২৮ মে, ১৯৭১
- বীর
মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রাস্তায় জঙ্গলবাড়ি যাবার পথে
পাকবাহিনীর এক কোম্পানি সৈন্যকে মনোহরপুর এলাকায় এ্যামবুশ করে। এ এ্যামবুশে
পাকবাহিনীর ২৫ জন সৈন্য হতাহত হয়। এতে পাকসেনারা পিছু হটে পুনরায়
মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের চেষ্টা চালায়: কিন্তু তার আগেই এ্যামবুশ দল
তাঁদের অবস্থান ত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। পরে পাক বর্বররা মাগুরা ও
মনোহরপুর গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়।
- সকালে
মুক্তিযোদ্ধারা কুমিল্লার দক্ষিণে রাজারমার দিঘীতে পাকবাহিনরি ঘাঁটি আক্রমণ
করে। এবং বাঙ্কার উড়িয়ে দেয়। এ অভিযানে ৪ জন পাকসেনা নিহত এবং বেশ কিছু
অস্ত্র-গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে আসে।
- তুমুল যুদ্ধের পর ভূরুঙ্গমারী পাকসেনাদের দখলে চলে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা
ভূরুঙ্গমারীর পূর্ব দিকে আসাম সীমান্তের গোলকগঞ্জের সোনাহাট সীমান্ত সংলগ্ন
মুক্ত এলাকা সোনাহাট এবং পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহার জেলার সাহেবগঞ্জ সীমান্তে
আশ্রয় নেয়।
- কুষ্টিয়া সফর শেষে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি হেমডিক ফ্যানডং কুষ্টিয়ার
ধ্বংসলীলা সম্পর্কে এক রিপোর্টে উল্লেখ করেন, “শহরটি দেখতে দ্বিতীয়
মহাযুদ্ধে মিত্রবাহিনীর বোমায় ধ্বংসপ্রাপ্ত জার্মানির শহরগুলোর মতো।”
- ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুহার্তো পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কাছে
পাঠানো চিঠিতে বলেন, “ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে পাকিস্তানের ঐক্য ও সংহতি রক্ষা
পাবে।” তিনি বাঙালি ও বাংলাদেশের ব্যাপারে পাকিস্তানের নীতি সমর্থন করন।
- শর্ষিনার পীর সাহেব মওলানা শাহ আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ এক বিবৃতিতে যথা
সময়ে পাকিস্তানকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি আন্তরিক
অভিনন্দন জানান। তিনি রাষ্ট্রবিরোধীদের নির্মূল করতে সেনাবাহিনীকে
সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করার জন্য দেশপ্রেমিক জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
- কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির আহ্বায়ক খাজা খয়রুদ্দিন ঢাকায় এক সভায় বলেন,
পাকিস্তানকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলকে নির্মূলে
নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করা আমাদের ফরজ কাজ।
- স্বাধীনতা-বিরোধী সাইদুল হককে আহ্বায়ক করে নোয়াখালী জেলা শান্তি কমিটি গঠিত হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook