- সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে কারফিউ শিথিল করা হয়।
- রাতে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে মুক্তিযুদ্ধে সাহায্যের জন্য পুনরায় বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
- জীবননগরে মহড়ারত প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডার লে. কর্নেল রেজাউল জলিলের কাছে নির্দেশ আসে যশোর সেনানিবাসে ফিরে যাওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী লে. কর্নেল জলিল তাঁর প্রথম বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন নিয়ে সব অস্ত্রসহ যশোর সেনানিবাসে চলে যান। পরে প্রথম বেঙ্গল রেজিমেন্টের ইতিহাস বড় করুণ।
- দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনের প্রধান মেজর এম এ ওসমান চৌধুরী বেলা ১২টার মধ্যে সীমান্তের সব কম্পানিকে চুয়াডাঙ্গার ইপিআর সদর দপ্তরে রিপোর্ট করতে বলেন। কুষ্টিয়া আক্রমণের পরিকল্পনা অনুযায়ী একটি কম্পানি ঝিনাইদহ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কম্পানিটি যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক অবরোধ করে।
- পাকিস্তানি নৌবাহিনী বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় গোলাবর্ষণ করে। নৌবন্দর এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালি নৌসেনাদের নিরস্ত্র করে হত্যা করে।
- ঢাকার ওপারে জিঞ্জিরা দখল নিয়ে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিবিনিময় হয়। যশোর, দিনাজপুর, কুষ্টিয়ায় দখল প্রতিষ্ঠা নিয়ে তীব্র সংঘর্ষ হয়। দেশের তিন-চতুর্থাংশ এলাকা স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
- ময়মনসিংহ থেকে মেজর নূরুল ইসলাম ঢাকায় বেতারযোগে সংবাদ পাঠান যে সেখানে ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলসের পাকিস্তানি সেনারা বাঙালি সৈনিকদের ওপর আক্রমণ করেছে। সংবাদ পেয়ে মেজর নূরুল ইসলামকে সাহায্য করার জন্য মেজর কে এম শফিউল্লাহ সৈন্য নিয়ে সেদিকে অগ্রসর হন।
Post a Comment Blogger Facebook
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.