অনুমোদনের জন্য মার্কিন কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানান । তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান সরকারের প্রতি এমন পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর আহবান জানিয়েছি যাতে শরণার্থীরা স্বদেশে ফিরে আসতে পারেন এবং কার্যকরভাবে সার্বিক কর্মসূচী শুরু করা যেতে পারে । </li> </ul> <ul> <li>বাংলার বাণী পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয় : সাতারার উত্তরে মুক্তিযোদ্ধাদের পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে হানাদার সেনাদের একটি জীপ চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যায় এবং জীপের ৪ জন আরোহী শত্রুসেনা নিহত হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ আড়াইহাজার থানার কামানদি চরে পাকসেনারা ঘাঁটি স্থাপন করে এবং নিকটস্থ গ্রাম থেকে মেয়েদের ক্যাম্পে ধরে নিয়ে অত্যাচার...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল চৌদ্দগ্রামে পাকহানাদার বাহিনীর হেডকোয়ার্টারের ওপর মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৩০/৪০ জন পাকসৈন্য হতাহত হয়। পাকসেনারা কামানের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের দিকে গুলি চালালে কিছু বেসামরিক লোক নিহত হয় । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরের বেলুনিয়ায় পাকহানাদার বাহিনী মহুরী নদী পার হয়ে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর প্রচন্ড কামান আক্রমণ চালায় । মুক্তিযোদ্ধারা সমস্ত দিন যুদ্ধের পর পাকসেনাদের এই আক্রমণ প্রতিহত করতে সক্ষম হয় । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী নয়াপাড়ার পাকসেনা ঘাঁটি আক্রমণ করে । এতে পাকসেনারা পর্যুদস্ত হয়ে অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায় । মুক্তিযোদ্ধারা অনেক অস্ত্রশস্ত্র দখল করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ময়মনসিংহে পাকহানাদার বাহিনী খাদ্য সম্ভার বোঝাই করে পাঁচটি বড় বড় নৌকায় ভালুকার দিকে অগ্রসর হলে কোম্পানীর কমান্ডার চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল ঝালপাজা গ্রামে তাদের ওপর আক্রমণ চালায় । এতে ৪ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয় । মুক্তিযোদ্ধারা নৌকাসহ ৫৭০ মন আটা ও ২০ মন চিনি হস্তগত করে । এই আটা ও চিনি পরে রাজৈর ইউনিয়নের গরীব-দুঃখীদের মধ্যে বিতরণ করা হয় । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় । গেরিলা যোদ্ধারা পাকসেনাদের দু‘দিক থেকে আক্রমণ চালিয়ে পর্যুদস্ত করে । এতে ৩০ জন পাকসৈন্য নিহত হয় এবং বাকী সৈন্য অবস্থান ছেড়ে পালিয়ে যায় । গেরিলা যোদ্ধারা প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ দখল করে । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার সামরিক আদালত রাষ্ট্রদ্রোহীতা, অস্ত্রাগার লুন্ঠন, অননুমোদিত অস্ত্র বিতরণ, রাষ্ট্রবিরোধীদের ট্রেনিং প্রদান প্রভৃতি অভিযোগে আওয়ামী লীগের ১৪৫ জন এম.পি. এ-কে সামরিক আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয় । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লেঃ জেনারেল নিয়াজী গাজীপুর অস্ত্র তৈরীর কারখানা পরিদর্শন করে অস্ত্রের প্রথম চালান তৈরী করার জন্য কারখানার শ্রমিক কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান । তিনি বলেন, এতো শ্রমের তৈরী অস্ত্র দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার হবে । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ২১ নং সামরিক আদেশকে পুনর্গঠন করে ২৪ নং সামরিক আদেশ জারি করেন ।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর । </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল চৌদ্দগ্রামে পাকহানাদার বাহিনীর হেডকোয়ার্টারের ওপর মর্টারের সাহায্যে আক্রমণ চালায়। এই আক্র...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> ০৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুমিল্লায় পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর মন্দভাগ অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী বীর বিক্রমে পাকসেনাদের আক্রমণ প্রতিহত করে। পাকবাহিনীর দুই কোম্পানী সৈন্য পরাজয়ের আক্রোশে ফেরার পথে মুক্তিবাহিনীর মইনপুর অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। প্রায় দু‘ঘন্টার এ যুদ্ধে ৪০ জন পাকসৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে ৯ জন মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। পাকিস্তানি গোলান্দাজ বাহিনীর প্রবল গোলাবর্ষণে মুক্তিযোদ্ধা দল তাদের অবস্থা পরিত্যাগ করে ৬০০ গজ পিছিয়ে বায়েকের নিকট জেলা বোর্ডের রাস্তায় নতুন অবস্থান স্থাপন করে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনী শাহবাজপুর-বিয়ানীবাজার সড়কে পাকহানাদার বাহিনীর টহলদার দলকে এ্যামবুশ করে।এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর ৪০ জন যোদ্ধার একটি দল সাইলকুপা থানার আলফাপুর গ্রামে পাকবাহিনীর এক কোম্পানী সৈন্যকে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৫৩ জন সৈন্য ও ২০ জন রাজাকার নিহত হয়। অপরদিকে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের কাছ থেকে ১৬টি রাইফেল ও ৭টি গোলার বাক্স দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>পাকহানাদার বাহিনী দালাল রাজাকারদের নিয়ে কয়েকটি নৌকায় করে সুনামগঞ্জ সদর থানার ভাঁদের টেক মুক্তিবাহিনী অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়। এ খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনী যুদ্ধের প্রস্তুতি নেয় এবং তাদের আওতায় আসার সাথে সাথে পাকবর্বরদের ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করে। প্রায় দেড় ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা সম্মুখে এগুতে না পেরে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর অনেক সৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। </li> </ul> <ul> <li>৩নং সেক্টরে তেলিয়াপাড়ায় মুক্তিবাহিনী পাকসৈন্যদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে ৯ জন পাকসেনা নিহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>ঔপনিবেশিক দেশ ও জনগণকে স্বাধীনতা দানের ঘোষণা কার্যকরিকরণ সংক্রান্ত জাতিসংঘ বিশেষ কমিটির সভায় বিশ্বশান্তি পরিষদের ভারতীয় প্রতিনিধি কৃষ্ণ মেনন বাংলাদেশের মুক্তি আন্দোলনে ঐ কমিটির হস্তক্ষেপ কামনা করে বলেন, বাংলাদেশের ঔপনিবেশিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশ ফোর্স হেডকোয়ার্টার-এর গণসংযোগ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘যুদ্ধ বিষয়ক বুলেটিন’- এ বলা হয় : মুক্তিবাহিনী শাসিআলী, গাজীপুর, পানছড়া, জামবাড়ি ও কুটিশ্বরে শত্রুবাহিনীর ৪৫ জনকে নিহত এবং ১৫ জনকে আহত করে। </li> </ul> <ul> <li>পূর্ব পাকিস্তান জামায়াতে ইসলামীর আমীর গোলাম ‘স্বাধীন বাংলাদেশ’ প্রশ্ন ও বাংলাদেশের পক্ষের শক্তিশালী লবিকে মোকাবেলা করার জন্য পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলে হামিদুল হক চৌধুরী, মৌলবী ফরিদ আহমদ ও বিচারপতি হামুদুর রহমান, ডঃ সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, এ.কিউ.এম. শফিকুল ইসলাম, ব্যারিস্টার আখতার উদ্দিন, আব্দুস সবুর ও ফজলুর কাদের চৌধুরীকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ কুমিল্লায় পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর মন্দভাগ অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী বীর বিক্রমে পাকসেনাদ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী সেনেরহাট অবস্থানের ওপর পাকহানাদার বাহিনী কামান, মর্টার ও রকেট লাঞারের সাহায্যে প্রবল হামলা চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক যুদ্ধ হয়। সমস্ত দিন যুদ্ধের পর সন্ধ্যায় মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে টিকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ যুদ্ধে অনেক পাকসৈন্য হতাহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর কয়েকজন বীরযোদ্ধা শহীদ ও আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>যশোর সদর থানায় মুক্তিবাহিনীর তিনদল যোদ্ধা পাকবাহিনীর বারিনগর ঘাঁটি আক্রমণ করে।এই আক্রমণে ৩১ জন রাজাকার নিহত ও ৩৫ জন রাজাকার আহত হয়। কোন ক্ষতি ছাড়াই মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে। </li> </ul> <ul> <li>সিলেটে পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর বগাগ্রাম অবস্থানের ওপর মর্টারের সাহায্যে অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে মুক্তিবাহিনীর ৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>সুনামগঞ্জে পাকহানাদার বাহিনী স্থানীয় রাজাকার বাহিনীসহ রাণীগঞ্জ বাজার এলাকায় প্রবেশ করে এবং রাণীগঞ্জে শ্রীরামসির মতো পাইকারি হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে ৩০ জন নিরীহ মানুষ শহীদ হন। শুধু তাই নয় পাক বর্বররা রাণীগঞ্জ বাজারের প্রায় দেড়শ‘ দোকান আগুন জ্বালিয়ে ভস্মীভ’ত করে। </li> </ul> <ul> <li>বাংলাদেশ ফোর্স হেডকোয়ার্টার-এর গণসংযোগ বিভাগ থেকে প্রকাশিত ‘যুদ্ধ বিষয়ক বুলেটিন’-এ বলা হয়: বিভিন্ন সেক্টরের যুদ্ধসমূহে মুক্তিবাহিনী আজ ১১৯ জন শত্রুসৈন্যকে নিহত করেছে। </li> </ul> <ul> <li>জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগদানের জন্য পাক প্রতিনিধি দলের নাম ঘোষণা করা হয়। দলের সদস্যরা হচ্ছেন : পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আলী (দলনেতা), শাহ আজিজুর রহমান, জুলমত আলী খান, বিচারপতি জাকির উদ্দিন, ব্যারিস্টার কামাল ফারুকী, ড: বেগম এনায়েতউল্লাহ, মিসেস রাজিয়া ফয়েজ, ড: ফাতেমা সাদিক, এড: এ.টি. সাদী, এড: কে.বাবর প্রমুখ। </li> </ul> <ul> <li>মুজিবনগর থেকে প্রকাশিত ইংরেজী সাপ্তাহিক ‘বাংলাদেশ’-এর ‘পাগলা কুকুর হইতে সাবধান’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়: জেনারেল ইয়াহিয়া খান তার ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছেন। পাকিস্তানি সৈন্যরা বিচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধ করলে ও তারা তাদের পরিকল্পনামত এগুতে পারেনি।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী সেনেরহাট অবস্থানের ওপর পাকহানাদার বাহিনী কামান, মর্টার ও রকেট লাঞারের সাহায্যে প্রবল হামল...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div> <b>০৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ঝাউডাঙ্গা অবস্থানের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ২ জন পাঞ্জাবী পুলিশ নিহত ও ৪ জন আহত হয়। এই অভিযানে মুক্তিযোদ্ধা দল ৬টি রাইফেল ও কিছু গোলাবারুদ দখল করে। </li> </ul> <ul> <li>৬নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী জগদলহাটে পাকসেনাদের অবস্থানের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে পাকসেনারা পর্যুদস্ত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা জগদলহাট দখল করে। কিছুক্ষণ পর পাকহানাদার বাহিনী গোলন্দাজ ও জীপে বসানো মেশিনগানের সাহায্যে মুক্তিবাহিনীর ওপর পাল্টা আক্রমণ চালায়। পাকসেনাদের এই আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পশ্চাদপসরণ করে। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মধুখালী-দোসাতিনা সড়কে পাকসেনাবাহিনী ও রেঞ্জারদের সম্মিলিত একটি দলকে এ্যামবুশ করে। এই এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ২৬ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়। </li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দল গোয়ালগ্রামে পাকবাহিনীর এক কোম্পানী সৈন্যের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে ১৯ জন পাকসৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। অপরদিকে মুক্তিবাহিনীর ৩ জন যোদ্ধা গুরুতর আহত ও ৫ জন নিখোঁজ হয়।</li> </ul> </div> <div> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর ঝাউডাঙ্গা অবস্থানের ওপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এতে পাকবাহিনীর ২ জন পাঞ্জাবী প...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ০৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল লঞ্চে মাদারীপুরের দিকে তৎপরতা আরো বাড়ানোর জন্য অগ্রসর হয়। এই খবর পেয়ে মুক্তিবাহিনীর ২০ জনের একটি গেরিলা দল পালং থানার রাজগঞ্জের কাছে নদীর পাড়ে এ্যামবুশ পাতে। সকাল ১০টায় লঞ্চটি এ্যামবুশের আওতায় এলে গেরিলারা পাকসেনাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। শেষে উপায়ান্তর না দেখে পাকসেনারা লঞ্চে করে পালিয়ে যায়। এই সংঘর্ষে ১২ জন পাকসেনা নিহত ও অনেক আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে পাকহানাদার বাহিনী ভোগা ও করমপুর গ্রামে মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা বূহ্যের ওপর তীব্য হামলা চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য ও ৪ জন রাজাকার নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকহানাদার বাহিনীর প্রেমতলী অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ২ জন পাকসৈন্য ও ২ জন রাজাকার নিহত হয় এবং ৭ জন আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে সেনাবহিনীর কুচকাওয়াজ শেষে কয়েকজন পাকসেনা অফিসার হেঁটে যাওয়ার সময় পোলো গ্রাউন্ডের প্রবেশ মুখে এম.এ.জিন্নাহর মুক্তিযোদ্ধা দল তাদের ওপর গ্রেনেড আক্রমণ চালায়। এতে ৩ জন পাকসেনা অফিসার নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফেনীতে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর দুই প্লাটুন সৈন্যকে সিলোনিয়া নদী অতিক্রমের সময় আক্রমণ করে। এতে পাকবাহিনীর ১৫ জন সৈন্য নিহত হয়। বাকী সৈন্যরা মর্টারের শেলবর্ষণ করার মাধ্যমে নিজেদের বাঁচিয়ে পালিয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৬নং সেক্টরে লেঃ কর্ণেল দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে ৩০ জনের একটি মুক্তিযোদ্ধা দল মোগলহাট রেল লাইনের ওপর অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মাইন, গ্যালাটিন ও পি.ই.কে বসিয়ে অবস্থান নেয়। পাকসেনা বোঝাই একটি ট্রেন অগ্রসর হলে মাইনের আঘাতে ইঞ্জিনসহ সামনের কয়েকটি বগী বিধ্বস্ত হয়। পাকসেনারা সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের দিকে গুলি শুরু করে। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধাদের তিনদিক থেকে ঘিরে ফেললে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও অনেক আহত হয়। অপরদিকে দুইজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও লেঃ কর্ণেল দেলোয়ার হোসেনসহ ৪ জন যোদ্ধা আহত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক আদালত ৪৮ জন প্রাদেশিক পরিষদ সদস্যকে সামরিক আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে শান্তি কমিটির আহ্বায়ক শহীদ আলীর সভাপতিত্বে এক সভায় ব্রিগেডিয়ার ইফতেখার আহম্মদ রানা প্রশংসনীয় কাজের জন্য রাজাকার সদস্য আদম মিয়া, ওসমান গনি ও আবদুর রহমানকে টিক্কা খানের দেয়া পদক ও প্রশংসা পত্র প্রদান করে। সভায় নিহত দালাল তালাতের নামে হরিপুরের নামকরণ করা হয় ‘তালাতনগর’।</li> </ul> <div style="text-align: left;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০৬ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে পাকসেনাদের একটি শক্তিশালী দল লঞ্চে মাদারীপুরের দিকে তৎপরতা আরো বাড়ানোর জন্য অগ্রসর হয়। এই খবর পেয়ে মু...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <b><table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> </b></div> <div style="text-align: justify;"> <b>০৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী সদর থানার বংশীতলা আখ ক্রয় কেন্দ্রের পাশে পাকসেনা বোঝাই ৬/৭টি ট্রাক-কে আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে ৬০ জন পাকসেনা নিহত হয়। এই যুদ্ধ ‘বংশীতলা যুদ্ধ’ নামে খ্যাত।</li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>মুক্তিবাহিনী চট্টগ্রামের কাছে রাজাকার ক্যাম্পের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৬ জন রাজাকার নিহত ও অনেকে গুরুতরভাবে আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>সিলেটে তাজপুর মুক্তাঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর পাকসেনারা দুইবার আক্রমণ চালায়। দুইবারই পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমণের মুখে টিকতে না পেরে পিছু হটতে বাধ্য হয়। এই সংঘর্ষে একজন পাকহানাদার ও ৬ জন রাজাকার নিহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>এম.এ. জিন্নাহর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদল চট্টগ্রাম মহানগরীর দিকে অগ্রসর হলে মীরশ্বরাই এলাকায় কয়েক দফায় রাজাকার বাহিনী ও পাকবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে অনেক রাজাকার ও পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিবাহিনীর এ দলের বিশেষত্ব হচ্ছে শুধু দলনেতা ছাড়া আর সবার বয়স দশ থেকে পনের বছরের মধ্যে। </li> </ul> <ul> <li>বাকেরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গোপন আস্তানায় রাজাকার, আলবদর ও পাকিস্তানি হানাদারদের সম্মিলিত একটি দল অতর্কিতে হামলা চালায়। এতে ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। মুক্তিযোদ্ধাদের গোপন আস্তানার সন্ধান দেয় ঘাতকদের সহযোগী স্থানীয় দালাল জোনাব আলী।</li> </ul> <ul> <li>দিনাজপুরের গোদামারি-বড়কথা এলাকায় মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এই যুদ্ধে ৮ জন পাকহানাদার নিহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>৬নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী দিমপাড়া এলাকায় পাকবর্বরদের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৪ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী গোয়ালহাটি এলাকায় পাকহানাদারদের বিরুদ্ধে এক দঃসাহসিক অভিযান চালায়। এতে পাকহানাদার বাহিনীর ৫ জন সৈন্য নিহত ও ৬ জন আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তানের সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়: যেসব এম.এন.এ; এম.পি.এ; সরকারী কর্মকর্তা ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে সাধারণ ক্ষমা প্রযোজ্য হবে না।</li> </ul> </div> <div style="text-align: justify;"> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী সদর থানার বংশীতলা আখ ক্রয় কেন্দ্রের পাশে পাকসেনা বোঝাই ৬/৭টি ট্রাক-কে আক্রমণ করে। এতে ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> </div> <div> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>২নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর চালনা ও শীতলা অবস্থানের ওপর দু‘দিক থেকে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনী পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। সমস্তদিন যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকসেনা ব্যাপক ক্ষতির স্বীকার হয় এবং পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরাজয়ের গ্লানিতে পশ্চাদপসরণকারী পাকসেনারা তীব্র আক্রোশে ব্রাহ্মণপাড়া, ছোট চাঁদলা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দেয় এবং নিরীহ জনসাধারণকে হত্যা করে।</li> </ul> <ul> <li>সিলেটে আমলসিদ মুক্তাঞ্চলে মুক্তিবাহিনীর দুই প্লাটুন যোদ্ধার ওপর পাকহানাদাররা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রের সাহায্যে তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে পাকবর্বরদের শেলিংয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক ও আকমল আলী শহীদ হন এবং একজন বীর যোদ্ধা আহত হন।</li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল সৈয়দ আহসান হাবিব দিপুর নেতৃত্বে ৬ জন পাকপুলিশকে নদী পথে বগুড়া থেকে সারিয়াকান্দি খাদ্য নিয়ে যাওয়ার পথে ফুলবাড়ি ঘাটে আক্রমণ করে। এই আক্রমণে দুইজন পুলিশ নিহত হয়। বাকী চারজন পুলিশ পালাতে গিয়ে জনসাধারণের হাতে ধরা পড়ে ও নিহত হয়। গেরিলারা কিছু অস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী দখল করে।</li> </ul> <ul> <li>৬নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী সুবেদার মেজর আরব আলীর নেতৃত্বে পাকসেনাদের নাগেশ্বরী অবস্থানের ওপর ঝাটিকা আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি ছাড়াই নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul> <li>৮নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ইছাখালী বি-ও-পি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান সরকার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পেনশন বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশ সরকার আবার তা চালু করেন। কবির কলকাতার বাসভবনে অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলাদেশের হাই কমিশনার এম. হোসেন আলী কবিকে ২১০০ রূপির একটি চেক প্রদান করেন।</li> </ul> <ul> <li>রাওয়ালপিন্ডির প্রেসিডেন্ট ভবন থেকে ঘোষণা করা হয়: প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান সকলের প্রতি সাধারণ ক্ষমা প্রদর্শন করেছেন। পূর্ব পাকিস্তানে সাম্প্রতিক গোলযোগের সময় গত ১ মার্চ থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যারা অপরাধ করেছেন অথবা যাদের প্রতি অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের সবাইকে ক্ষমা করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে কার্যকর এই সাধারণ ক্ষমা সশস্ত্র বাহিনী, ইপিআর, পুলিশ, মুজাহিদ ও আনসারসহ সকলের প্রতি প্রযোজ্য হবে।</li> </ul> </div> <div> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০৪ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ২নং সেক্টরে পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিবাহিনীর চালনা ও শীতলা অবস্থানের ওপর দু‘দিক থেকে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহি...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <div style="text-align: justify;"> ০৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>৮ নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ভোমরা বিওপি অবস্থানের ওপর প্রচন্ড গুলিবর্ষণ করে। এই আক্রমণে ৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা কোন ক্ষতি স্বীকার না করেই নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul> <li>৭নং সেক্টরে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন চৌধুরীর মুক্তিযোদ্ধাদল বাজুবাকায় শত্রু অবস্থানের ওপর অভিযান চালায়। এতে ৩৪ জন রাজাকার নিহত ও ২৪ জন আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>সিলেটে পাকহানাদার বাহিনী কুমারসাইল মুক্তিযোদ্ধা ঘাঁটির ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রায় দুই ঘন্টা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধাদের চাপের মুখে পাকসেনারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। </li> </ul> <ul> <li>নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি সড়কে গজারিয়াতে ১১ জন রাজাকার ১০টি রাইফেল ও ২০০ রাউন্ড গুলিসহ মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।</li> </ul> <ul> <li>মুক্তিবাহিনীর সেকশন কমান্ডার আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ১৬ জন যোদ্ধার একটি দল ভালুকা থানার ভরাডুবা গ্রামে একদল রাজাকারের ওপর আক্রমণ চালায়। এতে ৫ জন রাজাকার নিহত হয়।</li> </ul> <ul> <li>ডাঃ এ.এম. মালিক গভর্নর ভবনের দরবার কক্ষে এক জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে পূর্ব পাকিস্তানের নতুন গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। শপথ বাক্য পাঠ করান প্রদেশের প্রধান বিচারপতি বি.এ. সিদ্দিকী। এই অনুষ্ঠানে লেঃ জেঃ এ. কে. নিয়াজীসহ উচ্চপদস্থ পাকিস্তানি সামরিক ও বেসামরিক অফিসারগণ উপস্থিত হন।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ ৮ নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের ভোমরা বিওপি অবস্থানের ওপর প্রচন্ড গুলিবর্ষণ করে। এই আক্রমণে ৩ জন পাকসেনা ন...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি সড়কে গজারিয়াতে পাকসেনাদের অবস্থান চৌকি আক্রমণ করে। এক ঘন্টা ব্যাপী এ যুদ্ধে ৩ জন ইপকাফ সৈন্য নিহত ও একজন বন্দী হয়। গেরিলারা চৌকি থেকে ৫টি রাইফেল ও ১৫০ রাউন্ড গুলি দখল করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>২নং সেক্টরে পাকবাহিনী নৌকাযোগে চারদিকে আগুন জ্বালাতে জ্বালাতে চালনায় মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের দিকে অগ্রসর হয়। পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশ দলের আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর তীব্র আক্রমণ চালায়। এতে তিনটি নৌকা পানিতে ডুবে যায় এবং বহু সৈন্য নিহত হয়। শেষে পাকসেনারা আর্টিলারীর সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে বীর মুক্তিযোদ্ধা আজাহার আলী শহীদ ও আব্দুস সাত্তার আহত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে মুক্তিবাহিনীর ৪৫ জন যোদ্ধার একটি দল কোনাগ্রাম ও বিয়ানীবাজার এলাকায় এক অভিযান চালায়। এ অভিযানে ৩ জন রাজাকার ও একজন দালাল নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৬নং সেক্টরে কোম্পানী কমান্ডার হারেস উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর শঠিবাড়ি বন্দর ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা পাকহানাদার অবস্থানের ৬০০ গজের মধ্যে এগিয়ে এলে এস.এল.আর এর সাহায্যে আক্রমণ শুরু করলে পাকসেনারা শেল ও রকেটের সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণ সমস্ত দিন অব্যাহত থাকে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বগুড়া জেলার গাবতলি থানার জাতহলিদা গ্রামে পাকহানাদাররা অতর্কিত হামলা চালায়। সৈয়দ আহসান হাবিব দিপুর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে একজন পাকসৈন্য নিহত হয়। পাকসৈন্যরা ৫ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যা করে।</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনীর গেরিলা দল নারায়ণগঞ্জ-দাউদকান্দি সড়কে গজারিয়াতে পাকসেনাদের অবস্থান চৌকি আক্রমণ করে। এক ঘন্টা ব্যাপী ...

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>০১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর প্লাটুন কমান্ডার আইয়ুব আলী ও সেকশন কমান্ডার আমজাদ হোসেন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় পাকবাহিনীর মল্লিকবাড়ী ঘাঁটি আক্রমণ করে। এই আক্রমণে ১২ জন রাজাকার নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের বনগাঁও সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী পাকসেনাদের রঘুনাথপুর ঘাঁটির ওপর গোলা আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনারা নিশ্চুপ থাকে। এ আক্রমণে পাকসেনাদের ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>৮নং সেক্টরের শিকারপুর সাব-সেক্টরে মুক্তিবাহিনী মর্টার ও এস.এল.আর এর সাহায্যে পাকসেনাদের মহেশকান্দি ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। এতে পাকসেনারা মর্টার ও এমএমজির সাহায্যে পাল্টা আক্রমণ চালালে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৫ জন হতাহত হয়। মুক্তিবাহিনী কোন ক্ষতি ছাড়াই নিরাপদ নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী গেরিলা দল ঢাকা-দাউদকান্দি সড়কে বারুনিয়া ও ভবেরচর সেতু দুটি বিস্ফোরক লাগিয়ে বিধ্বস্ত করে। এতে পাক হানাদারদের ঢাকা-কুমিল্লা যোগাযোগ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের নয়াদিল্লীতে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ মিশনের উদ্বোধন করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া প্যারিস থেকে প্রকাশিত ‘লা ফিগারো’ পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বলেন, ‘ভারত যদি এতে বাড়াবাড়ি করে তবে সর্বাত্মক যুদ্ধ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘কিছু কিছু সীমান্ত ছাড়া সব জায়গাই এখন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে’। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘আওয়ামী লীগ বাতিল করে দেশদ্রোহীদের বিতাড়িত করেছি।’</li> </ul> <br /> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর। </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১

০১ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনীর প্লাটুন কমান্ডার আইয়ুব আলী ও সেকশন কমান্ডার আমজাদ হোসেন ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায় পাকবাহিনীর মল্ল...

Read more »