১৩ মে, ১৯৭১
- কুমিল্লার সিঙ্গারবিল এলাকায় মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা পাকসেনাদের এ্যামবুশ করে। এ্যামবুশে পাকবাহিনীর ৩ জন সৈন্য নিহত হয়।
- বরিশালে
পূর্ব নবগ্রামে পাকবাহিনী মেদাকুল ঘাঁটির চারজন সৈন্য প্রবেশ করেই
সিদ্ধেশ্বর সরকারের বাড়িতে হামলা চালায়। তারপর একই গ্রামের বিশ্বাসবাড়ি
আক্রমণ করতে অগ্রসর হলে দু'জন মুক্তিযোদ্ধা নিজেদের তৈরী বোমা নিয়ে আক্রমণ
চালায়। এ সংঘর্ষে চারজন পাকসেনার সবাই নিহত হয়। অপরদিকে, অমুল্য মল্লিক
নামে একজন যোদ্ধা শহীদ হন।
- তেলিয়াপাড়ার সড়কে লে. মোরশেদ ১২ জন যোদ্ধা নিয়ে সিলেট- ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সড়কে বাগসাইর গ্রামে পাকবাহিনীর একটি সামরিক কনভয়কে এ্যামবুশ করে।এ্যামবুশে
পাকসেনা ভর্তি একটি জীপ এবং একটি ট্রাক ধ্বংস হয়।
- মৌলভীবাজারের হিলালপুর গ্রামে অবস্থানকারী লন্ডন প্রবাসী মোহাম্মদ
উস্তার ও সিরাজুল ইসলামকে পাকহানাদারবাহিনী রাষ্ট্রদ্রোহী সাব্যস্ত করে।
সারা শহরে মাইকিং করে প্রকাশ্য দিবালোকে মনু নদীর ব্রিজের ওপর তাদের দাঁড়
করিয়ে পৈশাচিক উল্লাসে বর্বররা গুলি চালায় ও লাশ দুটি নদীর স্রোতে ভাসিয়ে
দেয়।
- মুক্তিবাহিনীর সাথে কয়েক দফা সংঘর্ষের পর পাক সেনাবাহিনী ঢাকা জেলার লৌহজং ও টঙ্গীবাড়ি দখল করে ।
- সামরিক আইন প্রশাসক টিক্কা খান মুক্তিবাহিনীর প্রধান সেনাপতি কর্নেল
ওসমানীকে পাকিস্তান দন্ডবিধির ১২১,১২৩,১৩১,এবং ১৩২ধারা এবং ১০ ও ১৪নম্বর
সামরিক বিধির আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের জবাব দানের জন্য ২০ মের
মধ্যে ১ নম্বর সামরিক আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। অন্যথায় তাঁর
অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হবে বলে জানানো হয়।
- সিলেটের বিভিন্ন স্থানে শান্তি কমিটির শাখা গঠিত হয়। নবগঠিত কমিটির
আহ্বায়করা হচ্ছেন: নাজমুল হোসেন-সিলেট, সাবেক এমপিএ হাজী এনামউল্লাহ ও
মিসির উল্লাহ-মৌলভীবাজার, বদরুদ্দিন আহমদ ও মো.বাতির মিয়া-কুলাউড়া, হাজী
আফতাব উদ্দিন আহমদ ও আক্কাস আলী সরকার-বড়লেখা, আবদুল গফুর,হাজী আজমল খান ও
আবদুল করিম-রাজনগর, মুন্সী মো.আরিফ-কমলগঞ্জ ও হাজী আবদুল রশিদ-শ্রীমঙ্গল।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook