১৭ মে, ১৯৭১
- মুক্তিবাহিনীর
৬০ জন যোদ্ধার একটি দল হাজীগঞ্জ থানা আক্রমণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদের এই
অভিযানে দুই জন পুলিশ ও নয় জন রাজাকার নিহত এবং বহু অস্ত্র উদ্ধার হয়।
- পূর্ব
পাকিস্তানের গভর্নর টিক্কা খান উপসামরিক আইন প্রশাসকদের পুলিশ অফিসার বা
ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা ব্যবহারের অধিকার প্রদান করেন। এই ক্ষমতাবলে তারা
যে-কোন ব্যক্তিকে আটক করে হাজতে প্রেরণ, সিভিল প্রিজনে প্রেরণ ও গ্রেফতারসহ
অপরাধের তদন্ত করতে পারবে। এই কুখ্যাত আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট এবং
হাইকোর্টসহ কোনো আদালতে কেউ আপত্তি উত্থাপন করতে পারবে না ।
- সামরিক শাসন কর্কৃপক্ষ অনুপ্রবেশকারী ও দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা)
রাষ্ট্র-বিরোধী কার্যকলাপ যাতে আর প্রসার লাভ করতে না পারে, সে ব্যাপারে
সরকারের সাথে সহযোগিতা করার জন্য জনগণের প্রতি নির্দেশ দেয় ।
- জাতিসংঘের ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি সমর সেন সামাজিক কমিটিতে বলেন, ভারতে
বিপুলসংখ্যক শরণার্থী আগমনের ফলে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা কেবল
ভারত-পাকিস্তানের সমস্যা নয়, একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আন্তর্জাতিক
ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
- সাবেক এমএনএ আবুল কাশেমের ঢাকার মোহাম্মদপুরস্থ বাসভবনে শান্তি কমিটির
এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা মেজর জেনারেল (অব.) ওমরাহ
খান সভাপতিত্ব করেন। সভায় বক্তারা দেশদ্রোহীদের (মুক্তিযোদ্ধা) বিরুদ্ধে
কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে সামরিক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানায় ।
- শান্তি কমিটির নাম পরিবর্তন করে ‘শান্তিও সংহতি কমিটি’ নামকরণ করা হয়।
- দেওয়ান ওয়ারাসাত আলী খান, সুলেমান ওসমানী, আনোয়া্রুল হক, সাবির আলী, নইম
মালিক এবং এ.এইচ. মালিককে কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির নির্বাহী পরিষদে
কো-অপ্ট করা হয়।
- দেওয়ান ওয়ারাসাত আলী খান, সৈয়দ খাজা খয়রুদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক
গোলাম আজম, আফতাব আহমদ খান, আবুল কাশেম, মো.সাব্বির আলী, জহুর আহমদ, মেজর
(অব.) আফসার উদ্দিন, এ.কে. রফিকুল হাসান, মোজাফফর আহমদ, এ.এ.মল্লিক,
এস.এম.জিয়াউল হক, আফতাব আহমদ সিদ্দিকী, এ.এইচ. মালিক, মো.নুরুল আঈন, আনকার
মালিক, মকবুল ইকবাল, এস.এইচ. হাসান, এ.এন.মালিক, আয়েশারুল হক, আখতার হামিদ
খান, হাসান রাজা, সুলমান ওসমানী ও তোহা বিন হাবিবকে নিয়ে ২৫ সদস্যবিশিষ্ট
প্রাদেশিক শান্তি কমিটির সাধারণ পরিষদ গঠন করা হয়।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook