image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ০৫ আগস্ট, ১৯৭১
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
০৫ আগস্ট, ১৯৭১ ফুলবাড়ীয়া থানার রাঙ্গামাটি নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকহানাদারদের এক...
০৫ আগস্ট, ১৯৭১
  • ফুলবাড়ীয়া থানার রাঙ্গামাটি নামক স্থানে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে পাকহানাদারদের একটি গাড়ী সম্পূর্ণ ধ্বংস হয় এবং ৩৫ জন পাকসেনা নিহত ও ১৭ জন গুরুতর আহত হয়।
  • কুমিল্লায় মুক্তিবাহিনী পাকহানাদারদের নয়নপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। এ অভিযানে বহু খানসেনা হতাহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা অভিযান শেষে নিরাপদে নিজ ঘাঁটিতে ফিরে আসে।
  • কুষ্টিয়ায় মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর নাটুদহ কোম্পানী সদর দপ্তর আক্রমণ করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা হাসান, আলাউল, ইসলাম খোকন, আবুল কাশেম, রওশন আলম, তারিক, রবিউল, আফাজ উদ্দিন ও কেয়ামুদ্দিন শহীদ হন।
  • মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ কর্তৃক পাকিস্তানে সামরিক সাহায্য প্রদান বন্ধ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাশ করায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
  • মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী টুঙ্কু আব্দুর রহমান বাংলাদেশ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্কট সম্পর্কে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সরদার শরণ সিং-এর সাথে বৈঠকে মিলিত হন।
  • পাকিস্তান সরকার বাংলাদেশ সঙ্কট সম্পর্কে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেন। শ্বেতপত্রে বলা হয়: পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের ২৫ দিনের অসহযোগ আন্দোলনের ফলে গুরুতরভাবে বিনষ্ট সরকারী কর্তৃত্ব পুনরুদ্ধারে সামরিক বাহিনীকে আদেশ দেয়া হয়েছিল। আরো বলা হয়, ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইস্টপাকিস্তান রাইফেলস এবং আওয়ামী লীগের কর্মী বাহিনীর বিদ্রোহীরা সংগঠিত হয়ে সন্ত্রাসবাদী কায়দায় পাকিস্তানীদের নিধন করে। সশস্ত্র ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের সক্রিয় সাহায্যে আওয়ামী লীগ ২৬ মার্চ ভোরে সশস্ত্র বিদ্রোহের পরিকল্পনা করে। ইতিমধ্যে তারা প্রদেশের প্রতিটি শহরে আক্রমণাত্মক তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু ২৫-২৬ মার্চ আঘাত হানার নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা আগেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে বিচ্ছিন্নতাবাদী উদ্যোগ ব্যর্থ করে দেয়।
  • জামায়াতে ইসলামীর রংপুর জেলা সেক্রেটারী মওলানা কাজী নজমুল হুদা সৈয়দপুর, নীলফামারী, ডোমরা, জলঢাকা, পীরগাছা ও গান্ধা এলাকা সফর করেন। সেখানকার রাজাকারদের কর্মতৎপরতা পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, জেলায় ৬ হাজারেরও বেশী রাজাকার সশস্ত্র ট্রেনিং নিয়ে দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কাজ করছে।
  • পূর্ব পাকিস্তানের প্রথম গভর্নর স্যার ফ্রেডারিক বোর্ন জানান, পাকিস্তানের সংহতির জন্যে প্রয়োজন ছিলো সামরিক হস্তক্ষেপের। তিনি আরো বলেন, "আমি আরও বিশ্বাস করি যে, পাকিস্তানের শত্রুরা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করে সরল প্রাণ লোকদের বিপথে পরিচালিত করে এবং বিদেশী শক্তির ক্রীড়নকে পরিণত হয়।"

তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর।

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top