- মুক্তিবাহিনীর ‘এ’ কোম্পানি কাকিনা নামক স্থানে, ‘বি’ কোম্পানি পাটেশ্বরী ঘাটে, ‘সি’ কোম্পানি পাটের ঘাটের বাম দিকে রৌমারী সড়কে এবং ‘ডি’ কোম্পানি ফুলবাড়ি থানায় ডিফেন্স নেয়।
- হানাদার পাকবাহিনীর আক্রমণে ভৈরবের পতন হয়। পাকবাহিনী ভৈরব এলাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞের এক মর্মস্পশী দৃশ্য রচনা করে।
- নগরবাড়ি ঘাটে পাকবাহিনী ফেরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর মর্টার ছুঁড়ে। পাকবাহিনীর এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান থেকে ১০ কিলোমিটার পিছিয়ে বগুড়া মহাসড়কের ডাববাগান(বর্তমান শহীদ নগর) এলাকায় এসে অবস্থান নেয় এবং শত্রুবাহিনীর জন্য ত্রিমুখী ফাঁদ তৈরী করে।
- পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গায় প্রচন্ড বিমান হামলা চালায়। এ হামলায় অসংখ্য নিরস্ত্র নিরীহ মানুষ নিহত হয়।
- পাকবাহিনী হাজীগঞ্জ বাজারে প্রবেশ করে। অপরদিকে কলিমুল্লাহর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থেকে ডাকাতিয়া নধীর পারে সমবেত হয়ে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নেয়।
- পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ১০টি ট্রাক ও ৮টি জিপে করে গুলি করতে করতে ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করে। আতঙ্কে ঠাকুরগাঁওবাসী শহর ছাড়তে শুরু করে। অল্পক্ষণের মধ্যে শহর হয়ে যায় ধু-ধু জনশূন্য।
- তিতাস নদীর পূর্ব পাড়ে শাহবাজপুরের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা একটি প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে।
- বিকালে পাকবাহিনীর হাতে ঝিনাইদহের পতন ঘটে।
- লে. মাহফুজ খাগড়াছড়িতে মেজর জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে সুবেদার খায়রুজ্জামান, করিম, ইঞ্জিয়ার ইসহাক, ফারুক আহম্মদ, শওকত আলী প্রমুখকে নিয়ে রাঙামাটি বুগিঘাট বাজারে আসেন ও অবস্থান নেন। এখান থেকে তারা পাকবাহিনীকে অতর্কিতে আক্রমণ করে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন।
- চট্টগ্রামের রাজাঘাট এলাকা পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়।
- মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কুমিল্লার গঙ্গাসাগর পুনরুদ্ধার কর।
- মুক্তিবাহিনী কয়েকদিন ধরে প্রতিরোধ যুদ্ধের পর রাজশাহী শহরের অবস্থান ছেড়ে দেয়।
- ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে কর ও খাজনা পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেয়।
- নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মার্শাল এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অবিলম্বে পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান গৃহযুদ্ধের অবসানের ব্রবস্থা করবেন।’
- করাচীতে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সরকার ন্যায়সঙ্গত কারণেই আওয়ামী লীগকে বেআইনী ঘোষণা করেছেন।
- ঢাকায় ‘নাগরিক শান্তি কমিটি’-র নাম পরিবর্তন করে ‘পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি’ রাখা হয়।
- রাজা ত্রিদিব রায়- এর আহ্বানে পাকবাহিনী রাঙ্গামাটি শহরে এসে পৌঁছায়।
- ‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র পরিষদ’-এর সভাপতি রশিদুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক সহযোগী ছাত্রদের সেনাবাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে শত্রু(মুক্তিযোদ্ধা) খতমের নির্দেশ দেয়।
সংবাদ সংস্থা এএফপির খবর: ঢাকা এখন মৃত্যুপূরী। রাস্তায় খুবই কম লোক দেখা যায়। অনেক লোক শহর ছেড়ে
চলে গেছেন। যারা ঢাকা থেকে পালাতে চাচ্ছেন তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। সৈন্যরা
ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে, তরুনদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্যদের সাথে
খুব খারাপ ব্যবহার করছে।
শান্তি ও কল্যাণ স্টিয়ারিং কমিটি, জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সংগঠকদের ১৫
দিনের মধ্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ১২ ধানমন্ডি, রোড নং-৫ এ
যোগাযোগের নির্দেশ দেয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook