- অমর একুশে স্মরণে বাংলা একাডেমীর
সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির ‘একুশের সৃষ্টি’ শীর্ষক সাহিত্য সভায় আলোচনাকালে
প্রখ্যাত সাংবাদিক সাহিত্যিক রণেশ দাস গুপ্ত বলেন, ‘এদেশের গণসংগ্রামকে
সাফল্যের পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এই আন্দোলনের তত্ত্বমূলক দর্শন ও তার
রূপরেখার সাথে জনগণকে একাত্ম করার গুরুদায়িত্ব কবি, সাহিত্যিক ও শিল্পীদের
উপর ন্যস্ত।’ কর্মসূচির তৃতীয় অনুষ্ঠানে সভানেত্রীত্ব করেন কবি সুফিয়া
কামাল। অনুষ্ঠানে ‘একুশের সৃষ্টি’ হতে পাঠ, আবৃত্তি এবং আলোচনা অনুষ্ঠিত
হয়। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ড. মাজহারুল ইসলাম, ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী,
জনাব মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী ও সভানেত্রী স্বয়ং।
- মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী
চট্টগ্রাম পাহাড়তলী শাহজাহার ময়দানে এক বিরাট শ্রমিক সভায় ভুট্টোকে
উদ্দেশ্য করে পশ্চিম পাকিস্তানে বসে তাঁর নিজস্ব শাসনতন্ত্র প্রণয়ন ও পূর্ব
পাকিস্তানে আসার তকলিফ স্বীকার না করার উপদেশ দেন। উক্ত সভায় বক্তৃতাকালে
মওলানা ভাসানী বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের নিজস্ব শাসনতন্ত্র শোষণ জুলুম ও
নির্যাতন থেকে মুক্তির নিশ্চয়তা দেবে। তিনি বলেন, গত দশকে দৌলতানা, খুরো ও
ভুট্টোরা পূর্ব পাকিস্তানিদের শোষণ করে শূন্য করেছে। তারা আবার পূর্ব
পাকিস্তানের স্বার্থ নস্যাতের জন্য উদ্যোগী হয়েছে। তিনি বলেন, পূর্ব
পাকিস্তানের এমন শাসনতন্ত্র রচনা করা উচিত যাতে অফিসার ও শ্রমিকদের বেতনের
সীমা নির্ধারিত এবং সব ধর্মের লোকদের নিজ নিজ ধর্মকর্মের অধিকার থাকবে।
- অকসাপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল নূর খান ঢাকার
হোটেলে ইন্টার কন্টিনেন্টালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে বৈঠক
শেষে এ পিপি’র সাথে আলোচনাকালে বলেন যে, জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরুর আগে
শাসনতান্ত্রিক সমস্যাবলী আলোচনার জন্য শেখ মুজিবুর রহমান পশ্চিম পাকিস্তান
নেতৃবৃন্দকে ঢাকায় আমন্ত্রন জানাবেন বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এক প্রশ্নের
জবাবে তিনি বলেন, পশ্চিম পাকিস্তান থেকে কোনো বাণী তিনি বহন করে আনেন নি
এবং ঢাকা থেকেও কোন বাণী নিয়ে যাবেন না। তিনি বঙ্গবন্ধু ছাড়া পি ও পি
প্রধান নূরুল আমীন এবং ভাসানীপন্থী ন্যাপ নেতা মশিহুর রহমানের সাথেও দেখা
করেন।
- অমর শহীদ দিবস স্মরণে কেন্দ্রীয়
খেলাঘরের উদ্যোগে শহীদ মিনারের পাদদেশে এক সাহিত্য বাসর, আলোচনা সভা ও
‘আমরা বরকত সালামের ভাই’ শীর্ষক গীতি-নকশা পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে খুদে
লেখক লেখিকা ভাই-বোনেরা স্বরচিত গল্প, কবিতা, ছড়া ও প্রবন্ধের মাধ্যমে
১৯৫২-এর শহীদ স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব
করেন কেন্দ্রীয় খেলাঘরের সভাপতি বজলুর রহমান(ভাইয়া)।
তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.