image

image
 

A+ A-
Voice of 71 Voice of 71 Author
Title: বিদেশী সংবাদপত্রে ১৯৭১: ভাঙ্গন রোধে ইয়াহিয়া সেনাবাহিনী ব্যবহার করবেন
Author: Voice of 71
Rating 5 of 5 Des:
পত্রিকার নাম: দি অবজারভার, প্রকাশকাল: ৭ মার্চ, ১৯৭১ লিখেছেন: সিরিল ডান অনুবাদ করেছন: ফাহমিদুল হক শিরোনাম ছিল: ভাঙ্গন রোধে ইয়াহিয়া ...
পত্রিকার নাম: দি অবজারভার,
প্রকাশকাল: ৭ মার্চ, ১৯৭১
লিখেছেন: সিরিল ডান
অনুবাদ করেছন: ফাহমিদুল হক
শিরোনাম ছিল: ভাঙ্গন রোধে ইয়াহিয়া সেনাবাহিনী ব্যবহার করবেন

পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্তাল কেন্দ্র ঢাকা আজ যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তার ফলে দেশটিতে গৃহযুদ্ধের সূচনা করতে পারে। এর ফলে মুসলিম রাষ্ট্র পাকিস্তানে স্বাধীনতা লাভের ২৫ বছর পর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যেতে পারে। পূর্ব পাকিস্তানের ৫০-বছর-বয়সী রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমান গতকাল ঘোষণা করেছেন যে আজ ঢাকার পল্টন ময়দানে একটি গণসমাবেশে করবেন। তার আন্দোলনের সেনাপতিরা বলছেন আজ মুজিব একটি ‘ঐতিহাসিক বক্তৃতা’ করবেন, যার অর্থ পূর্ব পাকিস্তানকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পৃথক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেবেন।

এই সম্ভাবনার কথা বুঝতে পেরে প্রেসিডেন্ট জেনারেল ইয়াহিয়া খান — যিনি এখনও সামরিক শাসক হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ মতা ধারণ করেন — গতকাল দুপুরে এক বেতার-ভাষণে দৃঢ়ভাবে সতর্ক করে দিয়েছেন যে তিনি পাকিস্তানের ভাঙ্গন বরদাশত করবেন না। তিনি তার ভাষণে স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে তিনি পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক হস্তপে করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘যাই ঘটে থাকুক না কেন যতক্ষণ পর্যন্ত আমি পাকিস্তান-সেনাবাহিনীর প্রধানের দায়িত্বে আছি, পাকিস্তানের সম্পূর্ণ ও পরম অখণ্ডতা রক্ষা করবো। এবিষয়ে যেন কোনো সন্দেহ কারো মনে না থাকে। আমি সামান্য কয়েকজন লোককে কোটি মানুষের পাকিস্তান ভূমিকে ধ্বংস করার সুযোগ দিতে পারি না’।

একই সময়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া আজ ঢাকায় চরম বিক্ষুব্ধ প্রদর্শনীকে রোধ করার জন্য ও পরিস্থিতি ঠাণ্ডা করার জন্য দু-টি পদপে গ্রহণ করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নির্বাচিতরা ২৫ তারিখে একটি সংবিধান প্রণয়নের জন্য আইনসভার অধিবেশনে বসবেন। সংবিধান অনুসারে মতা সেনাবাহিনীর হাত থেকে জনগণের কাছে হস্তান্তরিত হবার কথা। ডিসেম্বরের ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় প্রতিটি আসনেই জয়ী হন কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানে কোনো সমর্থনই পান নি।

শেখ যখন পুরো পাকিস্তানের জন্য সংবিধান প্রণয়ন করতে গিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জন্য এমন এক ধরনের স্বায়ত্তশাসনের রূপরেখা দিতে চাইলেন যার প্রকৃতি স্বাধীনতার চেয়ে সামান্য দূরবর্তী একটি অবস্থান, তখনই বর্তমান সংকট তৈরী হলো। এর ফলে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রি ও পশ্চিমাংশে বিজয়ী পিপলস্ পার্টির প্রধান মি. জুলফিকার আলি ভুট্টো প্রথম জাতীয় পরিষদের ৩ মার্চ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য অধিবেশন বয়কট করেন। এর পরে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ‘অনির্দিষ্টকাল’-এর জন্য অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন এবং এর প্রতিক্রিয়াস্বরূপ পূর্ব পাকিস্তানে তাৎণিকভাবে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও হত্যার ঘটনা ঘটে। মৃতের সংখ্যা কত তা কঠোর সেন্সরশিপের কারণে তাৎণিকভাবে জানা যায় নি, তবে গত শুক্রবারে একটি এজেন্সি-প্রতিবেদন থেকে জানা যায় সেনাবাহিনীর মেশিনগানের গুলিতে ২,০০০ লোক মারা যায়।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান গতকাল এটাও ঘোষাণা করেছেন যে তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পূর্ব পাকিস্তানে যাচ্ছেন। পদপেটি সাহসী, এমনকি বেপরোয়াও বলা যায় একে। পূর্ব পাকিস্তানে এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা সহিংস আন্দোলনের মাধ্যমে ইয়াহিয়ার পূর্বসূরী ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছিল। এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে ইয়াহিয়া খান পূর্ব পাকিস্তানে যাবার মাধ্যমে নিজের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলছেন। তিনি যদি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করেন যে পূর্ব পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতবাদীরা ‘সামান্য কয়েকজন’ তবে শিগগীরই তিনি দেখতে পাবেন যে তার জানার মধ্যে গলদ আছে।

এটা শোনা যায় যে সংকট সৃষ্টি হবার পর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আড়াই ডিভিশন সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থান করছে। তার পর থেকেই এর সংখ্যা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ১০০০ মাইলেরও বেশি ভারতীয় ভূখণ্ড দ্বারা বিচ্ছিন্ন।

এটা শোনা যায় যে সংকট শুরু হবার পর থেকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আড়াই ডিভিশন সৈন্য পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থান করছে। তার পর থেকেই সৈন্যসমাবেশ ক্রমশ বাড়িয়ে তোলা হয়েছে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান থেকে ১০০০ মাইলের ভারতীয় ভূখণ্ড দ্বারা বিচ্ছিন্ন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ পূর্বে দু-জন কাশ্মিরী ভারতীয় এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ছিনতাই করে লাহোরে নিয়ে যাবার পর থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ওপর দিয়ে পাকিস্তানী বিমান চলাচলের ওপর ভারত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। পাকিস্তানের বিমানগুলোকে তাই পুরো ভারত-সীমান্ত ঘুরে শিলং-এর পথ ধরে আসতে হয়। ভারতীয় প্রতিরামন্ত্রি জগজীবন রাম বলেছেন পাকিস্তানের সংকট সত্ত্বেও এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। শেখ মুজিবুরের স্বায়ত্তশাসিত পূর্ব পাকিস্তানের পরিকল্পনায় স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর কথাও রয়েছে। অবশ্য তার অস্তিত্ব এখনও নেই, আর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর কেবল একটি রেজিমেন্টেই পূর্ব পাকিস্তানী সদস্য রয়েছে।

গতকাল লন্ডনে আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় শেখ মুজিবুর “এখনও একক পাকিস্তানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন”, কিন্তু “পুরো জনগোষ্ঠীর চাপ রয়েছে যে তিনি যেন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীকে ‘জাহান্নামে যাও’ বলে বিদায় করে দেন”। শেখ সবসময় বলে এসেছেন যে পূর্ব পাকিস্তান “পশ্চিম পাকিস্তানের একটি অবহেলিত উপনিবেশ এবং তার স্বায়ত্তশাসন পরিকল্পনা এই শোষণ থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে মুক্ত করবে”।

আমাদের প্রতিনিধি মৃতের সংখ্যা ‘প্রায় ২০০’ বলে উল্লেখ করেছেন এবং জানাচ্ছেন এই সংখ্যাটি প্রকৃত সংখ্যার চেয়ে কম কারণ সেনাবাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যদিও পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র বিক্ষুব্ধ জনতা কারফিউ ভঙ্গ করে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। শেখ তার জনগণকে শান্ত থাকার আবেদন জানিয়েছেন এবং তার নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত তারা যেন উচ্ছৃঙ্খল আচরণ না-করে ও পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। এই মুহূর্তে বাঙালিরা অবশ্য শেখ যা বলবেন তা যাই হোক না কেন করতে রাজি আছে। কিন্তু তাদের মেজাজ বিগড়েও যেতে পারে যদি তিনি তাদের প্রত্যাশা পূরণ না করেন।

আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন যে সেনাবাহিনী অস্ত্র ব্যবহার করছে। দলের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন ‘বাংলার নিরস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে’ নগ্নভাবে সেনাবাহিনীকে ব্যাবহার করা হচ্ছে। বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে দেবার জন্য তিনি পশ্চিম পাকিস্তানের জনগণের কাছে ‘অবিলম্বে’ পূর্ব পাকিস্তানে সেনাভিযান বন্ধের দাবি জানানোর আবেদন জানিয়েছেন। শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে তারা ‘দখলদার বাহিনীর মতো’ আচরণ করছে। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের ওপরে ‘উৎপীড়ন’ বন্ধ করতে ইয়াহিয়ার ওপরে চাপ প্রয়োগের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি অনুরোধ করেছেন এমন তথ্য ভারতীয় বেতার আকাশবাণীতে প্রচার হবার পর তা অস্বীকার করেছেন।

জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে ইয়াহিয়া খান বলেন ডিসেম্বরে পাকিস্তানের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার পর ‘আমি জনগণের কাছে মতা হস্তান্তরের জন্য যতগুলো পদপে গ্রহণ করেছি তার প্রতিটি কয়েকজন নেতার জন্য বাধাগ্রস্ত হয়েছে’। তিনি বলেন তিনি অধিবেশন স্থগিত করেছেন পরিস্থিতি শান্ত হবার জন্য, কিন্তু তার এই পদপেকে ‘পুরোপুরিভাবে ভুল বোঝা’ হয়েছে। তিনি বলেন পূর্ব পাকিস্তানের গণ্ডগোল থামাবার জন্য তিনি সর্বনিু সংখ্যায় সেনাবাহিনী ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্যে ‘আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ও আল্লাহর ওপরে ভরসা রেখে একটি গণতান্ত্রিক জীবনপদ্ধতির দিকে এগিয়ে যাবার’ আহ্বান জানান।

নির্বাচনের পর থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও ভুট্টোর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনায় শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন ভারতবিভাগের আগে, যখন ভারতীয় মুসলমানদের জন্য একটি পৃথক রাষ্ট্রের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল, তখনই পূর্ব পাকিস্তানের জন্য স্বায়ত্তশাসনের কথা বলা হয়েছিল কিন্তু পরবর্তী সময়ে পূর্ব পাকিস্তানকে ‘প্রতারণা’ করা হয়েছে। তিনি বলেন ১৯৪০ সালের মার্চে মুসলিম লীগের লাহোর প্রস্তাবে ‘স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্রসমূহের’ কথা বলা হয়েছিল যেখানে রাষ্ট্রগুলো হবে ‘স্বায়ত্তশাসিত ও সার্বভৌম’।

জাতীয় পরিষদ বসলে যে নতুন সংবিধান প্রণীত হবার কথা সেখানে শেখ যিনি সভার সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতিনিধি কেন্দ্রের হাতে কেবল পররাষ্ট্র ও প্রতিরা রাখতে চান। তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ যে রাজস্ব ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্র কোনো খবরদারি করতে পারবে না। তার মতে এই দুইটি ক্ষেত্রে বিশেষত পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তান কর্তৃক ‘শোষিত’ হয়ে এসেছে। শেখ ইতোমধ্যে ইয়াহিয়ার সঙ্গে একমত হয়েছেন যে প্রাদেশিক রাজস্বের আনুপাতিক একটি অংশ স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিরা-বাজেটে চলে যাবে। কিন্তু বাঙালিদের প্রবল আপত্তি ঐখানে যে তাদের রাজস্বের ৭০ ভাগই সেনাবাহিনী, পররাষ্ট্র ও মুদ্রাবিনিময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

তারা ক্ষুব্ধ এজন্য যে ৩০০,০০০ সৈন্যের পাকিস্তান বাহিনীকে পোষার জন্য তাদের রাজস্ব ব্যয় করতে হয়। আর সেই সেনাবাহিনীর প্রধান কাজ হলো কাশ্মির ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে সংঘাতে নিয়োজিত থাকা। কিন্তু কাশ্মির বিষয়ে পূর্ব পাকিস্তান পশ্চিম পাকিস্তানের মতো সংশ্লিষ্টতা বোধ করে না। উপরন্তু বাংলা ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে খুবই আগ্রহী যা ১৯৬৫ সালের যুদ্ধের পর থেকে বন্ধ হয়ে আছে। যদিও অনেক ভারতীয় পাকিস্তানের অস্তিত্ব নিয়েই খেদ ব্যক্ত করে থাকে কিন্তু পাকিস্তানকে দু-টি পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে তাদের আপত্তি নেই। ভারতের সরকারী পর্যবেণ হলো যদি পাকিস্তানের নতুন জাতীয় পরিষদে মুজিবুর সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর পে নেতৃত্ব দেন তবে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের সম্ভাবনা কমে যাবে।

ভারত এটাও বিশ্বাস করে যে পূর্ব পাকিস্তান যদি ভেঙ্গে আসে তবে তার অর্থনৈতিক অবস্থার সম্ভবত আরও অবনমন হবে। সেক্ষেত্রে এখনকার জনপ্রিয় নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যর্থতা চিহ্নিত হতে পারে। স্থানীয় সমাজতন্ত্রীরা এতে অস্থির হয়ে উঠবে এবং একসময় পশ্চিমবঙ্গের শক্তিশালী সমাজতন্ত্রীদের সঙ্গে তারা জোট বাঁধতে চাইবে। স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা খুব একটা উজ্জ্বল নয়। একসময়ে সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের বৈদেশিক আয় পশ্চিম পাকিস্তানের তুলনায় বেশি ছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতি আর সেরকম নেই। পশ্চিম পাকিস্তানে পূর্বের চাইতে সফলভাবে শিল্পায়ন ঘটানো হয়েছে। ‘ঔপনিবেশিক শোষণের ক্ষেত্রে’ পূর্ব পাকিস্তানের শিল্প প্রায় পুরোপুরি পাটের ওপরে নির্ভরশীল।

পূর্ব পাকিস্তান হলো পৃথিবীর মধ্যে প্রথম এলাকা যেখানে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের বাস্তবতা নির্মম আকারে দেখা দিয়েছে। এখানে প্রতি বর্গমাইলে ১,৩০০ জন মানুষ বাস করে ও প্রতি বছর এর এক-তৃতীয়াংশ ভূ-ভাগ বন্যায় প্লাবিত হয় এবং অধিবাসীদের অন্যত্র বসতি স্থাপনেরও সুযোগ নেই। বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ মনে করেন যেমন আছে, এঅবস্থায় পূর্ব পাকিস্তানের এককভাবে এগিয়ে যাবার ক্ষমতা নেই।

About Author

Advertisement

Post a Comment Blogger

 
Top