মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১<br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>কলকাতায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব এম.ভি হোসেইন আলী বাংলাদেশের প্রতি তাঁর পূর্ণ আনুগত্য ঘোষণা করেন। তিনি সেখানে উপস্থিত কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উল্লাসধ্বনির মাধ্যমে সবুজ ও সোনালি রঙের বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। পাকিস্তানিদের গণহত্যার প্রতিবাদে মিশনের সকল বাঙালি কর্মচারিদের নিয়ে তিনি বাংলাদেশের পক্ষে যোগ দেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লর্ড ব্রাকওয়ে লন্ডনে পূর্ব পাকিস্তানে পাক বাহিনীর তৎপরতার তীব্র নিন্দা প্রকাশ করে বলেন, “এটি হিটলারের পরবর্তী সময়কার চরম নিষ্ঠুরতা ও পাশবিকতার দৃষ্টান্ত।” তিনি এখানে অনুষ্ঠিত ঔপনিবেশিক স্বাধীনতা আন্দোলনের সম্মেলনে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দানের আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লন্ডনে “জাস্টিস ফর দ্যা ইস্ট বেঙ্গল” নামে একটি সাহায্যকারী সমিতি গঠন করা হয়। সমিতির সভাপতি শ্রমিক দলীয় এম.পি. ব্রুস ডগলাসম্যান, শরণার্থী শিবির পরিদর্শনের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাঁচ হাজারের বেশী বাঙালি লন্ডনের ট্রাফালগার স্কোয়ারে এক বিক্ষোভ সভায় মিলিত হয়। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য আবেদনপত্র তারা বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীর আবস ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে পেশ করেন। তাঁরা গণহত্যা বন্ধ করা এবং পশ্চিশ পাকিস্তানের উপর যথাযথ চাপ প্রয়োগের জন্য বৃটিশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নেজাম ইসলাম পার্টির সহ-সভাপতি সৈয়দ মাহমুদ আল মোস্তফা আল মাদানীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গর্ভনর টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে। তারা সরকারের সাথে পূর্ণ সহযোগিতা করবে বলে টিক্কা খানকে আশ্বাস দেয়।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১

১৮ এপ্রিল, ১৯৭১ কলকাতায় নিযুক্ত পাকিস্তানের ডেপুটি হাই কমিশনার জনাব এম.ভি হোসেইন আলী বাংলাদেশের প্রতি তাঁর পূর্ণ আনুগত্য ঘোষণা করেন। তিনি সেখানে উপস্থিত কূটনৈতিক ব্যক্তিবর্গের উল্লাসধ্বনির মাধ্যমে…

Read more »

একাত্তরের দিনগুলি: ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s1600/ekd.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgzk9IJVRrSNTTd9Pqz5He9fLUw1h5GFITxiS6kjhjEeTrwn8YzUv8r2Ss4CYesxGu3wzmgJzuVOFyX34TNXqXygYuM3qbcqJ2bX9CTW4Du3jQOg-FLonzV9sFtXCguKBPvu_uP5FR-tBY/s640/ekd.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <br /> <b>১৮ এপ্রিল, ১৯৭১, রবিবার </b><br /> <br /> <div style="text-align: justify;"> <br /> বাদশা আসবে দশটায়, তার সঙ্গে রিকশায় করে পুরনো ঢাকায় যাব। শরীফ গাড়ি নিয়ে যেতে দিতে নারাজ-একই গাড়ি বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরছে দেখলে আর্মি সন্দেহ করতে পারে। আমি, রুমী বা জামীকে নিয়ে যেতে সাহস পাই নে। অতএব, ভাগনীজামাই বাদশাই আমার ভরসা। সে ডাক্তার মানুষ। তার কাজ-কারবার ঐ পুরনো ঢাকারই মিটফোর্ড হাসপাতালে। <br /> <br /> শরীফ রুমী-জামীকে নিয়ে চুল কাটাতে যাবে ঢাকা ক্লাবে। ওরা বেরোবার উদ্যোগ করছে, হঠাৎ দেখি বেয়াই-বেয়ান এসে হাজির। শরীফের বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার আমিরুল ইসলাম, ওকে আমরা বেয়াই বলে ডাকি। রোববার সকালে ওরা প্রায়ই এরকম বেড়াতে বেরোয়। আজ কিন্তু ওদের মুখ থমথমে বিষন্ন। আরেক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধু নূরুর রহমানের মৃত্যুসংবাদ দিল। গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছিল। পথে এক জায়গায় পাক আর্মি ওদের গোটা দলটার ওপর গুলি চালায়। <br /> <br /> মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। আমাদের জানাশোনার গণ্ডির ভেতরে, খুব নিকট একজনের মৃত্যুসংবাদ এই প্রথম শুনলাম। এত হাসিখুশি, আমুদে মানুষ ছিল নূরুর রহমান। যেখানেই যেত, সবাইকে মাতিয়ে তুলত। সেই মানুষ আর্মির গুলি খেয়ে মারা গেছে? <br /> <br /> বেয়াই বলল, “নূরু একা গেলে হয়তো মারা পড়ত না। সে তার বন্ধুর পরিবারের অনেক লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছিল তার গ্রামের বাড়িতে। দলে ছোট ছেলেপিলেও ছিল।” <br /> <br /> “বন্ধুটি কে? তার কিছু হয়নি তো?” <br /> <br /> “বন্ধুটির নাম ভিখু চৌধুরী। সে আর তার বউও মারা গেছে।” <br /> <br /> ভয়ানকভাবে চমকে উঠলাম, “ভিখু চৌধুরী? আমাদের ভিখু আর মিলি নয় তো? ” <br /> <br /> “মিলি? হ্যাঁ হ্যাঁ, মিসেস চৌধুরীর নাম মিলি তো বটে!” <br /> <br /> ব্যাকুল হয়ে বললাম, “ভিখু আমাদের আত্মীয়। এবং বন্ধুও। কবে ঘটেছে এ ঘটনা? কার কাছে শুনলেন?” <br /> <br /> “তিন তারিখে। নূরুর কাজের ছেলেটাও ওদের সঙ্গে ছিল। সে এতদিন পরে ফিরে এসেছে। গতকাল আমার বাসায় গিয়ে সব বলেছে।” <br /> <br /> উঃ! কি সাংঘাতিক। আজ আঠারো তারিখ, পনের দিন আগে ঘটে গেছে এই মর্মান্তিক ঘটনা। কেউ কিছু জানি না। কি রকম বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মধ্যে বাস করছি আমরা ঢাকা শহরে। ভিখু অর্থাৎ মাসুদুল হক চৌধুরী সুলেখা প্রেসের মালিক, আসাদ গেটের কাছে নিউ কলোনিতে তার বাসা। আমাদের দূর সম্পর্কের আত্মীয়-ইদানীং যাওয়া-আসা একটু কমই হত। কিন্তু এক সময় অনেক বছর আগে এই ভিখু আর মিলি কতো প্রিয় ছিল আমাদের। <br /> <br /> আমি বেয়াইকে জিগ্যেস করলাম, “ভিখুর ছেলেমেয়েদের কথা কিছু জানেন? তারা বেঁচে আছে তো? আর কে কে ছিল দলে?” <br /> <br /> ভিখুর ছেলেমেয়েদের কিছু হয় নি। ওর মা আর বোন গুলিতে জখম হয়েছে। তবে বেঁচে আছে।” <br /> <br /> “ওরা কোথায় আছে এখন জানেন কি?” <br /> <br /> “না, জানি না।” <br /> <br /> বাদশা এল। শরীফ বলল, “তোমরা কিন্তু একই রিকশাতে ঘুরো না। একেক জায়গায় নেমে রিকশা ছেড়ে দিয়ো যেন কিছু কেনাকাটা করতে বেরিয়েছ। দু’চারটে দোকানে ঢ়ুকে এদিক ওদিকে খানিক হেঁটে তারপর আরেকটা রিকশা নিয়ো।” <br /> <br /> লালবাগ দিয়ে শুরু করলাম। চকবাজারে নেমে দু’চারটে দোকান ঘুরলাম। চকবাজার না বলে তার ধ্বংসাবশেষ বলাই ভালো। তবু ওরই মধ্যে প্রাণের প্রদীপ জ্বালিয়ে বসে আছে কিছু মানুষ যারা এখনো পাক আর্মির গুলি খেয়ে শেষ হয়ে যায় নি। তারপর ইসলামপুর, শাঁখারি পট্টি, ওয়াইজঘাট, পাটুয়াটুলী, সদরঘাট, নবাবপুর ঘুরে জিন্নাহ এভিনিউ দিয়ে বেরিয়ে এলাম। সবখানেই বর্বর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ধ্বংসলীলার চিহ্ন প্রকট, কিন্তু শাঁখারিপট্টির অবস্থা দেখে বুক ভেঙে গেল। ঘরবাড়ি যেভাবে ভেঙেছে, মনে হয় ভারি গোলা ব্যবহার করতে হয়েছিল। এতদিনে লাশ সব সরিয়ে ফেলেছে, কিন্তু বাতাসে এখনো পঁচা গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। মেঝেয়, বাবান্দায়, সিঁড়িতে এখনো পানি রয়েছে, রাস্তাতেও পানি। মনে হচ্ছে জমাট রক্ত ধুয়ে সাফ করার কাজ এখনো শেষ হয় নি। প্রায় সব ঘরেরই দরজা-জানালা ভাঙা, কোন কোন দরজার সামনের চট ঝুলছে। চটগুলোর চেহারা দেখে বোঝা যাচ্ছে এগুলো সদ্য কিনে ঝোলানো হয়েছে। <br /> <br /> প্রতিটি বিধ্বস্ত ঘরের সামনে একটা করে কাগজ ঝুলছে। কি যেন সব লেখা। <br /> <br /> কাছে গিয়ে দু’একটা পড়লাম। উর্দুতে লেখা কতগুলো মুসলিম নাম। শুনলাম, বিহারিদের এ জায়গাটা ভাগ বাটোয়ারা করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যারা পেয়েছে, তারা বরাদ্দকৃত ঘরের সামনে নিজ নিজ নাম লেখা কাগজ সেঁটে বা ঝুলিয়ে আপন মালিকানার স্বাক্ষর রেখে দিয়েছে।<br /> <br /> - শহীদ জননী জাহানারা ইমামের বই থেকে</div> </div>

একাত্তরের দিনগুলি: ১৮ এপ্রিল, ১৯৭১

১৮ এপ্রিল, ১৯৭১, রবিবার বাদশা আসবে দশটায়, তার সঙ্গে রিকশায় করে পুরনো ঢাকায় যাব। শরীফ গাড়ি নিয়ে যেতে দিতে নারাজ-একই গাড়ি বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরছে দেখলে আর্মি সন্দেহ করতে পারে। আমি, রুমী বা জামীকে নিয়…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৭ এপ্রিল, ১৯৭১</b></div> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়া গ্রামের ‘মুজিব নগর’-এ প্রায় দশ হাজার মানুষের বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্যে আওয়ামীলীগ চীফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলীর স্বাধীনতা সনদ পাঠের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার’ গঠিত হয়। এই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা পাঠের মধ্য দিয়ে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের যে স্বধীনতা ঘোষণা করেন, তা সাংগঠনিক রুপ নেয়। এ অনুষ্ঠানে ৫০ জন দেশী-বিদেশী সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।</li> </ul> <ul> <li>নবগঠিত মন্ত্রীসভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্র বাহিনী ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-রাষ্ট্রপতি, তাজউদ্দিন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, খন্দকার মোস্তাক আহমদ পররাষ্ট্র ও আইনমন্ত্রী, মনসুর আলী অর্থ ও বানিজ্যমন্ত্রী, এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, যোগাযোগ ও সাহায্য মন্ত্রী এবং কর্ণেল ওসমানী বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত হন। মুজিব নগরের অনুষ্ঠানে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।</li> </ul> <ul> <li>অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন অধ্যাপক এম.ইউসুফ আলী।</li> </ul> <ul> <li>স্বাধীনতার সনদ ঘোষণা ও শপথ অনুষ্ঠানে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে মুক্তিবাহিনীর দুটি প্লাটুন এসডিপিও মাহবুবউদ্দীনের নেতৃত্বে সামরিক অভিবাদন জানায়। এই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গণপরিষদ সদস্য আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত শেষে জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ পরিবেশন করা হয়।</li> </ul> <ul> <li>রাঙামাটির মধ্যস্থল বুড়িঘাটে পাকবাহিনীর ২০ জন সৈন্য লঞ্চযোগে রেকি করতে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহের কাছাকাছি হল গুলি ছুঁড়তে শুরু করে। ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ শুরু করলে পাকবাহিনীর অধিকাংশ সৈন্যসহ লঞ্চটি ধ্বংস হয়।</li> </ul> <ul> <li>শাহবাজপুওে তিতাস ব্রিজ এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাকবাহিনীর একটি ব্যাটালিয়ন আর্টিলারি গানবোট সহকারে আক্রমণ চালায়। সারারাত স্থায়ী যুদ্ধে ৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। এতে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে মাধবপুরে গিয়ে ঘাঁটি রচনা করেন।</li> </ul> <ul> <li>পাকিস্তান বিমানবাহিনীর ৪ টি জঙ্গিবিমান ময়মনসিংহ শহর ও আশেপাশে অন্যান্য এলাকায় আক্রমণ চালায়। এ আক্রমনে কয়েকজন নিরীহ মানুষ নিহত হয় এবং অনেক জায়গা পুড়ে যায়।</li> </ul> <ul> <li>নওয়াবগঞ্জের গোদাবাড়িতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি ও নওয়াবগঞ্জ শহরের ওপর পাকিস্তান সেনাবাহিনী জঙ্গিবিমানের সাহায্যে রকেট ও মেশিনগানের প্রচন্ড হামলা চালায়।</li> </ul> <ul> <li>ময়মনসিংহের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়।</li> </ul> <ul> <li>গোয়ালন্দ ঘাট পার হয়ে পাকসেনারা রাজবাড়ি পৌঁছায় এবং ব্যাপক গুলি বর্ষণ করে। এতে আনসার কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকির উদ্দিন শহীদ হন। তিনিই রাজবাড়ির প্রথম শহীদ।</li> </ul> <ul> <li>যশোহর ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসে পাকসেনারা পুনরায় কুষ্টিয়া দখল করে নেয়।</li> </ul> <ul> <li>প্রাথমিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১৬০ জন মুক্তিযোদ্ধা স্টুয়ার্ড মুজিবের নেতৃত্বে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহনের জন্য ভারতের আগরতলার উদ্দেশে মাদারীপুর ত্যাগ করে।</li> </ul> <ul> <li>ফেনীর গঙ্গাসাগর যুদ্ধে পাকবাহিনীর সার্বিক আক্রমণের মুখে মুক্তিবাহিনী পশ্চাদপসরণ করে।</li> </ul> <ul> <li>বরিশালের ওপর পাক স্যাবর জেট নির্বিবাদে গোলাবর্ষণ করে।</li> </ul> <ul> <li>রংপুর ক্যান্টমেন্ট থেকে একদল সৈন্য বড়দরগা সানেরহাট রাস্তা ধরে গাইবান্ধা দখলের উদ্দেশে ভারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অগ্রসর হয়। মাদারগঞ্জ ব্রিজের নিকট পৌঁছলে রাস্তা কেটে দিয়ে সুবেদার আফতাবের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহ থেকে তাদেও ওপর প্রচন্ড আক্রমণ করা হয়। সকাল থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত সংঘটিত এ যুদ্ধে ২ জন পাকসৈন্য নিহত ও ৫জন আহত হয়। একজন নিরীহ গ্রামবাসী পাকসৈন্যদের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরা পাকবাহিনী পশ্চাদপসারন করার সময় শাখারী পট্টিসহ সমস্ত মাদারগঞ্জ বাজার জ্বালিয়ে দেয়। ৩ জন ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা করে।</li> </ul> <ul> <li>দেশী-বিদেশী সাংবাদিক, বিদেশী পর্যবেক্ষক, মুক্তিযোদ্ধা ও জনতার উদ্দেশে প্রদত্ত ভাষণে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্বের সব রাষ্ট্রের সাথে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান চাই। পরস্পরের ভাই হিসেবে বসবাস করতে চাই। মানবতা, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার জয় চাই।</li> </ul> <ul> <li>প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন মুজিবনগরে প্রদত্ত এক দীর্ঘ বক্তৃতায় বলেন,বাংলাদেশে আজ যে ব্যাপক গণহত্যা চলছে পাকিস্তান সরকার তার সত্যতা গোপন ও বিকৃত করার জন্যে ওঠে পড়ে লেগেছে। বাংলাদেশ আজ যুদ্ধে লিপ্ত। পশ্চিম পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক নির্যাতনের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধ। এ সংগ্রাম আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের সংগ্রাম, জীবন-মৃত্যুও সংগ্রাম। এছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না।</li> </ul> তথ্যসূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৭ এপ্রিল, ১৯৭১

১৭ এপ্রিল, ১৯৭১ কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার ভবেরপাড়া গ্রামের ‘মুজিব নগর’-এ প্রায় দশ হাজার মানুষের বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্যে আওয়ামীলীগ চীফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলীর স্বাধীনতা সনদ পাঠের …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৬ এপ্রিল, ১৯৭১:</b></div> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাঙামাটির খাগড়া রেস্ট হাউজে অবস্থানরত পাকবাহিনীর একজন অফিসারসহ এক প্লাটুন সৈন্যের ওপর ক্যাপ্টেন কাদেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে অফিসারসহ ২০ জন পাকসৈন্য নিহত হয়। বাকি সৈন্যরা পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা সংঘর্ষের পর নিরাপদে ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুমিল্লার গঙ্গাসাগর ব্রিজে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষাব্যুহে পাকবাহিনী প্রবল গুলিবর্ষণ করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মেজর আবু ওসমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন মুক্তিবাহিনীর সদর দফতর চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরে স্থানান্তরিত হয়।রাতে আবার মেহেরপুর থেকে ভৈরব নদীর অপর পারে ইছাখালী বিওপিতে সদর দফতর স্থানান্তর করা হয়।এখান থেকে ভারতীয় বিওপির দূরত্ব মাত্র ৬০০ গজ। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকাল ১১ টায় পাকসেনারা পার্বতীপুর থেকে ১ টি ট্যাঙ্কসহ ভারী অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভবানীপুরের হাওয়া গ্রামের ডিফেন্সের ওপর আক্রমণ চালায়।এ যুদ্ধে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে ফুলবাড়িয়ার দিকে যাত্রা করলে পিছু পিছু পাকসেনারাও ফুলবাড়ির দিকে অগ্রসর হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভেড়ামারায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকবাহিনীর তীব্র সংঘর্ষ হয়।পাকবাহিনীর প্রবল আক্রমণে সুবেদার মোজাফফর তাঁর বাহিনী নিয়ে পিছু হটেন। সামরিক অবস্থানের দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান ভেড়ামারা পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুর শহর সম্পূর্ণরুপে পাকবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে চলে যায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী ময়মনসিংহ জেলা দখলে সমর্থ হয়।এরপর পাকবাহিনী হত্যা, লুন্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ অবলীলাক্রমে চালিয়ে যেতে থাকে । </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর কুমিরা থেকে সীতাকুন্ড এসে অবস্থান নেয় এবং প্রতিরক্ষা ব্যুহ তৈরি করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী কুষ্টিয়া দখল করে এবং মুক্তিবাহিনীর হাতে বন্দী বিহারীদের জেলখানা থেকে ছেড়ে দিয়ে রাজাকার বাহিনীতে অন্তভূক্ত করে।ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে সারা শহরে পাকসেনারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কাপ্তাই জলবিদুৎ কেন্দ্র দখল নিয়ে সারাদিনব্যাপী মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে আশুগঞ্জ বিদুৎ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ করায়ত্ব করার জন্যে সংঘর্ষ হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় কারফিউর মেয়াদ সকাল ৫টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিথিল করা হয়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সামরিক কর্তৃপক্ষ ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের শিক্ষক-কর্মচারিদের অবিলম্বে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেন। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হয়। আহ্বায়ক-খাজা খয়েরুদ্দিন,সদস্য-নুরুল আমিন,এ.কিউ.এম শফিকুল ইসলাম,অধ্যাপক গোলাম আজম,মাহমুদ আলী,আবদুল জব্বার খদ্দর,মাওলানা সিদ্দিক আহমদ,আবুল কাশেম, ইউসুফ আলী চৌধুরী,মওলানা সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম,আবদুল মতিন,অধ্যাপক গোলাম সরোয়ার,ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন আহম্মেদ,পীর মোহসেন উদ্দিন,এ.এস.এম সোলায়মান,এ.কে রফিকুল হোসেন,মওলানা নুরুজ্জামান,আতাউল হক খান,তোয়াহা বিন হাবিব,মেজর (অব.)আফসার উদ্দিন,দেওয়ান ওয়ারেসাত আলী ও হাকিম ইরতাজুর রহমান খান। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সন্ধ্যায় নুরুল আমিনের নেতৃতে শান্তি কমিটির নেতৃবৃন্দ গভর্নও টিক্কা খানের সাথে দেখা করে জানান, শত্রু নিধনে তারা সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করবেন এবং নিজেরাও দায়িত্ব পালনে সক্রিয় হবেন।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li><b>লন্ডনে গার্ডিয়ান পত্রিকার সংবাদ :</b></li> </ul> </div> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশের পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। বিংশ শতাব্দীতে এ ধরনের মুক্তি আন্দোলন খুবই কম দেখা যায়,যার প্রতি সর্বশ্রেণীর জনগনের আকুন্ঠ সমর্থন রয়েছে।আবার এই ধরনের আন্দোলন খুব কম দেখা যায়,যেখানে অধিকার আদায়ের জন্য অস্ত্রশস্ত্রেও এত অভাব। প্রতিটি জায়গায় পুরো প্রশাসন ব্যবস্থা একান্তভাবে মুক্তি আন্দোলনকারীদের সমর্থন দিয়েছে। কয়েকটি শহরে মুক্তি সংগ্রামীরা এখনও প্রশাসন চালিয়ে যাচ্ছে।</div> </blockquote> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৬ এপ্রিল, ১৯৭১

১৬ এপ্রিল, ১৯৭১: রাঙামাটির খাগড়া রেস্ট হাউজে অবস্থানরত পাকবাহিনীর একজন অফিসারসহ এক প্লাটুন সৈন্যের ওপর ক্যাপ্টেন কাদেরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে অফিসারসহ ২০ জন পাকসৈন্য নিহ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <div style="text-align: justify;"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১৫ এপ্রিল, ১৯৭১</div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনীর ‘এ’ কোম্পানি কাকিনা নামক স্থানে, ‘বি’ কোম্পানি পাটেশ্বরী ঘাটে, ‘সি’ কোম্পানি পাটের ঘাটের বাম দিকে রৌমারী সড়কে এবং ‘ডি’ কোম্পানি ফুলবাড়ি থানায় ডিফেন্স নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>হানাদার পাকবাহিনীর আক্রমণে ভৈরবের পতন হয়। পাকবাহিনী ভৈরব এলাকায় ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অমানুষিক নির্যাতন চালায় এবং লুন্ঠন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ধ্বংসযজ্ঞের এক মর্মস্পশী দৃশ্য রচনা করে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নগরবাড়ি ঘাটে পাকবাহিনী ফেরি থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর মর্টার ছুঁড়ে। পাকবাহিনীর এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের অবস্থান থেকে ১০ কিলোমিটার পিছিয়ে বগুড়া মহাসড়কের ডাববাগান(বর্তমান শহীদ নগর) এলাকায় এসে অবস্থান নেয় এবং শত্রুবাহিনীর জন্য ত্রিমুখী ফাঁদ তৈরী করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী চুয়াডাঙ্গায় প্রচন্ড বিমান হামলা চালায়। এ হামলায় অসংখ্য নিরস্ত্র নিরীহ মানুষ নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী হাজীগঞ্জ বাজারে প্রবেশ করে। অপরদিকে কলিমুল্লাহর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থেকে ডাকাতিয়া নধীর পারে সমবেত হয়ে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ১০টি ট্রাক ও ৮টি জিপে করে গুলি করতে করতে ঠাকুরগাঁও শহরে প্রবেশ করে। আতঙ্কে ঠাকুরগাঁওবাসী শহর ছাড়তে শুরু করে। অল্পক্ষণের মধ্যে শহর হয়ে যায় ধু-ধু জনশূন্য।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তিতাস নদীর পূর্ব পাড়ে শাহবাজপুরের কাছে মুক্তিযোদ্ধারা একটি প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিকালে পাকবাহিনীর হাতে ঝিনাইদহের পতন ঘটে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লে. মাহফুজ খাগড়াছড়িতে মেজর জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করে সুবেদার খায়রুজ্জামান, করিম, ইঞ্জিয়ার ইসহাক, ফারুক আহম্মদ, শওকত আলী প্রমুখকে নিয়ে রাঙামাটি বুগিঘাট বাজারে আসেন ও অবস্থান নেন। এখান থেকে তারা পাকবাহিনীকে অতর্কিতে আক্রমণ করে ব্যতিব্যস্ত করে তোলেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রামের রাজাঘাট এলাকা পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে কুমিল্লার গঙ্গাসাগর পুনরুদ্ধার কর।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী কয়েকদিন ধরে প্রতিরোধ যুদ্ধের পর রাজশাহী শহরের অবস্থান ছেড়ে দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে কর ও খাজনা পরিশোধের জন্য নির্দেশ দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী মার্শাল এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা আশা করি, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান অবিলম্বে পূর্ব পাকিস্তানের বর্তমান গৃহযুদ্ধের অবসানের ব্রবস্থা করবেন।’</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>করাচীতে পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, সরকার ন্যায়সঙ্গত কারণেই আওয়ামী লীগকে বেআইনী ঘোষণা করেছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় ‘নাগরিক শান্তি কমিটি’-র নাম পরিবর্তন করে ‘পূর্ব পাকিস্তান কেন্দ্রীয় শান্তি কমিটি’ রাখা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাজা ত্রিদিব রায়- এর আহ্বানে পাকবাহিনী রাঙ্গামাটি শহরে এসে পৌঁছায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র পরিষদ’-এর সভাপতি রশিদুল কবির ও সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক সহযোগী ছাত্রদের সেনাবাহিনীর সাথে হাত মিলিয়ে শত্রু(মুক্তিযোদ্ধা) খতমের নির্দেশ দেয়।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> <b>সংবাদ সংস্থা এএফপির খবর:</b> ঢাকা এখন মৃত্যুপূরী। রাস্তায় খুবই কম লোক দেখা যায়। অনেক লোক শহর ছেড়ে চলে গেছেন। যারা ঢাকা থেকে পালাতে চাচ্ছেন তাদের বাধা দেয়া হচ্ছে। সৈন্যরা ঘরে ঘরে তল্লাশি চালাচ্ছে, তরুনদের আটক করে নিয়ে যাচ্ছে। অন্যান্যদের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করছে।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> শান্তি ও কল্যাণ স্টিয়ারিং কমিটি, জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সংগঠকদের ১৫ দিনের মধ্যে পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে ১২ ধানমন্ডি, রোড নং-৫ এ যোগাযোগের নির্দেশ দেয়।</div> <div style="text-align: justify;"> <br /></div> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৫ এপ্রিল, ১৯৭১

১৫ এপ্রিল, ১৯৭১ মুক্তিবাহিনীর ‘এ’ কোম্পানি কাকিনা নামক স্থানে, ‘বি’ কোম্পানি পাটেশ্বরী ঘাটে, ‘সি’ কোম্পানি পাটের ঘাটের বাম দিকে রৌমারী সড়কে এবং ‘ডি’ কোম্পানি ফুলবাড়ি থানায় ডিফেন্স নেয়। হানাদার পাক…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৪ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত এক ভাষণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল সফরের জন্য বিশ্বের সকল বার্তাজীবী এবং রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের প্রতি আমন্ত্রণ জানান। তিনি সকল বন্ধুরাষ্ট্রের সরকার ও জনগণের এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা, যথা রেডক্রস ইথ্যাদির প্রতি সরাসরি বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার মৌলভী ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে শান্তি কমিটির স্টিয়ারিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামকে ব্রাহ্মণ্যবাদীদের চক্রান্ত আখ্যা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ধ্বংস করার শপথ ঘোষণা করে হানাদার ও সহযোগীরা।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সারাদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে পাকহানাদার বাহিনী বিমান আক্রমণ চালায়। পাশাপাশি আশুগঞ্জেও পাকবাহিনী বিমান আঘাত হানে। এই আক্রমণে ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে বহু নিরীহ মানুষ ও বাঙালি মুক্তিকামী সৈন্য মৃত্যুবরণ করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একটি বিগ্রেড কুমিল্লা সেনানিবাস থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দিকে অগ্রসর হয়। পাকবাহিনী উজানিসার ব্রিজের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের কাছাকাছি এলে মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর একজন অফিসারসহ ১৭৩ জন সৈন্য নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সারাদিন মধুপুর গড়ে মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে আধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত পাকসৈন্যরা প্রাণ বাঁচাতে পিছু হটে কালিহাতি ও ঘাটাইল অঞ্চলে অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রথম রেজিমেন্ট চৌগাছা থেকে হেড কোয়ার্টার তিুলে নিয়ে বেনাপোলের ৩ মাইলপূর্বে কাগজপুকুর গ্রামে স্থাপন করে এবং যশোর বেনাপোল রাস্তার দুধারে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুরের খানসামা এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের উপর নীলফামারী থেকে আগত পাকবাহিনী আক্রমণ চালায়। পাকসেনাদের হঠাৎ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা বিচ্ছিন্নভাবে পিছু হটে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহ পাকসেনারা আক্রমণ করে এবং আগুনে বোমার সাহায্যে পঞ্চগড় শহরকে সম্পূর্ণরূপে জ্বালিয়ে দেয়। মুক্তিযোদ্ধারা শহর ছেড়ে অমরখানায় ডিফেন্স নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকাল ৯টায় পাকবাহিনী কুড়িগ্রামের খলিলগঞ্জ এসে জেলখানার উত্তরে অবস্থান গ্রহণ করে। পাকসেনারা জেল অফিসে কর্মরত হেড ক্লার্ক ও সিপাইসহ পাঁচজনকে গুলি করে হত্যা করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাজশাহী শহরের লক্ষীপুর গার্লস স্কুলের সামনে পাকসৈন্যরা মোশারফ হোসেন সন্টুসহ ৩০ জনকে সমবেত করে। এদের মধ্য থেকে মঈনউদ্দিন আহমদ মানিক, আশরাফ হোসেন রতন ও মাসুদ রানা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দৌড়ে পালায়। বাকী সবাইকে পাকহানাদাররা গুলি করে হত্যা করে। কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে মোশারফ হোসেন সন্টু লাশের নীচে চাপা পড়ে আহত অবস্থায় বেঁচে যান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী সান্তাহার পৌঁছালে বিহারীরা হানাদারদের সাথে মিলিত হয়ে আশেপাশের গ্রামগুলো ঘেরাও করে এবং নারী-পুরুষ নির্বিশেষে অগনিত মানুষকে হত্যা করে। এ হত্যাযজ্ঞ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘সান্তাহার গণহত্যা’ নামে পরিচিত।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনীর দুটি কোম্পানি মুক্তিযোদ্ধাদের রাজারহাট ও কুলারহাট অবস্থানের উপর ব্যাপক আক্রমণ চালায়। এ সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধারা স্থান দুটি ছেড়ে দিয়ে পিছু হটে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এলাকাতে ক্যাপ্টেন আফতাব কাদেরের নেতৃত্বে একটি কোম্পানি, বুড়িঘাট ও রাঙ্গামাটির মধ্যস্থলে একটি কোম্পানি নিয়ে ক্যাপ্টেন খালেকুজ্জামান, রাঙ্গামাটি ও বরফকলের মধ্যস্থলে লে. মাহফুজ একটি কোম্পানি নিয়ে এবং কুতুবছড়ি এলাকাতে সুবেদার মুতালেব একটি কোম্পানি নিয়ে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী প্রচন্ড যুদ্ধের পর কুমিল্লার কসবা পাকিস্তান সেনাদের কাছ থেকে পুনর্দখল করে নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিবাহিনী ও পাকবাহিনীর মধ্যে পাকশী সেতুর কাছে তীব্র সংঘর্ষ হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নিউয়র্ক টাইমসের ভাষ্য: ঢাকা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার মতো শহরে এখন সম্ভবত ২০ থেকে ২৫ শতাংশ লোক রয়েছে। সম্পূর্ণভাবে পশ্চিম পাকিস্তানিদের নিয়ে সেনাদলের সামরিক আক্রমণে যারা বেঁচে গেছেন তারা প্রায় সবাই প্রতিরোধকারীদের দলে যোগ দিয়েছেন।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৪ এপ্রিল, ১৯৭১

১৪ এপ্রিল, ১৯৭১ বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রদত্ত এক ভাষণে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দিন আহমদ বাংলাদেশের মুক্তাঞ্চল সফরের জন্য বিশ্বের সকল বার্তাজীবী এবং রাজনৈত…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১৩ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div style="text-align: justify;"> <ul> <li>সিনেটর ফ্রেড হ্যারিস মার্কিন সিনেটে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক খুন ও বেসামরিক লোকদের যথেচ্ছ হত্যার খবরে আমি আতঙ্কিত। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিদেশী সংবাদদাতাদের বহিষ্কারের যে নীতি পাকিস্তান সরকার অনুসরণ করছে তার ফলে কংগ্রেসের সদস্যবর্গ ও বহির্বিশ্বের পক্ষে সেখানে কি ঘটছে তা জানা অসম্ভব। পূর্ব পাকিস্তানে বেসামরিক লোকদের পাইকারি হত্যা ও নির্বিচারে খুন-খারাপির খবরগুলো যদ্দিন পর্যন্ত না অসত্য প্রমাণিত হচ্ছে তদ্দিন পর্যন্ত পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সাহায্য দান অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।</li> </ul> <ul> <li>সর্বদলীয় সংগ্রাম কমিটি ও কন্ট্রোল রুম ঠাকুরগাঁও মহকুমার বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত ২০টি প্রতিরক্ষা ক্যাম্প তুলে নিয়ে সীমান্তে অবস্থান নেয় এবং নেতৃবৃন্দ শহর ছেড়ে চলে যায়।</li> </ul> <ul> <li>গোয়ালন্দ ঘাটে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ হয়। সুবেদার শামসুল হকের নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী পাকবাহিনীর একটি জলযান ডুবিয়ে দেয়। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনী পালিয়ে আত্মরক্ষা করে।</li> </ul> <ul> <li>সিলেট শহর সংলগ্ন লাক্কাতুরা চা বাগানের অসংখ্য চা শ্রমিককে পাক হানাদাররা গুলি করে হত্যা করে।</li> </ul> <ul> <li>নড়াইল শহর পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়।</li> </ul> <ul> <li>সকালে ক্যাপ্টেন নওজেশের অধীনস্থ মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ভারি অস্ত্রে আক্রমণের মুখে টিকে থাকতে না পেরে তিস্তা ব্রিজের অবস্থান ছেড়ে দেয় এবং পিছু হটে শিঙ্গের ডাবরি, রাজার হাট ও টগরাইহাট নামক স্থানগুলোতে অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনী টাঙ্গাইল দখলের পর ময়মনসিংহ শহর দখলের লক্ষ্যে এগিয়ে এলে মধুপুর গড় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা তাদের পথ রোধ করে । দুপক্ষের মধ্যে প্রচন্ড গুলি বিনিময় হয়। শত্রুপক্ষের প্রবল গুলিবর্ষণ সত্বেও মুক্তিযোদ্ধাদের একজনও নিহত বা আহত হয়নি। অপরদিকে পাকবাহিনীর দুজন ড্রাইভার ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে-মুক্তিযোদ্ধাদের সবাই ছিলেন অস্ত্রচালনায় অনভ্যস্ত ছাত্র।</li> </ul> <ul> <li>বগুড়া পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়।</li> </ul> <ul> <li>বদরগঞ্জে পাকবাহিনী ট্যাংক নিয়ে মুক্তিযোদ্দাদের ওপর আক্রমণ চালায়। পাকসেনাদের তীব্র আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পশ্চাদপসরণ করে।</li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনী ঠাকুরগাঁও মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধে না এসে খানসামার পথ ধরে পিছন হতে আক্রমণের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা মোতাবেক পাকসেনারা খানসামার কাছে একটি নদী পার হতে থাকলে মুক্তিযোদ্দারা আক্রমণ চালায় এবং পাকবাহিনীর বালুচ ডি কোম্পানিকে সম্পূর্ণরূপে পর্যুদস্ত করে।</li> </ul> <ul> <li>বানেশ্বরে পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধে মক্তিসেনারা ছত্রভঙাগ হয়ে পড়ে। অনেক মুক্তিসেনা শাহাদাৎ বরণ করেন। বানেশ্বর ও সেই সঙ্গে সারদার পতন হয়। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এ ঘটনা ‘বানেশ্বরেরযুদ্ধ’ নামে পরিচিত।</li> </ul> <ul> <li>সারদায় পাকসেনা চলে আসায় বেসামরিক ও সামরিক বাহিনীর প্রায় দুহাজার লোক নদীর ধারে আশ্রয় নেয়। পাকবাহিনী সবাইকে ঘিরে ফেলে এবং গুলি করে ও পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে প্রায় ৮০০ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এ বেদনাদায়ক ঘটনাটি মক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘সারদার গণহত্য’ নামে খ্যাত।</li> </ul> <ul> <li>রাজশাহী সেনানিবাস এলাকায় অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাকবাহিনী আর্টিলারী, পদাতিক ও বিমান হামলা চালায়। পাকসেনাদের এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পিছূ হটে চাপাই নবাবগঞ্জ এলাকায় সমবেত হয় এবং গোদাগাড়িতে প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে।</li> </ul> <ul> <li>বিকেল ৪টায় গঙ্গাসাগর ব্রিজে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাকবাহিনীর গোলন্দাজ বাহিনী গোলাবর্ষণ করে। এ সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩ জন অফিসারসহ অনেক সৈন্য মারা যায়। অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা কামাল শহীদ হন।</li> </ul> <ul> <li>পাকবাহিনী পুনরায় রাজশাহী দখল করে।</li> </ul> <ul> <li>ঢাকায় শান্তি কমিটির উদ্যোগে পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতীয হস্তক্ষেপের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। শান্তি কমিটি গঠনের পর এটিই ছিল তাদের বড় কর্মসূচি। এ মিছিলের সম্মুখভাগে ছিলেন-খান এ. সবুর, খাজা খয়েরউদ্দিন, গোলাম আজম, এ.এস.এম সোলায়মান, এ.কে.এম শফিকুল ইসলাম, এ.টি.সাদী, আবুল কাশেম, সৈয়দ আজিজুল হক, আতাউল হক, মেজর আফসার উদ্দিন, কবি বেনজির আহম্মদ, পীর মোহসেন উদ্দিন,অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান প্রমুখ।</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১৩ এপ্রিল, ১৯৭১

১৩ এপ্রিল, ১৯৭১ সিনেটর ফ্রেড হ্যারিস মার্কিন সিনেটে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক খুন ও বেসামরিক লোকদের যথেচ্ছ হত্যার খবরে আমি আতঙ্কিত। পূর্ব পাকিস্তান থেকে বিদেশী সংবাদদাতাদের বহিষ্ক…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> ১২ এপ্রিল, ১৯৭১<br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্ত হন। উপ-রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধের পরিচালনা ও সমম্বয়সাধন করবেন। খন্দকার মুশতাক আহমেদ পররাষ্ট্র মন্ত্রির দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ত্রিসভার অপর সদস্যরা হলেন ক্যাপ্টেন মনসুর আলী এবং এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী ট্যাংক এবং অন্যান্য ভারি অস্ত্রের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের হাবরা ঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকবাহিনীর ব্যাপক আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধাদের চারটি কোম্পানি ও একটি সাপোর্ট প্লাটুন সম্মিলিতভাবে লারমণিরহাট বিমানবন্দর এলাকাতে অবস্থানরত পাকবাহিনীর ওপর বড় রকমের আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের ফিল্ড কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার আরব আলী। কয়েক ঘন্টার সংঘর্ষে বেশ কিছু পাকসেনা নিহত হলেও শেষ পর্যন্ত পাকসেনাদের ব্যাপক আক্রমণর মুখে মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের ঘাঁটিতে ফিরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নের পুরো বাহিনী কালুরঘাট থেকে রাঙ্গামাটি চলে আসে এবং সেখানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। মহালছড়িতে ব্যাটালিয়নের হেড কোয়ার্টার স্থাপিত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভোরবেলা পাকবাহিনী আর্টিলারি সাপোর্টে যশোরের ঝিকরগাছায় মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহে ব্যাপক হামলা চালায়। প্রচন্ড যুদ্ধে ইপিআর বাহিনীর দুজন ও বিএসএফ বাহিনীর একজন নিহত হয়। ইপিআর বাহিনী পুনরায় বেনাপোলের কাগজপুকুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ রচনা করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাক সৈন্যদের একটি দল হাজীগঞ্জের ওপর দিয়ে চাঁদপুর-কুমিল্লা মহাসড়ক ধরে এগিয়ে আসে এবং সেখানে ক্যাম্প স্থাপন করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সংসদ সদস্য ডা.জিকরুল হক, রাজনীতিবিদ ও সমাজকর্মী তুলশীরাম আগরওয়ালা, ডা.শামসুল হক, ডা. বদিউজ্জমান, ডা. ইয়াকুব আলী, যমুনা প্রসাদ, কেডিয়া, রামেশ্বর লাল আগরওয়ালাসহ গ্রেফতারকৃত সৈয়দপুরের প্রায় ১৫০ জন স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে ১৯ দিন নির্মম অত্যাচার চালিয়ে অবশেষে রংপুর সেনানিবাসের পশ্চিম পার্শ্বের উপ-শহরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পার্বতীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর পাকসেনারা পুনরায় গোলাবর্ষণ করে। পাকসেনাদের মর্টার থেকে গোলাবর্ষণের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। এ যুদ্ধে একজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নাটোরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের উপর পাকসেনারা ব্যাপক শেলিং-এর মাধ্যমে আক্রমণ চালায়। এ আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে বানেশ্বর (রাজশাহী) গিয়ে ডিফেন্স নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী তিস্তা দখলের লক্ষ্যে তিস্তা পুলে অবস্তানরত মুক্তিবাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহে ভারি অস্ত্রের সাহায্যে তিনদিক থেকে আক্রমণ চালায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ জন বিশিষ্ট নাগরিক ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব পাকিস্তান’ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে প্রেরিত এক আবেদনে অবিলম্বে পূর্ব বাংলার সমস্যা সমাধানের জন্য আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান। তারা বলেন, কোনো সরকারেরই অস্ত্র ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে জনসাধারণের ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার অধিকার নেই।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ছাড়া সরকারি বিভাগ, স্ব-শাসিত, আধা-স্বশাসিত সংস।তাসমূহের সকল কর্মচারীকে সর্বশেষে ২১ এপ্রিলের মধ্যে কাজে যোগদানের নির্দেশ দেয়। নির্দেশে আরো বলা হয়, এরপর অনুপস্থিত কর্মচারীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বেতার ভাষণে সবুর খান একটুও দয়া না দেখিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ও সহযোগিতাকারীদের খতম করার আহবান জানায়। এমনকি সন্দেহজনক যেকোনো লোকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে বলে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুসলিম লীগ সভাপতি শামসুল হুদার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গণহত্যার নায়ক টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় নিযুক্ত একজন বিদেশী কূটনীতিকের বরাত দিয়ে ‘টাইম’ ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, কোন সন্দেহ নেই যে পূর্ব পাকিস্তানে বিপুল ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। এটি আক্ষরিক অর্থেই রক্তস্নান। চেঙ্গিস খানের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য ছিল না। সেনাদল এখন বিদ্রোহীদের দমন কাজে ব্যস্ত। ট্যাঙ্ক চড়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার বুকে। ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে বহু বাড়িঘর।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১২ এপ্রিল, ১৯৭১

১২ এপ্রিল, ১৯৭১ রাতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ সরকারের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক হিসেবে অভিষিক্…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১১ এপ্রিল, ১৯৭১</b></div> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আর তার সাড়ে সাত কোটি সন্তান আজ চূড়ান্ত সংগ্রামে নিয়োজিত। আমাদের এ সংগ্রামে জয়লাভ করতেই হবে এবং আমরা যে জয়ী হবো তা অবধারিত। তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানতম লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে শত্রুর কবল থেকে মুক্ত করা। মনে রাখবেন, আমরা আজ শত্রুর ওপর পাল্টা হামলায় নিয়োজিত আছি। আমাদের এই মুক্তিসংগ্রামে ধর্ম, মত, শ্রেণী বা দল নেই। আমাদের একমাত্র পরিচয় আমরা বাঙালি, আমাদের শত্রুপক্ষ আমাদের বাঙালি হিসেবেই হত্যা করছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতুত্বাধীন স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার সকল রকমের অত্যাচার, অবিচার, অন্যায় ও শোষণের অবসান ঘটিয়ে এক সুখী, সমৃদ্ধ, সমাজতান্ত্রিক শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা কায়েমে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। আমাদের ঐক্য বজায় থাকলে পশ্চিম পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কেন দুনিয়ার কোন শক্তিই আমাদের পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ রাখতে পারবে না।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চীনের প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে প্রেরিত এক পত্রে বলেন, চীন সরকার মনে করে বর্তমানে পাকিস্তানে যা ঘটছে তা পাকিস্তানের ঘরোয়া ব্যাপার। চীনা নেতা পাকিস্তানকে আশ্বাস দেন, ভারত পাকিস্তানের হামলা চালালে চীনা সরকার ও জনগণ সবসময় পাকিস্তান সরকার ও জনগণকে তাদের রাষ্ট্রীয় সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বাধীনতা ক্ষার জন্য ন্যায্য সংগ্রামে সমর্থন দেবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকসেনারা স্থানীয় দালালের সহায়তায় প্রথমে গোপালগঞ্জ প্রবেশ করে। পরে তাঁরা মুযোদ্ধাদের ঘাঁটি মানিকহার আক্রমণ করে। পাসেনাদের আধুনিক অস্ত্রের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে তারা মানিকহার গ্রাটি জ্বালিয়ে দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বহর কালিগঞ্জের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, এ সংবাদ পেয়ে কালামিয়া আশেপাশের গ্রাম থেকে দশজন মুজাহিদকে নিয়ে কালিগঞ্জের এক মাইল দূরে এ্যামবুশ করে। উক্ত এ্যামবুশে তিনটি গাড়ি সম্পূর্ণনষ্ট হয় এবং দশজন পাকসেনা নিহত হয়। পাকবাহিনী একটি গাড়ির পিছু গ্রেনেড নিয়ে ধাওয়া করলে কালামিয়া বুলেট বিদ্ধ হন এবং সঙ্গে সঙ্গে শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ফুলবাড়িতে পাকবাহিনীর সাথে তৃতীয় বেঙ্গল ব্যালিয়নের তীব্র যুদ্ধ হয়। পাকবাহিনীর প্রবল আক্রমণের মুখে ব্যাটালিয়ন চরখাই চলে আসে এবং সেখানে প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। পাকবাহিনী যাতে চরখাই আক্রমণ করতে না পারে সেজন্য ক্যাপ্টেন আশরাফের কোম্পানি ফুলবাড়ি চরখাই রোডে, মেজর মো.আনোয়ার হোসেনের কোম্পানি ঘোড়াঘাট-চরখাই রোডে ডিফেন্স নেয় এবং লে.মোখলেসের কোম্পানি ডেপথ কোম্পানি হিসেবে রাখা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকালে পাকসেনারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে ঈশ্বরদী প্রবেশ করে। পাকসেনাদের গুলিতে রেলগেটে মজিদ নামের একজন কুলি শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঈশ্বরদীতে পাকসেনাদের প্রবেশের পর পরই অবাঙালিরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বাঙালি নিধন অভিযানে নামে। নূর মহলা ও ফতে-মোহাম্মদপুর এলাকায় পাকবাহিনীর সাথে মিলে অবাঙালিরা হত্যাকান্ড ও লুটতরাজে অংশ নেয়। রাতে এ-দুটি মহলায় তারা ৩২ জন বাঙালির প্রাণ হনন করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বেনাপোল সড়কে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্সে উভয় পক্ষের বেশ কিছু সৈন্য হতাহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কালুরঘাটে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর পাকিস্তানি সেনাবাহিনী আর্টিলারী, মর্টার, ট্যাংক এবং অন্যান্য আধুনিক মারণাস্ত্রের সাহায্যে আঘাত হানে। উভয় পক্ষে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ সংঘর্ষে ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হয় ও অনেকে আহত হয় এবং বেশ কিছু পাকসেনা নিহত হয়। লে. শমসের মুবিন গুরুতররূপে আহত অবস্থায় পাকিস্তানিদের হাতে বন্দি হন। সংঘর্ষে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের অবস্থান ত্যাগ করে পেছনে সরে আসে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঝকরগাছায় মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে পাকসেনাদের প্রচুর ক্ষতি সাধিত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লে. জেনারেল আমির আবদুলাহ খান নিয়াজী পূর্ব পাকিস্তান কমান্ডের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তাজউদ্দিন আহমদ নিম্নোক্তভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের অবকাঠামো গঠনের কথা উল্লেখ করেন, ১. সিলেট ও কুমিল্লা অঞ্চলে বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর খালেদ মোশাররফ, ২. চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলে মেজর জিয়াউর রহমান, ৩. ময়মনসিয়হ ও টাঙ্গাইল অঞ্চলে মেজর সফিউলাহ, ৪. কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে ইপিআর-এর মেজর আবু ওসমান।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১১ এপ্রিল, ১৯৭১

১১ এপ্রিল, ১৯৭১ তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ আর তার সাড়ে সাত কোটি সন্তান আজ চূড়ান্ত সংগ্রামে নিয়োজিত। আমাদের এ সংগ্রামে জয়লাভ করতেই…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>১০ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব জোসেফ সিসকো বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে যে অস্ত্র দিয়েছে তা তারা আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করতে পারবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>শেরে বাংলার পুত্র ও জাতীয় পরিষদ সদস্য (আওয়ামী লীগ) এ. কে. ফয়জুল হক ঢাকায় এক বিবৃতিতে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র ভারতীয়দের নগ্ন অনুপ্রবেশ ও অসাধু উদ্দেশ্যের নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে দ্বিখন্ডিত করার জন্য ভারতের স্থির প্রতিজ্ঞা আমাদের প্রতি তাদের শত্রুাতামূলক মনোভাবের প্রমাণ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>লাকসামে পাকবাহিনীর সাথে বাংলার মুক্তিকামী যোদ্ধাদের মুখোমুখি লড়াই শুরু হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে পাবাহিনীর দুজন লেফটেন্যান্টসহ ২৬ জন সৈন্য নিহত এবং ৬০ জন সৈন্য আহত হয়। এ সংঘর্ষের পর মুহূর্তে পাবাহিনীর সৈন্যরা নিজেদের সামলে নিয়ে মেশিনগান, মর্টার ও আর্টিলারীর গোলাগুলি শুরু করে। চার ঘন্টা গুলি বিনিময়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে। ফেলে পাকবাহনিী লাকসাম দখল করে নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে দৌলতগঞ্জ সেতু বিস্ফোরক দ্রব্যের সাহায্যে উড়িয়ে দেয়। এতে লাকসাম-নোয়াখালী সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটে পাকবাহিনী মুক্তিযোদ্দাদের অবস্থান গুলিতে প্রচন্ড হামলা করে। হামলার মুখে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে সুরমা নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দিনাজপুরের দশমাইলে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে পাকসেনারা ট্যাঙ্ক ও গোলন্দাজ বহর নিয়ে প্রত্যুষে তীব্র আক্রমণ চালায়। মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতার সাথে তাদের প্রতিহত করে। বেলা ২টায় দ্বিতীয় বারের মতো আক্রমণ করলে মুক্তিযোদ্ধারা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পিছু হটে। দিনাজপুরের যোদ্ধারা দিনাজপুরের দিকে ঘঁঅটি পরিবর্তন করে ও ঠাকুরগাঁয়ের যোদ্ধারা ঢেপা নদীর ভাতগাঁও পুলের নিকট অবস্থান নেয়। এ যুদ্ধে চার জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হনএবং বেশ কজন লোক আহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেটের খাদেমনগরে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর পাকসেনারা একই সঙ্গে স্থল ও বিমান হামলা চালায়। পাকজঙ্গী বিমানগুলো ব্যাপক বোমা নিক্ষেপ করে। ফলে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে এসে হরিপুর নামক স্থানে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাবনা অভিমুখে অগ্রসরমান পাকসেনাদের একটি বিশাল বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নগরবাড়ি ঘাটে এসে পৌঁছায়। মুক্তিযোদ্ধারা নগরবাড়িঘাটে পাকসেনাদের প্রতিরোধ করলে কয়েক ঘন্টা গুলি বিনিময় হয়। এ সংঘর্ষে পাবনার বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী গোলাম সরওয়ার শহীদ হন। পাকসেনারা মুক্তিযোদ্ধোদের প্রতিরোধ ভেদ করে পাবনার দিকে অগ্রসর হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাবনা পুনরায় পাকসেনাদের দখলে চলে যায়। পাক বর্বররা শহরে প্রবেশকালে রাস্তার দুপাশের বাড়িঘর, দোকানপাট ও প্রতিষ্ঠানে আগুন জ্বালিয়ে দেয় এবং গুলি করে অগণিত মানুষকে হত্যা করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>শান্তি কমিটি গঠিত হবার পর নেতৃত্বের কোন্দল দেখা দিলে একটি গোষ্ঠি ফরিদ আহমদকে সভাপতি করে নয় সদস্যের স্টিয়ারিয় কমিটি গঠন করেমূল শান্তি কমিটি থেকে বের হয়ে যায়। স্টিয়ারিং কমিটির ঘোষণায় বলা হয়, এই কমিটি পূর্ব পাকিস্তান শান্তি ও কল্যাণ কাউন্সিল গঠন করে প্রতিটি জেলায় এর শাখা প্রতিষ্ঠা করবে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামকে বিছিন্নতাবাদী আন্দোলন ও ভারতীয় ষড়যন্ত্র হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দেয়-আবদুল মতিন, মোহাম্মদ ইদরিস, সৈয়দ আলতাফ হোসেন, জালালুদ্দিন আহমদ, কে.এ.এম তৌফিকুল ইসলাম, ফকরুদ্দিন আহমদ, এম. ইকবাল আহমদ, সৈয়দ শহিদুল হক, কলিমুদ্দীন আহমদ, সিরাজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, মেসবাহউদ্দিনসহ ঢাকা জেলা বারের ৪১ জন আইনজীবী।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম: ‘ঝিকরগাছায় পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিফৌজের প্রচন্ড লড়াই।’ সংবাদে বলা হয়, পাকিস্তানি বাহিনী ঝিকরগাছা পর্যন্ত রণক্ষেত্র বিস্তৃত করেছে। কামান ও ৬ ইঞ্চি মর্টার নিয়ে পাকসৈন্যরা মালঞ্চ গ্রামের উপর নতুন করে আক্রমণ চালালে মুক্তিফৌজ গ্রাটি ছেড়ে আসে। মুক্তিযোদ্ধাদের মেশিনগানের গুলিতে প্রায় একশত পাকসৈন্য নিহত হয়। মালঞ্চ গ্রাম ছেড়ে মুক্তিফৌজ একদিকে যশোর রোডের উপর লাউজানি লেভেল ক্রসিং গেটে এবং অন্যদিকে ঝিকরগাঝা বাজারের উত্তর দিকে কপোতাক্ষ নদের পূর্ব পারে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে ‘ব্যাক টু দি ওয়াল’ লড়াই আরম্ভ করেছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>আজ স্বাধীন বাংলা সরকার গঠিত হয়। সরকারের শপথ গ্রহণ অচিরেই বাংলাদেশের মুক্তঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানটি আকাশবাণী ও বিবিসিতে প্রচারিত হবে।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১০ এপ্রিল, ১৯৭১

১০ এপ্রিল, ১৯৭১ মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের সহকারী পররাষ্ট্র সচিব জোসেফ সিসকো বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে যে অস্ত্র দিয়েছে তা তারা আভ্যন্তরীন নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করত…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৯ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৯ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>লে. জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। জল্লাদ টিক্কা খানের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বি.এ.সিদ্দিকী।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় খাজা খয়েরউদ্দীনকে আহবায়ক করে ১৪০ সদস্যবিশিষ্ট নাগরিক শান্তি কমিটি গঠন করা হয়। স্বাধীনতা বিরোধীদের কার্যক্রমের মধ্যে এটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য ঘটনা। ঘোষণায় বলা হয়, এই ১৪০সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে বিভিন্ন শহরের শান্তি কমিটিগুলো কাজ করবে। এই কমিটিকে আরো কো-অপ্ট করার ক্ষমতা দেওয়া হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ঢাকাস্থ ভারতীয় ডেপুটি হাই কমিশন থেকে বেতার ট্রান্সমিটার অপসারণের নির্দেশ দেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ময়মনসিংহের মধুপুরে পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ সংগঠিত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা নোয়াখালীর নথের পটুয়া স্টেশনের কাছে একটি ফরোয়ার্ড ডিফেন্স স্থাপন করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকাল ৯টায় পাকসেনারা বিমান ও কামানের গোলার সমর্থনপুষ্ট হয়ে পাঁচদোনাতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের উপর হামলা চালায়। এক ঘন্টা যুদ্ধের পর পাকসেনারা পিছু হটে গোপালদী বাজারে চলে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সিলেট বিমানবন্দর ও লাক্কাতুরা চা বাগান এলাকা ব্যতীত পুরো সিলেট মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে চলে আসে। পাকবাহিনী অবস্থানরত এ দুটি এলাকা দখলের পরিকল্পনা অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের দুটি কোম্পানি বিমানবন্দর আক্রমণ করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকবাহিনী নড়াইল মহকুমা শহরে বিমান হামলা চালায় এবং যুগপৎ দাইতলা থেকে অভিযান চালিয়ে পাকসেনারা নড়াইল দখল করে নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ব্রিগেডিয়ার আব্দুল্লাহ খান মালেক-এর নেতৃত্বে পাকবাহিনী বদরগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের ডিফেন্সের উপর আক্রমণ করে। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এ যুদ্ধ চলে। মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনাদের ব্যাপক আক্রমণের মুখে পিছু হটে খোলাহাটিতে চলে যায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মেজর শওকত হাবিলদার তাহেরসহ ১০ জন সৈনিক নিয়ে সকাল ৮টা৩০ মিনিটে কালুরঘাট থেকে এক মাইল উত্তরে পাকবাহিনীর ঘাঁটি কৃষি ভবন আক্রমণ করেন। উভয় পক্ষের তুমুল সংঘর্ষে পাকিস্তানিদের একজন ক্যাপ্টেন ও একজন সুবেদারসহ ২০ জন নিহত হয়। অবশিষ্ট পাকিস্তানিরা কৃষিভবন ছেড়ে শহরে চলে যেতে বাধ্য হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকসেনারা কালুরঘাট ও মদুনাঘাট দখলের চেষ্টা চালায়। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে তাদের সকল চেষ্টা ব্যর্থ হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, পাকিস্তানের বৃহত্তর বন্দর চট্টগ্রাম থেকে সমাজবিরোধীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং রাষ্ট্রদ্রোহীদের নির্মূলে সর্বতোভাবে সহায়তা করেছে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতারা ও পাকিস্তান প্রিয় জনগণ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বেনাপোল সীমান্তে মুক্তিবাহিনী ও পাকসেনাদের মধ্যে সারাদিন ধরে সংঘর্ষ চলে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ৭৮নং সামরিক আদেশ জারি করেন। এই আদেশ বলে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের জন্য ক্ষতিকর কার্যকলাপ রোধের অজুহাতে যে কোন ব্যক্তিকে দেশ থেকে বহিষ্কার করার ক্ষমতা লাভ করে সামরিক কর্তৃপক্ষ।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইসলামিক রিপাবলিক পার্টির সভাপতি মাওলানা নুরুজ্জামান ঢাকার ঘরে ঘরে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য প্রদেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>গোলাম আজম রেডিও পাকিস্তানের ঢাকা কেন্দ্র থেকে এক ভাষণ দেন। ভাষণে তিনি জনগণকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ভারত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সাহায্যের নামে তাদের অশুভ উদ্দেশ্য হাসিল করছে। আসলে ভারত পাকিস্তানকে ধ্বংস করে দিতে চায়। তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে প্রতিটি পাকিস্তানি মুসলমান জীবন দেবে, কোনক্রমেই পাকিস্তানের অখন্ডতা বিনষ্ট হতে দেবে না।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৯ এপ্রিল, ১৯৭১

৯ এপ্রিল, ১৯৭১ লে. জেনারেল টিক্কা খান পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর হিসেবে শপথ নেন। জল্লাদ টিক্কা খানের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি বি.এ.সিদ্দিকী। ঢাকায় খাজা খয়েরউদ্দীনকে…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৮ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <br /> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৮ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>চাঁদপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে হাজীগঞ্জ ডাক বাংলোতে পাকবাহিনী প্রতিরোধ নিয়ে এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ডা. আবদুস সাত্তার, ড. আবু ইউসুফ, হাবিবুর রহমান, সাইদুর রহমান, বি.এম. কলিমুল্লাহ,আলী আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নোয়াখালীর ডেপুটি কমিশনার মঞ্জুরুল করিম পরিস্থিতি নিয়ে সুবেদার মেজর লুৎফর রহমানের সাথে আলোচনায় বসেন এবং নোয়াখালী প্রতিরক্ষার পরিকল্পনা তৈরি করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ব্রিগেডিয়ার চিত্তরঞ্জন দত্ত ও ক্যাপ্টেন আজিজ সিলেট জেলা মুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নড়াইল-যশোর রোডে দাইতলা নামক স্থানে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরক্ষা ব্যুহতে পাকবাহিনী আক্রমণ চালায়। ৫ ঘন্টা স্থায়ী এ যুদ্ধে পাকবাহিনী আর্টিলারী ও মর্টার ব্যবহার করে। মুক্তিযোদ্ধারা গোলাবারুদের অভাবে পিছু হটে নড়াইলে অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>রাত ১টায় সুবেদার বোরহানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি কোম্পানি লালমণিরহাট থানা হেড কোয়ার্টারে অবস্থারত পাকসেনাদের উপর অতর্কিতে আক্রমন চালায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকসেনারা ‘ফির্ডগান’ আর্টিলারি ও অন্যান্য আধুনিক অস্ত্রের সাহায্যে মুক্তিযোদ্ধাদের বদরগঞ্জ প্রতিরক্ষা ব্যুহে আক্রমণ চালায়। এ-যুদ্ধে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা দেশের জণ্যে আত্মবিসর্জন দেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভূষিরবন্দরে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের উপর পাকবাহিনী আক্রমণ চালায়। এ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা পিছু হটে এবং দশ মাইল নামক স্থানে ডিফেন্স নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কুড়িগ্রামে ক্যাপ্টেন নওয়াজেশের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি সম্মেলন হয়। সম্মেলনে কুড়িগ্রাম, রৌমারী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গমারী এলাকা যে কোনো ত্যাগের বিনিময়ে মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং এই এলাকাকে রংপুর সেক্টর হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়। রংপুর সেক্টরকে সুবেদার বোরহানউদ্দিনের নেতৃত্বে পাটগ্রাম এবং সুবেদার আরব আলীর কমান্ডে ভুরুঙ্গমারী এই দুটি সাব- সেক্টরে ভাগ করা হয়। রংপুর সেক্টরের দায়িত্বে থাকেন ক্যাপ্টেন নওয়াজেশ উদ্দিন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা লে. কর্নেল লিমাইয়া মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত ও ক্যাপ্টেন আজিজের সাথে সাক্ষাৎ করেনএবং সামরিক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান সেনাবাহিনীর শালুটিকর বিমানবন্দর এবং লক্কাতুরা এলাকা থেকে অগ্রসর হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন অবস্থানের উপর হামলা চালায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাঁচদোনায় মুক্তিযোদ্ধাদের দৃঢ়প্রতিরক্ষা ব্যুহে পাকসেনারা আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণে পাকসেনাদল ১৫৫টি প্রাণ হারিয়ে এবং ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়ে পিছু হটে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কালিহাতী সেতু এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা ও পাকবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। পাকবাহিনী বেশ ক্ষতি স্বীকার করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতের ত্রিপুরায় বাংলাদেশের শরণার্থীদের জন্য ৯টি শরণার্থী শিবির খোলা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাতিসংঘে পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি আগা শাহী জাতিসংঘের মহাসচিব উ’থান্টের কাছে প্রেরিত এক নোটে বলেন, ভারত পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করছে। ভারত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রত্যক্ষ মদদ যোগাচ্ছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী যে তৎপরতা চালাচ্ছে বিমান বাহিনী তাতে সাহায্য করছে। বিমান বাহিনী সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারী (মুক্তিযোদ্ধা)-দের আস্তানায় ও যানবাহনের উপর আঘাত হানছে । দুষ্কৃতকারীরা (মুক্তিবাহিনী) পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণভাবে যানবাহন চলাচলে অন্তরায় সৃষ্টির জন্য রাস্তায় যে প্রতিবন্ধক তৈরি করছে তা অপসারণ করা হয়েছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>কালবিলম্ব না করে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধীদের প্রতিরোধ করে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে-এ মর্মে কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি এ.এস.এম. সোলায়মান ঢাকায় এক বিবৃতি দেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুসলিম লীগ নেতা কাজী আবদুল কাদের করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পূর্ব পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অরাজকতার জন্যে শেখ মুজিব ও বে-আইনী ঘোষিত আওয়ামী লীগ দায়ী । তিনি সেনাবাহিনীর সময়োচিত হস্তক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, তারা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচিয়েছে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জাকার্তায় ইন্দোনেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা চালানোর প্রতিবাদে সেখানকার পাকিস্তানি দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>দীঘি ইউনিয়নের মাইজখাড়া গ্রামে মো. মহারাজ, সেওতার মঙ্গল মিয়া, জয়ড়ার বাহেরউদ্দিন ও নোয়াখালীর আবদুল মান্নান মানিকগঞ্জের কালীগঙ্গা নদীর পারে পাকসেনাদের গুলিতে শহীদ হন । তারা সবাই তারাঘাটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মচারী । মানিকগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এটাই প্রথম শাহাদাৎবরণের ঘটনা।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৮ এপ্রিল, ১৯৭১

৮ এপ্রিল, ১৯৭১ চাঁদপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে হাজীগঞ্জ ডাক বাংলোতে পাকবাহিনী প্রতিরোধ নিয়ে এক বৈঠক হয়। এই বৈঠকে ডা. আবদুস সাত্তার, ড. আবু ইউসুফ, হাবিবুর রহমান, সাইদুর রহমান, বি.…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৭ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <br /> <b>৭ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul style="text-align: justify;"> <li>নয়াদিল্লীস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন আহমদ ও আমজাদুল হক পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। তাঁরাই বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণাকারী প্রথম কূটনৈতিক।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুসলিম লীগ নেতা এ. সবুর খান ঢাকায় সামরিক আইন প্রশাসক লে. জেনারেল টিক্কা খানের সাথে সাক্ষাৎ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>জামায়েত ইসলামীর প্রাদেশিক আমীর অধ্যাপক গোলাম আজম, অধ্যাপক গোলাম সারোয়ার ও মওলানা নূরুজ্জামান ঢাকায় এক যুক্ত ববিৃতিতে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পূর্ব পাকিস্তানের দেশ প্রেমিক জনসাধারণ ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) যেখানেই দেখবে সেখনেই তাদের ধ্বংস সাধন করবে।… দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) দমনে নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীকে এ ব্যাপারে সহযোগিতার জন্য আমরা সবার প্রতি অনুরোধ জানা।’</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ইসলামিক রিপাবলিক পার্টির সভাপতি মওলানা নূরুজ্জামান খান ঢাকায় এক ববিৃতিতে বলেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) দমনে নিয়োজিত। দেশপ্রেমিক নাগরিকরা দেশরক্ষায় তাদের সমর্থন ও সহযোগিতা করুন।’</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সমস্ত সিলেট জেলা মুক্তিবাহিনীর দখলে চলে আসে। পাকসেনারা সিলেট বিমান বন্দর ও লাক্কাতুরা চাবাগানের আশেপাশে একত্র হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বিকালে পাকসেনারা নড়াইল-যশোর রোড দাইতলা নামক স্থানে মুক্তিযোদ্ধদের প্রতিরোধ ব্যুহতে আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে পাকসেনারা টিকে থাকতে না পেরে পিছনে ফিরে চলে যায়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর আনুমানিক ৩০ জন নিহত হয়। অপরপক্ষে, মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ হতাহত হয়নি।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পার্বতীপুরের বিহারীরা নিকটবর্তী গ্রামগুলিতে ব্যাপকহারে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে এবয় নিরীহ গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে হত্যা করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নীলফামারী পাকবাহিনীর দখলে চলে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা খানসামাতে ডিফেন্স নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধারা পাকসেনার দখলকৃত খুলনা রেডিও স্টেশনের উপর আক্রমণ চালায়। একরাতব্যাপী এ যুদ্ধে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকসেনারা খুলনার দৌলতপুরের রঘুনাথপুর গ্রামে হামলা চালায় এবং সেখানে বহুলোককে হত্যা করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক আইন প্রশাসক টিক্কা খান অফিসার ও প্রশাসক নিযোগ সম্পর্কিত ‘সামরিক আইন বিধি ১৩৭’ জারি করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>‘গুরুত্বপূর্ণ রেল শহর পার্বতীপুর মুক্ত’ এ শিরোনামে সুখরঞ্জন দাশগুপ্তের লেখা সংবাদ আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>যশোর সদরের ৮ মাইল পূর্ব-উত্তর কোণে লেবুতলা নামক গ্রামে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল গুলি বিনিময় হয়। কয়েক ঘন্টার এ সংঘর্ষে পাকবাহিনরি ৫০ জন সৈন্যের মৃত্যু ওপ্রচুর ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করে যশোর সেনানিবাসে ফিরে যেতে বাধ্য হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>১৭নং বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মেঘ সিং, বিএসএফ-এর অফিসারসহ দুটি কোম্পানি পূর্ণ সামরিক সম্ভার নিয়ে ঝিকরগাছা লাওজান গেটের নিকট প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>নীলফামারীতে পাকসেনারা পূর্ণ সামরিক সম্ভারসহ সুবেদার মজিদের বাহিনীর উপর আক্রমণ চালায়। এ পাকবাহিনীর ৮ জন নিহত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষতি স্বীকার করলেও অটুট মনোবল নিয়ে দেবীগঞ্জে এসে ডিফেন্স নেয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্লাটুন কালুর ঘাট থেকে লালমণিরহাট পর্যন্ত এলাকায় পাকবাহিনীর সহযোগী সশস্ত্র অবাঙালিদের উপর আক্রমণ চালিয়ে ২১ জনকে হত্যা করে।</li> </ul> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৭ এপ্রিল, ১৯৭১

৭ এপ্রিল, ১৯৭১ নয়াদিল্লীস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা শাহাবউদ্দিন আহমদ ও আমজাদুল হক পাকিস্তানের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা করেন। তাঁরাই বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য …

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৬ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৬ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <ul> <li style="text-align: justify;">চট্টগ্রামের দোহাজারীতে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকসেনাদের প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। সংঘের্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকে থাকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটে যায়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">সিলেটের করিমগঞ্জ সীমান্তে মুক্তিবাহিনী ও পাকসেনাদের মধ্যে প্রচন্ড লড়াই শেষে পাকসেনারা পশ্চাদপসরণ করে বলে ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ পরোক্ষভাবে স্বীকার করেন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট পদগর্নি রক্তক্ষয় বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টকে চিঠি দিলে জবাবে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলেন, ‘পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হবে না।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকসেনারা অতর্কিতে চাঁদপুর, পুরানবাজারে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে। এটাই ছিল চাঁদপুরে পাকবাহিনীর প্রথম বিমান আক্রমণ। এ হামলায় কোন প্রাণহানি ঘটেনি।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">গোলাম আজম, হামিদুল হক চৌধুরীসহ একটি দল পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক আইন প্রশাসক ‘বেলুচিস্তানের কসাই’ নামে টিক্কা খানের সাথে দেখা করেন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাক বর্বররা সিলেট শহরতলীর কলাপাড়ায় এক গণ-নিধনযজ্ঞ পরিচালনা করে। ফলে ২৫ জন নিরীহ বাঙালি মৃত্যুবরণ করেন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">বেঙ্গল রেজিমেন্ট সদস্য ও ভাঙ্গার লোকজনসহ সুবেদার এ.কে.এম.ফরিদউদ্দিন আহমদ পাঁচদোনার শীলমন্দি নামক গ্রামে প্রতিরোধ গড়ে তোলন। অন্য দিকে পাকসেনারা ডেমরায় একত্র হয়ে মুক্তিবাহিনীর উপর আক্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকসেনারা সৈয়দপুর সোনিবাস থেকে দিনাজপুরের দিকে অগ্রসর হলে একসময় মুক্তিযোদ্ধাদের রাইফেলের আয়ত্বের মধ্যে চলে আসে এবং তুমুল গুলি বিনিময় হয়। দুই-তিন ঘন্টা স্থায়ী এ যুদ্ধে পাকসেনারা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি স্বীকার করে সেনানিবাসে ফিরে যায়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">সন্ধ্যা ৬-৭টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা রাজশাহী শহর আক্রমণ করে। পাকবাহিনীর প্রবল গোলাবর্ষণ ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের গুলিবর্ষণের মুখে অদম্য সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখে অগ্রসর হয় এবং শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে শহরে ঢুকে। প্রায় চার ঘন্টা লড়াইয়ের পর রাজশাহী শত্রু মুক্ত হয় এবং মুক্তিযোদ্ধারা রাজশাহীর চতুর্দিকে প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তোলে। এ যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ‘রাজশাহী যুদ্ধ’ নামে খ্যাত।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ শিরোনাম-‘আলোচনা ভেঙ্গে যায়নি। ইয়াহিয়া চাননি মুজিব ক্ষমতায় আসুক। তাই তিনি বন্দুক নিয়ে নামলেন।’</li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><b>আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের সার-সংক্ষেপ:</b></li> </ul> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশ পূর্ব রণাঙ্গন: পূর্ব রণাঙ্গনে মুক্তিফৌজ ৪৮০ কি.মি. দীর্ঘ ঢাকা-শ্রীহট্ট রেলপথটি নানা জায়গায় বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে, ফলে শ্রীহট্ট শহরে অবরুদ্ধ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কাছে ঢাকা থেকে অস্ত্রশস্ত্র ও রসদ পাঠানো অসম্ভব করে তুলেছে। </div> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> ময়মনসিংহ মুক্তিফৌজের হাতে। সংলগ্ন নতুন জেলা টাঙ্গাইলের অবস্থাও তাই। মুক্তিফৌজ কুমিল্লা শহরও দখল করছে। পাকফৌজ শহর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্টে। </div> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশ-পশ্চিম রণাঙ্গন: পশ্চিম রণাঙ্গনের কুষ্টিয়ায় প্রচন্ড লড়াই চলে। যশোরের চাচড়ার মোড় পুনর্দখলের জন্য জোর লড়াই শুরু হতে চলেছে। খুলনায়ও উভয় পক্ষে মরণপণ সংগ্রাম চলছে। </div> </blockquote> <blockquote class="tr_bq"> <div style="text-align: justify;"> বাংলাদেশ-উত্তর রণাঙ্গন: উত্তর রণাঙ্গনে মুক্তিফৌজ একটি সাফল্য অর্জন করেছে-তারা হানাদার বাহিনীর হাত থেকে রংপুর শহরটি ছিনিয়ে নিয়েছে, তিস্তা সেতু উড়িয়ে দিয়েছে, লালমনিরহাট বিমান ক্ষেত্র অকেজো করে দিয়েছে। সামরিক দিক থেকে এ সাফল্যের তুলনা নেই। রাজশাহীতেও জোর লড়াই চলছে। বগুড়া ও পাবনা জেলা হানাদার মুক্ত হয়েছে।</div> </blockquote> <div style="text-align: justify;"> <blockquote> বাংলাদেশ-দক্ষিণ রণাঙ্গন: চট্টগ্রামে আবার প্রচন্ড লড়াই শুরু হয়েছে মুক্তিফৌজ ও হানাদার ফৌজের মধ্যে। পাক বিমান বোমা ফেলেছে চট্টগ্রাম শহরে। নোয়াখালি জেলার নানা অঞ্চলেও উভয় পক্ষ মুখোমুখি। বরিশাল জেলার লড়াই হঠাৎ প্রচন্ড আকার ধারণ করেছে।</blockquote> </div> <div style="text-align: justify;"> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৬ এপ্রিল, ১৯৭১

৬ এপ্রিল, ১৯৭১ চট্টগ্রামের দোহাজারীতে মুক্তিবাহিনীর সাথে পাকসেনাদের প্রচন্ড সংঘর্ষ হয়। সংঘের্ষ মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকে থাকতে না পেরে পাকসেনারা পিছু হটে যায়। সিলেটের করিমগঞ্জ সীমান্তে মুক্তিবাহ…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৫ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৫ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul> <li style="text-align: justify;">ঢাকায় কারফিউর মেয়াদ ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়। এ সময় দলে দলে লোক ঢাকা ত্যাগ করে। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">ঢাকায় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, ‘প্রদেশের পরিস্থিতি সশস্ত্র বাহিনীর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণাধীন রয়েছে। সশস্ত্র অনুপ্রবেশকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অবলম্বন করা হচ্ছে। পাকিস্তান বিরোধীদের বিরুদ্ধেও যথোচিত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’ </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">করাচীতে পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো এক বিবৃতিতে জানান যে, শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন পূর্ব পাকিস্তান গঠন করতে চেয়ে ছিলেন। সেজন্যেই তিনি জাতীয় পরিষদের দুটি কমিটি গঠনের সুপারিশ করেছিলেন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক কোম্পানি যশোর থেকে কুষ্টিয়ার পথে বিশাখালিতে মুক্তিবাহিনীর এ্যামবুশে ট্রেপ বা ফাঁদের গর্তে আটকে যায়। সামরিক বহরটিতে ৯টি ট্রাক ২টি জীপ ছিল। সৈন্যদের সবাই স্থানীয় কৃষকদের আক্রমণে প্রাণ হারায়। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">মেজর চিত্তরঞ্জন দত্ত তাঁর দুই কোম্পানিসহ শেরপুর-শাদীপুর থেকে প্রধান সড়ক হয়ে এবং ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলের নিয়মিত সৈনিকরা শ্রীমঙ্গল-কুলাউড়া-কমিগঞ্জএবং চরখানাই-এর পথ ধরে সিলেটের দিকে তৎপরতা শুরু করে। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকবাহিনী যশোর সেনানিবাস থেকে বিশাখালিতে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনীর নির্ভীক যোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালিয়ে পাকসেনাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">শেরপুর-শাদীপুর এলাকায় পাকসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। উভয় এলাকায় মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহসের সাথে যুদ্ধ করে এবং পাকবাহিনীর কাছ থেকে এলাকা দুটি মুক্ত করে। এ যুদ্ধে তিন প্লাটুন পাকসৈন্যের অধিকাংশই মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয়। ইলাশপুর গ্রামের জনৈক দালাল ছাওলা মিয়ার ধানের গোলায় একজন পাকসেনা লুকিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে গ্রামবাসীরা তাকে খঁজে বের করে এবং হত্যা করে। এ যুদ্ধে শহীদ হন তিনজন মুক্তিযোদ্ধা এবং আহত তন অসংখ্য। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">সিলেটের সুরমা নদীর দক্ষিণ পারে এক খন্ড যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে পাকবাহিনী পরাজিত হয় এবং তারা পালিয়ে গিয়ে শালুটিকর বিমান ঘাঁটিতে একত্র হয়। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">সুরমা নদীর সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর সিলেট শহর শত্রুমুক্ত হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">রাত আটটায় মুক্তিযোদ্ধারা যাত্রাবাড়ি রোডে পাকসেনা বোঝাই একটি গাড়ি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দেয়। সাথে সাথে ঢাকা এবং ডেমরা থেকে পাকসেনাদের বহর ঘটনাস্থলের দিকে অগ্রসর হয় এবং গোলাবর্ষণ শুরু করে। তবে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হয়নি। তাঁরা আক্রমণ চালিয়েই সাথে সাথে গ্রামের দিকে চলে যায়। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">দিনাজপুরের ৮উইং সুবেদার আবদুল মজিদের নেতৃত্বে এক কোম্পানি ইআর, ৯ উইং-এর আরেক প্লাটুন ইপিআরসহ সৈয়দপুর- নীলফামারী সদর রাস্তায় সৈয়দপুরের অদূরে দারোয়ানির নিকট প্রতিরক্ষা ঘাঁটি গড়ে তোলে। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকবাহিনী ১১টি গাড়ি নিয়ে ভূষিরবন্দর অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটির দিকে অগ্রসর হলে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলির সম্মুখীন হয়। এতে পাকসেনারা আর সামনে অগ্রসর না হয়ে সৈয়দপুরে পিছু হটে। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">দশ মাইল এলাকায় পাকিস্তানিদের সাঁজোয়া এবং গোলন্দাজ বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এত অনেক বাঙালি ইপিআর শাহাদাৎ বরণ করেন এবং অনেকে আহত হন। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">তউলন (ফ্রান্স)-এ পাকিস্তানি সাবমেরিন ‘মনগ্রো’র বাঙালি নাবিকরা ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করে। ‘মনগ্রো’-এর ৪৫ জন নাবিকের মধ্যে ১৩ জন বাঙালি নাবিক পাকিস্তান নৌবাহিনী ত্যাগ করে গোপনে সাবমেরিন থেকে সরে পড়ে। পরে তারা সুইজারল্যান্ডের দিকে যাত্রা করে। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাহারতলী রেলওয়ে এলাকাতে পাকসেনারা রেলের চীফ ইঞ্জিনিয়ার মোজাম্মেল চৌধুরী, একাউন্টস অফিসার আব্দুল হামিদ, এল.আর.খান এবং তাঁদের পরিবারের সদস্য ও ভৃত্ যসমেত মোট ১১ জন বাঙালিকে জবাই করে হত্যা করে। এটি পাকসেনাদের নৃশংসতার একটি প্রকাশ।</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৫ এপ্রিল, ১৯৭১

৫ এপ্রিল, ১৯৭১ ঢাকায় কারফিউর মেয়াদ ভোর পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত শিথিল করা হয়। এ সময় দলে দলে লোক ঢাকা ত্যাগ করে। ঢাকায় পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করে, ‘প্রদেশের পরিস্থিতি সশস্ত্র বাহিনী…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৪ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjAWCDEEgTvRMuDz59hOC3LJyIk_GN8kRNFiFgoZ6Gx5QF3dPfagcbyqsdR4m61iFvgTlj1V9QFF7MuQBqgQPP09CtVHqr09TEEG4ZAeLtVB59UWRmVDNpgPuad8CWslwLO2FrJzT1N3U/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEhjAWCDEEgTvRMuDz59hOC3LJyIk_GN8kRNFiFgoZ6Gx5QF3dPfagcbyqsdR4m61iFvgTlj1V9QFF7MuQBqgQPP09CtVHqr09TEEG4ZAeLtVB59UWRmVDNpgPuad8CWslwLO2FrJzT1N3U/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"><br /></td></tr> </tbody></table> <b>৪ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul> <li style="text-align: justify;">ঢাকায় পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান নূরুল আমিনের নেতৃত্বে ১২ সদস্য একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসক জল্লাদ জেনারেল টিক্কাখানের সাথে সাক্ষাৎ করে। প্রতিনিধি দলের সদস্য মৌলবী ফরিদ আহমদ, অধ্যাপক গোলাম আজম, খাজা খয়রুদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, মওলানা নুরুজ্জামান প্রমুখ জেনারেল টিক্কাকে পূর্ণ সমর্থন জানায় ও সহযোগিতার আশ্বাস দেয়। তারা সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নাগরিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকিস্তান বাহিনী অপ্রত্যাশিতভাবে ফেনী শহরের উপর বিমান আক্রমণ চালায়। এই বিমান হামলায় শহরের বহু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয় ও অনেক নিরীহ মানুষ প্রাণ হারায়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">ঠাকুরগাঁও ৯ নম্বর উইং-এর সুবেদার মেজর কাজিমউদ্দিন, ক্যাপ্টেন নজরুল, তৃতীয় বেঙ্গলের ক্যাপ্টেন আশরাফ, মেজর মকসুল হুসেন চৌধুরী, এএমসি’র অবসরপ্রাপ্ত মেজর টি হোসেন, সুবেদার মেজর ওসমান গণি প্রমুখের উপস্থিতিতে ভাতগাঁও সেতুর নিকট এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সুবেদার এ মজিদ একটি কোম্পানি নিয়ে নীলফামারিতে, ক্যাপ্টেন আশরাফ তৃতীয় বেঙ্গলের একটি কোম্পানি, সুবেদার হাফিজ ইপিআর বাহিনীর দুটি কোম্পানি এবং হাবিলদার নাজিম দুটি এন্টি-ট্যাংক গান নিয়ে ভুষিরবদর নামক স্থানে ডিফেন্স নেয়। নায়েব সুবেদার কায়সার ও হাবিলদার জায়দুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কোম্পানি বদরগঞ্জ নামক স্থনে ডিফেন্স নেয়। ক্যাপ্টেন আশরাফ সার্বিকভাবে ফিল্ড কমান্ডার মনোনীত হন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ইপিআর, আনসার, মুজাহিদ নিয়ে একটি যৌথ কমান্ড গঠিত হয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকসেনাদের একটি রেজিমেন্ট বাঙালি দালালদের সহায়তায় হারাগাছ নামক এলাকা হয়ে তিস্তা নদী অতিক্রম করে ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে এবং হত্যা লুন্ঠন চালিয়ে ত্রাসের সৃষ্টি করে।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">রাতে মুক্তিযোদ্ধাদের ‘এ’ কোম্পানি কালুরঘাটে, ‘বি’ কোম্পানি রাজারহাটে, ‘ডি’ কোম্পানি সাপটিবাড়িবাজারে সুবেদার আরব আলীর কমান্ডে এবং ‘সি’ কোম্পানি বোরহানউদ্দিনের কমান্ডে কালিগঞ্জ থানা এলাকাতে ডিফেন্স নেয়। সার্বিক কমান্ডের দায়িত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন নওয়াজেশউদ্দিন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">মেজর জলিল খুলনা বেতার কেন্দ্র দখলের লক্ষ্যে পিরোজপুর হয়ে বাগেরহাট অভিমুখে রওনা হন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">সিলেট শহরের টিবি হাসপাতালে অবস্থানরত পাকঘাঁটির ওপর মুক্তিযোদ্ধারা এক বড় রকমের আক্রমণ চালায়। সংঘর্ষে ব্যাপক ক্ষতি স্বীকার করে পাকবাহিনী ঘাঁটি ছেড়ে শালুটিকর বিমানবন্দরের দিকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল এমএজি ওসমানী মুক্তিযোদ্ধাদের তেলিয়াপাড়া হেডকোয়ার্টারে অনুষ্ঠিত বাঙালি সামরিক অফিসারদের সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে মনোনীত হন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">ক্যাপ্টেন মতিউর রহমানের নেতৃত্বে এক কোম্পানি নিয়মিত সৈনিকসহ ইপিআর সৈনিকেরা নরসিংদী এলাকায়, ক্যাপ্টেন নাসিমের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল-এর আলফা কোম্পানি মুজাহিদ সহযোগে আশুগঞ্জে, লেফটেন্যান্ট মোশেদের নেতৃত্বে এক প্লাটুন নিয়মিত সৈনিকসহ ইপিআর সৈন্যরা লালপুরে, ইপিআর ও মুজাহিদদের মিশ্রণে এক কোম্পানি একজন জেসিও (জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার) নিয়ন্ত্রণে আজবপুরে, ক্যাপ্টেন আইনুদ্দিনের নেতৃত্বে চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল-এর ডেল্টা কোম্পানির সাথে ইপিআর সৈন্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবস্থান নেয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">ইপিআর ক্যাপ্টেন মতিনের কমান্ডে একটি কোম্পানি সরাইলে, ক্যাপ্টেন আজিমের নেতৃত্বে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল এর চার্লি কোম্পানি শেরপুর-শাদীপুরে, দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল এর ডেল্টা কোম্পানি মেজর মঈন এর কমান্ডে তেলিয়াপাড়ায় অবস্থান নেয়।</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৪ এপ্রিল, ১৯৭১

৪ এপ্রিল, ১৯৭১ ঢাকায় পাকিস্তান ডেমোক্রেটিক পার্টি প্রধান নূরুল আমিনের নেতৃত্বে ১২ সদস্য একটি প্রতিনিধি দল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রশাসক জল্লাদ জেনারেল টিক্কাখানের সাথে সাক্ষাৎ করে। প্…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>৩ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <div> <ul> <li style="text-align: justify;">সিলেটের শমসেরনগরে মুক্তিবাহিনী বীরত্বের সাথে পাকিস্তানবাহিনীর আক্রমন প্রতিহত করে। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">ফরাসি টেলিভিশন কর্পোরেশনের একটি ভ্রাম্যমাণ দল মুক্তিবাহিনীর চুয়াডাঙ্গাস্থ সদর দফতরে আসে। তারা দৃঢ় মনোবলে উদীপ্ত যুদ্ধরত মুক্তিসেনা ও আহত পাকিস্তানি যুদ্ধবন্দী লে. আতাউল্লাহ শাহসহ পাকিস্তানিদের কাছ থেকে দখলকৃত যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্র ও গাড়ির ছবি টেলিভিশন ক্যামেরায় ধারণ করেন এবং মেজর এম.এ ওসমান চৌধুরীর সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">চুয়াডাঙ্গায় পাকবাহিনী মেশিনগানের গুলি ছাড়াও নাপাম বোমা নিক্ষেপের মাধ্যমে আক্রমন করে। এ হামলায় বেশকিছু ঘরবাড়ি ধ্বংস হয় ও বহু লোক গুরুতরভাবে আহত হয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">চুয়াডাঙ্গাতে আওয়ামী লীগের নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ রেডক্রস সোসাইটির জন্ম হয়। জন্মলগ্নে সোসাইটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন এমপি ড. আসহাবুল হক জোয়ার্দার। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকসেনাবাহিনী যশোরের মুক্তিবাহিনী অবস্থানরত এলাকাগুলোতে হঠাৎ করে ব্যাপকভাবে কামানের গোলা নিক্ষেপ করতে থাকে। শহরের দক্ষিণে অবাঙালি বসতির বিভিন্ন বাড়িতে পাকসেনারা ডিফেন্স নেয়। </li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">ভারতীয় বিএসএফ বাহিনীর লে. কর্নেল সেন এবং মেজর চক্রবর্তীর সাথে রাজশাহীতে ক্যাপ্টেন গিয়াস সামরিক সাহায্যের বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল ঘেরাও করে এবং ডা. মুরিদ আলী ও সেবক ব্রাদার এনামুল হককে গ্রেফতার করে।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">ঢাকাস্থ ইপিআর গেরিলা দল ডেমরা এবং যাত্রাবাড়ির পথে আক্রমণ চালিয়ে পাকিস্তান বাহিনীর বেশ ক্ষতিসাধন করতে সমর্থ হয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">রংপুর শহরের শ্মশানঘাটে মধ্যরাতে ক’জন নেতৃস্থানীয় ব্যাক্তিকে চোখ বাধা হাত বাধা অবস্থায় নৃশংসভাবে হত্যা করে। এটাই রংপুর শহরে পাকবাহিনী কতৃক প্রকাশ্য হত্যাকান্ড।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">রংপুর ইপিআর দশম উইং-এর সহকারী কমান্ডর ক্যাপ্টেন নওয়াজিশ আহমেদকে মুক্তিযোদ্ধা আকতারুজ্জামান মন্ডলের দলের কমান্ডিং-এর দায়িত্ব অর্পন করা হয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল বাহিনী পাকসেনাদের ব্যবহার উপযোগী রামপুর রেলওয়ে সেতু (পুরানপাড়া রেলওয়ে সেতু) উড়িয়ে দেয়।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">গোড়ান-সাটিয়াচরায় পাকিস্তান বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। এ যুদ্ধে পাকবাহিনী ৭২ এমএম আরআর ও ১২০ এমএম কামানের গোলা ও হেলিকপ্টার থেকে মেশিনগানের গুলি বৃষ্টি করে মুক্তিবাহিনীর ডিফেন্স ভেঙ্গে দেয়। এতে তেইশ-চব্বিশজন ইপিআরসহ তিরিশজন মুক্তিযোদ্ধা শাহাদাৎ বরণ করেন।</li> </ul> <ul> <li style="text-align: justify;">সিলেটের দেওড়াছড়া চা বাগানের ৭০ জন শ্রমিককে পাকবাহিনী রেশন দেয়ার কথা বলে বাসে তুলে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে।</li> </ul> তথ্যসূত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div> </div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ৩ এপ্রিল, ১৯৭১

৩ এপ্রিল, ১৯৭১ সিলেটের শমসেরনগরে মুক্তিবাহিনী বীরত্বের সাথে পাকিস্তানবাহিনীর আক্রমন প্রতিহত করে। ফরাসি টেলিভিশন কর্পোরেশনের একটি ভ্রাম্যমাণ দল মুক্তিবাহিনীর চুয়াডাঙ্গাস্থ সদর দফতরে আসে। তারা দৃঢ় মন…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <b>২ এপ্রিল, ১৯৭১</b><br /> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকার দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার অপর তীরে জিঞ্জিরায় সমবেত নিরীহ আশ্রয়পার্থীদের ওপর পাকসেনাবাহিনী আক্রমন চালায়। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাকসেনাদের সশস্ত্র আক্রমণে ঝরে যায় শত শত প্রাণ, ছাই হয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। লুন্ঠিত হয় কেরানীগঞ্জ, ধর্ষিতা হয় কেরানীগঞ্জের অনেক মা-বোন। রক্তের বন্যা বয়ে যায় প্রতিটি গ্রামে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এই বর্বর ঘটনা 'কেরানীগঞ্জ গণহত্যা' নামে পরিচিত হয়ে আছে। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>টাঙ্গাইল হাইকমান্ড স্থানীয় জেলের সকল বন্দীদের ছেড়ে দেয়। পরে তাদেরই ৮০ জনের একটি দলকে হাইকমান্ড মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যের জন্য নাটিয়াপাড়ায় অবস্থানরত মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটিতে পাঠায়। </li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>অবরুদ্ধ ঢাকায় সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ’র মেয়াদ শিথিল করা হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>বন্দী পাক অফিসার লে. আতাউল্লাহ শাহকে ঝিনাইদহ থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম রণাঙ্গনের সদর দফতর চুয়াডাঙ্গাতে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কমান্ডার মেজর এম এ ওসমান চৌধুরী তাঁর জবানবন্দী নেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>অবসরপ্রাপ্ত মেজর এম. টি হোসেন ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও আসেন এবং সুবেদার মেজর কাজিমউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মেজর এম. টি হোসেন যুদ্ধে যোগ দিলে সবাই সাদরে তাঁকে তাদের কমান্ডার হিসেবে বরণ করেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>তিস্তা সেতুতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থানের ওপর পাকবাহিনীর বেপরোয়া শেলিং শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা কোনো জবাব না দেয়াতে পাকসেনারা সম্মুখের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। পাকিস্তানিরা মুক্তিযোদ্ধাদের পুরোপৃরি আওতায় এলে মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যর্থ গ্রেনেড ও গোলার আঘাতে বেশকিছু পাকসেনা নিহত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সন্ধ্যায় পাকবাহিনী পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করে তিস্তা সেতুতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালায়। এতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্যে ইপিআর বাহিনীর সিপাই এরশাদ আলী ও সিপাই আতাহার আলী মল্লিক শহীদ হন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিং এবং স্টেট ব্যাংক এলাকাতে পাকসেনাদের সাথে ইপিআর বাহিনীর বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষে ইপিআর বাহিনী ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। যুদ্ধ সমগ্র শহরময় ছড়িয়ে পড়ে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ শহরের সকল বাড়ি ও গাড়ির নম্বর এবং বানিজ্য প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড উর্দুতে লেখার জারি করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>অনুপস্থিত সকল কর্মচারীবৃন্দ অবিলম্বে কাজে যোগদান করলে তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্কিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে না। কোনো নাগরিক ভারতীয় অনুপ্রবেশকারীদের (মুক্তিযোদ্ধা) আশ্রয় দিলে তার বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে-এই মর্মে ঢাকায় সামরিক কর্তৃপক্ষ ঘোষণা জারি করে।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>ভারতীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভারতীয় জনগণের পূর্ণ সমর্থন ও সহানুভূতি প্রকাশ করে সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব গৃহীত হয়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পাকিস্তান ভারতের কাছে তার দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>হাইকোর্টের ৩৮ জন আইনজীবী এক যুক্ত বিবৃতিতে পাকিস্তানের ঘরোয়া বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপকে ‘নগ্ন ও নির্লজ্জ’ অভিহিত করে এর প্রতিবাদ জানায় এবং সম্ভাব্য সকল উপায়ে দুষ্কৃতকারীদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) বাধাদানের জন্য জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানায়।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট নিকোলাই পদগর্নি সামরিক বাহিনীর চরম ব্যবস্থা গ্রহণ, ব্যাপক প্রাণহানি এবং শেখ মুজিবুর রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের গ্রেফতার সোভিয়েত জনগণের গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার কাছে একটি বার্তা পাঠান।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচীতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, দেশের সংহতি প্রশ্নে শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লগের মনোভাবের প্রতি তাঁর কোনো আস্থা ছিল না বলেই তিনি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানের সংখাগরিষ্ঠ দলের ক্ষমতা ভাগাভাগির ওপর জোর দিয়েছেন।</li> </ul> <ul style="text-align: justify;"> <li>সকালে ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড ‘খ’ অঞ্চলের সামরিক প্রশাসক লে. জেনারেল টিক্কা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।</li> </ul> তথ্যসুত্র: মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ২ এপ্রিল, ১৯৭১

২ এপ্রিল, ১৯৭১ ঢাকার দক্ষিণে বুড়িগঙ্গার অপর তীরে জিঞ্জিরায় সমবেত নিরীহ আশ্রয়পার্থীদের ওপর পাকসেনাবাহিনী আক্রমন চালায়। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে পাকসেনাদের সশস্ত্র আক্রমণে ঝরে যায় শত শত প্রাণ, ছাই হয়…

Read more »

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১ এপ্রিল, ১৯৭১

<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on"> <div class="separator" style="clear: both; text-align: center;"> </div> <table align="center" cellpadding="0" cellspacing="0" class="tr-caption-container" style="margin-left: auto; margin-right: auto; text-align: center;"><tbody> <tr><td style="text-align: center;"><a href="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s1600/mp.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: auto; margin-right: auto;"><img border="0" height="332" src="https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgUIdwkCFLsawXBhP4GLrCaQyCrcff7VB_SJ8okd99ksbrOYOJVri4-JO1w2KaYhCWjryj6p2gfX3WSVPaZcuQOgRAyhcF5u0Fu0zLoXZodJ1N0bcUVn5DoNPxYcR2jPS1Z4Tz9i5_tgdo/s640/mp.jpg" width="640" /></a></td></tr> <tr><td class="tr-caption" style="text-align: center;"></td></tr> </tbody></table> <span style="color: #1a1a1a;">১ এপ্রিল, ১৯৭১</span><br /> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;">চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও পাহাড়ের ওপর অবস্থানকারী পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সংঘাত মারাত্মক আকার ধারণ করে। তীব্র আক্রমণের মুখে মুক্তিসেনাদের অবস্থান ছেড়ে দিতে হয় এবং রাতে মুক্তিসেনারা কালুর ঘাটে চলে আসে।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> সন্ধ্যায় ইপিআর-সহ মুক্তিবাহিনী টাঙ্গাইল থেকে নাটিয়াপাড়া গিয়ে ঘাঁটি স্থাপন করে।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> পাকিস্তানি বাহিনীর অত্যাচারের মুখে দলে দলে লোক নিজ মাতৃভূমি বাংলার সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের শরণার্থী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেয়।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> সিনেটর অ্যাডওয়ার্ড কেনেডি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটে পাকিস্তান কর্তৃক সামরিক সাহায্য চুক্তির শর্তাবলি লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার ও জাতিসংঘকে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক ও মানবিক সমস্যাগুলোর সমাধানকল্পে উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিল্ডিং এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে ইপিআর বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> নায়েব সুবেদার মোহাম্মদ আলী আকবরের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বগুড়ার আড়িয়াল বাজারে অবস্থিত পাকিস্তানি বাহিনীর 'অ্যামুনিশন ডাম্প' আক্রমণ করে। এতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেনসহ ২৪ জন সৈন্য ও তাদের পরিবার আত্মসমর্পণ করে।</span></li> </ul> <ul style="text-align: left;"> <li><span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> রাতে ক্যাপ্টেন মতিয়ুর, সুবেদার ফরিদ, ইপিআর বাহিনীর ৬০ জনের মতো জওয়ান ও অন্যান্য সৈন্য নিয়ে 'ডাঙ্গা' নামক স্থানে 'হাইড আউট' বসিয়ে র্৩র্ মর্টার দিয়ে রামপুরায় অবস্থানকারী পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করে।</span></li> </ul> <span style="color: #1a1a1a; display: block; font-size: 15px; text-align: justify;"> সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর</span></div>

মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনঃ ১ এপ্রিল, ১৯৭১

১ এপ্রিল, ১৯৭১ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও পাহাড়ের ওপর অবস্থানকারী পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর সংঘাত মারাত্মক আকার ধারণ করে। তীব্র আক্রমণের মুখে মুক্তিসেনাদের অবস্থান ছেড়ে দিতে হয় এবং রাত…

Read more »