- ক্যাপ্টেন আইনুদ্দিনের নেতৃত্বে ৪র্থ বেঙ্গলের ‘ডি’ কোম্পানীর এক প্লাটুন যোদ্ধা কসবার পশ্চিমে পাকবাহিনীর টি. আলীর বাড়ীর নিকট পাকসেনাদের অবস্থানের পেছনে জলপথের ওপর এ্যামবুশ করে। পাকসেনাদের দু‘টি নৌকা তাদের অবস্থানের দিকে অগ্রসর হলে এ্যামবুশের আওতায় আসার সাথে সাথে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের ওপর আক্রমণ চালায়। প্রচন্ড গোলাগুলির পর পাকসেনাদের নৌকা দু’টি পানিতে ডুবে যায় এবং সেই সঙ্গে ৩০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। এই যুদ্ধে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
- ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর এক কোম্পানী যোদ্ধা ১নং সেক্টরে আমলিকাতে উপেন্দ্র লাল চাকমা বিওপির বিপরীতে পাকসেনাদের শক্ত অবস্থানের ওপর আক্রমণ রচনা করে। ভারতীয় বাহিনীর ৪নং গার্ডস-এর একটি কোম্পানী লেঃ কর্নেল হিম্মত সিংহের কমান্ডে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্টার ও এমজি সাপোর্ট দেয়। আধঘন্টা স্থায়ী এই সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর তিনটি কলাম তিন দিক থেকে পাকসেনাদের বাঙ্কার গুলোর উপর গ্রেনেড চার্জ করে। পাকসেনারা মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের মুখে চরম মার খেয়ে শোতাপুরের দিকে পালিয়ে যায়। আমলিকা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। এ সংঘর্ষে ২৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। অপরদিকে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ও দুইজন গুরুতররূপে আহত হন।
- মুক্তিবাহিনীর ৬ জনের একটি গেরিলা দল ঢাকার সায়দাবাদ সেতুটি বিষ্ফোরক লাগিয়ে বিধ্বস্ত করে। এতে এই পথ দিয়ে পাকসেনাদের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
- মল্লিকবাড়ি পাক ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদের ৪ জন সৈন্য নিহত ও ৩ জন সৈন্য আহত হয়।
- পাকবাহিনী লাকসাম থানার বুটচি গ্রামে সন্ধ্যা সাতটায় শান্তি কমিটির একটি সভা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেয়। পাকসেনা ও রাজাকাররা সভা শুরু করলে ২নং সেক্টরের মিয়ারবাজার সাব-সেক্টরের এক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা তাদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে ৮ জন পাকসেনা, ৯ জন পশ্চিম পাকিস্তানি পুলিশ, ও ২০ জন রাজাকার হতাহত হয় এবং শান্তি কমিটির সভা ভেঙ্গে যায়। মুক্তিযোদ্ধা দল নিরাপদে নিজ অবস্থানে ফিরে আসে।
- রাতে পাকবাহিনী আকস্মিভাবে এলিফ্যান্ট রোডের ৩৫৫ নম্বর কনিকা বাড়িটি চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। সেখান থেকে পাকসেনারা শরীফ, জামিল ও গেরিলা যোদ্ধা রুমীকে বন্দী করে নিয়ে যায়। রুমী ভারতের ‘মেলাঘর’ থেকে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে জুন মাসে ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
- করাচীতে গোলাম আজম এক সাংবাদিক সম্মেলনে আলাদা নির্বাচন পদ্ধতিতে পুনরায় পূর্ব পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান। তিনি বলেন, আলাদা নির্বাচন না হওয়াতে গত নির্বাচনে হিন্দুদের সমর্থন পেয়ে আওয়ামী লীগ জয়ী হয়। তিনি আরো বলেন, এ মুহুর্তে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে চরম বোকামী।
তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ।
Post a Comment Blogger Facebook