image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৪ মে, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
৪ মে, ১৯৭১ যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটি বাংলাদেশের যুদ্ধের অবসান না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সামরিক স...
৪ মে, ১৯৭১
  • যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটি বাংলাদেশের যুদ্ধের অবসান না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সামরিক সাহায্য বন্ধ রাখা বিষয়ে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করে। প্রস্তাবে বলা হয়, পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানকে সব ধরনের সামরিক সাহায্য বন্ধ রেখে পূর্ব পাকিস্তানে ত্রান কাজ শুরু করা হোক।
  • কর্নেল আতিক ও ক্যাপ্টেন এএজাজ-এর নেতৃত্বে পাকবাহিনী বরিশাল থেকে হুলার হাট হয়ে পিরোজপুর প্রবেশ করে তিনদিক থেকে পিরোজপুর শহর আক্রমণ করে। বর্বর হানাদার বাহিনী কালিবাড়ি রোডের দুপাশে মাছিমপুর, পালপাড়া, শিকারপুর, রাজারহাট, কুকারপাড়া, ডুমুর তলা, কদমতলা, নামাজপুর আলমকাঠি, ঢুলিগাতি, রানীপুর, পারেরহাট ও চিংড়াখালি এলাকায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
  • পাকহানাদার বাহিনী সিলেটের পুষাইনগর এলাকায় হামলা চালায় এবঙ নিরীহ ১৫ জন গ্রামবাসী বর্বরদের অত্যাচারে নিহত হয়।
  • ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। পাকবাহিনী ৩ মে এক সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধা ইপিআর বাহিনীর গুলিতে ৫০ জন পাকসেনা নিহত হয় বলে জানায়। পাকসেনারা বিএসএফ কর্মকর্তাদের বাঙালি ইপিআরদের তাদের কাছে সমার্পনের আবেদন জানায়। কিন্তু বিএসএফ কর্মকর্তরা ভারতে কোনো ইপিআর সদস্য নেই বলে জানিয়ে দেয়।
  • শাহ আজিজ বলেন, পূর্ণ ও অবাধ গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া রাজনৈতিক দলগুলোকে সর্বাধিক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের বৃহত্তম দল আওয়ামী লীগ জোর-জবরদস্তি ও প্রতারণার মাধ্যমে সাম্প্রতিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। আওয়ামী লীগের ছত্রচ্ছায়ায় সশস্ত্র ও শ্লোগানমুখর উন্মত্ত তথাকথিত রাজনৈতিক কর্মীরা ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে এবং সরকারি-বেসরকারি সংস্থাকে সম্পূর্ণরূপে তাদের আজ্ঞাবহ করে তোলে।
  • তিনি আরো বলেন, পাকিস্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার উদ্দেশ্য ২৫ মার্চ হস্তক্ষেপ করা ছাড়া সেনাবাহিনীর হাতে কোনো বিকল্প ছিল না। সেনাবাহিনীর সময়োচিত হস্তক্ষেপ ও আল্লাহর অশেষ কৃপায় দেশের অর্থনৈতিক জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসমূহের ধ্বংস রোধ হয়েছে।
  • শান্তি কমিটির উদ্যোগে চাঁদপুর স্বাধীনতা-বিরোধীরা মিছিল করে। মিছিলে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান এম.এ. সালাম।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top